Jump to ratings and reviews
Rate this book
Rate this book
পক্ষাঘাতগ্রস্থ অবস্থায় দেশের জনপ্রিয় লেখক খুন হলেন নিজ অ্যাপার্টমেন্টে। প্রথমবারের মত দৃশ্যপটে আবির্ভূত হয় ইনভেস্টিগেটর জেফরী বেগ। আপাত দৃষ্টিতে সহজ একটি কেস খুব দ্রুতই হয়ে যায় সমাধান। কিন্তু এরপরই ঘাঘু ইনভেস্টিগেটরের চোখে ধরা পড়ে সব অস্বাভাবিকতা, আসে একের পর এক সাসপেক্ট, কিন্তু সবই যেন ঘটনাকে আগের চেয়েও ঘোলাটে করে। সুপরিচিত ধানমণ্ডির বুকে ঘটে যাওয়া প্রতিশোধের এক টানটান উত্তেজনা পূর্ণ মনোজ্ঞ এবং মৌলিক এক ডিটেকটিভ থ্রীলার - নেমেসিস।

272 pages, Hardcover

First published February 1, 2010

62 people are currently reading
1141 people want to read

About the author

Mohammad Nazim Uddin

65 books1,532 followers
MOHAMMAD NAZIM UDDIN (Bengali: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন) is a writer and Translator of more than 26 novels..His original works are NEMESIS, CONTRACT, NEXUS, CONFESSION,JAAL, 1952: nichok kono number noy, KARACHI, RABINDRANATH EKHANE KOKHONO KHETE ASENNI and KEU KEU KATHA RAKHE. These six Thriller novels are highly acclaimed by the readers.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
570 (25%)
4 stars
1,011 (45%)
3 stars
535 (23%)
2 stars
89 (3%)
1 star
34 (1%)
Displaying 1 - 30 of 266 reviews
Profile Image for Nusrat Mahmood.
594 reviews737 followers
August 19, 2015
খুবই মিশ্র প্রতিক্রিয়া আমার এই বইটা পড়ে। কেন? একটা একটা করে বলি। প্রথমে বইটার ভাল দিকের কথায় আসি। নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার কারণ বাংলাদেশের সাহিত্যে মৌলিক থ্রিলার রচনায় বইটা একটা অসাধারণ নিদর্শন। কাহিনী বুনন শক্তিশালী। বাস্টার্ড নামের এন্টাগনিস্ট টি বইয়ের প্রটাগনিস্টের চেয়ে বেশি নজরকাড়া লেগেছে আমার কাছে। বইয়ের বাকি পার্ট গুলো পড়বো সম্ভবত তার কারনেই। আর বইয়ের বাহিরের সৌন্দর্য অল্প কথায় কাবিলে তারিফ। বইটার কভার ব্যাককভার প্রতিটা চ্যাপ্টারের শুরুতে ছোট ছোট নেভিগেশন আর্ট বইটাকে একটা নিজস্ব মাত্রা দিয়েছে সেই সাথে কভারের ডিজাইন সিরিজটার একটা স্বকীয় চপরিচয় সৃষ্টি করেছে। প্রতি চ্যাপ্টারের শেষে টুইস্ট গুলো সুন্দর। পাঠক এর মনকে ধরে রাখে। শেষের দিকের ক্লাইমেক্স টুইস্টটাও যথার্থ।
এবার আসি যা যা আমার খারাপ লেগেছে। বইটা অভার হাইপড মনে হয়েছে এই কারণে কারণ বইয়ের প্রটাগনিস্ট জেফরি বেগ কে কেন জানি খুব দুর্বল মনে হয়েছে। চোখের সামনে সুত্র রেখেও মনে হচ্ছে এদিক সেদিক ছুটছে, এক একটা ফাইনাল সিদ্ধান্তে আসতে সময় নিচ্ছে। একজন লোক খুন হলো, যার স্বাভাবিক মৃত্যু না খুন তা সম্পরকে কেউ ওয়াকবিহাল না যেহেতু তার মুখের উপর বালিশ ছিল। এফ বি আই এর আন্ডারে ট্রেনিং নেওয়া , কাজ করা একজন অফিসার সবার প্রথমে নিশ্চয়ই সেই বালিশটা থেকে আঙ্গুলের ছাপ নিবেন, বা অন্য কাউকে বালিশটা খালি হাতে সরাতে দিবেন না। কিন্তু এত বড় জিনিসটা বইয়ে মিসিং বলে কেমন কেমন লেগেছে। (নাকি এই জিনিসটা ছিল, কোনভাবে আমার চোখে পরেনাই? :/ ) আরেকটা জিনিস খারাপ লেগেছে বইয়ের একটা চরিত্র বাস্তব এর কাউকে এত বেশি অনুকরণ করে দেওয়া যা আসলেই নিম্নরুচির পরিচয় দেয় আমার মতে সেই সাথে লেখকের ক্রিয়েটিভিটির সীমাবদ্ধতাও দেখায়। একজন লেখক, যে প্রথম স্ত্রী রেখে মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করেছেন, প্রথম স্ত্রীর নাম এর আদ্যক্ষর 'গ',লেখকের প্রথম জীবন অনেক দুঃখ কষ্টে গেছে, তার সৃষ্টি এক রহস্যময় চরিত্র রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে, যুবকরা গল্পের সেই চরিত্রের মতো হতে চায়, লেখক গল্পের বই লিখে সাফল্য পাবার পর নাটক সিনেমা বানান, লেখক মারা যাবার পর তার কৃতকর্ম টিভিতে লাইভ দেখানো হয়... কি? খুব চেনা চেনা লাগছে না?
গল্পে আরও টুকটাক ফাঁকফোকর পেয়েছি কিন্তু তা ইগ্নোর করা যায় লেখনীর খাতিরে। জেফ্রি বেগ এর পূর্বইতিহাসটা ভাল ছিল। কিন্তু এফ বি আই অফিসার হিসাবে তাকে আমি দশে চারের বেশি দিতে পারিনি মোটেও। দেখা যাক, সামনের বইগুলোতে সে আমার কাছ থেকে দশে দশ নিতে পারে নাকি।
Profile Image for Ësrât .
515 reviews85 followers
February 19, 2021
গুডরিডসে বাংলা মৌলিক থ্রিলার পড়তে গেলেই দেখতে পাই অসংখ্য মানুষ প্রশংসায় পঞ্চমুখ নাজিম সাহেবের লেখিনী নিয়ে,তালিকায় আমার মত আমজনতা থেকে শুরু করে থ্রিলার লিখে জনপ্রিয় হওয়া লেখকদের সংখ্যা রীতিমতো ঈর্ষণীয় রকমের,বহু লোকের লেখার পিছনে প্রেরনার উষ্ণধারা হিসেবে নাজিম সাহেবের ভূমিকাও অনবদ্য.

তো এরকম একজন লোকের লেখা জেফরি-ব‍্যাস্টার্ড সিরিজের প্রথম বই নিয়ে আমার জল্পনা কল্পনা যে কোন লেভেলে ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না, কিন্তু কিন্তু কিন্তু

রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি পড়ে বিমুগ্ধ আমি যেখানে পাঁচটি তারাই দিয়েছিলাম আজকে জেফরি সিরিজের প্রথম ভাগ খানা পড়ে সাড়ে তিন তারার বেশি দেওয়াটা সমীচিন মনে করছি না.

শুরুতেই বিরক্ত লেগেছিল একদম কয়েকপাতা যেতে না যেতেই খুনী ধরা পড়ে টিভি চ্যানেল সংবাদপত্রে সবজায়গাতেই মুখরোচক আলোচনার খোরাক হয়ে যাওয়ার পর investigator মহোদয়ের দৃষ্টি গোচর হয় গুরুত্বপূর্ণ অসঙ্গতি গুলো অথচ শুরু কয়েকটা পাতা পড়লেই বোঝা যায় সিদ্দিকী সাহেব,ইরাম আর লেখক মহাদয়ের যোগসূত্র

খুব তাড়াতাড়ি আকর্ষনের জায়গাটা বুঝে ফেলার জন্য বইখানা আমার পানসে লেগেছে সত্যি তবে সিরিজের বাকিগুলো পড়ার জন্য মনের ভেতর থেকে একধরনের তাগাদা পাচ্ছি
দেখা যাক কি হয় পরের গল্লটাতে
Profile Image for Daina Chakma.
440 reviews771 followers
March 22, 2018
বইটা শেষ করার পর যে কোনো পাঠকের প্রতিক্রিয়া হবে মিশ্র। চরিত্র নির্মাণ থেকে শুরু করে প্লট সৃষ্টি সবকিছুতেই লেখক নাজিম উদ্দিন একি সাথে প্রফেশনাল এবং অ্যামেচার আচরণ করেছেন!

প্রথমেই চলে আছি গল্পের প্লটে। বিখ্যাত এক ব্যক্তির হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে কাহিনীর সুচনা। আস্তে আস্তে রহস্যের মোড়ক উন্মোচন। এখানে ব্রাউনীয় ছাপ সুস্পষ্ট। লেখকে আর কি দোষ দিব?! ড্যান ব্রাউন সাহেব নিজেই নিজের লেখনীর ছাঁয়া থেকে বের হতে পারছেন না!

এবার চরিত্র নিয়ে বলি। লেখক গল্পের প্রোটাগনিস্ট চরিত্র অঙ্কনে যেমন কাঁচা কাজ করেছেন ঠিক ততখানি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন এন্টাগনিস্ট চরিত্র সৃষ্টিতে। যদিও এন্টাগনিস্ট চরিত্রের উপস্থিতি খুবই সামান্য, তবে এই সামান্য উপস্থিতিতেই তার অসামান্য বুদ্ধিমত্তা, ব্যক্তিত্ব আর হিউমার সেন্সের প্রতি মুগ্ধ হতে হয়। অপরদিকে, গল্পের নায়ক চরিত্র জেফরি বেগ গোয়েন্দা হিসেবে মোটামুটি ব্যর্থ। উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছে বিধায় শুরুতেই প্রাইম সাসপেক্টকে ধরে ফেলেছে। নতুবা এই কাজেই সে মাসখানেক লাগিয়ে দিতো। প্রাইম সাসপেক্টকে গ্রেফতার করার পরেই সে আবিষ্কার করলো লেখক খুন হওয়ার আগে একজনকে মেইল করছে আর একটি ফাইল এটাচ করে পাঠিয়েছে। পৃথিবীর সবচাইতে আহাম্মক লোকও এই ফাইলটি খুলে দেখতে চাইবে। অথচ জেফরি বেগের এই কাজ করেনি। করলে পঞ্চম পাতায় সে সেকেন্ড সাসপেক্টকে পেয়ে যেতো। আর মার্ডার কেসও পুলিশের কাছে হ্যান্ডওভার করার বহু আগেই সলভ করা যেতো। মুখের উপর বালিশ চাপা থাকার পরেও কেন জেফরি শুরুর দিকে "খুন নাকি ন্যাচারাল ডেথ" এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলো সেটা নিয়ে তাকে আর উপহাস না করি। এক্ষেত্রে এন্টাগনিস্ট চরিত্রও ভুল করেছে। জায়েদ রহমানকে খুন করার পর তার মুখের উপর বালিশ রেখে যাওয়াটা আমার কাছে বাহুল্য মনে হয়েছে।

আরও একটা ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ না করে পারছিনা। জেফরি বেগের সাথে তার সাবেক প্রেমিকার সুখী সমাপ্তিটা একেবারেই অপ্রয়োজনীয় ছিল। এ ধরণের অতি নাটকীয় ব্যাপার গল্পের প্লটকে দুর্বল করে ফেলে।

তবে সামগ্রিক বিচারে এই বইটি অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। বৃহৎ পরিসরে খুব সুন্দরভাবে লেখক নাজিম উদ্দিন গল্প বুনেছেন আর একটু একটু করে ধাঁধাঁর মতো পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। লেখনী নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। বরাবরের মতই সুখপাঠ্য।

বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ করেছেন নিউটন। এজন্য নিউটনকে প্রশংসা না করলে পাঠ প্রতিক্রিয়া অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। মিস্ট্রি থ্রিলার হিসেবে খুবই চমৎকার প্রচ্ছদ এঁকেছেন নিউটন। এছাড়া বিভিন্ন অধ্যায়ের শুরুতে আঁকা ছবিগুলোও চমৎকার হয়েছে।

রেটিং- ৩.৫/৫।
Profile Image for Ishraque Aornob.
Author 29 books403 followers
May 25, 2020
বাংলাদেশের একটা অধ্যায়ের শুরু হয়েছিল এই বইটার হাত ধরেই। বর্তমানে যারা মৌলিক থৃলার লিখছেন তাদের স্বপ্ন দেখানো শুরু করেছিল এই বইটা। সেদিক দিয়ে �� সিরিজ স্টার্টার হিসেবে বইটা বেশ ভালোই। দেশসেরা লেখকের মৃত্যুরহস্য নিয়ে গড়ে ওঠা প্লট। আপাত দৃষ্টিতে স্বাভাবিক মনে হলেও ভালোই প্যাচ আছে মৃত্যুতে। যদিও দেরীতে পড়া শুরু করলাম একটু। অনেকেই আগে পড়ে ফেলেছেন, তবে যারা পড়েননি তাদেরও ভালো লাগবে।
Profile Image for Rifat.
501 reviews329 followers
August 8, 2020
২য় বার পড়ার পর আরেকটু ভালো লাগলো :)

কাহিনী প্লট ভালোই লেগেছে। গল্পও বেশ দ্রুত এগিয়েছে যার দরুণ বিরক্তির ভাব উদ্রেক হবে না। একজন লেখক হঠাৎ করে খুন হয়ে গেল শুরুতেই তাও আবার নিজের বাসগৃহে। ইনভেস্টিগেট করতে আসলেন গোয়েন্দা জেফরি বেগ। এই তো তারপর শুরু!!দুই একটা জায়গায় খটকা লেগেছে। ভিটা নুভা নামের এই অতি আধুনিক বিল্ডিং গেটে কি কেউ সিসি ক্যামেরা ইন্সটল করার প্রয়োজন বোধ করেনি!!! এটা তো মোটামুটি ভাবে থাকার কথা ছিল।
কেমন জানি মনে হচ্ছে বেগ আর বাস্টার্ড কানেক্টেড🤔

আরেকটা জিনিস! এই যে ভিক্টিম জায়েদ রেহমান এত জনপ্রিয় লেখক, তার এমন ঝামেলা মূলক দ্বিতীয় বিয়ে, নাটক সিনেমা এগুলো কেমন যেন বাস্তব জীবনের আরেক ব্যক্তির সাথে মিলে যাচ্ছিল। এত মিলে যায় কিভাবে! বার বার ওনার কথাই মনে পড়তেছিল😐😐
Profile Image for Rohun.
120 reviews58 followers
January 26, 2021
ভাইবন্ধুদের মধ্যে মোটামুটি সবার ই পড়া শেষ, আলচনা-সমালোচনাও শেষ। নতুন করে কি লিখিবো আমি! নতুন আমি যা পেয়েছি ১০০% প্রিমিয়াম কোয়ালিটির প্রচ্ছদ আর বাধাই এর বই যা অন্যরকম সুখানুভূতি দিতে সম্ভব। দিন দিন তানজিমের সাজেশানের উপর ডিপেন্ডেন্সি বাড়ছে। আমি আসলে সিরিজ টা আরো বেশ কিছুদিন পরে সংগ্রহ করতে চাইছিলাম। ওর সাজেশানে আগে কালেক্ট করা। তা, সিদ্ধান্ত বৃথা যায় নি।

একদম শুরু থেকেই মোটামুটি বুঝা যাচ্ছিলো ভিক্টিম আর এন্টিগোনিস্ট এর ইন্টিমেসি টা কোথায় আর কীভাবে। তারপরেও শেষ অবধি আমাকে ধরে রাখতে পারা লেখকের অনবদ্য সফলতা। ফিকশান তো অবশ্যই ফিকশান, তবুও একটা কিন্তু থেকেই যাবে বা এসেই যাবে আপনি যদি কোনো কিংবদন্তি চরিত্রকে পরিবর্তিত করে ফিকশান লেখার চেষ্টা করেন। লেখক যে সময়ে এইটা করেছেন সেইটা ব্যাপক দুঃসাহসের পরিচয় দেয়। সেইটা প্রশংসনীয়। লেখক যেইটা দেখিয়েছেন সেইটা সৎসাহস। সো আমি সেইটা জাজ করবো না। হি হ্যাস হিস রিসন'স এন্ড লজিক;স এন্ড অভিয়াসলি ইট ইস আ ফিকশান। শুধু মাত্র আপনি হুমায়ূন আহমেদ এর অন্ধ ভক্ত হইলে বইটা না পড়াই উত্তম। অবিডিয়েন্স মেক'স ইউ ব্লাইন্ড। সো আপনার লেখক কে নিচু মানসিকতার মনে হইতে পারে। যদিও আমি বিশয়টা বেশ উপভোগ করেছি। প্রত্যেক টা কিংবদন্তি চরিত্র নিয়ে এইরকম ফিকশান আলোচনা-সমালোচনা হতে পারে। সর্ব ভারত নয়, পুরো বিশ্বই যেরকম টা করেছে নেতাজী সুভাষচন্দ্রের জীবনের শেষের দিনগুলো এবং অন্তর্ধান নিয়ে। সে যাকগে। আমার কাছে সাহস দেখানোর প্রচেষ্টা ফেলনা লাগে নাই। অনুমেয় কাহিনীটাও শেষ অবধি এসেছি ডিটেইলাইজেশানের কারনে।

আমার বাড়তি পাওয়া হইলো ত্রয়োদশ সংস্করণ। মলাট,বাধাই, বাইন্ডিং থেকে শুধু করে বোথ সাইডেড সফট ক্রিম কাগজ পুরো প্রিমিয়াম হার্ডকাভার বই এর প্রতিনিধিত্ব করছে। ইভেন পেপারের কোনো সাইড ই খসখসে না। উভয় সাইড প্রচন্ড মোলায়েম! অন্যরকম আনন্দ হয় পৃষ্ঠা ওল্টাতে ওল্টাতে। সম্ভবত এদেশে থ্রিলার এর স্বর্ণযুগীয় সূচনা সিরিজ হিসেবে এই সিরিজের নতুন সংস্করণ গুলোকে ট্রিবিউট করে ১০০% প্রিমিয়াম কোয়ালিটি দেওয়া হয়েছে। বাতিঘরের এত জোস আর শক্ত পোক্ত বাধাই আমি জীবদ্দশায় আর পাইনি। শুধু তাই নয়, এত প্রিমিয়াম কাভারের বাংলা মৌলিক খুব কম ই পড়েছি আমি। একটা-একটা করে পৃষ্ঠা উল্টেছি আর আনন্দ নিয়ে হাত বুলিয়েছি আমি পুরো পাতায়। নতুন বই এর গন্ধ আর এই সুখানুভূতির নেশা বর্ণনা আমার পক্ষে সম্ভব নাহ। এখনো পড়েন নি? পড়বেন? অবশ্যই পড়ে ফেলেন। শুধুমাত্র হুমায়ূন আহমদের অন্ধ ভক্ত হিসেবে জাজ না করলেই চলবে।
Profile Image for Dystopian.
434 reviews228 followers
September 6, 2023
সিরিজের সবচেয়ে নিম্নমানের এভারেজ বই পড়ার পর বাকি বই গুলা পড়তে আশ্চর্যজনক ভাবে ভালো লাগবে।
June 13, 2023
অনেকদিন ধরে কিছুই পড়া হয়না,ছন্নছাড়া মন।বেগ-বাস্টার্ড সিরিজের প্রথম বই নেমেসিস, অনেকদিন ধরে পড়া শুরু করে আগাতে পারিনি।কাল আবার প্রথম থেকে শুরু করে,এক বসায় শেষ করেছি।থ্রিলার যাদের ভালো লাগে তাদের ভালো লাগবে।
নেমেসিস, গ্রীক মিথোলজির প্রতিশোধের দেবী।
বই যখন শেষ হয়,তখন পাঠক বুজতে পারবেন নামটি যথাযথ এই উপন্যাসের জন্য।
এইবার বই নিয়ে কিছু বলা যাক...
এক লেখক জায়েদ রেহমানের মৃত্যু দিয়ে উপন্যাসের শুরু।জেফরি বেগের হাতে এসে পড়ে কেসটি।তারপরে সাসপেন্স আর সাসপেন্স। ভালো ছিল বইটি। আমার ভালো লেগেছে।
Profile Image for Wadia Chowdhury.
12 reviews49 followers
December 2, 2016
নেমেসিস আমার পড়া প্রথম বাংলাদেশি লেখকের মৌলিক থ্রিলার।সত্যি বলতে অসাধারন একটা থ্রিলার। এখন সময় এসেছে বাংলাদেশি লেখকের বই ইংলিশ এ অনুবাদ করার।
Profile Image for Turna Dass.
145 reviews
June 4, 2025
{আমার পড়ার তালিকায় প্রথম বাংলা, দেশি থ্রিলার।ট্রিপ উপলক্ষ্যে আমার ম্যাড়ম্যাড়ে বাস জার্নিতে অনাবিল আনন্দ এনেছে এই বই।নাজিম উদ্দিনের আরও বই পড়তে চাই।
এবার একটু বিদেশী থ্রিলার পড়তে হবে মনে হচ্ছে।}

আপনি হয়তো জীবনে নিজের এই দুচোখ দিয়ে অনেক কিছু দেখেছেন,দেখছেন।কিছু দৃশ্য হয়তো আপনার চোখজুড়ানো শান্ত নির্মল অনুভূতি এনে দিয়েছে;আপনি পলক ফেলতে পারেননি।কিন্তু কিছু কিছু জিনিস বা দৃশ্যপট আপনি দেখতে পারবেন না।দেখলে চোখ জ্বালা করবে,খুব বেশি।হয়তো অনুমান করতে পারছেন—অন্যায়।আড়ালে, আবডালে, অগোচরে ধীরে ধীরে আপনার অন্তস্থলে জ্বালিয়ে দিবে এক ভয়াবহ আগুন;দাউ দাউ করে জ্বলতে জ্বলতে শুধু আপনাকেই নয়,পুড়িয়ে দেবে এ পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড!আহা!কী নিদারুণ সেই আগুন,"প্রতিশোধ" এর আগুন।

মোটেও অনুতপ্ত হবেন না। অন্তরিক্ষের সেই স্বর্গলোকে,আপনাকে অভয় দিচ্ছেন এক পরম পবিত্র দেবী,সেই "প্রতিশোধ" এর বরদায়িনী দেবী— নেমেসিস।


~~~
নেমেসিস বলতে গেলে আমার পড়া একদম প্রারম্ভিক একটা থ্রিলার বই।বাড়তি সংযোজন—মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীনের লেখনী জগতের সাথে প্রথম সাক্ষাৎ।
তাই আকাশসমান আগ্রহ নিয়ে এবছর বইমেলা থেকে আমার অন্যতম সঙ্গী হলো এই বই।তারপর আর কী?ঝটপট ডুবে গেলাম বইয়ের পাতার পর পাতায়......

প্রথমদিকে পড়তে গিয়ে এক অদ্ভুত ভয় জাগানিয়া অনুভূতি সাড়া দিচ্ছিল–একের পর এক বিচ্ছিন্ন ঘটনাসমূহের চেইন;বড্ড ধীর,বিচ্ছিন্ন লেখনী,আর শব্দমালা।এরপর সময় যতো এগোয়,যতো বাড়তে থাকে পাতার সংখ্যা,তত বেশি যেন উত্তেজনার পারদ হু হু করে বাড়তে লাগল,তনুমনে এক অসামান্য গতির সঞ্চার হলো।একনিমিষে শেষ করলাম বইটা–হায়!যেন শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ। এককথায় দারুণ অনুভূতি।
এই পুরো বইটার ফ্লো বা ধারাকে আপনি একটা রেসিং কারের সাথে তুলনা করতে পারবেন;প্রথমদিকে ইঞ্জিনের ধাক্কাধাক্কিতে একটু বিলম্ব, এরপর একবার পিকে উঠলেই দুর্দান্ত, অপ্রতিরোধ্য গতি!যেন এক যথার্থ "থ্রিলার"।
এছাড়া বইটার মধ্যে চমৎকার সিনেম্যাটিক আবহ রয়েছে,যা বইয়ে যোগ করেছে এক অনন্যতা।

আরো কিছু মতামত:-
> লেখক বোধহয় 'ৃ' এর অনুরক্ত ভক্ত,বিশেষ করে ইংরেজি শব্দের ক্ষেত্রে।তাই প্রায়শই লেখায় আমি 'থৃলার' এর মতো বেশ কিছু শব্দের প্রয়োগ খুঁজে পেয়েছি।
>এনার লিখনশৈলী অদ্ভুত সুন্দর। বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার চেইন রচনা করে তাদেরকে একসাথে জুড়ে দেন এক অর্থপূর্ণ সমাপ্তিতে,যা আমি খুব কম দেখেছি।তাছাড়া লেখনীও খুব এলোমেলো।
> তবে খুব বানান ভুল চোখে পড়েছে,একদম প্রথম থেকেই।যা বেশ বিরক্তির সৃষ্টি করেছে।
>আমি যেহেতু একজন টিনেজার,তাই এই বইয়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত এবং বর্ণিত কিছু ''এল্ডাট'' বিষয়বস্তু পড়তে গিয়ে খুব বিব্রতকর এবং অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি৷(শুনেছি যে তাঁর বেশ কিছু বইয়ে এমন কেস ঘটেছে),তবে থ্রিলারের সাথে নিবিড় যোগসূত্র থাকার কারণে আমি তেমন আপত্তি করিনি৷


প্রথম অভিজ্ঞতা হিসেবে অসাধারণ!
(ভুল করেছি একটা কিনে,আরো কিনতে হবে....)

সর্বোপরি রেটিং-৫/৫
Profile Image for Riju Ganguly.
Author 37 books1,860 followers
May 19, 2019
বাংলা ভাষার প্রথম মৌলিক থ্রিলার কী এই বইটি? না। এর আগে বাংলায় বেশ কিছু রুদ্ধশ্বাস ও গতিময় রহস্যকাহিনি লেখা হয়েছে। তবে এই বইটা আমার, এবং লক্ষ-লক্ষ পাঠকের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে সম্ভবত নিম্নলিখিত তিনটি কারণে:
১. এই কাহিনির প্লট অসম্ভব গতিময়। এক মুহূর্তের জন্যও লেখক আজাইরা প্যাচাল বা অনাবশ্যক সেন্টিমেন্টের সুড়সুড়ি দেননি। ফলে কাহিনি শুরু করলে শেষ করার আগে থামা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
২. এমন বেশ কিছু প্রসঙ্গ ও যৌনতার নিরাবরণ উল্লেখ এই কাহিনিতে এসেছে, যা আমরা বাংলা উপন্যাসে একেবারেই দেখতে অভ্যস্ত নই। বাংলায়, বিশেষত এপার বাংলায় তো প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকের জন্য লেখা রহস্য উপন্যাসে বিছানায় ছানা কাটাকেই সার্থকতা মনে করা হয়। এই উপন্যাস বরং সেই বাহ্যিক জিনিসগুলো বর্জন করে তার ফলে ভেতরে তৈরি হওয়া ক্ষতগুলোর দিকে স্পষ্টভাবে অঙ্গুলিনির্দেশ করেছে। তাও করা হয়েছে কোনোরকম অনাবশ্যক আবেগ ছাড়া।
৩. আইনের দৃষ্টিতে ভিন্ন মেরুতে দাঁড়িয়ে থাকা য়িন ও য়াং দুই চরিত্র বেগ ও বাস্টার্ডের যে দ্বৈরথ এই কাহিনিতে শুরু হল, তার শেষ দেখার জন্য যে পাঠক একেবারে 'হুকড' হয়ে থাকবেন, এ-কথা বলাই বাহুল্য।
আগে না পড়ে থাকলে অতি-অতি অবশ্যই পড়ুন।
Profile Image for Avishek Bhattacharjee.
370 reviews79 followers
June 10, 2020
নেমেসিস। অর্থ অন্যায়ের বিরুদ্ধে নেয়া প্রতিশোধ। বেশ ভাল বই। স্বীকার না করে পারা যাচ্ছে নাহ। বাংলাদেশে এরকম সুন্দর মৌলিক সাসপেন্স বই এর আগে আমি পড়ি নাই। লেখক খুব আস্তে আস্তে করে কাহিনী গঠন করেছেন এবং চুড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে গেছেন। বইটা কোন যায়গায় ঝুলে যায় নাই। সাবলীলভাবে গল্প এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। খুনের যে প্রক্রিয়া দেখিয়েছেন সেটা এককথায় সুপার্ব। যদিও খুন হওয়া লেখকের সাথে বাংলাদেশের কিংবদন্তি একজন লেখকের জীবনের পুরা মিল পাওয়াটা একটু অস্বস্তিকর। আর অনেক পুলিসী ইনভেস্টিগেশন প্রক্রিয়ায় বিদেশী অনুকরন না করে খাস বাংলাদেশের পুলিসটাইপ দিলে মজা পাইতাম অনেক বেশী। জেফরি বেগ আর বাস্টার্ড ক্যারেক্টার ভাল হয়েছে। তবে বেশী ভাল লেগেছে অমূল্যবাবু এবং সিদ্দিক সাহেবকে। বোথ আর কুল কাস্টমার।
আমি এর আগে কন্ট্রাক্ট বইটা পড়ে ফেলেছিলাম। তখন জানতাম না যে এটা একটা সিরিজ। এবার পড়ে বুঝলাম আশা রাখি বাকি বইগুলাও পড়ে ভাল লাগবে।
Profile Image for NaYeeM.
229 reviews65 followers
October 30, 2019
১. বাংলাদেশে যে এমন top class thriller হয় জানা ছিল না!! বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অসাধারণ এক গল্প সাজিয়েছেন লেখক, যেখানে বাংলাদেশের অনেক কিছুই সামনে আসছে... আমার কিন্তু খুব ভাল লাগছে এই বইটা... investigation বেশ ভাল লেগেছে...

২. এত অসাধারণ বইয়ের সাথে বাতিঘরের বানান ভুল তো আছেই :3

৩. by the way, নাজিম সাহেবের সাথে হুমায়ূন আহমেদের কোন সংঘর্ষ ছিল কিনা জানতে ইচ্ছে করছে খুব 😐😐
Profile Image for Mazharul Islam Fahim.
98 reviews7 followers
February 27, 2021
জমাট কাহিনি, প্রথম থেকেই একটা রোমাঞ্চকর অনুভূতির আভাস পাচ্ছিলাম। উপভোগ্য একটা গল্প বলা যায় একে। লেখক ধীরে ধীরে রহস্যের জাল বুনেছেন। এরপর একদম শেষের দিকে এসে সব উন্মোচন করেছেন এবং এ কাজে লেখক কোনো তাড়াহুড়ো করেননি। তবে গল্পের কিছু প্রেক্ষাপট তেমন ভালো লাগেনি। এমনিতে লেখকের গল্প বলার ধরনটা ভালো লেগেছে। চরিত্রদের নিয়ে বেশ কাজ করেছেন, কিন্তু এদের মাঝে বাস্টার্ডকে বেশি ভালো লেগেছে। এর মূল কারণ নিশ্চিতভাবে লেখক নিজেই। একজন এন্টাগনিস্টকে একটা গল্পে প্রথাগতভাবে যেভাবে দেখানো হয়, লেখক সম্পূর্ণ অন্যপথ অনুসরণ করেছেন। বাস্টার্ডকে পুরো ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন তিনি। বইয়ের নাম রাখা হয়েছে 'নেমেসিস'। নাম রাখার সার্থকতা বা যথার্থতা বইটা ভালোভাবে পড়লেই পাঠকেরা বুঝতে পারবেন।সব মিলিয়ে বলা যায়, 'নেমেসিস' বইটি মোটামুটিভাবে ভালোই লেগেছে।
Profile Image for Zahidul.
450 reviews93 followers
July 12, 2022
নেক্সট পড়ার আগে ভাবলাম "বেগ-বাস্টার্ড" সিরিজের একটা ম্যারাথন দিয়ে নেই। সে কারণেই "নেমেসিস" আবার পড়া।
Profile Image for Saima  Taher  Shovon.
521 reviews190 followers
December 22, 2020
২০১৬ পড়েছিলাম-আবার ঝালাই করে নিতে পড়া-এখনো সেই টান টান উত্তেজনা আছে-মনে হচ্ছে যেন নতুন কপ্রে পড়ছি। জেফরি বেগ, বাস্টার্ড দুজনেই অন্যরকম চরিত্র। আমাদের আইনব্যবস্থাকে বরাবরই করাপ্টেড দেখেছি। সেখানে যদি জেফরি বেগের মতো চরিত্রকে কল্পনা করে বসানো যায়,তবে অনেকটাই আশার আলো দেখা যায়।
অনেকটা মাসুদ রানা পড়ার মতো অনুভূতি।
Profile Image for Farzana Raisa.
530 reviews237 followers
May 23, 2020
প্রিয় লেখকের লেখা অন্যতম প্রিয় সিরিজ৷
Profile Image for Sarina.
424 reviews121 followers
July 19, 2016
Update: 19.7.2016 Night
খুনী কে সেটা জেফরি বেগ বলার বেশ আগেই বোঝাটা মুশকিল হয়নি গল্পের মাঝে মাঝে নানা ধরনের ক্লু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকার কারণে, আর মজাও লেগেছে৷ শেষের ৪৪-৪৬ পৃষ্ঠা ছিল টানটান উত্তেজনায় পূর্ণ, যা আরো আগে শুরু হলে ভাল হত৷ বাস্টার্ড চরিত্রটি ছিল গল্পের মূল আকর্ষণ, আর জেফরি বেগের সাথে তার interaction দারুণ উপভোগ্য ছিল৷ এছাড়া জামান, দিলান মামুদ, সিদ্দিকী সাহেব ও অমূল্য বাবুর চরিত্রও খুব ভালো লেগেছে৷ বানান ভুলগুলো খুব চোখে লেগেছে; এডিটিং আরো ভাল করা দরকার৷

19.7.2016 Afternoon
প্রচণ্ড বোরিং লাগছে৷ ২৭২ পৃষ্ঠার মধ্যে ১৮১ নম্বর পৃষ্ঠায় চলে এসেছি অথচ কাহিনী এখনও কচ্ছপের গতিতে আগাচ্ছে৷ কীভাবে জেফরি বেগ তদন্তে কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে আর লেখকের স্ত্রী ও শফিক আলম খুনটা করেনি বলে সন্দেহ করছে কিন্তু কোন সুরাহা করতে পারছে না - সেটা বারবার করে এত বার বলা হয়েছে যে বিরক্তি ধরে গিয়েছে৷ আর লেখক জায়েদ রেহমানের ব্যাপারটা যেভাবে সত্য ঘটনা থেকে নেয়া হয়েছে তা খুবই দৃষ্টিকটু লেগেছে৷

ভালর মধ্যে একমাত্র ভাল লেগেছে ঐ পেশাদার খুনী যেভাবে সাংবাদিক পাভেল আহমেদকে খুন করে অথচ স্বাভাবিক মৃত্যুর ছাড়া আর কোন আলামত দেখা যায় না - এই জায়গাটা৷ অার লেখার ভঙ্গিটা বেশ গোছানো আর লেখক যেভাবে একটা একটা করে আমাদের জন্য ক্লু (সূত্র) ছেঁড়ে যাচ্ছেন - সেটা মজার লাগছে৷
Profile Image for Shahidul Nahid.
Author 5 books141 followers
September 20, 2016
জনপ্রিয় লেখক জায়েদ সাহেব এক রাতে হঠাত মারা যান। সেই রাতে ঘটে যায় তার বাসার আশেপাশে কিছু ঘটনা। পরদিন সকালেই অফিসার জেফরি বেগ সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে.. আপাতদৃষ্টিতে রহস্যের সমাধান এখানেই হয়ে যায়। কিন্তু কিছু ব্যাপার খটকা লাগায় জেফরি বেগকে। তখনি, আস্তে আস্তে, কেঁচো খুড়তে ডাইনাসোর বের হয়ে আসতে থাকে। কে তাহলে খুনি? কেনো লেখক খুন হন? কে এই খুনের মদদদাতা? জানতে হলে পড়তে হবে!
প্রচণ্ড থ্রিলিং মৌলিক উপন্যাস..টানটান উত্তেজনাপূর্ণ! না শেষ করে বইটা রাখা যাবে না!
Profile Image for Sagor Reza.
157 reviews
May 1, 2023
গ্রিক মিথোলজিতে প্রতিশোধের দেবী নেমেসিস। নেমেসিস শব্দটির বাংলা করলে হয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ। বই শেষ করার পর নামটিকে সত্যিই সার্থক মনে হয়েছে। লেখকের লেখার ধরন বেশ ভালো, গল্প একটুকুও ঝুলে যায় নি। ছোট ছোট অধ্যায় দিয়ে বইটাকে ভাগ করা হয়েছে। অধ্যায়ের শেষের টুইস্টগুলো অসাধারণ। এগুলোর জন্য বইটা পড়ার মধ্যে বিরিতি নেওয়া খুব কঠিন। একেকটা অধ্যার শেষ করার পর মনে হয়, ‘এইতো, আর একটা…’ । প্রায় ২৭০ পৃষ্ঠার বইটা পড়তে একটুকুও বেগ পেতে হয় নি। আর একটা অধ্যায় শেষ করতে করতে কখন যে বইটা শেষ হয়ে গেল, বুঝতেই পারিনি। খুনের যে বর্ননা দেওয়া হয়েছে সেটা এককথায় অসাধারণ।
.
গল্পের প্রোটাগনিস্ট জেফরি বেগ কে একটু দুর্বল মনে হয়েছে, এটা হয়ত লেখকের পরিকল্পনা মাফিকই হয়েছে। বেশ কিছু ক্লু সে মিস করে গেছে। প্রথমেই ইমেইলের বইটা পড়লেই ইনভেস্টিগেশন অনেক দূর এগিয়ে যেত। এবং সেটা করাই স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু জেফরি বেগ তা করেন নি। তাছাড়া লেখকের মখের ওপর বালিশ দেখেও তারা যে সিধান্তহীনতায় ভুগেছে, সেটা খানিকটা আহাম্মকিই মনে হয়েছে। তবে আমার মনে হয়েছে লেখক এন্টাগনিস্ট বাস্টার্ড চরিত্রটিকে খুব শক্তিশালী ভাবে সৃষ্টি করতে চেয়েছেন, এবং করেছেন ও তাই। যদিও তার উপস্থিতি গল্পে সামান্যই, কিন্তু তার ব্যাক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা, ক্ষিপ্রতা, হিউমার অনেক উচু লেভেলের। তার সাথে তুলনা করলে জেফরি বেগকে ব্যার্থই মনে হয়। নামগুলো দেখে আবার এটাকে কোন বিদেশী প্রেক্ষাপটের থ্রিলার মনে করবেন না। এটি সম্পূর্ন দেশীয় প্রেক্ষাপটে রচিত। আর একটা কথা বাস্টার্ডের মতো এত দুরন্ধর একজন কীভাবে খুন করার পর লেখকের মুখের ওপর বালিশ রেখে দিয়ে যায়, এটা ভেবে অবাক হয়েছি।
.
মূল গল্পের পাশাপাশি সম্পর্কযুক্ত আরোও কিছু গল্প ছিল সেগুলো পড়তে বেশ মজা লেগেছে। গল্পের কিছুই বলতে চাচ্ছি না, পড়লেই বুঝতে পারবেন, তবে গল্পের পারিপার্শ্বিক কিছু চরিত্র বেশ ভালো লেগেছে। সি ই সিদ্দীকি কে বেশ ভালো লেগেছে আমার, যদিও তাকে ভালো লাগার কোন কারন আমার জানা নেই। তবে তাকে বেশ শক্তিশালী একটা চরিত্র বলেই মনে হয়েছে। তাছাড়া অমূল্য বাবু, পাভেল, প্রকাশক (নাম ভুলে গিয়েছি !) চরিত্র গুলোকেও লেখক বেশ ভালো ভাবে গঠন করেছেন।
.
এবার একটা খারাপ লাগা দিক নিয়ে বলি। গল্পের লেখক এর সাথে বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় লেখক, তর্কসাপেক্ষে সমসাময়িক সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকের অসম্ভব রকমের মিল, যেটা কোন ভাবেই কো-ইন্সিডেন্স না। এটা পরিকল্পিত ভাবেই করা হয়েছে। আমি ওই লেখকের সাথে গল্পের লেখকের মোট নয়টা মিল পেয়েছি, বলার প্রয়োজন নেই, দুই এক পাতা পড়লেই বুঝতে পারবেন। কোন সত্যিকারের ক্যারেক্টারের সাথে ফিকশনাল কোন ক্যারেক্টারের মিল পাওয়া নেগেটিভ কিছু না, কিন্তু নেমেসিসে লেখক কে যেভাবে দেখিয়েছেন এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী কে যেভাবে দেখিয়েছেন, সেটা সত্যিই বিব্রতকর।নাজিম উদ্দীন কেন এটা করেছেন জানা নেই, তবে আমি জিনিসটা ভালোভাবে হজম করতে পারিনি। এমন না যে কেউ জনপ্রিয় হলেই তিনি খারাপ হতে পারবেন না বিষয়টা এমন না, তবে জিনিসটাকে এভাবে প্রেজেন্ট করাকে ঠিক বলে মনে হয়নি। আর আমি সবচেয়ে অবাক হয়েছি একটা জিনিস দেখে যে, এই বইটা লেখা হয়েছে ওই ‘লেখক’এর মৃত্যুর আগে।
.
বইয়ে কিছু বানান ভুল ছিল, তবে আমার পড়তে সমস্যা হয় নি। প্রচ্ছটা খুব এট্রাক্টিভ এবং মানানসই। ভিতরের অধ্যায় শুরুর ইলাস্ট্রেশনগুলো অনেক সুন্দর এবং প্রাসঙ্গিক।

ওভারঅল, বেশ ভালো লেগেছে বইটা। সিরিজটা শুরু করেছিলাম অনেক এক্সপেকটেশন নিয়ে। নেমেসিস হতাশ করে নি আমাকে। পরবর্তী বইগুলোও হতাশ করবে না, আশা করি।
Profile Image for Md Shariful Islam.
258 reviews84 followers
September 20, 2021
পড়লাম বহুল আলোচিত বেগ-বাস্টার্ড সিরিজের প্রথম বই ‘ নেমেসিস'। নেমেসিস শব্দটার অর্থ অন্যায়ের প্রতিশোধ নেওয়া। তো কে কি অন্যায় করেছিল আর ফলে কে কি প্রতিশোধ নিল আর সেটা কিভাবে নিল তা নিয়েই বইয়ের কাহিনী।

এককথায় বললে, মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে বইটা পড়ে। খারাপ লাগা দিকগুলো আগে বলি।

১. প্রোটাগনিস্ট জেফরি বেগ চরিত্রটা আপ-টু-দ্য-মার্ক মনে হয় নি। প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রিয়পাত্র, অন্যান্য সহকর্মীদের ঈর্ষার পাত্র, এফবিআই থেকে ট্রেনিং নেওয়া একজন অফিসারের যে রকম চৌকস হওয়ার কথা সেটা বেগের চরিত্রে পাইনি। মুখে বালিশ থাকার পরও স্বাভাবিক মৃত্যুকে একটা সম্ভাবনা ধরা বা মেইলের খোঁজ জেনেও তা পড়ে না দেখা খুবই অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হয়েছে।
২. আরেকটা অসামঞ্জস্যপূর্ণ চরিত্র হোমিসাইড বিভাগের প্রধান ফারুক আহমেদ। একটা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান চরিত্র এত সাদামাটা হবে তা কল্পনা করা যায় না। বেগ যেখানেই একটু সন্দেহপ্রবন হচ্ছিল এই ব্যাটা সেখানেই আমজনতার মতো পাশ কাটিয়ে দ্রুত তদন্ত শেষ করতে চাচ্ছিল।
৩. সিরিজে দুইটা প্রধান চরিত্র থাকার কথা থাকলেও বাস্টার্ড চরিত্রটা সেভাবে পেলামই না।
৪. বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো বেশিরভাগই কাকতালীয়। বেনামী কল থেকে ( তার পরিচয়ও জানার চেষ্টা নাই), নাটকের শুটিংয়ের ভিডিও থেকে বা ভিক্ষুকের কাছ থেকে সূত্র পাওয়া গিয়েছে প্রতিবার। বেগের এগুলোতে বলতে গেলে কোনো ভূমিকাই নেই।
৫. জনপ্রিয় লেখক চরিত্রের সাথে বিখ্যাত এক লেখকের সাদৃশ্য। আমার মনে হয়েছে নাজিম সাহেবের বিষয়টা ক্লিয়ার করা উচিত। ( আগে করেছেন কিনা জানা নাই)
৬. রেবা চরিত্রটা সামনে এনে লেখক বেগকে রক্ত-মাংসের মানুষ হিসেবে দেখাতে চেয়েছেন বুঝলাম কিন্তু ক্লাইম্যাক্সের সময় ঘটনাস্থলে এসে পড়া বা শেষের ‘ সুখে শান্তিতে বাস করিতে লাগিল' ব্যাপারটা বেশি নাটকীয় হয়ে গিয়েছে।
৭. প্লট নিয়ে কিছু বলি। ধানমন্ডির বিল্ডিংগুলোতে কি সিসিটিভি থাকে না? ভিটা নুভায় যে নেই, তাই জিজ্ঞাসা করলাম আরকি! জনপ্রিয় লেখকের বইটার দ্বিতীয় কপি কিভাবে লেখা হলো তা ঠিক পরিস্কার হয়নি।

তো এত সবকিছু খারাপ লাগার পরও তাহলে বইটা পড়লাম কেন?! কারণ :

১. বইটা নিঃসন্দেহে গতিশীল। শুরুতেই খুনের ঘটনার পর কে আর কেন খুন করল এই প্রশ্নটাই বইটা পড়তে বাধ্য করেছে, সাথে প্রতিটা পরিচ্ছদ শেষে ক্লিফ হ্যাঙ্গার তো ছিলই। লেখকের লেখনশৈলী দারুণ। একদম ঝরঝরে লেখা।
২. বাস্টার্ড চরিত্রটার জন্য অপেক্ষা। ৫০,১০০,১৫০,২০০ পৃষ্ঠা যাচ্ছিল তবুও যখন চরিত্রটার দেখা পাচ্ছিলাম তখন জেদ যেন আরও বেড়ে যাচ্ছিল যে ওকে না দেখে বইটা ফেলে রাখব না! আর যখন ওর দেখা পেলাম তখন ওকে বেশ ভালোই লাগল। ( অন্তত বেগের চেয়ে।)
৩. সিরিজটা নিয়ে হাইপও একটা কারণ। এই সিরিজটা কিভাবে নতুন যুগ এনেছে, থ্রিলার লিখতে অন্যদের আগ্রহী করেছে – এমন পোস্ট তো কম দেখিনি! আমার থ্রিলার খুবই কম পড়া হয়, তাই দাবিটার সত্যাসত্য বিচার করতে পারব না। তবে এটা সত্য যে এই বইটা আমার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।

শেষ করি এটা বলে যে সিরিজের প্রথম বইটা আশানুরূপ না হলেও এখনই হাল ছাড়ছি না, অন্তত আরেকটা বই পড়া তো যেতেই পারে, নাকি?!
Profile Image for Pritha.
96 reviews20 followers
October 15, 2019
রোমাঞ্চে ভরপুর টানটান উত্তেজনাময় একটি গল্প। লেখকের 'রবীন্দ্রনাথ সিরিজ'-এর প্রথম বই এ অপ্রয়োজনীয় তথ্যের দীর্ঘসূত্রীতায় কাহিনী বড় করার যে প্রবণতা দেখা যায় সেটার উপস্থিতি বইটিতে খুবই কম ছিল। তাই মনোযোগ ধরে রাখতে পেরেছি শেষ পর্যন্ত।
নেমেসিস একটি বড়দের উপন্যাস। উপমহাদেশের লেখকরা রহস্য গল্পগুলোকে যেভাবে শিশু-কিশোরদের গল্প হিসেবে ভাগ করে ফেলেছিলেন, সেখানে নাজিম উদ্দিন সফলভাবে সে জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন।
নাম দেখে যদিও মনে হয়েছিল এটি কোনো বিদেশী গল্পের অনুবাদ, তবে মৌলিক রচনা হিসেবে তার এই সৃষ্টি কোনভাবেই বিদেশী লেখকদের গল্পের চেয়ে কম রোমাঞ্চকর না।
Profile Image for Tasnimul H Prottoy.
54 reviews10 followers
March 16, 2021
৩.৫/৫
খ্যাতনামা এক লেখকের হঠাৎ মৃত্যু!
স্বাভাবিক নাকি খটকা আছে? দ্রুতই কবজা হলো সম্ভাব্য খুনি!!
"কিন্তু পিকচার তো আভি বাকি হ্যায়" -
মাথা খাটানো শুরু করলেন ইনভেস্টিগেটর মি. বেগ!

শুরুর দিকে তেমন কিছু বোঝা না গেলেও ধীরে ধীরে এগোতে থাকে কাহিনী, নানা দিক থেকে নানা চরিত্রের আগমন...চরিত্রায়ন গুলো বেশ ভালো।

অতঃপর শেষে এসে আবার মিলে যেতে লাগলো ঘটনাগুলো, প্রতিশোধের উন্মত্ত বহিঃপ্রকাশ ছাপিয়ে গেল শৃঙ্খলাকে...

উপভোগ্য একটা বই, তবে মনে হয় কন্ট্রাক্ট আগে থেকে পড়ে ফেলায় শুরুর দিকে খুব একটা থ্রিলিং লাগেনি! শেষদিকে বেশ ভাল লেগেছে :)

নামকরণ নিঃসন্দেহে সার্থক!
কন্ট্রাক্টে বাস্টার্ডনামা বেশি হলেও নেমেসিস কিন্তু বেগ'স স্পেশাল!

আর হ্যাঁ, শ্লীলতার ঘাটতি আছে -ইহা মাথায় রেখে পড়াই শ্রেয় :p ভাল হবে যদি নেমেসিস পড়ে কন্ট্রাক্টে যান!
Profile Image for সারস্বত .
237 reviews135 followers
July 25, 2016
নেমেসিস, লেখক নাজিম উদ্দীনের রচিত জেফরি বাস্টার্ড সিরিজের প্রথম বই। বইটা আমাকে শেষ না হওয়া পর্যন্ত উঠতে দেয়নি।


বইটির প্রধান চরিত্র জেফরি বেগ সম্পর্কে যে ব্যাপারটি সবথেকে ভাল লেগেছে সেটি হলো লেখক নায়ককে অতিমানব করার চেষ্টা করেন নি। বরং দেখিয়েছেন শক্তিশালী নায়ক চরিত্রেরও বড় ভুল হতে পারে, ব্যক্তিগত হতাশায় ভুগতে পারে, নিজের অনেক ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও অন্যের কাছে হেরে যেতে পারে। কিন্তু লেখক অপর কেন্দ্রীয় চরিত্র এই কাহিনীর খলচরিত্র বাস্টার্ডকে কিছুটা হলেও ধোঁয়াশা আর সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা করে উপস্থাপন করেছেন। আশা করি পরের বইগুলোতে এই ধোঁয়াশা কেটে যাবে ।

অপর একটি মজার বিষয় হলো এই বইটি শেষ করার পাঠকের অদ্ভুত একটি অনুভূতি হবে। যে দুইজনকে হত্যা করা হয়েছে তাদের বাদে যারা হত্যা করেছে এমনি বাস্টার্ড, তাদেরকে দোষী ভাবার স্থান গুলো লেখক এক এক করে বন্ধ করে দিয়েছেন ।

মোদ্দাকথা পাঠক বইটি পড়ে এই সিরিজের অন্য বইগুলো পড়ার জন্য উদগ্রীব হতে বাধ্য :)
Profile Image for Sehemi Akhi.
65 reviews2 followers
January 29, 2023
প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে পড়তে বসেছিলাম। বেগ-বাস্টার্ড সিরিজের এত জয় জয়কার! তার অন্য লেখার গুণগান শুনেছি অনেক। আর আমি এও জানি যে তিনি ভাল লিখেন। এই গল্পটাও ভাল লিখেছেন। কিন্তু যে চরিত্রগুলোকে উনি তুলে ধরেছেন তা আমার মোটেও পছন্দ হয়নি। লেখক বাস্তবের এক লেখকের চরিত্রকে বেশ উল্টিয়ে পাল্টিয়ে গল্প লিখে এগিয়ে গেছেন। এইটা জানিনা কোন ধরনের কার্যক্রম! এইরকমভাবে চরিত্র সাজানোর পরেও বইটা প্রকাশ হলো ভেবেই অবাক লাগছে। এই যে দুই স্টার দিয়েছি, তা শুধুমাত্র লেখার জন্য। গল্পটা পড়তে পড়তে গল্পের চরিত্রগুলো নিয়ে এত সংকোচে ভুগছিলাম যে বলা বাহুল্য! আমি চরিত্রগুলো নিয়ে প্রচন্ড আশাহত হয়েছি।
Profile Image for Shakirul Khan.
53 reviews9 followers
December 13, 2021
বই টা একবার হাতে নিলে নামানোর কথা মনে থাকে না আর! মারাত্মক রকমের অ্যাডিক্টিভ একটা গল্প! বোর হওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই!
তবে ভিকটিম জায়েদ রেহমান এর গল্প টা যে আমার ফেভারিট একজন রাইটার এর জীবনী থেকে ইন্সপায়ার্ড সেটা ভালই বুঝতে পারছিলাম! এজন্য একটু একটু রাগ ও লেগেছে!
Profile Image for Tithi.
28 reviews1 follower
March 31, 2021
বইটা পড়লে যে কেও বুঝতে পারবে লেখক কোন ছায়ার আদলে বইয়ের গল্পটা সাজাতে চেয়েছেন । থ্রিলারের যা যা থাকার কথা এক কথায় সবই আছে তারপরও এত চেনা গল্প দেখে কেন জানি মুগ্ধ হতে পারলাম না । তারপর ও বলবো ভালো গেলেছে ।
Profile Image for Sayeed.
2 reviews1 follower
March 17, 2013
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন দীর্ঘদিন তার অনুবাদ গ্রন্থের জন্য বিখ্যাত হলেও এইবার তিনি পাঠকদের দেন সত্যিকারের চমক, একটি সম্পূর্ণ মৌলিক থ্রীলার। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এই থ্রীলার বাংলাদেশি পাঠকদের জন্য একটি উপহার, সুপরিচিত ঢাকা, ধানমন্ডির বুকে ঘটে যাওয়া এক প্রতিশোধের কাহিনী।
বইটির ভাষাশৈলী অত্যন্ত চমৎকার। ঘটনার বিবরণ নাতিদীর্ঘ, কিন্তু চোখের সামনে জীবন্ত করে তোলার জন্য যথেষ্ট এবং পাঠকের জন্য যেটা গুরুত্বপুর্ণ - কক্ষনই বিরক্তির উদ্রেক করে না। ঘটনা প্রবাহও খুব দ্রুত, বিশেষ করে সমান্তরালে ঘটে যাওয়া ঘটনার মধ্যে Switching প্রশংশনীয়। লেখকের এই বইতে একই সাথে পাওয়া যায় বর্তমান ও হবু ঢাকার স্বাদ, উচ্চবিত্ত ও মদ্ধবিত্তের জীবনের আলোকপাত। সব মিলিয়ে সাবলীলভাবে এগিয়ে গিয়েছে বইটির ঘটনা প্রবাহ, জীবনের সাথে সামনঞ্জস্যপূর্ণ একটি থ্রীলার।

বইটির কিছু কিছু চরিত্রের সাথে বাস্তবের কিছু চরিত্রের মিল পাওয়া গেলেও তা কাকতলীয় ধরে নেওয়া যায় বইটির প্রথম প্রকাশ কালের কারনে। চরিত্রগুলও অনেক আকর্ষণীয়, জেফরী বেগ ও বাস্টার্ড দুজনের সম্পর্কেই খুব ভাল ধারনা পাওয়া যায় অল্প বিবরণেই। বাস্টার্ড এর উপস্থিতি খুব কম হলেও বইয়ের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র এটি, তবে সল্প বর্ণনায়, ভিলেন বাস্টার্ডকেই অধিক শক্তিশালী দেখান হয়েছে, যদিও বেগ এফবিআই ট্রেনিং প্রাপ্ত। দুইজনের সাক্ষাত এখানেই শেষ নয় ধরে নেওয়া যায়।

বইটির ধাঁচ থ্রিলার বলা হলেও, আমি এটিকে ডিটেকটিভ উপন্যাসই বলব।
ঘটনা এমন জীবন্ত যে মুভি বানালে নেহাত মন্��� হয় না।

বিশেষ করে বলতে হয় প্রচ্ছদের কথা, থ্রিলার উপন্যাসের জন্য পারফেক্ট একটি প্রচ্ছদ একেছেন সিরাজুল ইসলাম নিউটন, অনেক মননশীল ও লাইভলি একটি প্রচ্ছদ, অনেক আন্ত্রজাতিক থ্রীলারেরও এত সুন্দর প্রচ্ছদ দেখা যায় না।

সর্বপরি আমাদের ভাষায়ও যে ওয়ার্ল্ড ক্লাস থ্রিলার লিখা সম্ভব তা দেখিয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, তিনি প্রশংশার দাবিদার। হয়ত অদুর ভবিষ্যতেই ফেলুদা, বোমক্যাশের পাশাপাশি উচ্চারিত হবে বেগের নাম (আশা করতে তো দোষ নেই)।
Profile Image for Neela.
83 reviews59 followers
May 20, 2017
গত রাতে পড়ে শেষ করলাম। ভালো লেগেছে বেশ। পড়ার আগে ভেবেছিলাম কোন ইংরেজী বই এর অনুবাদ, পরে বুঝলাম এটা একটা মৌলিক লেখা। বাংলায় লেখা এরকম মৌলিক থ্রিলার খুব কম, নাই বললেই চলে। পাঠককে টেনে রাখার মত একটা বই, টানটান উত্তেজনা ছিলো প্রতি পৃষ্ঠায়। থ্রিলার উপন্যাসে এটা খুব জরুরী, সেই হিসেবে লেখক সফল হয়েছেন। শুধু একটা ব্যাপার খুব বাজে লেগেছে। বইয়ের অন্যতম প্রধান চরিত্র লেখক জায়েদ রহমানের সাথে বাংলাদেশের খুব নামকরা একজন লেখকের ব্যাক্তিগত জীবনের অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এমনকি লেখকের প্রথম স্ত্রীর নামও কিছুটা মিলে যায়। কারো ব্যক্তিগত জীবনের কাহিনী কে পুঁজি করে এরকম বই লেখা লেখকের এথিকস এর সাথে যায় না। আর এরকম করে লিখতেই হবে কেন? জায়েদ রহমান কে একজন নামকরা ব্যবসায়ী বা অভিনেতা হিসেবে ও দেখানো যেত। তা না করে লেখক ইচ্ছাকৃতভাবে হুমায়ুন আহমেদের মত একজন বিখ্যাত লেখকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টানা হেচড়া করেছেন বলে এর বেশী স্টার দিতে পারলাম না।
Displaying 1 - 30 of 266 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.