পাঁচ লক্ষ টাকা দামের একটি টেলিফোন কল! কোটি টাকার ষড়যন্ত্র। পেশাদার খুনি বাস্টার্ডকে ফিরে আসতে হলো দেশে; একটি লাইফটাইম কন্ট্রাক্ট । আত্মবিশ্বাসী বাস্টার্ড তার মিশনে নেমে পড়তেই সব কিছু জট পাকাতে শুরু করে। বিশাল এক ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে যায় সে। এ দিকে দৃশ্যপটে আর্বিভূত হয় হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ। তাদের দু’জনের লক্ষ্য একেবারেই ভিন্ন। ষড়যন্ত্র আর পাল্টা ষড়যন্ত্র-রাজনীতি আর অন্ধকার জগতের উপাখ্যান।
MOHAMMAD NAZIM UDDIN (Bengali: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন) is a writer and Translator of more than 26 novels..His original works are NEMESIS, CONTRACT, NEXUS, CONFESSION,JAAL, 1952: nichok kono number noy, KARACHI, RABINDRANATH EKHANE KOKHONO KHETE ASENNI and KEU KEU KATHA RAKHE. These six Thriller novels are highly acclaimed by the readers.
বাস্টার্ড চরিত্রের পাশে জেফরি বেগ চরিত্রটি বড্ড ম্লান। সত্যি বলতে কি বাস্টার্ড একাই পুরো গল্প টেনে নিয়ে গেছে। চমৎকার একজন প্রোটাগনিস্ট চরিত্র যে কিনা শীর্ষ স্থানীয় ভাড়াটে খুনী হলেও অসাধারণ মানবিক গুণসম্পন্ন।
পুরো গল্প জুড়ে টানটান উত্তেজনা ছিল। বইটা পড়ে তৃপ্তি পেয়েছি।
P.S.- কিছু বানান ভুল দৃষ্টিকটু লেগেছে। রেটিং- ৪.৫/৫।
মা কসম! থ্রিলার হো তো অ্যায়সা। লেখক যে জিনিয়াস, তা আমরা সবাই জানি। মাঝেমধ্যে শুধু মনে হয়, এইরকম পলিটিক্যাল কাম অ্যাকশন থ্রিলার কি এপারে কেউ কোনোদিন লিখতে পারবে? দরকার নেই৷ গঙ্গা-পদ্মা সব ছাপিয়ে একজন বাস্টার্ডই কাফি। দরকার পড়লে সে যে করাচিতেও খেল দেখাতে পারে, তা তো আমরা জেনেই গেছি। এখনও না পড়ে থাকলে শিগগির পড়ুন। রাইট নাও!
'বাংলা ভাষায় বিশ্বমানের মৌলিক থ্রিলার' লেখা সম্ভব (যদিও এরা কেন বানানটা থৃলার লেখে মাবুদ জানে) এই বিজ্ঞাপন দেখে এবং নতুন প্রজন্মের পাঠকদের বিপুল পরিমাণ প্রশংসাবচন শুনে লেখকের দুইখান বই পড়েছিলাম, রবীন্দ্রনাথ এখানে ইত্যাদি ইত্যাদি এবং নেমেসিস। এরপর থেকে এনার ভক্তদের সকল রিভিউ আমি এড়িয়ে চলি; ২-৪টা 'বিশ্বমানের থ্রিলার ('থৃলার' না) পড়া আছে বলেই নিজের মতের উপরই বেশি ভরসা রাখি। কিন্তু আমি যেহেতু ন্যাড়া, কাজেই আরো একবার বেলতলায় গেলাম, 'কনট্রাক্ট' বইখান নিয়ে ওয়েব সিরিজ হয়েছে দেখে। আগেরগুলোর মত প্রত্যাশা ছিল না বলেই কিনা, অত খারাপ লাগেনি। ব্যাপক পরিমাণে মেলোড্রামাটিক, বিশেষত বাবলু ওরফে বাস্টার্ডের অরিজিন স্টোরি এবং হালকা হালকা ভালবাসা। আগের গল্পগুলোর চেয়ে গোঁজামিল কম, যদিও 'বিশাল ষড়যন্ত্র' তত্ত্বখানা নিতান্তই বালখিল্য মনে হয়েছে। সেইরকম ভয়ঙ্কর এক ভিলেন বলে সারা বই ধরে গান গেয়ে শেষে গিয়ে দেখা গেল ভিলেনটাও নেহাতই বেকুব গোছের। জেফরি বেগকে ইচ্ছাকৃতভাবে অকর্মার ঢেঁকি বানানো হয়েছে নাকি এমনিতেই হয়ে গেছে সেটাও বুঝলাম না। লেখার ধরণটা ফেসবুকের স্ট্যাটাসের জন্য মনে হয় ঠিক আছে, বইয়ের জন্য অ্যামেচারিশ মনে হয়েছে। সবশেষে, লেখকের এবং তাঁর প্রকাশনীর অন্যান্য লেখকদের জন্য একজন ভাল সম্পাদক (উনি নিজে হলে হবে না) এবং প্রুফ রিডার জরুরি, তাহলে সম্ভাবনাময় অনেকগুলো প্লট এবং গল্প বলা মাঠে মারা যেত না। আর 'বিশ্বমান' ধরে না দৌড়ে আগে 'দেশি মান'-টাই তাড়া করলে ভাল হয়; সাফ গেমস না জিতেই বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলার ঘোষণা দেয়া সম্ভবত একটু বাড়াবাড়ি।
আমি থ্রিলার জনারার পাঠক নই। তবু বহুল আলোচিত 'কন্ট্রাক্ট' বইটি পড়লাম। হ্যাঁ, দুর্দান্ত গতির বইটি এক বসায় শেষ করেছি।
ব্ল্যাক রঞ্জু দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন। চাঁদাবাজি ব্ল্যাক রঞ্জুর প্রধান পেশা। চাঁদা না দিলে খুন করা কিংবা অপহরণ রঞ্জুর দলের জন্য ডালভাত। এই ভয়ংকর রঞ্জু এমন এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীকে হুমকি দিল যে কিনা কিছুদিন পর সরকারি দল থেকে সংসদ নির্বাচন দাঁড়াবে। এই ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন রঞ্জুকে চাঁদা দিয়ে এসেছেন। তবে আর সহ্য করতে পারছেন না। তাই তিনি রঞ্জুর হাত থেকে রেহাই পেতে তাকে হত্যার দায়িত্ব দেন পেশাদার খুনি বাস্টার্ডকে। বড়ো অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বাস্টার্ড নেমে পড়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী ব্ল্যাক রঞ্জুকে হত্যার মিশনে।
ব্ল্যাক রঞ্জু দেশে থাকে না। এমনকি রঞ্জু দেখতে কেমন তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই কারো। ভারতে আশ্রয় নিয়ে দেশে চাঁদাবাজি করে বেড়ায় এবং তাকে সহায়তার জন্য রয়েছে শক্তিশালী একটি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক। তাই রঞ্জুর নাগাল পেতে হলে গুড়িয়ে দিতে হবে ব্ল্যাক রঞ্জুর নেটওয়ার্ক। এদিকে দেশে ফিরে এসেছে বাস্টার্ডের সবচেয়ে বড়ো প্রতিদ্বন্দ্বী জেফরি। বাস্টার্ড কী পারবে রঞ্জুকে হত্যা করতে?
সময়কে উপভোগ করতে চাইলে নিঃসন্দেহে 'কন্ট্রাক্ট' বইটি আপনার জন্য। তবে যুক্তিবোধ দিয়ে বিচার করতে গেলে ছোটোখাটো কিছু ফাঁকি নজরে পড়তে পারে। যেমন: শুটার সামাদ বাস্টার্ডকে আগেই জানিয়েছিল রঞ্জুর এক হাত নেই। অথচ বাস্টার্ড কলকাতায় গিয়ে সবকিছুর খোঁজ নিলেও একবারও জানার চেষ্টা করেনি রঞ্জুর এক হাত কাটা কিনা। এমন বেখেয়ালি মন নিয়ে পেশাদার খুনি হওয়া যায়? লেডি গিয়াসের সাথে হাতাহাতির সময় বাস্টার্ড গুলিবিদ্ধ হয়। কিন্তু লেখক লিখেছেন রঞ্জুর স্ত্রীর গুলিতে প্রথম আহত হয় বাস্টার্ড। তাহলে আগের গুলির ঘটনা কোথায় গেল? আরও কিছু গোঁজামিল পড়তে গিয়ে চোখে পড়েছে। এই খুন-খারাবির মধ্যে উমার প্রতি মহব্বত কেমন যেন মিলছিল না।
'বাতিঘর' প্রকাশনীর একটি বড়ো সমস্যা বানান-বিভ্রাট। এই বইতেও প্রচুর বানান ভুল দেখা যায়। এতে পড়ার আনন্দ ফিকে হয়ে আসে এবং খোদ লেখকের জ্ঞানগম্যি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
আগেই বলেছি, আমি থ্রিলারের পাঠক নই। তাই হয়তো অনেকের মতো বইটি নিয়ে প্রবল উচ্ছ্বাস দেখাতে পারছি না। অসাধারণ কিছু মনে হয়নি বরং গড়পড়তা ভালো একটি বই 'কন্ট্রাক্ট'
গল্পটা মোটেও কোনো ভালোবাসার গল্প নয় কিন্তু গল্পটা একটা বাস্টার্ড এর বাবলু হয়ে ওঠার গল্প।
নেমেসিস এর মত নিম্ন মানের বই দিয়ে যখন সিরিজ শুরু হয় তখন সেই সিরিজ নিয়ে সত্যিই ভয় ধরে যাওয়া টা স্বাভাবিক । তবে অস্বাভাবিক ব্যাপার টা ছিল অত বাজে স্টার্টের পর কন্ট্রাক্ট এ এত অসাধারন ভাবে লেখক সব কিছু ফুটিয়ে তুলবেন তা কল্পনার বাইরে ছিল । পুরো বই টা ধরেই লেখক তার জাদু দেখিয়েছেন বলতে বাধ্য । ক্যারেক্টার ডেভলপ থেকে শুরু করে প্লট এক্সইকিউশন সব ছিল পার্ফেক্ট। কেউ কেউ কথা রাখে , এর পর আমার কাছে লেখকের সেকেন্ড ফেভারিট হিসাবে যায়গা করে নিল কন্ট্রাক্ট ।
ভাল ছিল! বেশ ভাল ছিল! ইঁদুর-বিড়াল দৌড়ের জন্যই ভাল লেগেছে বোধয়! জদিও সিরিজের প্রথম বইটা পরার অনুভূতি আমার অতটা সুখকর নয় ত��ই এটা হাতে নিতে বেশ সময় লেগে গেল। কিন্তু টাইম পাসের জন্য মন্দ না!
সিরিজের প্রথম বই 'নেমেসিস' পড়ার পর 'কন্ট্রাক্ট' পড়ে একেবারে আক্কেলগুড়ুম হয়ে গেলাম। থ্রিলারের প্রতিটি উপাদান পরিমাণমতো দিয়ে দুর্দান্ত এক কাহিনির মধ্য দিয়ে লেখক যে চমৎকার এক অভিজ্ঞতা উপহার দিলেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই বই নিয়ে সত্যি আর বলার কিছু নাই। থ্রিলারের প্রতি আকর্ষণটা আরও গাঢ় হলো। একটি কথা না বললেই নয়। বইটিতে বাস্টার্ড বাবলু চরিত্রটিকে এমনভাবে দেখানো হয়েছে যে, এই চরিত্রের প্রতি ভালো লাগাটা একেবারেই পাকাপোক্ত হয়ে গেছে। গোটা বইটিতেই লেখনীর ভঙ্গি, প্লট,চরিত্রায়ন, ফিনিশিং দারুণ লেগেছে। গল্পের টুইস্টটাও বেশ ভালো ছিল। এক কথায়, অ্যাকশন থ্রিলারধর্মী এই বইটা প্রতিটি ক্ষেত্রে দারুণভাবে রোমাঞ্চিত করেছে :)
ছোটবেলায় তিন গোয়েন্দা পড়তাম, এখনও সামনে নতুন কোন ভলিউম পেলে একদিনে শেষ। মাসুদ রানা কেন জানি আমার কখনও ভাল্লাগেনাই। তারপর শুরু হলো ফেলুদা, বোমকেশ, কাকাবাবু। জানিনা কেন, ফেলুদা আমার কাছে শার্লক থেকেও বেশি ভাল্লাগে। জেমস বন্ড ভাল্লাগে না। কিরিটি রায় পরার ইচ্ছা আছে। এগুলোর পর বাংলা কোন থ্রিলার পড়ে এত ভালো লাগবে আগে বুঝিনাই। প্রথম টা তেমন ভালোলাগে নাই। সেটা কার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে লেখা বাংলাদেশের সবাই জানে। আর জেফরি বেগ নিয়ে আমার কোন ইন্টারেস্ট নাই। কিন্তু এইটা পড়ার পর বুঝলাম কেন এইটা নিয়ে সিরিজ বের হচ্ছে। হওয়া উচিত। আর বাস্টার্ড কে পছন্দ না করার কোন কারণ নাই।তাদের দুইজনের নামগুলো শুনে কেন জানি মনে হইছিল এইটা অনুবাদ না তো? তার এই নিয়ে দুইটা বই পড়া হলো। দিদি অন্য সিরিজটা পড়ছে, ওর অনেক ভালো লাগছে। তাই এই সিরিজের পাশাপাশি ওইটা পরার ও ইচ্ছা আছে। মাঝে তিন গোয়েন্দা বাদে বাংলা তেমন পড়া হতো না। এখন নতুন বই পড়তে হবে। নতুন লেখকদের বই পড়তে হবে।
নেমেসিস পড়ার পর ভাবলাম এত কী আছে এই সিরিজে, সবাই জেফরি বেগ কে রেখে বাস্টার্ড কেই কেন এত পছন্দ করে? পরে শুনলাম সিরিজের ২য় বই 'কন্ট্রাক্ট' নিয়ে ওয়েব সিরিজ হতে যাচ্ছে তাই ভাবলাম রিলিজ হওয়ার আগে বইটা পড়ে ফেলা দরকার। যেই বইটা নিয়ে বসলাম এক টানে পুরো গল্প শেষ করে ফেলার প্রবণতা বেড়ে গেল। এত্ত জমজমাট একটা কাহিনী ছিল, বেগ-বাস্টার্ড-রঞ্জু বাঘে মহিষে লড়াই একেবারে৷ যদিও শেষের টুইস্ট টা একটু আচঁ করতে পেরেছিলাম কিন্তু এরপর ও গল্পটি দারুন উপভোগ্য। আর বুঝলাম খুনি হওয়ার শর্তেও বাস্টার্ড কেন সবার প্রিয়। এইবার পর্দায় দেখার পালা!
দারুণ। এককথায় অসাধারণ। পুরো উপন্যাস-ই রকেটগতির। ভয়ঙ্কর খুনি, গ্রেটেস্ট অ্যান্টি হিরো বাস্টার্ড-এর একটা মিশন নিয়েই লেখা পুরো বই। একমুহূর্ত-র জন্যেও একঘেয়ে লাগেনি। বাস্টার্ড-র কারণে আড়ালে পড়ে গেছে হোমিসাইড ডিটেকটিভ জেফরি বেগ। দেখা যাক কি হয় পরের পর্বগুলোতে..
শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনা৷ কোনমতেই ওঠা যাচ্ছে না! এখন আছি ৩৪৯ এর মধ্যে ১৪৩ নং পৃষ্ঠায়৷ পড়তে দারুণ লাগছে৷ ^_^
পড়া শুরু করেছি এক্সপেক্টেশন খুব কম রেখে৷ মাঝখানে একটা কাজে ভার্সিটি যেতে হয়েছিল বলে ছটফট করছিলাম কখন আবার ধরতে পারব৷ ঐ যে, উমা মেয়েটাকে প্রথম যখন বাস্টার্ড কৌশলে আটকে ফেলে তখন৷
এখন আবার পড়তে বসে আরো মজার মজার জিনিস পাচ্ছি৷ এমনকি, জেফরি বেগকেও আর এত বোকা বোকা লাগছে না৷
আর বাস্টার্ডের কথা কীইবা বলব! স্পাই, থ্রিলার, অ্যাকশন, সারভাইভাল, ওয়ান-ম্যান-আর্মি ইত্যাদি জনরার মুভির সব চরিত্রের কথা মনে পড়ছে৷ এই ভিলেন বা অ্যান্টি-হিরোটা একেবারে দুর্দান্ত, তার ঠাণ্ডা মাথার সব কাজকর্ম আমাকে এখন “Taken” movie-র বাবাটার চরিত্রে থাকা লিয়াম নিসনের fierce রূপটার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে! :D
Update: বইটা মাত্র শেষ হল৷ চমৎকার! তবে এত নির্বিঘ্ন (relatively) সমাপ্তি আশা করিনি৷ সামনে কী কাহিনী হবে চিন্তা করছি৷
ওহ, জোশ!! পরীক্ষার মাঝপথের গ্যাপে এত দ্রুত শেষ করে ফেলতে পারব ভাবিনি! দৃষ্টিকটু বানান আর ব্যক্তিগত অপছন্দনীয় কিছু বিষয়ের অবতারণা না হলে থ্রিলারটিকে ৫ তারা দিতে দ্বিধা করতাম না :)
একের পর এক সাসপেন্স, রুদ্ধশ্বাস ঘটনা যেন আচ্ছন্ন করে রাখবে শেষ পর্যন্ত!! বিশাল এই ৩৫০ পৃষ্ঠার বইয়ের পিডিএফ শেষ করতে পেরেছি- নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য লাগছে... জমজমাট কাহিনী না হলে পিডিএফ শেষ করে উঠতে পারিনা :') সে দিক দিয়ে আমি যেন রেসে ছিলাম :p (শীঘ্রই ইনশাআল্লাহ সবগুলো হার্ডকভার কিনব)
একটা জিনিস... ব্রিজ কে বৃজ, স্ট্রিট কে স্টৃট লেখার কি মানে সেটা আমার বোধগম্য নয় -_-
আমার মনে হয় জেফরি বেগ এবং বাস্টার্ড দ্য বাবলুর সাথে শার্লক হোমস আর প্রফেসর জেমস মরিয়ার্টির সাথে একবার সাক্ষাৎ হওয়া দরকার। এরা নিশ্চিত এদের কর্মকাণ্ড নিয়ে খুবই অখুশি,ফলে দেখা হলে বেচারা বেগ-বাস্টার্ড চড় থাপ্পড় বৈ কিছু পাবে কিনা সন্দেহ!?
তো এই উপন্যাসে লেখক আমাদের বাস্টার্ড চরিত্রটির সাথে আরও ভালোভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন । তার অতীতও জানিয়ে দেন পাঠককে। সহজ কথায়, এই উপন্যাসে বাস্টার্ড চরিত্রটির উপরই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
প্রথমে উপন্যাসটির গতি আমার কাছে একটু ধীরই মনে হয়েছিল (যদিও সেই গতিটিই ভালো ছিল, যা আমি আরও পরে বুঝতে পারি) এবং যতই উপন্যাসটি মূল কাহিনীর ভিতর যেতে থাকে ততই উপন্যাসটির গতি ক্রমশই বাড়তে থাকে ও শেষমেশ উপন্যাসটি অনেকটা দ্রুততার সাথেই শেষ করেন লেখক।
তো এই উপন্যাসে জেফরি বেগকে 'নেমেসিস'- উপন্যাসের মতো ঘাঘু ইনভেস্টিগেটর বলে মনে হলো না এবং বাস্টার্ড তার লক্ষ্য পূরণের সময়, তাকে প্লট-আরমর প্রচুর সাহায্য করেছে; যা একটু বাড়াবাড়িই হয়েছে বলে আমার মনে হয়। কিন্তু কারও কাছ থেকে তথ্য আদায়ে বাস্টার্ড সে ধূর্ততার পরিচয় দিয়েছে তা সত্যিই ভালো লেগেছে।
লেখার ধরণও আমাকে পুরোপুরি মুগ্ধ করতে পারেনি। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের লেখনী সাধারণত প্রাঞ্জল এবং চমকপ্রদ, কিন্তু এই উপন্যাসে সেটির ঘাটতি ছিল। কিছু সময়ে লেখার ভঙ্গি এতটাই ধীর এবং পুনরাবৃত্তিমূলক লেগেছে যে, আমার মনে হয়েছে আমি একই বিষয় বারবার পড়ছি।
উপন্যাসের গতি মাঝপথে এত ধীর ছিল যে, এক সময়ে পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। গল্পের প্রয়োজনীয় উত্তেজনা এবং রহস্যের অভাব ছিল, যা একটি ভাল থ্রিলার উপন্যাসের মূল উপাদান।
এছাড়া এই উপন্যাসে বার বার বলা হয়েছে একটি খুবই ভয়ংকর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কথা কিন্তু সেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রটি যখন জানতে পারলাম তখনই আমার সব থ্রিল কপূরের মতো উবে গেল। বাস্তবে ষড়যন্ত্রটি সত্যিই ভয়ংকর কিন্তু উপন্যাসে তা খুবই দুর্বলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যা উপন্যাসটির অন্যতম দুর্বল পয়েন্ট আর এটিই আমাকে সত্যিই হতাশ করেছে।
তবে, "কন্ট্রাক্ট" এর কিছু ইতিবাচক দিকও ছিল। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন তার বাস্তবসম্মত বর্ণনার মাধ্যমে স্থান এবং প্রেক্ষাপটগুলি খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কিছু মুহূর্তে গল্পটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল, কিন্তু সেই মুহূর্তগুলো খুব কম এবং দূরবর্তী ছিল।
মোটের উপর, "কন্ট্রাক্ট" আমাকে তেমন মুগ্ধ করতে পারেনি। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের অন্যান্য কাজের তুলনায় এটি কিছুটা দুর্বল লেগেছে। যদি আপনি তার লেখার ভক্ত হন, তবে এই উপন্যাসটি আপনার জন্য হতে পারে কিছুটা হতাশাজনক। তবে, এটি শুধুমাত্র আমার ব্যক্তিগত মতামত। হয়ত অন্য পাঠকদের জন্য অভিজ্ঞতাটা ভিন্ন হতে পারে।
তুখর একখানা cat and mouse chase এর গল্প পড়লাম। #বেগ-বাস্টার্ড সিরিজের এই দ্বিতীয় বই লেখক একদমই তৈরি করেছেন বাস্টার্ডকে কেন্দ্র করে। আগের পার্ট এর কেন্দ্রে ছিল হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ, আর বাস্টার্ড ছিল নাগালের বাইরে। মাঝে মাঝে এক দু দৃশ্যে তাকে দেখা গেছিল।
🌀 এই গল্প পুরোটাই বাস্টার্ড কে নিয়ে। সে কি করছে, কি ভাবছে, তার পরিকল্পনা কি এই সব। গল্পের শুরুতে আমাদের কন্ট্রাক্ট কিলার এক বিশাল দামের কন্ট্রাক্ট পায়। কাজ হল এক বিশাল বড় গুণ্ডাদলের মাথাকে শেষ করা। একের পর এক খুন করতে থাকে সে, তাও একদম ঠান্ডা মাথায়। উদ্দেশ্য হল সেই মাথা কোথায় থাকে তা খুঁজে বের করা। ধাপে ধাপে উঠতে অবশেষে এসে সফল হয় কিনা এটাই দেখার।
🌀 লেখক দুর্দান্ত ভাবে এই ক্রিমিনাল মাষ্টারমাইন্ডের psyche রচনা করেছেন। সে যেমন কথা বলে তথ্য আদায় করতে পারে, তেমনি তার flirting skills। প্রত্যেকটা প্ল্যান তার দুর্দান্ত, আর সেরকমই execution. গল্পে কোথাও কোনো রকম ভনিতা নেই। Recap দেওয়া খুব জোর এক দুবার আছে, বাকি গোটাটাই গল্পের স্রোতে দৌড়ে যাওয়া।
প্রত্যেকটা খুন, তার প্ল্যানিং তার execution সব অসাধারণ। বেশ বাস্তবমুখী লেখা। সব সময় যে প্ল্যান মাফিক সব হয় না, মাঝে মাঝে improvise করতে হয়, মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হয় এই সব কিছু দেখতে পাবেন বাস্টার্ডের এই journey তে।
🌟 আমাদের জেফরি বেগ যে নেই এমন না। তিনি তার ফরেনসিক এভিডেন্স ভ্যান নিয়ে রীতিমত পৌঁছে গেছেন। সঙ্গে তার জামানও আছে। তবে তিনি investigate করতে গিয়ে যথারীতি আমাদের বাস্টার্ডকে চিহ্নিত করার সাথে সাথেই আরও একটি দুর্দান্ত জিনিস উদ্ধার করেন।
🌟 এই দুই বুদ্ধিমানের ডুয়েল একদম cinematic। একজন এক পদক্ষেপ নিচ্ছে তো আরেকজন আরও ভয়ানক কিছু। শেষে কে কার হাতে আসে এই দেখার।
🌀 এই বই সম্পর্কে আর বিশেষ কিছু বলা সম্ভব না। গোটাটাই একটা থ্রিলার এর experience। গল্পের সাথে না দৌড়ালে সেই অনুভূতিটা পাবেন না। তাই বই হাতে নিন আর লেগে পড়ুন। জমে যাবে একদম। তবে নেমেসিস পড়ে তারপরই শুরু করবেন, নাহলে একটু উদ্ভট লাগবে।
মনে হচ্ছিল কোনো একশন মুভি দেখতেছি- সুদর্শন নায়ক তিক্ত অতীতের কারণে পা বাড়ায় অন্ধকার জগতের দিকে হয়ে ওঠে কন্ট্রাক্ট কিলার,পেছনে লেগে যায় আরেকজন সুদর্শন পুরুষ গোয়েন্দা আর মাঝপথে দেখা হয় সুদর্শনা নারীর সাথে। দারুণ না ব্যাপারটা!? এই পর্বটা বাস্টার্ডের হাত ধরেই গতি পেয়েছে। ভালোই থ্রিলিং ছিল ব্ল্যাক রঞ্জুর কাছে পৌছানোর ব্যাপারটা। জেফরি বেগ কেনো জানি পিছিয়ে আছে সবদিক থেকে,বাস্টার্ডই সর্বেসর্বা । তবে এ দুজনের মাঝে কানেকশন তো একটা আছেই!🤔🤔
এটাই বোধহয় এই সিরিজের সবচেয়ে ভালো বই। বোরিং লাগেনি কোথাও। এ্যান্টি হিরো বাস্টার্ডকেই মনে হয় জেফরি বেগ থেকে বেশী পছন্দ হল। তবে নারী চরিত্র গুলো হতাশ করেছে। এই দুই স্মার্ট, আধুনিক হিরো আর অ্যান্টি হিরোর পাশে রেবা আর উমা দুজনকেই সেকেলে টাইপ মনে হয়েছে। অ্যাডেলিনকে আরো বড় ভূমিকায় দেখলে হয়ত ভালো লাগতো। সিরিজ অবশ্য শেষ হয়ে যায় নি! দেখা যাক!