ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা ছোট্ট লঞ্চ দুলছে। একবার বাঁদিকে কাত হচ্ছে, আরেকবার ডানদিকে কাত হচ্ছে। সারেঙের অ্যাসিসটেন্ট হাবলু এসে জানিয়ে গেছে, স্যার লঞ্চ ডুবল বইলা। সময়ের অপেক্ষা। সব কিছুতেই ‘অপেক্ষা’ থাকে। ফাঁসির আসামিও অপেক্ষা করে কখন দড়ি গলায় পরবে। কখন জল্লাদ হ্যাঁচকা টান দিবে। আমি এবং তৃষ্ণা বসে আছি কেবিনে। কেবিনের দরজা বন্ধ। আমাদের সামনে কম্পমান মোমবাতি। মোমবাতিও অপেক্ষা করছে কখন সে দমকা বাতাসে নিভবে।
ভূমিকা হিমুর পায়ের নিচে সবসময় মাটি থাকে। সে হেঁটে বেড়ায় বিষণ্ন ঢাকা নগরীর পথে পথে। আচ্ছা, তার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরিয়ে নিলে কেমন হয় ? সে থাকুক কিছু সময় পানির উপরে। দেখা যাক তার চিন্তা ভাবনায় কোনো পরিবর্তন আসে কি না। ও আচ্ছা! এবার তাকে তার কাছাকাছি চরিত্রের তরুণীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। মেয়েটির নাম তৃষ্ণা। তৃষ্ণা নিয়ে রবীন্দ্রানাথ লিখেছেলেন, “চক্ষে আমার তৃষ্ণা, তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে।” সেখানে সম্পূর্ণ তৃষ্ণামুক্ত (?) হিমু কী বলবে।
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
পুরো গল্পটাই বেশ ভালো লেগেছে। শুধু মাত্র কৌতুক নয় সাথে আমাদের কিছু রাজনৈতিক সামাজিক বিষয়ের গল্পও আছে। একটা লঞ্চে এতো কিছু থাকতে পারে এটা একটু বেশিই পাওয়া। তবে হুমায়ূন আহমেদের পক্ষে সব কিছুই সম্ভব। আর ই সম্ভব কাজটাই গল্পটা পাঠকের কাছে প্রিয় করে তুলবে।
হিমুর আছে জল গল্পে মাটির বিপরীতে পানি হলেও হিমুর চরিত্র কিন্তু পাল্টায়নি। সে যেমন ছিলো তেমনি আছে। তবে গল্পে তাকে আরো কিছুটা ভালো লাগতে পারে। কিছুটা হাসাবে, কিছুটা অবাক করে দিবে এইতো হিমুর কাজ।
(personal opinion) ভালো লাগে নাই। রীতিমত বিরক্ত লাগসে। বইটা অনেকটা মডার্ন আর্ট এর মত লেগেছে। রংতুলি দিয়ে কিছু একটা করলেই হল। দাম হবে আকাশ ছোঁয়া। বইটাও তেমনই। কাহিনী কিছুই নাই অথচ অপ্রয়োজনীয় ফিলোসফিকাল কথা বার্তা দিয়ে ভরা। আর পাঠকেরা এগুলোই গিলছে। হিমু সিরিজের সম্ভবত সব থেকে বাজে বই। এই বই দিয়ে যদি কেউ হুমায়ুন আহমেদ পড়া শুরু করে তাহলে সে আর কখনও হুমায়ুন আহমেদ পড়তে চাইবে বলে তো আমার মনে হয় না। বই এর অন্য সব চরিত্রগুলো দিয়ে লেখক সমাজের ভিন্ন একটি দিক তুলে ধরলেও তৃষ্ণা চরিত্রটি রীতিমত বিরক্তিকর।
No solid plot. No character development. Filled with meaningless dialogues. And the ending? The author asks the readers to write it themselves. He also makes some suggestions about which character to keep and which character to kill. What an opportunity for us to get creative!
Not a good read. The old himu books were the best.
The story is on a launch. Different kinds of people are in the launch, which is in drowning condition. At the end, Himu has a feast with 13 people, like the last supper. One of the person doesn’t eat, as in the last supper. The writer doesn’t end the story, instead asks the reader to complete the story, to decide whether the launch drowns or not.
“Since there’s no help, come let us kiss and part. Nay, I have done, you get no more of me; And I am glad, yea glad with all my heart, That thus so cleanly I myself can free. “
হিমু চরিত্রের আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। লেখক হিমুর বাবাকে বর্ণনা করেছেন একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ হিসেবে; যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তিনি মহাপুরুষ তৈরির জন্য একটি বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু। হিমুর পোশাক হল পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী। হলুদ বৈরাগের রঙ বলেই পোশাকের রং হলুদ নির্বাচিত করা হয়েছিল। ঢাকা শহরের পথে-পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো তার কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না। হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ। প্রেম ভালবাসা উপেক্ষা করা হিমুর ধর্মের মধ্যে পড়ে। কোন উপন্যাসেই কোন মায়া তাকে কাবু করতে পারে নি। মায়াজালে আটকা পড়তে গেলেই সে উধাও হয়ে যায়। হিমু উপন্যাসে সাধারণত হিমুর কিছু ভক্তশ্রেণীর মানুষ থাকে যারা হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে। এদের মধ্যে হিমুর ফুপাতো ভাই বাদল অন্যতম। মেস ম্যানেজার বা হোটেল মালিক- এরকম আরও কিছু ভক্ত চরিত্র প্রায় সব উপন্যাসেই দেখা যায়। এছাড়াও কিছু বইয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী ও খুনি ব্যক্তিদের সাথেও তার সু-সম্পর্ক ঘটতে দেখা যায়। হিমুর একজন বান্ধবী রয়েছে, যার নাম রূপা; যাকে ঘিরে হিমুর প্রায় উপন্যাসে রহস্য আবর্তিত হয়। নিরপরাধী হওয়া সত্ত্বেও সন্দেহভাজন হওয়ায় হিমু অনেকবার হাজতবাস করেছে এবং বিভিন্ন থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।
হিমু বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় ও কাল্পনিক। নব্বই দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। হিমু ও মিসির আলি হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট সর্বাধিক জনপ্রিয় দু’টি কাল্পনিক চরিত্র। উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙালি তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
ঝড়ে ডুবন্ত লঞ্চের বিশৃঙ্খল একটা পরিবেশ নিবেন, সাথে নিবেন পাঁচ-সাতটা র্যান্ডম ক্যারেক্টার যার মধ্যে একজন হলো লেখকের আর দশটা লেখনীর মতো চিরায়ত খুব সুন্দরী কেউ। এখন হিমুর উদ্ভটতা(এটা আসলে কোনো শব্দ নাকি আমি শিওর না, তবে বুঝতেছেনই তো কী বলতেছি) ছড়ায়ে দেন পুরাটার মধ্যে। হয়ে গেলো বইয়ের কাহিনী। এই বইয়ের ব্যাপারে আর কথা বললে সেইটাও অপচয় হবে। ৪০-৫০ মিনিট ফাও কাটাইতে চাইলে পড়েন, একদম ছোটো বই।
এই প্রথমবার মনে হলো যেন হিমুর মুক্তাঞ্চল অতি সীমিত। হয়তো লঞ্চ এ থাকার কারণেই এটা মনে হওয়া৷ ঠিক জমল না। তৃষ্ণার চরিত্রটা বেশ ইন্টারেস্টিং, কিন্তু তাকে সেরম যত্ন দেওয়া হয়নি। লেখকের সব যত্ন শুধু হিমুর প্রতি, যেটা মাঝেমাঝে খুব অন্যায় বলে মনে হয়।
লেখাটার মধ্যে potential ছিল কিন্তু সব কিছু বিবেচনা করে দেখতে গেলে হিমুর মত ঠিক হয়নি৷ একটু যেন ঘেটে গেছে৷ আর যাই হোক হিমুর গল্পে কিছু একটা resolution থাকে (সব কিছুর না থাকলেও, প্রধাণ জিনিসের)৷ এতে তারও অভাব মনে হলো৷ যেন হঠাৎ লিখতে লিখতে লেখকের পেনের কালি ফুরিয়ে যাওয়াতে তিনি লেখা থামিয়ে দিলেন। নাকি চরিত্রগুলোর গতি ভেবে ভয় পেয়ে থেমে গেলেন? উনি বলেছেন যে তৃষ্ণার বেঁচে না থাকাই উচিত না হলে সে হিমুর জন্য ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়াত৷ তাদের বিয়েটারই বা কি হলো৷ এতটা open ended না হলে ভালো হত৷ 😶
হিমুর জ্ঞান ফিরতেই সে বুঝতে পারে যে, সে একটা লঞ্চে আছে। সেখানে তার সাথে দেখা হয় একজন চাদরওয়ালা বৃদ্ধ, তৃষ্ণা, আতর আলী, খুনী পীর সাহেব, দারোগা, আনসার, দু'জন গুন্ডা ফিল্ম মেকার, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, প্রাইভেট কলেজ এর শিক্ষক ও তার ছাত্রী, লঞ্চের মালিকের উগ্র ছেলে এবং সারেং ও তার অ্যাসিস্ট্যান্ট এর সাথে! সেখানে যেসব কর্মকাণ্ড ঘটতে থাকে সেগুলো যেমন মজাদার তেমন ইন্টারেস্টিং! হঠাৎ করে নদীতে ঝড় ওঠে, হচ্ছেটা কি সেখানে? জানতে হলে পড়তে হবে..
হিমু লঞ্চে করে কোথাও যাচ্ছে। লঞ্চের নাবিক অসুস্থ। লঞ্চ চলছে না। প্রচন্ড দুর্যোগ এর সময়। ঝড় হচ্ছে। লঞ্চ ডুবে যাবে যেকোনো সময়। লঞ্চে রয়েছে তার প্রতি ভক্ত আতর মিয়া। রয়েছে তৃষ্ণা , যে দাবি করে যে তারও সিক্সথ সেন্স প্রবল। আর সেই সিক্সথ সেন্স বলছে যে হিমুর সাথে তার বিয়ে হবে এই লঞ্চে , কাজী হবেন ৩ খুনের আসামি পীর সাহেব। পীর সাহেব ও লঞ্চে। তাকে বরিশাল থানায় নেয়া হচ্ছে।
নামটা বোধয় 'হিমুর লঞ্চাভিজান' বললেও কাহিনীর বিন্দুমাত্র ক্ষতি হতো না। ডুবন্ত লঞ্চে হিমুর সাংবাদিকতা এক হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অন্যদিকে লঞ্চে আছে নানাধরনের মানুষ। যেমন হত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক পীর, ঢাকা শহরের এক আর্মস সাপ্লায়ার, বিদেশে পাঠরতা ছাত্রী প্রত্যেককেই দুর্দান্ত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন হুমায়ূন সাহেব। শেষটাও ঠিক ভাবেই হয়েছে।
বইয়ের নামের সাথে তেমন কোনো মিল খুঁজে পাইনি। হিমু সিরিজের এই প্রথম কোন বই নিয়ে অনাগ্রহ প্রকাশ করছি। তবে একদম বাজে ও বলা যায় না। মুটামুটি একটা খারাপ পরিস্থিতি এখানে ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। বিভিন্ন চরিত্রের সামঞ্জস্য গল্পটির একাংশ সুন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে।
Regular himu with his weird philosophical adventures. The book mashes up all kind of emotions and its hard to express in words. And the writer didn't give an ending, its all up to the readers to decide how the story should end😩😩
I absolutely love Himu books, they always bring a smile to my face. Out of all the books in the series, I think this one is hands down one of the funniest. If you're looking for a great read or want to try any book from the Himu series, I would definitely recommend giving this one a try.
One of The worst book i've ever read, it is a shame when a writer wrights this kind of things just for money. A book full of cringy things which are supposed to be funny.