মিসির আলি ভালো ঝামেলায় পড়েছেন। ঝামেলা সায়রা বানুকে নিয়ে। মেয়েটি যখনই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসে তিনি কেমন যেন গুটিয়ে যান। সায়রা বানুর সমস্যাটা জটিল। সে না-কি ইবলিশ শয়তানের সঙ্গে কথা বলেছে। তাকে দেখেছে। সায়রা বানুর বক্তব্য মিসির আলি না পারছেন গ্রহণ করতে, না পারছেন বাতিল করতে। মিসির আলি সারা জীবন যুক্তির সিঁড়ি ব্যবহার করেছেন। আজ তাঁকে যুক্তির বাইরে পা দিতে হচ্ছে। তাঁর মনে ভয় ঢুকে গেছে। রাতে ঘুম ভাঙলে তিনি আতংকিত বোধ করেন। তাঁর মনে হয় ইবলিশ শয়তানের সঙ্গে সম্ভবত তাঁরও দেখা হবে।
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
সায়রা বানু জটিল সমস্যা নিয়ে এসেছেন মিসির আলির কাছে। একটি চিঠিতে তার সমস্যার কথা লিখে মিসির আলিকে দিয়ে গেছেন তিনি । কেমিস্ট্রির শিক্ষক হাবিবুর রহমান তার বড় মেয়ে সায়রার নাম রেখেছিলেন মিথেন আর ছোট মেয়ের নাম ইথেন ।হাবিবুর রহমান একদিন তার দুই মেয়েকে ডেকে নিয়ে জানালেন ইবলিশ শয়তান তাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে ।এসব কিছুই সায়রা বানুর চিঠি থেকে জানতে পারলেন মিসির আলি । চিঠিতে সায়রা বানু বোন ইথেন সম্পর্কেও ভয়াবহ সব কথা লিখেছে ।ইবলিশ শয়তান ইথেনকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিল, সায়রা বানু নিজেও ইবলিশকে দেখেছেন কয়েকবার , ইবলিশের সাথে তার কথাও হয়েছে ।ইবলিশের চেহারার ভয়ঙ্কর বর্ণনাও রয়েছে চিঠিতে ।
মিসির আলী বেশ কিছু মিথ্যা খুঁজে পেলেন সায়রা বানুর চিঠিতে, তাকে কনফিউজ করতেই মিথ্যাগুলো যেন চিঠিতে ইচ্ছে করেই ঢুকানো হয়েছে। আর এই মিথ্যাগুলো থেকেই মিসির তার আলি সমাধান বের করে ফেললেন । মিসির আলির এ বইটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে । বইয়ের শেষ চ্যাপ্টারে রহস্য উন্মোচনের সাথে পাঠকের কাছে বইয়ের পুরো গল্পটাও বদলে যাবে ।
মিসির আলি আমার খুবই পছন্দের একটা চরিত্র। মিসির আলির সব গল্প পড়া না হলেও অনেকগুলো গল্পই আছে যেগুলো আমি ৪-৫ বার করে পড়েছি৷ মিসির আলির কার্যপদ্ধতি বোঝার চেষ্টা করেছি। মিসির আলিকে ঘিরে হুমায়ূন আহমেদের গল্প কোত্থেকে কই যায় সেটা বোঝার চেষ্টা করেছি। একদমই যে পারিনি সেটা বলা যাবে না। কিভাবে বুঝলাম? এই যে 'কহেন কবি কালিদাস' এর এক তৃতীয়াংশ পড়েই গল্পের শেষটা কেমন হবে, কোনদিকে যাবে সে বিষয়ে আমি দুটা হাইপোথিসিস দাঁড় করিয়েছি। যার মধ্যে একটা মিলে গেছে। তবে তা সত্ত্বেও একটুও আশাহত হইনি। একটুও কম উপভোগ করিনি। মিসির আলি তথা হুমায়ূন আহমেদ আমাকে সেই আগের মতই মুগ্ধ করেছেন। ভাবতেই খারাপ লাগে, এই পৃথিবীর বুকে মিসির আলি আর কোন রহস্যের সমাধান করবেন না।
মনে হলো লেখক প্রতারিত করেছে আমাকে। যদিও গল্প হিসেবে ভালো ছিল। সত্য মিথ্যার মিশেল ঘটিয়ে কাহিনীর জটিলতা বৃদ্ধি করেছেন লেখক। গল্প শেষে মুগ্ধতা আর বিরক্তি দুটোই ছিলো।
আজ থেকে ৩ বছর আগে বইমেলা থেকে বইটি কিনেছিলাম সাথে ছিল আমার দুই বান্ধবী। তিন জন একসাথে বই কিনলে এক্সচেঞ্জ করে পড়া যায় এটা একটা অন্যরকম মজা। আজ আবার অনেকদিন পর, কহেন কবি কালিদাস পড়লাম পুরানো কথা গুলো মনে পড়ে গেল। যায় হোক নিজস্ব আলাপ বাদ এইবার বইয়ের কথায় আসি- আমার কিছু কিছু জায়গা ভালো লাগেনি- তন্দ্রাবিলাসের ফারজানা তার নাম সে প্রথমে সায়রা বানু বলে,সে মিসির আলি কে তার সমস্যা চিঠির মাধ্যমে জানায় ঠিক একই ভাবে কহেন কবি কালিদাসে,সায়রা বানু আসে তবে অন্য সায়রা বানু তার সমস্যা তিনি উত্থাপন করেন খাতার মাধ্যমে দুই বইয়ের শুরু একই রকম হওয়াটা আমার কাছে যুক্তিসঙ্গত মনে হয়নি।হুমায়ূন আহমেদ অনেক বই লিখতেন,তাই অনেক ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা যায় বিভিন্ন বইয়ে ইভেন অনেক সময় ক্যারেক্টার গুলোও তালগোল পাকিয়ে ফেলতেন যেটা একজন বড় মাপের লেখকের জন্য মোটেও শোভনীয় নয়। উনারই বা কী দোষ!! প্রকাশক,আর পত্রিকা গুলো তো হুমড়ি খেত তার লেখা পাওয়ার জন্য,না চাইলেও স্রোতে গা ভাসিয়ে ফেলতে হত তাকে মাঝেমধ্যে। এই সায়রা বানুর ডাকনাম মিথেন আর তার বোনের নাম ইথেন।সায়রা বানু খুব বিচিত্র এক চরিত্র, শেক্সপিয়রের ম্যাকবেথ, নাটিকার লেডি ম্যাকবেথের ন্যায়। যদিও তার অনুতাপ বোধ আসে শেষে এইজন্য পুরোটা লেডি ম্যাকবেথ হতে পারেন নি। নাসরিন আর ইথেনের জন্য খারাপ লেগেছে,দুজনের জীবন মিথেন গ্যাস শেষ করে দিয়েছে। মিসির আলি সব সমস্যার জট খুলেছেন ঠিকই কিন্তু মিথেন কে তার কক্ষপথে ছেড়ে দিয়েছেন।একজন সিরিয়াল কিলারকে নিজ কক্ষপথে ছেড়ে দিয়ে মিসির আলি কী প্রমাণ করতে চেয়েছেন পাঠক হিসেবে তা আমার বোধগম্য না। #সাসপেন্স ছিল, ভালো ছিল কিন্তু তন্দ্রাবিলাস পড়ে এটা পড়েছি তাই কিছু কিছু জায়গা খটকা লেগেছে এই যা।তাছাড়া কাহিনী আর সাত পাঁচটা উপন্যাসের মত না একটু টুইস্ট ছিল। ইবলিস শয়তান আর মিথেনের কথোপকথন খুব হাস্যকর ছিল।😚😚
কহেন কবি কালিদাস, পথে যেতে যেতে। নাই তাই খাচ্ছ, থাকলে কোথায় পেতে?
-- এই ধাঁধা টার কি আসলে কোন উত্তর আছে?
গল্পের বই পড়ার ক্ষেত্রে যেটা হয় - কিছু কিছু সময় কোন একটা নামের ও প্রেমে পড়ার সম্ভাবনা জাগ্রত হয়। "ইথেন" সেরকম একটা নাম। একই সাথে শীতল আবার উষ্ণ একটা অনুভূতি প্রবাহিত হয় নাম টা শুনলে। কাহিনী মোটামুটি থেকে একটু ভাল বলা চলে।
এতটা সুন্দর করে এগিয়ে যাওয়া গল্পটার শেষ পরিণতি নাকি এই!!! সায়রা বানু যেখানে পাঁচটা অধ্যায়ে ভাগ করে মিসির আলি কে সমস্যা টা নোট করে দেয় সেখানে মাত্র তিনটি অধ্যায় পড়েই সমস্যার সমাধান করে দেয়। কেন!!!
সায়রা বানুর বলা গল্প গুলো এতো ভালো লাগছিল!!! সমস্যার সমাধান মিসির আলির অন্য বইগুলোর মতোই চমকপ্রদ। থমকে যাওয়ার মতো। মনখারাপ হলো শুধু বইটা এতো ছোট করে করার জন্য।
কহেন কবি কালিদাস পথে যেতে যেতে! বইয়ের শুরুতে কবি কালিদাস এর এই পদ্যটি এপিগ্রাফ (epigraph) হিসেবে অনবদ্য লাগলো। বহুদিন পরে হুমায়ুন আহমেদ এর একটি লেখা পড়লাম। মিসির আলী বরাবরই ভালো লেগেছে, এ���ারও লাগলো। হুমায়ুন আহমেদ এর নানা ধরণের transgression বা সীমা অতিক্রম, বা পাপ কর্মে দ্বিধাহীন নিমজ্জন, অথবা সামাজিক রীতির গুরুতর লঙ্ঘন এর বিষয়ে আগ্রহ বেশ চোখে পড়বার মতো I জ্ঞানী হুমায়ুন আহমেদ জানেন যে সমাজের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা করে চলা বা ধর্মীয় অনুশাসনের আওতায় মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে থাকলেও, অনেক ক্ষেত্রে গোপনে বা পরোক্ষভাবে মানুষ তার আবেগ ও ইন্দ্রিয়ের দ্বারা চালিত হয় I বইটি পড়তে গিয়ে আমার মনে হয়েছে হুমায়ুন খুব সূক্ষভাবে আমাদের অনেক conformity কে উপহাস করেছেন। ধর্মের অনুসারী হয়ে, বা সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার প্রয়োজনে আমরা অনেক নীতি বা রীতি মানতে চাই; কিন্তু মানা সম্ভব কি? মানুষের ইবলিশকে ঠেকানোর ক্ষমতা কতদূর? যৌনতার শক্তি লাগামহীন, প্রাকৃতিক, আর উপযুক্ত পরিবেশে সকল নিয়ম নীতির প্রতি ভ্রূক্ষেপহীন! অবাধ যৌনাচার, হত্যাকান্ড, আরো নানা প্রকারের পাপ এর যে বহিঃপ্রকাশ আমরা এই উপন্যাসে দেখি তা যেন পাপ ও পুণ্যের এক ক্ষমতার লড়াইয়ে রত শক্তিগুলোর ভাগফল। মানুষের বিদ্রোহ প্রবণতা, বা তার স্বরূপকে (ভালো বা মন্দ যাই হোক না কেন) প্রকাশের প্রচেষ্টারও একটা বাস্তবতা সম্পন্ন বয়ানও আমরা যেন পেলাম এই উপন্যাস থেকে। "মিসির আলির কাহিনীগুলো ঠিক গোয়েন্দা কাহিনী নয়, কিংবা 'ক্রাইম ফিকশন' বা 'থ্রিলার'-এর মতো খুনি-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক" , এই বক্তব্য বহু আলোচনা বা পুস্তক বিবরণীতে জায়গা পেয়েছে। কিন্তু কিছুটা তলিয়ে দেখার চেষ্টা করলে এসব উপন্যাস থেকে হুমায়ুন মানস বেশ স্পষ্টভাবে বেরিয়ে আসেI হুমায়ুন প্রথা ও ধারাকে অনেক ক্ষেত্রেই sarcastic দৃষ্টিতে দেখেন। তাঁর মধ্যে এক প্রকারের বিদ্রোহ বাসনাও বেশ বিদ্যমান: তা সামাজিক ধারার বিপক্ষেই হোক, আর হোক না বা তা অন্য কোনো popular অনুগামিতার (conformity) বিপক্ষে!
সম্ভবত মিসির আলির গল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় গল্প আমার। গল্পের দুই বোনের নামকরণ ইথেন মিথেন খুবই ইউনিক। কহেন কবি কালিদাস ধাঁধাঁটার সত্যি কোনো উত্তর আছে কি? অবশ্য প্রকৃতি রহস্য ভালোবাসে। এটা রহস্যই থাকুক সে অর্থে। গল্পের শেষ তিন পাতায় ব্যাপারটা এতো ওলোট পালট হয়ে গেলো যে আমাকে দুবার পড়তে হলো শেষটা। সত্যিই অভিভূত।
রেটিংঃ4.5⭐ মানুষ স্বপ্নে গন্ধ পায়না-এইটা কী ঠিক?? হুমায়ূন স্যারের বইয়ের একটি বৈশিষ্ট্য ধরতে পেরেছি-প্রায় গল্পে protagonist এর অন্ধ ভক্ত থাকবেই।এই বইয়ে হারুণ ব্যাপারী আর মিসির আলির বাড়িওয়ালা তাঁর ভক্ত। আর এই বিষয়টি বেশি দেখা যায় মিসির আলি আর হিমু চরিত্রের বইগুলোতে। এইবইটি শুরু হয় মিসির আলির বাসায় আসা এক বোরকাওয়ালা তরুণীকে দিয়ে।তার নাম সায়রা বানু।সে একটা সমস্যা নিয়ে মিসির আলির কাছে এসেছে।সমস্যা লিখেছে উপন্যাস আকারে-টাইটেল' Autobiography of an unknown young girl '. এই লেখা পড়ে সায়রা বানুর সমস্যা সমাধান করতে হবে মিসির আলির। আর এই প্লটটাই কাহিনিকে রহস্যময় করে তুলেছে। সায়রা বানুর গল্পে তাঁর বাবা,তার বোনের কথায় বেশি উঠে আসে-তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা উঠে আসে -বেশির ভাগই ইবলিশ শয়তান বিষয়ক।।সায়রা বানুর খাতাটি তিন ভাগে ভাগ করা থাকলেও মিসির আলি তার লেখার গোঁজামিল ধরে ফেলেন -সমাধান পেয়ে যান। লেখক রহস্য ধরে রাখতে পেরেছেন-শেষটা আসলেই বিস্ময়কর। প্রকৃতি রহস্য পছন্দ করলেও মিসির আলি যে মিমাংসা পছন্দ করেন তা প্রমাণিত।
মিসির আলির কাছে সায়রা বানু আসলেই তিনি কেমন যেন অস্বস্তি বোধ করেন, সায়রা বানু আসে তার সাথে থাকা ইবলিশ শয়তান আর তাদের দুই বোন মিথেন ইথেনের রহস্য জট নিয়ে, মিসির আলিকে বেশ বিভ্রান্ত করা হলে ও শেষ পর্যন্ত আসল সত্যটা বের হয়ে আসে
গল্পের প্লটিং ভাল। স্টোরি অনেক সময় নিয়ে বিল্ড আপ করা হয়েছে। ফিনিশিং নিয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি, কারণ খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটা ব্যাপার খোলাসা করা হয়েছে। কিন্তু একটা প্রশ্ন! ধাঁধাঁটার উত্তর কী হবে? 😐
কাহিনির সেটআপ খালি মিসির আলীকে না পাঠককেও কনফিউজ করে তুলেছে। গল্প শেষ পর্যন্ত আকর্ষণ ধরে রেখেছে এবং সমাপ্তি আসলেই অবাক করেছে ... এক সিটিং এ শেষ করার মত আকর্ষণ বজায় রাখতে পেরেছে।
কাহিনীর মধ্যে বৈচিত্র কমে যাচ্ছে। সেই একই খাড়া বড়ি থোড়, থোড় বড়ি খাড়া গল্প। প্রথম দিকের লেখাগুলোর মধ্যে বৈচিত্র্যময়তা ছিল। বোধয় এই লেখাটি ফরমায়েশি বা দ্রুততার সঙ্গে লেখা হয়েছে তার জন্যই বাজারচলতি লেখা। সায়রা বানু নামের এক মেয়ে মিসির আলি সায়েবের কাছে এসে তার ডাইরি পড়তে দেয় এবং সমস্যার সমাধান করতে অনুরোধ করে,যা মিসির আলি তার ডাইরির পুরোটা না পড়েই করতে সক্ষম হন।
কাহিনী এগিয়েছে সায়রা বানু ওরফে মিথেনকে নিয়ে।তার বাবা হাবিবুর রহমান পেশায় কলেজের কেমিস্ট্রির টিচার।মিথেনের ছোট বোনের নাম ইথেন। মিথেন মিসির আলির কাছে এসে তার জীবনী মূলক খাতা দিয়ে যায়। মা মারা যাওয়ার পর তাদের বাবা আর বিয়ে করেন নি।হাবিবুর রহমান হয়ে যান পীরের মুরিদ।বাড়িতে তিনি ইবলিশ শয়তানকে দেখতে পান।
তার ছোট মেয়ে ইথেন বড় দুষ্ট প্রকৃতির। মিসির আলির বাসায় এসে মিথেন সব পরিষ্কারের ব্যবস্থা করে আ��� নাসরিন নামের এক ছোট মেয়েকে রেখে যায়। মিসির আলি শেষে এই কাহিনীরও সুরাহা করেন।বরাবরের মতোই এই জীবনীর মালিকই দোষী। মিথেনই ইবলিশের ভান করেছে।মিথেন তার বোন ইথেনকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে আর ইথেনের পেটে যে বাচ্চা থাকার কথা লেখায় বলা ছিল, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।এ বাচ্চা ছিল মিথেনের পেটে আর বাচ্চার বাবা হচ্ছে মিথেনের টিউটর রকিব স্যার।
This entire review has been hidden because of spoilers.
"মিসির আলী সমগ্র ১" হাতে পেয়েই ঝটপট পড়ে ফেললাম সেখানকার ২-৩টা উপন্যাস।তদের মধ্যে অন্যতম এই "কহেন কবি কালিদাস"।
সত্যমিথ্যা,মিথ্যাসত্য,সত্যসত্য,মিথ্যামিথ্যা—সবকিছুর মিলিয়ে একদম সত্য আর মিথ্যার জটিলতম রহস্যময় ভুলভুলাইয়া বানিয়ে ছেড়েছেন হুমায়ূন আহমেদ,সেখানে ঢোকার পর বের হওয়া বড্ড কঠিন। অন্তত আমি এ পর্যন্ত বের হতে পারছি নাহ।
সেই অটোবায়োগ্রাফির শুরুতেই আকস্মিক কাকতালীয়তায় আমি রীতিমত মুখ থুবড়ে পড়ি।বাস্তবিকই আমার বাবার হাইস্কুল কলিগ তাঁর দুই ছেলেমেয়ের নাম রেখেছিলেন মিথেন(বড় মেয়ে) আর ইথেন(ছোট ছেলে)।তিনিও কেমিস্ট্রি পড়াতেন।
সাসপেন্স,রহস্য ভালোই জমেছিল,ইবলিশ নিয়ে শয়তানিও দারুণভাবে উপস্থাপিত।তবে শেষে এসে ধপ করে সবকিছু নেমে ধূলিসাৎ!এতো বেশি ধোঁয়াশা রেখে কাহিনী শেষ করা হয়েছে যে,আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
মিসির আলির বইগুলো টানা পড়ে যাওয়ায় একটা ব্যাপার চোখে পড়ল। বেশিরভাগ বইতেই একজন রূপবতী মেয়ে সমস্যা নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হয়। এবং সমস্যাগুলো সে মুখে বলে না। হাতে লিখে নিয়ে আসে। এই বইতেও একই ব্যাপার। বিষয়টা খানিকটা বিরক্তিকর।
আমার পড়া মিসির আলী সিরিজের বইগুলোর মধ্যে এই বইটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এই বইয়ে সায়রা নামের একটা মেয়ে মিসির আলীর কাছে আসে তার সমস্যা নিয়ে। সে তাঁর সমস্যা একটা খাতায় লিখে নিয়ে আসে। এবং সেই লেখার অধিকাংশই লেখাই মিথ্যা। কিন্তু মিসির আলী আসল সত্য বের করে ফেলে।
A girl gets pregnant & frames her sister that she was pregnant instead of her then kills her sister and drives her dad and sister crazy in believing that it's a doing of Satan.
This entire review has been hidden because of spoilers.
The writing style as well as the mystery solving part are breathtaking! You will get confused between the truth and fiction. A story worth reading. I wanted the book to be little longer. That would have added the extra flavor of a perfect crime thriller!
বই:কহেন কবি কালিদাস লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রচ্ছদ:ধ্রুব এষ প্রথম প্রকাশ : একুশে বইমেলা২০০৯ প্রকাশনী: অন্বেষা প্রকাশন ঘরানা:মনস্তাত্ত্বিক পৃষ্ঠা:৮০ মুদ্রিত মূল্য:১৬০টাকা
কাহীনি সংক্ষেপঃ কহেন কবি কালিদাস পথে যেতে যেতে নাই তাই খাচ্ছ, থাকলে কোথায় পেতে?
মিসির আলী এখন বসে আছেন অনিন্দ্য সুন্দরী একটি মেয়ের সামনে।মেয়েটির নাম সায়রা।যথেষ্ট ধনবান মেয়েটি যে কিঞ্চিৎ না ভালো রকমের বুদ্ধিমতি তা তিনি বুঝে ফেলেছেন।সায়রা মিসির আলীর কাছে একটা সমাধানের জন্য এসেছে।সমস্যাটা সে লিখে এনেছে।
সায়রার বাবা হাবিবুর রহমান একজন রসায়ন শাস্ত্রের শিক্ষক।তার দুই কন্যার নাম তিনি রাখেন মিথেন(CH4)ও ইথেন(CH3)।এখানে সায়রা হচ্ছে বড় মেয়ে ইথেন।এই নামেই দুই মেয়েকে ঢাকেন তিনি। সায়রার বাবার পর হঠাৎ করেই সায়রার বাবা ধার্মিক হয়ে যায়।নিয়মিত নামাজ রোজা করতে থাকেন। সায়রার লিখনী অনুসারে হঠাৎ করেই তাদের বাড়িতে ইবলিশ শয়তানের দেখা মিলে।প্রথমে তার বাবা,পরে ইথেন এমনকি সবার শেষে মিথেন ও যেই ইবলিশ শয়তানের দেখা পায়। এরই মাঝে ইথেন একদিন জানায় যে সে প্রেগন্যান্ট।কিন্তু নাম বলবে না ছেলের।এমনকি ইবলিশ শয়তান তাকে বুদ্ধি দিয়েছে আত্মহত্যা করার।একদিন সত্যি সত্যি ইথেন ছাদ থেকে পড়ে মারা যায়।যদিও হাবিবুর রহমানের বিশ্বাস এগুলা ইবলিশ শয়তানের কাজ।বিপত্তি হয় যখন পোস্টমর্টেম রিপোর্টে দেখা যায় ইথেনের পেটে আসলে কোন বাচ্চা ই নাই! মিসির আলী সারাজীবন যুক্তির সিঁড়ি ব্যবহার করেছেন।ইবলিশ শয়তানের ব্যাপারটা উনি মেনে নিতে পারছেন না।আবার সায়রা তবে মিথ্যে বলবে কেন? প্রশ্ন রয়ে যায়, ১।ইথেন কি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলো? ২।ইথেনের বাচ্চাটি কই গেলো? ৩।ইবলিশ শয়তানের কেরামতি কি আসলেই আছে?
মিসির আলী বেশ যুক্তিনির্ভর ভাবে সকল প্রশ্নের সমাধান করেছেন বইয়ের শেষে।পাঠক অবশ্যই আনন্দ পাবে।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ুন আহমেদ আমার প্রিয় লেখকদের একজন।তার লিখনী নিয়ে ভালো লাগা কখনোই শেষ হবে না।আর তার যুক্তিনির্ভর, বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে সৃষ্ট চরিত্র মিসির আলী ত আরেকটা প্রিয় চরিত্র।একটু মন খারাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম।বইটা পড়ে বেশ ফুড়ফুড়া লাগছে। সুখপাঠ্য বই।