Jump to ratings and reviews
Rate this book

পদ্মানদীর মাঝি

Rate this book
আধুনিক বাংলা উপন্যাসের বিশাল আঙ্গিনায় নদীজীবী মানুষদের নিয়ে রচিত প্রথম উপন্যাস পদ্মা নদীর মাঝি। ১৯৩৬ সালে এটি প্রকাশিত হয়। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রন্থসমূহের মধ্যে এটিই সর্বাধিক অনূদিত গ্রন্থ। উপন্যাসটিতে লেখক জেলে-জীবন ও জল-জীবন অঙ্কনে এবং চরিত্রচিত্রণে অপূর্ব মুন্সিয়ানার পরিচয় রেখেছেন।

174 pages, Paperback

First published July 12, 1936

163 people are currently reading
2504 people want to read

About the author

Manik Bandopadhyay

129 books493 followers
Manik Bandopadhyay (Bengali: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়) was an Indian Bengali novelist and is considered one of the leading lights of modern Bangla fiction. During a short lifespan of forty-eight years, plagued simultaneously by illness and financial crisis, he produced 36 novels and 177 short-stories. His important works include Padma Nadir Majhi (The Boatman on The River Padma, 1936) and Putul Nacher Itikatha (The Puppet's Tale, 1936), Shahartali (The Suburbia, 1941) and Chatushkone (The Quadrilateral, 1948).

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
1,812 (42%)
4 stars
1,583 (37%)
3 stars
653 (15%)
2 stars
121 (2%)
1 star
60 (1%)
Displaying 1 - 30 of 208 reviews
Profile Image for SH Sanowar.
118 reviews29 followers
May 25, 2023
ধরেন, আপনাকে একটা বই পড়তে দেয়া হল। বইয়ের নাম "পদ্মানদীর মাঝি"। কিন্তু আপনি জানেন না বইয়ের নাম কী! কারণ, বইটাতে কোনো মলাট নেই, এমনকি নেই লেখকের নাম পর্যন্ত। বইটা সম্পর্কে আপনার আগাম কোনো ধারণা নেই। কিছু না জেনেই আপনি পড়া শুরু করলেন মলাটবিহীন নিউজপ্রিন্ট কাগজের ছোপ ছোপ হলদেটে দাগ পড়া ছেড়া বইখানা। এবং পড়েই আপনি বিস্মিত হলেন। বিস্মিত হলেন কারণ আপনার বয়স অল্প, আপনার পড়াশোনার পরিধি তখনো কিশোর রহস্যোপন্যাসের ভিতরে সীমাবদ্ধ, এর আগ পর্যন্ত এরকম কোনো বই পড়ার অভিজ্ঞতা আপনার হয়নাই। কিছুদূর পড়েই আপনি বইয়ের সজীবতা অনুভব করা শুরু করলেন, কিন্তু ধরতে পারছিলেন না বইয়ের অর্ন্তনিহিত বক্তব্য। তখনো আপনার পড়াশোনা যেহেতু অল্প, শব্দভাণ্ডারও সীমিত সেহেতু আপনার সাধু আর আঞ্চলিক ভাষায় লেখা উপন্যাসটা পড়তে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। তারপরও আপনি বইটা জোর করে শেষ করতে চাইলেন। পদ্মার পাড়ের জেলেপাড়া নিয়ে গড়ে উঠা গল্পটা ক্রমেই আপনাকে আহত করতে থাকলো। যে বৃষ্টি নিয়ে আপনার এতো অবসেশন, যে বৃষ্টি দেখলে আপনার কিশোর মনও কবি কবি হয়ে উঠতো সে বৃষ্টির এমন ভয়ানক রুপ আপনাকে আরেকবার বিস্মিত করল। সেই কিশোর বয়সেই বুঝতে পারলেন আপনি একটা " প্রিভিলেজ কিড"। যদিও আপনি তখনো এই শব্দের মানে বুঝেন না, বুঝবেন আরো কয়েকবছর পর। বইটা এতোভাবে আহত করার পরও আপনি আচ্ছন্ন হয়ে পড়লেন একটা চরিত্রের উপর। হোসেন মিয়া। এ যেন অন্য কোনো জগৎ থেকে আগত এক আগন্তুক জেলেপাড়ার মধ্যে। এমনই তার মোহনীয় শক্তি, কথা বলার ঢং। তেমনই তার অদ্ভুত কর্মকাণ্ড, কিন্তু খাপছাড়া নয়৷ অত্যন্ত গোছানো এক বুদ্ধিমান চরিত্র এই হোসেন মিয়া। বইটা শেষ করার পরও কয়েকটা জিনিস আপনার মনে একটা স্থায়ী ছাপ রেখে যাবে সারাজীবনের জন্য৷ প্রবাল বর্ষা। শোবার রুমটাতে টিনের চালের গলুই বেয়ে পড়া বৃষ্টির নোংরা পানি। বন্যার সময় নৌকা থেকে ঘুমানোর সময় মাত্র হাঁটুপানিতে পড়ে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু। হোসেন মিয়ার দ্বীপের উদ্দেশ্যে সবকিছু ছেড়ে রওয়ানা হওয়া সেই নছিবনের শুন্য দৃষ্টি। আপনি কখনো এড়াতে পারেননি এসবকিছু। হয়তো পেরেছেন। হয়তো আপনি আবারও আহত হয়েছেন তেমনভাবে কিশোর বয়সে যেমনটা হয়েছিলেন। হয়তো আপনি রাত দেড়টার সময় ব্যলকনিতে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি উপভোগ করতে করতে আনমনে হেঁটে শেলফ থেকে তুলে নিয়েছিলেন "মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রেষ্ঠ উপন্যাস সমগ্র"। আর একটানা "পদ্মা নদীরমাঝি" শেষ করে আহত হয়েছিলেন আগের চেয়েও ঢের ঢের গুণ বেশি।
Profile Image for Afifa Habib.
89 reviews273 followers
December 5, 2020
জানি এটাই বাস্তব। কিন্তু জৈবিক চাহিদা টাকে এত গুরুত্ব দেওয়াটা কখোনোই কেনো জানি ভালো লাগে না।
Profile Image for ~Rajeswari~ Roy.
153 reviews41 followers
March 14, 2021
ঈশ্বর থাকেন ঐ গ্রামে, ভদ্রপল্লীতে, এইখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না
জেলেপাড়ার সুখ দুখের কথা,কুবের এর জীবনকথা এ বইটির প্রধান আকর্ষন।কুবের জীবনের চক্রে নিষ্পেষিত এক পুরুষ।কপিলার চরিত্রে বাংলা নারীর তেমন সতীত্ব দেখতে পাওয়া যায়না বলে এ চরিত্র একটু ভিন্ন।মনের কামনাই তার প্রধান,লোকলজ্জা নয়।
Profile Image for Jenia Juthi .
258 reviews64 followers
August 22, 2020
'পদ্মা নদীর মাঝি' উপন্যাসটি সর্বাধিক পঠিত এবং আলোচিত একটা বই।নদীর পাড়ের মানুষের জীবনযাপনের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে এখানে।
বইটা পড়ছিলাম,আর মনে হচ্ছিলো আমি কাহিনীটা নিজের চোখে দেখছি।
কুবের আর কপিলা এই দুই চরিত্র অনেক আলোচিত, কিন্তু অনেকে জানেই না এরা কোন উপন্যাসের।কপিলা চরিত্রটা বেশী বিরক্ত লেগেছে।কপিলা হচ্ছে কুবেরের শালী!

পাঠ প্রতিক্রিয়া -
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমি এ নিয়ে দুইটা বই পড়লাম।দুইবার এই আশাহত হলাম।কেনো জানি কাহিনীগুলো ভালোই লাগে না।পরকীয়া ব্যাপারটা থাকে,এইজন্যই।
এ ব্যাপারটা স্কিপ করলে,বাকী কাহিনী ঠিকঠাক। বাকী কাহিনীগুলো ভালোই।সবার ভালোলাগা আর আমার ভালোলাগা এক হবে না,এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত মতামত। কেউ কখনো বই সাজেস্ট করতে বললে,আমি তাকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই সাজেস্ট করি না
Profile Image for Avishek Bhattacharjee.
370 reviews79 followers
November 22, 2020
এই বইটার রিভিউ না লিখলেও হয়। এটা কেউ নিজের ইচ্ছায় পড়েছে বলে মনে হয়না। বাধ্য হয়েই ইন্টারের সময় পড়া লেগেছে৷ কিন্তু বিষয় হচ্ছে বইটা পড়ে হতবিহ্বল হয়ে গিয়েছিলাম। যেখানে আমার বন্ধুগন কপিলাকে নিয়ে আদিরসাত্মক আলাপ করত তখন আমি অবাক হয়ে ভাবতাম কুবেরের জীবনযুদ্ধ আর হোসেন মিয়ার স্বপ্নের কথা। মাঝিদের জীবনের কি সুন্দর চিত্রই না ফুটিয়ে তুলেছিলেন মানিক বন্দোপাধ্যায়। লোকটা আসলে দুঃখের খনি ছিলেন। আর সে সম্পদ ছড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন পাঠকের মাঝে।
Profile Image for Nishat Monsur.
191 reviews18 followers
August 15, 2019
ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি বা ম্যাথ বইয়ের চেয়ে বরাবর বেশি টেনেছে বাংলা সহপাঠ বা ইংরেজি র‍্যাপিড রিডার। ইন্টারে প্রেপটাইম বলতেই তাই "রক্তাক্ত প্রান্তর"-এর সংলাপ কিংবা " পদ্মানদীর মাঝি" খুলে ডুবে যাওয়া। বাপের মুখে শুনি, তারাও নাকি এই একই উপন্যাস পড়েছেন। এই উপন্যাসের কারণে প্রাক্তন প্রজন্মের সাথে অভিজ্ঞতার মিল খুঁজে পেয়ে যে তুষ্টি মিলত, বর্তমান ইন্টারপড়ুয়ারা তা হতে বঞ্চিত। একই কথা অবশ্য "হৈমন্তী" নিয়েও খাটে, তবে তা আমার মূল বক্তব্য নয়। মেট্রিকে "হাজার বছর ধরে" আর ইন্টারে "পদ্মানদীর মাঝি" পড়ে বড় হওয়া প্রজন্ম পরকীয়াতে কতখানি সিদ্ধহস্ত হবে সেই প্রশ্নকে একপাশে সরিয়ে রাখতে পারলে বরং ছাত্র সংস্করণ বাদ দিয়ে আসল সংস্করণের "পদ্মানদীর মাঝি" পড়ার সুযোগ-সময় মিলতে পারে।

ছাত্রদের জন্য যে পরিমার্জিত সংস্করণটি আমরা গভীর মনোযোগে ইন্টারে পড়ে এলাম, সেই সংস্করণে সবচেয়ে অবিচারের শিকার বোধহয় হোসেন মিয়া চরিত্রটি। এত ডায়নামিক আর টু-পারফেক্ট-টু-বি-রিয়্যাল চরিত্রটি তার মূল বার্তার অনেকখানিই হারিয়েছে সেন্সর খাঁড়ার কোপে। তবুও যিনি অন্তত পরিমার্জিত সংস্করণটি পড়েছেন (সে যদি পরীক্ষা পাশের উপলক্ষ্যেও হয় তবুও) তার জানার কথা, কুবেরকে প্রোটাগনিস্ট হিসেবে দেখানোর একটা আলগা প্রয়াস থাকলেও সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ হোসেন মিয়ার হাতে। হোসেন মিয়া অনেকটা ভোল্ডেমর্টের মতন, হি হু মাস্ট নট বি নেইমড- না থেকে কিংবা ভাসাভাসা থেকেও যার অবস্থান সবচেয়ে স্পষ্ট; অনুপস্থিতির সময়টায়ও সরব হয়ে থাকে যার উপস্থিতি। মাঝেমধ্যে আমার ক্ষুদ্র পড়ার গণ্ডিতে যে চরিত্রগুলো আমাকে ভীষণভাবে চিন্তায় ফেলে দেয়, মেহেদি দেয়া দাড়ির হোসেন মিয়া তাদের মধ্যে অন্যতম।

আমার মাঝেমধ্যে অবাক লাগে। হোসেন মিয়াকে মনে হয় নিয়তির একটা পোর্ট্রেট। যার কাছে আমরা কেউ যেতে চাই না অথচ না যেয়ে উপায় নাই। যে হে���ে হেসে কথা কইলেও, কখনো রেগে না গেলেও আমরা জানি, সে আমার পরানের গহীন ভেতরের কেউ না- তাকে আমরা শ্রদ্ধা করি না, ভয় করি-- অথচ সেই ভয়কে প্রকাশ্যে ��েখানোও যায় না, আদবের মুখোশে তাকে ঢেকে রাখতে হয়। হোসেন মিয়া অনেকটা রহস্যের মত- স্বাভাবিকের সাথে মিশে থেকেও যে সাধারণ নয়, যে সৃষ্টিকর্তার মতন একা অথচ আত্মতৃপ্ত, যার সংকল্প দৃঢ় ও চৌম্বক-- পুড়ে যেতে হবে জেনেও আগুনের চারপাশে ভিড় করা পতঙ্গের মত তার দিকে সরে আসতেই হয় কুবেরদেরকে।

তো, হোসেন মিয়াকে বিশ্লেষণ করার জন্য এই লম্বা লেখার অবতারণা হয়নি। প্রায়ই ভাবি, এইরকম অনতিক্রম্য চরিত্র তো আমাদের প্রায় সবার জীবনেই থাকে। চরিত্র, স্থান, ঘটনা...। হোসেন মিয়ার ময়নাদ্বীপে কোন ল এনফোর্সমেন্ট থাকবে নাকি? যদি থাকে তাহলে সেখানে কী জাতীয় আইনকে প্রাধান্য দেয়া হবে? ময়নাদ্বীপে সম্পূর্ণ নতুন বসতি গড়ে তোলা হোসেন মিয়া আসলে বিনিময়ে কী চায়? ঐ নতুন দ্বীপের নতুন সমাজের নতুন মানুষেরা হোসেন মিয়ার স্তুতি করুক- এই মোহ? নাহ, হোসেন মিয়াকে তো স্তুতি-প্রশংসার মোহে ভেসে যাওয়ার মত দুর্বল চরিত্র মনে হয় না! জেলে সম্প্রদায় তাকে ভয় পেলেও ভালো যে বাসে না, সে কথা তার চেয়ে বেশি আর কেইবা জানে? তবে?

এই প্রশ্নখানা বেশ জরুরি। ময়নাদ্বীপ কেন? এখান থেকে হোসেন মিয়ার পাওয়ার কী আছে? এই প্রশ্নখানার উত্তর ভাবতে পারলে সম্ভবত এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির পেছনে বিধাতা পুরুষের উদ্দেশ্য এবং মনস্তত্ত্বকে খানিকটা ফিলোসফিক্যালি ব্যাখ্যা করা যাবে। অবশ্য এ নিয়ে বহু কূট প্রশ্নের অবতারণা করা সম্ভব-- এসব নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। আমার বরং জানার ইচ্ছা, মানিকবাবু এসব নিয়ে কদ্দূর ভেবেছিলেন? ভাবতে ভাবতে যে কনক্লুশানে পৌঁছেছিলেন, তা প্রকাশের ভয়েই কি অমন ইনডিসিসিভ ভাবে শেষ করে দিলেন? ছেড়ে দিলেন আমাদের উপর?

কাজটা ভাল হল না মশাই।
Profile Image for Rifat.
501 reviews329 followers
December 1, 2020
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একদম খাঁটি সত্য মিশ্রিত উপন্যাস রচনা করেছেন পদ্মা নদীর মাঝি কুবেরকে কেন্দ্র করে। কুবের এবং অন্যান্য পার্শ্বচরিত্রের মাধ্যমে জেলে পাড়ার এই বঞ্চিত মানুষদের একটা পার্ফেক্ট চিত্র তুলে ধরেছেন- সরলতা, জটিলতা, অবহেলা, কুটিলতা আর সাথে পাপ-পঙ্কিলতাও যেন পদ্মার মতো রহস্যময়ী হয়ে সমান্তরালে চলেছে।

কুবের চরিত্রের থেকেও বেশি ইন্টারেস্টিং চরিত্র ছিল "ময়না দ্বীপ" এর জীবন দানকারী হোসেন মিয়া আর কুবেরের শ্যালিকা কপিলা। হোসেন মিয়া খুঁজে খুঁজে অসহায় মানুষদের নিয়ে তুলছিলেন ময়না দ্বীপে; যেখানে কোনো কিছুর ভেদাভেদ নেই; অন্য রকম জীবন ব্যবস্থা। আর অন্যদিকে কপিলা তার রহস্যময়ী চালচলন নিয়ে হাজির হয়েছিল বোন মালার সংসারে।

উপন্যাসে যখন কপিলার আগমনের পর কুবের একবার কপিলাকে বলে-
"বাইত যা কপিলা"
এই লাইনটা অনেক বিখ্যাত হয়ে গেছে ইদানীং😐
উপন্যাস শেষ করার পর মনে হল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কথাটা আমাকেই বলেছেন। বাইত যা! তোর দ্বারা আমার বই আনন্দে পড়া হইবো না!

জ্বি, যাচ্ছি😑

~১ ডিসেম্বর, ২০২০
Profile Image for Soumyabrata Sarkar.
238 reviews40 followers
July 24, 2015
A visceral and enchanting saga into the lives of the fishermen of the river Padma. Padma is their lifeline, their mother and father. Their protector and destroyer, she offers plenty and also snatches away in the same manner. You are sucked into this world populated with lush scenery and the mighty river like goddess who is always in the background, controlling the lives of her dependents.

The author is successful in bringing life into the mere characters and their livelihood. Forming a close-knitted community, we see friendships, betrayal, love, adultery, cruelty and kindness in this miserable yet stubborn group of people.

The characters inked by the author will undoubtedly leave their mark on the reader. A family man, on the verge of an illicit relationship, yet bounded by his love for his family members, his wife:a bed-ridden miserable homemaker, unable to gain her husbands sympathy yet loving him all the way, an ordinary mother thinking about the well-being of her children and family yet unable to do the required, her sister:a seductress, and neglected being, receiving warmth and recognition by her brother-in-law. Then there are the side-characters. The ever-loyal Ganesh, the lovable,caring, yet guilt-ridden and vengeful Rashu, the irritating and liar neighbor, the ever-mysterious Hossain Mian, the kindly yet wrongly-misunderstood zamindar Mejokorta, the countable characters from the island of Moynakhali are the people who occupy this small world, away from the cacophony of city life in a far away village-island on the mighty Padma where we are transferred to.

A classic! Therefore a must read!
Profile Image for Saumen.
256 reviews
August 27, 2023
আমার ছেলেবেলায় আমার এক পড়ুয়া দাদা ছিলেন। তিনি একবার একটা গল্প বলেছিলেন।

"একবার একটা লোক রবীন্দ্রনাথকে বললেন, বাবু, আপনি যে অমুক গল্পটা লিখেছেন, সেটা পুরোটাই আমি বুঝেছি৷ এতো অতি সহজ গল্প। বলে তার মূলভাব ব্যাক্ত করলেন। রবীন্দ্রনাথ বললেন, কি বল, সত্যি নাকি! আচ্ছা!


ঘটনাক্রমে ৫-১০ বছর পর উক্ত ভদ্রলোকের সাথে গুরুদেবের আবার দেখা হয়৷ তখন লোকটি বললেন, জনাব, ভেবে দেখলাম আপনার গল্পের আরো গভীর কোন মানে আছে, যেটা ১০ বছর আগে আমি বুঝিনি। আহা! কি অসাধারণ গভীর একটা গল্প!রবীন্দ্রনাথ এবার হেসে বললেন, এবার তো বুঝেছ?"

পদ্মানদীর মাঝি তেমন একটা উপন্যাস। এই উপন্যাসটা ইন্টারে সবাই প্রায় বাধ্য হয়েই পড়েছিল। কিন্তু আমার মনে হয় কুবের কপিলার আদিরস ছাড়া কেউই ঠিক আন্দাজ করেনি, কত মহৎ একটা সৃষ্টি এই বইটা। 

আজ প্রায় ১২ বছর পর আবার পড়লাম বইটা। আর ভাবলাম, কতজন এমন বস্তুনিষ্ঠভাবে নিচুতলার মানুষের অভাব, অভিযোগ, প্রেম, কাম, জীবনধারা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন?এই ছোট্ট বইটার পরতে পরতে মানিকসুলভ শিল্পিত কদর্যতা, নির্মমতা,ফ্রয়েডীয় যৌনতা ভরা। একটা অসাধারণ গভীর সৃষ্টি। 

হ্যাঁ, অবশ্যই এরচেয়েও গভীর বই আমরা এখন পড়ি বলেই হয়ত আমরা এই বইটাকে সত্যিকার অর্থে এপ্রেশিয়েট করতে পারি না। কিন্তু হঠাৎ আজ পড়তে গিয়ে কিছু লাইনে চোখ পড়ে যাচ্ছিল। যেমন "আন্ধার রাইতে কি দেখলা মনে মনে থুইয়ো কুবের ভাই, কইয়া কাম নাই"। এই যে এনায়েত আর কবিলার নিষিদ্ধ প্রেমের একটা আভাস, এই তো গরিবের জীবনের আদিরস! কিংবা মালা যখন মেজকর্তার সাথে আমিনবাজার হাসপাতালে চলে যায় কুবেরকে না বলে, তখন কুবেরের যে রাগ! অথচ সে কিন্তু নিছুদিন আগে কপিলার সাথে এক হোটেলে রাত কাটিয়ে এলেও, সেটা আর কুবেরের মনে পড়ে না। এইযে গরীবের সেক্সুয়াল টেনশন।

আর লাস্টে সেই অমর লাইন,আমারে নিবা মাঝি লগে?এই লাইনের আর বিস্তারিত ব্যখ্যায় না যাই।

তাছাড়াও আছে কুবেরের হোসেন মিয়ার পকেট থেকে টাকা চুরি করা, কিংবা মেয়ের বিয়েঘটিত অর্থনীতির আলোচনা। রাসুর প্রতিশোধ। তলিয়ে দেখতে বসলে শুধুমাত্র কুবের কপিলার আদিরস নয়, পদ্মাপাড়ের নিম্নবিত্ত মাঝিদের সামাজিক, অর্থনৈতিক জীবনের নানা বস্তুনিষ্ঠ চরিত্রই আমাদের চোখে পড়বে।

তাই আমার কাছে মানিক এত স্পেশাল। আর উপন্যাসটা একটা অদ্ভুত ভাললাগার অনুভূতি। 
Profile Image for Bookishbong  Moumita.
470 reviews131 followers
January 8, 2019
লেখক আমার অতি প্রিয়। ছোটবেলায় এই বইয়ের কিছু অংশ পাঠ্য হিসাবে ছিল। তখন থেকেই পড়ার শখ। অবশেষে পড়লাম।
কেতুপুর গ্রামটা পদ্মানদীর পারে । সেই গ্রামের মাঝিদের নিয়ে গল্পের আবর্তন। মাঝিদের সুখ দুঃখ নির্ভর করে পদ্মার উপর। উত্তাল স্রোতে কখন কেড়ে নেয় ঘর, কখনো আবার প্রাণ। তবু তারা বাঁচে।
এই বইয়ের চরিত্রগুলি অতিযত্ন সহকারে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বলি তুলে ধরেছে।
Details review আমার youtube channel এ আছে। Link in bio .
Profile Image for Hanif.
154 reviews5 followers
December 29, 2022
গ্রাম্য জীবনকে খুবই অসা��ারণ ভাবে তুলে ধরেছে বইটিতে। গ্রাম্য মানুষগুলোর আচার-আচরণ হতে শুরু করে ওদের কথা_বার্তার ধরণ, চলাফেরা, লেনদেনের ধরণ সবকিছুই খুবই সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। প্রতিটা চরিত্রই যেন পড়ার সময় চোখের সামনে ভেসে উঠত, খুবই বাস্তবিক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।
কেন্দ্রীয় চরিত্র কুবের তার সাংসারিক জীবন নিয়ে ভাবনা আর দারিদ্র্যের পাশাপাশি গ্রামের সকল মানুষের ছায়া খুব ভালোভাবেই আলোচনা করা হয়েছে।
কুবের প্রতিবারই তার শালীর( নায়িকা কপিলা) প্রতি অন্যরকম নজরটি গল্পটিকে যে লালসার তৃপ্তি জাগিয়েছে সেটি পাঠকদের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করবে (দারিদ্র্য এবং কামুকতার সম্পর্কে নানান প্রশ্ন জাগিয়ে)।
Profile Image for Mahbuba Sinthia.
133 reviews97 followers
May 30, 2021
ধ্রুপদী সাহিত্য পড়ার এই এক সমস্যা, যে বই কালের স্রোতে হারিয়ে যায়নি, বরং প্রবল প্রতিপত্তি নিয়ে টিকে আছে, সে বইতে পাঁচের কম তারা দিতে কেমন একটা যেন লাগে। মনে হয় আমিই হয়তো ধরতে পারলাম না, লেখক কী বলতে চাইছিলেন।
Profile Image for Séraphine  Fiore ☾.
105 reviews12 followers
December 22, 2024
পুতুলনাচের ইতিকথা পড়ার পর এক্সপেকটেশন অনেক বেড়ে গিয়েছিলো, সে অনুযায়ী চূড়ান্ত লেভেলের হতাশ হয়েছি। অনেকের কাছে হয়তো এই গল্প ভালো লেগেছে, তবে আমার কাছে বিরক্ত লেগেছে।
Profile Image for Shakil Mahmud.
90 reviews40 followers
December 29, 2020
মানিকের সাথে আমার প্রথম পরিচয় সেই ২০১১ সালে। এই উপন্যাসের মাধ্যমেই। কালেজের প্রথম বর্ষে আমাদের পাঠ্য ছিল এটা। সেই অব্দি এই উপন্যাস মিনিমাম ৫ থেকে ৭ বার পড়া হয়েছে (একাডেমিক উদ্দেশ্যে পড়ার হিসাব বাদ দিয়ে)।

যতবারই পড়েছি খারাপ লাগেনি কোনোদিনই। বরং প্রতিবারই এটাকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করেছি। প্রতিবারই মানিকের ভেতর একটু একটু করে প্রবেশ করেছি। প্রত্যেকটা বারই নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার আলাদা আনন্দ পেয়েছি। ভবিষ্যতে আরও পাবো। আবারও পড়বো কোনো একদিন।
Profile Image for Edward Rony.
90 reviews9 followers
June 30, 2021
'পদ্মানদীর মাঝি' মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সবথেকে জনপ্রিয়, সর্বাধিক পঠিত ও সর্বাধিক পরিচিত উপন্যাস।
'পদ্মানদীর মাঝি' প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে। এটি মানিকবাবুর চতুর্থ মুদ্রিত উপন্যাস ও পঞ্চম মুদ্রিত গ্রন্থ।
'পদ্মানদীর মাঝি' সর্বপ্রথম 'পূর্বাশা' পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। কিন্তু মাঝপথে 'পূর্বাশা' 'র প্রকাশ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে, ধারনা করা হয় পত্রিকায় প্রকাশিত উপন্যাসটি অসম্পূর্ণ
'পূর্বাশা' পত্রিকায় প্রকাশের পর 'পদ্মানদীর মাঝি' যখন গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়, তখন মানিকবাবু তাতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন। মূল কাহিনী অপরিবর্তিত রেখেই কিছু সংলাপ, স্থানীয় বর্ননা, আঞ্চলিক শব্দের প্রয়োগে বেশ পরিবর্তন আনেন। ক্ষেত্র বিশেষে কিছু অংশ সংযোজন বা বিয়োজনও করেন, তবে তা মূল কাহিনীর উপর তেমন প্রভাব ফেলে নি।
কিছু ভৌগলিক স্থানের নাম সম্পূর্ণ পাল্টে দেন মানিকবাবু। যেমন: পূর্বাশায় প্রকাশিত 'গোয়ালন্দ', উপন্যাসে পরিবর্তিত হয় 'দেবীগঞ্জ' নামে। একইভাবে 'রাজবাড়ী' হয়ে যায় 'আমিনবাড়ি'।
আবার, 'পূর্বাশা' তে কপিলাকে সন্তানবতী রমনীরূপে দেখা গেছে। একাধিক স্থানে কাপিলা আর তার ছেলের কথা উল্লেখ আছে। তবে, পরে উপন্যাসে কপিলাকে দেখানো হয়েছে নিঃসন্তান ভাবে।
'পদ্মানদীর মাঝি' প্রকাশিত হওয়ার পর বেশ কিছু বিদেশী ও ভারতীয় ভাষায় তা অনূদিত হয়েছে। সর্বপ্রথম অনূদিত হয় ইংরেজি ভাষায়, ১৯৪৮ সালে। এরপরে, একাধিকবার বিভিন্ন অনু্বাদক দ্বারা 'পদ্মানদীর মাঝি' ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে।
১৯৫৩ সালে সুইডিশ ভাষায়, ১৯৫৪ সালে চেক, ১৯৫৬ সালে চৈনিক ও হাঙ্গেরীয়, ১৯৭৯ সালে শ্লোভাক, ১৯৮৩ সালে ডাচ, ১৯৮৫ সালে জার্মান ভাষায় অনূদিত হয় 'পদ্মানদীর মাঝি'। এছাড়া রুশ, বুলগেরীয়, নরওয়েজীয়, লিথুয়ানীয় ভাষাতে অনূদিত হয়েছে।
এর ভেতরে কেবল চেক ও সুইডিশ ভাষায় অনুবাদের জন্য স্বত্বজনিত কারনে অর্থপ্রাপ্তির তথ্য পাওয়া যায়।
ভারতীয় ভাষা গুলির ভেতর হিন্দী, মালায়ালম, তামিল, কানাড়ি ও ওড়িয়া ভাষায় অনুবাদের তথ্য আছে।
১৯৫২ সাল থেকেই 'পদ্মানদীর মাঝি' অবলম্বনে চলচ্চিত্রায়ণের উদ্যোগ লক্ষ করা যায়। মানিকবাবুর দিনপঞ্জিতে বিভিন্ন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে এবিষয়ে বিভিন্ন চুক্তির উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে মানিকবাবুর জীবিতকালে কোন চুক্তিই কার্যকর হয়নি।
১৯৫৬ সালে মানিকবাবুর জীবনাবসানের অব্যবহিত পূর্বে 'পদ্মানদীর মাঝি' অবলম্বনে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে উর্দু ভাষায় নির্মিত হয়েছিল 'জাগো হুয়া সবেরা'। এর ৩৭ বছর পর, ১৯৯৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হয় 'পদ্মানদীর মাঝি' চলচ্চিত্র।
১৯৪৬ সালের একটি চিঠিতে মানিকবাবু উল্লেখ করেন, 'পদ্মানদীর মাঝি'র মত একটি উপন্যাস লিখতে 'বসুমতি'র সম্পাদক অর্ডার করেছেন। তবে তিনি বর্তমানে শহরে বসবাস করার জন্য গ্রামের সরলতাকে ভুলতে বসেছেন। তবুও তিনি একটি লেখা দেবেন, যাতে সম্পাদক অবশ্যই খুশি হবেন।
'পদ্মানদীর মাঝি' যখন আমি প্রথম পড়ি, তখন একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। যদিও তখন মূল্য উদ্দেশ্য ছিল এক্সামে ভাল নাম্বার পাওয়া, তবুও অন্যরকম একটা ভাললাগা ছিল 'পদ্মা নদীর মাঝি'র জন্য। আমার মনে আছে, সব রিটেন এক্সাম যেদিন শেষ হলো, সেদিন বাসায় এসে বেশ কিছুটা অংশ পড়েছিলাম বইটির।
অনেকটা সময় পর, এবার যখন পড়লাম সেটা সেই পুরাতন ভাললাগা থেকেই। অনেক কিছু নতুন মনে হলো, মানে আগে এতোবার পড়া সত্বেও কিছু কিছু অংশের অর্থের গভীরতা আরও ভাল করে, অন্যভাবে বুঝতে পেরেছি।
এখানে বলে রাখা ভাল, আমরা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে যেটা পড়েছি সেটা 'কলেজ সংস্করন'। মূল উপন্যাসের বেশ কিছু অংশ বিয়োজন করা।
'পদ্মানদীর মাঝি' তখন পড়া থাকলেও নতুন করে মূল উপন্যাসটা পড়তে গিয়ে আরও মুগ্ধ হয়েছি।
ইভেন এরপরও যত বই পড়ি না কেন, 'পদ্মানদীর মাঝি'র প্রতি যে মুগ্ধতা, ভালবাসা, টান, আবেগ সহ নানান ইমোশন জড়িয়ে গেছে সেটা অন্য কোন উপন্যাস নিতে পারবে না।
Profile Image for Safwan  Mahmood.
113 reviews4 followers
May 19, 2024
'Padma Nadir Majhi', a classic novel by Manik Bandopadhyay, depicts the life of the riverine people living on the banks of the Padma River. The writer has developed the story around the main character Kuber Majhi. Kuber is a boatman on the Padma river, who drives other boats and fishes for others during the hilsa season to earn extra. He has a family in Majhi Para of Ketupur, a village on the banks of the Padma, with his crippled wife Mala and sons and daughters. In the life of this poor boatman, there is always a tug of money.

By presenting the life of Kuber boatman and his surrounding environment, the author has portrayed the life of the riverine village people of Bengal in his story. Apart from Kuber, some other characters have important place in the story. Through each character the poverty, simplicity, low-level deceit, as well as blind religious and sin mindset of these people are vividly portrayed. And the characterization of Hussain Mia as a different character was very strong.

Although the book is written in old style, it is simple and easy to read. And the description of the river Padma and its banks of Majhi Para is so strong that it feels like I am physically there. Also, the combination of the author's oldstyle narration and local dialect dialogues is beautiful. The presentation of the story was realistic. That's why along with the story of the simplicity of those people, things like deception, crime, emotional tension, forbidden relationship between men and women have also emerged.

Also, reading about the poverty, economic hardship and destitution of these riverine people due to the frenzy of nature has made me feel very sad. All in all, the book 'Padma Nadir Majhi' has become one of my favourites. Wanted to give more feedback on the book. I also wrote a larger review. But after selecting the text and pressing paste while copying, it has disappeared. Don't want to write them again now. So I can't say much about the book.

📚 Name of the book: Padma Nadir Majhi

📚 Author: Manik Bandopadhyay

📚 Book Genres: Classic Fiction, Social Novels

📚 Personal Rating : 4.5/5
Profile Image for Bahadur Biswas.
38 reviews5 followers
October 27, 2019
'পুতুল নাচের ইতিকথা' পড়ার পর থেকেই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ভালবাসা জন্মেছিল, 'পদ্মা নদীর মাঝি' শেষ করার পর সে ভালবাসা আরো মজবুত হল। যে নিপুন দক্ষতার সাথে লেখক কেতুপুর গ্রামের দরিদ্র মাঝিদের জীবনযাত্রার গল্প বুন��ছেন তা শুধু বাংলা সাহিত্যেই না বিশ্ব সাহিত্যেও বিরল। এ গল্প কুবেরের লড়াইয়ের গল্প, এ গল্প হতদরিদ্র পদ্মা নদীর মাঝির প্রতিদিনের গল্প। এ গল্প শুধু কেতুপরে সীমাবদ্ধ থাকে না, পদ্মা নদী পেরিয়ে, দেশ ও জাতির গন্ডি পেরিয়ে এ গল্প ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র খেটে খাওয়া, প্রতিনিয়ত জীবনের সাথে লড়াই করে যাওয়া মানুষগুলির মধ্যে। মনে পড়ে যায় 'রাইডার্স টু দি সী' এর কথা, মনে পড়ে মৌরিয়া, নোরা ও বার্টলের অসহায় সংগ্রামের কথা। ভাষা ও ভৌগোলিক বিরূপতার কারণে যে আবেগ ও অনুভূতি গুলো 'রাইডার্স টু দি সী' নাটকে আমরা উপলব্ধি করতে পারিনি, সেই অনুভূতির স্বাদ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দিয়েছেন।
Profile Image for Preetam Chatterjee.
6,736 reviews355 followers
April 1, 2024
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সারির আঞ্চলিক উপন্যাসগুলির অন্যতম আঞ্চলিক উপন্যাস হল 'কল্লোলের কুলবর্ধন' মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পদ্মা নদীর মাঝি'। কেবল অঞ্চলগত বৈশিষ্ট্য বর্ণনায় নয় চরিত্র চিত্রণে লেখকের দক্ষতা অনবদ্য, অসাধারণ। উপন্যাসে উঠে এসেছে পদ্মা তীরস্হ মানুষগুলোর জীবনযাত্রার প্রাত্যহিকতা, তাদের দুঃখ-দুর্দশার জীবন্ত চিত্র। কুবের, মালা, কপিলা প্রভৃতি চরিত্রের মুখের কথায় যেমন আঞ্চলিকতার বৈশিষ্ট্য পরিপূরিত হয়েছে তেমনি পাঠকসমাজে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে রহস্যময় হোসেন মিঞা চরিত্রটি। উপন্যাসের নায়িকা কপিলার পুরুষমানুষের মনে আদিম প্রবৃত্তির আবেদন জাগানো চপলতা এবং নারীমনের দুর্বোধ্যতা উপন্যাসটিকে ভিন্ন স্বতন্ত্রতা দিয়েছে।
Profile Image for Saad.
27 reviews16 followers
November 30, 2020
This is another contemporary, Bengali classic that I had to read in my college level. It again shows the Bengali culture, norms. However, I found it better than 'Hajar Bochor Dhorey'. At least, no one is beating wives here. In fact, the protagonist in this book married a cripple woman, and never demeaned her about it, as I thought I would be seeing. Besides, in this book the protagonist takes actions in the end. The issue with reading old classics is not the writing. The writing and all the human emotions and philosophy it portrays are great. But if there's no character I want to follow, even good writings will make me sleep.
Profile Image for Nita.
19 reviews69 followers
December 30, 2019
The story depicts life of an oarsman Kuber who lives on the bank of the river Padma. Intricate writing style of the author to bring out details of everyday life of a common oarsman whose main livelihood is catching fish during monsoon makes it an engrossing read. However, my expectations from Manik Bandopadhyay was a notch higher in terms of depth of story.
Profile Image for Minhaj Abedin.
28 reviews20 followers
October 2, 2016
বাংলা সাহিত্য এ মার্ক্সবাদ আর ফ্রয়েডীয় তত্ত্ব দুইটার সমন্বয়ে গঠিত উপন্যাস দুর্লভ নয়, তবে এই বইয়ের মতো সাধারণের চোখে মার্ক্সবাদ -আবেগ -ভালোবাসা -দর্শন উপলব্ধি করে তাকে লিপিবদ্ধ করা বড়ই দুর্লভ।
Profile Image for Shahidul Nahid.
Author 5 books141 followers
May 31, 2015
পরকীয়া শিখাইছে... যদিও জীবনের অন্য একটা দিক দেখিয়েছিল :) পাঠ্যবই হিসেবে না থাকলে আরো মজা লাগতো...
Profile Image for Nafis Oli.
Author 4 books15 followers
Read
July 8, 2016
হা হা হা ইহা আমার পাঠ্যপুস্তক। না পড়ে উপায় আছে কি? আমি জ্ঞান করি, এটা অন্যতম সর্বাধিক পড়া বই। নিশ্চয় আপনারও না পড়া নয়।
Profile Image for Faisal.
16 reviews31 followers
March 24, 2022
This one does not need a review. Despite being a text, I am very fond of this one and find myself rereading parts of it every once in a while. One of the best works of Manik B.
Profile Image for Munem Shahriar Borno.
202 reviews12 followers
November 22, 2023
বইখানা না পড়িয়া ইন্টার পাশ করার কোন উপায় ছিল না!
Profile Image for Paromita.
162 reviews30 followers
November 28, 2024
বইটির প্রধান চরিত্র এক জেলে কুবের যে পদ্মা নদীতে মাছ ধরে ও বিক্রী করে জীবনযাপন করে। পার্শ্ব চরিত্র কুবেরের পরিবারের ও চারপাশের কিছু মানুষ, তা ছাড়া আছে হোসেন মিয়া যে এই মাঝিদের নিয়ে এক অন্য কাজ চালায়।

বইটি ভাল লেগেছে দক্ষ লেখনীর গুণে। মাঝিরা খুবই দরিদ্র, দৈনন্দিন অন্নসংস্থান এক বিশাল চিন্তা। এছাড়া সাধারণ মানুষের নানা ব্যক্তিগত সমস্যা ও সংঘাত আছেই। এই সমস্ত দিকগুলি লেখক তুলে ধরেছেন। dialectএ লেখা কথোপকথন মাঝিদের আরো বাস্তবিক করেছে কিন্ত আমার (সম্ভবত অনঅভ্যাসের কারণেও) পড়তে বেশ অসুবিধা হয়েছে। একটা সময়ের পর পড়তে পড়তে অভ্যাস হয়ে গেছে, এটাই লেখকের কাহিনীর নিপুণতা।

মাঝির জীবন হতাশাজনক। সামাজিক ও আর্থিক টানাপোড়েনে নিরুপায়তাই চিরন্তন সঙ্গী। শুধু সমঝোতা, মেনে নেওয়া। আমাদের বেশিরভাগ মানুষের জীবনও তাই। আমার কাছে এটা এক ধরনের পরাজয়। বইটি তাই মন খারাপের রেশ নিয়ে শেষ করেছি। শেষটি খুব সুন্দরভাবে রচনা করেছেন লেখক, আমি এটা অনেকদিন মনে রাখব।

আবার পড়ব কি? সম্ভবত নয়, কিন্ত অন্তত একবার পড়তে পেরে ভাল লেগেছে। কালজয়ী সাহিত্য।
Profile Image for Shihab Uddin.
289 reviews1 follower
July 13, 2024
'ইশ্বর থাকেন ঐ গ্রামে, ভদ্র পল্লীতে, এইখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না '

উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হচ্ছে কুবের ও কপিলা।  তাদের এক নিষিদ্ধ প্রেমের উপাখ্যানকে কেন্দ্র করে উপন্যাসটি আবর্তিত হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কিছু গৌণ চরিত্র। নানা ঘাত-প্রতিঘাতে তাদের প্রেম কাহিনী চলে। তবে কুবেরের নামে হঠাৎ চুরির মামলা আসলে সে পলায়ন করতে বাধ্য হয়। এর মাঝে হোসেন মিয়া প্রস্তাব করে তাকে যে করেই হোক তাকে ময়নাদ্বীপে আশ্রয় দিবে। 

কুবের ময়নাদ্বীপে যাওয়ার স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে নৌকায় গিয়ে বসে। সে সময় কপিলা এগিয়ে গিয়ে আবেদন জানায় তাকেও সাথে নিয়ে যেতে। এ কথা শুনে কুবের  মনে মনে পুলকিত হয়। কপিলাকে সঙ্গে পাবে, কপিলা তার সাথে বাকি জীবন তার হয়ে থাকবে -ভাবতেই এক আদিম শিহরণ তার ভেতর ছলকে ছলকে ওঠে।  সে ভুলে যায় তার ফেলে আসা জীবনের কথা,স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের কথা। আর অন্তঃস্থলে শুধু একটি নামই তখন ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়, সে হলো কপিলা ;যাকে কাছে পাওয়ার এক অদম্য কামনা এতদিন ধরে সে মনে মনে পুষে রেখেছে। আজ তাই সে সুযোগ হাতছাড়া করে না কুবের। কুবের-কপিলার নৌকা ছুটে চলে ময়নাদ্বীপে।

'পদ্মানদীর মাঝি' উপন্যাসের পটভূমি বাংলাদেশের বিক্রমপুর ফরিদপুর অঞ্চলের। এই উপন্যাসের পদ্মার তীর সংলগ্ন কেতুপুর ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের পদ্মার মাঝি ও জেলেদের জীবনালক্ষ চিত্রিত হয়েছে। 

পদ্মা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী। এর ভাঙ্গনপ্রবণতা ও প্রলয়ঙ্ককরি স্বভাবের কারণে একে বলা হয় 'কীর্তিনাশা' বা রাক্ষসী পদ্মা। এ নদীর তীরের নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা নেই। শহর দূরে এ নদী এলাকার কয়েকটি গ্রামের দীন-দরিদ্র জেলে ও মাঝিদের জীবনচিত্র উপন্যাসটিতে অঙ্কিত। জেলে পাড়ার মাঝি ও জেলেদের জীবনের  সুখ-দুঃখ-কান্না-অভাব-অভিযোগ __যা কিনা প্রকৃতিগতভাবে সেই জীবনধারার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, তা এখানে বিশ্বস্ততার নিরিখে চিত্রিত। জেলেদের প্রতিটি দিন কাটে দীনহীন অসহায় আর ক্ষুধা-দারিদ্র্যের সাথে   লড়াই করে। দু'বেলা দু'মুঠো খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই যেন তাদের জীবনের পরম আরাধ্য। এটুকু পেলেই তারা খুশি। 

'পদ্মানদীর মাঝি' মূলত আঞ্চলিক উপন্যাস। 'পদ্মানদীর মাঝি'র মতো তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কবি' ও ' হাঁসুলী বাঁকের ইতিকথা',  সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর 'লালসালু', অদ্বৈত মল্লবর্মণের 'তিতাস একটি নদীর নাম', আবু ইসহাকের 'পদ্মার পলিদ্বীপ', সমরেশ বসুর 'গঙ্গা' ইত্যাদি আঞ্চলিক উপন্যাস হিসেবে বিশেষভাবে সমাদৃত। 

মাক্স ও ফ্রয়েডীয়  মতানুসারী উপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্য সব উপন্যাসের চেয়ে 'পদ্মানদীর মাঝি'ই সবচেয়ে নন্দিত এবং বহুল পঠিত উপন্যাস। এ উপন্যাসে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সচেতনভাবে জেলেদের জীবন কাহিনী আঞ্চলিক ভাষায় উপস্থাপন করেছেন, যা উপন্যাসকে আলাদা একটা মর্যাদা দিয়েছে আর ঔপন্যাসিক হিসেবে তাকে দিয়েছে খ্যাতির মুকুট। '

আসাদুজ্জামান খান

'পদ্মানদীর মাঝি' উপন্যাস সম্পর্কে আহমদ ছফার প্রবন্ধ রয়েছে৷ উক্ত প্রবন্ধে তিনি বিশেষ করে 'হোসেন মিয়া চরিত্রটিকে বিশেষ প্রাধান্য দিয়েছেন।

' উপস্থিত মুহূর্তে আমরা তার চরিত্রটির প্রতি একটু অভিনিবেশ সহকারে তাকাবার চেষ্টা করছি। বেবাক বাংলা সাহিত্যে এমন আশ্চর্য চরিত্র আর কোন শিল্পী সৃষ্টি করেছেন কিনা সন্দেহ। শুধু অন্তদৃষ্টি, শুধু জীবনবোধ কিংবা লেখকসুলভ নির্লি প্ততা, লেখার রাজনৈতিক-সামাজিক দর্শন অথবা মানব চরিত্র সম্পর্কে জ্ঞান থাকলেই এরকম চরিত্র করা যায় না। আরো অধিক কিছুর প্রয়োজন। 

ঘটনাচক্রে যদি হোসেনের জীবনধারা বদলে না যেত তাহলে অনায়াসে কবিত্বশক্তির বলে  অলৌকিক শক্তিসম্পন্ন একজন সাধুপুরুষ হিসেবে বিবেচিত হতে পারত। 'লালন শাহ',' হাসান রাজার' মতো অনেকগুলো রচনা পল্লীগ্রামের গীতিসংগ্রহে স্থান করে নিত। আশেপাশের দশ গ্রামের মানুষ জাগতিক কল্যাণ্যাকাক্ষায় কবরে ভক্তিভরে মোমের প্রদীপ জ্বালাতো। কিন্তু ঘটনাচক্রে হোসেনকে অন্য জীবন বেছে নিতে হয়েছে। তাই বলে তার কবিত্ব শক্তির উৎস একেবারে রুদ্ধ হয়ে যায়নি। এখনও সে ইচ্ছে করলে মুখেমুখে চমৎকার গান রচনা করতে পারে। 

ময়নাদ্বীপে সে যে নতুন মানবসমাজ সৃষ্টি করতে চায় তারা সম্পূর্ণ নতুন মানুষ হবে, হবে নতুন বিশ্বাসে বলিয়ান; নতুন মূল্যচেতনায় সমৃদ্ধ হবে তাদের অন্তর্লোক। অতিকষ্টে যে সকল ভাঙাচোরা মানুষকে হোসেন সংগ্রহ করে, পাত্রী ঠিক করে তাদের বিয়ে দেয়, তাদের প্রতি ও হোসেনের কোন আগ্রহ নেই। কিন্তু এই নর-নারীর মিলনে যে নতুন মানুষ-মানুষী আসবে এবং  ময়নাদ্বীপে বসবাস করবে, তাদের প্রতি রয়েছে তার প্রকৃত আগ্রহ। যেন হোসেন নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে সম্পূর্ণ মানব সভ্যতার সৃষ্টি করতে যাচ্ছে একাকী। এইরকম একটি প্রকাণ্ড ঘটনা যার প্রয়াসের মধ্যে থেকে সম্ভাসিত হয়, তাকে বিধাতা-পুরুষের মতো পারঙ্গম, দুজ্ঞেয় এবং  ইচ্ছা শক্তি সম্পন্ন হয়ে উঠতে হয়। স্বয়ং  বিধাতা-পুরুষও নাকি একজন কবি। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তার কবিতা৷ মানিকবাবুর হোসেন মিয়াও একজন ক্ষুদে বিধাতা-পুরুষ। সীমিত পরিসরের মধ্যে তার অসাধ্য কোনো কিছুই নেই এবং ময়নাদ্বীপ তার একটি কবিতা। একজন ভাবমুগ্ধ কবি যেমন সমস্ত প্রযত্ন প্রয়াস বিলিয়ে কবিতাকে সার্থক করে তুলতে চান তেমনি হোসেন মিয়া ও স্বপ্নের শেষ বিন্দুটি দিয়ে ময়নাদ্বীপকে লোক- কোলাহলে মুখরিত একটি কাব্যিক ভূখণ্ড হিসেবে নির্মাণ করতে চায়।

আধুনিক বাংলা উপন্যাসের সমালোচকেরা হোসেন মিয়ার চরিত্রের যে একটা ঐতিহাসিক দূর-বিস্তৃতি রয়েছে, বলতে গেলে তার মর্ম অনুধাবন করতে ব্যর্থই হয়েছেন। কাউকে এ ব্যাপারে কোন ইঙ্গিত করতে দেখা যায়নি। যতটা চেনা পোশাকে দেখা দিক না কেন হোসেন মিয়া চরিত্রের কোনো বাস্তবতা নেই। এ সম্পূর্ণভাবেই লেখকের মায়াসৃষ্টি। এই হোসেনকে  জামাকাপড় পাল্টে ভিন্নতর পরিবেশে অনায়াসে সাইন্স ফিকশনের নায়ক করে দেয়া খুবই সহজ। 'পদ্মানদীর মাঝি, উপন্যাসে জীবন্ত নরনারী এবং সজীব প্রাণবান প্রাকৃতিক দৃশ্যের অন্তরালে অবাস্তবতাটুকু  ঢাকা পড়েছে। সর্বোপরি মানিক বাবুর অসাধারণ শিল্প-প্রতিভা হোসেন মিয়াকে একান্ত বাস্ত বানুগতভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। '

বাঙালী মুসলমানের মন (১৯৮১/১৯৯৬) / আহমদ ছফা নির্বাচিত প্রবন্ধ, পৃষ্ঠা :১৩৬-১৪১

সর্বোপরি  আমার পড়া মানিক বন্দোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হচ্ছে 'পদ্মানদীর মাঝি'। তবে যে কেউ এই উপন্যাসের বাজে দিক তুলে ধরতে পারে৷ এর মধ্যে সমালোচকদের প্রথম ও প্রধান অভিযোগ হচ্ছে 'নিষিদ্ধ প্রেম'।
Profile Image for Anirban Nanda.
Author 7 books40 followers
September 4, 2019
"Padma Nadir Majhi" (1936) starts with a boatman Kuber's clear helplessness in front of the boat-owner Dhananjay and the river Padma. This sets the tone of the novel: real, vivid, unsentimental and dark. When the premature newborn baby cries in the night, Kuber reflects,
Even though the boy has come a bit early, he has a loud voice. He can scream.

The novel is about the life of Kuber, a poor boatman, and his family: crippled wife Mala, 11 year old soon-to-be-married daughter Gopi, sons Lakha and Chandi. Their lives depend on the mood of Padma river. If days are good, Kuber may get a good amount of Hilsa, and they can get a full meal. Otherwise, starvation. The story arc changes dramatically when a storm hits and ruins a lot of boat-men's houses. Nature is not a Tagorian beauty here. She is ruthless, she kills people. Kuber's family and professional lives, both change.

Many homes has got ruined beyond repair during the storm. While distributing the raised money to help the victims, class division comes into picture. The Brahmin will get 7 while the five majhi families had to share a mere 10 rupees. Kuber loses his job because one of the boats he used work has been destroyed by the storm. During all this, enters Kapila, Kuber's sister-in-law. Initially he(Kuber) was angry to bring and feed her and others (who were almost homeless) to his wretched home so that they can stay a few days. Gradually, Kuber starts realizing the usefulness of nimble lively Kapila, as compared to his crippled wife Mala. Kapila's spontaneity, her open coquetry confounds Kuber, slowly giving him a space to find respite from the monotony of family life.

On the other hand, Kuber takes up work with the cunning businessman Hossen Miya. He has many unknown sources of earning. He has bought an island where he is slowly raising families and setting up a kingdom of his own. He manipulates helpless people into moving to his island, clear forest, cultivate land and in return, give him tax. There is no class distinction. No monetary system. Hand to mouth life. Communism. But Hossen Miya also earns a lot by doing business in opium. Unknowingly, Kuber gets involved in this trap of illegal business. His financial condition improves but, he has no happiness. Fear is eating him up. Also, the separation from Kapila is tormenting him like anything. With an unfulfilling marriage and a threat to be imprisoned, Kubar has no other way but to be exiled on the distant island of Hossen. The only happy thing is Kapila too, decides to go with him.

cadc024d429ac4a39536950184cb1c3d.jpg_340x340q80.jpg

978-81-250-4934-0

Tendency of failing is inherent in human nature. In the beginning of the novel, the author sympathizes the men who has lost their long-saved money in gambling in the village fair.
Couldn't they control their selfishness on getting a few hours of independence?

Later, Kuber too, will not be able to control himself from stealing a few rupees after getting some unobserved moments with Hossen Miya's new wallet, which is ironical because at the end, he gets trapped in false accusation of stealing of a huge sum. Maybe the trap was set by Hossen Miya himself which is indicated by Kuber's self-reflective reply to Kapila,
Hossen Miya will take me to the island, Kapila, whatever may. I won't be free even after doing time once. I'd be sent again.

Thus, this novel is about cruelty of nature and social division and the utter corruptibility of human nature. That's what makes the characters in this work so real. Kuber is an ordinary boatman struggling to get by in life. He is honest, but he steals when he gets the opportunity, cheats on his wife, neglects his daughter's serious leg injury, remains indifferent and cruel to Maya. Kapila banks on Kuber when she is helpless and then forgets him when her husband takes her back. All these emphasize the reality of the characters. The author said somewhere,
Artists must have a scientific attitude, especially today, so that one can detect the illusory pitfalls of spiritualism and idealism. … The mood and idea of a novel must be based on reality. The characters may turn out to be odd, but still they need to be earthly and real. …The narrative of a novel can involve imagination that is beyond reality, a mindscape that exists only in the mind of a writer; yet such creation must be grounded in real lives, real people and real environment.

And this is where Manik Bandopadhyay shines so brightly in the sky of modern Bangla literature.
Profile Image for Israt Jahan.
9 reviews5 followers
Read
February 3, 2021
গত তিন-চার বছরে কয়েকবার পড়তে বসেও শেষ করতে পারিনি।শেষই যেন হতে চায় না।প্রথমদিক পড়েছি খালাতো বোনের বাসায়,পরে তার বাড়ি গিয়ে বইয়ের টিকিটিও ফেলাম না।,তাই এবার পিডিএফে পড়ে নিলাম।
Displaying 1 - 30 of 208 reviews

Join the discussion

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.