আরজ আলী মাতুব্বরের গ্রন্থ পড়ে আমি মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়েছি নতুন কথা বলে নয়, তাঁর মুক্তবুদ্ধ,সৎসাহস ও উদার চিন্তা প্রত্যক্ষ করে। ----আহমদ শরীফ ....আরজ আলী মাতুব্বর জীবনের জিজ্ঞাসার যে চিত্র তুলে ধরেছেনে , তা পাঠকের মনে চিন্তার খোরাক যোগাতে সক্ষম। ----- সাইদুর রহমান ....আরজ আলী মাতুব্বর প্রথম ও নির্মম যে অন্ধকার সুচিরকাল ধরে স্থায়ী হয়ে আছে এই বাংলাদেশে , তার কথাই বলেছেন তাঁর বইতে। বর্ণনা করে নয় প্রশ্ন করে। ------সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ..... আরজ আলী মাতুব্বর শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের অহঙ্কার ও আত্নতৃপ্তিকে শক্ত হাতে নাড়িয়ে দিয়েছেন। ------হাসনাত আবদুল হাই সূচী: ভিখারীর আত্নকাহিনী : প্রথম খন্ড; ভিখারীর আত্নকাহিনী :দ্বিতীয় খন্ড; ভিখারীর আত্নকাহিনী : তৃতীয় খন্ড; ভিখারীর আত্নকাহিনী :পঞ্চম খন্ড; জীবন বাণী
Aroj Ali Matubbar (Bengali: আরজ আলী মাতুব্বর) was a self-taught philosopher and apostate, of Bangladesh. He was born in British India on 17 December 1900 (Bengali year 1307) in the village of Lamchari in Charbaria union, about 11 km from Barisal town, currently in Bangladesh.
His original name was Aroj Ali, and he only acquired the name 'Matubbar' (meaning 'local landlord') later. He was born to a poor farming family. He studied for only a few months at the village maqtab, however this brief dabble in institutional education centered only on the Quran and other Islam studies. He gathered most of his knowledge on varied subjects, including science and philosophy, through his own readings and research.
Matubbar was little known to the elite educated society of the country during his lifetime. His first book, published in 1973, was rich with secular thought but caught little attention. It is only in the final years of life that he came to be known to the enlightened society of the country. His writings were collected and published. People in general started to take an interest in his books, which, although reflecting an untrained mind, posed a number of intriguing questions. He soon rose to eminence, albeit after his death in 1985.
তো বইটা শেষ কইরা ফেললাম। এইটা বায়োগ্রাফি টাইপের রচনা। লেখক তাঁর ঘটনাবহুল জীবনকে নানান চ্যাপ্টারে ভাগ কইরা সাজাইছেন। বিভিন্ন জায়গায় হয়তো তিনি এগজাক্ট মেমোরি ভুইলা গেছেন, মানে খুঁটিনাটি তথ্যের বিষয়গুলা। এবং তিনি যে সেইটা ভুইলা গেছেন, তাহাই নিঃসঙ্কোচে তিনি উপস্থাপন করছেন। একজন কৃষকের ফিলোসফার হয়ে উঠার গল্প এইটা। বিভিন্ন চ্যাপ্টারে বিভক্ত থাকায় যেমন রিডিংটা স্মুথ হয়, তেমনি আবার বেশ কিছু তথ্যের উপস্থাপনকে বাহুল্য বইলাও মনে হয়।
তবে বইটা পড়তে পড়তে একটা জিনিস রিডারকে তাজ্জব করবেই। আর সেইটা হইলো রাইটারের অভিজ্ঞতার ফিরিস্তি। এবং আরো যে ব্যাপারটা এট্রাক্টিভ তা হইলো, কাজের প্রতি রাইটারের পজিটিভ ভাইব। লেখা পড়তে পড়তে এইটা খুবই বোঝা যায়। রাইটার খুবই এক্টিভ মানুষ ছিলেন। এবং জ্ঞান অর্জনের প্রতি রাইটার খুবই রেসপেক্টফুল।
বই সংগ্রহের প্রতি রাইটারের ছিল অসম্ভব আগ্রহ। অথচ বারবার প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে রাইটারের সংগৃহীত বইগুলা নষ্ট হয়া গেছে। অথচ তারপরেও তিনি দমে যায় নাই। মানে এইটাই তো পজিটিভ ভাইব জীবনের প্রতি।
তবে পাঠক সমাবেশ এর এডিশন হবার পরেও বইয়ের মধ্যে যে পরিমাণ ভুল বানান পাওয়া গেছে, তাতে খুব ইরিটেট লাগছে। যদিও এইটা রাইটারের কোনো দায় না। এইটা পুরাপুরিই পাবলিশার্স এর দায়।
মাতুব্বর সাহেব তাঁর দর্শন বিষয়ক বইগুলা যে নিবিষ্ট শ্রমে লিখছিলেন এবং বহুবছর যাবত তা গোপন রেখে রিরাইট করে গেছেন বারবার; এই ইনফরমেশনে তার প্যাশনের ব্যাপারটা টের পাওয়া যায়। তাছাড়া রাইটারের প্রথম বই প্রকাশের অভিজ্ঞতার গল্প থেকে বোঝা যায়, এত বছরেও আমাদের দেশের পাবলিসার্স'রা আগের মতনই বোকাচোদা রইয়া গেছে। বই প্রকাশনী'র ঝুট ঝামেলা তখন যেরকম ছিল,এখনও আছে। চেঞ্জ আসে নাই তেমন।
যাক, বায়োগ্রাফি ভালো জিনিস। পড়ে রাইটারের জীবনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা যায়। তবে এইখানে মাতুব্বর সাহেব একটা ভালো নজির দিয়া গেছেন। মানে তাঁর লেখায় ডিরেক্টলি কাউকেই দোষারোপের ইঙ্গিত নাই। পরিবেশ এবং পরিস্থিতির ইঙ্গিত আছে। তাছাড়া একটা দোষ অবশ্য মাতুব্বর সাহেবেরও আছে। মানে তিনি তাঁর চরিত্রের ভালো দিকগুলারেই বায়োগ্রাফিতে গ্লোরিফাই করছেন। আর পাঁচ জনের মতনই তিনিও বায়োগ্রাফিতে এই দিক থিকা নিরপেক্ষ হইতে পারেন নাই। যেমন তিনি দুইটা বিয়া করছিলেন এবং তাঁর ১০টা সন্তান ছিল। এইটাকে তিনি গ্লোরিফাই করেন নাই ঠিক। তবে এই ব্যাপারটা যে ততটাও ভালো দিক না, সেই কথাও তিনি বলেন নাই। হয়তো সেই সময়কার বাঙলার সোসিও কালচারের কারণেই তিনি ব্যাপারটারে অপ্রগতিশীল বইলা মনে করেন নাই। মানে আমি বহুবিবাহ এবং অধিক সন্তান জন্মদানের কথারে ইঙ্গিত করতেছি।
এছাড়া এই লেখাটা পড়লে আমরা আঁচ করতে পারি মাতুব্বর সাহেব কেন প্রথাবিরোধী হয়া উঠলেন। মূলত মাতুব্বর সাহেবের মায়ের মৃত্যুই হয়তো একটা বিরাট টার্নিং পয়েন্ট হইতে পারে।
যাকগা। বইটারে আমি ৫ এ ৩ দিলাম। এই আরকি।
This entire review has been hidden because of spoilers.