Rajshekhar Basu (Bengali: রাজশেখর বসু), better known by the pen name Parashuram (পরশুরাম) (March 16, 1880 – April 27, 1960) was a Bengali writer, chemist and lexicographer. He was chiefly known for his comic and satirical short stories, and is considered the greatest Bengali humorist of the twentieth century. He was awarded the Padma Bhushan in 1956.Basu began his writing career in the 1920s. He adopted the pen name of Parashuram while writing humorous pieces for a monthly magazine. The name was not, apparently, an homage to the Parashurama of mythology. In fact, Basu simply borrowed the surname of someone at hand, the family goldsmith, Tarachand Parashuram. His first book of stories, Gaddalika, was published in 1924 and drew praise from such personalities as Rabindranath Tagore.
In 1937, when he published Chalantika, a monolingual Bengali dictionary, Rabindranath commented:
"At long last, we have a dictionary for Bengali. The concise grammar for Bengali that you have included in the appendix is also wonderful."
Chalantika also included Basu's first efforts to reform and rationalize Bengali orthography. A few years before its publication, in 1935, Calcutta University formed a committee, chaired by him, to formulate a set of guidelines governing the spelling of Bengali words. The recommendations of this committee were broadly accepted, and Chalantika is still in use today.
এমন উজ্জ্বল বুদ্ধিদীপ্ত কৌতুক, এমন তির্যক সমাজ-পর্যবেক্ষণ, এমন বিচিত্র চরিত্রচিত্রণ, এমন রসময় ভাষা, এমন খেয়ালি কল্পনাশক্তি— বাংলা সাহিত্যে তো বটেই, সারা পৃথিবীর রসসাহিত্য-ভাণ্ডারে এই গল্পগুলোর জুড়িদার খুব কম খুঁজে পেয়েছি। বাংলা ভাষা এবং সাহিত্যের জন্য রাজশেখর বসুর অবদান বহুমুখী। কিন্তু একইসঙ্গে, সুকুমার রায়ের পরেই সবচাইতে উৎকৃষ্ট বাঙালি সরস-সাহিত্যকার হিসেবেও তাঁকে চিরকাল স্মরণ করবো আমি। কেবল আর-একজন বাঙালি কথাসাহিত্যিকের সঙ্গে পরশুরামের হাস্যরসের তুলনা করা যায় : প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। এই দুজনের আগেও কেউ নেই, পরে তো আরো নেই! (সৈয়দ মুজতবা আলীর নামটা এই তালিকায় থাকতে পারতো; কিন্তু আমার কাছে তাঁর রম্যরচনাগুলো যতোটা সরস বলে মনে হয়েছে, কথাসাহিত্য তেমনটা নয়।) চটজলদি meme-রসিকতায় আকন্ঠ আমস্তিষ্ক নিমজ্জিত আধুনিক বাঙালি পাঠকের কাছে পরশুরামের "ব্যাকডেটেড" সরস গল্পগুলোর কদরের ছিরি দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। প্রভাতকুমারের তো নামটাই প্রায় বিস্মৃতির অন্তরালে চলে যেতে বসেছে!
বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কয়েকটা গল্পের এই সংকলনকে পাঁচের কম তারা যাঁরা দিয়েছেন, তাদের নরক, বা জ্যামে ফেঁসে যাওয়া সন্তোষপুর মিনিতেও ঠাঁই হবে না। তাই এই রেটিং। ইতিমধ্যে, যদি কোনো ভয়াবহ অপরাধের সাজা হিসেবে গল্পগুলো পড়া থেকে এখনও বঞ্চিত হয়ে থাকেন, তবে অবিলম্বে সেই অবস্থা দূর করুন। গড্ডলিকা পড়ুন।
আগেই একটা গল্প পড়া ছিল। এবার গল্পগ্রন্থের বাকিগুলা পড়লাম। এত বিশ্লষনে যাব না। কিন্তু মোটকথা আমার ভাল লাগে নাই। তিন তারা দেবার কারণ হচ্ছে উনার লেখার ক্ষমতা। ভাল লিখেন, তাতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু গল্পের প্লটগুলা অনেক আউটডেটেড। হাস্যরসের জন্য উনার খ্যাতি হলেও খুব বেশী হাসি পায় নাই। প্রশ্ন হচ্ছে আমি কি নীরস হয়ে যাচ্ছি?
রাজশেখর বসু এক আশ্চর্য প্রতিভার নাম। কর্মজীবনে ছিলেন রসায়নবিদ, বিজ্ঞানবিষয়ক বাংলা গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেই একই ব্যক্তি চলন্তিকা'র মতো অভিধান রচনা করেছেন, মহাভারত, রামায়ণ, মেঘদূতের মতো ক্লাসিক অনুবাদ কর্ম করেছেন! কিন্তু বাঙালির কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় তিনি তাঁর ছদ্মনামে রচিত রসাত্মক গল্পগুলোর জন্য। বাঙালির ধর্মীয়, মনস্তত্ত্বিক আর সামাজিক সমস্ত ভন্ডামি ওমন ব্যঙ্গাত্মক কিন্তু রসগ্রাহী করে তিনি ই প্রথম লিখেছিলেন এবং এই ধরণের রচনায় তাঁকে অতিক্রম আজো কেউ করতে পারেননি।
' গড্ডলিকা ' প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো ১৯২৪ সালে। দুঃখের ব্যাপার হলো তাঁর গল্পে তিনি বাঙালি সমাজের যেসব অনুষঙ্গ নিয়ে স্যাটায়ার করেছিলেন, আজকের দিনেও সেসব সেই একইরকম থেকে গেছে। একশো বছরে বাঙালি এক পাও এগোয়নি। বরং আজকের দিনে পরশুরামের গড্ডলিকা' আরো বেশি প্রাসঙ্গিক। গড্ডলিকাপ্রবাহে ভেসে বেড়ানো প্রতিটা বাঙালির ' গড্ডলিকা'র রসময় চাপটের আস্বাদন দরকার!
এই বছর পুজোর স্টল থেকে বই কেনার ব্যাপারটা খুব একটা জমেনি। তবুও কুড়িয়ে-বাড়িয়ে এই একখানা "গড্ডলিকা" জুটেছিল কপালে। এখন সেটা পড়ার পর কপালের দোষটাকে নেহাত লঘু বলেই মনে হচ্ছে। তা যাইহোক, এই বইটি পাঁচটি ছোটগল্পের মিনি সংকলন। পাঁচটি গল্পই চতুর হাস্যরসে ভরপুর। তবে এই গল্পগুলি উপভোগ করার জন্য পাঠকের সূক্ষ্মতা অনুভবের গুণপনা থাকা বিশেষ প্রয়োজন। রসিকতার স্থূলতা এতে কম, তাই সবার একরকম ভালো লাগবে না। রবিবারের মাংসে মশলার তারতম্য হলে যে মানুষের জিভ অতি সহজেই তা ধরে ফেলে, তার জন্যই এই বইটি। সঙ্গে এটাও বোঝার যে, সময় এগোয় কিন্তু সমাজ বড় একটা এগোয় না। সামাজিক ফাঁকফোকরগুলো শাশ্বত।