Jump to ratings and reviews
Rate this book
Rate this book

713 pages, Hardcover

Published January 1, 2004

29 people are currently reading
1135 people want to read

About the author

Sunil Gangopadhyay

736 books968 followers
Sunil Gangopadhyay (Bengali: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়) was a famous Indian poet and novelist. Born in Faridpur, Bangladesh, Gangopadhyay obtained his Master's degree in Bengali from the University of Calcutta, In 1953 he started a Bengali poetry magazine Krittibas. Later he wrote for many different publications.

Ganguly created the Bengali fictional character Kakababu and wrote a series of novels on this character which became significant in Indian children's literature. He received Sahitya Academy award in 1985 for his novel Those Days (সেই সময়). Gangopadhyay used the pen names Nil Lohit, Sanatan Pathak, and Nil Upadhyay.

Works:
Author of well over 200 books, Sunil was a prolific writer who has excelled in different genres but declares poetry to be his "first love". His Nikhilesh and Neera series of poems (some of which have been translated as For You, Neera and Murmur in the Woods) have been extremely popular.

As in poetry, Sunil was known for his unique style in prose. His first novel was Atmaprakash (আত্মপ্রকাশ) and it was also the first writing from a new comer in literature published in the prestigious magazine- Desh (1965).The novel had inspiration from ' On the road' by Jack Kerouac. His historical fiction Sei Somoy (translated into English by Aruna Chakravorty as Those Days) received the Indian Sahitya Academy award in 1985. Shei Somoy continues to be a best seller more than two decade after its first publication. The same is true for Prothom Alo (প্রথম আলো, also translated recently by Aruna Chakravorty as First Light), another best selling historical fiction and Purbo-Paschim (পূর্ব-পশ্চিম, translated as East-West) a raw depiction of the partition and its aftermath seen through the eyes of three generations of Bengalis in West Bengal, Bangladesh and elsewhere. He is also the winner of the Bankim Puraskar (1982), and the Ananda Puraskar (twice, in 1972 and 1989).

Sunil wrote in many other genres including travelogues, children's fiction, short stories, features, and essays. Though he wrote all types of children's fiction, one character created by him that stands out above the rest, was Kakababu, the crippled adventurer, accompanied by his Teenager nephew Santu, and his friend Jojo. Since 1974, Sunil Gangopadhyay wrote over 35 novels of this wildly popular series.

Death:
Sunil Gangopadhyay died at 2:05 AM on 23 October 2012 at his South Kolkata residence, following a heart attack. He was suffering from prostate cancer for some time and went to Mumbai for treatment. Gangopadhyay's body was cremated on 25 October at Keoratola crematorium, Kolkata.

Awards & Honours:
He was honored with Ananda Award (1972, 1979) and Sahitya Academy Award (1984).

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
589 (54%)
4 stars
368 (34%)
3 stars
97 (8%)
2 stars
19 (1%)
1 star
8 (<1%)
Displaying 1 - 21 of 21 reviews
Profile Image for Chandreyee Momo.
219 reviews30 followers
February 17, 2023
লেখকের বিখ্যাত সময় ট্রিলজির তৃতীয় এবং শেষ বই এটি। দুটো খন্ডে বিভক্ত দুটি বইয়ে উঠে এসেছে ১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের সময়কার পরিস্থিতি, দেশত্যাগ, উদ্বাস্তুদের জীবন, নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারা, পশ্চিমবঙ্গের নকশাল আন্দোলন, এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী কিছুটা সময়। এই সবকিছুর সাথে সাথে আমরা পেয়েছি প্রতাপ মজুমদারের পরিবার এবং আরো অনেক কাল্পনিক ও সত্য চরিত্রসমূহ।
যারা শুধুমাত্র প্রথম খন্ড পড়েছেন, তারা চাইলে রিভিউটি পড়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। কারণ দ্বিতীয় খন্ডের বেশ কিছু বিষয় চলে এসেছে এখানে।
১. ১ম খন্ডে কলকাতার প্রতাপ মজুমদার, মমতা, পিকলু, তাদের পুরাতন বাংলাদেশের বাড়ি, মা, বোন, তুতুল, বিমানবিহারী, ত্রিদিব, সুলেখা, ঢাকার মামুন, মঞ্জু,বুলা ইত্যাদি অনেকের সম্পর্কে অনেক কথা, গল্প, তাদের চরিত্রায়ন করা হয়েছে। দেশভাগের সময়টায় যেমন একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, কত কত রিফিউজি চলে এসেছিলো সে সময়, তাদের কষ্ট দেখেছি আমরা সেখানে। এরসাথে সাথে সে সময়কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অনেকাংশে বোঝা যায়।
২. অতীন মজুমদার অর্থাৎ বাবলুর বড় হওয়া, কলেজজীবন, তার বন্ধুরা, অলির সাথে একটা অন্যরকম সম্পর্ক তৈরি, স্টাডি সার্কেল ও নকশাল আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে যাওয়া এই সবকিছু। ১ম খন্ড শেষ হয় একদম হুট করে একটা ঘটনার মাধ্যমে।
৩. দ্বিতীয় খন্ডে আরো অনেক বিস্তারিত ঘটনা চলতে থাকে। নকশালবাড়ি মুভমেন্ট, সেসময় প্রচুর গোলাগুলি, ছাত্রদের মৃত্যু,কৌশিক পমপমদের প্রচন্ড কষ্ট ইত্যাদি। এদিকে পূর্ব বাংলায় আস্তে আস্তে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে থাকে। ২৫ মার্চের গণহত্যার পর কিভাবে মানুষ পালাচ্ছিলো, আবার অনেকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, কলকাতায় যেয়ে পূর্ব বাংলার অনেকে অনেককিছু করেন এসব। মামুন, মঞ্জু, হেনা রা কিভাবে দিন কাটান, যুদ্ধ কিভাবে ঘনীভূত হতে থাকে প্রতিটা বিষয় ডিটেইলস এ বর্ণনা করেছেন লেখক।
.৪.এই বইয়ের অন্যতম মূল চরিত্র অতীন মজুমদার। তার একটা সময় বিদেশে পাড়ি জমানো এবং তারপর সেখানকার জীবন, তখনকার মানসিক অবস্থা, দেশের প্রতি প্রচন্ড টান, নিজের উপর রাগ ক্ষোভ, তার ভালবাসা এ সবকিছু এত বেশি বাস্তব লাগছিলো। এটি এমন একটা চরিত্র যাকে অনেকের ভাল লাগবে আবার অনেকের লাগবেনা।
আবার প্রতাপ মজুমদার তার সম্পূর্ণ জীবনের একেকটা ক্ষেত্রে কি কি ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন, তার ভাবনা চিন্তা, তার সংসার চালানো, কষ্ট, আনন্দ আমরা অনুভব করতে পারি। একজন বাবা যেমন হন,তিনিও তেমন।
অলি একটি অসাধারণ চরিত্র। হয়তো আমার প্রিয় চরিত্র। মেয়েটার মাঝে যেসব আবেগ অনুভূতি কাজ করে, আমি খুব রিলেট করতে পেরেছি। তার সাহায্যকারী মনোভাব সবাইকে খুব শেখাবে।
৫. মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আমরা জাহানারা ইমাম এবং রুমী কে নিয়ে অনেকগুলো ঘটনা বইয়ে পাই। রুমীর শেষদিনগুলোর গল্প পড়ে চোখে পানি এসেছে।

ব্যক্তিগত অনুভূতি
পূর্ব পশ্চিম এর ২য় খন্ড শেষ হওয়ার সাথে সাথে সময় ট্রিলজি শেষ হলো। লেখকের এই বইগুলো যেন প্রতিটা দীর্ঘ এক পথচলা। তা যেমন বইয়ের প্রতিটি চরিত্রের সাথে, তেমনি প্রতিটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাথেও। এই বইটিতেও আগের সবগুলোর মতই সম্পর্কের গভীরতা কি অসাধারণ ভাবে উঠে এসেছে।
বই শেষ করে এখন ভয়াবহ শূন্যতা বোধ হচ্ছে। শেষ ৫/৬ পৃষ্ঠা পড়েছি আস্তে আস্তে। মনে হচ্ছিলো শেষ না হোক। প্রতি পাতা আবেগ অনুভূতি তে ঠাসা। একেকটা জায়গায় যেমন হেসেছি, কেঁদেছি, হাহাকার করেছি। কিছু ঘটনা পড়ে আতংকিত বোধ করেছি। মুক্তিযুদ্ধের অনেককিছু নতুন দৃষ্টিতে দেখেছি। যুদ্ধের সময় মানুষের মনের অবস্থা কি হয়েছিলো এসবও মনকে নাড়া দিয়েছে। লেখকের পায়ে ধরে প্রণাম করতাম আমি যদি তাঁকে কখনো সামনে পেতাম। কি লেখে গেছেন তিনি। আর আমি এই তিনটা বই শেষ করতে পেরেছি।
আমি অনুরোধ করবো আপনাদের, আপনারা এই ট্রিলজির বইগুলো সংগ্রহ করে পড়ুন। নিরাশ হবেননা। একদম না।
Profile Image for Jannatul Rafi Mariya.
61 reviews12 followers
March 3, 2022
শেষ!
বিশাল একটা উপন্যাস, অসংখ্য চরিত্র এবং তাদের টুকরো টুকরো গল্পের মাঝে কয়েকদিন ডুবে ছিলাম।
এখন চারপাশ ভীষণ খালি খালি লাগছে!
Profile Image for Shanita Safwat.
20 reviews16 followers
August 22, 2014
উপন্যাসটা শেষ করেছি প্রায় ১ মাস আগে। কিছু একটা লিখে রাখবো ভেবেছিলাম।

প্রায় ১১০০ পৃষ্ঠার উপন্যাস। এত বড় উপন্যাস লেখক কীভাবে লেখে্ন জানা নাই। পড়তে পড়তে একসময় হাঁপিয়ে গেছি। দেশবিভাগ নিয়ে পড়া বই এর তালিকায় আরেকটি উপন্যাসের নাম যুক্ত হলো। তবে এতো বিস্তারিত আবেগ-অনুভূতির কথা আর কোথাও পাইনি। প্রেক্ষাপট আরো বিস্তৃত, শুরু হয়েছে তারো আগের সময় থেকে। শেষ হয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী অনেক সময়ের কথা নিয়ে। দেশবিভাগ ছাড়াও উপন্যাসে আছে কাজী নজরুল ইসলাম। আছে শেরেবাংলা ফজলুল হক, জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী, মওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান সহ নানান সময়ের উপজীব্য মানুষজন। আছে পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র। নকশাল আন্দোলনের কথাও আছে। শুধু বাংলার পূর্ব পশ্চিম অংশই নয়, পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম অর্থাৎ প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের জীবনের কথাও আছে এতে। তবু সবকিছু ছাপিয়ে উপন্যাস্যের শেষ পর্যন্ত লেখক দেশবিভাগের বেদনাকেই মূল রেখেছেন বলে মনে হলো।

এরকম সুবিশাল সময়কে প্রেক্ষাপট হিসেবে নেওয়ায় সে সময়ের ঘটনাবলী এবং মানুষের আবেগ-অনুভূতি নিয়ে লিখতে লেখককে অনেক পড়াশুনা করতে হয়েছে বোধকরি। উপন্যাস হলেও শেষে তার একটা তথ্যসূত্র লেখক দিয়ে রেখেছেন।
Profile Image for Mustahid Salman.
58 reviews9 followers
February 22, 2015
অদ্ভুত এক মুগ্ধতায় শেষ করলাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর সুবিশাল উপন্যাস “পূর্ব পশ্চিম”

কি বলব এই বই নিয়ে?? রিভিউ লেখার ক্ষমতা আমার নেই। তাই ফ্ল্যাপের লেখা গুলোই তুলে দিচ্ছি-

”দেশবিভাগ এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য, তবু বিচ্ছেদ বেদনা আজও রয়ে গেছে। বাঙালী জাতি দ্বিখণ্ড হয়েছে কিন্তু সম্পূর্ণভাবে পৃথক হয়ে যায়নি। দু’দিকের বাংলার সাম্প্রতিক ইতিহাসের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে এই কাহিনী, ক্রমে তা ছাড়িয়ে গেছে পূর্ব গোলার্ধ থেকে পশ্চিম গোলার্ধ। প্রত্যেক মানুষের মনের মধ্যেও যে অভ্যুত্থান ও পতনের পালা চলে, সেই পূর্ব-পশ্চিমের মর্মেও প্রবেশ করেছে এই উপন্যাস।”

এবার নিজস্ব কিছু অনুভূতি প্রকাশ করি। এমনও অনেক বই আছে যার পৃষ্ঠা সংখ্যা বড়জোর ১০০ থেকে ১২৫, কিন্তু তবুও সেই বই শেষ করতে গেলে কালঘাম ছুটে যায়। আবার এমনো বই আছে যা কলেবরে বিশাল হলেও সেটা চুম্বকের মতো এমনভাবে আকর্ষন করবে যে আপনি তা শেষ না করে ছাড়তেই পারবেন না। পূর্ব পশ্চিম তেমনি একটা বই। পৃষ্ঠা সংখ্যার দিক থেকে মনে হয় আমার পড়া এটাই সবচেয়ে বড় একক বই। পুরো বইটাতেই সুনীল সুবিশাল বাংলার সমসাময়িক জীবনযাত্রার মাঝে বেঁচে থাকা বিভিন্ন চরিত্রের বর্ণনা করেছেন অত্যন্ত সাবলীল ভাবে। দেশভাগের সময় থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী উপমহাদেশ এর অবস্থার মাঝে এই যে বিশাল সময়টুকু, এই সময়টুকুর মাঝে ঘটে যাওয়া উল্লেখযো���গ্য ঘটনার সাবলীল বিবরণ আর সেই সময়কার ভুক্তভোগী কিছু মানুষের জীবন, মানবিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং শেষ পরিণতি কে সুনীল তুলে ধরেছেন জীবন্ত ভাবে। বইটার একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবারো কোথাও মনে হয় নি যে অতিরঞ্জন হয়েছে, সুনীল যেনো এক অদৃশ্য সাক্ষী হিসাবে একের পর লিখে গেছেন এই ইতিহাস। দেশবিভাগ পরবর্তী পূর্ব বাংলা থেকে বিতাড়িত এক মধ্যবিত্ত পরিবার কে নিয়ে কাহিনী শুরু হয়েছে, এরপর একে একে এসেছে আমাদের পরিচিত বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য চরিত্র, উঠে এসেছে নকশাল আন্দোলন, উঠে এসেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আর অসম্পূর্ণ কিছু ভালোবাসার গল্প। এখানে একাত্তরের নৃশংসতার বিবরণ সুনীল তুলে ধরেছেন বিস্তারিত ভাবে, আর আছে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা। আছে নির্ভীক দেড়জন মুক্তিযোদ্ধার কথা, যাদের সাহসিকতার সামনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কে মাথা নত করতে হয়েছিল। আছে বাংলার নিরীহ মানুষদের প্রতি শোষনকারীদের নির্মম অত্যাচার এর গল্প এবং তাদের বিরুদ্ধে সিরাজুল, রুমীদের রুখে দাড়ানোর কথা।
প্রতাপ মজুমদার, পিকলু, অতীন, তুতুল, অলি, মামুন, কৌশিক, হারীত মন্ডল, বাবুল চৌধুরী, জাহানারা ইমাম এরা সবাই যেন কালের প্রতিটি ঘটনার মূর্তমান প্রতীক। এদের প্রত্যেক জীবনগাঁথার সাথেই মিশে আছে বিংশ শতাব্দীর বাংলার শেষ অর্ধের ইতিহাস। এরা প্রত্যেকেই যেনো সুনীল এর কলমে জীবন্ত।

আমাদের এই বাংলার ইতিহাস নিয়ে যেমন আমরা গর্ব করতেই পারি আবার সেই সাথে আমরাই যে আমাদের নিজেদের কতটা ক্ষতি করেছি তারও উল্লেখ করেছেন সুনীল। মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষকে যে কতটা ভুগতে হয়েছে, স্বাধীনতা অর্জনের পরও সাধারণ মানুষ যে সেই কাঙ্খিত সুখ পায়নি কিংবা নকশালদের দমন করেও যে পশ্চিম বাংলায় শান্তি ফেরেনি সেটাও উঠে এসেছে।

বইটা শেষ করার পরও মুগ্ধতার রেশ এখনো কাটেনি। বাংলার ইতিহাস নিয়ে এতো সুনিপুণ ভাবে সাহিত্য রচনা খুব কম মানুষই করেছেন। সুনীল তাদের একজন।

সুনীল...তোমার তুলনা আসলেই তুমি।
hats off...
Profile Image for Mehera Binte Mizan.
53 reviews23 followers
March 29, 2021
তো পুরো বইটি শেষ হলো। ভয়ংকর কষ্ট হচ্ছে শেষ মুহূর্তের দুটো মানুষ কে নিয়ে। প্রতাপ মজুমদার আর অলি! পিক্লু,বাব্লু আর মুন্নির কি ভাগ্যই না ছিলো প্রতাপ মজুমদারের মতো বাবা পেয়েছিলো। যেসব জিনিসে একদমি হাত থাকে না,তাকেই তো ভাগ্য বলে! আর একটা সন্তানের বাবা মা কে হবে এর চেয়ে বড় ভাগ্যের খেলা আর কোথায়! যা বলছিলাম! প্রতাপ মজুমদার! অনেক আগে জন্মেও যার মধ্যে সততা,নীতিবোধ,আত্মমরযাদাবোধ আবার একিসাথে যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে মন গড়িয়ে নেওয়ার মানসিকতা! চলে যাবার সময় উনি যে মানসিক আনন্দ নিয়ে গেলেন, এটা লেখায় তুলে ধরবার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
অলির কি হবে জানি না, অলির মনের কথা আর লিখলেন ই না। খুব ইচ্ছা করছিলো অলির মনের আয়না শেষ একবার তুলে ধরা হবে।
আমি বলেইছি এই বইটা আমার জন্য ইতিহাসের চেয়েও বেশি প্রতাপ মজুমদারের সংসার! এর ঐতিহাসিক দিক আমাকে ঠিক টানেনি। আমি মুক্তিযুদ্ধের উপর অনেক পড়েছি,শুনেছি,দেখেছি - বিভিন্ন দিক থেকে, বিভিন্ন জনের ভাষায়। এই বইটা যেন ছিলো কলকাতার ,ভারতের চোখে মুক্তিযুদ্ধ, সে যেন শেষ দিকে ভারত-পাক যুদ্ধ, যেন স্বাধীনতার সবটুক স্বাদ পাওয়া হলো না,লোকে বুঝলো না ঠিক করে অগনিত মানুষের আত্মত্যাগ!।
আর একটা ব্যাপার হলো যে, আমি কখনোই ভারতবর্ষ ভাগ নিয়ে মাথা ঘামাই নি,ভাবিই নি। বাংলাদেশ -শব্দটা এতো মধুর। এটা কখনো যে ছিলো না,সেই সময়টা রূপকথার মতো মনে হয়। কিন্তু সেই সময়,প্রথম আলো, পূর্ব পশ্চিম পড়ে আমার মনে হলো একটা জাতিকে সাম্প্রদায়িকতার উপর ভিত্তি করে যে ভুল করা হয়েছে- তার মাশুল এখনো গুনতে হয়!
মমতা, বিমানবিহারী, আলম, তুতুল,হারীত, সুলেখা, বুলা এদের ভীষণভাবে মিস করবো।
সময়! আসলেই! সব জায়গার এই একমাত্র নায়ক। কে তাকে থামায়? সে পথ কেটে কেটে অবাক করা চিত্র চোখের সামনে তুলে ধরে। আর আমার মতো মানুষগুলোর মনে হয় খালি- ' যায় দিন ভালো'!
খুব এলোমেলো লেখা হলো, কেমন যেনো খালি খালি লাগতেসে।
আজ থাক!
ও হ্যাঁ! অতীন মজুমদারকে আমি মনে প্রাণে ঘৃণাই করি! অনেক ভাবে তাকে মাফ করার চেষ্টা করেছি,আমি পারি নাই। অনেক মানসিক ব্যাখ্যা মনের মধ্যে টিকে নাই। বইয়ের শেষে অতীনের যে যন্ত্রণা মনে হলো জীবনের শেষ দিন অব্দি এটার প্রাপ্য সে!
Profile Image for Ashkin Ayub.
464 reviews228 followers
December 30, 2016
মূলত দুই বাংলার বিভাজন নিয়ে এই বইটি লেখা। যাদের মুখের ভাষা ছিল এক, সংস্কৃতি, আচার-ব্যবহার অনেকটা একই। তারপরেও তারা আলাদা হতে বাধ্য হলেন ধর্মের জন্য। অনেকেই তাদের বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে চলে গেলেন ওপার বাংলায় আবার কেউ আসলেন এপার বাংলায়। যাদের পরিচিতজন কেউ নেই তারা হয়ে গেলেন উদ্বাস্তু। হঠাৎ করেই অনেকেই হয়ে পড়েন গৃহহীন, কর্মহারা। পথে পথে ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার। সব মিলিয়ে এক করুণ অবস্থা। মর্মান্তিক ও ঐতিহাসিকও বটে।

দেশ ভাগের সময় দুই বাংলায় কয়েকটি পরিবারের বিড়ম্বনা, আপনজনদের সাথে বিচ্ছেদ সব কিছুই দারুণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন সুনীল অত্যন্ত নিপুণ হাতে। 'পূর্ব-পশ্চিম' এমন একটা বই বার বার পড়লেও মনে হয় পড়া বাকি থেকে যায়।
Profile Image for Swajon .
134 reviews76 followers
September 24, 2017
যে বিশাল পটভূমি এবং ঐতিহাসিক ঘটনাবলি নিয়ে এই উপন্যাস, সেই উপন্যাসের ভাষা কি আরও হৃদয়গ্রাহী, আরও কারুকাজমণ্ডিত হতে পারতো না? এই প্রশ্ন, এবং পাঠে মুগ্ধতা দুটোই চলছিল সমান্তরালে। তবে, দ্বিতীয় খণ্ডের শেষার্ধে এসে সবকিছু ছাপিয়ে যেন চরিত্রগুলোর পরিণতি জানবার জন্য আগ্রহ বাড়ছিল তুমুল বেগে।
পুরোটা পড়ার পর প্রধান চরিত্রগুলো একে একে ভেসে উঠতে থাকলো চোখের সামনে। বাস্তুহারা মানুষ ঠাঁই হারায়, আর তারও চেয়ে অসহায় মানুষেরা নিজের শিকড়, মূল্যবোধ আঁকড়ে ধরে রাখতে চাইলেও পরিবর্তিত সময় তাকে সে সুযোগ দেয় না। অথচ তার আকাঙ্ক্ষা তাকে কোথাও স্থির হতেও দেয় না। বস্তুপৃথিবীতে সে যেন নিজের কাছেই অবাঞ্ছিত হয়ে বেঁচে থাকে।
কোন নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক ঘটনা কিংবা রাজনৈতিক নেতা সুনীলের লেখায় তেমন পক্ষপাতিত্ব পায় নি কিংবা মুখ্য হয়ে ওঠে নি। উপন্যাসের প্রয়োজনে সুবিধেমতো তুলে এনেছেন ইতিহাসের উপাদান। আর যেখানে ঐতিহাসিক বর্ণনা একটু দীর্ঘায়িত হয়েছে, সেখানেও তিনি ঘটনাবলিকে নৈর্ব্যক্তিকভাবে লিখেছেন।
শেষ পৃষ্ঠা পড়ার পর অপূর্ণতা রইলো না বলা যায়।
Profile Image for Mizanur Rahman Jakaria.
4 reviews1 follower
September 8, 2024
প্রচুর চরিত্র। এর আগে প্রথম আলো পড়েও আজকের মত চিন্তা করছিলাম। এভাবে মাঝরাতে ঘুম ঘুম চোখে রিভিউ লেখা যাবে না। সময় নিয়ে ফ্রেশ মস্তিস্কে গুছিয়ে লিখতে হবে। পূর্ব-পশ্চিমও পড়া শেষ হয়ে গেল। ওই রিভিউ এখনও লেখা হয় নি। এটার রিভিউও লেখা না হয়ে, মস্তিষ্কের মধ্যেই যে মরে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কি। পাঁচ-ছয় বছর আগে যেগুলো উপন্যাস পড়েছি। ভালো করে চরিত্রের নাম, গল্প কিছুই মনে করতে পারি না।

পূর্ববঙ্গ, বর্তমান বাংলাদেশের একটা জায়গার নাম মালখানগর। ঢাকার আশেপাশেই এটা বোঝা যায়। তবে স্পেসিফিকলি কোন জেলা বা কোথায় বইয়ে উল্লেখ নাই। গুগল সার্চে জানলাম, মুন্সিগ��্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় মালখানগর নামে একটা ইউনিয়ন আছে। যাইহোক, এই মালখানগর নামের জায়গাটিতে প্রতাপ মজুমদার নামের এক ভদ্রলোকের জন্ম। যিনি মাধ্যমিকের পর থেকে কলকাতায় থাকেন পড়াশোনার তাগিদে। ছুটিছাটায় যেটুকু দেশের বাড়ি যাওয়া হতো, সাতচল্লিশের দেশ ভাগের পর একেবারেই আর একদিনের জন্যও তিনি এই বাংলায় আসেন নি। খুবই ইমোশনাল, বলিষ্ঠ, সেনসিটিভ এবং ব্যক্তিত্ববান একটি চরিত্র। পশ্চিমবঙ্গে ভাগ্যের পরিহাসে এবং জীবিকার তাগিদে থাকতে হলেও জন্মস্থানের জন্য তার সবসময়ই মন পোড়ায়। সমস্ত অনুভুতি, ভালোলাগা যেন তার মালখানগরের স্মৃতিকে ঘিরেই। তার স্ত্রী, মমতার দেশও পূর্ববঙ্গ হলেও, তারমধ্যে সেটা লক্ষ করা যায় না। প্রতাপের এই অনুভুতিটা স্ত্রীর কাছে তেমন স্থান পায় না, মূল্য পায় না। যেটা অনেক সময়ই প্রতাপের কাছে মনোকষ্টের কারণ। খুব সংক্ষেপে লিখে শেষ করতে চাই, তাই যেসব চরিত্র বেশিক্ষণ আগায় নি, সেগুলো বাদ রাখছি আপাতত। অন্য কোনোদিন এডিট করে লেখা গেলে লিখতে হবে।
প্রতাপ কতটা সৎ তা প্রকাশের জন্য এসেছে কানু চরিত্র। তার সৎ ভাই। অসততার জন্য তাকে প্রতাপ ত্যাগ করে বলা চলে। কানু চরিত্রের আর তেমন গুরুত্ব দেখি না।
প্রতাপের দুই বোন। সুপ্রীতি, শান্তি। সুপ্রীতি দেশবিভাগের পর পর পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তুদের নকশালবাড়ি আক্রমণের ফলশ্রুতিতে বিধবা হয়ে পড়ে। তারপর তার স্থান হয় কলকাতায় ছোটভাই প্রতাপের বাড়িতে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই বাড়িতেই ছিলেন। প্রতাপের স্ত্রী মমতার সংসারের কর্ত্রী হিসেবে। মমতার স্বাধীনতা হরণ নিয়ে একটা চাপা ক্ষোভ ছিল।
ছোটবোন শান্তি তার মায়ের সাথে দেওঘরে থাকত। দেওঘরে তাদের মা সুহাসিনীর নামে ছোট একটা বাড়ি কেনা ছিল সেখানে। জামাই তেমন কাজ করত না। গান গাইত। সেটা দিয়ে পেট চলত না। ঘরজামাই বলা চলে। কিছুদিন পর মা মারা যায়। জামাইয়ের যক্ষা আগে থোকেই। অভাব অনটনে তাদের সন্তান টুনটুনিকে প্রতাপের বাসায় জামাই বিশ্বনাথ গুহ রেখে যান। কিছুদিন পর শান্তি মারা যায়। জামাই বিশ্বনাথ গুহের গল্প আর আগায় না। তবে তার মৃত্যু সংবাদ উপন্যাসটিতে পাওয়া যায় নি।
প্রতাপের দুই ছেলে এক মেয়ে। পিকলু, বাবলু, মুন্নী। পিকলু কলেজে পড়ার সময় গঙ্গায় ডুবে মারা যায়। ভীষন মেধাবী ছিল সে। বাবলু সেরকম না। ডানপিটে, উশৃঙ্খল। তবে পরীক্ষার আগের রাতে দরজা জানলা বন্ধ করে উলঙ্গ হয়ে পড়ে সব কাভার দিতে পারে এবং মোটামুটি ভালো রেজাল্ট করতে পারে।
বাবলুর ভালো নাম অতীন মজুমদার। এই চরিত্র শেষ পর্যন্ত গল্পের মধ্যমণি হয়ে থাকে। অতীন মজুমদার সেই সময়ের নামকরা কমিউনিস্ট। তার নেতা মানিকদা, চারু মজুমদার। বন্ধু কৌশিক, পমপম। বাবলুর বাবা প্রতাপের খুব কাছের একজন বন্ধু বিমান বিহারী। বিমানের মেয়ে অলি। যার সাথে বাবলুর একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। যে সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত পরিণয়ের সাধ পায় নি। বাবলু তার আগেই রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিজেকে ভাসিয়ে ধাতস্থ হতে গিয়ে শর্মিলা নামের এক মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়ায়। সেটাই এক সময় পরিণয় পায়।
বাবলু কমিউনিস্ট মুভমেন্টের সময় গুরু মানিকদাকে বাঁচাতে গিয়ে একজনকে খুন করে বাঁচার তাগিতে লন্ডন, লন্ডন থেকে আমেরিকায় পাড়ি জমায়। সেখানেই গল্পের শেষ পর্যন্ত থাকেন। অতীন-শর্মিলার সংসারে এক কন্যা, এক পুত্রের জন্ম হয়। প্রতাপের যেমন শরীর থাকে পশ্চিমে, আর মন থাকে পূর্বে। প্রতাপের পুত্র অতীনেরও একই। থাকে আমেরিকায়, পশ্চিমে। মন পড়ে থাকে পূর্বের ইন্ডিয়ায়। উপন্যাসের নামকরণের স্বার্থকতা। পূর্ব-পশ্চিম।
আরেকটা চরিত্র ছাড়া পড়ে যাচ্ছে প্রতাপের বোন সুপ্রীতির একমাত্র সন্তান তুতুল। অতীনরা ডাকে ফুলদি। মামার বাড়িতে প্রচুর আদ্মসম্মান নিয়ে নিজের মত পড়াশোনা করে ডাক্তার হয়। তারপর ভাগ্য তাকে বিলেতে নিয়ে যায়। সেখানে এক মুসলমান যুবক আলমকে বিয়ে করে। আলম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত ছিল।
আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের এখনও উল্লেখ হয় নি। মামুন। কবিটাইপ লোক। প্রতাপের কলেজ ফ্রেন্ড। কলেজ জীবনে দুইজনেই এক ব্রাক্ষ্মণ মেয়ে, বুলাকে সমানভাবে ভালোবাসতেন। বাড়ি কুমিল্লার দিকে। নজরুল ভক্ত। দেশপ্রেমিক। রাজনীতিবিদ। দেশভাগের পরে শেরে বাংলা ফজলুল হকের কথামত রাজা রামমোহন হওয়ার তাগিদে গ্রামে গ্রামে সেবামূলক কাজ করর বেড়ান। এক সময় আলতাফ নামক এক তরুণ রাজনীতিবিদের খপ্পরে পড়ে গ্রাম ছেড়ে, পরিবার ছেড়ে বড় মেয়ে হেনাকে নিয়ে ঢাকায় আসে। ঢাকায় তার বোন থাকত। বোনের মেয়ে মঞ্জুকে তিনি মাত্রাতিরিক্ত স্নেহ করতেন। কবি হিসেবে ভাগনীর রূপপূজারি ছিলেন। একসময় তার ঘটকালিতেই আলতাফের ছোট ভাই বাবুল চৌধুরীর সাথে মঞ্জুর বিয়ে হয়। বাবুল চৌধুরী মেয়ের এত স্নেহ সহ্য করতে পারত না। যাইহোক, এই বাবুল চৌধুরী আরেক শক্তিশালী চরিত্র। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তুমুল সাহসিকতার পরিচয় দেন এবং গাজী হিসেবে যুদ্ধ শেষ করেন। বাবুলের আবিষ্কার সিরাজুল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক হিসেবে গল্পে অংকিত হয়। শেষ পর্যন্ত কোনো কারণে বাবুলের সাথে মঞ্জুর সম্পর্ক টিকে না।
জাহানারা ইমাম, রুমির গল্প কয়েক অনুচ্ছেদ স্থান পেয়েছে। সরাসরি সোহওয়ার্দি, ভাসানী, মুজিব, যুদ্ধকালীন অন্থায়ী সরকার, ইন্দিরা গান্ধী, দুই পাশের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতনগণসহ সর্বোপরি দেশভাগ পরবর্তী রাজনীতি-মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বর্ণনা এবং মুক্তিযুদ্ধ গল্প আকারে বলা আছে।
রাত অনেক হয়েছে। আমার লেখার ধৈর্য শেষের পৃষ্ঠায়। আজ আর লিখতে পারছি না। সময়-সদিচ্ছা জাগলে পরে কোনো দিন।
249 reviews5 followers
June 7, 2025
4.5/5

Combined review of the book as a whole - Part I and Part II

"..A monumental study of displacement and relocation." as I read somewhere
The country was divided on the basis of religion. But it was soon found, that religion was no barrier at all, but at the same time religion alone could not form the basis of union among individuals. Spanning across three generations, this forms a very engaging tale of people caught in the historical event... Some carry high hopes of changing the world around them, some never come out of the nostalgia of the home left behind and yet some others face the turmoil of the change and crashing loss.. Suhasini(Pratap's mother)'s nostalgia and memories of her homeland, she still is attached to her memories and cannot accept the change...
The fate of the migrants was different for different people... Some faced a catastrophic downfall... Some managed.. The refugees from East Bengal didn't have it easy to be absorbed in the mainstream.. Unlike those in Punjab.. Those who stayed back in East Bengal found themselves cut off from West Pakistan.. In spite of being in majority, they were clearly sidelined and they nurtured a desire - first to shift the capital to Dhaka, and later to fight for an independent country... Some characters, though fictional, make you cry out for them... And some losses along the way hurt you too as a reader and they remain in your thoughts a while...That is the success of the author in the portrayals...

The chapters are interspersed with some that tell you of the history alone.. so that you get the context of what is to follow in the subsequent chapters..

Overall a very interesting read with the fictional characters coming alive... Am going to miss you all...
Profile Image for Shafiul Hasan.
59 reviews
October 28, 2023
শেষ!

প্রায় ১৩০০ পৃষ্ঠার উপন্যাস। এত বড় উপন্যাস লেখক কীভাবে লেখে্ন জানা নাই। এই বই যতই পড়ি না কেন, শেষ হয় না। পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ি, ঘুম থেকে উঠে আবার পড়ি, এক টানা পড়তে পড়তে আবার ঘুমিয়ে পড়ি কিন্তু বই শেষ হয় না। পড়া শুরু করার আগে মনে মনে বলতেছিলাম এতো বড় কেন, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বইটি এতো ছোট কেন? এতো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো কেন?

এই বইটা আমাকে নস্টালজিক করে দিয়েছে এমন একটা সময়ের জন্য যে সময়ে আমার অস্তিত্বই ছিল না। দেশভাগের ইতিহাস যতোই পড়ি,ততই বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠে। মনে হলো যেন ১৯৪০ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত দুই বাংলা ঘুরলাম এই বইয়ের ভিতর দিয়ে। ভয়ংকর কষ্ট হচ্ছে শেষ মুহূর্তের মানুষটিকে নিয়ে। প্রতাপ মজুমদার! পিক্লু,বাব্লু আর মুন্নির কি ভাগ্যই না ছিলো প্রতাপ মজুমদারের মতো বাবা পেয়েছিলো।

যেসব জিনিসে একদমই হাত থাকে না,তাকেই তো ভাগ্য বলে! বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাতায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে হাজারো দুর্ভাগ্যবান চরিত্র। আসলে ইতিহাস জিনিসটাই বাজে, মানবজীবনটাই মূলত ট্রাজেডি। যতই জানি ততই কষ্ট পাই, হতাশ হই। জীবনে অনেক 'কেন'রই ক��নো উত্তর থাকে না। তবু মানুষ কেন জিজ্ঞাসা করে 'কেন? কেন? কেন?' এটিরও কোনো উত্তর নাই।
Profile Image for Sujit Arjun.
45 reviews1 follower
July 3, 2025
ভারতবর্ষের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশভাগের প্রেক্ষাপটে সূচনা হয় এই উপন্যাসের।যারা মূল প্রথিত হয়েছে পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তান ,যা আজকের বাংলাদেশ। সে এক অরাজকতার সময় , উদ্বাস্তুদের ভিড়ে উপচে পড়া পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ববঙ্গের নির্মম হত্যা ,ধর্ষণ ,লুঠপাট।
সে এক বিভীষিকাময় সময়ের চিত্রদলিল , কালো অক্ষরে ফুটে উঠেছে ,মানুষের লাঞ্ছনার চিত্ররূপ। এই নৃশংসতার সাক্ষী বহন করছে লেখার প্রতিটি ছত্র।
তারই মধ্যে নকশাল আন্দোলন থেকে শুরু করে ,পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতের রাজনৈতিক উন্মত্ততা যা ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়।
এরই মাঝে একদল যুবক যুবতীর বেড়ে ওঠা ,তাদের আবেগ, ভালোবাসা ,প্রেমের করুণ প্রতিচ্ছবি ।
মুগ্ধ করেছে মনিরার মতো চরিত্র ,নারীর যে অসীম শক্তির পরিচয়। তার স্বামী সিরাজুলকে বুকে জুড়ে নিয়েছি , তুতুলের মতো চরিত্রের উচ্ছ্বাস স্মৃতিতে রয়ে যাবে। সুলেখা বেঁচে থাকে আগুনের শিখা হয়ে। প্রতাপ আর মামুনের বন্ধুত্বের জয় হোক। কৌশিক ,তপন , পমপম-- নকশাল আন্দোলনের মূলস্রোতের অংশ। তাদের আদর্শে ত্রুটি ছিল না ,ছিল পরিকল্পনায় অসম্পূর্ণতা। আর যাদের কথা না বললেই নয় তারা হলো হারীত মণ্ডল এবং অলি ,তারা যেন জীবন্ত চরিত্র।
বাবলু ওরফে অতিন বা পিকলু তারাও তাদের মতো উজ্জ্বল, আমার কাছে তারা হিরো নয় মোটেই!
Profile Image for Tanzima Rahman.
94 reviews2 followers
October 23, 2023
দেড় দিনে শেষ করলাম। সুনীলের উপন্যাসত্রী আমার অবশ্যপাঠ্যতে যুক্ত করে নিলাম। বাংলার নবজাগরণ থেকে বাংলাদেশের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ইতিহাস কেউ যে এইভাবে লিখতে পারে, সুনীল না পড়লে অজানাই থাকত। ঈশ্বরচন্দ্র, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মধুসূদন থেকে শুরু করে ইন্দিরা গান্ধী, মুজিব, কাদের সিদ্দিকির তৈরি করে যাওয়া যে রাস্তায় হেটে চলেছি তার ইতিহাস জানা অত্যাবশকীয়। পূর্বপুরুষের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি শিক্ষার অধিকার, বাঁচার অধিকার আর স্বাধীনতার আশ্বাস। এখন উপযুক্ত উত্তরসূরী হয়ে ওঠা আমাদের বিবেক। আমাদের দায়িত্ব।
Profile Image for Sanjida Amy.
47 reviews12 followers
May 15, 2025
প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে কত কোটি কোটি ঘটনার জন্ম হয়, কিন্তু মহাকালের নিরেট বুকে শূন্যতার সৃষ্টি করবার মতো ঘটনা/বস্তু কমই আছে। সময় ট্রিলজি আমার এই ক্ষুদ্র জীবনের সময়রেখার মধ্যে সেরকম শূন্যতা রেখে গিয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে শেষ করলেও বই নিয়ে কিছু লেখার মতো সাহস হয় নি, এখনও নেই৷
শুধু জানি.. পড়া শেষ হলে বই বন্ধ করে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকতে হলো। জানিনা কোন চরিত্রের জন্য, কার জীবনের ট্রাজেডি'র জন্য একরাশ হাহাকার তরল দুঃখের মতো গলার কাছে আটকে আছে।
Profile Image for Ananya Mandal.
211 reviews
February 12, 2022
কেন এতদিন পড়িনি তাই ভাবছি... last 2 মাস ধরে পড়লাম আর আমার সব সময়েই মনে হতো চেনা কারুর কথা পড়েছি. ঐসব চরিত্র কে সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম মনে হতো আর বোধহয় বেশ কিছু দিন এদের মনে থাকবে...
প্রিয় characters প্রতাপ (আমার কাছে প্রতাপ এই গল্পের hero), মমতা (অপূর্ব সুন্দর করে লেখা চরিত্র), সুপ্রীতী, মামুন, আলম আর অলী। ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের এই ইতিহাস আমি আবছা জানতাম ভেবে লজ্জা লাগে... কি অপূর্ব সুন্দর লেখা আর কি ঠাস বুনোট গল্পের...1000 পাতার টানটান বই
From undivided India to East Pakistan to Bangladesh and finally United States...দেশ ছাড়ার বেদনা কত রকম আর কত গভীর
নদীর মতো গল্প নিয়ে গেলো আমাদের... Bengal during Indian independence, during partition, during ভাষা আন্দোলন, India China War, Naxalbari and Naxal movement আর মুক্তি যুদ্ধ...
শুধু জানা হলোনা বুলা র কি হল, হারিৎ , চন্দ্রা আর সুচরিত এর কি হল... বাবুল এর চরিত্র বড় কষ্ট দিলো...
#bookrecommendations #bookreview
Profile Image for Satadal Adhikary.
5 reviews
May 14, 2015
One of the richest Bengali novels of all time, Purba-Paschim stands on the ground of partition of Bengal, Naxallist Movement and the transforming Bengali society, love for the nation, and not the least, love for oneself.

The book is an epic in expansion, yet the reader can not, not for once, get bored as the flow is smooth and intoxicating.

One of the few books which must not be missed if you can read Bengali alphabet.
Profile Image for Samir(সমীর).
74 reviews8 followers
January 22, 2011
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া এবং তারপরের সময়, পূর্ব(উপ-মহাদেশ) থেকে পশ্চিমে(আমেরিকা, ইউরোপ ইত্যাদি)যাওয়া মানুষদের জীবন, দেশের কথা মনে পড়া, দেশের মা-বাবা, বন্ধু-বান্ধব, শহর এর কথা মনে পড়া আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রথম খন্ডের পরবর্তী অংশ......
Profile Image for Nazmul Huq.
1 review
Read
July 12, 2017
এটা কি কিনে পড়তে হবে না ফ্রী । ফ্রি হলে আমি দেখতে পাচ্ছি না কেন
Displaying 1 - 21 of 21 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.