Jump to ratings and reviews
Rate this book

আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে

Rate this book
আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে:
I Lived in Others' Time
:: A Book of Poems by Humayun Azad

47 pages, Hardcover

First published February 1, 1990

1 person is currently reading
222 people want to read

About the author

Humayun Azad

85 books296 followers
Humayun Azad (Bangla: হুমায়ূন আজাদ) was a Bangladeshi author and scholar. He earned BA degree in Bengali language and literature from University of Dhaka. He obtained his PhD in linguistics from the University of Edinburgh in 1976. He later served as a faculty member of the department of Bengali language and literature at the University of Dhaka. His early career produced works on Bengali linguistics, notably syntax. He was regarded as a leading linguist of the Bangla language.

Towards the end of 1980s, he started to write newspaper column focusing on contemporary socio-political issues. Through his writings of 1990s, he established himself as a freethinker and appeared to be an agnostic. In his works, he openly criticized religious extremism, as well as Islam. In 1992 Professor Azad published the first comprehensive feminist book in Bangla titled Naari (Woman), largely akin to The Second Sex by Simone de Beauvoir in contents and ideas.

The literary career of Humayun Azad started with poetry. However, his poems did not show any notable poetic fervour. On the other hand his literary essays, particularly those based on original research, carried significant value.

He earned a formidable reputation as a newspaper columnist towards the end of 1980s. His articles were merciless attacks on social and political injustice, hypocrisy and corruption. He was uncowed in protesting military rule. He started to write novels in 1990s. His novel Chappanno Hazar Borgomile is a powerful novel written against military dictatorship. Azad's writings indicate his distaste for corrupt politicians, abusive military rulers and fundamentalist Islam. Nevertheless, his prose shows a well-knit and compact style of his own. His formation of a sentence, choice of words and syntax are very characteristic of him. Although he often fell victim to the temptation of using fiction as a vehicle of conspicuous political and philosophical message, he distinguished himself with his unique style and diction.

On August 11, 2004, Professor Azad was found dead in his apartment in Munich, Germany, where he had arrived a week earlier to conduct research on the nineteenth century German romantic poet Heinrich Heine. He was buried in Rarhikhal, his village home in Bangladesh.

In 2012, the Government of Bangladesh honored him with Ekushey Padak posthumously. Besides this, he was honored with Bangla Academy Award in 1986.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
34 (40%)
4 stars
34 (40%)
3 stars
12 (14%)
2 stars
3 (3%)
1 star
2 (2%)
Displaying 1 - 7 of 7 reviews
Profile Image for ORKO.
196 reviews197 followers
August 30, 2024
আমি আমার নিজস্ব ভঙ্গিতে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম,

আমি পোশাক পরতে চেয়েছিলাম একান্ত আপন রীতিতে,

আমি চুল আঁচড়াতে চেয়েছিলাম নিজের রীতিতে,

আমি উচ্চারণ করতে চেয়েছিলাম আন্তর মৌলিক মাতৃভাষা।

আমি নিতে চেয়েছিলাম নিজের নিঃশ্বাস।

আমি আহার করতে চেয়েছিলাম আমার একান্ত মৌলিক খাদ্য,

আমি পান করতে চেয়েছিলাম আমার মৌলিক পানীয়।

আমি ভুল সময়ে জন্মেছিলাম। আমার সময় তখনো আসে নি।

আমি ভুল বৃক্ষে ফুটেছিলাম। আমার বৃক্ষ তখনো অঙ্কুরিত হয় নি।

আমি ভুল নদীতে স্রোত হয়ে বয়েছিলাম।

আমি ভুল মেঘে ভেসে বেড়িয়ে ছিলাম।

আমার মেঘ তখনো আকাশে জমে নি।

আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে।

আমি গান গাইতে চেয়েছিলাম আপন সুরে,

ওরা আমার কন্ঠে পুরে দিতে চেয়েছিলো ওদের শ্যাওলা-পড়া সুর।

আমি আমার মতো স্বপ্ন দেখতে চেয়েছিলাম,

ওরা আমাকে বাধ্য করেছিলো ওদের মতো ময়লা-ধরা স্বপ্ন দেখতে।

আমি আমার মতো দাঁড়াতে চেয়েছিলাম,

ওরা আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলো ওদের মতো মাথা নিচু করে দাঁড়াতে।

আমি আমার মতো কথা বলতে চেয়েছিলাম,

ওরা আমার মুখে ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছিলো ওদের শব্দ ও বাক্যের আবর্জনা।

আমি খুব ভেতরে ঢুকতে চেয়েছিলাম,

ওরা আমাকে ওদের মতো করেই দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছিলো বাইরে।

ওরা মুখে এক টুকরো বাসি মাংস পাওয়াকে বলতো সাফল্য,

ওরা নতজানু হওয়াকে ভাবত গৌরব,

ওরা পিঠের কুঁজকে মনে করতো পদক,

ওরা গলার শেকলকে মনে করতো অমূল্য অলংকার।

আমি মাংসের টুকরা থেকে দূরে ছিলাম। এটা ওদের সহ্য হয় নি।

আমি নতজানু হওয়ার বদলে নিগ্রহকে বরণ করেছিলাম। এটা ওদের সহ্য হয় নি।

আমি পিঠ কুঁজের বদলে বুকে ছুরিকাকে সাদর করেছিলাম। এটা ওদের সহ্য হয় নি।

আমি গলার বদলে হাতেপায়ে শেকল পড়েছিলাম। এটা ওদের সহ্য হয় নি।

আমি অন্যদের সময়ে বেঁচে ছিলাম। আমার সময় তখনো আসেনি।

ওদের পুকুরে প্রথাগত মাছের কোনো অভাব ছিলো না,

ওদের জমিতে অভাব ছিলো না প্রথাগত শস্য ও শব্জির,

ওদের উদ্যানে ছিলো প্রথাগত পুষ্পের উল্লাস।

আমি ওদের সময়ে আমার মতো দিঘি খুঁড়েছিলাম ব’লে

আমার দিঘিতে পানি ওঠে নি।

আমি ওদের সময়ে আমার মতো চাষ করেছিলাম ব’লে

আমার জমিতে শস্য জন্মে নি।

আমি ওদের সময়ে আমার মতো বাগান করতে চেয়েছিলাম ব’লে

আমার ভবিষ্যতের বাগানে একটিও ফুল ফোটে নি।

তখনো আমার দিঘির জন্য পানি উৎসারণের সময় আসে নি।

তখনো আমার জমির জন্য নতুন ফসলের সময় আসে নি।

তখনো আমার বাগানের জন্যে অভিনব ফুলের মরশুম আসে নি।

আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে।
Profile Image for Arifur Rahman Nayeem.
205 reviews107 followers
February 10, 2023
‘‘... যে তুমি পাখির ডাকে জেগে ওঠো, এবং নিশ্চুপে
বালিকার সারা দেহ ভ’রে দাও তিলেতিলে রূপে,
আর কণকচাঁপার গন্ধে আর ভাটিয়ালি গানে,
যে তুমি বইয়ে দাও মধুদুগ্ধ গাভীর ওলানে,
খড় আর ঘাস থেকে, যে তুমি ফোটাও মাধবী
আর অজস্র পুত্রকে দাও ছন্দ– ক’রে তোলো কবি,
যে তুমি ফোটাও ফুল বনে বনে গন্ধভরপুর
সেই তুমি কেমন ক’রে বাঙলা, সে তুমি কেমন ক’রে,
দিকে দিকে জন্ম দিচ্ছো পালেপালে শুয়োরকুকুর?’’—যে তুমি ফোটাও ফুল।
Profile Image for Kabir Hossain.
69 reviews2 followers
June 24, 2024
আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে; মাঝে মাঝে মনে হয় এই কবিতাটির জন্য আমি মরে যেতে পারি। আমার হৃদয়ের কথাগুলো আজাদ তার কবিতায় লিপিবদ্ধ করেছেন। সময়,যুগ ও মানুষের মনের বাস্তবতাকে কতটুকু উপলদ্ধি করতে পারলে এমন কবিতা লেখা যায়। পুরো কাব্যগ্রন্থের সবগুলো কবিতা আমার খুব পছন্দের। মন খারাপ হয়ে গেলে, আশেপাশের রীতিনীতি দেখে, মানুষের কিছু কিছু কথায় হতাশ হয়ে গেলে; কবিতাগুলোর কাছে চলে যাই।
Profile Image for Kripasindhu  Joy.
543 reviews
October 13, 2025
হুমায়ুন আজাদের কবিতার সবচে' সুন্দর বিষয় হলো তিনি যা চিন্তা করেন সেটাকে ঠিকমতো প্রকাশ করতে পারেন। অর্থাৎ, মনের কথা আর মুখের কথায় মিল থাকে কবিতার মাঝে। এমন লাগে না যে যথাযথভাবে নিজেকে প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছেন।
April 28, 2025
ভাবলাম একটু চাইখ্যা দেখি আজাদ সাবের লেখা। কিন্তু প্রথম কবিতাটা পড়েই আর পড়ার রুচি হইলো না। যাইহোক একদম শুরুর কবিতার নাম হইতাছে গিয়ে আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে। মানে তিনি সময় থেইকা অনেক আগায় ছিলেন, তাই তার কাছে বর্তমানকাল অসহ্য লাগে। সেই অসহ্য লাগার কিছু নমুনাও দিসেন তিনি - বর্তমান সমাজকে আবর্জনা, ধর্মকে (ইসলামকেই বলি, এইডা ছাড়া আর কি নিয়ে এদের ঝামেলা আছে) দূষণ, আর সেসব মেনে চলা লোকদের রাক্ষস দাবী করে।
যাইহোক, তিনি সময় থেইকা অনেক আগায়, বেহেশত দেখতে পান, কিন্তু তার চারপাশের সব মানুষ হইলো গিয়া জাহান্নামি। এভাবেই জাস্ট একতরফা সমাজ, মানুষের উপর দোষ চাপাইয়া পুরা কবিতা জুড়ে শুধু 'আমি' 'আমি'র মহা যজ্ঞ কইরা গেসেন তিনি। আর নিজেরে প্রথাবিরোধী প্রমাণ করার জইন্যে কবিতাতে তার বারবার 'প্রথাগত' শব্দটার ব্যবহারও একেবারে চোখে পরতে বাধ্য।
পুরা কবিতা জুড়ে কবির এই চরমমাত্রার আত্মকেন্দ্রীকতাই দেখতে পাবেন। যেন তার ভাবনাগুলার বাইরে থাকা, কিংবা সেগুলার সাথে সাংঘর্ষিক সামাজিক, ধর্মীয় চিন্তা সব হইতাসে দূষিত আবর্জনা। বিষয়গুলারে খুবই কাব্যিক স্বপ্নদ্রষ্টার প্রতিভা মনে হইলেও আদতে তা শুধুমাত্র কবির বিকৃত অহংকারেরই বহিঃপ্রকাশ।
নিজেরে সময় থেইকা আগায় থাকা দাবী করে কবি যেমনে তার সময়ের সমাজ ব্যবস্থারে নাকচ কইরা দেয়, এটা দিয়া বোঝা যায় যে তার ঘোড়ার ডিমের মত ইয়া বড় ইগো আছে। আরও পরিষ্কার ভাবে বললে তার দৃষ্টিভঙ্গি হইলো অনেক উঁচুতে, তা বিদ্যমান ব্যবস্থার জটিলতা আর সাধারণ মানুষের মূল্যবোধরে মধ্যাঙ্গুলি দেখায়া উপেক্ষা করতেই পারে, কারণ তার লগে না মিললে সেইটা তো আবর্জনাই। এই বিষয়টাকে অনেকে খুব গভীর, কাব্যিক, তিতা সত্য ভাবলেও আমার কাছে এইডা এক নার্সিসিস্ট ব্যাডার আত্মঅহমিকা বাদে আর কিছুই না।
আমাগোর সমাজে অনেক সমস্যাই আছে, যা বদলানো জরুরি, নতুনত্বরে আনতে কারো দ্বিধা নাই। কবি-সাহিত্যিকগোর কাজ সেইগুলা ফুটাই তোলা তাদের কাজে। কিন্তু সমস্যাটা কেমন, কতটা জটিলভাবে সমাজের সাথে জড়ায় আছে সেটা, সবস্তরের মানুষদের সাথে নিয়ে সেইটা থেকে কেমনে রেহাই পাওয়া যাবে ভালোভাবে এগুলা না করে যদি একতরফাভাবে আপনার তথাকথিত দূরদর্শী স্বপ্নের বিপক্ষে থাকা মানুষদের আবর্জনা, দূষণ, দস্যু, রাক্ষস হ্যান ত্যান বলে গালি দিতে থাকেন, তাইলে সেটার চাইয়া বড় অকাম আর কিছু হবে না। এইক্ষেত্রে আহমদ ছফা সাহেবের কথা নকল করে বলতেই হয়, যদি তিনি মনে করেন সাহিত্যের মাধ্যমে মাইনষেরে গালি দিয়া তিনি অনেক বড় জঙ্গ করে ফেলছেন তাইলে ওনারে আমি সুস্থ বইলা মনে করি না।
এই কবিতা পড়ে বোঝা যায় কবি চরম চরমপন্থী। কিন্তু ওনাদের মূল দর্শন, সংগ্রাম সবই তো নাকি চরমপন্থার বিরুদ্ধে। এই চরমপন্থা দিয়া যদি ওনারা চরমপন্থার সমস্যা সমাধান করতে চাই, তাইলে সেইটা আরও প্রকট হয়েই দেখা দিবে। আর এই কবিতায় তিনি যেমনে তার মতের বাইরের মানুষের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেছেন তাতে বোঝা যায়, ওই মানুষগুলারে সরাই দেওয়ার লাইগ্যা গণহত্যাকারী জননেত্রী (থাক আর নাম না বললাম) এর তথাকথিত জঙ্গি দমন নামে হরেক মানুষেরে খুন, গুম, বন্দী করাকে সমর্থন দেওয়া ওনার নৈতিকতায় খুব একটা বাধতো না। কিংবা জুলাইয়ের গণহত্যারেও হয়তো দেশটারে মৌলবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করা হইতেছে মনে করতেন তিনি। মাই পয়েন্ট ইজ, যতোই প্রগতিশীল চেতনা আর নীতি-নৈতিকতার নিরপেক্ষ ধারক সাজেন না কেন, এই লেভেলের একপাক্ষিক ঘৃণার তুষ ছড়াইলে আপ্নে দানব হইবেন-ই। বর্তমান বাংলাদেশে দাঁড়ায় এর চাইতে বড় সত্য আর নাই।
সবশেষে, নিজেরে সমাজ কিংবা সমাজের মানুষের থেইকা বহুত আগায় আছি দেখানোর বিকৃত আনন্দ নেওয়ার লাইগ্যা চার পাঁচ তারকা দিতে পারলাম না এই বইটারে। বাকী কবিতাগুলোও আর পড়ার ইচ্ছা নাই। যাইহোক, আমাদের আজাদ সাব এর অনেক স্বপ্নই এই সমাজ চরিতার্থ করতে দেয় নাই যার কথা, আক্ষেপ তিনি এই কবিতায় দেখাইছেন। তবে তার কিছু বহুল প্রচলিত স্বপ্নের কথা হয়তো এই সমাজের লাইগ্যায় কবিতাতে দেখাইতে পারেন নাই তিনি। আমিই নাহয় তার কবিতার মায়েরে-বাপ এক করা এক্সটেনশন লিখে তার অসমাপ্ত কামটা শেষ করি -

আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে
আমি চেয়েছিলাম নারীদের উপভোগ করতে চুইংগামের মতো চিবিয়ে
আমি চেয়েছিলাম রস ফুরিয়ে গেলে চুইংগামটা ফেলে দিয়ে নতুন চুইংগাম নিতে
ওরা আমার এই অন্ধকার আকাঙ্ক্ষাকে সত্যি হতে দেয়নি
আমি চেয়েছিলাম আমার হাত সীমা লঙ্ঘন করবে
আমি চেয়েছিলাম আমার হাত আমার কিশোরী মেয়েকে করবে আরোপিত স্পর্শ
ওরা আমার হাতে শিকল পরিয়ে দেয়, তবে আটকাতে পারে নি আমার রাজদণ্ডকে
Profile Image for Shihab Uddin.
289 reviews1 follower
May 17, 2023
" তুমি তো তাকাও সব দিকে ; শুধু তুমি আমার মুখের দিকে, মানুষের দুরুহতম দুঃখের দিকে,
এক শতাব্দীতে একবারো- ভুলেও - তাকালে না। "

" সাধ আছে ছুঁয়ে যাবো নষ্ট সভ্যতাকে,
যাতে এই ভেজাল বস্তু
পেট্রলপাম্পের মতো ভয়াবহভাবে জ্ব'লে ওঠে। "

" টেলিভিশনে এখন আমাদের দারিদ্র্যকে
কী সুন্দর, রঙিন, মনোরম দেখায়। "

" তোমার জন্য রেখে যাচ্ছি নোংরা বস্তি সৈন্যাবাস
বর্বর চিৎকার বুট রাষ্ট্রধর্ম তেলাপোকা মধ্যযুগ অন্ধ শিরস্ত্রাণ
মৌলবাদ রেখে যাচ্ছি মরনাস্ত্র আততায়ীর উল্লাস পোড়া ঘাস সন্ত্রাস
মরচে-পড়া মাংস রেখে যাচ্ছি কালরাত্রি সান্ধ্য আইন অনধিকার
সমূহ পতন খাদ তোমার জন্যে রেখে যাচ্ছি অসংখ্য জল্লাদ।"

ছোট, বড় কবিতা মিলে অসাধারণ ক্ষুদ্র সংকলন।
তন্মধ্যে একবার তাকাও বলি, চ'লে গেছো বহু দূর, আমি আর কিছুই বলবো না, কিছু কিছু সুর আমার ভেতর ঢোকে না, শিশু ও যুবতী, বন্ধুরা, আপনারা কি জানেন আপ্নারা শোষণ উৎপাদন করছেন উল্লেখযোগ্য।
Displaying 1 - 7 of 7 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.