স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর ‘উনিশকুড়ির প্রেম’ গ্রন্থে আছে নবীন ভালবাসার একগুচ্ছ কাহিনি। উনিশ-কুড়ি এক আশ্চর্য বয়স। পড়াশুনোর চিন্তা, কেরিয়ার, ইগো, অভিমান, ফ্যাশন, আড্ডা— শৈশব কৈশোর পেরিয়ে জীবন যেন হঠাৎই বড় রাস্তার মুখোমুখি। আর এই ভরপুর সময়েই নিঃসাড়ে জন্মায় প্রেম। কখন যেন পাশের বাড়ির মেয়েটির জন্য উতলা হয় মন বা কলেজ ক্যাম্পাসের অগোছালো ছেলেটিকে দেখার জন্য সারাদিন অপেক্ষায় জাগে চোখ। সব উলটে-পালটে যেতে থাকে। বন্ধুত্ব ভেঙে যায়। বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। প্রেম দৈব, তার আছে কখনও বৃষ্টির গন্ধ, কখনও-বা প্রতিশোধকাতরতা। ‘উনিশকুড়ির প্রেম’ গ্রন্থে প্রতিটি গল্পে আজকের প্রজন্মের হৃদয়ের জলছবি।
স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর জন্ম ১৯ জুন ১৯৭৬, কলকাতায়। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত। প্রথম ছোটগল্প ‘উনিশ কুড়ি’-র প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত। প্রথম ধারাবাহিক ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত। শৈলজানন্দ স্মৃতি পুরস্কার ২০১৪, এবিপি এবেলা অজেয় সম্মান ২০১৭, বর্ষালিপি সম্মান ২০১৮, এবিপি আনন্দ সেরা বাঙালি (সাহিত্য) ২০১৯, সানডে টাইমস লিটেরারি অ্যাওয়ার্ড ২০২২, সেন্ট জেভিয়ার্স দশভুজা বাঙালি ২০২৩, কবি কৃত্তিবাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩, উৎসব পুরস্কার ২০২৪, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড ২০২৪, আনন্দ পুরস্কার (উপন্যাস: '‘শূন্য পথের মল্লিকা') ২০২৫ ইত্যাদি পুরস্কারে সম্মানিত ।
প্রেম,প্রেম! আহ ১৯-২০ বছরের সেই সময়কার প্রেম,কাউকে ভাল লাগলে হালকা আচ্ছন্ন করে দেওয়া সেই মুহুর্তগুলো,কারো সাথে কথা বলতে গেলে গাল লাভ আভায় পরিণত হওয়া সব কিছু যেন ফ্ল্যাশব্যাকের মত ফিরে আসছে বইটা পড়ার সময়।উনিশ বিশ বছরের সেই সময় টা,আহ কাউকে দেখে যেন মনে হইত সে যদি আমার মনের মানুষ হত 😛
বইটা ১১ টা ছোট গল্প আর ১ টা নভেলা নিয়ে। ১১ টা ছোট গল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেস্ট লেগেছে "মিকি মাউসের প্রেম"। আহ কি খেল দেখাল মিকি,মন ভরে গেছিল। দ্বিতীয় সেরা গল্প হচ্ছে " আমাদের স্পাইডারম্যান" এবং ৩ নম্বর ভাল লাগার গল্প হচ্ছে "ক্রাইম মাস্টার গোগো"। হাসছি,আনন্দ পেয়েছি,কিশোর বয়সের স্মৃতি গুলো যেন উঁকি দিয়েছে গল্পগুলো পড়ে।
ঝরঝরে মেদহীন লেখনী যে একটা বইকে কতটা প্রাণবন্ত করে তোলে তার যথার্থ উদাহরণ এই বইটা।জাস্ট অসাধারণ লেখ
মোট এগারোটা ছোট গল্প আর একটা উপন্যাসিকা'র সংকলন 'উনিশ কুড়ির প্রেম'। ঝরঝরে লেখার কারণে একটানা পড়তে ভালো লাগে। কিন্তু সব গল্পের প্লট পাড়াভিত্তিক হওয়ায় একটা একঘেঁয়েমিতেও পেয়ে বসে।