Jump to ratings and reviews
Rate this book

প্রতিদিন একটি রুমাল

Rate this book
হৈরব ও ভৈরব
জোনাকি
অচল সিকি
বুলু ও চড়ুই
বুড়ো ওবাদের জমা-খরচ
একজন জামশেদ
সবুরা ও পরাগল
ছেড়া তাঁর
হলদর নিকারীর একদিন
অচিনপুর
প্রতিদিন একটি রুমাল

136 pages, Hardcover

Published February 1, 1994

16 people are currently reading
174 people want to read

About the author

Mahmudul Haque

20 books111 followers
Mahmudul Haque (Bangla: মাহমুদুল হক) was a contemporary novelist in Bangla literature. He was born in Barasat in West Bengal. His family moved to Dhaka after the partition in 1947. His novels deal with this pain of leaving one's home.

Mahmud gave up writing in 1982 after a number of acclaimed novels. Affectionately known as Botu Bhai and always seen as a lively figure in social gatherings, the rest of the time he was said to lead a solitary life.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
19 (18%)
4 stars
59 (56%)
3 stars
16 (15%)
2 stars
5 (4%)
1 star
5 (4%)
Displaying 1 - 21 of 21 reviews
Profile Image for Harun Ahmed.
1,662 reviews421 followers
October 27, 2023
৪.৫/৫

ঔপন্যাসিক হিসেবে মাহমুদুল হকের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। তার একমাত্র গল্পগ্রন্থ "প্রতিদিন একটি রুমাল" পড়লে গল্পকার হিসেবেও তিনি কত উঁচুমানের ছিলেন তা অনুধাবন করা যায়।
ক্ষয়ে যাওয়া সম্পর্ক, ক্ষয়ে যাওয়া মূল্যবোধ, ক্ষয়ে যাওয়া মানুষের চিত্র ফুটে ওঠে লেখকের বয়ানে।আলোকের ঝর্ণাধারার মাঝে তিনি ব্যক্তিমানুষের বিপন্ন, জীর্ণ, সংকটাপন্ন চেহারা ফুটিয়ে তোলেন নিরূপম দক্ষতায়। আমাদের ভেতরের কদর্য চেহারার সাথে বাইরের মুখশ্রীর বিশাল ব্যবধান লেখক ছিন্নভিন্ন করে দেন তার কলমের তীক্ষ্ণ খোঁচায়। কিন্তু এ কাজটিই তিনি করেন চরিত্রগুলোকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় না করিয়ে।নিজের মতামত তিনি চরিত্রগুলোর ওপর চাপিয়ে দেন না। এখানেই গল্পকথক হিসেবে তার ভিন্নতা ও সার্থকতা।
গ্রন্থস্থ সব গল্পই কোনো না কোনো কারণে উল্লেখযোগ্য। পাঠক হিসেবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে- হৈরব ও ভৈরব, অচল সিকি, প্রতিদিন একটি রুমাল ইত্যাদি।
এ বইয়ের প্রধান সম্পদ ভাষা। নাঈমুল আরেফিন (nayeem) মাহমুদুল হকের ভাষা সম্পর্কে একটা তাৎপর্যবাহী মন্তব্য করেছে,"উনার লেখাতে মনে হয় শব্দগুলোর জীবন আছে, চলাফেরা করতেছে।"
তার গদ্যশৈলীর কিছু নমুনা-
"ভৈরবের হাতের শানানো দায়ের চেয়েও ধারালো আর ঝকঝকে রোদ্দুর। কি ঝাঁজ, কি ধার,একেবারে বালিশান দেওয়া; এক-আধ চিলতে গাছগাছালির যে ছায়া, তা-ও একেবারে খোলায় ভাজা,ফোস্কা পড়া। চোখে ঘোর লাগে হৈরবের।" (হৈরব ও ভৈরব)

"আবুল হোসেন নিজেও তার কান্নাকে বাতাসের মতো, গাছপালার মতো, এলোমেলো করে দিতেন মাঝেমাঝে। কান্নাকে মনে হতো রমণী, সে ঠিকই তার আড়াল খুঁজে নিতো, হাঁটুপানিতে নেমে আঁচলের খুঁট ভিজিয়ে গাল-গলা ডলতো, খোঁপা খুলে দিতো, তারপর নামতো বুক-সমান পানিতে, শাড়ি খুলে ভাসিয়ে ডুব দিতো। "(জোনাকি)

"আবেগ আর বুদ্ধি তার মগজের ভেতর গুঁতোগুঁতি করতে থাকে, জীবনের ভার যেন এইমাত্র এক অতি অসতর্ক মুহূর্তে দড়াম করে তাকে আছড়ে ফেলে দিয়েছে।" (হলধর নিকারীর একদিন)


বইটির ভাষা সবসময় কুসুমাস্তীর্ণ নয়। বিশেষ করে "হৈরব ও ভৈরব" এবং "হলধর নিকারীর একদিন" পড়তে যেয়ে পাঠককে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারের জন্য হোঁচট খেতে হতে পারে। একটু ধৈর্য ও প্রস্তুতি নিয়েই পড়া উচিত।

(১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১)
Profile Image for NaYeeM.
229 reviews65 followers
October 16, 2021
'তুই মিথ্যে কথাও কত সুন্দর করে বলতে পারিস। যা সুন্দর তাই ভালো । মিথ্যে যদি সুন্দর হয় তাও ভালো । সত্যের কুৎসিত ধারালো চেহারাকে আমি ভীষণ ভয় পাই, টুপু। এই যেমন মানুষের জীবন—একটা ডাঁহা মিথ্যে জিনিস, কিন্তু এই মিথ্যেটার গায়ে ঝলমলে ঝালর ঝোলানো থাকলে সুন্দর রঙিন মোড়ক থাকলে একভাবে না একভাবে কোনোরকমে তা চলে যায়, ততখানি ভারী আর থাকে না'

আমরা ছোটবেলায় সবাই পুতুল নাচ দেখেছি নিশ্চয়ই!
পুতুলগুলো সুতো দিয়ে বাধা থাকে এবং একজন সুতোগুলোকে নাড়তে থাকে এবং উনি যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন পুতুলগুলো সেভাবে নাচতে থাকে।।
মাহমুদুল হককে আপনি সেই নিয়ন্ত্রণকারী ভাবতে পারেন।। উনি নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং শব্দগুলো সেভাবে নাচছে, খেলা করছে।।।

উনার লেখা পড়লে মনে হয়, শব্দগুলোর যেন জীবন আছে, এরা যেন খেলছে, চলাফেরা করছে!
উনার লেখা যেন কিলবিল করতে থাকে, শব্দ করতে থাকে, মুখরিত করতে থাকে! এমনও মনে হতে থাকে যেন শব্দগুলো/বাক্যগুলো কোন একটি উৎসবে নেমেছে, আনন্দ করছে। আবার অনেক লেখাতে মনে হয়, যেন এক স্রোতস্বিনী নদী কলকলিয়ে বয়ে চলছে তার যৌবন নিয়ে, চলাত চলাত শব্দ করছে.....
উনার শব্দ দিয়ে বাক্যগঠনে যেন জীবনের ছড়াছড়ি.....
আমার কথাগুলো শুনে হয়তো আমাকে পাগল বলতে পারেন, তবে মাহমুদুল হকের লেখা নিয়ে বলতে গেলে এমনকিছুই বলতে হচ্ছে আমার!!


উপরোক্ত কথাগুলো সামগ্রিক মাহমুদুল হকের লেখা নিয়ে বললেও এই বইয়ের গল্পগুলোর জন্যও কথাগুলো সমানে সত্যি!! এখানেও ছিল উনার ভাষার পারদর্শীতা। উপরে এর একটি উদাহরণ দিয়েছি।। আরো একটি ভাল লাগা অংশ এখানে দিচ্ছি--- "সেই এতটুকুন থাকতে, ভোরের পরপরই কত সজনে ফুলই না কুড়িয়েছে। শিশিরে ভেজা সাদা ধবধবে হিমফুল, চুপড়ি বোঝাই করে এনে মার হাতে তুলে দিয়েছে কতদিন । আহা, কী তার স্বাদ, কী তার সুগন্ধ । এইসব টুকিটাকি হাবজাগোবজা আনাজপাতি রাঁধায় মার কোনো তুলনা ছিল না, মনে পড়ে"


লেখাতে যেমন অনন্যতা, তেমন গল্পগুলোতে ছিল বৈচিত্র্যতা।। বিভিন্ন বিষয়ে গল্পের স্বাদ পাবেন। অনেক গল্পে লেখক মানুষের হীনতা এবং অসাধু আচরণ তুলে এনেছেন, আশপাশের সমাজের অনেক খারাপ দিককে নগ্নভাবে দেখিয়েন, কয়েকটি গল্পে জেলেপাড়ার মানুষ নিয়ে গল্প ছিল, অনেক গল্পে বুড়ো বয়সে এবং যৌবন বয়সে কিশোর সময়ের স্মৃতি এসেছে, চাকরি না পাওয়া বেকারের গল্প।।


"কী খাওয়াটাই না খেয়েছেন এই কটা দিন। খিদেও পেত, রাক্ষুসে। শুধু পাটশাক দিয়েই থালার পুরো ভাত সাবাড় করে দিতেন। নড়বড়ে চৌকিতে শুয়ে ইচ্ছে করে পা ঝুলিয়ে দিতেন ঝাড়াই কাওনের শীষের ডাঁই-এ। মনে হত মখমল। মনে হত আদর। পায়ের পাতার সেকি আহ্লাদিপনা, শুধু উম চায়, ভালোবাসা চায়, ছেলেমানুষি চায়, শৈশব চায় । যত বলো, শৈশব মানে বিমাতার অত্যাচার, শৈশব মানে দুঃখ, সে তবু চায়, কিছুতেই তাকে বোঝানো যায় না, বলে আরো দাও, আরো দুঃখ দাও, আমাকে শৈশব দাও, আমাকে কোলে নাও, আমাকে মারো"


তবে বিশেষ করে আপনার বেশি চোখে পড়বে শব্দের ব্যবহার। উনি এমন এমন শব্দের প্রয়োগ ঘটান যে, যেগুলোর সচরাচর ব্যবহার চোখে পড়ে না এবং বেশ স্বার্থকভাবে সেগুলোর প্রয়োগ ঘটাতে পারেন!!

***যে গল্পগুলো আমার বেশি ভাল লেগেছে তা হলো----
জোনাকি, অচল সিকি, বুড়ো ওবাদের জমাখরচ, একজন জামশেদ, ছেড়া তার, অচিনপুর, প্রতিদিন একটি রুমাল

"কান্নাকে মনে হত রমণী, সে ঠিকই তার আড়াল খুঁজে নিত, হাঁটুপানিতে নেমে আঁচলের খুট ভিজিয়ে গাল-গলা ডলত, খোঁপা খুলে দিত, তারপর নামত বুক-সমান পানিতে, শাড়ি খুলে ভাসিয়ে ডুব দিত"
Profile Image for Injamamul  Haque  Joy.
100 reviews115 followers
July 6, 2023
মাহমুদুল হকের দুইটা উপন্যাস (কালো বরফ, জীবন আমার বোন) এবং এই গল্পগ্রন্থ পড়ার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইলাম যে, ওনার লেখালেখির হোম গ্রাউন্ড হচ্ছে পরিবার। আর উনি হোম গ্রাউন্ডের ফায়দা তুলে ওনার সৃষ্ট পারিবারিক সদস্যদের সীমাবদ্ধতা, দারিদ্রতা দিয়ে। একটা নির্দিষ্ট টাইমলাইনে গল্প পরিচালনা করে সেখানে একজন প্রান্তিক পরিবারের সুক্ষ্ম অনুভূতি, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আবেগ আর দারিদ্রের কষাঘাত ফুটিয়ে তুলতে পারেন উনি। যেটা ওনার গল্প-উপন্যাসের সৌন্দর্যের মাত্রা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। বইয়ের শেষে ফ্ল্যাপে বলা আছে 'ছোট গল্পে কী বলছি যেমন জরুরি, কেমন করে বলছি তাও কম জরুরি নয়'। 'কেমন করে বলছে' সেটা বিশ্লেষণ করলে উনি একশোতে একশো পেয়েছেন। এত সুন্দর বাক্যগঠন, শব্দচয়ন যে, চরিত্রদের অন্তর্মুখিতা গুলো যেন বাস্তবে এসে কষাঘাত হানে। যা বলছিলাম, এটা একটা গল্পগ্রন্থ। বইতে মোট চৌদ্দটা গল্প আছে। এর মধ্যে 'হৈরব ভৈরব', 'জোনাকি', 'অচল সিকি', 'সবুরা ও পরাগল', 'অচিনপুর' এবং 'হলধর শিকারীর একদিন' গল্পগুলো অতিরিক্ত সুন্দর। এর মধ্যে 'জোনাকি' এবং 'সবুরা ও পরাগল' প্রায় প্লটহীন। কিন্তু শুধুমাত্র লেখকের মায়াময় লেখনীর জো���ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেতে বাধ্য। 'হৈরব ভৈরব' গল্পটা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের একজন ঢাকির দারিদ্র্যতা এবং অতীতের সুখময় স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকার গল্প। 'জোনাকি' একজন একজন নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত অসচেতন পিতার গল্প। 'অচল সিকি' হচ্ছে এক মধ্যবিত্ত দম্পতি ও তাদের অচল সিকির গল্প। 'সবুরা ও পরাগল' হচ্ছে একজন ভাগ্যাহত ভিখারির শারীরিক সীমাবদ্ধতার গল্প। 'অচিনপুর' এক মানবিক যুবতী এবং তার প্যারালাইজড মামীর গল্প। আর 'হলধর নিকারীর একদিন' গল্পের নামটাই গল্পের সারাংশ। যেখানে হলধর নিকারীর সারাদিন দেখানো হয়েছে। বাকিগুলোও সুন্দর, যার মধ্যে 'প্রতিদিন একটি রুমাল' গল্পটার কথা উল্লেখ না করলেই নয়।

সর্বোপরি একটা দারুণ গল্পগ্রন্থ।
Profile Image for Ashis Saha.
106 reviews27 followers
September 25, 2019
আমাকে যদি বলা হয় - কথা দিয়ে ইমারত গড়তে হবে, তাহলে বোধ হয় মাহমুদুল হকের শরণাপন্ন হবো। কী সাবলীলভাবেই না প্রকাশ করেন এক্কেবারে মনের গহীন কোনের অনুভূতিগুলো। যে অনুভূতিগুলোকে মনে হয় কেবলই অনুভবের, ভাষায় প্রকাশের বাইরে, সেগুলোও মাহমুদুল হক এত চমৎকারভাবে বলেন যে, মনে হয় বুঝি সেগুলো নিজের ভেতরেই ঘটছে। গল্পগুলোর উল্লেখযোগ্য দিক - পাঠকের সাথে গল্পের চরিত্রগুলোর অদৃশ্য যোগাযোগ, পাঠক যেন উপলব্ধি করতে পারেন চরিত্রগুলোর অস্থিরতা। তবে মজার ব্যাপার হলো - মূল বইয়ের গল্পগুলোর চেয়েও বেশি ভালো লেগেছে পরবর্তীতে সংযোজিত গল্পগুলো, বিশেষ করে “কালো মাফলার” গল্পটি।
Profile Image for Ashkin Ayub.
464 reviews228 followers
September 17, 2021



ট্রাফিকের ক্যাকোফোনি নাকি আমাদের স্বপ্ন চুষে খায়। সেসব স্বপ্ন গুলো কেন এমন স্বপ্ন এটা নিয়েও আমাদের হতাশা থাকে। সেই হতাশা কালো ছায়া হয়ে জড়িয়ে রেখেছে অনেক দিন ধরে, হতাশার আঁধারে আমরা আবার দিশেহারা হয়ে পড়ে থাকি। এগুলো দেখে নীল ধ্রুব তারা প্রশ্ন করে, আর কতকাল দিশেহারা হয়ে উদ্ভ্রান্তের মত ঘুরতে থাকব। সেই নীলচে তারা একটু খানি আলো কোনও এক 'তোমার' জন্য বরাদ্দ। সেই তোমাকে আবার মনে পড়বে যখন জ্যোৎস্না হাসে তখন, যখন আকাশ ভেঙ্গে বর্ষা কাঁদে তখন ও! সেই বৃষ্টির কান্না দেখে আবার কোন এক 'তোমায়' মনে পড়ে, যে অশ্রুভরা দুটি চোখে ব্যাথার কাজল দিয়ে মুখ লুকিয়েছে

এই কারনেই হয়ত মানুষ বই পড়ে। একটা ক্ষনিক এবসার্ড চক্রে ফেলে দিয়ে তাদের হরমোন এর ব্যালান্স নিয়ে এ এক অনন্ত খেলা। যাই পড়ি না কেন, তার সাথে নিজেকে রিলেট করতে হবে। একবার ধাম করে সেরিটোনিন আকাশে উঠে, পরে আবার সে নেমে অক্সিটোসিন কে মাঠ ছেড়ে দেয়। একটু পরে সবাই মিলে আকাশের দিকে দেয় ছুট। কি একটা বিপদ !

ছোটবেলায় এই বইটা পড়ায় এমন একটা স্বাদ পেয়েছিলাম কিনা এটা নিয়ে আমার নিজেরই বিস্তুর চিন্তা রয়েছে। কিন্তু বড়বেলায় এসে মাহমুদুল হকের ‘প্রতিদিন একটি রুমাল’ পড়তে পারার অনুভূতি বেশ সুখকর। নাকি এটাও একটা লুসিড ড্রিম? ম্যাট্রিক্স??

বইটা শেষ করে চায়ে চুমুক দিতে দিতে খেয়াল হলো, কবি বিনয় মজুমদারের জন্মদিন। উনার একটা লাইন বেশ মনে ধরে আমার। অনেকটাই প্রাসঙ্গিক মনে হয়।

'আমি পনেরো হাজার কবিতা লিখেছি। কেন লিখেছি কেউ জানে না, আমিও জানি না। না লিখলে বাংলা সাহিত্যের ক্ষতি হতো না, আমার ক্ষতি হতো। লিখতে লিখতে বুঝেছি আমি কবিতা লিখতে জানি না। লিখতে লিখতে বুঝেছি কবিতা লিখলে দুঃখ ভোলা সম্ভব। কিন্তু দুঃখ ভুলে গেলে আর কবিতা লেখা যায় না।'


তাত্ত্বিক আলাপে পদ্য আর গদ্য দুইটাই ভিন্ন জিনিস। কিন্তু দুইটাই তো লেখালেখি - মনের বর্ণমালা কাগজে এঁকে দেওয়া, তাইনা? বিনয় বললেন লিখতে লিখতে দুঃখ ভোলা সম্ভব, তাহলে মাহমুদুল হকের জীবনের দুঃখ কি শেষ হয়ে গেছিলো বলেই উনি লেখালেখিতে ইতি টেনেছিলেন?


জীবন খুব অদ্ভুত !
Profile Image for Masud Sojib.
35 reviews43 followers
September 3, 2016
বিভূতির লেখা পড়তে গেলে আমরা যেমন প্রকৃতি তে হারিয়ে যাই, ওয়ালীউল্লাহর লেখায় যেমন ধর্মের অসারতাকে বার বার দেখতে পাই, আখতারুজ্জামানের লেখায় যেমন প্রতিদিনের জীবন থেকে উঠে আসা ভাষাকে খুঁজে পাই তেমনি মাহমুদুল হকের লেখায় ঘুরেফিরে ছেলেবেলার স্মৃতি আর সেই স্মৃতির প্রতি গভীর টান অনুভব করি। যেমন মাহমুদুল হক তার ’কালো বরফ’ উপন্যাসে বলেছেন ‘এইভাবে সবকিছু একদিন গল্প হয়ে যায়। জামার পকেটে একটা ফিতে, ফিতেয় চুলের গন্ধ, যে গন্ধে অনেক দুঃখ, যে দুঃখে অনেক ভালবাসা, যে ভালবাসায় অনেক ছেলেবেলা। ‘

প্রতিদিন একটি রুমাল পড়তে গিয়ে ও সেই ছেলেবেলার প্রতি লেখকের যে গভীর ভালোবাসা আছে, দীর্ঘশ্বাস আছে সেটিই বারবার দেখতে পেলাম। গল্পের বিষয়ে বৈচিত্র্য থাকলেও জোনাকি, বুলু ও চড়ই, একজন জামশেদ, ছেড়া তাঁর, অচিনপুর, প্রতিদিন একটি রুমাল, সবগুলো গল্পেই কমবেশি ছেলেবেলার স্মৃতি ফিরে এসেছে। ওয়ালীউল্লাহর সাথে মাহমুদুল হকের লেখার মূল ভাবে কিংবা মূল বক্তব্যে ভীষন বৈপরীত্য লক্ষ্য করা যায়। ওয়ালীউল্লাহ তার প্রায় সব লেখায় বিবেকের সততার কাছে ফিরেছেন, পরিচ্ছন্ন মানুষের ছবি আঁকতে ছেয়েছেন অন্যদিকে মাহমুদুল হক তার উল্টো অর্থাৎ তাঁর লেখায় বিষন্নতা ভর করে, নৈরাশ্যবাদী চিত্র ফুটে উঠে। জীবনের কুৎসিত বিষয়গুলো কে মাহমুদুল হক অকপটে বলে যান, জীবনের ঘরে যে কঠিন বাস্তবতার সাথে মানুষ যে লড়াই করে সে বহুমুখি লড়াইয়ের ভালোর পাশাপাশি মন্দের চিত্রও আঁকেন। ঠিক তাই মাহমুদুল হকের লেখায় কোন বাহুল্য নেই, আরোপীত সততা নেই।

আরেকটি লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো মাহমুদুল হকের লেখায় আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগ। শুধু মুখ দিয়ে উচ্চারিত ভাষা দিয়ে সমাজের কোন নির্দিষ্ট শ্রেণির চরিত্র অঙ্কন করা সম্ভব নয়। কর্ম, চিন্তা, বোধ থেকে যে ভাষা উত্থিত হয়, সে ভাষা পড়তে না জানলে সেই শ্রেণি কে শুধু আঞ্চলিক ভাষা দিয়ে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব না। মাহমুদুল হকের গল্পে ভাষা উঠে আসে গল্পের চরিত্রের কর্ম-চিন্তা-বোধ থেকে। মানুষ কে বুঝে উঠতে তার কর্ম, চিন্তা সম্পর্কে ধারণা আবশ্যক। শুধু মুখের ভাষা দিয়ে আমরা মানুষ চিনতে পারি না। মাহমুদুলের হকের লেখা ঠিক তাই, গল্পের চরিত্রগুলো কে বুঝে উঠতে তাই গভীর মনোযোগ আর সময়ের প্রয়োজন হয়। ’হালধর নিকারী কিংবা ওবাদ অথবা আলতাফ’ গল্প শেষেও আমাদের কাছে কিছুটা অসম্পষ্ট কিংবা কিছুটা অমিমাংসিত থাকে।

খুব সম্ভব ’বুলু ও চুড়ই পাখি’ গল্পটির ভাবনাই পরবর্তীতে ’জীবন আমার বোন’ উপন্যাসে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ এ গল্পে সেই মুক্তিযুদ্ধ এবং বুলুর লাঞ্চিত হওয়ার কথা বলে। ‘অচল সিকি’ কিছুটা হালকা চালের গল্প নিয়ে অগ্রসর হলেও শেষ পর্যন্ত মানুষের জীবনের অদেখা অন্ধকারের ঘরে আলো ফেলে। ’জোনাকি’ গল্পটা খুব সম্ভব গল্প গ্রন্থের সবচেয়ে দুর্বল গল্প। নিম্নমধ্যবিত্ত জীবনের টানাপোড়েন, আপোসের মাঝে প্রকৃতির প্রতি মমত্ব কিভাবে প্রাণ কে সতেজ সবুজ করে বললেও শেষ পর্যন্ত গল্পটি খাপছাড়া থেকেছে। গল্পগ্রন্থে আমার সবচেয়ে প্রিয় গল্পগুলো হলো ‘অচিনপুর , একজন জামশেদ এবং প্রতিদিন একটি রুমাল। ’

’অচিনপুরে’ মানুষের বদলে যাওয়া রূপ, জীবনের টানাপোড়েন আর শৈশব এক হয়ে মিশে গেছে। মাহমুদুল হকের লেখার মূল বৈশিষ্ট্য সেই বিষন্নতা, নৈরাশ্য���াদ আর ছেলেবেলার কথা এ গল্পে বারবার ফিরে আসে। যেমন মিনু মামী বলছে,

“শুনতে যতো খারাপ লাগুক না কেন, কে কি দিয়েছে, কে আমাকে কি দেয়নি, এই হিসেবটার ওপর চলে আমাদের জীবন। আমরা সবাই যে যার নিজের জন্য জন্মাই, নিজের জন্য মেরেকেটে বেঁচে থাকি। সবাই যে যার নিজেকে প্রাণ ভরে ভালোবাসি। এই দুর্বলতার নামই হয়তো জীবন। ’’

এ কথাগুলোর মাঝে যেমন নিরাশা আছে তেমনি গভীর দু:খবোধও আছে। আর এ দুটোর যোগ বিয়োগই আসলে আমাদের জীবনে গল্প এগিয়ে চলে।

বদলে যাওয়ার কথা, হারিয়ে ফেলা শৈশবের কথা বিষন্নতা হয়ে মাহমুদুল হকের লেখায় ডুকরে কাঁদে।

”আমরা বদ��ে যাই, ভয়ঙ্কর ভাবে বদলে যাই। ছেলেবেলায় ছোট্ট পাখিটার মৃত্যুতে যে আমরা ডুকরে ডুকরে কাঁদি সেই আমরাই একসময় মানুষের মৃত্যুতেও তো শোকগ্রস্থ হইনা।”

কিংবা

“ঘুঘুডাকা দুপুর, নিস্তব্ধ ফাঁকা মাঠ, গোরুর পাল, হু হু বাতাস, বাঁধানো শানঘাট, ঝুরিওয়ালা অশথ, মস্ত একটা দিন.... এসবই কান্নার মতো, দীর্ঘশ্বাসের মতো। “

’প্রতিদিন একটি রুমাল গল্পটি তে ‘ জীবনের অর্থ সরল রৈখিক সততায় না এঁকে তার যে অসংখ্য রূপ আছে, গন্ধ আছে এবং কোনটি যে একমাত্র সঠিক কিংবা সত্য নয় সেটিই ফুটে উঠেছে। অসংখ্য মানুষের জীবন অসংখ্য গল্পে ভরা, সেখানে প্রতিটি জীবনবোধ, প্রত্যেকের ভালো-খারাপের সংজ্ঞা আলাদা আলাদা করা গড়া। যেমন লেখক বলছেন,

‘জয়-পরাজয় থেকেই নিয়ম, নিয়মের বাহিরে গেলে শাসন, শাসনে শাসনে একসময় শেষ হয়ে যেতে হয়।’

জীবন আসলে যতই নিয়মের ছকে আঁকার চেষ্টা করা হোক না কেন সহজাত ভাবে মানুষ নিয়ম মানতে অভ্যস্থ না। মানুষ তাই শৃঙ্খল ভাঙ্গতে চায়, মুক্ত হতে চায়, মুক্তভাবে নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। সমাজ-রাষ্ট্র আমাদের জন্য কতগুলো নিয়ম বানাতে থাকে আর আমরা বড় হতে হতে সেই নিয়মের মাপে বানানো পোশাকে প্রশ্নহীন ভাবে ঢুকে পড়ি আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি। মাহমুদুল হকের ‘প্রতিদিন একটি রুমাল’ গল্পটি সেই নিয়ম ভাঙ্গার কথা বলে, জীবনকে বন্ধন আর নিয়মের ছকে আটকে না যেতে আহবান করে। জীবন জীবন্ত থাকুক তার রঙে, তার গন্ধে।
Profile Image for Anik Chowdhury.
175 reviews36 followers
October 25, 2021
এ-ই নিয়ে মাহমুদুল হকের দুইটা বই পড়েছি। প্রথমটা অনুর পাঠশালা এবং এখন শেষ করলাম প্রতিদিন একটি রুমাল। অনুর পাঠশালা আমাকে মুগ্ধ করেছিলো, লেখকের আরো লেখা পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলো। তাই তার হাত ধরেই এই বইটি হাতে নেওয়া। এই গল্পগ্রন্থে মোট এগারোটি গল্প রয়েছে। প্রতিটি গল্পে শব্দের প্রয়োগ, ভাষার সুনিপুণ ব্যবহার প্রতিটি পদেপদে এক ঘোরলাগা ভাব এনে দেয়। প্রতিদিন একটি রুমাল গল্পটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। উদ্দাম বেপরোয়া জীবনের যে ছাপ আছে তা কোথায় যেন একটু করে আঁচড় দিয়ে যায়।হলধর নিকারীর একদিন এই গল্পটাও খুব সুন্দর। এখানের প্রতিটি গল্পেই লেখক তার অসাধারণ লিখনশৈলীর ভাব রেখে গিয়েছেন। তাই গল্পকার হিসেবেও মাহমুদুল হক সাহেব আপনাকে পুলকিত করতে সিদ্ধহস্ত।
Profile Image for Sanowar Hossain.
281 reviews25 followers
October 25, 2023
মাহমুদুল হকের কিশোর উপন্যাস 'চিক্কোর কাবুক'র প্রধান চরিত্র টুপু শব্দের রং নির্ণয় করতে পারতো। বিভিন্ন পাখপাখালির শব্দ বা প্রকৃতির নির্জনতার শব্দের রং সে অনুভব করতে পারতো। তো আমি যদি বলি মাহমুদুল হক স্বয়ং শব্দকে কলমের জাদুতে রাঙিয়ে তুলতে পারেন সেটা বোধহয় ভুল হবে না। 'প্রতিদিন একটি রুমাল' গল্পগ্রন্থে মোট ১১ টি ছোট গল্প রয়েছে; যা পাঠককে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদে মুগ্ধতা এনে দেবে।

হৈরব ঢাকীর সুদিন আর নেই। আগে কত বড় করে পূজো হতো, পুরো মৌসুমের বায়না পাওয়া যেত। আর এখন সেই লঙ্কাও নেই, রাবণও নেই। ঢাক বাজিয়ে আর উপার্জন হয়না। তবুও আশায় থাকে জীবিকা নির্বাহের এই সম্বল দিয়েই দিনযাপন করার। হৈরবের ছেলে ভৈরবও ঢাক বাজায়। তবুও সংসারে অভাব লেগেই আছে। অভাবের সংসারে হৈরবের স্ত্রী যোগমায়া ও বোন দয়ার সাথে সবসময়ই ঝগড়া হয়। দয়া কথায় কথায় হৈরবের পুরনো প্রেমের কথা বলে যোগমায়াকে উত্যক্ত করে। হৈরব টাকা ধার নিয়েছিল গণিমিয়ার থেকে। প্রায়ই টাকার জন্য তাগাদা আসে। গণিমিয়া বাড়িতে টাকা নিতে আসলে কাথামুড়ি দেয় হৈরব আর ভৈরব ঢাক বাজিয়ে গণিমিয়ার টাকা পরিশোধে সময় ক্ষেপনের পায়তারা করে। বইটি পড়ার আগে জানা ছিল না এটি একটি গল্প। কারণ মাহমুদুল হকের উপন্যাসেও অনুচ্ছেদের শিরোনাম দেওয়ার নজির আছে। কিন্তু গল্পটি যখন শেষ হয়ে গেল তখন আফসোসই রয়ে গেল যে, এর মধ্যে উপন্যাস তৈরির সকল উপাদানই ছিল।

ছেলেমেয়ে বড় হয়ে গেলে বাবা মায়ের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এই দূরত্ব অনেক সময় সন্তানের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবুল হোসেন গ্রাম থেকে ফিরে যখন স্ত্রী মরিয়মের কাছে জানতে পারেন পুত্র-কন্যা নাগা ও বুলু বেড়াতে গিয়েছে দূরে কোথাও তখনই বেখাপ্পা হয়ে যান। তখনই তিনি এর একটি হেস্তনেস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। নাগা ও বুলু বাড়ি ফিরলে জানতে পারেন তারা কক্সবাজার গিয়েছিল এবং সাথে ছিল নাগার বখাটে ধনী বন্ধু কামরান; তখন আরো ক্ষেপে উঠেন এবং ছেলে নাগার সাথে একপ্রকার হাতাহাতি হয়ে যায়।

বিয়ের আগে ও পরে সম্পর্ক সবারই কম বেশি পরিবর্তন হয়। সেই পরিবর্তনের দিকে তাকিয়ে অনেকেই ভালো মন্দের বিচার করতে বসেন। তবে দিনশেষে একইসাথে থাকতে পারাটাই কি সার্থকতা নয়? এনামুল বিয়ে করেছে শিক্ষিকা জেবুন্নেসাকে। শিক্ষকতার টাকা দিয়েই সংসার চলে তাদের। একদিন শালবন বিহারে বেড়াতে গিয়েছিল তারা। সেখানেই নির্জনে হাঁটতে হাঁটতে জীবনের উত্তর-পূর্ব সম্পর্কে আলোচনায় মেতে উঠে তারা। পথে দেখা হয় এক বয়স্ক দোকানদারের সাথে; কষ্টেসৃষ্টে দিন কাটে তার। গল্পটির শেষ পাঠককে মর্মাহত করবে নিশ্চিত।

ব্রিটিশ আমল থেকেই গ্রামের সকলের বংশানুক্রমিক পেশা চুরি-ডাকাতি। চুরি ডাকাতির টাকায় প্রায় বছরজুড়ে উৎসব করে তারা। আশেপাশের গ্রামের মানুষেরা অতিষ্ঠ হয়ে কঠিন একটি সিদ্ধান্ত নেয়। উৎসবের একদিনে চারদিকের সকল মানুষেরা ঐ গ্রামের উপর চড়াও হয়। গুনে গুনে আড়াইশো মানুষকে জবাই করা হয় সেদিন। বাদ যায়নি নারী ও শিশুরাও। সেই সাত গ্রামের মানুষের মধ্যে দাঁড়িয়ে সব দেখেছিল বুড়ো ওবাদ। এই ঘটনার পরে কালুছৈয়াল বুড়ো ওবাদকে দিয়ে ঐ গ্রামের মাটির নিচ হতে উদ্ধার করা চুরির মালামাল আনা নেওয়ার কাজ করায় নৌকা দিয়ে। একদিন রাতে বুড়ো ওবাদ একাই সেই গ্রামে যায় এবং মাটি খুড়তে শুরু করে। তাহলে সে নিজেই কি চুরির মালামাল হস্তগত করবে নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে? উত্তরটা গল্পের শেষেই রয়েছে এবং তা পাঠককে বুড়ো ওবাদের প্রতি কৃতজ্ঞ করে তুলবে।

কলেজের শিক্ষক সবুজ রেখাকে বিয়ে করে থিতু হয়েছে। তবে কলেজ মফস্বলে হওয়ায় সপ্তাহান্তে একবার ঢাকায় এসে পরিবারের সাথে কাটিয়ে যায়। তবে নিশ্চিন্তে রেখাকে নিয়ে একটু সময় কাটাবে বা কোথাও ঘুরতে যাবে সেই উপায় নেই। ঢাকায় ফিরলেই বন্ধু আলতাফ এসে হাজির হবে এবং তাকে কোথাও না কোথাও নিয়ে যাবে। রেখা চুপচাপ স্বভাবের মেয়ে। স্বামীর প্রতি কখনোই এই ব্যাপারে ক্ষোভ ঝাড়ে না। আলতাফকে বলে রেখেছে তার চাকরিটা যেন ঢাকায় বদলি করিয়ে দেয়; এভাবে দূরে থাকাটা তার জন্য অসহ্য। এমনই এক ছুটির দিন আলতাফ তার গাড়িতে করে বের হয় সবুজকে নিয়ে। আলতাফ আমুদে ধরনের মানুষ। সারাদিন আনন্দ করার উদ্দেশ্য নিয়ে বের হয়েছে সে। তাই প্রথমেই কোনো মেয়েমানুষের কাছে যেতে চায়। আলতাফ মনে করিয়ে দেয় সবুজের এক সময়ের প্রেমিকা রোখসানার কথা। তার কাছে যেতে চায় আলতাফ। কিন্তু সবুজ মানা করায় আলতাফ তাকে এখনো প্রেমিকার প্রতি টান থাকা নিয়ে উপহাস করে। রাস্তায় একটি মেয়েকে রিকশায় দেখে পছন্দ করে বসে আলতাফ। মেয়েটির দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করলেও মেয়েটি কোনো সাড়া দেয় না। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে অমানবিক একটি কাজ করে বসে আলতাফ। এদিকে অনুশোচনায় ভুগতে থাকে সবুজ আর নিজের রুমালটাও হারিয়ে ফেলে।

মাহমুদুল হকের লেখা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই�� বিচিত্র ধ্যানধারণাকে পুঁজি করে জীবনের আলেখ্য নির্মাণে তিনি বরাবরই নিজেকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন। মানবজীবনের উত্থান পতন ও যাপিত জীবনের বিশ্লেষণ লেখকের লেখায় স্পষ্টভাবেই ফুটে উঠে। ছোটগল্পগুলো পাঠকের মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করবে এবং মুগ্ধতা রেশ ছড়িয়ে দেবে। ছিমছাম পরিপাটি লেখার স্বাদ নিতে বইটি সংগ্রহ করে পড়া শুরু করে দিন। হ্যাপি রিডিং।
Profile Image for Dev D..
171 reviews26 followers
April 22, 2022
এই বইয়ে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে মূল বইয়ের সাথে সংযোজিত সন তারিখ ছাড়া শেষ তিনটি গল্প। তবে পড়ে মনে হয় গল্পগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময় লেখা। তখন হয়তো প্রকাশের সুযোগ ছিল না কিন্তু লেখক লিখে গেছেন সমসাময়িক ঘটনা।

কালো মাফলার গল্পে ১৯৭১ এর যুদ্ধে অবরুদ্ধ এক পরিবারের গল্প বলা হয়েছে। যে পরিবারটি পালিয়ে বেড়াচ্ছে কারণ পরিবারের সবচেয়ে ছোট আদুরে ছেলেটি যুদ্ধে গেছে। তার লেখক বড় ভাই প্রতি মুহূর্ত কাটাচ্ছে আতংকে আর অবিশ্বাসে। গেরিলা যোদ্ধাদের প্রতি তার ভরসা নেই, যুদ্ধ আদৌ কবে শেষ হবে কত বছর পর তা নিয়ে সে সন্দিহান। বোনটিকে পাঠিয়ে দিতে হয়েছে নিরাপত্তার জন্য দূরের এক আত্মীয় বাড়িতে। ছোট ভাইটি রাতে রাজাকারদের লুকিয়ে বাড়ি আসে ভাইয়ের মাধ্যমে সহযোদ্ধাদের দুটো গ্রেনেড পৌঁছে দেবার জন্য। অবরুদ্ধ মানুষের তখনকার মানসিক অবস্থা, যুদ্ধে যাবা গেরিলাদের মানসিক টানাপোড়েন এর কি নিখুঁত বর্ণনা পুরো গল্পে। এটাই হয়তো এই সংকলনের সেরা গল্প। গরু-ছাগলের গল্প মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের সংখ্যালঘু মানুষের দুর্দশার বাস্তব দলিল, সেই সঙ্গে বলা আছে দুটি নারী পুরুষের ভালোবাসার কথাও। বেওয়ারিশ লাশ গল্পটা অনেকটা কালো মাফলারের মতোই একই সময় এবং পরিস্থিতির গল্প।

মূল বইয়ে ভালো লেগেছে অচল সিকি যার বর্ণনার ভঙ্গি যেমন মুগ্ধ করে তেমনি চমকে দেয় গল্পের শেষটাও। মানবমন যে কত বিচিত্র, ভালো মন্দের মোটাদাগে কাউকে ভালো বা খারাপ ভেবে নেবার যে সুযোগ নেই, মন্দের উপস্থিতি আমাদের সবার মাঝেই, আপাত নিরীহ ভালো মানুষের মধ্যেও তাই কি এই গল্পে বলতে চেয়েছেন মাহমুদুল হক। একই বক্তব্য নিয়ে আরেকটি স্বপ্নের মতো সুন্দর অথচ করুণ দুঃখের গল্প অচিরপুর। ভালো লেগেছে বুড়ো ওবাদের জমা-খরচ, ছেড়া তার, হলধর নিকারীর একদিন, একজন জামশেদ, হৈরব ও ভৈরব।

তবে জোনাকি, বুলু ও চড়ুই, সবুরা ও পরাগল কিংবা শিরোনামোক্ত গল্প প্রতিদিন একটি রুমাল দুর্দান্ত বর্ণনা এবং ভাষার মোহজাল বিস্তার করেও শেষে কেমন যেন খাপছাড়া তাদের সমাপ্তির জন্য। মনে হয়েছে গল্পগুলোয় ভাষা আছে, আছে মনস্তত্ত্বের নিখুঁত উপস্থাপন, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কথাও আছে এই বইয়ের আর সব গল্পের মতোই কিন্তু কোন বৈশিষ্ট্যময় পরিসমাপ্তি যেন নেই। তাই গল্প হয়েও পুরোপুরি গল্প হয়ে ওঠে নি যেন এগুলো।

তবে প্রতিটি গল্পেই লেখকের মানব মনের অসাধারণ বিশ্লেষণ, সমাজের নানা স্তরের মানুষের কথা আর ষাট এবং সত্তরের দশকের বাংলাদেশের কথা যেসময়ের কথা খুব বেশি গল্প উপন্যাসে পড়ার সুযোগ হয় নি। গল্পগুলোর সমাপ্তি মনকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষাদগ্রস্ত করে তুলবে এ সত্য তবু এ বই পড়া এক ধরনের মুগ্ধতা ছড়িয়েছে, বিষাদের মধ্যেও ভালো লাগা এনে দিয়েছে কতগুলো ভালো গল্প পড়ার তৃপ্তি এনে দিয়ে।



Profile Image for Swajon .
134 reviews76 followers
November 2, 2017
সবগুলো গল্পেই প্রিয় মাহমুদুল হককেই খুঁজে পেলাম আবার। যেন একটা একটানা লুসিড ড্রিম। স্মৃতি, জীবনের পরতে পরতে স্মৃতিই যেন এমব্রয়ডারি করে যাচ্ছে নিরালা বিকেলে। আর মানুষের কথোপকথনের বিস্তারিত নথিপত্র টুকে রাখছে যেন প্রকৃতি। শৈশব ফিরে ফিরে আসে।

" নিস্তব্ধতার যে ভাষা তা হলো এই, নত হও,নত হও, আরো নত হও, নত হলেই গিমেশাক- পুনর্নবা তোমাকে ভালোবাসবে, ছাতারে দেবে তার ডানা থেকে পালক, কাঠঠোকরার উলুধ্বনি, সব পাবে। "
Profile Image for Saiqat .
60 reviews1 follower
December 4, 2021
কি হতো যদি কিছু না ভেবে থাকা যেতো?
কি হতো যদি কিছু না দেখে বসে থাকা যেতো?

-শুধু শূন্যে দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকেই চলতো আর রুমালটা কব্জিতে বাঁধা!
মাহমুদুল হক বড্ড বিষন্ন খুজে সুন্দরের সংজ্ঞাটাও বিষন্ন করে তুলে!
Profile Image for Mosharaf Hossain.
128 reviews99 followers
February 23, 2018
"অপারেশনে থাকতে বুঝতিস, মৃত্যু কতো তুচ্ছ ব্যাপার, মৃত্যুকে নিয়ে কিভাবেই না ছেলেখেলা করেছিলাম আমরা প্রাইভেট আর্মির দস্যুরা। মরণকে আবার ভয় কি রে? তুই কি ভেবেছিস পৃথিবীটা একটা মস্ত রসগোল্লা, নরোম তুলতুলে মিষ্টি। বড়ো শক্ত জায়গা এটা, বুঝলে খোকন, বড়ো শক্ত জায়গা, বেঁচে যদি থাকতে চাও, যদি টিকে থাকতে চাও, লড়াই করেই তা সম্ভব! জীবনভর শুধু লড়াই আর লড়াই আর লড়াই- "

আহ এক বসায় গিলে ফেলা বই মাহমুদুল হকের বই 'প্রতিদিন একটি রুমাল'। ৬০ থেকে ৭০ দশকের মাঝে লেখা হাফ ডজন ছোট গল্পের সংকলন এই বই। সাপুড়ে লেখক মাহমুদুল হকের প্রতিটা লেখাই জড়িয়ে গিয়েছে এলোমেলোভাবে মগজ জুড়ে।

গ্রাম, শহর আর ভয়, বিষণ্ণতার ছোঁয়া প্রতিটা গল্পেই। আঞ্চলিক ভাষার অসাধারণ ব্যবহার পাঠক হিসেবে আমাকে বারবার করেছে মুগ্ধ। এই যেমন 'গরু-ছাগলের গল্প' শিরোণামে একটা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তার ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন,

"ইচ্ছে করে নাই? কী কমু, কত ইচ্ছা না করছে, তরে বুকে লইতে ইচ্ছা হইছে, চুমো দিতে চাইছি, পারি নাই, তরে রাগামু ক্যান। তরে কাঁদামু ক্যান। রাইতে ঘুমাইতে পারি না। ক্যাবল তরে দেহি। আরো দ্যাহনের লাইগা পাগল হয়া যাই। কিছু তো তর অহন তরি দেহি নাই, তবু সবটি আমার মুখস্থ হইয়া রইছে, ক্যামেন য্যান সব জানা হয়া রইছে।"

প্রতিটা গল্পই ছিল একটা লুসিড ড্রিম। জীবন, শৈশন, ভয় গুলো যেন বারবার ফিরে আসছিলো চোখের সামনে। ইচ্ছে করছে প্রতিটা লাইন তুলে দেই, মুখস্ত করি আর প্রতিদিন শুধু উচ্চারণ করি।

"গালাগাল দিও না, আমার কষ্ট তুমি কি করে বুঝবে? তোমার আছে আড্ডা স্রোত গা জুবড়ে ভেসে বেড়ানো; মেয়েদের ব্যাপার আলাদা। একেবারে অকারণেই মনে হতো তোমাকে আমি কোনোদিনই পাবো না। বসে বসে কাঁদতাম। মনে হতো কেউ বুকের ভেতর এসিড ঢেলে দিয়েছে। জ্বলে যেতো। ওদিকে তুমি কয়েক ছত্র কাব্যচর্চা করে খালাস।"

মাহমুদুল হকের ‘প্রতিদিন একটি রুমাল’ গল্পটি ছকে আটকে থাকা জীবনের নিয়ম ভাঙ্গতে বলে। জীবনকে আরো জীবন্ত করে তুলতে বলে।

”আমরা বদলে যাই, ভয়ঙ্কর ভাবে বদলে যাই। ছেলেবেলায় ছোট্ট পাখিটার মৃত্যুতে যে আমরা ডুকরে ডুকরে কাঁদি সেই আমরাই একসময় মানুষের মৃত্যুতেও তো শোকগ্রস্থ হইনা।”
Profile Image for Durlov Ahmed.
63 reviews13 followers
October 1, 2016
"প্রতিদিন একটি রুমাল" মাহমুদুল হকের ছোট গল্পের সনকলন। গল্পগুলো ৬০ আর ৭০ এর দশকে লিখা। মুলত ওই সময়ের গ্রামবাংলা আর শহুরে জীবনের খন্ডচিত্র। নাগররিক জীবন, সামাজিক অসংগতি আর পারস্পিরক দ্বিধা-দ্বন্দ্বগুলো উঠে এসেছে মাহমুদুল হ��ের সাবলীল লেখনীতে। অসাধারণ ক্ষণজন্মা এক লেখক তিনি।
Profile Image for Towkir Ahmmed Rigan.
109 reviews18 followers
March 25, 2018
নামের মত গল্পগুলোও খুব ইউনিক! কোন কিছুর সাথেই যেন মিলে না! উনি যে কোথা কোথা থেকে এক একটা চরিত্র তুলে আনেন তা বলা মুশকিল! আর উনার উপমা প্রয়োগের অসাধারণ দক্ষতার কথা তো আর বলারই অপেক্ষা রাখে না! তবে তারপরও মনে হল কিসের যেন একটা ঘাটতি থেকে গেল! আর তা না হলে ৫ তারাই এই বইয়ের প্রাপ্য হত!
Profile Image for Mostafizar Rahman Rony.
1 review1 follower
February 1, 2021
"কে কি দিয়েছে, কে আমাকে কি দেয়নি, এই হিসেবটার উপরই চলে জীবন, শুনতে যত খারাপই লাগুক না কেন। সবাই যে যার নিজের জন্য জন্মাই, নিজের জন্য মেরেকেটে বেঁচে থাকি; সবাই যে যার নিজেকে প্রাণভরে ভালোবাসি। এই দুর্বলতার নামই হয়ত জীবন।"

লেখকের কলমের জোর ভীষণরকম, এই ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নাই। আপাতদৃষ্টিতে অতি সহজ, স্বাভাবিক, নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপারগুলোকে একদম গভীর থেকে গভীরতর ব্যবচ্ছেদ করে দেখানোর ক্ষমতা আছে ওনার।

'প্রতিদিন একটি রুমাল' বইতে গল্প রয়েছে ১১টি, সেই সাথে সংযোজন হিসেবে আছে আরও ৩টি গল্প। ছোটোগল্পের 'শেষ হয়েও হইলোনা শেষ' ব্যাপারটা এখানেও চোখে পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে মনে হবে 'শুরু না হইয়াই হইলো শেষ'। কিন্তু এই শেষের রেশ অনুরণিত হতে থাকবে অনবরত।

প্রতিটি গল্পেই স্বকীয়তা আছে৷ বরাবরের মতো শৈশব আছে। বৈপরীত্য আছে, বদল আছে, মিলন আছে, জীবন আছে।

"জীবনের এখন গন্ডা গন্ডা মাথা, গন্ডা গন্ডা চোখ, হাত, নখ, দাঁত, রাবণ কোন ছার; জীবনের এখন সবকিছু চাই, কেবল ভালোবাসা ছাড়া, যতকিছু আছে সব-
'ইশ্বর আমারে তুইলা নাও-"। নৈরাশ্য আছে।

"ক্রমশ রাত ঝুঁকে পড়ে। একফালি ময়লা ন্যাতাকানির মতো ছোঁড়াফোড়া রাত যেন বজবজে কাদার উপর পতপত করে উড়ছে। আকাশের উপর খুব ঘটা করে আল্লা ঘুমোবার আয়োজন করছে। এই আল্লার সামনে একদিন দাঁড়াতে হবে"। জবাবদিহিতার ভয় আছে, অভিযোগ আছে।

আছে কান্না। "কান্নাকে মনে হতো রমণী, সে ঠিকই তার আড়াল খুঁজে নিতো, হাঁটুপানিতে নেমে আঁচলের খুঁট ভিজিয়ে গাল-গলা ডলতো, খোঁপা খুলে দিতো, তারপর নামতো বুক-সমান পানিতে, শাড়ি খুলে ভাসিয়ে ডুব দিব।"

মাহমুদুল হকের লেখা পড়তে গেলে গতি মন্থর হয়ে যায়। আর সেটা সংগত কারণেই। এনার লেখার গভীরত্বের কারণেই। প্রতিদিন একটি রুমাল পড়তে গিয়ে বারংবার মনে হয়েছে ভোজবাজির মতো হঠাত বইটা শেষ হলেই ঝক্কি চুকে যায়। বই শেষ হয়ে যায়, ঝক্কি বরং বেড়েই যায়, আর এভাবেই সবকিছু গল্প হয়ে যায়...
1 review
Want to read
October 27, 2024
Mahmudul Haque is perhaps one of the best storytellers of the Bengali language. I have read almost all of his books and I had personal curiosity about him. Especially, when he stopped writing after meeting a spiritual person in Bangladesh's Norsigndhi district named Shahnal Shah. One morning I left home to meet Shahnal Shah but he left this earthy world long before. I was able to meet one of his sons, who is also a kind of disciple of his father Shahnal Shah. It was a young noon, I sat with him in front of a portrait of the famous spiritual guru Shahnal Shan, who was famous for many surrealistic incidents. The son told many of his father's surreal incidents. Anyways, the book in review is a collection of short stories by Mahmudul Haque. I would say Haque was one of the few writers who has been successful in breeding a new wave of followers of his write-up. The book was yet another reflection of his prolific writing style full of in-depth analysis of human life. In order to know Mahmudul Haque better I would recommend readers to read this book.
Profile Image for Umma Jannat.
43 reviews14 followers
Read
March 30, 2023
ছোটগল্প এমনভাবে শুরু আর শেষ হয় যে এর গভীরতা ধরতে বেশ সময় লেগে যায় আবার বুঝতে পারলে গল্পের অপূর্ণতা অতৃপ্তি জাগায়।ঠিক যেন হেঁয়ালি।
"প্রতিদিন একটি রুমাল" বইয়ের গল্পগুলোও তেমনি।গল্পগুলো একজন মানুষ বা কিছু মানুষের একটি দিন/দিনের কিছু সময়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা হলেও চরিত্রের সারাজীবনের একটা সারাংশ বোঝা যায়।
ওই একটি দিন হয় খুবই সাধারণ নিত্যদিনের মতো কিংবা এমন ঘটনাবহুল যা চরিত্রসমূহের সারাজীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
নিজের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো পাঠকের কাছেও প্রকাশ করার অসাধারণ ক্ষমতা রাখে ছোটগল্প লেখকগণ,"মাহমুদুল হক" তাদের মধ্যে অন্যতম।
May 19, 2021
নামগল্পটা আমার অস্বস্তিকর লেগেছে। এছাড়া প্রতিটা গল্প পড়ার অভিজ্ঞতাই দারুণ, নতুন সংযোজিত তিনটা গল্পও।
Profile Image for Md. Tahmid Mojumder.
87 reviews7 followers
April 29, 2024
গল্পের চেয়ে উপন্যাসগুলোই বেশি ভাল লাগলো মাহমুদুল হকের।
Profile Image for Tanbeer Ahmed.
35 reviews26 followers
September 15, 2024
সবথেকে ভালো লেগেছে 'অচল সিকি' গল্পটি। 'অচিনপুর', 'একজন জামশেদ' ও ভালো ছিলো
Displaying 1 - 21 of 21 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.