খালি জাহাজের রহস্য

সন্তু-কাকাবাবু #4

by Sunil Gangopadhyay

সুন্দরবনের নিঃসীম জলপথে ভেসে আসে এক অপরিচিত খালি জাহাজ। জাহাজে নেই কোনো নাবিক, নেই কোনো যাত্রী—তবু চালু রয়ে গেছে রেডিও, ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে খাওয়া খাবার, আর সর্বত্র ছড়ানো ভাঙচুরের চিহ্ন।

এই অদ্ভুত ঘটনাটির তদন্তে নামেন কাকাবাবু ও তাঁর সাহসী ভাস্তে সন্তু। কিন্তু যতই তাঁরা জাহাজটির ভেতরে পা রাখেন, ততই জটিল হতে থাকে রহস্যের জাল। এটা কি স্রেফ ডাকাতির কাহিনি, নাকি লুকিয়ে আছে আরও গভীর কোনো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র?

সুইডিশ ভাষা, অদৃশ্য বিজ্ঞানী, আর একটি নিখোঁজ জাহাজ—সবকিছু মিলিয়ে তৈরি হয় এক রুদ্ধশ্বাস অভিযান।

কাকাবাবুর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আর সন্তুর সাহসিকতা মিলে কীভাবে উদ্ঘাটিত হয় ‘খালি জাহাজের’ রহস্য—তা জানতে হলে পড়তেই হবে এই রোমাঞ্চকর কিশোর উপন্যাস।

Genres: Adventure, Fiction, Mystery, Detective, Thriller, Young Adult, Childrens

117 pages, Hardcover

First published February 1, 1984

About the author

Sunil Gangopadhyay (Bengali: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়) was a famous Indian poet and novelist. Born in Faridpur, Bangladesh, Gangopadhyay obtained his Master's degree in Bengali from the University of Calcutta, In 1953 he started a Bengali poetry magazine Krittibas. Later he wrote for many different publications.

Ganguly created the Bengali fictional character Kakababu and wrote a series of novels on this character which became significant in Indian children's literature. He received Sahitya Academy award in 1985 for his novel Those Days (সেই সময়). Gangopadhyay used the pen names Nil Lohit, Sanatan Pathak, and Nil Upadhyay.

Works:
Author of well over 200 books, Sunil was a prolific writer who has excelled in different genres but declares poetry to be his "first love". His Nikhilesh and Neera series of poems (some of which have been translated as For You, Neera and Murmur in the Woods) have been extremely popular.

As in poetry, Sunil was known for his unique style in prose. His first novel was Atmaprakash (আত্মপ্রকাশ) and it was also the first writing from a new comer in literature published in the prestigious magazine- Desh (1965).The novel had inspiration from ' On the road' by Jack Kerouac. His historical fiction Sei Somoy (translated into English by Aruna Chakravorty as Those Days) received the Indian Sahitya Academy award in 1985. Shei Somoy continues to be a best seller more than two decade after its first publication. The same is true for Prothom Alo (প্রথম আলো, also translated recently by Aruna Chakravorty as First Light), another best selling historical fiction and Purbo-Paschim (পূর্ব-পশ্চিম, translated as East-West) a raw depiction of the partition and its aftermath seen through the eyes of three generations of Bengalis in West Bengal, Bangladesh and elsewhere. He is also the winner of the Bankim Puraskar (1982), and the Ananda Puraskar (twice, in 1972 and 1989).

Sunil wrote in many other genres including travelogues, children's fiction, short stories, features, and essays. Though he wrote all types of children's fiction, one character created by him that stands out above the rest, was Kakababu, the crippled adventurer, accompanied by his Teenager nephew Santu, and his friend Jojo. Since 1974, Sunil Gangopadhyay wrote over 35 novels of this wildly popular series.

Death:
Sunil Gangopadhyay died at 2:05 AM on 23 October 2012 at his South Kolkata residence, following a heart attack. He was suffering from prostate cancer for some time and went to Mumbai for treatment. Gangopadhyay's body was cremated on 25 October at Keoratola crematorium, Kolkata.

Awards & Honours:
He was honored with Ananda Award (1972, 1979) and Sahitya Academy Award (1984).

Reviews

[Aishu Rehman · Rating 4 out of 5]

সন্তু-কাকাবাবু সিরিজ নিয়ে বোধহয় বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই।ছোটদের সিরিজ হলেও বড় ছোটো সবাই সমান আগ্রহ নিয়ে পড়েন কাকাবাবু। সুনীল গাঙ্গুলির এমনি হাতের জাদু! বইয়ের প্রথম পেজ থেকে শেষ পর্যন্ত কেমন যেন একটা আকর্ষন আটকে রাখে বইয়ের সাথে!

সকাল বেলা হুট করে কাকাবাবু সন্তুকে নিয়ে ক্যানিং এ চললেন।সুন্দরবনে এক দ্বীপে এক রহস্যময় জাহাজ এসে ভিড়েছে।রহস্যময় কারণ,জাহাজের মধ্যে কোনো লোকের সন্ধান পাওয়া যায়নি অথচ টেবিলে খাবার রাখা আছে!স্থানীয় ছিঁচকে চোর-ডাকাতেরা যা পেয়েছে নিয়ে চলে গেছে।কিন্তু কাকাবাবুর তো চোর-ডাকাত ধরার কথা নয়?তাইলে কাকাবাবু হঠাৎ কেন যাচ্ছেন?

কাকাবাবু সন্দেহ করছেন এই লঞ্চটা দুনিয়ার অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী ইংগমার স্মেল্টের।যে অন্য বিজ্ঞানীদের উপরে ক্ষুব্ধ হয়ে সমুদ্রে সমুদ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পথে দেখা হলো এক রহস্যময় সাধুর সাথে যে কাকাবাবুকে দেখে ভবিষৎবাণী করলো তারা আজ রাতের মধ্যে কোলকাতা ফিরতে পারবে না?আসলেই কি তাই? কাকাবাবুরা ঢুকে পড়লো সুন্দরবনের গহীন জঙ্গলে যেখানে যেকোনো মুহূর্তে বাঘ ঝাপিয়ে পড়তে পারে।একসময় কাকাবাবুরা সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাতদের হাতে পড়লেন। তারপর? তারপর কাকাবাবু খুঁজে পেলেন ইংগমার স্মেল্টের ডায়েরি, কাকাবাবুর সন্দেহই ঠিক হলো।কিন্তু কোথায় ইংগমার স্মেল্ট?ডাকাতেরা তার সবকিছু লুট করা নিয়ে তাকে মেরে চলে যায়নি তো?

শুরু হলো এডভেঞ্চার,ডাঙ্গায় দু প্রকারের শত্রু এক ডাকাত আর দুই সুন্দরবনের বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার। আর পানির নিচে আছে কামঠ।

[Sarah Haque · Rating 3 out of 5]

জাহাজটা কার সেইটা এতো সহজে কীভাবে বের হলো যুক্তিটা শক্ত লাগেনি। এই বাদে এন্ডিংটা সুন্দর ছিল।


"আপনারা বিশ্বাস করুন, অনেক মানুষ যত হিংস্র হয়, বনের পশুরা তত হিংস্র হয় না কখনও। তারা অনেক সভ্য আর ভদ্র। বৈজ্ঞানিকদের অস্ত্র যত মানুষ মেরেছে, তার চেয়ে পশুরা কী বেশি মানুষ মারতে পারে! আবার আপনাদের মতন মানুষও তো আছে!"


বারবার বাঘের ভয়ের কথা পড়তে পড়তে মনে পড়লো, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা এখন হাতে গোনা- এমনই কম যে আগে মানুষ বাঘকে ভয় পেতো এখন বাঘ দেখার সম্ভাবনা তেমন ভাবার মত ব্যাপার নয়। তখন কেউ কী ভাবতে পেরেছিল?

[Afifa Habib · Rating 4 out of 5]

কাকাবাবুর অন্যান্য গল্প গুলোর থেকে এটি কিছুটা অন্যরকম একটি উপন্যাস। তবে বেশ ভাল।
হঠাৎ করেই সুন্দরবনে এ একটি বিদেশী খালি জাহাজ ভেসে থাকতে দেখা যায়। জাহাজ টি তে কে ছিল? কি করেই বা এটি সেখানে এল? এইসব রহস্যের সমাধান করতেই কাকাবাবুর অভিযান এবার সুন্দরবন এ।

[Madhurima Nayek · Rating 4 out of 5]

সন্তু-কাকাবাবু series #4

কাহিনী সংক্ষেপ : সুন্দরবনে একটি বিদেশী লঞ্চ এসে ভিড়েছে, ভিতরে কোনো যাত্রীও নাই। এই খবর জানার পর কাকাবাবু (রাজা রায়চৌধুরী) সন্তুকে নিয়ে কেনিং হয়ে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সুন্দরবন এমন এক জায়গা যেখানে যে কোনো মুহূর্তে বাঘের আক্রমণ হতে পারে, এছাড়া ডাঙায় চোর ডাকাতের ভয় ও জলে কামঠ্ তো আছেই। তাও কাকাবাবু পুলিশের এক বড়বাবুর সাথে স্পীড বোটে করে পাড়ি দেয় রহস্যময় ওই লঞ্চের দর্শনের জন্য।নানান সমস্যার মুখোমুখি হয়েও শেষপর্যন্ত লঞ্চের কাছে পৌঁছাতে পারে। তবে শুধু লঞ্চ পরিদর্শনই কি কাকাবাবুর মূল উদ্দেশ্য নাকি ঘটনা অন্যকিছু ? কোন দেশ থেকে আসে সেই লঞ্চটি ? কার হতে পরে সেই লঞ্চ ? এখানে আসার কি উদ্দেশ্য ?

👉পাঠ্য প্রতিক্রিয়া : কাকাবাবু সিরিজের একটি অন্য গল্প সিনেমায় দেখেছিলাম, আমার ভালো লাগেনি।তখন থেকেই মাথায় গেঁথে গেছিলো কাকাবাবু সিরিজ একদম ফালতু।কিন্তু বই পড়ে বুঝেছি আমার ধারণা একদম ভুল, আর এটাও বুঝেছি "Never judge a book by its movie". বুঝতেই পারছেন এটিই আমার প্রথম পড়া কাকাবাবু সিরিজ।আমি তো বেশ মজা পেলাম।তবে আশা করি ছোটো বড়ো সবারই ভালো লাগবে।

[Nuary · Rating 4 out of 5]

টানটান উত্তেজনা তারপর শেষের দুই পাতায় গল্পের দি এন্ড।

[Adib Zaman · Rating 4 out of 5]

রিভিউ:সকাল বেলা হুট করে কাকাবাবু সন্তুকে নিয়ে ক্যানিং এ চললেন।সুন্দরবনে এক দ্বীপে এক রহস্যময় জাহাজ এসে ভিড়েছে।রহস্যময় কারণ,জাহাজের মধ্যে কোনো লোকের সন্ধান পাওয়া যায়নি অথচ টেবিলে খাবার রাখা আছে!স্থানীয় ছিঁচকে চোর-ডাকাতেরা যা পেয়েছে নিয়ে চলে গেছে।কিন্তু কাকাবাবুর তো চোর-ডাকাত ধরার কথা নয়?তাইলে কাকাবাবু হঠাৎ কেন যাচ্ছেন? কাকাবাবু সন্দেহ করছেন এই লঞ্চটা দুনিয়ার অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী ইংগমার স্মেল্টের।যে অন্য বিজ্ঞানীদের উপরে ক্ষুব্ধ হয়ে সমুদ্রে সমুদ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পথে দেখা হলো এক রহস্যময় সাধুর সাথে যে কাকাবাবুকে দেখে ভবিষৎবাণী করলো তারা আজ রাতের মধ্যে কোলকাতা ফিরতে পারবে না?আসলেই কি তাই?
কাকাবাবুরা ঢুকে পড়লো সুন্দরবনের গহীন জঙ্গলে যেখানে যেকোনো মুহূর্তে বাঘ ঝাপিয়ে পড়তে পারে।একসময় কাকাবাবুরা সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাতদের হাতে পড়লেন। তারপর?
তারপর কাকাবাবু খুঁজে পেলেন ইংগমার স্মেল্টের ডায়েরি, কাকাবাবুর সন্দেহই ঠিক হলো।কিন্তু কোথায় ইংগমার স্মেল্ট?ডাকাতেরা তার সবকিছু লুট করা নিয়ে তাকে মেরে চলে যায়নি তো?শুরু হলো এডভেঞ্চার,ডাঙ্গায় দু প্রকারের শত্রু এক ডাকাত আর দুই সুন্দরবনের বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার। আর পানির নিচে আছে কামঠ।পাঠক,কাকাবাবু-সন্তুর অভিযানে আপনাকে স্বাগতম।

সন্তু-কাকাবাবু সিরিজ নিয়ে বোধহয় বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই।ছোটদের সিরিজ হলেও বড় ছোটো সবাই সমান আগ্রহ নিয়ে পড়েন কাকাবাবু। সুনীল গাঙ্গুলির এমনি হাতের জাদু!বইয়ের প্রথম পেজ থেকে শেষ পর্যন্ত কেমন যেন একটা আকর্ষন আটকে রাখে বইয়ের সাথে!তবে জোজো থাকলে আরও ভালোলাগে।দু:খের বিষয় জোজো এই বইতে নেই! :(

পড়ার আমন্ত্রণ রইল! :)

[Sabbir Ahmed · Rating 5 out of 5]

কাকাবাবু সিরিজের চতূর্থ বই? বইটির মাঝে একজায়গায় ত্রিপুরার একটি অভিযানের কথার উল্লেখ আছে। প্রথম তিনটিতে ত্রিপুরায় কোনো অভিযান হয়নি।

[Rahin Ahasan · Rating 4 out of 5]

আপনারা বিশ্বাস করুন, অনেক মানুষ যত হিংস্র হয়, বনের পশুরা তত হিংস্র হয়না কখনও। তারা অনেক সভ্য আর ভদ্র। বৈজ্ঞানিকদের অস্র যত মানুষ মেরেছে, তার চেয়ে কি পশুরা বেশি মানুষ মারতে পারে!

[সৌরজিৎ বসাক · Rating 4 out of 5]

সুন্দরবনের কাছে নদীতে হঠাৎ আবির্ভাব হয় এক খালি জাহাজের (লঞ্চ)। একেবারেই খালি লঞ্চ, কেউ নেই তাতে। এমনকি জিনিসপত্রও অনেককিছু লোপাট।

সেই লঞ্চের তত্ত্বতালাশ নিতে হঠাৎই সুন্দরবনে চলে আসেন কাকাবাবু, সন্তু এবং বিমান (কাকাবাবু সন্তুদের এক আলাপী যুবক যে কিনা পাইলট)।

তারপর স্থলপথে, জলপথে নানা রকমের বিপত্তি সামলে এবং সুন্দরবনের সুন্দর-অসুন্দর সব অভিজ্ঞতা নিতে নিতে কীভাবে ওই খালি লঞ্চের আগমন রহস্যভেদ হয় তাই নিয়েই গল্প।

বেশ ঘটনাবহুল একটা কাহিনি। গতিময়তার কারণে পড়তে ভালোই লাগে। তবে এই গল্পে কাকাবাবুর পায়ের অক্ষমতার কথাকে বারবার একটা ইস্যু হিসেবে দেখিয়েছেন লেখক, সেটা একটু কেমন কেমন লাগল। কারণ পরের দিকের অনেক গল্পে কাকাবাবুর পায়ের অক্ষমতা কোন ব্যাপারই হয়ে দাঁড়ায়নি অনেক প্রতিকূল পরিবেশেও।

তবুও সবমিলিয়ে বেশ একটা গল্প।

[Pritom Paul · Rating 5 out of 5]

কাকাবাবু সিরিজ মানেই শিহরণ জাগানো রোমাঞ্চকর কিছু ঘটনা।
খালি জাহাজের রহস্যও তেমনি শ্বাসরুদ্ধকর একটি গল্প প্রতিটি বাকে বাকে বিপদ এবং রোমহষর্ক কিছু ঘটনা।অসাধারণ একটি গল্প,
তাছাড়া সুন্দরবন অঞ্চল আমার অতীতের
স্মৃতি বিচরিত অনেক ঘটনা মনে করিয়ে দেয় তাই অামার কাছে গল্পটি খুবই ভালো লেগেছে।

[Deefbruh · Rating 4 out of 5]

***কাকাবাবুর সব গল্পই রোমাঞ্চকর হয়, সাথে থাকে কোন নাহ কোন স্থান ভ্রমন যেমন মিশর কিংবা আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ। এবারের অভিযান সুন্দরবনে। রহস্য বিদেশি খালি জাহাজের, যা সমুদ্রে ভেসে এসেছে সুন্দরবনে।
এবার কাকাবাবু আর সন্তুর সাথে যোগ হল বিমানদা, যাকে প্রায় গল্পেই দেখা যায়। যার নামের সাথে পেশার ও মিল। তিনি বিমান চালান। পথেই বিমানদা তাদের বিমান হাইজেকিং এর একটি অভিজ্ঞতা বলতে বলতে রওনা হল ক্যানিং এর পথে। মাঝপথে ঘটনাও ঘটল কিছু।

প্রায় ৭ বছর পর আবার কাকাবাবু ক্যানিং এ পা দিল। পথের এক দুর্ঘটনার কথা জানালেন থানায় ও।
থানা থেকে নানা খবর নিয়ে তারা উঠল পুলিশের লঞ্চে। সেটি করতেও পোহাতে হল নানা বিপত্তি। সেখানে তুলে নিল ছোট সাধু নামের এক লোককে। যার আসল পরিচয় অন্য, সে সাধু নয়।

কাকাবাবুর অন্যান্য এডভেঞ্চারের মত এই এডভেঞ্চার নয়, এটি খুব দ্রুতই টানা হয়ছে। অতি অল্প সময়েই তারা এডভেঞ্চারে ঢুকে পরে। আর একটি জায়গাকে কেন্দ্র করেই সকল ঘটনা ঘটতে থাকে। জঙ্গলে চলে নানা দূর্ঘটনা। চোর, স্মাগলার, ডাকাত সবার সাথেই সাক্ষাত হয় তাদের। তবু অনেক কাটখোট্টা পেরিয়ে বিদেশী সেই লঞ্চে গিয়ে উঠে তারা। লঞ্চটার কোন নাম নেই। চলতে থাকলো সন্ধান লঞ্চের ভিতর। বের হল বহু জিনিস বহু রহস্য। সুন্দরবন ঘিরে চলল বহু ঘটনা যা কাকাবাবুর গল্পে থাকা চাই ই।***

কাকাবাবু সিরিজের চতুর্থ বই এটি। দ্বিতীয়বারের মতন এ গল্প পড়লাম, শেষবার পড়েছি ২ বছর আগে, তখনও রিভিউ লিখতে শিখিনি। এখনো যে শিখেছি তাও নয়।

বরাবরের মত শেষের দিকটা নয় এ গল্পে বরং কিছুটা ভিন্ন। জাহাজটা কার, কিভাবে এল তার যুক্তিতাও খুব সহজেই বের করে সাসপেন্স কমিয়ে দিয়েছে খানিকটাই।
তবে কাকাবাবু পড়ে বরাবরই আমি রোমাঞ্চিত হই, অন্যান্য গোয়েন্দা গল্পের মত কাকাবাবু নাহ, এর স্বাদ ভিন্ন। বাস্তবিকের থেকে কাল্পনিক দিকগুলো এখানে বেশি দেখা যায় বলে রোমাঞ্চ অনুভবও হয় বেশি। এ গল্পেও যেমন এডভেঞ্চারের বর্ণনা দেয়া হয় তেমনি সুন্দরবনের ভয়ংকর দিক ও সৌন্দর্যের বর্ণনাও এখানে স্থান পেয়েছে। তবে গল্পের টাইটেলে "জাহাজ" শব্দটা ব্যবহার করলেও পুরো গল্পে সেটি একটি লঞ্চ।

সবশেষে বলব, লেখক গল্পে একটি বার্তা দেন- "জঙ্গলের হিংস্র পশুর থেকে মানুষ বড় হিংস্র হয়, মানুষের মৃত্যুর পিছনে সেই হিংস্র মানুষই দায়ি কোন পশু নয়, তারা শান্ত অকারনে কারো ক্ষতি তারা করে নাহ।"

[Simran Bodhak · Rating 3 out of 5]

Like the way that these stories aren't always structured the same yet this time would have liked a bit more to the plot. The Sundarbans were good.

[Mahmud · Rating 3 out of 5]

মোটামটি ভালই লেগেছিল, সাসপেন্স এর ব্যাবহার প্রশংসনীয়।

[Suraeeya · Rating 1 out of 5]

এই গল্পের লজিক পছন্দ হয়নি এবং গল্পের শেষটাও ভালো লাগেনি একদমই। কোনোভাবেই ভালো লাগানো গেলোনা!

[Mohammad Kamrul Hasan · Rating 5 out of 5]

ভালো লেগেছে।

[Bornik C · Rating 3 out of 5]

গল্পে রহস্য তেমন কিছু নেই, কিন্তু সুনীল বাবুর লেখনীর জাদুতে কোথাও থামতে বা হোঁচট খেতে হয়নি। ভালই লাগলো সোমবার দুপুরে এই উপন্যাসিকাটি পড়ে।

[Fahad Ahammed · Rating 3 out of 5]

সুন্দর বনে একটা জাহাজ এসে থেমেছে, বিভিন্ন খবরের কাগজে লেখালেখি হচ্ছে। মূল আলোচনার বিষয় টা হলো জাহাজ টা খালি।

জাহাজে রেডিও চলছে, টেবিলে আদ খাওয়া কফি, খাবার ছড়ানো, দেখে মনে হয় এই মাত্র কেউ উঠে গেছে।

শুনা যাচ্ছে মানুষগুলো পালিয়ে গেছে বনে, তাহলে তারা কেন পালাল?

আবার শুনা যাচ্ছে জলদস্যূ দের হাতে প্রাণ গেছে সবার। আসল সত্যি টা কী?

রহস্য সমাধানে বেরিয়েছেন কাকাবাবু......

যেতে যেতে এক লঞ্চে এক সাধুর সাথে কথা হয় কাকা বাবুর। পরে পুলিশি সার্চের মাথায় বেরিয়ে আসে তার সারা শরীরে, সাধু পোশাকের নিচে, থাকা বেন্ডেজ। কি আছে ঐ বেন্ডেজের আড়ালে?

অন্যদিকে দেখা যায় লঞ্চের পাশ দিয়ে ভেসে যাচ্ছে একটা মৃতদেহ....

সব সমস্যার জট খুলবেন কাকাবাবু....