কোনও-কোনও পরিবারে উচ্চশিক্ষার ডিগ্রিগুলো পাকানো কাগজ হয়েই থেকে যায় দেরাজে-আলমারিতে, উন্মোচিত হয়ে স্পর্শকরেনা জীবনকে। বনেদি, সম্ভ্রান্ত ও উচ্চডিগ্রিধারী শ্বশুরবাড়িতে আট-আটটা বছরকাটিয়ে এ-কথা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছে শ্রী, যার পোশাকী নাম ছিল শ্রীপর্ণা, ছিল প্রেসিডেন্সির মতো কলেজে পড়াশোনা আর ছিল হাজারদুয়ারী খোলামনের একান্ত এক প্রেমিক, সুমন। সেই সুমন যখন চিঠির বাক্সের সংগোপন এক স্মৃতি, প্রায় শিকড়সুদ্ধই স্বামীকে কলকাতা থেকে উপড়ে নিয়ে ওড়িশায় টেনে এনেছিল শ্রী, নিরালায় নিজস্ব সংসার পেতে বসবে বলে। কে জানত, গোপেনের সঙ্গে বিয়ের মতো এও ছিল নিয়তির নতুন এক নির্বন্ধ? জীবন বোধহয় এইরকমই। গল্পের মতো অভাবিত চমকে-ভরা।কেউ-কেউ শুধু সেই গল্পটুকুই শোনান। ‘হাজারদুয়ারী’ কিন্তু অন্য স্বাদের। গল্পের চমকে রসঙ্গে খুব সূক্ষ্মভাবে মিশেছে এই সময় ও সমাজ, একদম্পতির সম্পর্কের বিশ্লেষণ-সূত্রে ঘটেছে আরও বহু নরনারীর সমস্যার তাৎপর্যময় উদ্ঘাটন।
Buddhadeb Guha (Bengali: বুদ্ধদেব গুহ) is a popular Bengali fiction writer. He studied at the well-known St Xavier's College of the University of Calcutta.
His novels and short stories are characterized by their dreamy abstractness and romantic appeal. His essays reveal the soul of a true wanderer providing some of the most beautiful renditions of travel in Bengal. His love for forests and nature provide the background for many of his novels.
A highly successful chartered accountant by profession, and an accomplished musician, Guha is very urbane in his lifestyle. He was one of the first to create characters representing easy-going, upper middle-class modern Bengali families, whom readers could identify with, and that gave him instant popularity.
He is the recipient of many awards including Ananda Puraskar, 1976; Shiromani Puraskar; and Sharat Puraskar.
The Library of Congress has over fifty titles by him. His most famous novel, according to many, is Madhukori. It is considered a milestone in Bengali literature. He is also the creator of Rijuda, an imaginary character who moves about in jungles with his sidekick Rudra. The jungles that he wrote about were mainly in Eastern India.
"যারা সাধারণ তারাই শুধু সহজে সুখী হতে পারে। যারা নয়, সুখ তাদের জন্যে নয়।"
"নিজের জীবন নিয়ে ব্রুড করার মতো পাপ আর দুটি নেই।"
"নিজেকে ভালোবাসাটা, নিজের শরীর, নিজের মন, নিজের নিজস্বতাকে ভালোবাসাটা বেঁচে থাকার পক্ষে খুবই জরুরী। তুমি আছো বলেই এই পৃথিবী আছে, অন্তত তোমার কাছে।"
"ভয় নিয়ে কেউই পালাতে পারে না। যেখানেই যাবো সেখানেই ভয় তাড়া করে ফিরবে।"
"শেষ বিকেলের আলোর মতোই মানব-মানবীর নিটোল প্রেম বড়ই ক্ষণস্থায়ী। জলেরই মতো। এই প্রেমকে জীবনের সমস্ত আন্তরিকতা নিয়েও আঁজলা ভরে বন্দী করা যায় না। প্রায় সবটুকুই গড়িয়ে গিয়ে উপচে পড়ে যায়। যা থাকে, তা সিক্ততা, স্মৃতি। এটুকুই।"
"তোমার মধ্যে যতখানি মহত্ত্ব অথবা ঔদার্য আঁটে তার চেয়ে বেশি মহৎ বা উদার বলে কখনও নিজেকে মনে করো না।"
"ভালোলাগে বলেই কি ছিনিয়ে নিতে হবে। কোনো ফুলকে ভালোলাগে বলেই যে তাকে ছিঁড়ে এনে ফুলদানীতে রাখতে হবে এ কথা আমি বিশ্বাস করি না।"
"অনেকে আছেন, ভালোনাবেসেও খুবই ভালোবাসেন এমন ভাব দেখাতে পারেন। আবার আমার মতোও অনেকে আছেন, দলে তাঁরাই হয়তো ভারী, যাঁরা ভালোবাসা প্রকাশ করার শিক্ষাই পাননি। এটা একধরনের অশিক্ষাও।"
"প্রত্যেকের মনই বোধহয় হাজারদুয়ারী। কোন্ দুয়ার দিয়ে যে কখন আলো আর হাওয়া ঢুকবে আর কোন্ দুয়ার দিয়ে যে মনের জমাট-বাঁধা অন্ধকার কখন নিষ্ক্রান্ত হবে তা মন বোধহয় নিজেই জানে না। এক দুয়ারে যখন রোশনচৌকি বসবে, সানাইতে হংসধ্বনি রাগ বাজবে, অন্যদুয়ার দিয়ে তখন কোরা কাপড়ে মুড়ে মনের অন্য কোনো শরিককে অন্তিম যাত্রা করাতে হবে। একের মধ্যে বহু, আপাত সাধারণ্যের মধ্যে এতো বৈচিত্র্য রয়েছে বলেই হয়তো মানুষ হওয়াতে আমাদের এতো গর্ব। তাই না।"
"শুধু সেন সাহেবের মনই নয়,আমার,তোমার,দীপার,নীপাদির,কালুর এবং যত মানুষকে আমরা চিনি জানি তাঁদের প্রত্যেকেরই মনই বোধহয় হাজারদুয়ারী।কোন দুয়ার দিয়ে যে কখন আলো আর ঢুকবে আর কোন দুয়ার দিয়ে যে মনের জমাট-বাঁধা অন্ধকার কখন নিষ্ক্রান্ত হবে তা মন বোধহয় নিজেই জানে না।এক দুয়ারে যখন রোশনচৌকি বসবে, সানাইতে হংসধ্বনির রাগ বাজবে, অন্যদুয়ার দিয়ে তখন কোরা-কাপড়ে মুড়ে মনের অন্য কোনো শরিককে অন্তিম যাত্রা করাতে হবে।একের মধ্যে বহু,আপাত-সাধারণ্যের মধ্যে এত বৈচিত্র্য রয়েছে বলেই হয়তো মানুষ হওয়াতে আমাদের এতো গর্ব।"
❝ অনেকে আছেন, ভালোনাবেসেও খুবই ভালোবাসেন এমন ভাব দেখাতে পারেন। আবার আমার মতোও অনেকে আছেন, দলে তাঁরাই হয়তো ভারী, যাঁরা ভালোবাসা প্রকাশ করার শিক্ষাই পাননি। এটা একধরনের অশিক্ষাও।❞
শ্রী তো তার পরিবারের তাকে নিয়ে গোপেনের পরিবারের সাথে সওদার ব্যাপারে না জেনেই বিয়েতে মত দিয়েছিল? সুমন আবার আসার আগ অবধি গোপেনের ত্রুটি গুলো এতো চোখেও পরেনি তার। সবার মুখে সুমনের স্তুতি গোপেনের প্রতি তার বিতৃষ্ণা বাড়িয়েছে, গোপনের কাছে সুমনের সাথে তার সম্পর্ক তো দূর পরিচিতির কথাও লুকিয়েছে শ্রী। গোপেনের সাথে দীপার অনুভূতি গড়ে ওঠা নিয়ে তার চিন্তা সঠিক ছিল না। সুমনের স্তুতি বা সুমন বন্দনার ভিড়ে আমার চোখ গোপেনে ঠেকেছে। শ্রী তো তার শাশুড়ীদের তার সাথে করা দূর্ব্যবহারের কথাও গোপনের কাছে গোপন করেছে।
সব শেষে শ্রীর উদ্দেশ্য গোপেনের লেখা সরল স্বীকারোক্তি মূলক চিঠিটা সব কিছু ছাপিয়ে গিয়েছে আর ট্রেনের অন্ধকার কামরায় গোপনের মতো একজনের চোখে কোনে জমে ওঠা জলের আভাসে ওর প্রতি খারপ লাগা কাজ করছে।
সব গল্পের সমাপ্তি তো আর এক হবার না তবে এই সমাপ্তি, গোপনের প্রস্হান ওর অব্যক্ত মনের অনুভবের প্রকাশ ভালো লেগেছে আমার।
"প্রত্যেকের মনই বোধহয় হাজারদুয়ারী। কোন দুয়ার দিয়ে যে কখন আলো আর হাওয়া ঢুকবে, আর কোন দুয়ার দিয়ে যে মনের জমাট-বাঁধা অন্ধকার কখন নিষ্ক্রান্ত হবে তা মন বোধহয় নিজেই জানে না। এক দুয়ারে যখন রোশনচৌকি বসবে, সানাইতে হংসধ্বনি রাগ বাজবে, অন্য দুয়ার দিয়ে তখন কোয়া-কাপড়ে মুড়ে মনের অন্য কোনো শরিককে অন্তিম যাত্রা করাতে হবে।"
চরিত্রগুলো পাঠককে ভাবাবে। ঘটের জল ঘোলা করবে। হাস্যকর হলো, সব চরিত্রের চিঠি লেখার ধরণ একই। লেখক চাইলে কৌশলে ভিন্নতা আনতে পারতেন। (গল্পের সার্থকতা আনার ক্ষেত্রে খুঁত রয়ে গেলে মনে হয়- ইশ! আরেকটু ধার দিলে, লেখনি চকচকে ধারালো হত। যতটুকু ভাবোদ্দীপক ভাবনা পাঠককে আন্দোলিত করতে পারত, ততটুকু বোধহয় হতে হতে ধোঁয়াশায় মিলিয়ে গেল।)
কেবল কপালের লিখনকে আর নিজের কৃতকর্মকে দোষ দিয়ে যাওয়া। অনুশোচনা। সংকটাবস্থায় পলায়নী প্রবৃত্তি... অথচ, সমস্যা সমাধান করতে চাইছে না কেউই। কিন্তু আসলে তো একই সব। অন্যভাবেও যদি পরিস্থিতি তৈরি করা হত তবুও চরিত্রগুলো কখনো সুখী হত না। পার্থিবভাবে সুখী হতে হলে নিজস্ব চিন্তাভাবনায় সুখী হতে হয়। কারণ, "পাগলের সুখ মনে মনে"...
(পাহাড়, ঝর্ণা, গাছ, ফুল, পাখি, জ্যোৎস্না রাত - প্রাকৃতিক আবহের বর্ণনা শান্ত-সুন্দর।)
বুদ্ধদেবের লেখা পড়ার জন্য একটা অন্যরকম মানসিকতার দরকার। নারীকে বুদ্ধদেব দেবী হিসেবে প্রোজেকশন করেন না, কিন্ত তার কামনা ,কর্মের জবাবদিহি দেবার প্রয়োজন ও বোধ করেন না। সেটা হয়তো খুব নতুন কিছু না। কিন্তু সেটা আমার ভাল লাগে তা হল পুরুষকেও শুধুমাত্র ভিলেন হিসেবেও দেখান না। তা বলে পুরুষের দোষ ও আড়াল করেন না। এখানেই তাঁর লেখা আলাদা হয়ে যায়। এই চমৎকার গল্পটিও তার ব্যতিক্রম না।
মানুষের মন বিচিত্র, আমাদের সবারই মন যেনো হাজারদুয়ারী। কখন মনে আলো পড়ে, কখন মনে অন্ধকার জমে, কিছুই বোঝা যায় না। কোনোকিছুর যেনো ঠিক নেই। নিজের মনকে ঠেলে, বাস্তবকে সত্য মেনেও কতো মানুষ ভালো থাকে। চেষ্টা করে, তাও মন যেনো মাঝেমধ্যে বিদ্রোহ করে। . উপন্যাসের গোপেন আর শ্রীর বিবাহিত জীবনটা অনেক বছরে এসে যেনো অভ্যাসের মতো দাঁড়িয়েছে। গোপেনের বদলির চাকরির কারণে যখন হঠাৎ নতুন জায়গায় যাওয়া হয়, সব ঠিক ছিলো। গোপেনের চাকরির ব্যস্ততায়, ঘরে একা থাকা শ্রী যেনো নিজের দিকে তাকানোর সময় পায়। দেখে, শিক্ষিত একটা মেয়ে কিভাবে কিভাবে নিজের সত্তা হারিয়ে স��বামীর সংসার করছে। তখনকার সময়ে তা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু শ্রী নিজেকে চিনতে পারে না। মনে হয়, নিজেকে ভালোবাসা হয় নি সেভাবে। এই জীবনটাই স্বাভাবিক ভাবা শ্রী, যখন দিনের শেষ এ হঠাৎ জীবনের মাপকাঠি করতে বসে তখন সব হিসেব ওলটপালট লাগে। সাথে যুক্ত হয়, শ্রীর মনের গভীরে লুকিয়ে রাখা প্রেমিকের হদিশ, যখন অনেক বছর পর তার সামনে আসে। তখন নিজের বর্তমান বাস্তবতাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে ফেলে। যৌথ পরিবারে বৌ, নিজের একটা একা সংসারে পেয়ে সব গুছিয়ে থাকার কথা। গোপেন ও শ্রীকে নিয়ে ভালো থাকার কথা। কিন্তু গোপেনকে বড় সাধারণ মনে হয় শ্রীর। গোপেন ও শ্রীকে ধরে নেয় সে তো থাকবে সবসময়। বিবাহিত বৌ, কোথায় যাবে। আলাদা করে ভালোবাসার যত্নের কথা ভাবে নি কখনো। . সুমন সেনকে অন্যরকম মনে হয়, হয়তো অনেক নারীর স্বপ্নের পুরুষ। উচ্চশিক্ষিত, উচ্চ চিন্তা ধারা, শ্রী তাও তার সাথে মিলতে পারে নি। একটা মেয়ে যে সিকিউরিটি চায়, নিজের মানুষকে নিজের করে চায়। সুমনের সাথে খাপ না খাওয়াতে পেরে, তার কাছে সাহস করে এক ধাপ বাড়াতে পারে নি৷ অনেক মেয়েদের স্বপ্নের পুরুষই যখন তার নিজের ভালোবাসাকে হারিয়ে ফেলে, সুমন সেনের মতো পুরুষ কি নিয়ে বাঁচে তখন! . যৌথ পরিবারে বড় হওয়া গোপেন, একজন সাধারণ মানুষ। পরিবার থেকে দূরে এসে যেনো নতুন জায়গায় নিজেকে বিভিন্ন ভাবে আবিষ্কার করে। এমডি সুমন সেনের প্রভাবে পড়ে উদ্দীপনায় নতুন একজন মানুষ। কিন্তু সেই মানুষ টার সাথেই যখন শ্রীর অতীত সামনে আসে, হঠাৎ নিজের সাজানো পৃথিবীটাকে নিজেরই ঠুনকো মনে হয়। অথচ বিবাহের এত বছরে নিজের স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসাটা যেনো কোথায় হারিয়ে গেছিলো। কিন্তু হতে পারে তার নিরব ভালোবাসার ভাষা শ্রী পর্যন্ত পৌঁছায় নি। কিছু সত্যের মুখোমুখি হয়ে সবকিছু তখন অন্যরকম লাগে, অভিনয় লাগে। পালিয়ে যেতে হয়। আরো অনেক চরিত্র আছে, ভরত কিংবা নীপাদি যারা ছায়া চরিত্র। কিন্তু দীপা আরেকটি শক্ত চরিত্র যার কিছুক্ষণের পদচারণা, শ্রী আর গোপেনের মনের ভীত নাড়িয়ে দেয়। . প্রাকৃতিক বর্ণনা গুলো সুন্দর৷ তবে কিছু কিছু জায়গায় অনেক কিছু, আরো কিছু বলা যেতো। লেখক তা পাঠকদের উপর ছেড়ে দিয়েছেন যেনো। আমাদের জীবনটা যেমন অনিশ্চিত, উপন্যাসের শেষ টাও ঠিক সেরকম। উপন্যাস শেষে পাঠ অনুভূতি যদি বলতে চাই, অদ্ভুত যেনো। অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করে, কিন্তু কি ভাষায় বুঝাবো জানি না। কেমন শূন্যতা, হাহাকার, আক্ষেপ, বাস্তবতা, অভিমান, অনিশ্চয়তা অনেকগুলো অনুভূতি ঘিরে ধরে। বান্ধবীর জোরাজোরিতে এসে বইটা পড়া, ধন্যবাদ তার প্রাপ্য।
গোপেন আর শ্রী ভাল নাম শ্রীপর্ণার আট বছরের নি:সন্তান দাম্পতি তারা। বেজায় বনেদি পরিবারের গোপেনের চাকরির সুবাদে কলকাতার জয়েন্ট ফ্যামিলি ছেড়ে চলে আসতে হয় হুলহুরাগড়ে। নতুন করে সংসার গুছায় শ্রী, ওকে সাহায্যের জন্য রাখা হয় বালক ভরত কে। শ্রীর মামা এখানে গোপেনকে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। আর সেখানেই পরিচয় হয় কোম্পানির এম. ডি. সুমন সেনের সাথে গোপেনের। বেশ ভাল একটা অবস্থান করে নেয় সে খুব অল্প দিনের মধ্যে। আর অন্যদিকে শ্রী ও ঘরে নিজেকে আর সংসার গুছানো তে মন দেয়। দিনশেষে বাড়ি ফিরে গোপেন শ্রীকে সুমন সেনের কথা বলতে শ্রীর পুরোনো কথা মাথাচারা দিয়ে উঠে. সুমন সেন? যার সাথে এক সময় বন্ধুত্বের থেকে ও বেশী কিছু ছিল। সুমন সেন এখন তার স্বামীর উর্ধ্বতন। সেই থেকে শুরু হয় এই দাম্পত্যের বেঁধে রাখা দড়িতে টান , এবং কাহিনীর এক পর্যায়ে দড়ি চতে চিড় ধরে। আট বছর একসাথে থেকেও মানুষ মানুষকে বুঝে উঠতে পারে না, এতো কাছে থেকেও ভালবাসা দৃঢ় হয় না। আমাদের ব্যস্ত জীবন গুলোতে আমরা ভালোবেসে যাই শুধু ভাল থাকার জন্য। সেই নির্ভরশীলতা বয়সের সাথে একটা সময় শুধু অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। যেমনটা হয়েছিল শ্রী ও গোপেনের জীবনে। ভালোবাসা বাঁচিয়ে শ্রীদের অন্তত আর ফেরা হল না, কিন্তু সবার জীবনে ভালোবাসা বেচেঁ থাকুক।
বেশ কিছুদিন পর একটা ভালো বই পড়লাম। সুমন, শ্রী আর গোপনকে নিয়েই বইয়ের মূল কাহিনী।বইটাকে ঠিক প্রেমের উপন্যাসও বলা চলে না । প্রত্যেকটা চরিত্রকে লেখক খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন ঠিক যেমন ভাবে করেছেন হুলহুরাগরের প্রকৃতিকে। আমাদের সকলের মনই হয়তো হাজারদুয়ারী। এর হাজারটা দুয়ারের কোনটা দিয়ে কি প্রবেশ করবে কি বের হয়ে যাবে আমরা কেউই তা বুঝিনা। বইয়ের বেশ কিছু সুন্দর লাইন রয়েছে তবে শেষে লেগেছে শেষ হয়েও হইলো না শেষ। লেখক চাইলেই পারতো পাঠকদের এতো কষ্ট না দিতে।
Good romantic novel but poor character buildup. The hero and Heroin and the side character did not have clean development and did not explore the full potential of the characters. But the ending was good and emotional. You feel kind of emptiness in your chest at the ending. Overall a good read.
"কয়লার বাষ্পে চলা ট্রেন তো কবেই উঠে গেছে তবু ট্রেনে চড়লেই আজও চোখে কখনো কখনো কয়লা পরেই! - আশ্চার্য।"
অনেক দিন পর কোন বই পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। বই পড়ে ঠিক কেমন অনুভূতি হচ্ছে বুঝতে পারছি না। কোথাও একটা,শূন্যতা অনুভব করছি। কেমন স্নিগ্ধতায় চারপাশটা ঘেরা। মন কেমন হাজারদুয়ারী হয়ে গেলো।
বুদ্ধদেব গুহের অন্যরকম একটি বই হাজারদুয়ারী। চরিত্রগুলোর গঠন স্ট্রং না হলেও তারা ভাবাতে সক্ষম। তাদের মানসিক টানপোড়ন ভাবতে বাধ্য করবে। শূণ্যতা আর স্নিগ্ধতা একই সাথে বিরাজ করবে বইয়ের শেষে।
২০২৫ এ আমার পড়া এক অনন্য এবং অন্যতম সেরা সাহিত্যকীর্তি, বুদ্ধদেব গুহ যেন শব্দ দিয়ে অসাধারন কিছু গল্প বুনে গিয়েছেন, এটা সেই গুলির মধ্যে সেরার দিকে একটা...