Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
লেখকের "নক্ষত্রের রাত" -একই নামে টিভি নাটকটি আমার ভীষণরকম প্রিয়। প্রতিটি পর্ব বহুবার দেখা! বিশেষ করে শেষটুক। আমি কতদিন যে শমী কায়সারের কষ্টের অভিনয় দেখে লুকিয়ে লুকিয়ে কেঁদেছি তার হিসাব নেই। এখনো কাঁদি! খুব অবাক করার কথা হলো এই বইটার একদম শেষের দিকে এসে আমি একটা ছোট্ট চিঠি পড়ে আবার ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেছি- তবে কষ্টে না মোটেও, আনন্দে!
" প্রিয়তমেষু, তুমি পিএইচ,ডি প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছ শুনে বেশ অহংকারই হলো।সাধারণ এক বি এ পাশ ছেলের পিএইচডি স্ত্রী। কি সর্বনাশ! রেবেকা, এটা একটা চমৎকার সুযোগ! আমার মতো দরিদ্র মানুষ তো তোমাকে আমেরিকা পাঠিয়ে পড়াশোনা করাতে পারবোনা।নিজের ক্ষমতা ও যোগ্যতায় তুমি তা অর্জন করেছো।কি করে তুমি ধারণা করলে তোমার এই যোগ্যতার আমি দাম দেব না? এই দীর্ঘদিন একা একা থাকতে আমার খুব কষ্ট হবে,তোমারও হবে।দুঃখ তো পৃথিবীতে আছেই বলো?"
যখন পুরো পৃথিবী সদ্য বিবাহিত একটা মেয়ের তার স্বপ্নের দিকে যেতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তার পরিবারের মানুষগুলো যারা তাকে ছোট থেকে এত বড় করেছে তারা সরে যাচ্ছে তার পাশ থেকে তখন মেয়েটার জীবনসঙ্গীটি এত দূর থেকেও শক্ত করে মেয়েটাকে চাঁদকে স্পর্শ করার স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করছে। এত সুন্দর! এত সুন্দর!
"প্রত্যেকটা সফল পুরুষের পিছে একজন নারীর হাত থাকে।" এই কথাটা গলাবাজি করে বলতে গিয়ে নারীবাদীরা ভুলে যায় প্রত্যেকটা সফল নারীর পিছেও একজন পুরুষের সহযোগিতা থাকে। এটা সত্য, একে অস্বীকার করার দরকারতা আমি বুঝিনা! এই কথাটা কোন মেয়েকে ছোট করেনা বরং পুরুষ এবং নারীকে সমান জায়গা দেয়।তবে আজকাল যুগের হাওয়া আমি বুঝিনা যে নারীবাদীরা সমান জায়গা চায় না সবচেয়ে উপরের জায়গা চায়!
এই বইটির সাথে নাম ছাড়া নাটকটির কোন মিল নেই। কিচ্ছু না। পড়বার সময় বেশ ভয়ে ছিলাম। শুরুটাও খুব টিপিকাল। কিন্তু একটা সময় মন-প্রাণ ঢেলে পড়া যাকে বলে তাই করেছি। এটা একটা নভেলা,খুব ছোট্ট পরিসরে আমেরিকায় থাকা এক ইলিগাল এলিয়েনে পাশা আর বাংলাদেশ থেকে স্কলারশিপ নিয়ে যাওয়া রেবেকার গল্প। কিন্তু এতো ছোট্ট পরিসরে দুটো মানুষের পুরো জীবনটা উঠিয়ে আনার মুনশিয়ানা হুমায়ূন স্যারের পক্ষেই সম্ভব।
যা হোক! বিদেশের মাটিতে প্রবাসী মানুষগুলোর একাকীত্ব অসহায়তার গল্প সেই সাথে আমাদের সমাজের একটা ছোট ছবি কেমন যেন সব উল্টোপাল্টে রেখে দেয় কারণ অন্যভাবে একইরকম গান যেন গেয়ে শুনাচ্ছে কেউ!
আমেরিকায় থাকা (অবৈধ ভাবে) পাশা এবং বাংলাদেশ থেকে স্কলারশীপ নিয়ে সেখানে পড়তে যাওয়া রেবেকা ইয়াসমিন এর কাহিনী । রেবেকা ইয়াসমিন সদ্য বিবাহিতা তরুণী, আমেরিকায় আসার মাত্র কয়েকদিন আগেই নাসিম নামের এক ছেলের সাথে তার বিয়ে হয়েছে।
পাশা আর রেবেকার পরিচয় হয় খুবই অদ্ভুত ভাবে। আমেরিকায় পা রেখেই রেবেকা ঝামেলায় পড়ে যায়, যাদের রিসিভ করতে আসার কথা তাদের দেখা নেই। কি করবে বুঝতে না পেরে রেবেকা কাঁদছিল, পরে এয়ারপোর্টে কর্মরত এক তরুণী সাহায্যে এগিয়ে আসে এবং টেলিফোন ডিরেকটরি থেকে বাংলাদেশি লোকদের কন্টাক্ট করা শুরু করে। আর শুরুতেই কানেক্ট হয়ে যায় পাশার ফোন। পাশা রেবেকাকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করে। এভাবেই এরা কানেক্টেড হয়, পাঠকরা প্রবাসজীবনের একটা আভাস পায় ওদের সাথে চলতে চলতে। দুই পরিবার থেকে আসা চিঠি থেকে ওদের সম্পর্কে বেশ জানা যায়। আরও জানা যায়, কেমন অদ্ভুত ভাবেই নিজের চিরচেনা মানুষদের থেকে মাত্র ক'দিনের পরিচিত মানুষ কতটা আপন হয়ে উঠতে পারে❣
মার্থা বলল- এক চিঠি তুমি ক'বার করে পড়, বল তো রেবেকা? : অনেক বার। : এত সময় নষ্ট কর কেন তোমরা? আমাদের মত করতে পার না? এই দেখ না, আমার হাজবেন্ড আমাকে কার্ড পাঠিয়েছে।
(তুমি কি জানো এই বইটা তুমি আবার পড়বে এবং খুব শীঘ্রই পড়বে?🐸)
শিমিনের রিভিউ পড়ে অফিসে বসে একগাদা কাজ ফেলে হাতে ২ঘন্টা সময় নিয়ে বসে বসে এটা পড়ে শেষ করে "খুব করে কান্না করতে চাওয়ার ইচ্ছে" দমন করে মুখ ভারি করে সারাটাদিন "আমি এখানে আছি কিন্তু আমি এখানে নেই" করে কাটিয়ে দেওয়ার মত বই এটা।
শেষের চিঠিটা! রেবেকার সাথে নাসিমের বোঝাপড়া! রেবেকার আর পাশার অদ্ভুত সম্পর্ক! বাড়ির লোকজনের থেকে চিঠি পাওয়া! চিঠির জন্য অপেক্ষা! পাশার সাথে রেবেকার পরিচয়!
এই বইটা আরো অন্তত ২০০ পেইজ এর মত বড় হওয়া উচিত ছিলো! এত কেনো হাহাকার লাগলো শেষ এর ২-৩ পৃষ্ঠা পড়ে!
অনেকদিন পর হুমায়ুন আহমেদ পড়ে তৃপ্তি পেলাম। হুমায়ুন আহমেদের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ঈর্ষনীয়,হিউমারের কথা তো বাদই দিলাম। নক্ষত্রের রাত পড়ে মুগ্ধ হবেন হুমায়ুন আহমেদের লেখা না-পছন্দ করা লোকেরা ও।সেটা নিশ্চিত করেই বলতে পারি।অল্প অল্প কথার আচড়ে এক চমৎকার ছবি অথবা গল্পের আভাস ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
কিছু বই আছে পড়ার পরে বুকের ভেতরটা শুন্যতায় হাহাকার করে ওঠে। গল্পের চরিত্রগুলোর দুঃখ পাঠকের মনেও জেঁকে বসে। হৃদয়ের ভেতরে সুনিপুণভাবে ঢুকে যাওয়া এই বই হুমায়ুন আহমেদের সেরাগুলোর একটা।
আমার খুব মনে পড়ে "নক্ষত্রের রাত" নামে একটা নাটক ছিলো। মা দেখতো। ছোটবেলার খেলার সাথিরাও দেখতো। কিন্তু আমি দেখতাম না। ড্রামার প্রতি আগ্রহ বরাবরই কম ছিলো তাই দেখা হয়নি! বই টা পড়বো পড়বো করেও পড়া হয়নি। বই বন্ধুদের পড়তে দেখে ভাবলাম আমিও পড়ি। এবং পড়েও ফেললাম!
গতানুগতিক জীবনেরই গল্প! হঠাৎ করেই গল্পের শুরু এবং হঠাৎ করেই শেষ। বইটা শেষ হবার পরও চরিত্রগুলোর ব্যাপারে আরো জানার ইচ্ছা থাক��েও কেন যেন শেষ পর্যন্ত জানতে ইচ্ছে হয়না! কেন যেনো মনে হয় একটা গল্প এর চেয়ে পারফেক্ট হতে পারেনা! লেখকের আমেরিকাকে নিয়ে প্রত্যেকটা বই ই আমার খুব পছন্দ! কেন তার কারন ধরতে পারিনি! নিজের সাথে অনেক কিছু রিলেট করতে পারি। যদিও গল্পের নায়িকার আমেরিকা আসার উদ্দেশ্য আর আমার উদ্দেশ্যটা এক ছিলোনা, তবুও কোথায় যেনো কি আশ্চর্য মিল! নাসিমের লেখা শেষ চিঠিটা অসাধারন। এই যে হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের মিল এই ব্যাপারটাই মনে হয় বইটাকে একটা ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। পাঁচ তারা দেবার জন্য তাই খুব বেশি ভাবতে হয়নি!
'নক্ষত্রের রাত' উপন্যাসটি পড়েছিলাম সাপ্তাহিক বিচিত্রার ঈদ সংখ্যায়,আশির দশকের শেষ দিকে, এরশাদের শাসনামলে।আমি তখন হাইস্কুলের ছাত্র। একটি সংলাপ ছিলো ওই উপন্যাসে, একজন আমেরিকান অধ্যাপক তার বাংলাদেশী ছাত্রীকে জিজ্ঞেশ করেন, 'তুমি যদি তোমার দেশকে এতই ভালোবাস, তাহলে দেশে সামরিক শাসন মেনে নিচ্ছ কেন?'...যখন পড়েছি, তখন না বুঝলেও পরে বুঝতে পেরেছি, কতটা সাহস থাকলে একেবারে এরশাদের শাহনকালেই বাংলাদেশের মাটিতে পসে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করে উপন্যাসের চরিত্রকে দিয়ে এমন সংলাপ বলানো যায়!...উপন্যাস হিসেবেও 'নক্ষতের রাত' অত্যন্ত সুখপাঠ্য। আমার প্রিয় বইগুলোর একটি।
Only the writer knows what he was trying to tell. Narrative so good we skip the story I guess. Only thing I liked about this book is the husband of the girls Rebeka
এক টানে পড়া হলো। পড়তে আরাম, হুমায়ূনের উপস্থাপনা বরাবরের মতোই সুন্দর ও বাস্তব। কিন্তু গল্প ও গল্পের স্বাভাবিকতা কেমন অদ্ভুত ও অবাস্তব। চিঠিযুগের সে সময়টা দারুণ, হুমায়ূন আহমেদ তুলেও এনেছেন সুন্দরভাবে, বেশ উপভোগ করেছি। পাশা আমেরিকায় থাকে, দেশের আত্মীয়রা মনে করে কাড়িকাড়ি ডলার কামায়, সেসব ডলার থেকে কিছু পাওয়া তাদের খুবই স্বাভাবিক অধিকার। এই অধিকারের মনস্তত্ত্বের উপস্থাপনার রেটিং ৫/৫। আমেরিকায় আসা গল্পের নায়িকা সংক্রান্ত কাহিনীর রেটিং ১/৫। সার্বিক রেটিং ৩.৫/৫
বইটা নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা ছিল।অনেক দিন ধরে জমিয়ে রেখেছিলাম পড়লেই শেষ হয়ে যাবে তাই,আজকে পড়ে শেষ করলাম। বইটা রেবেকা আর পাশাকে নিয়ে লেখা। রেবেকা যে কি না খুবই মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি থেকে স্কলারশিপ পেয়ে আমেরিকা গিয়েছে আর পাশা যে আগে থেকেই আমেরিকায় থাকে। বইটা খুবই ছোট এবং খুবই ছিমছাম। পড়ার পর মনের মধ্যে একটা হাহাকার থেকে যাবে আর মনে হবে বইটা কেনো আরেকটু বড় হলো না।
বইটার শেষে খুব ছোট একটা চিঠি আছে।
"প্রিয়তমেষু,
তুমি পিএইচ,ডি প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছ শুনে বেশ অহংকারই হলো। সাধারণ এক বি এ পাশ ছেলের পিএইচডি স্ত্রী। কি সর্বনাশ! রেবেকা, এটা একটা চমৎকার সুযোগ! আমার মতো দরিদ্র মানুষ তো তোমাকে আমেরিকা পাঠিয়ে পড়াশোনা করাতে পারবোনা। নিজের ক্ষমতা ও যোগ্যতায় তুমি তা অর্জন করেছো। কি করে তুমি ধারণা করলে তোমার এই যোগ্যতার আমি দাম দেব না?
এই দীর্ঘদিন একা একা থাকতে আমার খুব কষ্ট হবে, তোমারও হবে। দুঃখ তো পৃথিবীতে আছেই বলো?"
চিঠিটা পড়ে আমারও রেবেকার মতো বলতে ইচ্ছা করছে এইটা এমনই চিঠি যা লক্ষ বার পড়া যায় এবং কখনো পুরনো হয় না। ইউটিউবে ২১ পর্বের নাটক আছে এই বইয়ের। যাই দেখতে বসি।
নক্ষত্রের রাত,নামে একটি নাটক আছে হুমায়ূন আহমেদের সেটি দেখার পর ভাবলাম এই নামে তার উপন্যাস থাকবে।যে ভাবা সেই কাজ,পেয়ে গেলাম উপন্যাস টি।তবে মজার ব্যাপার হল, নক্ষত্রের রাত নাটকটির গল্প,আর উপন্যাস নক্ষত্রের রাতের গল্পটি পুরো আলাদা। উপন্যাস টি ভালো লেগেছে। রেবেকা নামের এক সাধারণ মেয়ে কীভাবে আমেরিকা তে পিএইচডি করার সুযোগ পায় আর অন্যদিকে, পাশা নামক এক যুবক কীভাবে তার অস্তিত্ব কে টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করছে এই সুদূর আমেরিকায় তার একটি বাস্তব ছবি তুলে ধরেছেন এই উপন্যাসে লেখক। মাঝে মাঝে আমাদের এমন কিছু লোকের সাথে পরিচয় হয়,যারা আমাদের পরিচিত নয় কিন্তু তাদের আপন আপন মনে হয়।তাদের কথা ভেবে মনে এক প্রশান্তি আসে!!! রেবেকার মনে এইরকম প্রশান্তির উদ্রেক হয় যখন পাশার কথা তার মনে পড়ে।।
কত ছোট্ট একটা গল্প কিন্তু তার প্রতিটা পাতায় কত মায়া জড়ানো,প্রতে্যকটা শব্দ জাদু মাখানো.একজন হুমায়ুন আহমেদ বোধহয় একজনই থাকবেন সারাজীবন.তার মত করে কেউ নক্ষত্রের রাতে আকাশপানে তাকিয়ে থেকে হারিয়ে যাবার ইচ্ছে,প্রিয় কারো কাছে ফিরে আসার তীব্র বাসনা কেউ জাগাতে পারবে না
আমারও এখন ইচ্ছে করছে কোনো এক নক্ষত্রের রাতে প্রিয়জনের কাছে ফিরে যেতে। কিন্তু শিকড়হীন মানুষেন নাকি কোনো ঠিকানা থাকে না। কারণ দুঃখ! সে তো পৃথিবীতে ছিল, আছে এবং থাকবে.....
অসাধারণ একটা বই। চিঠিগুলোর জন্যই বইটা আরো সুন্দর। হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন বইতে থাকা চিঠিগুলো খুবই হৃদয়গ্রাহী। শঙ্খনীল কারাগারে যেমন রাবেয়ার শেষ চিঠিটা, "দিতে পারো এক'শ ফানুশ এনে, আজন্ম সলজ্জ সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুশ উড়াই।" এবইয়ের শেষ চিঠিটাও কিন্তু কম যায় না। " প্রিয়তমেষু, তুমি পিএইচ,ডি প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছ শুনে বেশ অহংকারই হলো।সাধারণ এক বি এ পাশ ছেলের পিএইচডি স্ত্রী। কি সর্বনাশ! রেবেকা, এটা একটা চমৎকার সুযোগ! আমার মতো দরিদ্র মানুষ তো তোমাকে আমেরিকা পাঠিয়ে পড়াশোনা করাতে পারবোনা।নিজের ক্ষমতা ও যোগ্যতায় তুমি তা অর্জন করেছো।কি করে তুমি ধারণা করলে তোমার এই যোগ্যতার আমি দাম দেব না? এই দীর্ঘদিন একা একা থাকতে আমার খুব কষ্ট হবে,তোমারও হবে।দুঃখ তো পৃথিবীতে আছেই বলো?"
নববিবাহিতা এক দম্পত্তির দীর্ঘ বি���্ছেদের কী করুণ বহিঃপ্রকাশ!
শেষ করলাম হুমায়ূন আহমেদের "নক্ষত্রের রাত"। এটা একটা সাধারণ বই। হ্যাঁ, সাদামাটা গোছের সাধারণ একটা বই। সবকিছু��� নরমাল। কোনো টুইস্ট নাই, অসাধারণ বলার মতো কোনো উপাদান নাই। কিন্তু ওই যে বললাম, সিম্পলের ভেতরে গর্জিয়াস। ঠিক তাই। সাধারণ হওয়াটাই যেনো এই বইয়ের সবচাইতে সুন্দর দিক।
গল্পটা আমেরিকায় অবৈধভাবে থাকা পাশা আর বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়া রেবেকার। এই ছোট্ট বইয়ে এতো সুন্দরভাবে দুজন মানুষের পুরো জীবন তুলে ধরা হুমায়ূন আহমেদের পক্ষেই হয়তো সম্ভব। তাদের পরিবার, সবার আবদার থেকে শুরু করে সবকিছুই এক অনন্য মাত্রায় উপস্থাপন করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। এই বইয়ের আরো একটা সুন্দর দিক আছে। সেটা হচ্ছে, চিঠি। হ্যাঁ, চিঠি। চিঠিগুলার জন্যে বইটা আমার কাছে আরো বেশি সুন্দর লেগেছে।
সবমিলিয়ে বলবো, মনে তৃপ্তি এনে দেয়ার মতো একটা বই পড়লাম। আমার খুব ভালো লেগেছে। সাধারণ গল্প যে এতো সুন্দর হতে পারে তা এই বই না পড়লে হয়তো জানতে পারতাম না। উপভোগ করেছি। বেশ উপভোগ করেছি।
" প্রিয়তমেষু, তুমি পিএইচ,ডি প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছ শুনে বেশ অহংকারই হলো।সাধারণ এক বি এ পাশ ছেলের পিএইচডি স্ত্রী। কি সর্বনাশ! রেবেকা, এটা একটা চমৎকার সুযোগ! আমার মতো দরিদ্র মানুষ তো তোমাকে আমেরিকা পাঠিয়ে পড়াশোনা করাতে পারবোনা।নিজের ক্ষমতা ও যোগ্যতায় তুমি তা অর্জন করেছো।কি করে তুমি ধারণা করলে তোমার এই যোগ্যতার আমি দাম দেব না? এই দীর্ঘদিন একা একা থাকতে আমার খুব কষ্ট হবে,তোমারও হবে।দুঃখ তো পৃথিবীতে আছেই বলো?"
শুধু এই অংশটুকুর জন্যই রেটিং ৩ না দিয়ে ৪ দিলাম,অবশ্য এই শেষ অংশে এমন একটা ব্যাপার আছে যার জন্য ৫ দেয়া যায়,চোখ বন্ধ করে।
আমেরিকায় নবীনা রেবেকার পরিচয় হয় প্রবাসী পাশার। ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে যায় দুই দেশের কালচার আর সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে৷ এ বই পাঁচ তারকা দেবার অন্যতম কারণ হল বই শেষে রেবেকার চিঠি আর পাশার পরিব্রাজকের জীবনের সিন্ধান্তের জন্য৷
আমেরিকার ফার্গো শহরে একটি নক্ষত্রের পতন এবং আরেকটি নক্ষত্রের উত্থান নিয়ে ছোট্ট একটি উপন্যাস ...
"পাশা একজন গেম ডেভলপার । ইদানিং সে খুবই অর্থ সংকটে আছে এবং সে একজন অবৈধ অভিবাসী। অন্যদিকে রেবেকা স্কলারশিপ নিয়ে তিন মাসের শর্ট কোর্সে আসলেও নিজের মেধায় পিএইচডি করার সুযোগ পেয়েছে ... ঘটনাচক্রে তাদের দুজনের পরিচয় হয় । .... " তাদের দুজনেরই পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ছোট গল্প দিয়ে কাহিনী এগিয়েছে ...
এক বাসায় পড়ে ফেলার মত বই । এবং অবশ্যই ভালো লাগবে । কাহিনী শেষে একটি শূন্যতা অনুভব করবেন 😌
কিছু কিছু বই আছে যেগুলা পড়া শেষে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যায় মনের মাঝে। এই বইটা অনেকটা সেরকমেরই। উপন্যাসটা পড়ার সময় দারুণ লাগছিল। একটা মেয়ে যে জীবনে প্রথম এসেছে, আমেরিকাতে, তাও একলা। পিছে ফেলে এসেছে তার স্বামী এবং পরিবারকে। কিভাবে সে নিজেকে এই বিদেশের মাটিতে মানিয়ে নিবে? এটারই উওর খুঁজেছি সমগ্র উপন্যাস জুড়ে। এবং উপন্যাসের একটা সুখময় ইন্ডিং আমাকে আরো মুগ্ধ করেছে। হুমায়ূন আহমেদের বইয়ে হ্যাপি ইন্ডিং খুবই রেয়ার। তবে এটি ব্যাতিক্রম দলেই পড়েছে।
It's nothing like the Natok. Decent. I wonder how Humayun Ahmed portrays micro-cheating so damn beautifully. Makes me feel bad for other characters, but again hey-whatever.
সাদামাটা একটা গল্প। সূক্ষ্ম কিছু অনুভূতি। কেন যে মানুষ চাইলেও অনেক কিছু পারে না কে জানে? আর কেনই বা এমন কারোর জন্যে কাঁদতে ইচ্ছে করে যে পাশে থাকলেও সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়।
কিছু কিছু বই পড়ার পর এক ধরনের ঘোর তৈরী হয়।বহু চেষ্টা করেও অনেকদিন পর্যন্ত সেই ঘোর থেকে বের হওয়া যায় না।নক্ষত্রের রাত এরকম ঘোর লাগানো একটা বই।গল্পটা খুব সাধারন আর ছোট্ট।কিন্ত এই ছোট্ট গল্পটাতেই বাংলাদেশ থেকে ইউ এস এইড প্রোগ্রামে ফুড টেকনোলজির উপর ট্রেনিং এর জন্য আমেরিকায় আসা রেবেকা আর ইল্যিগেল এলিয়েন পাশার জীবনের সবকটি দিক উঠে এসেছে।একটি সদ্য বিবাহিত মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের অল্প কদিনের বিদেশযাত্রা সেই পরিবারে যতটা আনন্দ এনে দেয়,মেয়েটির স্বপ্ন পূরনে ৪/৫ বছরের জন্য বিদেশে থেকে যাবার ইচ্ছার পরিবার ততই ক্ষুব্ধ হয়।কিন্ত যখন মেয়েটির স্বামী তার বড় হবার ইচ্ছাকে সমর্থন করে অসম্ভব আবেগময় সুন্দর একটি চিঠি লেখে যা লক্ষবার পড়া যায়,কখনো পুরনো হয় না,তখন মনের অজান্তেই চোখে জল এসে যায়।গল্পের আরেকটি দিক হচ্ছে পাশার শেকড়হীন জীবন।রেবেকা বিদেশের মাটিতে পাশার মতো একজন মানুষের সহায়তা পেলেও,পাশা সম্পূর্ন একা।অবৈধভাবে আমেরিকায় থাকা,ব্যাংকে অর্থের পরিমান ক্রমশ শেষ হয়ে যাওয়া,দেশ থেকে ক্রমাগত বড় ভাইয়ের অর্থের জন্য তাগিদ - পৃথিবী এই অসম্ভব জটিলতার মধ্যেই এক নির্জন নক্ষত্রের রাতে পাশা শেকড়হীন মানুষের মতো ডুব দেয়ার জন্য বেরিয়ে পড়ে....কারন,নক্ষত্রের আলোয় কেমন অন্যরকম লাগে।বড় ইচ্ছা করে কারো কাছে যেতে।
বইটা কেন এতদিন পড়া হয়নি সেটা তে যেমন আফসোস লাগছে,তারচেয়ে ও বড় আফসোস হচ্ছে বইটা এত্ত ছোট কেন হলো।
বইটার কাহিনি ভাসা ভাসা মনে পড়তেছে। পুরা কাহিনি এত তাড়াতাড়ি কেন ভুলি -_- তবে অবশ্যই মনে আছে ছোট পরিসরের বই হলেও ভালো লেগেছিল বইটা৷ কোন এক শীত কালে পড়ছিলাম!