সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে ফিরে এলো আবার কাকাবাবু ও সন্তু। ২য় গল্পে এবার কাকাবাবু আর সন্তু চলে এসেছে আন্দামান দ্বীপে। সন্তুর পরীক্ষা শেষ এখন সে ক্লাস নাইন এ উঠবে। স্বভাবতই অবসর সময় গুলো সে কাকাবাবুর সাথে ঘুরে কাটায়, এবার প্রথমত কাকাবাবু তাকে কোথায় নিয়ে যাবেন সেটা বলেন নি, শুধু জানতে চেয়েছেন সে প্লেনে না জাহাজে চড়বে। বেড়াবার জন্য পাসপোর্ট করতে গিয়ে অদ্ভুত ঘটনা ঘটে হঠাৎ করে এক সাহেব তাঁর গায়ে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে ট্যাক্সিতে উঠে যায়, সেই সময় এক টোকাই তাঁর পড়ে যাওয়া পাসপোর্ট নিয়ে পালাতে গেলে কাকাবাবু তাকে আটকায়। সন্তু বুঝতে পারে না টোকাই পাসপোর্ট দিয়ে কি করবে। কয়েকদিন পরই সে বিষয়টা ধরতে পারে। আন্দামানের সরকারি বাবু দাসগুপ্ত কাকাবাবুদের রিসিভ করেন। সেখানেই গিয়ে কাকাবাবু তাদের বলেন কেন তিনি সেখানে গিয়েছেন। পুরো বিষয়টা শুনে সন্তু খুব অবাক হয়। আন্দামান মূলত জেলখানা হিসেবে পরিচিত, এখন অবশ্য এখানে বেশকিছু জনবসতি গড়ে উঠেছে। এখানে ২০০ ও বেশি দ্বীপ আছে কিছু দ্বীপ মানুষ ও যথারীতি সরকারি পুলিশে ভরা, আর কিছু দ্বীপে জারোয়ারা থাকে। তাঁরা সভ্য জগতের মানুষকে দেখতে পারে না, কিন্তু ইতিহাস বলে প্রায় প্রতি কিছু বছর পর পর ই এখানে বিদেশি কিছু বিজ্ঞানী আসে কিন্তু পরে আর তাদের খোঁজ পাওয়া যায় না। কেন এই বিজ্ঞানীরা এখানে এসে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়? সেই রহস্য উদ্ঘাটন কীভাবে করেছিলো কাকাবাবু ও সন্তু জানতে পড়তে হবে এই বই। বেশ রোমাঞ্চকর, কাকাবাবু সিরিজের বইগুলোর সবচেয়ে বড় ঝামেলা বইগুলো পড়লেই আপনার ইতিহাসের প্রতি তীব্র টান অনুভব করবেন, ফলে বই পড়া শেষ করে আপনাকে আবার গুগল করে দেখতে হবে সেই ইতিহাস।
A criminal gang is set to steal a secret source of energy that emanates from a meteorite that has landed on a remote island They know that the local tribes have no idea of its value A patriot Mr Talukdar befriends the tribals Thirteen-year-old Santu joins his uncle who is sent on behalf of the Intelligence to survey the island The two leave Calcutta by ship for the Andaman Islands Santus sharp eye soon detects that the criminals are on board Santu is instrumental in helping his uncle prevent the dastardly plot the criminals are about to carry out
Sunil Gangopadhyay (Bengali: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়) was a famous Indian poet and novelist. Born in Faridpur, Bangladesh, Gangopadhyay obtained his Master's degree in Bengali from the University of Calcutta, In 1953 he started a Bengali poetry magazine Krittibas. Later he wrote for many different publications.
Ganguly created the Bengali fictional character Kakababu and wrote a series of novels on this character which became significant in Indian children's literature. He received Sahitya Academy award in 1985 for his novel Those Days (সেই সময়). Gangopadhyay used the pen names Nil Lohit, Sanatan Pathak, and Nil Upadhyay.
Works: Author of well over 200 books, Sunil was a prolific writer who has excelled in different genres but declares poetry to be his "first love". His Nikhilesh and Neera series of poems (some of which have been translated as For You, Neera and Murmur in the Woods) have been extremely popular.
As in poetry, Sunil was known for his unique style in prose. His first novel was Atmaprakash (আত্মপ্রকাশ) and it was also the first writing from a new comer in literature published in the prestigious magazine- Desh (1965).The novel had inspiration from ' On the road' by Jack Kerouac. His historical fiction Sei Somoy (translated into English by Aruna Chakravorty as Those Days) received the Indian Sahitya Academy award in 1985. Shei Somoy continues to be a best seller more than two decade after its first publication. The same is true for Prothom Alo (প্রথম আলো, also translated recently by Aruna Chakravorty as First Light), another best selling historical fiction and Purbo-Paschim (পূর্ব-পশ্চিম, translated as East-West) a raw depiction of the partition and its aftermath seen through the eyes of three generations of Bengalis in West Bengal, Bangladesh and elsewhere. He is also the winner of the Bankim Puraskar (1982), and the Ananda Puraskar (twice, in 1972 and 1989).
Sunil wrote in many other genres including travelogues, children's fiction, short stories, features, and essays. Though he wrote all types of children's fiction, one character created by him that stands out above the rest, was Kakababu, the crippled adventurer, accompanied by his Teenager nephew Santu, and his friend Jojo. Since 1974, Sunil Gangopadhyay wrote over 35 novels of this wildly popular series.
Death: Sunil Gangopadhyay died at 2:05 AM on 23 October 2012 at his South Kolkata residence, following a heart attack. He was suffering from prostate cancer for some time and went to Mumbai for treatment. Gangopadhyay's body was cremated on 25 October at Keoratola crematorium, Kolkata.
Awards & Honours: He was honored with Ananda Award (1972, 1979) and Sahitya Academy Award (1984).
কাকাবাবুর বই মানেই অন্যরকম একটি অনুভূতি। কিছুটা জ্ঞান কিছুটা অ্যাডভেঞ্চার কিছুটা রহস্য মিলিয়ে অন্য রকম এক ভালোলাগা কাজ করে। যখনই কাকাবাবু পড়ি তখনই অনুপ্রেরনা পাই। কাকাবাবুর একটি পা প্রায় অচল এমন অবস্থাতেও তিনি কোন কিছুকে পরোয়া করেন না। এজন্যই অনুপ্রেরণা পাই কাকাবাবু পড়লে। এই উপন্যাসটির বেলায় যদি বলি ভালো লেগেছে তাহলে ভুল বলা হবে অনেক অনেক অনেক ভালো লেগেছে।
সবেমাত্র পরীক্ষা শেষ হয়েছে ৷ ক্লাস নাইন থেকে সন্তু এবার টেনে উঠবে ৷ শেষ পরীক্ষার দিনই কাকাবাবু জিজ্ঞেস করেছিলেন,সন্তু,এখন তো তোমার ছুটি থাকবে,আমর সঙ্গে বেড়াতে যাবে এক জায়গায় ? এবার সন্তু আর কাকাবাবু সাথে আমরা যাচ্ছি আন্দামানের একটা ছোট দ্বীপ পোর্ট ব্লেয়ার ৷ এবার রহস্য হলো প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু বৈজ্ঞানিক এই দ্বীপে এসে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে ৷ পঞ্চাশ বছর দরে বৈজ্ঞানিক রা কেন এই দ্বীপে আসসে ৷ বৈজ্ঞানিকরা এতটাই বোকা না যে শুধু শুধু এই দ্বীপে আসবে ৷
নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ্য ছিল তাদের ৷ কি ছিল তাদের উদ্দেশ্য ? কোথায় বা নিরুদ্দেশ হয়ে গেল তারা? পোর্ট ব্লেয়ার যে বিমান দিয়ে তারা এসেছিল সেই বিমানে করে দুইজন বিদেশিও এসেছিল ৷ পোর্ট ব্লেয়ার বিদেশি তেমন আসে না ৷ কারা এই বিদেশি ? কী করতে এসেছে তারা ? জানতে হলে ঝটপট পড়ে ফেলুন দেখি।
সন্তু এবার কাকাবাবুর সাথে একটা এডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা হলো আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে। ছোটোবেলায় আন্দামানের দ্বীপের কথা শুনেছি, কিন্তু এর সাথে সেখানের কিছু দ্বীপে আছে কিছু আদিম অধিবাসী-যাদের মধ্যে সভ্যতার চিহ্ন মাত্র নেই। মজার ব্যাপার হলো, সেইসব ভয়ংকর অধিবাসী যারা কিনা মানুষকে একফোঁটাও বিশ্বাস করে না- তাদের সেই দ্বীপে কিছুদিন পরপর বিজ্ঞানীরা এসে উধাও হয়ে যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন হলো সাহেবরা ঘুরঘুর করছে সেদিকে। পিছু নিতে এলো কাকাবাবু। এই নিয়েই সুন্দর একটা গল্প। শেষে সুন্দর একটা চমক আছে কিন্তু! যদিও দুইটা গল্প পড়েই লেখকের ট্রাজিক কাহিনির প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছে বলে মনে হলো।
সন্তুর পরীক্ষা শেষ, সামনে ছুটি। তারমানে আবার নতুন করে কোথাও ঘুরতে যাওয়া। তা অবশ্যই কাকাবাবুর সাথে। এবারের অভিযানটা অন্যরকম। কারণ এই প্রথম সন্তু প্লেনে করে কোন অভিযানে যাচ্ছে তাও সুদূর আন্দামানে। যেখানে একসময় শুধুমাত্র চোর-ডাকাতের শেষ ঠিকানা ছিল। যেখানে একবার কেউ গেলে আর ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। কিন্তু এসব অনেক আগের কথা। এখন দিন বদলেছে। এখন ঠিক কোন রহস্যের টানা কাকাবাবু এতদূর ছুটে যাচ্ছেন? মুখোমুখি হচ্ছেন জারোয়া আদিবাসীদের। যাদের নাকি দেশের সরকারও ঘাটায় না তাদের ডেরায় কাকাবাবু হানা দিলেন কোন সাহসে? কি এই রহস্য যা জানতে কাকাবাবু জীবনের ঝুকি নিলেন আর সাথে ঝুকিতে ফেললেন সন্তুর জীবনও?
সারাদিন ঝড়-বৃষ্টি, ইলেকট্রিসিটি নেই, মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই। একটা দিন পুরো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন। রাতে ঝড়ের দাপট আরো বাড়ল, প্রচন্ড গরমের পর বাতাস নৈসর্গিক একটা ভাব নিয়ে এসেছে। রাতে চার্জার লাইটের শেষ আলোটুকুতে পরছি সবুজ দ্বীপের রাজা। এরকম দিনের জন্য আদর্শ গল্পই বটে। কাকাবাবু গিয়েছেন আন্দামানে, সেখানে পিছু নিয়েছে দুই সাহেব, তাদের মোটেও ভালো লোক বলে মনে হচ্ছে না, ভালো লোক হলে দাড়ি না কামিয়ে কেউ প্লেনে ওঠে!
উত্তাল সমুদ্র, তার মধ্যে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ। ছোট্ট শহর গড়ে উঠেছে সেখানে। তবে একটা দ্বীপে এখোনো মানুষের পা পড়েনি। দুই সাহেব গিয়ে লুকোল সেই দ্বীপেই। কাকাবাবু পিছু নিয়েও ফসকে গেল তারা। সেই দ্বীপে গিয়ে নামতে চাইলেন কাকাবাবু, একা। কিন্তু কেউ সায় দিল না, কারন সেখানে থাকে জারোয়ারা, ভয়ঙ্কর জাতি তারা। মানুষ দেখলেই ছুড়ে মারে বিষমাখানো বাঁণ। সেই তীর কারোও গায়ে লাগলে অনীবার্য মৃত্যু। কিন্তু কে শোনে কার কথা। জোড় করে নেমে গেলেন কাকাবাবু। পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাকাবাবুকে সঙ্গ দিল সন্তু।
এরপরের অভিযান এককথায় দুঃসাহসিক। কাকাবাবুর প্রচন্ড মানসিক শক্তি, সন্তুর অদম্য সাহস কি পারবে সেই রহস্য সমাধান করতে? কিন্তু রহস্য টা কি, কাকাবাবুর মুখ থেকে তো কিচ্ছু বেরোবে না। শেষ টা একটু ইমোশনাল, গল্প শেষে বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে লম্বা একটা ঘুম দেব ভেবেছিলাম, তা আর হলো কই!
সবুজ দ্বীপের রাজা একটা এডভেঞ্চারের গল্প। হরর কোনো এলিমেন্ট ছিল না। বইটা পড়েছিলাম ক্লাস সেভেনের শীতের এক মধ্যরাতে। ঘরে লাইট জ্বালানো থাকলে আম্মু রাগ হয় বলে টর্চলাইট জ্বালিয়ে পড়ছিলাম। আশেপাশে সব অন্ধকার, শুধু বইয়ের পৃষ্ঠায় মৃদু আলো।
হ্যাঁ, মৃদু আলো। কারণ টর্চলাইটের চার্জ ফুরিয়ে আসছিলো, কিন্তু বইটা রাখতে পারছিলাম না। এদিকে অকারণ ভয় লাগছিলো বইটা পড়তে!! গা ছমছমে ওই অনুভূতি হরর গল্প পড়েও কখনো হয়নি!
একেই বোধহয় বলে পাতায় পাতায় থ্রিল! গল্পটা শেষ করে বই বন্ধ করে দেখি মধ্যরাত চারটা চল্লিশ বাজে!
কাকাবাবু সিরিজ এর দ্বিতীয় গল্প এটি, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্প,উপন্যাস মানেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সঞ্চার করে, আর "কাকাবাবু" চরিত্র শিহরণ জাগানো একটি গোয়েন্দা কাহিনি। আন্দামান দ্বীপ সম্বন্ধে বেশ তথ্যবহুল উপন্যাস এটি। এবং ভারতের স্বাধীনতার সঙ্গে বেশ যোগ সুত্র আছে,
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আবাসভূমি। ১৭৭৭ সালে ব্রিটিশরা এই অঞ্চলে একটি নৃতাত্ত্বিক সমীক্ষা চালিয়েছিল। এই সমীক্ষা থেকে জানা যায় যে, বহিরাগতদের আগমনের আগে কয়েক শতাব্দীকাল এই দুই দ্বীপপুঞ্জ নেগ্রিটো ও মঙ্গোলয়েড জাতিগোষ্ঠীর অধিকারে ছিল।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ইতিহাসকে চারটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়: ব্রিটিশ অধিকার প্রতিষ্ঠা, ব্রিটিশ রাজত্ব, জাপানি রাজত্ব ও স্বাধীনোত্তর যুগের ইতিহাস। ১৭৮৮ সালে দুই নৌ-আধিকারিকের সুপারিশক্রমে ১৭৮৯ সালে তদনীন্তন গভর্নর-জেনারেল লর্ড কর্নয়ালিস পোর্ট কর্নওয়ালিশের কাছে চাটহাম দ্বীপে একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপন করেন। এই বছরই লেফটানেন্ট রেজিনল্ড ব্লেয়ার এই অঞ্চলে একটি সমীক্ষার কাজ চালান। তার নামানুসারে পোর্ট কর্নওয়ালিশের নাম হয় পোর্ট ব্লেয়ার।
১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহর পর ব্রিটিশ সরকার এখানে একটি বন্দীনিবাস স্থাপনের পরিকল্পনা করে। ১৮৫৮ সালে ভাইপার দ্বীপে তৈরি হয় একটি কারাগার, একটি গ্যালো ও একটি জনবসতি। ২০০ জন বন্দীকে এই কারাগারে এনে রাখা হয়। এঁদের অধিকাংশই ছিলেন ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী সৈনিক। ১৯০৬ সালে পোর্ট ব্লেয়ারে সেলুলার জেল তৈরি হলে আগের কারাগারটি পরিত্যক্ত হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চলাকালে ১৯৪২ সালের ২১ মার্চ জাপানিরা আন্দামান দখল করে নেয়। জাপানি সেনাবাহিনীর হাতে এই অঞ্চলের বহু নিরপরাধ মানুষও নিহত হন। পরে জাপানিরা এই দ্বীপপুঞ্জ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বাধীন আজাদ হিন্দ্ সরকারের হাতে তুলে দেয়। ১৯৪৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর সুভাষচন্দ্র পোর্ট ব্লেয়ারে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চল ব্রিটিশদের অধিকারমুক্ত ছিল। এই সময় আন্দামান খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে ওঠে। ১৯৪৫ সালের ৮ অক্টোবর জাপানি সেনাবাহিনীর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া কম্যান্ড পোর্ট ব্লেয়ারে আত্মসমর্পণ করলে ব্রিটিশরা এই দ্বীপপুঞ্জের অধিকার আবার ফিরে পায়।
১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ একত্রে স্বাধীন ভারতের অঙ্গীভূত হয়।
সন্তু কাকাবাবুর দ্বিতীয় বই - সবুজ দ্বীপের রাজা। আমার সেই কতদিনের শখ আন্দামান যাওয়ার। কয়েকটি ডকুমেন্টারিতে দেখেছি আন্দামানের North Sentinel Island - এ প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং প্রবেশ করার জন্য পালাক্রমে এখন অব্দি কয়েকজন বিদেশি চেষ্টা করলেও তাদের মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। কাকাবাবুর এই গল্পটি তেমনই এক দ্বীপ নিয়ে।
কাকাবাবু সিরিজের বইগুলো পড়ছি আমার মনে হচ্ছে কৈশোরে কেনো পড়িনি। খুবই মনোযোগ আকর্ষণকারী একটি সিরিজ। একদিনে শ দেড়েক পাতার বইগুলো একবসায় শেষ করছি একে একে।
পড়ছিলাম, সবুজ দ্বীপের রাজা সন্তু-কাকাবাবু০২ লিখেছেন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। এবছর সর্বমোটে আশিটি বই পড়বো ভেবেছি। সুতরাং, ১৯/৮০
Kakababu series is my all time favorite, specially this one is just wow. The story building, plot everything is just mind-blowing. What an adventurous story! I like the personality of Sontu .
এইটা আমার মতে কাকাবাবু সিরিজের অন্যতম ওয়েল রিটেন বই। এর এডভেঞ্চার লেভেল আর মিস্ট্রি বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ। অতিরিক্ত এক্সট্রা ক্যারেক্টার দিয়ে একটা কমিক রিলিফ দেওয়ার চেষ্টা করা হয় নাই এখানে, যেটা আমার পার্সোনালি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। রাজা রায় চৌধুরী এর ক্যারেক্টার টা কত বড় লেভেলের সেটাও এখানে বুঝা যাচ্ছে। সন্তু আর কাকাবাবুর কেমিস্ট্রি টাও এইখানে আরো ভালোমতো ফুটে উঠেছে। সবুজ দ্বীপের রাজা এর বিল্ডয়াপ এবং তার ব্যাক স্টোরিটাও আমার কাছে বেশ কম্পেলিং লেগেছে, জারোয়া দের ওয়েল রিটেন লেগেছে, জঙ্গলের মধ্যে একট হোটেলের আদিবাসীদের চেয়ে এদের স্টোরি বেটার। ওভারঅল এটা আমার কাছে কাকাবাবু সিরিজের টপ থ্রি গল্পের মধ্যে একটি।
পড়ে শেষ করলাম সন্তু ও কাকাবাবুর এই দুর্ধর্ষ অভিযানের গল্প। এইটা মুলত আমার পড়া প্রথম কাকাবাবুর গল্প এই বইটিও কিনে ছিলাম মূলত কাকাবাবুর গল্পগুলো কেমন তা জানার জন্য বলতে হবে বইটি একদমই নিরাশ করেনি বরং কাকাবাবুর আরও গল্প পড়ার জন্য লোভী করে দিয়েছে এবার আস্তে আস্তে খন্ডগুলো কেনা শুরু করতে হবে। যাই হোক বলতে হবে কাকাবাবুর গল্পের প্রেমে পরে গেছি বলতে হবে। গল্পের প্লটও দারুন আন্দামানকে নিয়ে। ⚜️ সন্তু-কাকাবাবুর এই দুর্ধর্ষ অভিযানের সপটভূমি। পটভূমি আন্দামান। এখানে একটা দ্বীপের জঙ্গলের মধ্যে জারোয়া নামের অতি হিংস্র আদিবাসীরা থাকে। বাইরের লোক দেখলেই জারোয়ারা ছুঁড়ে মারে বিষাক্ত তীর। এর আগে পৃথিবীর নানান দেশ থেকে বৈজ্ঞানিকরা আন্দামানে এসে অদৃশ্য হয়ে গেছেন।জারোয়াদের সেই দ্বীপেই পৌঁছে গেলেন সন্তু আর কাকাবাবু। হাজির হলেন অদ্ভুত একটা জায়গায়। সেখানে গোলমতন একটা বস্তু থেকেনানারকম আগুন বেরুচ্ছে, সেই আগুন ঘিরে বসে আছে শত শত জারোয়া। আর তাদের মাঝখানে সাদা চুল-দাড়িওয়ালা এক থুথুরে বুড়ো। সেই বুড়োর নির্দেশে গনগনে আগুনের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে এক-একজন সাদা-চামড়া সাহেবকে। কী পরিচয় এই সাহেবদের? কেন তাঁদের এভাবে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে? এরাই কি সেই নিখোঁজ বৈজ্ঞানিকদের কেউ-কেউ? বন্দী হলেন কী করে? সন্তু আর কাকাবাবু এখন কী করবেন? তাঁরা কি পারবেন হিংস্র জারোয়াদের চোখ এড়িয়ে ফিরে আসতে? এমন শ্বাসরুদ্ধকর বিস্তর প্রশ্ন ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এই টানটান কিশোরোপন্যাসে (Blurb-এর অংশটুকু তুলে দিলাম)। Publisher :- Ananda Publishers My Ratings :- 4.7/5
কাকাবাবু সিরিজের গল্পগুলোর মধ্যে 'সবুজ দ্বীপের রাজা' এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। প্রথমত এটি একটি বড়সড় উপন্যাস যা তপন সিনহার হাতে পূর্ণদৈর্ঘ্যের সিনেমার রূপ পেয়েছে বহু বছর আগেই। দ্বিতীয়ত কাহিনিটি এমন একটি বিষয় নিয়ে যার ওপর আজও তর্কবিতর্ক চলতে থাকে। আন্দামান দ্বীপের আদি বাসিন্দা জারোয়াদের সভ্যতার আলোকে আলোকিত করা কি আমাদের কর্তব্য না তাদেরকে তাদের মতো থাকতে দেওয়াই উচিত এনিয়ে প্রশাসনিক মহলে তো বটেই নাগরিক সমাজেও সহমত নেই। লেখক এখানে গল্পটাকে যেরকম করুণ পরিণতির দিকে টেনে নিয়ে গেছেন, তাতে তিনি একটি পক্ষ গ্রহণ করেছেন সন্দেহ নেই। 'সভ্যতা'র সংজ্ঞাও প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে। মনে পড়া যায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের 'সভ্য ও অসভ্য' গল্পটার কথাও। বিখ্যাত বাংলা গোয়েন্দাধর্মী সিরিজগুলোর মধ্যে আমার কাকাবাবুকে সবথেকে দুর্বল মনে হয় বরাবরই। যে সমস্যাগুলোর জন্য মনে হয়, সবুজদ্বীপের রাজাতেও সেগুলো বহাল পরিমাণে বিদ্যমান। সাইডকিক হিসেবে সন্তু বিরক্তিকর। তাও ভালো জোজো এবং জোজোর ভাঁটবাজি এই গল্পে নেই। সুনীল গাঙ্গুলি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি (আমার ব্যক্তিগত মত), কিন্তু এই আনন্দবাজারে চাকরির দায়ে লেখা গদ্যগুলো থাকতে তাঁর আর আলাদা করে নিন্দুকের দরকার পড়েনা। গোয়েন্দাকাহিনি বা সে অর্থে যেকোনো থ্রিলারের কেন্দ্রে যে রহস্যের জাল ঘন করার মুন্সিয়ানা সেটা একেবারেই হয়ে ওঠে না কাকাবাবুর গল্পগুলোতে। জোলো সাসপেন্সের সেই দোষ এই উপন্যাসে বিষয়বস্তু অনেকটাই লাঘব করে দিয়েছে। তাই ৫ এ ৪টে তারা দিলাম।
"সবুজ দ্বীপের রাজা" গল্পে আমার আর শন্তুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিল, আমি আর শন্তু উভয়েই নাইন গ্রেডের ছাত্র। আমি এদিকে পরিক্ষা শেষে অলস সময় কাটাচ্ছি, ওদিক সন্তু কাকাবাবুর সাথে রহস্য অভিযানে বের হয়েছে।
কাকতালীয়ভাবে, যখন আমি ফেলুদা পড়তে শুরু করি, তখন তপেষ রঞ্জন ক্লাস সেভেন পড়তো, আমিও তখন ক্লাস সেভেনে'র ই ছাত্র। মাঝে মাঝে ভাবতাম, উফ আমার যদি ফেলু মিত্তিরের মত একটা দাদা থাকতো? সে ভাবনা কী আর সত্যি হবে।
"সবুজ দ্বীপের রাজা" গল্পে সন্তু আর কাকাবাবু রহস্য সমাধানে আন্দামান আর নিকোবর দীপপুঞ্জের জরোয়া আইল্যান্ডে প্রবেশ করে। আইল্যান্ডটা ছিল হিংস্র জনগোষ্ঠী জরোয়ায়াদের। যাদের সাথে সম্পর্ক ছিল না কোনো সভ্য মানুষের। তাদের রাজা ছিল খুব রহস্যময় তার চেয়ে রহস্যময় ছিল ওই দ্বীপের অদ্ভূত, আশ্চার্যজনক অগ্নিকুন্ড। যেটা উল্কাপাতের কারনে সৃষ্টি হয়েছে। ওই রহস্যময় উল্কা চুরি করতে কয়েকজন সাহেব পরিকল্পনা করেন। তারা আধনিক অস্ত্র-সস্ত্রের মাধ্যামে দ্বীপে অভিযান চালায়। হিংস্র জারোয়া আর সাহেবদের মাঝে আটকে গেছেন আমাদের কাকাবাবু আর সন্তু। তাদের প্রত্যেকটা পদক্ষেপ ভয়ঙ্কর বিপদ অপেক্ষা করছে। গল্পটা খুব ইন্টারেস্টিং, আমি বলতে পারি পড়ার জন্য দূর্দান্ত একটা গল্প।
ঐতিহাসিক বই নিয়ে আমার বেশ সমস্যা হয়। মনের মধ্যে বার বার প্রশ্ন জাগে, ‘ও ওটা বলেছিল?’ ‘আসলেই কী এমন হয়েছিল?’ ‘লেখক ভুল লেখেনাই তো?’
এই ধরনের প্রশ্নগুলা যখন মনে আসে তখন নিজেই অনেক প্যারা খাই, বই মনোযোগ দিতে পারি না।
যদিও এই বই ঐতিহাসিক না তবে ঐতিহাসিক চরিত্র অবশ্যই আছে। গুণদা তালুকদার ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকারীদের একজন। আন্দামান এর জেলখানা থেকে পালিয়ে যান প্রায় ৫০-৬০ বছর আগে। তারপর জারোয়াদের রাজা হয়ে যান।
মূল সমস্যা টা এই জায়গাতেই। গুণদা তালুকদার এর ব্যাপারে কিছুই জানি না। গুগল করে ও তেমন কিছুই পেলাম না। তবে এই চরিত্রটা ছিল অবশ্যই।
এখন মাথায় শুধু ঘুরতেছে, ‘গুণদা', ‘গুণদা’, ‘গুণদা’!
বহু বছর আগে রূপসী বাংলার কাকাবাবু অ্যানিমেশন সিরিজে এই গল্পটা দেখেছিলাম। ভাসাভাসা মনে রয়ে গিয়েছিল, অন্তত গল্পের আসল টুইস্টটা। তাই পড়তে গিয়ে খুব একটা আশ্চর্য হইনি। একঘেয়েও লাগেনি কারণ আনুষঙ্গিক অনেককিছুই ভুলে গেছিলাম। কাকাবাবু সিরিজের একদম প্রথমদিকের গল্প। তাই খুব যত্ন করে লেখা, পরের কিস্তিগুলোর মতন জল মেশানো নয়। এখানে কাকাবাবু এখনও সন্তুকে তুমি করে বলে, জোজোও আসেনি এখনও। খুব খুব খুব সুন্দর কিছু পড়তে চাইলে এটি একটি must read, কিশোর সাহিত্যের একটি নিখুঁত রত্ন! গল্প নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। কোন জায়গার প্রেক্ষাপটের গল্প সেটা বললেও কিছুটা spoiler হবে তাই ওসব থেকে বিরত রইলাম। কাহিনির নামকরণ পুরোপুরি সার্থক — এইটুকু বলা চলে।
ঘটনাস্থল আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ। এটা আমার পড়া কাকাবাবু'র দ্বিতীয় বই। বেশ চমৎকার এডভেঞ্চার ছিল, তাছাড়া দ্বীপপুঞ্জের পরিবেশ ফুটে উঠতে দেখে বেশ ভালো লেগেছে। সবুজ পাহাড়, সাগর, দ্বীপের প্রাণীকুল, আদিবাসী, খাবার!
এই গল্পে এডভেঞ্চারের সঙ্গে আবেগের ব্যাবহার করে সুনীল সার তার পরিচয় দিয়ে দিয়েছেন। কাকাবাবু গল্প যে শুধু মাত্র এডভেঞ্চার নিয়েই হবে এরকমটা তিনি ভুল প্রমাণ করেছেন এই সিরিজের ২য় গল্প সবুজ দ্বীপের রাজাতেই। আবেগের সঠিক ব্যবহার হয়েছে এখানে।
কাকাবাবু সিরিজের দ্বিতীয় বই এটি। বরাবরের মতোই রহস্য রোমাঞ্চে ঘেরা।সাথে আছে ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটা হার না মানা কাকাবাবু আর সন্তু।সন্তুর সবে মাত্র পরীক্ষা শেষ। এর মধ্যে কাকাবাবুর সাথে নতুন এডভেঞ্চারে যায় সন্তু।প্রথমে বুঝতে না পারলেও পর দেখে তাদের নতুন গন্তব্য আন্দামান। শুরু হয় নতুন রহস্য।
নিঃসন্দেহে কাকাবাবু সিরিজ এর অন্যতম একটি বই এটি। অ্যাডভেঞ্চার এ ভরা এই উপন্যাস টি ছোট বড় যে কারোর ভাল লাগতে বাধ্য। তবে গুনদা তালুকদার এর মৃত্যু টা সত্যি যেন মেনে নেওয়া যায় না।