নয়নের অদ্ভুত ক্ষমতা। সে কারও মুখের দিকে তাকিয়ে গাড়ির নম্বর বলে দিতে পারে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্টের নম্বর বলে দিতে পারে। তাকে নিয়ে ম্যাজিসিয়ান সুনীল তরফদার ম্যাজিক দেখায়। ম্যাজিক দেখাতে ডাক পড়ল মাদ্রাজে। অসৎ উদ্দেশ্যে, অর্থাৎ নয়নকে অপহরণ করার জন্য সেখানে হাজির চার লোভী। আর এই লোভীদের হাত থেকে নয়নকে বাঁচাতে ফেলুদাও রওনা দিল মাদ্রাজে।
Satyajit Ray (Bengali: সত্যজিৎ রায়) was an Indian filmmaker and author of Bengali fiction and regarded as one of the greatest auteurs of world cinema. Ray was born in the city of Calcutta into a Bengali family prominent in the world of arts and literature. Starting his career as a commercial artist, Ray was drawn into independent filmmaking after meeting French filmmaker Jean Renoir and watching Vittorio De Sica's Italian neorealist 1948 film, Bicycle Thieves.
Ray directed 36 films, including feature films, documentaries and shorts. He was also a fiction writer, publisher, illustrator, calligrapher, graphic designer and film critic. He authored several short stories and novels, primarily aimed at children and adolescents.
Ray's first film, Pather Panchali (1955), won eleven international prizes, including Best Human Documentary at the Cannes Film Festival. This film, Aparajito (1956) and Apur Sansar (1959) form The Apu Trilogy. Ray did the scripting, casting, scoring, and editing, and designed his own credit titles and publicity material. Ray received many major awards in his career, including 32 Indian National Film Awards, a number of awards at international film festivals and award ceremonies, and an Academy Award in 1992. The Government of India honoured him with the Bharat Ratna in 1992.
Early Life and Background: Ray's grandfather, Upendrakishore Ray Chowdhury was a writer, illustrator, philosopher, publisher, amateur astronomer and a leader of the Brahmo Samaj, a religious and social movement in nineteenth century Bengal. Sukumar Ray, Upendrakishore's son and father of Satyajit, was a pioneering Bengali author and poet of nonsense rhyme and children's literature, an illustrator and a critic. Ray was born to Sukumar and Suprabha Ray in Calcutta.
Ray completed his B.A. (Hons.) in Economics at Presidency College of the University of Calcutta, though his interest was always in Fine Arts. In 1940, he went to study in Santiniketan where Ray came to appreciate Oriental Art. In 1949, Ray married Bijoya Das and the couple had a son, Sandip ray, who is now a famous film director.
Literary Works: Ray created two of the most famous fictional characters ever in Bengali children's literature—Feluda, a sleuth in Holmesian tradition, and Professor Shonku, a genius scientist. Ray also wrote many short stories mostly centered on Macabre, Thriller and Paranormal which were published as collections of 12 stories. Ray wrote an autobiography about his childhood years, Jakhan Choto Chilam (1982). He also wrote essays on film, published as the collections: Our Films, Their Films (1976), Bishoy Chalachchitra (1976), and Ekei Bole Shooting (1979).
Awards, Honors and Recognitions: Ray received many awards, including 32 National Film Awards by the Government of India. At the Moscow Film Festival in 1979, he was awarded for the contribution to cinema. At the Berlin Film Festival, he was one of only three to win the Silver Bear for Best Director more than once and holds the record for the most Golden Bear nominations, with seven. At the Venice Film Festival, he won a Golden Lion for Aparajito(1956), and awarded the Golden Lion Honorary Award in 1982. In 1992 he was posthumously awarded the Akira Kurosawa Award for Lifetime Achievement in Directing at the San Francisco International Film Festival.
বাবু জ্যেঠুর অস্কার বিজয়ী 'নয়ন রহস্য' দেখার তালে গল্পটাও একবার ঝালিয়ে নেওয়া গেলো। সচরাচর মে মাসে (অ্যাট লিস্ট) একটা করে গল্প রিভিজিট করি। এবারেও তাই করতাম। তবে, এটিকে ঘাটানোর পরিকল্পনা একেবারেই ছিল না। শেষদিকের লেখা হওয়ার দরুণ, গল্পে দুর্বলতা প্রচুর। ছোটবেলায় ওই একবারই পড়েছিলাম। ভালো লাগেনি একদম। ফেলু মিত্তিরের দুনিয়ায় অমন জাদু বাস্তবতার প্রক্ষেপণ, ঠিক মেনে নিতে পারিনি তখন।
তবে মজার ব্যাপার, এই এতদিন বাদে আবার করে পুরোটা পড়তে খুব একটা খারাপ লাগলো না আর। ক্রিটিকালি ভেবে দেখলে, জিনিসটা দুর্বল ঠিকই...তবে দিনশেষে, সেই তো সন্ধ্যাশশী বন্ধু! কাছের মানুষ। আত্মার আত্মীয়। তিনের কমে তারা দেবো, সেই সাহস আমার নেই। ক্ষমা করবেন বাপ।
সিনেমাটা দেখে এসে অবশ্য অনলাইনে রিভিউ পড়তে বসি। সেখানে এক জনৈক বাঙালি বালকের একটি চমৎকার প্রতিক্রিয়া খুঁজে পাই। আর্কিন (ইউজারনেম) নামক সেই আধা-মার্কিন পোলা, সবিস্ময়ে লিখেছে যে 'never thought id witness feluda lose his cool' (ভার্বাটিম অনুরূপ). তার প্রতি বলতে ইচ্ছে হয়, গল্পখানা একবার পড়ে দেখলেই, you probably would have witnessed it all...
কারণ তোপসের জবানীতে, 'ফেলুদা সমানে দাঁতে দাঁত চেপে হিন্দি, ইংরিজি ও বাংলায় তরফদারের উদ্দেশ্যে গালি দিয়ে চলেছে' বা 'ফেলুদাকে এত রাগতে আমি অনেকদিন দেখিনি'র মধ্যেই ফেলুদার মেজাজ হারানোর সমস্ত রহস্য লুক্কায়িত। সবটাই সত্যজিতের দান। বাবু জ্যেঠু নিজের মাথা খাটিয়ে সিনেমায় ক্যারেক্টার মোমেন্টস আমদানি করবেন, তেমন 'আচ্ছে দিন' আজও আসেনি। আদৌ কোনোদিনও আসবে কি না, সেই নিয়ে সন্দেহ বিস্তর।
অনেকদিন আগে যখন এই বইটা প্রথম পড়ি, ভালো লেগেছিলো না। কাহিনি কিছুই মনে ছিলো না দেখলাম আবার পড়তে গিয়ে, কাজেই কেন যে তখন ভালো লাগেনি, তা বোঝার চেষ্টা করছি...
একটা কারণ যেটা মনে হচ্ছে, এই বইতে ফেলুদা অনেক রূঢ়; ছোটবেলার ফেলুদায় তোপসে ছোট, ফেলুদা অনেক বেশি অ্যাকশন নির্ভর, আর নম্র, শান্ত; 'নয়ন রহস্য'-এর ফেলুদা ভারিক্কী বেশি, রগড় করছে লালমোহনবাবুর সাথে, তোপসে আর ম্যাজিশিয়ানকে ধমকাচ্ছে, কেমন যেন স্কুলে ছোটোবেলার ফেলুদা থেকে কলেজে পড়া 'নয়ন রহস্যের' ফেলুদা আলাদা!
এটা ছাড়া আর কারণ পেলাম না তেমন। আরেকটা হতে পারে নয়নের অলৌকিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাহীন শক্তি। তা 'সোনার কেল্লা'-তেও কিন্তু জাতিস্মর বালক ছিলো, সত্যজিৎ এমন চরিত্র অনেক এনেছেন, এমনকি প্রফেসর শঙ্কুর দু'একটা গল্পেও ভবিষ্যৎ দেখতে পাওয়া নকুড়বাবু (?) ছিলেন।
জটায়ুও ভিন্ন এ বইতে, ফেলুদার সাথে ঘুরে ঘুরে যেন আরও পোক্ত, ওদিকে এই বইতে সম্ভবত সবথেকে বেশি ইঞ্জিরি বলিয়েছেন সত্যজিৎ তাকে দিয়ে।
এতদিন পরে পড়ে, ভুলে যাওয়া ফেলুদা পড়তে ভালো লাগলো। রহস্য ধরতে পারিনি, জমাটি ছিলো। মাদ্রাজ যাবার ইচ্ছাও হলো। ফেলুদা শঙ্কু এখন আবার রিভিশন দিতে গিয়ে ঘোরার লিস্টটা ঝালাই হচ্ছে, তিন গোয়েন্দা আর সত্যজিৎ রায় থেকেই তো বেড়ানোর নেশা ঢুকেছে ছোটবেলায়।
বুড়ো বয়সে এসে আবার পড়া বইতে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করে ভালো লাগলো। প্রৌঢ় হলে আবার পড়ে দেখতে হবে ফেলুদার পরিবর্তনের মতো আর কী কী চোখে পড়ে নতুন করে!
নয়ন রহস্য আবার ঝালাই করার কারণ আর কিছুই না। মহাবলীপুরম। প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত এর মহাবলীপুরম পড়ছিলাম। তো ভাবলাম ফেলুদা কী বলেছিল মহাবলীপুরম এর ভাস্কর্যগুলো নিয়ে একবার পড়ে নেই। ব্যস, পড়ে নিলাম।
ফেলুদা লিখতে লিখতে সত্যজিৎ রায় কি ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন? পাঠকের ক্রমাগত চাপে নতুন ফেলুদা লেখা কি ক্রমশ দুরুহ হয়ে পড়ছিল? এর কিছু ব্যাখ্যা এই কাহিনীর শুরুর দিকে আছে। গোটা উপন্যাসটি পড়তে গিয়েও পদে পদে তার ছাপ টের পাওয়া যায়। এখানে ফেলুদার ভূমিকা প্রবল নয়, মুভমেন্ট কম, অ্যাকশন দায়সারা গোছের। এই উপন্যাসের সত্তর/আশি বছর আগের বাংলা ভাষার গোয়েন্দাদের মতো তার আচরণ। অথচ 'ফেলুদা' বাংলা ভাষার গোয়েন্দাদের যুগটাই পালটে দিয়েছিল। কাহিনীতে যতগুলো চরিত্র আনা হয়েছিল তাতে বেশ জটিল একটা প্লট তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু কী কারণে যেন জোরজার করে হুটহাট এক একটা চরিত্রের অন্ত করে দেয়া হলো। কাহিনীর মূল চরিত্র 'নয়ন' ওরফে 'জ্যোতিষ্ক'র ব্যাখ্যাতীত ক্ষমতাটি আপত্তিকর, অথচ এটিকে ঘিরেই গল্পটা নির্মিত হয়েছে। ব্যাখ্যাতীত কারণে সত্যজিত রায়ের কিশোর উপন্যাসগুলো যেমন প্রবলভাবে নারীচরিত্রবিবর্জিত, ঠিক তেমন ব্যাখ্যাতীত কারণে তাঁর কিছু কিছু লেখায় প্রতিক্রিয়াশীল কিছু বিষয় বিদ্যমান। তিনি জীবিত থাকতে এই বিষয়গুলো নিয়ে কেউ প্রশ্ন করেননি কেন কে জানে! বাঙালী মননের গভীরে থাকা 'বুতপরস্তি' হয়তো এমন প্রশ্ন উত্থাপন ঠেকিয়ে দিয়েছে।
পুনশ্চঃ বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতা তৌকির আহমেদ এই উপন্যাসটির চিত্রায়ণ করেছেন। তার কিয়দংশ দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছে। ইতিপূর্বে একই নির্মাতার 'দারুচিনি দ্বীপ' দেখার দুর্ভাগ্যও হয়েছিল। সেখানে যেমন মনে হয়েছিল নির্মাতা তৌকির আহমেদ ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের মূল কাহিনীর স্পিরিটটি অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন; এখানে তেমন মনে হয়েছে নির্মাতা তৌকির আহমেদ এবং তার অভিনেতাকূল 'ফেলুদা'র কালচার-স্পিরিট-ল্যাঙ্গুয়েজ (সকল প্রকার)-ট্রাডিশন ইত্যাদির কয়েক আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করেছেন। কাহিনীকে জোরজার করে বাংলাদেশের পটভূমিতে ফিট করাতে গিয়ে 'শিব গড়তে বাঁদর' হয়েছে। এই জীবনে যত প্রকার ফেলুদার চিত্রায়ণ দেখেছি তাতে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বনিকৃষ্ট।
গল্পের শুরুটা এমনিতেই এমন একটা রহস্য দিয়ে ঘেরা, যে রহস্যের কোনো কিনারা ফেলুদা করতে পারেনি। ফেলুদা যতোটা জাগতিক সমস্যা তার হাতে ছিলো তা অবশ্য করেছে। ফেলুদা পড়লে সবচেয়ে বেশি গোয়েন্দাকাহিনি না, আমার মন পড়ে ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক জায়গাগুলোর বর্ণনায়। আর তো বিচিত্র সব শখের লোকগুলোর কথা! সত্যজিৎ রায় লোকটি যে খুব জানতেন, ফেলুদায় সেটা স্পষ্ট।
আগের কিছু গল্পে ফেলুদাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সত্যজিৎও সেটা খেয়াল করলো আর ফেলুদাকে অন্যভাবে আবিষ্কার করা গেলো এখানে।
এই গল্পে গোয়েন্দাগিরির চেয়ে এডভ্যাঞ্চারের স্বাদ বেশি পাওয়া যায়। গল্পে নয়ন কীভাবে না দেখেই সংখ্যা মনে করতে পারে সেই রহস্যের সমাধান নাই, এই ব্যাপারটা ভালো লাগে নাই। গল্পের মধ্যে অতিপ্রাকৃত ব্যাপার চলে এসেছে।
ছোটবেলায় অঙ্ক ভীতি বোধহয় অনেকেরই ছিলো। অনেকের কথা কেনো বলি অঙ্ক আমারও খুব প্রিয় কোনো সাবজেক্ট নয়। সবসময় নার্ভাস হয়ে এক নিয়মের জায়গায় আরেক নিয়মে অঙ্ক করে ফেলেছি বহুবার। অথচ কোন এক পুঁচকে ছেলে গড়গড় করে অঙ্ক নিয়ে দারুণ সব অজানা কথা বলে ফেলছে কী আশ্চর্য! কারো মাধ্যমিক পরীক্ষার নাম্বার বলছে, আবার কারো গাড়ির নাম্বার বলে দিচ্ছে, ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার সেটাও বলে দিচ্ছে।
এই ছেলের ক্ষমতা দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ হবার মতো অবস্থা। গড়গড় করে ছেলেটি যা যা বলছে একদম সঠিক এবং নির্ভুল। কিন্তু এটা কী করে সম্ভব! এইটুকু ছেলের কী আশ্চর্য ক্ষমতা আছে যে এভাবে অঙ্কের খেলায় সে মাত দিয়ে দিচ্ছে সব!
ফেলুদা কিছুদিন থেকে ঝিমিয়ে পড়েছেন। তপশে আর লালমোহন বাবু দুজনের কেউই বুঝতে পারছে না আসল কারণ। তপশে কিছু ভয়ে জিজ্ঞেস না করলেও লালমোহন বাবু কিন্তু অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করেই ফেললেন যে মশাই ব্যাপারটা কী। ফেলুদা অবশেষে নিরবতা ভেঙে বলেই ফেললেন যে তাঁদের জমজমাট কোনো কেস নেই। তপেশের লেখার তেমন জৌলুস নেই তাই পাঠক আগ্ৰহ হারিয়েছে। অনেকেই চিঠি লিখে অভিযোগ জানাচ্ছে, নানান মন্তব্য করছে যে থ্রি মাস্কেটিয়ার্স এখন আগের মতো নেই। জমাটি গল্প চাই আগের ধাঁচের।
তখন তপেশ ফেলুদার থেকে অনুমতি নিয়ে এক পুরোনো জমাটি কেসের বিবরণ লিখতে শুরু করে। যেখানে কেসটা খুনখারাবি এসব দিয়ে ভর্তি না হলেও এখানে বেশ চমকপ্রদ ব্যাপার আছে। এবং আসল কথা হচ্ছে এই কেসে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যাকে নিয়ে কাহিনী এগিয়েছে সেই চরিত্রটি একটা ছোট বাচ্চার। ওই যে যার উল্লেখ শুরুতেই করা হলো। তাঁকে ঘিরে রহস্য। "নয়ন রহস্য" নিয়ে তপেশের লেখা এগিয়ে চলে। বাচ্চা ছেলেটার নাম নয়ন। কিন্তু যার জন্য সে কাজ করে সে ছেলেটার নাম দিয়েছে জ্যোতিস্ক।
//কাহিনী সংক্ষেপঃ
ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি যেমন চলে তেমনি ম্যাজিকেও বেশ ভালো আগ্ৰহ আছে। ম্যাজিক নিয়ে চর্চাও করেছে মোটামুটি। তো এইজন্যই ওর কাছে সবসময় নবীন ম্যাজিশিয়ানদের মাঝে মাঝে শোয়ের নিমন্ত্রণ আসতো। একদিন তেমনি এক নবীন ম্যাজিশিয়ান নিজেই বাড়িতে এসে ফেলুদাকে নিমন্ত্রণ করে গেলো নিজের শোয়ের জন্য। অবশ্য ফেলুদার একার নয় বাকিদেরও নিমন্ত্রন।
ঠিক সন্ধ্যা ছয়টায় শো শুরু হবার পরে যথারীতি ম্যাজিক শুরু হলো। ম্যাজিশিয়ানের নাম সুনীল তরফদার। এবং বেশ ভালোই ম্যাজিক দেখাচ্ছেন। হিপনোটিজম জানেন এবং ফেলুদার উপরে তা প্রয়োগ করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হলেন। কারণ ফেলুদাকে কিছুতেই সম্মোহিত করা গেলো না। কিন্তু সবশেষে তিনি যে আইটেম উপস্থাপন করলেন এটা দেখেই আসলে সকলের চক্ষু চড়কগাছ।
জ্যোতিস্ক নামের এক ছোট্ট ছেলে এলো স্টেজে। সুনীল তরফদার দাবি করলেন এই ছেলে নাকি গনিতের যেকোনো বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। উপস্থিত একজন প্রশ্ন করলেন তাঁর গাড়ির নাম্বার, আরেক অল্প বয়সী ছেলেকে দাঁড় করিয়ে সুনীল প্রশ্ন করলো সে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে কী না এবং জ্যোতিস্ক ঠিকঠাক তাঁর এক বিষয়ের নাম্বার বলে দিলো।
শো শেষে সুনীলের সাথে ফেলুদার বেশ আলাপ হলো এবং কথায় কথায় জ্যোতিস্কের প্রসঙ্গ এলো। তখন সুনীল জানালো ছেলেটির আসল নাম নয়ন। বাবা খুব গরীব। ছেলের এমন আশ্চর্য ক্ষমতার জন্য একদিন সুনীলের কাছে নিয়ে আসে কিছু বাড়তি উপার্জনের আশায়। এবং সুনীল ছেলেটির আশ্চর্য ক্ষমতা দেখে ওঁর সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে নেয়। এবং অবশ্যই সেটা বেশ খরচার ব্যাপার। কিন্তু তবুও সুনীলের মনে আশা যখন সবাই জানতে পারবে নয়নের ক্ষমতার কথা তখন অনেক শো আসবে এবং খরচের জন্য ভাবতে হবে না।
ফেলুদা তখন সুনীলকে স্পন্সরদের বুদ্ধি দিলো। যে তাঁরা নয়নের পিছনে খরচ করবে এবং তাঁতে সুনীলের লাভ। এটা শুনে সুনীলের পছন্দ হয়। তিনজনের সাক্ষাৎকার ও নেয়া হয় কিন্তু কাউকেই মনে না ধরায় নয়নকে কারো কাছে দেয়া সম্ভব হলো না।
সুনীল এরপর দক্ষিণের শহরগুলোতে শো করার জন্য ডাক পেলো। এবং সুনীল ফেলুদা এবং বাকিদের ও তাঁর সাথে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলো। কারণ চারিদিকে শত্রুর তো অভাব নেই। সবাই নয়নের প্রতিভা দেখে নিজেদের সম্পত্তি হিসেবে দখল করতে চায়। কিন্তু সুনীলের তো সেই ইচ্ছে নেই কারণ দরকার ভরসা করার মতো কেউ।
ওখানে গিয়েও নয়নকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলতেই থাকে। ফেলুদারা একসাথে বেরিয়েছে তখন ওদের উপরে হঠাৎ অর্তকিত হামলা। এবং নয়নকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা। এরই মধ্যে খুন হয়ে গেলো একটা! এবং নয়নকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না!
কে খুন হলো? নয়নকে কী তবে ওই লোকেরাই তুলে নিয়ে গেছে যারা ওকে পেতে চাইছিল? কোথায় নিয়ে যেতে পারে? নয়নের এই অসাধারণ প্রতিভার পেছনে রহস্য আছে কী কোনো? জটিল সব ধাঁধা সামনে ফেলুদা। এবং নয়নকে খুঁজতে হবে। কোনোমতেই ওই ছোট ছেলেটার ক্ষতি চায় না ফেলুদা।
//পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
অনেকদিন ফেলুদা পড়া হয়নি বলে ফেলুদাকে নিয়েই এলাম। এবং বরাবরের মতই ফেলুদা আমাকে নিরাশ করেনি। নয়ন রহস্য আগেও পড়েছিলাম তবে কিছু বই বোধহয় পুনরাবৃত্তি হলে খারাপ লাগে না। ফেলুদা অনায়াসে সেই লিস্টে ঢুকে পড়তে পারে।
সত্যজিৎ রায়ের এতো এতো কীর্তির মাঝে সাহিত্যে অসাধারণ দক্ষতা ফুটে উঠেছে ফেলুদা সহ বাকি সাহিত্যকর্মে। ফেলুদা আমাদের কাছে বরাবর ভালোই লাগে।
এবং নয়ন রহস্যে চমৎকার লেগেছে নয়ন নামক ছেলেটির এই অসাধারণ প্রতিভার উল্লেখ করে শুরুতেই মনের মধ্যে একটা কৌতুহল চলে আসে যেটা শেষ পর্যন্ত রেশ থাকবে। এবং এই রহস্য উন্মোচন করতে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে বইয়ের সাথে। এবং ফেলুদার সেই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সমাধান পদ্ধতি, লালমোহন বাবুর সংলাপ সবমিলিয়ে বেশ ভালো লেগেছে।
বইয়ের নামঃ "নয়ন রহস্য" লেখকঃ সত্যজিৎ রায় ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৫/৫
1. **EVINCED** 2. **LEVERAGED** 3. **SWORD OF DAMOCLES** 4. **SET OFF** 5. **RESPONSIBILITY OF** 6. **NECESSITATE** 7. **ENSURE** 8. **SAFE** 9. **SLEPT ON THE MATTER** 10. **HAPPENS TO BE** 11. **IN MADRAS** 12. **DANGLING** 13. **SUBSTANTIATED** 14. **MISAPPROPRIATED** 15. **WHO LOST A FORTUNE** 16. **HAPPENS TO BE** 17. **PULLED THE WOOL OVER YOUR EYES** 18. **PIERCED** 19. **ENQUIRY** 20. **PASS** 21. **REVEALS** 22. **INSTANCE** 23. **COLD PIECE OF WORK** Feluda sees Nayan, a gifted young boy, at a magic show by Sunil Tarafder. Nayan EVINCED the power to answer any question with numbers. Nayan has an extraordinary ability; he can look at someone’s face and tell everything related to number like car number or bank account number. Magician Sunil Tarafder performs magic shows with him and LEVERAGED Nayan's power to become popular. They were even invited to perform in Madras. Four greedy individuals, with the intention of kidnapping Nayan, also arrived there. Nayan is under the SWORD OF DAMOCLES. To save Nayan from these greedy people, Feluda also SET OFF for Madras. Feluda took the RESPONSIBILITY OF Nayan to NECESSITATE/ENSURE his protection. Hingorani hires Feluda to protect him from Tewari, who accuses Hingorani of stealing from his SAFE and giving threats. Feluda SLEPT ON THE MATTER and accepted Hingorani's request after learning that Hingorani was also HAPPENS TO BE IN MADRAS. Many influential people want Nayan with them. Among them is Tarak, a rich old man who tries to abduct Nayan through his henchman Gwangi, a 7-foot giant from Africa. Topshe, Jatayu, and Nayan are DANGLING in Gwangi's arms. Tarafder saved them through hypnotism from Gwangi. Someone from a detective agency, employed by Mr. Tewari, comes to Feluda and says it is Hingorani who stole from Tewari. He SUBSTANTIATED his statement with evidence. He also MISAPPROPRIATED money in their business. Hingorani is a gambler WHO LOST A FORTUNE in gambling, as evidenced by his bank details. Also, a ring has been found which HAPPENS TO BE Hingorani's. Hingorani PULLED THE WOOL OVER YOUR EYES by hiring you while he is the one at fault. He threatens to take unlawful actions if he does not receive his money peacefully. Nayan is nowhere to be found. Apparently, Shankar, the manager of Tarafder, brought him to a bookshop, bought him a book, and then lost him. Lalmohan and Topshe go to Hingorani's room to inform him about the incident, but Hingorani is found dead in his room, with a knife PIERCED in his chest. When Feluda asks both of them to leave him alone for half an hour, Lalmohan and Topshe go to the bookshop from where Nayan was lost. After an ENQUIRY with the receptionist, they find that there was no man with a child in the afternoon. They run to Feluda to PASS this information; however, Feluda already knows this and REVEALS that Tarafder is the one who killed Hingorani. At first, the prime suspect was the detective, but Hingorani was advised not to open the door to any stranger. Additionally, there was no sign of a struggle or INSTANCE of a break-in. Hence, it must be someone whom Hingorani knew. Tarafder, a COLD PIECE OF WORK, hypnotized Hingorani, killed him, and stole all the money he had. The motive was to gain complete control over Nayan. Nayan is found locked in the bathroom of Tarafder's manager. Nayan ends up losing his power.
This entire review has been hidden because of spoilers.
বড়দিনে ফেলুদার একটি আগে-না-পড়া কাহিনি পড়ে বড়দিন sorted করা গেল। এটির সিনেমা দেখার দুঃসাহস দেখাইনি বছরের গোড়াতে। এটির পর আরেকটি ছোট গল্প পড়া বাকি। তারপরেই ফেলু সিরিজ শেষ। দুঃখের বিষয় বটে!
নয়ন নামক একটি বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী বাচ্চা ছেলেকে নিয়ে এইবারের কারবার। নয়ন সংখ্যায় উত্তর হবে এমন যে কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে সক্ষম। তার এই ম্যাজিকাল ট্যালেন্টের জোরে সে উঠে আসে তরফদার নামক এক ম্যাজিশিয়ানের মঞ্চে। নয়নের বিশেষ ক্ষমতার প্রচার আগুনের মতোন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে ম্যাজিকের মঞ্চ থেকে। আবির্ভাব হয় একাধিক অসাধু ব্যক্তির। সবারই চাই নয়ন'কে। সবার নিজ নিজ স্বার্থ। এদের কবল থেকে নয়ন'কে রক্ষা করার জন্য ফেলু মিত্তিরের এবারের অভিযান। প্রথমাংশ কলকাতায়, দ্বিতীয়াংশ মাদ্রাজে।
সত্যজিতের কাহিনিতে মাঝেমধ্যেই রিপিটেটিভ একটা ব্যাপার আসে। যেমন, শঙ্কুর অনেক কাহিনি জোড়া (pair) আছে যেগুলির টপিক একই। পরলোকচর্চা-ভূত, কর্ভাস-ম্যাকাও ইত্যাদি। তেমনই শঙ্কুকে মঞ্চে ডেকে হিপনোটাইজ করতে না পারার রিপিটেশন এই গল্পে ফেলুদার ক্ষেত্রে হয়েছে। তবে শঙ্কু আর ফেলুর দুনিয়া আলাদা। ফেলুর দুনিয়াতে অলৌকিক জিনিস খুব একটা মানানসই নয়। সেখানে এই পুরো কাহিনিটিরই বুনিয়াদ নয়নের অলৌকিক ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। নয়নকে অপহরণ এই কাহিনির মূল অপরাধ তা বলাই বাহুল্য। তবুও শেষ অংশটি নয়ন গায়েব কীভাবে হল তার একটা ব্যাখ্যা পাওয়া গেলেও, কারণটা ভেঙে বলা হল না।
নিজের পদবীর চরিত্র দেখলে বেশ আমোদ লাগে। তাও ফেলুদার গল্পে! 'বসাক ঘুঘু লোক।' - ফেলুদার মুখে নিজের এমন পরোক্ষ তারিফ শুনে চার তারা দিলাম। নাহলে তিন তারাই ভাগ্যে ছিল। নয়ন জানে নাকি?
ফেলু মিত্তিরের মামলা আর তেমন জমাটি হচ্ছে না, জটায়ু আর তেমন হাসাতে পারছেন না, তপেশের বিবরণ বিবর্ণ হয়ে আসছে...
এগুলো কিন্তু মোটেই আমার কথা না, এগুলো ফেলুদাকে চিঠি মারফৎ জানিয়েছেন পাঠক। তা নিয়ে ফেলুদার মন ভারি খারাপ। তবে পাঠকদের এই দাবির সত্যতা শেষ চার-পাঁচটা গল্পে আমিও অনুভব করেছি। এবং এ গল্পটাও তার বাইরে না। তবে কি সত্যি অকাল বার্ধক্যে উপনিত হলেন থ্রি মাস্কোটিয়ার্স। ফেলুদা বাংলা গোয়েন্দা কাহিনীর স্ট্যান্ডার্ড এত উঁচুতে সেট করে দিয়েছে যে তার শেষ দিকের গল্পগুলোই সেই স্ট্যান্ডার্ডে বেমানান মনে হয়। প্রথম দিককার ফেলুদা আর এই ফেলুদার মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। এই ফেলুদা অনেক রুক্ষ, লালমোহন বাবুর সাথে রগর করতে ভালোবাসেন, তোপশে কে সিরিয়াসলি ধমকাতেও লক্ষ্য করলাম কয়েকবার যা আগে ছিল না। তবে ফেলুদার এপরিবর্তন গুলো আমার যে অপছন্দ হয়েছে তা নয়, কিন্তু সমস্যা হলো এখন ফেলুদা অনেক বেশি নিষ্ক্রিয়, একশন দায়সারা। হুটহাট একেকটা চরিত্র কে সরিয়ে দেওয়ার পদ্ধতিটাও ফেলুদার সাথে বেমানান। রহস্য বুঝতে যেন ফেলুদার একটু বেশীই সময় লাগছে, অনেকসময় তো পাঠকের চেয়েও বেশী।
তবে গল্পটা যদি ফেলুদার না হত তাহলে এটাকে দিব্যি ভালো বলা যেত। কিন্তু ফেলুদার থেকে তো আমরা শুধুমাত্র 'ভালো' আশা করি না। তবে আর একটা গল্প বাকি আছে ফেলুদার, এইবেলা তাই আর অভিযোগ করতে চাই না। ফেলুদা বাংলা গোয়েন্দাকে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছে, সেটা সত্যজিৎ ছাড়া আর কেউ পারত বলে মনে হয় না আমার। গত দুমাস ধরে ফেলুদা পড়ছি, আর একটা পড়লেই শেষ এটা ভেবেই খারাপ লাগছে।
তরফদার ম্যাজিকের শো দেখায়। তার কাছে এক বালক নাম নয়ন আছে যে উত্তর দিতে পারে যেকোনো সংখ্যা রিলেটেড প্রশ্নের। তাকে প্রদর্শন করার পর থেকেই অনেকেই তাকে হাত করতে চাচ্ছিলো। তাই তাকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য ফেলুদারা সাথে ছিলো। এদিকে তেওয়ারি নয়নের কাছে এসে জেনেছে যে তার সিন্দুক ফাঁকা। আর সেই টাকা তেওয়ারির পার্টনার হিঙ্গোয়ানি চুরি করেছে বলে তার ধারণা। এদিকে হিঙ্গোয়ানি থেকেও কল এসেছে ফেলুদার কাছে। হিঙ্গোয়ানিও প্রটেকশন চায় ফেলুদার কাছে। ২ জনকে প্রটেকশন দেয় ফেলুদা একসাথেই। স্থান মাদ্রাজ। সেখানেই শো হচ্ছে তরফদারে এর। এদিকে নয়নকে হাতছাড়া করে ফেলে সেখানে, হিঙ্গোয়ানি খুন হয়। তদন্তে বের হয় যে তরফদার হিঙ্গোয়ানির টাকা মেরে দেয়ার জন্য খুন করে ফেলে, আর নয়নকেও সরিয়ে ফেলে। গল্পের শেষ হয় নয়ন এর ক্ষমতা শেষ হওয়ার মাধ্যমে।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Read the English translation 'The Mystery of Nayan'.
The story, a little long for a Feluda story, was good though a lot of characters made it unnecessarily complex.
It's a story of a magician trying something new to make him famous. He employs a boy named Nayan with an exceptional gift with numbers. Four different people wanting to use Nayan's gift for their personal gains approach the magician and the mystery begins.
As usual, Satyajit Ray's Feluda is a timeless classic. Unravel the mystery as Feluda goes to Madras to solve a mystery that may not be as supernatural as it seems.
Feluda was originally written by Satyajit Ray for the children’s magazine ‘Sandesh’. The popularity of the series was such that Ray went on to include a few adult themes in the later stories when he realized that even adults were enjoying the series. I actually read Feluda before Agatha Christie and as such Feluda was my introduction to detective fiction. The best part of the stories is the evergreen manner of Ray’s narrative. I remember reading ‘Baadhshahi Angti’ which was written in 1960s and when I visited Lucknow in 1990s, I could still recognize the places described in the book. The other thing that I loved about the series was that in every story we learned something new – be it about geometry or about telepathy. Absolutely and irrevocably in love with Feluda and his adventures – forever a fan.
কিছু জিনিস একদম ই ভালো লাগেনি। যেমন নয়নের অস্বাভাবিক ক্ষমতা, যার কোন ব্যখ্যা নেই। গোয়েন্দা উপন্যাসে সবকিছুর খাপে খাপে মিলে যাওয়াটা উচিত। আর টিপিকাল ফেলুদা, যার বুদ্ধির জোরে অনেক জটিল রহস্য সমাধান হয় সেই ফেলুদার অনুপুস্থিতি লক্ষ্যনীয়।খালি কাহিনী আর শেষে সমাধান, মাথা খাটানোর কোন বালাই নেই।
টিপিকাল গোয়েন্দা উপন্যাস, মোটেও সত্যজিত স্ট্যান্ডার্ড নয়
This entire review has been hidden because of spoilers.