কোনও এক চব্বিশে ডিসেম্বরের সকাল সাতটা থেকে বিকেল তিনটে অবধি এই কাহিনির সময়কাল। সমান্তরালভাবে অনেকগুলো গল্পধারা ‘ক্রিস-ক্রস’ উপন্যাসে প্রবাহিত। আছে ফোটোগ্রাফার আর্চি ও ইরার কথা, যাদের প্রেম এবার একটা সিদ্ধান্ত নিতে চায়। ওদিকে অফিসে আচমকা এক ক্রাইসিসের মুখোমুখি অহন ও উর্নি। ক্রাইসিস সামলাতে গিয়েই অহন ফিরে পায় আত্মবিশ্বাস, উর্নি আবার প্রবল উৎসাহে গুছিয়ে তুলতে চায় এলোমেলো জীবন। এই উপন্যাসে শিল্পী সাইমন রূপেন মণ্ডল ছবি এঁকে প্রতিপালন করে পঙ্গু বোনকে, লাং ক্যান্সারে আক্রান্ত মহেশ বুকে বয়ে নিয়ে বেড়ায় নিষিদ্ধ সম্পর্কের অপরাধবোধ। মডেলিং-এ নাম করতে চাওয়া মেহের, খলচরিত্র শতানিক বাসু, অটোচালক বোম— এই তিনটি চরিত্রও ‘ক্রিস-ক্রস’-এ তাদের গল্প বলে। শতানিক মেহেরের ক্ষতি করার আগেই দুর্ঘটনায় পড়ে, মেহের পৌঁছে যায় অহনের কাছে, এদিকে বোম কাটিয়ে ওঠে তার হীনম্মন্যতা। আর আছে বিস্ময়কর চরিত্র নেডু পাগলা, সে যেমন পৃথিবীকে উচিত শিক্ষা দিতে চায়, তেমনই কামনা করে মানুষের দ্বারাই যেন মানুষের উপকার হয়।
স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর জন্ম ১৯ জুন ১৯৭৬, কলকাতায়। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত। প্রথম ছোটগল্প ‘উনিশ কুড়ি’-র প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত। প্রথম ধারাবাহিক ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত। শৈলজানন্দ স্মৃতি পুরস্কার ২০১৪, এবিপি এবেলা অজেয় সম্মান ২০১৭, বর্ষালিপি সম্মান ২০১৮, এবিপি আনন্দ সেরা বাঙালি (সাহিত্য) ২০১৯, সানডে টাইমস লিটেরারি অ্যাওয়ার্ড ২০২২, সেন্ট জেভিয়ার্স দশভুজা বাঙালি ২০২৩, কবি কৃত্তিবাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩, উৎসব পুরস্কার ২০২৪, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড ২০২৪, আনন্দ পুরস্কার (উপন্যাস: '‘শূন্য পথের মল্লিকা') ২০২৫ ইত্যাদি পুরস্কারে সম্মানিত ।
কি অদ্ভুত একটা বই। বইটাতে একসাথে অনেকগুলো গল্প। না ভুল বললাম, একসাথে অনেকগুলো মানুষের গল্প। একটা চরিত্রের সাথে আরেকটা চরিত্রের কি সুন্দর মিল করিয়ে দিলেন লেখক। এত ভালো লাগলো বইটা পড়ে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে শেষ দিকে সাইমন, ইরা আর আর্চির জন্যে। সাইমন আর তার বোনের জন্যে অনেক খারাপ লাগছিলো, কিন্তু লেখক তার একটা হিল্লে করে দিলেন। ইরা আর আর্চির জন্যে চিন্তা হচ্ছিলো খুব, শেষ পর্যন্ত লেখক তাদেরও সুন্দর একটা সমাপ্তি দিলেন। কিন্তু তারপরেও কেন যেন মনে হচ্ছে বইটা যেন শেষ হলো না। লেখক শেষটায় কেন যে এত তাড়াহুড়ো করলেন, যার জন্যে নিজেকে এখন অতৃপ্ত আত্মার মত লাগছে।
পড়তে কষ্ট হইছে...দুনিয়ার চরিত্র দিয়া ভরতি বই...একটার সাথে আরেকটা পুরো খিচুড়ি অবস্থা। অনেকটা এরকম আপনার জীবন যাপন নিয়ে লেখক গল্প শুরু করেছেন গল্পে এক সকালে আপনি বারান্দায় দাঁড়িয়ে চা পান করছেন আর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছেন হঠাৎ কোথা থেকে একটা রোল করা পত্রিকা ধুপ করে আপনার চায়ের কাপে এসে লাগলো চা ছিটকে আপনার পাঞ্জাবিতে পড়লো আপনি বাইরে তাকিয়ে বললেন "কোন শালারে" আর সাথে সাথে দেখলেন একটা সাইকেলে চড়ে পত্রিকাওয়ালা হাসতে হাসতে দ্রুত চলে যাচ্ছে ... এইখান থেকে শুরু হলো পত্রিকাওয়ালার গল্প ...মাঝখানে অনেকবার উপন্যাসের চরিত্র আউলায় গেছে । তাও লেখক মিলাইছে ভালোই।এই খিচুড়ি উপন্যাসের ফিনিশিং টা ছিলো এমন ''যে যেখানে আছে , সবাই সুখে থাকুক , আনন্দে থাকুক , ভাল থাকুক । ভগবান নয় মানুষই মানুষের ভালো করুক। '' -----বেশতো
ব্যক্তিগত রেটিং- 5 Star স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর মাস্টার পিস উপন্যাস! ১৮৫ পৃষ্ঠার উপন্যাসটি টেনে রেখেছিল জাদুকরি মুগ্ধতায়। কোন এক চব্বিশ ডিসেম্বরের সকাল সাতটায় কাহিনী শুরু হয়ে বিকেল তিনটায় শেষ। এরই মাঝে কাহিনী ধারণ করেছে আরও অনেক জনের কাহিনী। প্রায়ই বাসে বসে বসে মানুষ দেখি আর ভাবি এদের প্রতিজনেরই একটি করে গল্প আছে। কারও হয়তো চাকরি হল, কারো চাকরি চলে গেল। কেউ যাচ্ছে প্রিয় মানুষের সাথে দেখা করতে, কেউবা করে এল ব্রেকআপ। ঠিক এরকম ছোট ছোট গল্প বুনে লেখক তৈরি করেছেন চমৎকার কথামালা! পড়া শুরু করতেই এত্ত এত্ত এলোমেলো কাহিনী মাথা জট পাকিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু যতই সামনে এগুচ্ছিলাম দেখলাম পাজলগুলো ঠিক ঠাক বসে যাচ্ছে। শেষ করার পর অন্যরকম একটা অনুভূতি হয়েছিল। একদম পারফেক্ট হ্যাপী এন্ডিং! তবে, চাঁদের কলঙ্কের মত রয়ে গিয়েছিল নেড়ু পাগলার করুণ অবস্থার সুরাহা না হওয়াটা। পরে অবশ্য মনে হয়েছে নাহ, ঠিকই আছে। এটুকু না থাকলেএকটু বেশিই নাটুকেপনা হয়ে যেত। নেড়ু পাগলার শেষ কথাটা মনে গেঁথে থাকবে , "যে যেখানে আছে, সবাই সুখে থাকুক, আনন্দে থাকুক, ভাল থাকুক। ভগবান নয়, মানুষই মানুষের ভালো করুক।"
This was the first book I read by this author and was bowled over. The language, the flow, the characters, the reality and Kolkata: it's all effortless and simply mesmerizing. If you like modern Bengali literature or want to explore, please read this book...
It's my first book by this author. As the name suggest here in the book you will find so much connections ! This book actually reflects our universe , how we. Are connected to each other though we don't know.
অসাধারণ সুন্দর একটা বই পড়লাম..✨ প্রত্যেকটা চরিত্র অদ্ভুত ভাবে প্রত্যেকের সাথে মিলে গেছে. আমাদের আশেপাশে থাকা প্রত্যেকটা মানুষের কিছু না কিছু গল্প আছে, যা এই উপন্যাসটি পড়লে সত্যিই বোঝা যাবে. কারুর সংগ্রাম, কারুর শেষ চেষ্টা, কারুর ভালোবাসা বাঁচানোর তাগিদ প্রত্যেকে কিছু না কিছু বয়ে নিয়ে চলেছে সাথে করে. শেষে যার কথা না বললেই নয়, *নেরুপাগলা* অদ্ভুত এক চরিত্র. সমাজ পাগলকে পাগল বললেও আসলে তারাই ঠিক ভাবে মানুষ চেনে. ভীষণ ভালো একটি চরিত্র. বইটির যত গভীরে যাবে আকর্ষণ তত বাড়তে থাকবে. স্বরণজিত বাবুর বই মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠা গল্প, মনে হবে আমি দাঁড়িয়ে পুরো গল্পের ছবিটি দেখছি. ভীষণ ভালো লাগলো. তবে বইটি শেষ এত তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো, যেনো না হলেই বেশি ভালো হতো.
Another awesome piece from Smaranjit Chakraborty. The writing style; one need to think hard to plot and tell the story in that "criss-cross"ed way. Loved it, Amazing...
ঘুরেফিরে আমাদের জীবনটা তো একটা গোলকধাঁধাই। আমার জীবনের ঘটনার সাথে কোন না কোনভাবে আপনারও যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যাবে, প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ!
পশ্চিম বাংলার লেখক স্মরনজিৎ চক্রবর্তীর লেখা এবারই প্রথম পড়লাম। লেখার ধরণটা বেশ লাগল। ফিকশনই লিখেছেন কিন্তু তার মধ্যেও একটা বেশ থ্রিলিং ভাব ছিল। অসংখ্য চরিত্র কিন্তু ঘটনা মাত্র একদিনের। তাই চরিত্রগুলার জন্য প্রতিটা মিনিট ছিল অমূল্য
স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর এই একটা গুণ ঝরঝরে লেখা। বাহুল্য না কোন কিছু না.. তরতরিয়ে এক বসায় পড়ে শেষ করে ফেলার মতো। একটা ব্যাপার যেটা মজা লাগে, উনার বইয়ে যতোগুলো চরিত্র থাকে সবগুলো চরিত্রই কোন না কোনভাবে কানেক্টেড। একটাই ঘটনা, দুই তিনটা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা যায়।
আমার প্রিয় একজন লেখক । অত্যন্ত প্রিয় একটি বই। গল্পের বিষয় বস্তু একবেলার মধ্যে ঘরা ফেরা করে এবং তার সাথে জড়িয়ে কিছু চরিত্রের জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কিভাবে একজন চরিত্রের কিছু কাজ আরেকজনের জীবনে প্রভাব ফেলে এবং কীভাবে একজন আরেকজনের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত তাই এর মূল বিষয়। গল্প শেষ হয়েও শেষ হয় না। অনেক প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা থেকে যায়। অনেকটা জীবনের মতোই। সব কিছুর উত্তর পাওয়া যায় না।
বি:দ্র: সম্প্রতি যারা এই গল্প আধারিত চলচিত্র টি দেখে বইটির বিচার করবেন তাদের জন্য বলছি বইটি পরে দেখুন। সিনেমা টি বইটির শ্রাদ্ধ করে ছেড়েছে।
খুব, খুব প্রিয় একটা বই। আনন্দলোকের পুজো সংখ্যায় পড়েছিলাম, এখনও মাঝে মাঝে পড়ি। ঐ যে বলে না, I'm a sucker for happy ending- এটা আমার জন্যে অন্তত আসলেই সত্য। অনেকগুলো কাহিনী বেরিয়ে একে অপরকে জড়িয়ে আবার একসাথেই শেষ হয়, আর রেখে যায় মনে ভালোলাগার একটা অনুভূতি।
Abrupt ending!!দ্বিতীয়বার পড়ে আরো বেটার লেগেছে।অনেক ভাল detailing...commercial movie হওয়ার জন্য perfect masala রয়েছে।Hope birsha dasgupta does justice.Looking forward to...
কেমন জানি বইটা !! ইন্ডিয়ান কালচার তুলে ধরেছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লেখাগুলো খুব এমেচার লেভেলের মনে হয়েছে। একই সময়ে কয়েকটি মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে বইটা সাজানো।