Jump to ratings and reviews
Rate this book

আমাদের সেই শহরে

Rate this book
‘আমাদের সেই শহরে’ উপন্যাসে বেঙ্গালুরু থেকে কিছুটা দূরে শ্রীপুরম ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যায় সরসিজ। ওর রুমমেট বালার্ক। এক সেমেস্টার পরে অন্য কলেজে চলে যাবে বালার্ক, তবু সে একাই রুখে দাঁড়ায় সিনিয়ারদের র‌্যাগিং-এর বিরুদ্ধে বা বিশেষ করে বললে রণবিজয় কওশলের বিরুদ্ধে। এরই মাঝে শ্রীবিদ্যা পছন্দ করে ফেলে বালার্ককে। দামাল তোড়িকে পছন্দ হলেও সিনিয়ারদের ভয়ে তা স্বীকার করতে পারে না সরসিজ। আবির মজুমদার সিনিয়ার হয়েও আগলে রাখে সরসিজকে। ক্রমশ যা শুরু হয় নিছক র‌্যাগিং হিসেবে, তা বাঁক নেয় ব্যক্তিগত সংঘাতে। জীবন এসে থমকে দাঁড়ায় একটা টেনিস টুর্নামেন্টে। প্রথম কলেজ-জীবনের আশা-নিরাশা, বহু-বিশ্বাসঘাতকতা, র‌্যাগিং-এর যন্ত্রণা আর হস্টেল-জীবনের নানা চড়াই-উতরাই বেয়ে সরসিজের পরিণত হয়ে ওঠার গল্পই এখানে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে প্রত্যেকের জীবনেই একটা নদী হয়ে ওঠার গল্প থাকে। ঘুরে দাঁড়াবার গল্প থাকে।

136 pages, ebook

7 people are currently reading
339 people want to read

About the author

Smaranjit Chakraborty

78 books334 followers
স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর জন্ম ১৯ জুন ১৯৭৬, কলকাতায়। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত। প্রথম ছোটগল্প ‘উনিশ কুড়ি’-র প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত। প্রথম ধারাবাহিক ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত। শৈলজানন্দ স্মৃতি পুরস্কার ২০১৪, এবিপি এবেলা অজেয় সম্মান ২০১৭, বর্ষালিপি সম্মান ২০১৮, এবিপি আনন্দ সেরা বাঙালি (সাহিত্য) ২০১৯, সানডে টাইমস লিটেরারি অ্যাওয়ার্ড ২০২২, সেন্ট জেভিয়ার্স দশভুজা বাঙালি ২০২৩, কবি কৃত্তিবাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩, উৎসব পুরস্কার ২০২৪, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড ২০২৪, আনন্দ পুরস্কার (উপন্যাস: '‘শূন্য পথের মল্লিকা') ২০২৫ ইত্যাদি পুরস্কারে সম্মানিত ।

শখ: কবিতা, ফুটবল আর মুভিজ়।

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
82 (31%)
4 stars
74 (28%)
3 stars
73 (28%)
2 stars
25 (9%)
1 star
3 (1%)
Displaying 1 - 25 of 25 reviews
Profile Image for Ësrât .
515 reviews85 followers
June 23, 2020
স্মরণজিৎ স্মরণজিৎ স্মরণজিৎ!!!
আই লাভ ইউ ম‍্যান😍

টানা সাত সাতটা দিন একটা পাতাও পড়তে পারিনি কোনো বইয়ের,প্রায় আট-নয়টা বই খুলে দশ বারো পাতার বেশি আগানোই সম্ভব হয়নি বরং বিরক্তিতে মনটা খারাপ হয়ে গেছে বারবার আর এই আমিই কি না অন‍্য সময় সাতদিনে সতেরো টা বই শেষ করা মানুষ😑তবে কি বইয়ের সাথে কাট্টি হয়ে গেল আমার😪

কিন্তু না বেশিদিন এই বিরহ বিলাস করার সুযোগ হয়নি,আলতোগোছে কিছুটা অন‍্য লেখকের লেখনীর স্বাদ নেওয়ার জন‍্যই নিলাম এই বইখানা
আর শেষে কি দাঁড়ালো,আরিব্বাস পাক্কা দুই ঘন্টা আমি এই বই ছেড়ে উঠতে পারিনি, নতুন প্রেমে পড়ে যেমন ভালোবাসার রং টা রঙিন লাগে ঠিক এই বইটা আমাকে ইঞ্জিনিয়ারিং ক‍্যাম্পাসের লাল নীল খুনসুটির রং রাঙিয়ে দিয়েছে আমার ধূসর সময়টাকে

সরসিজের মুখে কলেজের হোস্টেল,খাবার জায়গা,পড়ার প‍্যারা ,সিনিয়রদের র‍্যাগিং এগুলো শুনতে শুনতে তন্ময় হয়ে গেছিলাম, চোখের সামনেই যেন বিকাশ,কল‍্যান শ্রীবিদ‍্যা,তোড়ি,ময়ূখ,অরিবিন্দ,চিট্টাবাবু,বিদেভী দেখতে পাচ্ছিলাম,
মাঝেমধ্যে রাগে ক্ষোভে রনবিজয় ,গুপ্তা দের কে খুন করতে মন চাইছিল,আবার সর্বহারাদের ত্রাতার ভূমিকায় আবিরকে একবারের জন্য হলেও ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছিল

র‍্যাগিং এর মতো এত স্পর্শকাতর ও জঘন্য বিষয়কে কি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন স্মরণজিৎ,পড়তে পড়তে গত বছরে আবরারের সাথে হয়ে যাওয়া ঘটনাটা মনে পড়াতে আনন্দটা পলকেই বিষাদে বদলে যাচ্ছিল,
বারবার মনে হচ্ছিল আহারে এরকম একটা বিষয় নিয়ে কেউ কেন লিখে না আমাদের দেশে!অথচ পাশের দেশটাতেই এগুলো নিয়ে ওয়েবসিরিজ হয়,লেখালেখি চলে, আমাদের মত শুধু গোলটেবিল বৈঠকে চা কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে একসময়ে থিতিয়ে পড়ে না

রেটিং:🌠🌠🌠🌠🌠 তারার কম দিলে পাপ হবে পাপ,জীবন যেখানে অনিশ্চিত সেখানে আরো একটা পাপের কাজ বাদ দিয়ে পূনে‍্যর খাতায় না হয় লিখলাম এটা
Profile Image for সালমান হক.
Author 66 books1,960 followers
Read
March 14, 2020
হোস্টেল জীবনের স্বাদ পেয়েছে, এরকম সবার জন্যেই উপভোগ্য একটা বই। ঝরঝরে বয়ান তৃপ্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।
Profile Image for Farzana Raisa.
530 reviews238 followers
June 21, 2020
গল্পটা শুরু হয় সদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হওয়া সরসীজের জবানীতে। নতুন জায়গা, নতুন নতুন মুখ, সামনে হাতছানি দিয়ে ডাকছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। সমস্ত পিছুটান, ভয় আর শংকাকে আপাতত বাক্সবন্দি করে মুখোমুখি হতে হবে বাস্তবের। প্রথমেই মূর্তিমান আতংক হয়ে হাজির হয় সিনিয়রদের র‍্যাগিং, বিদঘুটে চরিত্রের এক ব্যাচমেট রুমি-সব কিছুর সাথে তাল মিলিয়েই দাঁতে দাঁত চেপে পার করতে হবে চার চারটা বছর। এতোদূর এসে ফিরে যাবার যে কোন উপায় নেই! বাবা-মার আশা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের ঈর্ষাকাতর দৃষ্টির বিপরীতে রয়েছে ঘোরতর বাস্তব। যেখানে মন কেবল পালাই পালাই করে। র‍্যাগিং এর নামে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া৷ ছোট্ট জীবনটায় হাত ধরাধরি করে আসে বন্ধুত্ব, ভীরু পায়ে আসে প্রেম। আর থাকে কিছু ছায়া... বটগাছ না হলেও অন্তত তাল গাছ কিংবা নিদেনপক্ষে ইউক্যালিপটাসের মতো। তাও ছায়া তো বটে!

স্মরণজিত মহাশয় এখানেই বাজিমাৎ করেছেন। পরিবার পরিজনকে কোন দূর শহরে রেখে এসে এমনিতেই মন ক্যামন ক্যামন করতে থাকা তার উপর শুরুতেই র‍্যাগিঙের নামে বাচ্চা ছেলেগুলোকে মানসিক ও শারীরিকভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া! এ ক্যামন কালচার? গল্পটা শুধুই সরসীজের না, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কিংবা হল জীবন পেরিয়ে আসা প্রতিটা মানুষের গল্প। এসবের মধ্য থেকেই ছোট ছোট ছেলে-মেয়েগুলো শিক্ষা পেয়ে যায় কিভাবে বেঁচে থাকা যায়, কীভাবে বেঁচে থাকতে হয়। র‍্যাগিঙের বর্ণনা পড়তে খারাপ লাগছিল খুব। সরসীজ বা তার অন্য বন্ধুদের মানসিক অবস্থার কথা পড়তে যেয়ে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ছিল। লক্ষ কোটি দোয়ার ফলে নাকি অন্য কোন কারণ জানি না, র‍্যাগের মুখোমুখি হতে হয়নি আমাকে, না ভার্সিটিতে, না হলে (আমার অন্য বন্ধুদের কপাল অতোটা ভালো ছিল না অবশ্য, টুকটাক কিছু অন্যেরা খাইসে) সত্যি বলছি, প্রথম প্রথম সিনিয়রদের ডাক শুনেই অন্তরাত্মা কেঁপে উঠতো, আর মানসিকদিক দিয়ে কিছুটা বিপর্যস্ত তো ছিলামই। তারপরেও.. চারটা বছর পার করে দিয়ে ওই সরসীজকেই জিজ্ঞাসা করুন না, অতো কিছুর পরেও দাঁত কেলিয়ে নিশ্চিতভাবেই বলবে নাহ! কলেজ জীবনটাই বেস্ট ছিল।
আসলে জীবন কেটে যায় জীবনের নিয়মে। প্রথমে যাদের শত্রু বলে মনে হয়, হয়তো দেখা যায় সময় আর ঘটনার মারপ্যাঁচে পড়ে অই মানুষটাই হয়ে উঠে সবচেয়ে আপন। শিক্ষা পাই, জীবনে জয়টাই সবসময় বড় না। লড়াই করে যেতে হয়, বাঁধাকে তুচ্ছ মনে করে এগিয়ে যেতে হয়।

স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর অসম্ভব সুন্দর একটা উপন্যাস 'আমাদের সেই শহরে'। কাকতালীয়ভাবে নিজের জীবনের কিছু কিছু অংশের সাথে মিল খুঁজে পেলে লেখক মহাশয়টিকে আবার দোষ দিবেন না যেন!




#বই_হোক_অক্সিজেন
#happy_reading
Profile Image for Momin আহমেদ .
112 reviews49 followers
July 10, 2020
এক বসায় একটা বই শেষ করার জন্য বইটার মধ্যে বিশেষ কিছু থাকতে হয় এই বই টা ঠিক তেমন একটা বই আমার কাছে।
Profile Image for Ishraque Aornob.
Author 29 books403 followers
June 20, 2021
বর্তমান ওপার বাংলার সমকালীন লেখকদের মধ্যে স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর লেখা আমার সবথেকে ভালো লাগে। উনার গল্প বলার ধরনটা অসাধারণ। দারুণভাবে রিলেট করা যায়।
আমাদের সেই শহরে বইটার পটভূমি বেঙ্গালুরু থেকে অদূরে এক ভার্সিটি ও সেখানকার শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র করে। কাহিনীতে উঠে এসেছে হোস্টেল লাইফের সংগ্রাম, আনন্দ, সিনিয়র-জুনিয়র কোন্দল, বন্ধুত্ব, খুনসুটি আর ভার্সিটি জীবনের প্রথম প্রেমের গল্প।
স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর দারুণ লেখনশৈলীতে রোমাঞ্চ, হিউমার, আবেগ সবই একত্রে ধরা দিয়েছে বইটাতে। একটানে পড়ে গিয়েছি, পড়তে গিয়ে আনন্দ পেয়েছি মাঝেমধ্যে উদ্বেগ জেগে উঠেছে এমনকি ভালোলাগা কাজ করেছে চরিত্রগুলোর প্রতি। লেখক ইতিও টেনেছেন ভালোভাবেই। সবথেকে বড় কথা বেশ উপভোগ্য ছিল পুরোটাই।

যারা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অথবা হলে থাকেন তাদের নিঃসন্দেহে দারুণ লাগবে বইটা।
Profile Image for Harun Ahmed.
1,661 reviews420 followers
July 5, 2022
৩.৫/৫
ক্যাম্পাস জীবন, ভয়াবহ র‍্যাগিং, বন্ধুত্ব, অভিমান, প্রথম ভালোবাসা, ঈর্ষা, প্রতিযোগিতা - সব মিলিয়ে জমজমাট উপন্যাস। গভীরতা কম কিন্তু ধরে রাখে পাঠকদের। স্মরণজিৎ কেন এতো জনপ্রিয় তা তার লেখা পড়ে বোঝা যাচ্ছে।
Profile Image for Nazrul Islam.
Author 8 books228 followers
August 20, 2021
হোস্টেল লাইফ নিয়ে বেশ উপভোগ্য একটা বই। ছোট পরিসরে দারুণ। মন মেজাজ খারাপ থাকলে এরকম টকঝাল মিষ্টি স্বাদের বই পড়াই যায়।
Profile Image for Dhiman.
178 reviews14 followers
December 17, 2024
স্মরণজিৎ এর ম্যাজিক!
Profile Image for Kawsar Mollah.
141 reviews7 followers
November 28, 2022
গল্প মোটামুটি। তবে লেখনী বেশ ভালো। লেখনীর কারনে শেষ করতে পারলাম
20 reviews
December 9, 2025
💫 স্মরণজিতের দ্বিতীয় উপন্যাস "আমাদের সেই শহরে" র কেন্দ্রবিন্দু একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও সংলগ্ন হোস্টেল। কাহিনীর কথক তথা প্রধান চরিত্র সরসিজ চক্রবর্তী, যে কিনা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য ভর্তি হয় বেঙ্গালুরু থেকে কিছুটা দূরে এই কলেজটিতে। প্রথম কলেজ - জীবনের আশা - নিরাশা, বন্ধুত্ব - বিশ্বাসঘাতকতা, র‍্যাগিংয়ের যন্ত্রনা আর হোস্টেল - জীবনের নানা চড়াই - উতরাই বেয়ে সরসিজের পরিণত হয়ে ওঠার গল্প "আমাদের সেই শহরে"।

💫 বাড়িঘর, পরিবার, চেনা পরিবেশ ছেড়ে হোস্টেলে আসার প্রথম দিনটা একদিকে যেমন যন্ত্রনার, তেমনই কিছুটা চ্যালেঞ্জিং- ও। সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার থাকে, তার সঙ্গে থাকে পড়াশোনার চাপ। এগুলোর সঙ্গে আবার যদি যুক্ত হয় র‍্যাগিং!!
হ্যাঁ, এই উপন্যাসে র‍্যাগিংয়ের ভয়ানক এক রূপ দেখানো হয়েছে। জুনিয়রদের নানাভাবে চাপ দেওয়া, মানসিক অত্যাচার তো আছেই, শারীরিক অত্যাচারেরও খামতি নেই। তবে এব্যাপারে আমার কয়েকটা কথা মনে হয়েছে —
• গুপ্তা, চন্দরদীপ , বৈদভীর মতো সিনিয়ররা, যারা র‍্যাগিং চালিয়ে যাচ্ছে, তারা ভিলেন নয়, এমনকি সবচেয়ে উগ্র যে রণবিজয়, সে- ও নয়। ওরা সবাই পরিস্থিতির স্বীকার মাত্র।
কলেজ কর্তৃপক্ষ সমানভাবে দায়ী এসবের জন্য।
• একদিকে এই সিনিয়ররা ইচ্ছেমতো র‍্যাগিং করে, অথচ বাইরের কোনো ছেলে কলেজের জুনিয়রদের গায়ে হাত দিলে , জুনিয়রদের বাঁচানোর জন্য মারামারি পর্যন্ত করে।
• এমন সিনিয়র- ও আছে যে নিজের দাদার মতো অতিরিক্ত র‍্যাগিংয়ের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে বিশেষ কাউকে।

তার সঙ্গে আছে সরসিজদের অর্থাৎ ফার্স্ট ইয়ারের স্টুডেন্টদের নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব, বিশ্বাসঘাতকতা আর অবশ্যই প্রেম। কলেজের প্রথম দিনগুলোতে প্রেম থাকবে না তা বোধহয় হতেই পারে না, আর কতরকম তাদের রূপ — একপাক্ষিক প্রেম, ত্রিকোণ প্রেমেরও অভাব নেই। আছে প্রেম নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে রেষারেষি, সিনিয়রদের চোখরাঙানি আর হস্তক্ষেপও।

এসবের মধ্যে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা ছেলেমেয়েগুলো কখন যেন একে ওপরের পরিবারের মতো হয়ে যায়। কিছুদিন আগে পর্যন্ত সম্পূর্ণ অপরিচিত থাকা শহরটি হয়ে ওঠে তাদের নিজেদের শহর।

💫 সবমিলিয়ে "আমাদের সেই শহরে" খুবই ভালো লেগেছে আমার। ভালো লেগেছে বালার্ক ভদ্র চরিত্রটিকে, যে কোনো পরিস্থিতিতেই অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেনি, একা লড়ে গেছে র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে। ভালো লেগেছে কলেজের ক্লাস, আন্টিস শপের আড্ডা, জল- ট্যাঙ্কি ও অভিমানী রেললাইন।
সোজা কথায় বলতে গেলে সবকিছুই ভালো লেগেছে, তাই আর বিস্তারিতভাবে কিছু বলছি না। কলেজজীবনের প্রথম দিনগুলো, বিশেষ করে হোস্টেল লাইফে কাটানো মুহূর্ত ফিরে পেতে বা অনুভব করতে চাইলে, অবশ্যই পড়ে ফেলুন "আমাদের সেই শহরে"।
Profile Image for Prodriptaaaaa.
23 reviews
October 4, 2025
Loved this! One of the best books I have ever read in 2024.

I always love to read those books where "friendship" is the plot. I loved the bond between Sarasij and Balark( roommates). Anybody would be lucky to find this kind of friendship in hostel.
I was fascinated by Sarsiz's talk about college hostels, food, education, and ragging by seniors. How beautifully author has highlighted such a sensitive and heinous issue as ragging.

Moreover, to get a senior like Abir da, is blessing. I am really touched when he cried and said to Sarasij that he always sees his late younger brother in Sarasij. When Sarasij and Balark were beaten badly by other seniors, there was only Abir da who rescued them.
...আমার শরীরে কোনও জোর নেই। মনে হচ্ছে আমার শরীরই নেই। ওদের চলে যাওয়াটুকু ঘাসের ওপর শুয়ে দেখতে-দেখতে দৃশ্য ক্রমে ঝাপসা হয়ে এল। যন্ত্রণায় গুলিয়ে উঠল গা। উপরের চিলরা কি নেমে এল নীচে? কে তুলল আমায়? এটা কার গলা?
ঘুম? আমি কোথায়? কলকাতায়? এত অন্ধকার কেন? অন্ধকার… ভবিষ্যৎ অন্ধকার.. মামা… মা…

“ম্যাওম্যাও, কষ্ট হচ্ছে?” দূর, বহুদূর থেকে ভেসে আসা গলার স্বরে চোখ মেললাম আমি। আবছা ঘরে এটা কে? আবিরদা? আমি অস্ফুটে বললাম, “স্যার, আপনি আমায় বাড়ি নিয়ে যাবেন? স্যার…”

“স্যার নয়, আবিরদা বল। আমি তোর আবিরদা। চুপ কর, কথা বলিস না।”।----these lines made me emotional...

Anyway, I wish I would not face these kind of horrible stuffs...and needless to say, this book is worth reading.
Profile Image for Tanushree  Das.
36 reviews
June 14, 2025
🌻 বই - আমাদের সেই শহরে
প্রকাশক - আনন্দ
মূল্য - ৩০০/-
.
.
🌻 গল্পটি ছিল কলেজ জীবনের। একটি কলেজ জীবন হয় যা বাড়ির থেকেই আমরা পড়তে পারি। এবং আরও একটি কলেজ জীবন হয় যা বাড়ির থেকে অনেক দূরে গিয়ে আমাদের পড়াশোনা করতে হয় এবং বাস্তবের সাথে লড়াই করে একটি নতুন জায়গাতে নিজেদের ফিট করতে হয়।
এই গল্পটি সেই দূরে থেকে পড়াশোনা করা একটি ছেলের যে তার কমফোর্টজোন ছেড়ে এসে ব্যাঙ্গালুরু থেকে কিছু দূরে শ্রীপুরম নামক একটি জায়গায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এডমিশন নেয়।
গল্পের প্রধান চরিত্র সরসিজ সে থাকে কলেজ হোস্টেলেই।
হোস্টেল জীবন বাড়ির থেকে কঠিন তা সরসিজ জানে, কিন্তু এ তো জেলের কয়দীদের যন্ত্রণার থেকেও আরও বেশি যন্ত্রণা দায়ক। যেখানে সুষ্ঠ ভাবে শ্বাস ছাড়তে গেলেও অন্যের পারমিশন নিতে হচ্ছে।
🌻প্রথম কলেজ জীবনের আশা - নিরাশা , বন্ধুত্ব - বিশ্বাসঘাতকতা, রাগিং এর যন্ত্রণা আর হোস্টেল জীবনের চড়াই - উতরাই বেয়ে সরসিজের পরিণতি হয়ে ওঠার গল্পই আশ্চর্য ভাষায় প্রকাশিত।
.
.
.
🌻আমার নিজের দিক থেকে বললে বেশ ভালো লেগেছে, অন্য ধরনের বই পড়লাম। বেশ ভালো, কিছু জায়গা বেশ ইন্টারেস্টিং তো কিছু জায়গা মোটামুটি। মিলিয়ে গুছিয়ে Enjoy করেছি।

🌻 Rating - 3.5/5
1 review1 follower
April 10, 2023
শেষ করলাম। ভালো লাগার রেশটুকু থেকে যাবে আরও বেশ কিছুদিন। সব সরসিজদের জীবনেই একটা বালার্ক থাকুক, একটা আবিরদা থাকুক। তোড়িদের মিষ্টি প্রেমের আলতো ছোঁয়ায় ভীতু, বোকা সরসিজরা পরিণত হয়ে উঠুক। অভিমান আর অহংকারের দেওয়াল ভেঙে বালার্করা স্বীকার করুক শ্রীবিদ্যাদের নিঃস্বার্থ একতরফা ভালোবাসাকে। আর তাদের এই সব প্রথম অনুভূতির সাক্ষী থাকুক শ্রীপুরমের আলোয় গাঁথা পাহাড়, আঁকাবাঁকা নদী, ঝরনা ,আন্টিস শপ্ আর অভিমানী রেললাইনরা। 🤍
Profile Image for Sabina Khatun.
5 reviews
October 16, 2022
লেখক স্মরণজিৎ চক্রবর্তী বই গুলো পড়লে মনে হয় যেন কোনো সিনেমা দেখছি। এই উপন্যাসটা পড়ার সময় ও এমন হয়েছে। একদম সুন্দর ভাবে হোস্টল জীবনকে বর্ণনা করেছেন। স���থে আছে প্রেম, বন্ধুত্ব , শক্রুতা , রেষারেষি সব কিছু মিলিয়ে একদম উপভোগ করার মতো একটা উপন্যাস ।
Profile Image for Srimayee Roy.
20 reviews18 followers
September 9, 2018
মন ভালো করে দেওয়ার মত একটি উপন্যাস,ভীষণ প্রিয়।
2 reviews
October 16, 2024
অনেকদিন আগে পড়েছি মনে পড়ছে, কিন্তু আর কিছুই মনে পড়ছে না
Profile Image for   Shrabani Paul.
395 reviews23 followers
January 2, 2022
Reading........... Complete
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for   Shrabani Paul.
395 reviews23 followers
January 2, 2022
👍
This entire review has been hidden because of spoilers.
Displaying 1 - 25 of 25 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.