Jump to ratings and reviews
Rate this book

সে রাতে পূর্ণিমা ছিল

Rate this book
এই গল্প একটা গ্রামের, মফিজউদ্দিন এবং চন্দ্রভান, মোল্লা নাসিরউদ্দিন এবং দুলালি, আবু বকর সিদ্দিক এবং আলেকজানের। এই গল্প মফিজউদ্দিনের বন্ধু করিম খাঁর ছেলে আফজাল খাঁর পরিবারেরও। গরীব কৃষকের বংশধর, আমরা, আমাদের পথচলার গল্প এটা, এই গল্প আমাদের উত্থান এবং পতনের। একটা গ্রামতো একটা দেশই-আমরা বিবর্তিত হই, আমাদের গ্রামের সামাজিক সম্পর্কের সূত্রগুলো পাল্টায় এবং আমরা দেখি আমাদের দেশই বদলে যাচ্ছে। এই ধারা চলে। অথবা এই গল্প হয়তো শুধুই ভালবাসার, প্রেমের, ভালবাসার অলৌকিক আনন্দের এবং বেদনার হেমকান্তি সৌন্দর্যের।

150 pages, Hardcover

First published February 1, 1995

18 people are currently reading
525 people want to read

About the author

Shahidul Jahir

18 books174 followers
Shahidul Jahir (also spelled Zahir) was a Bangladeshi novelist and short story writer. He was reputed for extraordinary prose style and diciton and considered a genuine founder of post-modern fiction in Bangla literature.

Born in Dhaka, Bangladesh in 1953 as Shahidul Huq, he joined the Bangladesh Civil Service in the Administrative cadre in 1981. In 2008, he was appointed as a Secretary in Charge of Ministry of CHT affairs to the Government of Bangladesh. A confirmed bachelor, he lived a quiet and a very simple life. Hardly he agreed for a formal interview for publication.

Shahidul Jahir was one of the most important contemporary writers in Bangladesh. He became interested in magic realism after reading Marquez's works. He was known to some people as the Márquez of Bangladesh, carrying on the legacy of magic-realism with strokes of his own unique surrealist style, deeply imbibing the politics, history and culture of Bangladesh, his own country home in Sirajganj and his place of birth. However, his style also reminds of Syed Waliullah, a modern Bangla fiction author of Western lineage. But he had his own style of labyrinthine narration that would lead his readers to a maze. He relied more on narration than dialogue between characters. His diction was symbolic and mystified. He resorted to colloquialism in order to infuse reality into the context and story-line. The name of his last published story was, "Miracle of Life". Here is an excerpt (translated from Bangla) from his swan song:

"An adolescent girl, or a young girl, or who is just a gal...whatever, what do we do with her? She can have a name, since she is a human being, and human beings do have names, so her name could be Pari, Banu, or Ayesha... ...If she stands at the edge of the dirty drains, standing inside her home, as broke as the ragged nest of a magpie (babui), her mother runs around...her mother goes around cooking for others, she cooks rice, she cooks curries,she makes chapatis, there are people who swallow them, or maybe they rebuke her, What the hell have you cooked,woman!... ...Perhaps at that moment, Pari or Pari Banu, is standing at the rail ways of Dayaganj or Shamibag, holding the hands of her little sister or brother, and their father runs around, he too goes to places, maybe he does things, pulls someone else's rickshaw, pushes someone else's cart, or maybe he does nothing, he just lies down on his bed and suffers from piles. Then, what do we do with this Pari? The leader, or the official of this republic, the officers, or the civil society - none of them know...We have no idea what to do with her..."


In his writing career spreading over more than two decades, Jahir published only three novels and three collections of short stories. Two collections of his selected novels and short stories were published in 2007.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
226 (68%)
4 stars
87 (26%)
3 stars
15 (4%)
2 stars
4 (1%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 30 of 71 reviews
Profile Image for Mahiya Tabassum.
24 reviews73 followers
June 4, 2020
শহীদুল জহিরের লেখা যেমন আগে পড়া হয় নাই, তেমনি ম্যাজিক রিয়ালিজম বা জাদুবাস্তবতার সাথেও পরিচয় ছিল না। নিতান্ত আগ্রহ থেকেই একটু ঘাটাঘাটি করে ফেললাম।

জাদুবাস্তবতা:
বর্তমান লিটারেচারের (পোস্টমর্ডান লিটারেচার) একটি সাবজন্রা বলা চলে।
জাদুর সঙ্গে বাস্তবতার বিশাল ব্যবধান। কিন্তু ‘জাদু’ এবং ‘বাস্তবতা’ - এ দুটি বিষয় এক হয়ে যে নতুন আবেদন সৃষ্টি হয় তাই ‘ম্যাজিক রিয়ালিজম’।
বাস্তবতার সঙ্গে জাদুর কিংবা জাদুর সঙ্গে বাস্তবতার সংমিশ্রণে বিশ্বাসযোগ্য ধারণা তৈরি না-ও হতে পারে। তবে বাস্তবের সাথে অতিপ্রাকৃত উপাদান সমান্তরাল রেখায় চলবে, লেখক শব্দে, বাক্যে এমন এক গল্প ফাঁদবেন যেখানে পাঠক গল্পের ভেতর (ঘোর কিংবা মোহের ভেতর) ঢুকে যাবে, লেখকের বিশ্বাস পাঠককে ইনডিউস করবে, লেখার মর্ম উদ্ধার করলে তা হবে দ্ব্যর্থক এবং বিভ্রান্তিকর। বস্তুজগতের সাথে আধ্যাত্মিক সম্পর্ক মিলে মিশে হবে একাকার।

আরো সহজভাবে বললে, বাস্তবের মধ্যে জাদুকে গুলিয়ে লাল শরবত, যা কাহিনীর প্রতিটা চরিত্র (লেখকের প্রতিফলন) এবং পাঠকের কাছে
"শরবত তো লাল হয়, লাল হতে পারে, লাল হওয়ারই তো কথা ছিল" - এর মতোই স্বাভাবিক ও বিশ্বাসযোগ্য।

'সে রাতে পূর্ণিমা ছিল' উপন্যাস জুড়ে সুহাসিনী গ্রামের গল্প। একজন মফিজউদ্দির ঘটনাক্রমে মফিজউদ্দিন ও ম্যায়া সাব হয়ে ওঠার গল্প। চন্দ্রভানের গল্প। এক গণিকা নারীর গল্প যার নামে একদিন নয়নতারা হাট নয়নতারা হাট হয়ে প্রকাশিত হয়। রক্তাক্ত চাঁদের গল্প। দুলালি ও আলেকজানের হাহাকারের গল্প। আবু বকর সিদ্দিকের সিদ্দিক মাস্টার হওয়ার গল্প। মোল্লা নাসিরউদ্দিনের নিচু স্বরে অস্ফুট কাঁদার গল্প।
সে রাতে পূর্ণিমা ছিল -এক অদ্ভুত রাতের গল্প, যে রাতে চারিদিক আলো করে জ্যোৎস্না ভেঙ্গে পড়ে।

শুরুতে কেমন খাপছাড়া আর অদ্ভুত লাগলো, গল্পের সাথে ভাইভ ম্যাচ হতেই পুরো সময়টা একটা ঘোরের ভেতর ছিলাম।
অদ্ভুতরকম সুন্দর!
Profile Image for Rifat.
501 reviews329 followers
June 23, 2025
"গ্রামের লোকদের সে রাতের চাঁদের কথা মনে পড়ে এবং তারা সেই চাঁদের বর্ণনা দেয়। আততায়ীদের হাতে ভাদ্র মাসের এক মেঘহীন পূর্ণিমা রাতে সুহাসিনীর মফিজুদ্দিন মিয়া সপরিবারে নিহত হওয়ার পরদিন, গ্রামবাসীদের কেউ কেউ মহির সরকারের বাড়ির প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হয়।" উপন্যাসের শুরুতেই আমরা গ্রামের লোকদের চাঁদের কথা মনে পড়তে দেখি এবং তাদের কেউ কেউ মহির সরকারের বাড়ির প্রাঙ্গণে জড়ো হলে আমরা সেই সময় তোরাপ আলির কথা শুনতে পারি। আর আমরা পরিচিত হই এ গল্পের অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যতে ঘোরাফেরা করা নায়ক মফিজদ্দি কিংবা মফিজুদ্দিন মিয়ার সাথে। তোরাপ আলি এও বলে যে মফিজুদ্দিন ম্যাসাবের আসলে ১১১ বছর বেঁচে থাকার কথা ছিল। কিন্তু ছিন্ন মুণ্ডুর মতো রক্তাক্ত চাঁদের আলোয় ৮১ বছর বয়সে ম্যাসাবের জীবনাবসান ঘটে। অথচ মফিজুদ্দি মিয়ার হাতের রেখা তোরাপ আলি দেখেছিল, সে দেখেছিল ম্যাসাবের হাতের তালু বেয়ে ঝরে পড়ছে জীবন। আর ঠিক এইভাবেই শহীদুল জহির হাতের রেখা দেখানোর মতো করে মেলে ধরেন দিনমজুর আকালুর ছেলে মফিজদ্দি কিংবা প্রভাবশালী মিয়া বাড়ির জামাই মফিজুদ্দিন মিয়ার জীবন, যে জীবন গল্পের চেয়েও বড়; যে গল্পে আছে কিশোরী কিংবা বৃদ্ধা চন্দ্রভান, যে গল্প মোল্লা নাসিরউদ্দিন আর দুলালির, যে গল্প আঁকিয়ে আবুবকর সিদ্দিকের কিংবা আলেকজানের বিষন্নতায় জন্মানো সিদ্দিক মাস্টারের আর লাল মলাটের বইয়ের পাঠক কিশোর রফিকুল ইসলামের।

গল্পের নায়ক মফিজুদ্দিন মিয়ার জীবন ছিল লক্ষ্য করার মতো। একই সঙ্গে মধু আর ভাঙের নির্যাস মুখে নিয়ে দিনমজুরের ছেলে হিসেবে জন্মগ্রহণ করা মফিজদ্দি কৈশোরে পাগলা কুত্তার পেছনে দৌঁড়ে নিজের শক্তির জানান দেয়; একসময় প্রভাবশালী আলি আসগর মিয়া তাকে কামলা হওয়ার আহবান জানালে সে নিজেকে মিয়া বাড়ির জামাই করার প্রস্তাব দিয়ে নিজের সাহসের প্রকাশ ঘটায়। এরকম আস্পর্ধার কারণ মিয়া সাব না জানলেও গ্রামের লোকদের স্মৃতির সুবাদে আমরা জেনে ফেলি চান্দের আলোয় মফিজদ্দি আর মিয়া বাড়ির কন্যা চন্দ্রভানের একপাক্ষিক মোলাকাতের কথা, যেই মোলাকাত মফিজদ্দিকে বামন হয়েও চাঁদের দিকে হাত বাড়াবার আশকারা দেয়। এরপর আমরা দেখি সুহাসিনী গ্রামের লোকদের আবার অন্য জিনিস মনে পড়ে, চন্দ্রভান আর আকালুর ছেলের কথা তারা ভুলে যায়। তারা ফের আমাদের জানা হয়ে যাওয়া ভবিষ্যতের দিকে উঁকি দেয়। আমরা বৃদ্ধ মফিজুদ্দিন মিয়া সাবকে দেখি, দেখি বয়সের ভারে বাবার মতের বিরুদ্ধে বিপ্লব করা ছেলেদের উপর ক্ষেপে যান ম্যাসাব অথচ নিজের বিপ্লবের কথা তিনি মনেও আনেন না, আর এভাবেই গণিকার দয়ায় বেঁচে ফেরা মফিজুদ্দিন একদিন বাপ হয়ে ওঠেন। এরপর আমরা আবার সুহাসিনী গ্রামের অস্থির লোকদের স্মৃতির পাতা বদলে যেতে দেখি, দেখি কিভাবে আকালুর ছেলে কোথা থেকে যেন উদয় হয়ে এসে নিজের প্রভাব বিস্তার শুরু করে। যেখানে প্রধান প্রধান ব্যক্তিবর্গরা গ্রামে হাট বসাতে ব্যর্থ সেখানে সে হাট বসানোর ঘোষণা দিয়ে বলে- "এর নাম হবে নয়নতারার হাট" , সে আরও বলে "নয়নতারার নাহাল ম্যায়া মানুষ জীবনে দেহি নাই নয়নতারা আমার মুর্শিদের নাম সে হিন্দু আছিল, না মুসলমান আছিল, আমি জানি না, কিন্তু সে আমাক কইছিলো ভয় প্যায়ো না আল্লা নবীর নাম ন্যাও।" এরপর আমরা চোখের সামনে মফিজুদ্দিন মিয়াকে সুহাসিনীর একচ্ছত্র অধিপতি চেয়ারম্যান হিসেবে বেড়ে উঠতে দেখি। সুরধ্বনি গ্রামের খাঁ'দের সাথে বিরোধও মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় ম্যাসাবের সাথে। এরমাঝে গ্রামবাসী আবার বিশ্বাসঘাতকতা করে ম্যাসাবের গল্প পুরোপুরি নির্দিষ্ট অর্ডারে না বলে তার ছেলেদের গল্প বলা শুরু করে, যার প্রেক্ষিতে আমরা মোরগের বাচ্চা কোলে দুলালিকে দেখি মিয়া বাড়িতে আসা যাওয়া করতে, যে আসা যাওয়া একদিন মফিজুদ্দিনের শক্ত খোলসকে কোণঠাসা করে আর যার ফলে তাকে একদিন নুইয়ে পড়তে হয় মনের সাথে দ্বন্দ্ব করে; আমরা আরও দেখি আলেকজানকে, দেখি এক আলোকিত সত্যের মতো বাস্তবের ৭১ কে। আর এভাবেই আমরা আবার মফিজুদ্দিন মিয়ার ভবিষ্যত অর্থাৎ বর্তমানে ফেরত আসি। চাঁদের আলোয় যার অবতারণা ঘটে এই দুনিয়ায়, ঠিক চাঁদের আলোতেই সে তার জীবন আর ডিএনএ এর সমূহ সম্ভাবনা নিয়ে সপরিবারে বিলীন হয়ে যায় রূপালী কুয়াশায়। চাঁদের আলোয় ঘোর তৈরি হয়, আর তাই সুহাসিনী গ্রামের লোকেরা তোরাপ আলির গল্প শুনতে শুনতে মনে করতে পারে তারা আসলে সেদিন চাঁদের আলোয় কয়টা লাশ দেখেছিল- ১০টা, ২০টা নাকি ৩০টা?

সুহাসিনী গ্রামের লোকদের সিকোয়েন্স বিহীন ওলটপালট স্মৃতি মনে করানোর মাধ্যমে শহীদুল জহির একটা ঘোর তৈরি করেছেন, যে ঘোর নেশাগ্রস্ত করে রাখে তার লেখনীর মধ্যে, আর তাই অল্প একটু ইয়ে খেয়েই মাথা হালকা হয়ে মিটিমিটি করে হেসে খুশি হওয়ার মতো করে বিরক্ত হওয়ার বদলে মুখ দিয়ে বেড়িয়ে আসে জাস্ট ওয়াও শব্দদ্বয়। শহীদুল জহির কি বাংলাদেশকে কিংবা মুক্তিযুদ্ধকে উপেক্ষা করতে পারেন!? মুখের দিকে দেখির ৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরে জন্ম নেয়া পোটলার পোলা কিংবা বান্দরের দুধ খাওয়া এবং এক বান্দরের কোল থেকে আরেক বান্দরের কোলে বড় হওয়া পোলাটার মতো কী চান্দের আলোয় ভাইস্যা যাওয়া মিয়া পরিবারসহ সুহাসিনীর লোকগুলা মিলা বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি হইয়্যা ওঠে না?


চান্দের আলো যহন ফেরেশতারা পিরথিবীতে ঢাইল্যা দেয়, তহন বি��িক্ষ আর পশুপাখির পরান নিঝঝুম হয়্যা আসে, তহন চান্দের রাজত্বে যে যায় সে কইতে পারে না, সে জাইগা না ঘুমায়া আছে, সে য্যান খালি এক নেশার ভিতর দিয়্যা হাইট্যা যায়;

চান্দের আলো শহীদুল জহিরের, মাঠের উপর বিস্তৃত জ্যোৎস্না ইমতিয়ার শামীমের আর ফিনিক ফোটা জোছনা হুমায়ূনের। আর পাঠক হওয়ার সুবাদে একদিন এইসব চাঁদ সংশ্লিষ্ট ব্যাপার স্যাপার একান্তই আমাদের হয়ে ওঠে..

২৩ জুন, ২০২৫
Profile Image for তান জীম.
Author 4 books279 followers
April 12, 2023
শহীদুল জহিরের কোন লেখা আমার এর আগে পড়া হয়নি। ম্যাজিক রিয়েলিজমের সাথেও খুব একটা ভালোভাবে পরিচয় ছিলো না। চিন্তা করলাম একটু পরিচিত হওয়া যাক। সেই উদ্দেশ্যেই হাতে নিলাম 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিলো'।

'সে রাতে পূর্ণিমা ছিলো' উপন্যাসিকাটা নিয়ে আমি হয়তো ডিটেইল কিছু বলতে পারবো না। কারণ বইটা পড়ে আমার যা অনুভূতি হয়েছে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো যথেষ্ট শব্দ আমার জানা নাই। শুধু বলবো বইটা আপনাকে নিয়ে যাবে এক অদ্ভূত ঘোরের ভেতর৷ সুহাসিনী গ্রামের লোকজনের মুখের বর্ণনা আপনাকে পুরোটা সময় জুড়ে মোহাবিষ্ট করে রাখবে।

ঘোরে পড়েছি নৌকার সেই গণিকার অংশটুকুতে, মনে হচ্ছিলো আমি যেন ঐ নৌকাটির পাশে আরেকটি নৌকায় বসে পুরো ঘটনা দেখছি। আমি দেখতে পাচ্ছি জাবেদ, হালাকু, নয়নতারা আর মফিজুদ্দিকে। কিন্তু ওরা আমাকে দেখতে পাচ্ছে না। আমাকে জালে আটকে ফেলেছে দুলালীর না পঁচা সেই লাশ। গ্রামবাসীর মতো আমিও কৌতুহলী ছিলাম, শেষমেশ কি মোল্লা নাসিরউদ্দিন আসবে? লাশটা কি পঁচবে না?

এরকম আরো ছোট ছোট ঘটনা আছে 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিলো' উপন্যাসিকায় যা আপনাকে ঘোরের ভেতর নিয়ে যাবে। বইটাতে অদ্ভূত একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম। তা হলো, লেখক এখানে যেন একজন অদৃশ্য সত্ত্বা। তার নিজের কিছু বলার নেই, নিজের কোন ফিলোসফি নেই। তিনি এখানে স্রেফ একজন অবজার্ভার৷ কথা বলিয়ে নিচ্ছেন এভাবে 'সুহাসিনীর গ্রামের মানুষেরা তখন জানে কি জানে না, মোল্লা নাসিরউদ্দিনের দুলালীকে নিয়ে কি চলছিলো।' ব্যাপারটা খুবই ইউনিক লেগেছে আমার। আরো একটা ব্যাপার এক্সক্লুসিভ লেগেছে৷ তা হলো, ডায়ালগ ছাড়া সম্পূর্ণ একটা উপন্যাস/উপন্যাসিকা যে লিখে ফেলে যায় তা আমার জানা ছিলোনা। 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিলো' পড়ে সে অভিজ্ঞতাও হলো। ডায়ালগ বলতে গেলে নেই, কিন্তু তা সত্ত্বেও কোথাও একটুকু বিরক্ত হবার অবকাশ নেই।

বইটা আপনিও উপভোগ করতে পারবেন, শুধু আপনাকে একাগ্রভাবে বইয়ে ঢুকতে হবে। বইটা আমি শুরু করেছিলাম সপ্তাহখানেক আগের কোন এক রাতে৷ কিন্তু কয়েক পৃষ্ঠা পড়েই বুঝতে পেরেছি এটা দিনের নীরবতম অংশে, যখন সময় শুধু একান্তই আমার তখন পড়ার বই। তাই প্রতিদিন ভোর ৫ টার দিকে অল্প অল্প করে বইটা পড়েছি। ভোরের নিস্তব্ধতার মাঝে শহীদুল জহিরের জাদু মাখা বর্ণনা আমাকে আটকে ফেলেছে অদ্ভূত এক মোহে।
Profile Image for উজবুক.
17 reviews15 followers
Read
July 13, 2021
দ্বিতীয়বার পড়লাম। শেষ করার পর বসে ছিলাম, কী করা যেতে পারে তাই মাথায় চলতেসিলো। শেষে ভাবলাম গুডরিডসে আসি, এসে একটু লিখে টিখে যাই।

একটা মঞ্চনাটক বানাতে কীরকম লাগে জানেন? থিয়েটার করলে জানার কথা। বেশ বড় ফাঁকা একটা রুমে গমগমে আওয়াজ আর আড্ডা। শুরু হয় আনাড়িপনা দিয়ে, দলনেতা হাসে…মাঝেমধ্যে গম্ভীর হওয়ার ভান করে। কিন্তু শুধু আড্ডাই হয় প্রথমে। এক সংলাপ ঠিক করতেই একটি করে দিন লেগে যায়। গান হয়, কেউ গিটার নিয়ে এসে নিজের অরিজিনাল একটা গান গাইতে শুরু করে আর তখন হয়তো আপনি চা খাইতে খাইতে ওকে বলেন,"নিলয়দা, এটা রেকর্ড করে ফেসবুকে আপ দাও তো৷ জমে যাবে।" নিলয়দা মুচকি হাসে। তখন হয়তো প্রিয়া পাশ থেকে বলবে, কারে কী বলতেছিস, উনি কখনো নিজের গান শুনাবে কাউরে?

এরপর ডেডলাইন আগায় আসে। টিম লিডার রাফসান ভাই এখন আর এতো হাসেন না, আড্ডা কেমন কমে আসে। সবদিকে কর্মোদ্যম, পিছনে আঁকাআঁকি শুরু হয়। অভিনেতারা সংলাপে ভুল কম করতে জানপ্রাণ দিয়ে দেয়। মাঝেমধ্যে আপনার ডাক পড়ে, নাটকের এই অংশটা একটু নতুন করে লিখে দেওয়ার জন্য। আপনি তা-ই করেন।

কিন্তু সব এতো সহজে হয় না। প্রধান নারী চরিত্রটা ঠিকঠাক আগায় না, কেমন কাঁচা অভিনয়। কিন্তু সুমী আপুর প্রতি বোধহয় রাফসান ভাইয়ের দুর্বলতা আছে, তাই তিনি কিছু বলেন না। বরং হঠাৎ হঠাৎ 'বেশ বেশ' বলে উৎসাহ দিতে থাকেন। নিলয়দার এইসব ভাল্লাগে না, ও গিটারে সুর না তোলে রাগ ঝাঁড়ে। মাঝেমধ্যে আপনাকে বলে ওঠে,"করব না এই বালের নাটক। রাফসান কী লাগাইছে দেখছস? একজনই তো পুরা দলকে ডুবায় দিতেসে।"
কথাটা রাফসান ভাইয়ের কানে যায়, উনি পরদিন সেটে নিলয়দাকে কিছু একটা বলে খোঁচা দেন এবং ওদের লেগে যায়। এই লাগাও একসময় ছুটে যায়, প্রস্তুতি আগায় চলে।
নাটক স্টেজে তোলার আগের সন্ধ্যায় আপনি হঠাৎ খেয়াল করেন, প্রভা কী দারুণ আঁকে! ও আপনার কাছে একটা লাইন চাইতে আসে, আপনি তখন নিজের জীবনে তখন পর্যন্ত লেখা সেরা লাইনটিই ওকে দিয়ে দেন। প্রস্তুতি শেষ হয়। হলের ভিতরকার এতোদিনের গমগমে ফাঁকা আওয়াজটা কেমন থেমে আসে। রাফসান ভাই সবাইকে জড়ো করে বলেন, গ্রেট ওয়ার্ক গাইজ। এটা অসাধারণ হতে চলেছে।

এই গমগমে আওয়াজ, এই আড্ডা, শেষের দিকের কর্মোদ্যম এবং মঞ্চস্থ করার পূর্বমুহূর্তের দুশ্চিন্তা…এই জিনিসগুলোতে কিছু একটা আছে। কেমন আনন্দ, কেমন বিষণ্ণতা, কেমন দুশ্চিন্তা, কেমন গর্ববোধ।
বইটি পড়ার সময় আমার এমনই মনে হয়, এমনই ভালো লাগা জাপটে ধরে। অভিজ্ঞতা থেকে আমার অনুভূতির রিভিউ দিলাম। এ উপন্যাসের না। এ উপন্যাস নিয়ে কিছু লেখার যোগ্যতা আমার নাই।
Profile Image for Ashik.
220 reviews40 followers
June 14, 2025
ঘুম ও জাগরণের মধ্যবর্তী অবস্থাকে তন্দ্রা বলা হয়ে যেতে পারে, সচেতন ও অচেতন দশার মাঝের ব্যাপারটা হোক অবচেতন অবস্থা। আর লৌকিক ও অলৌকিকের মিশেলে তৈরি হোক কিংবদন্তি!

জ্যোৎস্না ছিল এমন এক রাতে তন্দ্রাঘোরে অবচেতন অবস্থায় কোনো অশ্রুত কিংবদন্তি শুনলে যেমন বোধ হয়, তেমন একটা নেশা নেশা অনুভূতি হলো।

দুর্দান্ত।
Profile Image for Shotabdi.
818 reviews194 followers
October 17, 2020
গল্পের পর গল্পের পর গল্প। চলছে তো চলছেই। বিরাট বিরাট প্যারা। এক গল্প থেকে আরেক গল্পে কখন ঢুকে যাচ্ছি নিজেও বুঝতে পারছি না। বিবশ হয়ে শেষ করলাম 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিল।'
যে রাতে পূর্ণিমা ছিল, সে রাতে কী হয়েছিল? সুহাসিনী গ্রামের যে রাতে পূর্ণিমায় ভেসে যাচ্ছিল চারদিক সেদিন মফিজুদ্দিনের কী হয়েছিল? কী হয়েছিল চন্দ্রভান, দুলালী, আলেকজান, মোল্লা নাসিরুদ্দীন, রফিকুল ইসলাম কিংবা আবু বকর সিদ্দিকের?
তোরাপ আলী কী বলে আজ সেই পূর্ণিমা রাতটির কথা এতোদিন পর? নয়নতারার ভবিষ্যতবাণী কি ফলেছিল?
কী বর্ণনা! গদ্যে মহাকাব্য। ঘোর থেকে দীর্ঘদিন বেরুনো যাবে কিনা বুঝতে পারছি না। অনবদ্য নিস্পৃহতায় লেখক একটি গ্রামের কিছু মানুষের গল্প বলে গেছেন। যারা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত, যাদের প্রত্যেকের জীবনে রয়েছে অদ্ভুত সব গল্প।
আবহমান বাংলার গ্রামের সাধারণ লোকদের মতোই সে কাহিনীগুলো ঘরে ঘরে জানা হ��়ে যায়। চেনা অচেনা অলৌকিক লৌকিক সব ঘটনা এমনভাবে বিবৃত হয়েছে যে বইটি হাত থেকে রাখা যায় না।
মার্কেজের 'নিঃসঙ্গতার একশ বছর' এর কথা মনে না পড়ে পারে না।
আমি গর্বিত যে বাংলা সাহিত্যে একজন শহীদুল জহির ছিলেন, বাংলাদেশী সাহিত্যের এই মহাকাব্যিক উপন্যাসটি আসলে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাপিয়ে বেড়াবার যোগ্যতা রাখে।
উপন্যাসটি পুরো সাহিত্যজগতেই যোগ করেছে অন্য মাত্রা। কেন আপনি আরো লিখলেন না লেখক! কেন আমাদের আরো বেশি ঘোরাক্রান্ত, চন্দ্রাহত করে পূর্ণিমা রাতের গল্প শোনাবার আসর জমালেন না! আফসোস।
Profile Image for Arifur Rahman Nayeem.
205 reviews107 followers
May 31, 2025
দ্বিতীয়বার পড়ার ইচ্ছা ছিল প্রথমবার পড়ার পর থেকেই। কিন্তু কষ্টেসৃষ্টে বই পড়ার সময় বের করতে পারার এ সময়টায় পড়া হতো না। পড়া হলো গত সপ্তাহে নীলক্ষেতের এক পুরাতন বইয়ের দোকানে বইটার আদি সংস্করণ পেয়ে যাওয়ায়। ৩ বছর পূর্বে পড়া উপন্যাসের সকল খুঁটিনাটি পর্যন্ত ভালোভাবে মনে ছিল। তাও গল্পে, গদ্যে এবং বয়ানের ভিন্নতায় পয়লা বারের মতোই মুগ্ধ হলাম। ‘সে রাতে পূর্ণিমা ছিল’ আমার কাছে সেই বিরল গোত্রের বই, যেগুলো পড়লে মনে হয় পাঠকজীবন সার্থক!
Profile Image for Shuhan Rizwan.
Author 7 books1,107 followers
January 20, 2017
Shahidul Jahir succeeds in constructing this complex narration so masterfully.
Profile Image for Shakil Mahmud.
90 reviews40 followers
April 6, 2021
জীবনানন্দের "অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ" এর মতোই এক অদ্ভুত পূর্ণিমা চাঁদের রক্তাক্ত আলো তে সুহাসিনী গ্রামের মিয়াবাড়ির উঠোনটা ভেসে যায়। কি এক অজানা আবেশে, কি এক অপার্থিব ঘোরে বুঁদ হয়ে গ্রামের লোকেদের সাথে বসে আমিও স্মরণ করি যে, বহুদিন পূর্বে এক বৃহস্পতিবার বিকেলে, সিরাজগঞ্জ-বগুড়া জেলা বোর্ডের রাস্তার পাশে সদ্য মাটিকাটা এক মাঠের ওপর গ্রামের লোকেরা যখন বাজার বসায় তখন মফিজুদ্দির যুবক বয়স; সে হাফ শার্ট আর লুঙ্গি পরে গ্রামের অনেকগুলো যুবকের সঙ্গে হাটের ভেতর দিয়ে হেঁটে গিয়ে এক প্রান্তে দাঁড়ায়, তাদের মাথার ওপর জেলা বোর্ডের রাস্তার কিনারার বড় কড়ই গাছের ছড়ানো শাখা ফণার মতো ঝুলে থাকে এবং গাছের এই সবুজ শাখার নিচে দাঁড়িয়ে, হাটের লোকেরা যখন তার চারদিকে ঘিরে আসে, সে তাদেরকে বলে যে, কোনো মাতবর কিংবা জমিদার তার কিছু করতে পারবে না, এবং গ্রামের লোকেরা সেদিন প্রথম মফিজুদ্দিনের জীবনের আয়ু-সম্পর্কিত তথ্যটি শোনে, সে তাদের দিকে হাত প্রসারিত করে দিয়ে বলে যে, সে এক শ এগারো বছর বাঁচবে, এতে কোনো ভুল নাই; তারপর সে এই নূতন লাগানো হাটের নামকরণ করে এবং বলে, আমি এই হাটের নাম দিলাম নয়নতারার হাট। তার কথা শুনে আমি দিব্যদৃষ্টিতে নয়নতারা নাম্নী এক নারীর মুখ দেখি - যে নারী কখনো পতিতারূপে, কখনো জায়ারূপে, কখনো দুহিতারূপে কিংবা কখনো দেবী হিসেবে আবির্ভুত হতে থাকে আমার সামনে। যে নারী দশভূজা দুর্গার মতন দশরকমের অবতারে আমাদের চারপাশেই ঘুরে ফিরে, যে নারীকে শ্রদ্ধা করতে হয়, যে নারীকে মাথায় করে রাখতে হয়।
তাইতো আমি -
"ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
অবহেলা ক'রে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
ঘৃণা ক'রে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে;
আমারে সে ভালোবাসিয়াছে,
আসিয়াছে কাছে"

এই নারী আবহমান বাংলার নারী। সেই চিরন্তন পতিতা-জায়া-দুহিতা-দেবী দুর্গা।

সেখান থেকে উঠে এসে আমি সেই চাঁদের আলোর অপার্থিব ঘোরে মাতাল হয়ে সুহাসিনী গ্রামের রাস্তায় রাস্তায় জলের মতো ঘুরে-ঘুরে একা কথা কই। আর মফিজুদ্দির কাটা খালটা দেখি - যে খাল নিয়ে তার গর্বের অন্ত ছিল না, যে খাল বেয়ে এক রক্তাক্ত চাঁদরাতে আততায়ীরা তার বাড়ির পেছন দিয়ে সরীসৃপের মতো সরসর করে বরফশীতল মৃত্যু নিয়ে আসে তার পরিবারের জন্য - সে রাতে পূর্ণিমা ছিল! জামগাছের ছায়ায় শায়িত দুলালির কবরটা দেখি। মোবারক আলীর পোড়ো ভিটা খাঁ খাঁ করছে শূন্যতায়।দেখে আমার বুকটায় হাহাকার করে উঠে। দুলালির জন্যে কি? জানিনা আমি ঠিক। এ এক দুর্বোধ্য হাহাকার।

আমি সুহাসিনী গ্রামের রাস্তায় খোঁড়া ঠ্যাঙে তৈমুরের মতো হাঁটতে থাকি এবং দেখি আমার পেছন পেছন আরো অনেক তৈমুরের মতো হেঁটে আসছে সিদ্দিক মাস্টার, আলেকজান, চন্দ্রভান, মোল্লা নাসিরুদ্দিন, মফিজুদ্দি। এবং দুলালি। আমি আবারো হাহাকার বোধ করি আর আমার মাথার ভেতরে এক ছিন্ন মুণ্ডুর মতো রক্তাক্ত চাঁদ তার রক্তাভ আলো ঢেলে দেয়, যে আলো, আলো না হয়ে জীবনানন্দের কবিতা হয়ে আমার মুখ দিয়ে বের হয় -
"সেই আদি অরণির যুগ থেকে শুরু করে আজ
অনেক মনীষা, প্রেম, নিমীল ফসলরাশি ঘরে
এসে গেছে মানুষের বেদনা ও সংবেদনাময়।
পৃথিবীর রাজপথে— রক্তপথে— অন্ধকার অববাহিকায়
এখনো মানুষ তবু খোঁড়া ঠ্যাঙে তৈমুরের মতো বার হয়।
তাহার পায়ের নিচে তৃণের নিকটে তৃণ মূক অপেক্ষায়;
তাহার মাথার 'পরে সূর্য, স্বাতী, সরমার ভিড়;
এদের নৃত্যের রোলে অবহিত হ'য়ে থেকে ক্রমে একদিন
কবে তার ক্ষুদ্র হেমন্তের বেলা হবে নিসর্গের চেয়েও প্রবীণ?"
Profile Image for Ishraque Aornob.
Author 29 books403 followers
April 30, 2024
Moonstruck বা চন্দ্রাহত বলে একটা কথা আছে। পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় বাস্তব-অবাস্তবের পর্দাটা বিলীন হয়ে যাওয়াটাই অনেকটা চন্দ্রাহত পরিস্থিতি। সে রাতে পূর্ণিমা ছিল উপন্যাসে জাদুকর শহীদুল জহির নিজের লেখার জাদু দিয়ে পাঠকদের চন্দ্রাহত করে দিয়েছে।
কাহিনীর শুরু গ্রামের মোড়ল মফিজউদ্দিনের সপরিবারে হত্যাকাণ্ড দিয়ে। এরপর ধীরে ধীরে পেছাতে থাকে কাহিনী। মফিজউদ্দিনের কৈশোর, যৌবন, তার ছেলেদের জীবন সব উঠে আসে একে একে। হত্যা রহস্যের সমাধান হয় না। কিন্তু ঘটনাগুলোর মাঝে ঘোর লাগা এক আবহের সৃষ্টি হয়। কিশোর মফিজউদ্দিনের সারাদিন ধরে কুকুরকে তাড়িয়ে হত্যা করা, চন্দ্রভানকে ছলা-কৌশলের মাধ্যমে নিজের স্ত্রী বানানো। ডাকাত মাঝির হাতে আটক হয়ে কোনো এক পূর্ণিমা রাতে এক পতিতার সাহায্যে নাটকীয়ভাবে বেঁচে ফেরা।
মফিজউদ্দিনের ছেলে নাসিরউদ্দিনের প্রতি দুলালির প্রেম অথবা আরেক ছেলে সিদ্দিক মাস্টারের সাথে আলেয়াজানের বিয়ে। এত কিছুর মধ্যে চাইলেও জহির এড়িয়ে যেতে পারেননি মুক্তিযুদ্ধকেও। পুরো উপন্যাসই ছিল কয়েক স্তর ও মাত্রার কাহিনী দিয়ে গড়া। প্রত্যেক স্তর পড়তে গিয়েই পাঠকের মধ্যে একধরণের ঘোর সৃষ্টি হবে। মাঝেমধ্যে মনে হবে এসব অবাস্তব, পরক্ষণেই মনে হবে এসব তো খুবই চেনা। আর গল্পটা এমনভাবে বলেছেন শহীদুল জহির, যেন মনে হয়, আড়াল থেকে সব ঘটনা দেখে এসে আমাদেরকে শোনাচ্ছেন সে, বড় বড় বাক্যে, এক নিঃশ্বাসে। যে গল্পের রাতে লুকিয়ে আছে চাঁদের অমাবস্যা অথবা যেই রাতে পূর্ণিমা ছিল।
Profile Image for বিমুক্তি(Vimukti).
156 reviews88 followers
August 19, 2020
কি বলব আমি?
সংগীতের সুরের মতোই ছিল পুরো বই। আমার চিন্তাভাবনার মধ্যে একধরণের আবেশ অনুভব যেনো ছড়িয়ে গিয়েছিল। কিছু চিন্তা না করতে পারার আনন্দ! শুধু গল্প শুনে যাওয়ার আনন্দ! একজনের গল্পে আরও অনেকের গল্প আবিষ্কারের আনন্দ! হঠাৎ করে একটা গল্প অসম্পূর্ণ ভাবে থেমে গিয়ে অন্য কারু গল্পে মিশে যাওয়া! তারপর আবার সেই গল্পেই ফিরে আসা! এসবের সঙ্গে যে আমার আগে পরিচয় ছিল না! তাই আমি কি বলব বলেন!

যারা পড়েছেন তারা তো জানেনই এই গল্প মফিজুদ্দি আর চন্দ্রভানের গল্প, মোল্লা নাসিরউদ্দিন আর দুলালির গল্প, সিদ্দিক মাস্টারের গল্প!

আর এরা সবাই পূর্ণিমা রাতে মারা গিয়েছিল,এ বই সেটার গল্প। চ��ঁদের জোছনায় নিজেকে ভাসিয়ে নেওয়ার মতো অতিলৌকিক আনন্দের জোগানদাতা এই উপন্যাস! এইসব চরিত্রের জীবনের গল্প!
Profile Image for Titu Acharjee.
258 reviews34 followers
January 10, 2023
এক পূর্ণিনা রাতের সাথে কিছু মানুষের জীবন, গ্রাম এবং গ্রাম্য রাজনীতি, প্রেম, বেদনা, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদির অবিস্মরণীয় এক মেলবন্ধন ‘সে রাতে পূর্ণিমা ছিল’। একের পর এক বাক্য পড়ার সাথে সাথে, একের পর এক ঘোরের মধ্যে ঢুকছিলাম। প্রতিটি চরিত্রের জীবনের সাথে, স্বপ্নের সাথে, তাদের নিজস্ব গল্পের সাথে মিশে যাচ্ছিলাম। যেন...যেন আমি তাদেরই একজন। যেন...এক পূর্ণিমা রাতে যে গল্পের শুরু হয়,আমিও সে গল্পের অংশ। শহীদুল জহির,এমন একটা মাস্টারপিস রচনা করার জন্য আপনাকে কুর্নিশ জানাচ্ছি।
June 5, 2022
সুররিয়ালিজমের সাথে পরিচিত হয়ে ভালো লাগছে। পুরো উপন্যাস জুড়ে লেখক ভাষার নানারকম কারুকার্য এঁকেছেন। বইটি এক বসায় শেষ করে ফেললুম। তবে বইয়ের শুরু থেকেই যে ঘোরগ্রস্ত হওয়া শুরু হয়েছিল, আস্তে আস্তে তা আমার মস্তিষ্ককে ঠিক কোথায় কোন স্তরে নিয়ে গেছে, কেমন ইফেক্ট তৈরি করেছে, বোধে আসছে না। তবে এখনও সেই ঘোর থেকে যে পুরোপুরি বের হতে পারিনি, এটা বোধগম্য।
এবং আমার মনে হয় কয়েকদিন হালকা কিছু পড়া অথবা কিছু না পড়া আমার জন্য সুখকর হবে৷

লেখার ইউনিক প্যাটার্নে প্রত্যেক পাঠকই অভিভূত হতে বাধ্য। অগ্রীম শুভকামনা, আত্মতুষ্টি অর্জনে ভিন্ন এক জগত ভ্রমণে ইচ্ছুক মানুষদেরকে।
Profile Image for Shadin Pranto.
1,469 reviews560 followers
October 6, 2019
পূর্ণিমা রাতে সুহাসিনী গ্রামের মফিজউদ্দিন মিয়ার পরিবারের সকলের মৃত্যু, মফিজউদ্দিন, চন্দ্রভান, আকালু শেখ, শেখের বোবা বউ, নয়নতারা হাট, মোল্লা নাসিরউদ্দিন, দুলালি কিংবা মোরগের খোজাকরণ অথবা মফিজউদ্দিনের পশ্চাৎদেশে সিল থাকা হায়াত ১১১ বছরের বদলে ৮১ বছরেই মরে যাওয়া। নাকি উপজেলা নির্বাচনের সবুজ জীপ দখলের গল্প? ছোট ছোট প্রেমের গল্প? গ্রামের ছবি?

কিংবা সবই আবোলতাবোল!

এককথায়, " Mesmerising writing "
Profile Image for Amit Das.
179 reviews117 followers
March 25, 2021
Marvellous!
Shahidul Zahir amazed once again with his mesmerizing writing style.
Profile Image for Samiha Kamal.
121 reviews118 followers
March 17, 2023
আমি শহীদুল জহির আগেও পড়েছি, তবে এই বইটা পড়তে যেয়ে কয়েকবার আমি বিরক্ত হয়েছি যেটা আগের বইদুটোয় হই নি। তিনি নিঃসন্দেহে ঘোর লাগানো জাদুকরী লেখক সন্দেহ নাই, তবে এই উপন্যাসটায় আমার মনে হয়েছে লেখার বিন্যাসটা এলোমেলো হয়েছে। মফিজুদ্দিন মিয়া পরিবারের সকলের পূর্ণিমা রাতে নির্মম মৃত্যু দিয়ে কাহিনী শুরু হয়েছে। এরপরে ধাপে ধাপে ভাঁজ খুলে নানানদিকে মোড় নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমার ব্যক্তিগত মতামত বারবার এভাবে বাঁক ঘুরাতে গেয়ে রিপিটেশন অনেক বেশি হয়েছে। একটা ঘটনার শুধু রেশ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, আবার বহু পড়ে যেয়ে হুট করে তার সুতা ধরে টান দেওয়া হয়েছে..এই ব্যাপারটায় আমি পাঠক হিশেবে বিরক্ত হয়েছি।

তবে এই বিরক্তিভাব শেষ অব্দি থাকে নাই। শেষে যেয়ে যখন সুহাসিনী গ্রামের এই মিয়া পরিবারের প্রতিটা মানুষের পূর্ণিমা-ঘেরা আলো-ছায়ার জীবন উদ্ভাসিত হয় তখন একটা ভালোলাগা কাজ করে।
উপন্যাসটা সুন্দর। এর নামকরণ আরো সুন্দর। লেখক পূর্ণিমা রাতের জোছনার মতোই রহস্যময় একটা আবহে কিছু উত্তর অজানা রেখে দিয়েছেন। আবার হয়তোবা বলে দিয়েছেন সবই কে জানে?
পূর্ণিমার খেল কি কখনো চর্মচক্ষে গোচর হয়?

আসলেই "নেশা লাগানোর মতো জ্যোৎস্না ছিল সুহাসিনীতে", প্রতিটা চরিত্র ছিলো Moon struck, চন্দ্রাহত।
Profile Image for হাসান নাহিয়ান নোবেল.
105 reviews169 followers
September 5, 2018
আমি মোটামুটি নিশ্চিত, শহীদুল বেঁচে থাকলে যেভাবেই হোক গিয়ে তার বাসায় ঢুকে পড়তাম, পা ধরে উদ্‌ভ্রান্তের মত বসে থাকতাম, এবং একটু পরপর হুংকার দিতাম, আইজ একডা ফাডাফাডি হইবো!

এবং, এই যে, “শরীলের মইদ্দে কেমুন যানি ভাব হইবার নিছিল, কেমন যানি ঘোর ঘোর নেশার নাহাল, চাইর দিকে কেমন যানি ধুলা ধুলা, কিন্তু ধুলার ভিতরে কেমন যানি ভাব, কেমন যানি রঙের নাহাল ছড়ায়া আছে; আমি তো বুজি না কি, খালি বুজি কিছু একটা; তার বাদে যহন ম্যাবাড়ির সামনে আইছি, তহন বুইজবার পারি আসলে কী; দেহি কি ম্যাবাড়ির মাথাভাঙ্গা আমগাছটার ডাইন পাশ দিয়্যা পুন্নিমার চান ভাইস্যা উইঠছে”—আর কোন শালা এই জিনিস লিখতে পারতো? উফ, গায়ের লোম দাঁড়ায়ে যায় একেকটা পাতা পড়লে!

গঠনগত দিক দিয়ে এই উপন্যাস মুখের দিকের দেখি-র সমতুল্য—দুটোতেই শহীদুল ইচ্ছেমত টাইমফ্রেম নিয়ে খেলা করসেন এবং ইচ্ছেমত চরিত্র ধরে ধরে গল্প বলসেন, যদিও কিন্তু মুখের দিকের দেখি-তে জাদুবাস্তবতার ব্যাপারগুলো আরও ভয়াবহ ছিল। আবার কাহিনীর কথা চিন্তা করলে, এই উপন্যাসের কাহিনীর গতিপথ বেশি শক্তিশালী মনে হইসে আমার কাছে।

খুবই উল্লেখ্য যে, এই উপন্যাসটা ১৯৯৫ সালের, আর মুখের দিকের দেখি প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালে। এই দশ বছর ব্যবধানে শহীদুল হয়তো কাহিনীর গতিপথের চেয়ে বর্ণনায় জাদুবাস্তবতার প্রতি বেশি মন দিসিলেন—কে জানে!

কিন্তু সবখানেই, টাইমফ্রেম নিয়ে যে শহীদুল রীতিমত লীলাখেলা করেন—আর বর্ণনাময়তা—এত সুন্দর—মানে, আমি তো বুঝি না কী—খালি বুঝি কিছু একটা—বৃষ্টিতে ঘরে বন্দী হয়ে বাচ্চাটা যখন সূর্যের আলো খায়—আবু বকর যখন আলেকজানের মুখের দিকে দেখে—আমার কেমন কেমন জানি লাগে—ঘোর ঘোর নেশার নাহাল—চারিদিকে কেমন জানি ধুলা ধুলা—কিন্তু সেই ধুলার মধ্যে কেমন জানি ভাব—আর—আর সুহাসিনীর নেশা-ধরানো জ্যোৎস্না—উফ, ভাদ্রে চন্দ্রাহত হয়ে এই বই পড়া সার্থক!
Profile Image for Asib Gazi.
86 reviews1 follower
June 6, 2025
ব্রিলিয়ান্ট, এবসোলিউট ব্রিলিয়ান্ট
Profile Image for Md. Rahat Khan.
50 reviews5 followers
August 23, 2025
যখন শেষ করি তখন বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যাই কারন তখন দোটানায় পড়ি, পাঠক জীবনে এ বছর সেরা আবিষ্কার কে? শাহাদুজ্জামান নাকি শহীদুল জহির? তখন বিচলিত বোধ করি কারন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারিনা। যেমন বিচলিত বোধ করি ভাদ্র মাসে মেঘহীন পূর্নিমা রাতে ঘটে যাওয়া মফিজউদ্দিনের পরিবারের সাথে নৃশংস ঘটনার শুরুতেই। যুগপৎভাবে বিভ্রান্তির স্বীকার হই কারন তখনও বুঝতে পারিনা শহীদুল জহির গল্পের মোড় কোনদিকে ঘুরিয়ে নিচ্ছে, তখন বিহ্বলতায় ডুবে যাই  জলমগ্ন মাছের মত কারন গল্পের নাটকীয় মোড় ও অভিনবত্বের স্বকীয়তায়। উপন্যাস পড়ে এরকম স্বাদ পূর্বে পেয়েছি কিনা জানি না হয়ত পেয়েছি আবার হয়ত বেশিও পেয়েছি তবে এমন লেখনশৈলীর সাথে পূর্বে পরিচিত হইনি।
Profile Image for Enamul Reza.
Author 5 books174 followers
May 30, 2018
সমগ্র আখ্যান মিলেই কী নিদারুণ এক চরিত্র সৃষ্টি করেছে এই উপন্যাস। বিষণ্ণ। কালো কৌতুকময়। বাস্তবতার গভীরে আরও এক বাস্তবতা। য��খানে জীবন থেকেই মিথের জন্ম, মিথ থেকেই জীবন। মাস্টারপিস।
Profile Image for Shojib Saha.
18 reviews5 followers
March 29, 2024
কাহিনী বলার ধরনে শহীদুল জহির যে ঘোরের আবেশ রচনা করেন তা সাদামাটা কাহিনীকেও অনন্য করে তোলে। সেই ঘোরের আবেশ মর্মের কতো গভীরে প্রবেশ করে মনকে আচ্ছন্ন করতে পারে। তার একটি উদাহরণ দিতে হলে " সে রাতে পূর্ণিমা ছিলো " বইটির নাম অবশ্যই উঠে আসবে।

মানুষের জীবনের ওপর ভর করে থাকে চারটি জিনিস সূর্য, চন্দ্র, মঙ্গল, শনি। চন্দ্র যার উপর প্রভাব বিস্তার করে তার কোনো ভালো মন্দ নেই, কিংবা এটা ভালো মন্দ দুই-ই। চাঁদের আলোয় বৃক্ষ, পশুপাখির প্রাণ নিঝুম হয়ে আসে। চাঁদের রাজত্বে যে যায় সে বলতে পারে না সে জেগে আছে না ঘুমিয়ে আছে। সে যেনো এক নেশার ভিতর দিয়ে হেঁটে যায়!

সেরকমই এক অনন্য পূর্ণিমার রাতে জন্ম হয় গল্পের মূল চরিত্র মফিজুদ্দির। তাই তার জীবনের ওপর চন্দ্রের প্রভাব থাকে প্রকট হয়ে। মফিজুদ্দি করে জীবন এবং তেজের আবাদ। মফিজুদ্দি থেকে হয়ে ওঠে মফিজুদ্দিন।মফিজুদ্দিনের জীবনের এই আখ্যানে অনেক ঘটনা দ্বারাই বোঝা যায় চন্দ্রের প্রভাব প্রকট হওয়ার কারনে তার গোটা জীবনই সে কাটায় এক নেশার ঘোরে। অপর দিকে মফিজুদ্দিনের সন্তানেরা তাদের বাবার অবাধ্য হয়। স্বতন্ত্রভাবে নিজ নিজ আঙ্গিকে হয়ে উঠে স্বপ্নচারী। একজন মফিজুদ্দিনের ইচ্ছানুযায়ী মোল্লা না হয়ে বাবার অজান্তে মাদ্রাসা ত্যাগ করে হয়ে ওঠে প্রকৌশলী। আরেকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে পড়াশোনা করে। আঁকে নগ্ন মেয়েদের ছবি। আরেকজন বিপ্লবী হয়ে ওঠার বাসনায় বিপ্লবের লাল ইস্তেহারের বই পড়ে।

তাদের এ রকম স্বপ্নচারী না হয়ে উপায় ছিলো না কারণ তাদের বাবা জন্মের প্রথম রাতেই খেয়েছিলো ভাংয়ের নির্যাস। আর তাদের মা ছিলো নিশিগ্রস্ত।

শহীদুল জহির গল্প বলার ক্ষেত্রে একরকম গোলকধাঁধা তৈরি করেন। যা দিয়ে তিনি পাঠকের চেতনাকে আচ্ছন্ন করেন খুব সহজেই। গোলকধাঁধা বলবো কারণ তিনি গল্প বলার সময় সোজা পথে হাটেন না। ঘটনার একেকটা সূত্র ধরে তিনি বর্তমান থেকে অতীতে যান। অতীত থেকে বর্তমানে আসেন। আবার অতীত থেকে সূদুরতম স্মরণাতীত অতীতে চলে যান। কিছু সময় আবার সময়ের চক্র ভেদ করে তিনি এমনভাবে গল্প বলা শুরু করেন যাকে সুনির্দিষ্ট কোনো কালের সীমারেখায় ফেলা যায় না। এভাবেই তিনি গল্পের গোলকধাঁধা তৈরি করেন। সৃষ্টি হয় বিভ্রমের।

এই পৃথিবীর সৌন্দর্যের আর আচ্ছন্নতার পরম উপমা পূর্ণিমার রাত। এই পূর্ণিমাকে যেমন তিনি উপন্যাসের নামে ব্যবহার করেছেন। তেমনই উপন্যাসের গল্পেও তিনি আচ্ছন্নতার সকল প্রকার উপাদানের সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন সফলভাবে।

জাদুবাস্তবতার প্রেমে পড়েছিলাম ল্যাটিন সাহিত্যের অনন্য সৃষ্টি গ্যাব্রিয়াল গার্সিয়া মার্কেজের " নিঃসঙ্গতার একশ বছর " পড়ে। এই বই পড়ে আমার মনে হয়েছিলো যে এরকম আরেকটি বই কী আমি আমার জীবদ্দশায় আরেকবার পড়ার সুযোগ পাবো? এই অনন্য অনুভূতি, এই রকম মুগ্ধতা দ্বারা আক্রান্ত হতে পারবো আর কখনো..?
সেই প্রশ্ন আমার মনে আবার জেগে উঠলো। বাংলা। বাংলা সাহিত্যে কী এরকম ঘোর জাগানিয়া জাদুবাস্তবতা পড়ার অভিজ্ঞতা কী আমার আর কোনো বই পড়ে হবে?
Profile Image for Ratika Khandoker.
300 reviews33 followers
June 10, 2022
এ...ত.. অ...দ্ভু...ত
এ..ত...অ..সা...ধা...র...ণ!!!

আমার মনে হয় না,জীবনে খুব একটা এই ধরনের ঘোরলাগা বই পড়ার অভিজ্ঞতা হবে।এমন করে কেউ কি লিখতে পারে?

গল্পে বহুবার সুহাসিনী গ্রামের লোকেদের পূর্ণিমার আলোয় আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখা যায়,আমি মনে হয় ঐ গ্রামের-ই বাসিন্দা কারন পুরোটা সময় কাহিনীর জন্য ই হোক,লেখনীর জন্যেই হোক,গল্পের নানা বৈচিত্র‍্যের জন্যেই হোক,কি এক ঘোরে আচ্ছন্ন থেকেছি।
বিভিন্ন সময়ে বহুবার লেখক গল্পের টাইমলাইন হুট হাট করে পরিবর্তন করেছেন,একজনের গল্প বলরে গিয়ে আরেকজনের গল্প বলেছেন।কিন্তু এই টানাহেঁচড়াতেও তো ঘোর একটুও কাটেনি!
ইংরেজিতে একেই বলে হিপ্নোটাইজিং!
Profile Image for Sanowar Hossain.
281 reviews26 followers
March 8, 2023
'আমার এমন নাগে এই চান দেইখ্যা, আমি কইব্যার পারি না ক্যামন নাগে; তহন, আমি যহন খাড়া হই, মনে হয় যানি চান্দের আলো না, আমি পানির মইদ্দে ভাইসা উইঠল্যাম; আমার হাত-পাউ, সারা শরীল হালকা হয়া যায়।'

ক্ষণজন্মা সাহিত্যিক শহীদুল জহির বাংলা সাহিত্যে যে জাদুবাস্তবতার ধারায় লেখালেখি করেছেন, সেই ছাপ তাঁর সব লেখাতেই উপস্থিত। 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিল' উপন্যাসে একইসাথে মুক্তিযুদ্ধ, প্রেম, গ্রামীণ রাজনীতি এবং তিন প্রজন্মের ধারাবাহিক গল্প উঠে এসেছে।

উপন্যাসের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই ভাদ্র মাসের এক পূর্ণিমা রাতে সুহাসিনী গ্রামের বাসিন্দা ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজুদ্দিন মিয়া সপরিবারে নিহত হয়েছেন। ঠিক কতজন মানুষ নিহত হয়েছিল সেদিন, তা গ্রামবাসী হিসাব করে উঠতে পারেনা। বাড়ির চারজন কাজের লোক বাদে সকলেই আগুনে পুড়ে এবং স্বয়ং মফিজুদ্দিন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। অনেকদিন পর যখন এই ঘটনার কথা স্মরণ করে গ্রামবাসী, তখন অনিবার্যভাবেই পূর্ণিমা রাতের সেই চাঁদের কথা চলে আসে। মফিজুদ্দিন মিয়া সপরিবারে নিহত হওয়ার কারণ হিসেবে স্পষ্টভাবে কেউ কিছু না বলতে পারলেও, রায়গঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান হওয়ার বাসনাই তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে ধরে নেয় সবাই।

শহীদুল জহির এই পূর্ণিমা রাতের ঘটনাকেই ধ্রুব বিবেচনা করে অতীতের গল্পগুলো বলে বর্তমানে এসে পৌঁছেছেন। এত বড় একটি পরিবার নিঃশেষ হয়ে গেল অথচ লেখক আততায়ী সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু বলেন নি। মফিজুদ্দিনের পিতা আকালু ছিল কৃষক এবং মা বোবা ছিল। আকালুর সাথে একটি বোবা মেয়ের বিবাহের গল্পটাও অবাক করার মতো। একদিন মাঠ থেকে ফিরে আকালু দেখেন স্ত্রী প্রসব বেদনায় কাতর। কিন্তু তিনি বারান্দায় বসে তামাক সেবনে ব্যস্ত থাকেন এবং একসময় বোবা স্ত্রী একটি পুত্রসন্তান প্রসব করে। সেই সন্তানটিই এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মফিজুদ্দিন মিয়া। জন্মের সময় ঘরের আশেপাশে যেমন পূর্ণিমার জ্যোস্না ছিল, তেমনি মৃত্যুর দিনও সেই জ্যোস্না দেখা যায় সুহাসিনীতে। মানুষ যেন ফিরে যায় তার আদিমতম উৎসে।

কাজী বাড়ির কুকুরকে সারাদিন মাঠে তাড়া করে যখন মেরে ফেলে, তখন থেকেই সেই মাঠটি 'কুত্তামারার মাঠ' বলে পরিচিতি পায় এবং মফিজুদ্দি থেকে মফিজুদ্দিন মিয়া হয়ে উঠেন তিনি। তিনি যখন নয়নতারার হাট বসান, তখন সকলের কাছে তাঁর এক ধরনের প্রতিপত্তি সৃষ্টি হয়। কে এই নয়নতারা? যাকে মফিজুদ্দিন মিয়া নিজের পীর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আসগর আলির মেয়ে চন্দ্রভানকে বিয়ে করার পর মফিজুদ্দিন মিয়া তেরোটি ছেলের পিতা হন। গ্রামের মধ্যে মিয়া বাড়ি বলে সকলেই তাদের সম্মান দিত। এই সম্মান পাওয়াটাই কি সুরধ্বনির খাঁ বংশের মানুষ সহ্য করতে পারেনি? যাদের গ্রামে সরকারি রাস্তা নির্মাণ ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন মফিজুদ্দিন মিয়া। তবে এর পেছনে কারণ ছিল অবশ্যই।

মফিজুদ্দিন মিয়ার এতগুলো ছেলের মধ্যে মোল্লা নাসিরুদ্দিন, আবু বকর সিদ্দিক ও রফিকুল ইসলামের ব্যাপারে আমরা অনেককিছুই জানতে পারি। মফিজুদ্দিন মিয়া ��েয়েছিলেন নাসিরুদ্দিনকে মাওলানা বানাতে কিন্তু ছেলে স্কুল পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়। তবে মোল্লা নামটা আর মুছে যায়নি। শহর থেকে মোরগের অন্ডকোষ ছেদনের কৌশল শিখে এসেছিল সে। গ্রামের মানুষেরা ভিড় করতো তাদের মোরগের অন্ডকোষ ছেদন করতে। সেখানেই গুটি গুটি পায়ে নিজের মোরগকে বুকে চেপে নিয়ে আসতো জোলা মোবারক আলির মেয়ে দুলালি। গ্রাম্য সরল বালিকার মনে ধরে যায় নাসিরুদ্দিনকে। আরেক ভাই আবুবকর সিদ্দিক আর্ট কলেজের ছাত্র। আইজ্জ্বল প্রামাণিকের মেয়ে আলেকজানের স্কেচ করেছিল কাঠ কয়লা দিয়ে। সেই ছবিটিই কিনা মুক্তিযুদ্ধের সময় কাল হয়ে দাঁড়ায় আলেকজানের জন্য। স্কুল পড়ুয়া রফিকুল ইসলাম ছিল বাম রাজনীতির সমর্থক। উপজেলার বড় কর্তার মেয়ে জান্নাত আরার সাথে মেলামেশার জন্য ক্লাসে বেত খেতে হয় স্যারের কাছে! কিন্তু নিজের দোষটা ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা সে।

এমন একটা উপন্যাস, যার পুরোটা লেখক বলে দিয়েছেন আবার বলেনওনি। অসাধারণ ভাষা ও লেখকের কাহিনি বর্নায়ন। পাঠককে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করে রাখবে। তবে নিভৃতচারী লেখক হওয়ায় এত ভালো বই হওয়া সত্ত্বেও পাঠকের অগোচরে রয়ে গিয়েছে। বইটি সকলেরই পড়া উচিত বলে মনে করি। হ্যাপি রিডিং।
Profile Image for Anupam.
3 reviews4 followers
October 14, 2015
রিপিটেশানে আমরা সাধারণত বিরক্ত হই। কিন্তু, শহীদুল জহির এর লেখায় রিপিটেটিভ নেচারটা আমার পছন্দ। যেমন এ উপন্যাসে তিনি আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেন, ভাদ্র রাতের সে পূর্ণিমা রাতে অতিকায় এক চাঁদ উঠেছিল, ফলে সুহাসিনী গ্রামের লোকজনের মত আমাদেরও একসময় মনে হয়, সে রাতে মফিজুদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের নিহত হবার চেয়ে পূর্ণিমার চাঁদই বেশি রহস্যজনক ঘটনা। আবার, একটি ঘটনার বর্ণনা একবারে শেষ না করে অন্য ঘটনায় যাওয়া এবং পাঠকের আগ্রহ ধরে রেখে আবার পরে ফিরে আসা-এ কঠিন কাজটা তিনি এ উপন্যাসেও অদ্ভুত দক্ষতায় সম্পন্ন করেন।
Profile Image for Dipak Karmoker.
68 reviews2 followers
October 13, 2024
বাংলা সাহিত্যে জাদুবাস্তবতা জনরার বই হাতে গোণা হলেও তার পরিমাণ একেবারে কম নয়। তবে সে রাতে পূর্ণিমা ছিল'র মতো এমন আশ্চর্যজনক লেখা ইতোপূর্বে লেখা হয়নি, এমনকি আখতারুজ্জামান ইলিয়াসেও এমন কিছু খুঁজে পাইনি৷ খুবই অবাক হয়ে লেখাটি পড়লাম। যারা পড়েননি পড়ে ফেলুন৷ 😊
Profile Image for Nazmus Sadat.
142 reviews
January 22, 2025
- 𝐄𝐯𝐞𝐫 𝐟𝐞𝐥𝐭 𝐭𝐡𝐞 𝐥𝐢𝐠𝐡𝐭 𝐨𝐟 𝐚 𝐟𝐮𝐥𝐥 𝐦𝐨𝐨𝐧 𝐛𝐥𝐮𝐫 𝐭𝐡𝐞 𝐥𝐢𝐧𝐞𝐬 𝐛𝐞𝐭𝐰𝐞𝐞𝐧 𝐫𝐞𝐚𝐥𝐢𝐭𝐲 𝐚𝐧𝐝 𝐦𝐚𝐠𝐢𝐜? 𝐒𝐡𝐚𝐡𝐢𝐝𝐮𝐥 𝐉𝐚𝐡𝐢𝐫’𝐬 𝐦𝐚𝐬𝐭𝐞𝐫𝐩𝐢𝐞𝐜𝐞 𝐰𝐢𝐥𝐥 𝐦𝐚𝐤𝐞 𝐲𝐨𝐮 𝐛𝐞𝐥𝐢𝐞𝐯𝐞 𝐢𝐭’𝐬 𝐩𝐨𝐬𝐬𝐢𝐛𝐥𝐞!

I was familiar with the magic realism genre, having read works by Gabriel García Márquez and recognized names like Isabel Allende and Toni Morrison, but I didn’t realize we had such a powerful voice in Bengali literature until I read Shahidul Jahir.

📖 𝐁𝐨𝐨𝐤: সে রাতে পূর্ণিমা ছিল (Se Ratey Purnima Chilo/ That Night the Moon Was Full)
✍️ 𝐀𝐮𝐭𝐡𝐨𝐫: শহীদুল জহির (Shahidul Jahir or Shahidul Zahir)
📚 𝐆𝐞𝐧𝐫𝐞: Magic Realism, Literary Fiction
📅 𝐏𝐮𝐛𝐥𝐢𝐬𝐡𝐞𝐝: First published in February 1995. This edition by Mowla Brothers (@mowlabrothers) in February 2023.
⭐ 𝐌𝐲 𝐑𝐚𝐭𝐢𝐧𝐠: 4.5⭐

Ω 𝐒𝐲𝐧𝐨𝐩𝐬𝐢𝐬: In the enigmatic village of Suhasini, reality bends under the spell of a full moon. Following the mysterious murder of Moral Mofizuddin's entire family, the story spirals into an intricate web of interconnected lives. Through Mofizuddin's youth, his sons' turbulent lives, forbidden loves, and supernatural encounters, Shahidul Jahir weaves a tapestry where each thread tells its own spellbinding tale. As the village's secrets unfold under the watchful moon, the line between real and surreal gradually disappears.

💭 𝐌𝐲 𝐓𝐡𝐨𝐮𝐠𝐡𝐭𝐬: In the silent corners of Suhasini village, where dreams collide with despair, Shahidul Jahir's Se Rate Purnima Chilo unfolds like a haunting melody. This novella, a masterpiece of magical realism, doesn't merely tell a story—it immerses us into the soul of that village, its people, and their mysteries. Through its poetic narrative, it explores the fragility of human emotions, the interplay of reality and unreality, and the inexplicable ways life and death coexist.

Many times, in the story, the people of Suhasini village find themselves overwhelmed by the light of the full moon. The moonlight isn’t just a backdrop; it becomes a force that blurs the line between reality and illusion. As I read, I felt like a resident of that village—enthralled, dazed, and hypnotized by the story, the writing, and its variety. Shahidul Jahir’s storytelling often shifts timelines abruptly, transitioning from one person’s story to another. This technique, though disorienting at first, soon creates a hypnotic rhythm that pulls you deeper into the narrative.

The story begins with the tragic murder of Moral Mofizuddin’s entire family, yet the mystery surrounding this event is never resolved. Instead, the novella takes its time, meandering through Mofizuddin’s adolescence, youth, and the lives of sons, along with surrounding events, all of which eventually come together in a way that feels connected and meaningful. The layers of the story unfold like a labyrinth, each revealing strange and beautiful tales—Mofizuddin’s relentless dog-chasing, his dramatic escape from hired killers with the help of a prostitute, or Dulali’s love for Mofizuddin’s son Nasiruddin. Mobarak Ali’s love for his daughter Dulali, revealed through her sufferings, a love I can deeply relate to as a father myself, understanding it through the lens of my own affection for my four-month-old daughter. Beyond the emotions, even the Liberation War finds its way into the narrative prominently, grounding the surreal elements in historical reality.

The beauty of Se Rate Purnima Chhilo lies in its ability to weave the ordinary and the extraordinary seamlessly. The villagers—with their innocence, interconnected lives, and bizarre stories—are brought to life with such vividness that they feel like real people. Shahidul Jahir narrates their lives with an unmatched intimacy, often using long, breathless sentences that mimic the act of recounting tales late into the night. His descriptions are so evocative that the reader feels like they’re walking through the village, hearing whispers of miracles and tragedies from house to house.

Initially, the writing style felt clumsy to me—scattered and a bit overwhelming. But as I settled in, the narrative began to create a strange, dizzying atmosphere. The moonlit nights, the blurred boundary between reality and unreality, and the poetic prose all work together to mesmerize. Shahidul Jahir’s storytelling feels as though he has witnessed every event firsthand and is recounting them to us in one breath, each sentence infused with raw emotion.

The non-linear narrative and layered storytelling demand patience at first, but the reward is profound. The book’s structure, where stories interweave and timelines overlap, mirrors the fragmented nature of memory and history. At times, the repetition of incidents and playful manipulation of time may feel forceful, but it ultimately imprints the events deeply into our mind. It’s as if the writer is deliberately creating a whirlwind that traps us in Suhasini village.

What stands out most is the novel’s ability to evoke both familiarity and strangeness. The people of Suhasini village, their stories, and their moonlit nights feel both surreal and deeply rooted in the cultural fabric of Bangladesh. This duality—the unreal becoming real and the real feeling unreal—is where Jahir’s genius shines. The novella’s prose is epic yet intimate, its magic unsettling yet comforting.

In the end, Se Rate Purnima Chhilo is not just a story; it is an experience. It is a testament to Shahidul Jahir’s unique voice in Bengali literature, one that deserves to be celebrated far beyond its origins. The book’s layered narrative, poetic language, and profound exploration of human nature make it a masterpiece worthy of global recognition. I am proud that there was a Shahidul Jahir in Bengali literature, and this epic novel deserves to stand tall in the court of world literature, and I’m eager to explore more of his writing.

⁉️ 𝐐𝐎𝐓𝐃: Have you ever experienced a story that felt like a beautiful fever dream you didn't want to wake up from? Tell me about it in the comments 🌕!

👍 Liked this post or found it helpful? Hit the ❤️, save it, and 𝐬𝐡𝐚𝐫𝐞 it with your bookish squad!

🔔 Follow me for more bookish ramblings, reviews, and recommendations.
🌟 𝙂𝑶𝑶𝑫𝙍𝑬𝘼𝑫𝙎: Nazmus Sadat ( goodreads.com/dsony7 )
📸 𝑰𝑵𝑺𝑻𝑨𝑮𝑹𝑨𝑴: @dshadowcatreads
16 reviews1 follower
September 1, 2024
This is kind of masterpiece in terms of the writing.The story goes in a linear way but the way it is portrayed fabulous. The way every aspect of villagers are written that is done in a perfect way. A human psychology is mixed of good and bad, the bad aspects they themselves know but it does not come out in front of. It remain inside as a guilt and that guilt again results in apparently wrong behaviour.

Overall initially when I started it was difficult to continue but then the timeline continues from here and there . writer forcefully imprinted the incidents inside you proactively mentioning the incidents multiple times and playing with the timeline.

Great experience
5/5
❤️❤️❤️❤️❤️
Profile Image for Sourav Atik.
26 reviews8 followers
May 2, 2021
মফিজউদ্দিনের সাধারণ মানুষ থেকে গ্রামের মোড়ল হবার কাহিনী। তার জীবনী। তার জীবনের স্ট্রাগল, উত্থান পতনের কাহিনী। সেই সাথে সন্তান দের সাথে দূরত্ব। পরের দিকে সন্তান রাও মূখ্য হয়ে উঠে এই গল্পে। গল্প বলার স্টাইল টা ভাল লেগেছে।
Profile Image for Sajib.
191 reviews23 followers
February 18, 2024
মানুষ নতুনত্ব পছন্দ করে। প্রতিটি লেখকেরই নিজস্ব একটা লেখার ধরণ থাকে। একটা সাধারণ গল্পকে লেখক যখন তার অভিনব ধারায় অসাধারণ করে ফুঁটিয়ে তুলে স��বভাবতই মানুষ সেটার প্রতি আকর্ষীত হবে। কারণ নতুনত্ব মানুষকে মুগ্ধ করে।

শহিদুল জহির ও তার নিজস্ব একটা ধারা নিজ হস্তে তৈয়ার করে নিয়েছে। যা বিমুগ্ধ করক। বর্তমানকে সামনে রেখে ফসিলের মতো অতীতকে খুঁড়ে বের করার প্রক্রিয়াটা আদতে যে কাউকেই অভিভূত করবে।
Profile Image for Tamanna.
1 review5 followers
January 30, 2018
একটা ঘোর লাগানো গল্প !
Displaying 1 - 30 of 71 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.