দমকা হাওয়ায় জানালা গলে বৃষ্টির জলে এসে গড়েছে সিঁড়ি লাগোয়া প্রথম ঘরটির দরজায় একজন মানুষ বসে আছে। তবে মানুষটা ঘরের ভেতর দিকে যাচ্ছে না। দেখো যাচ্ছে পিঠ। ঘরের ভেতর থেকে আলো আসছে। সেই আলোয় কেবল মেয়েটার বসে থাকা শরীরের কুঁজো ছায়ামুর্তি বোঝা যাচ্ছে। আর বোঝা যাচ্ছে তার ন্যুজ শরীরের থরথর কম্পন।
সে একনাগড়ে চিংকার করে কাঁদছে। কিন্তু উঠে দাঁড়াতে পারছে না। জহির হতভম্ব হয়ে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল। তারপর কয়েক কদম হেঁটে সামনে এগোল। কিন্তু দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই যেন জমে গেল সে। ঘরের ভেতরের গা হিম করা দৃশ্যটা চোখে পড়ল তার। পৃথিবী এমনই, আমরা আমাদের প্রিয়তম মানুষের ভয়ানক কোনো অপরাধও নানান যুক্তিতে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করি। নির্দোষ প্রমাণ করতে চাই।
Sadat Hossain (born 29 June 1984) is a Bangladeshi author, screenwriter, film-maker, and novelist. Sadat Hossain was born In Madaripur, Dhaka, Bangladesh. He studied anthropology at Jahangirnagar University. He was a photojournalist in a newspaper. Then the editor told him that he should write the story of those photos. Eventually, with these, he published his first book in 2013 named Golpochobi. Then, he started to write short stories. In 2014 Janalar Opashe published. In 2015 Aarshinagor is the first book when people recognize him in 2015.[4] Besides writing he has interest in filmmaking as well. He has a production house named ‘ASH’ Production house, released a number of visual contents like short films, dramas, music videos, documentaries, etc.
পুরো এক বসায় পড়ে বইটি শেষ করেছি, ঘন্টাখানেকও লাগে নি শেষ করতে। তবে পুরোটা সময়ই মনোযোগ ঠিকই ধরে রাখতে পেরেছে! খেয়াল করেছি, এই লেখকের বই পড়তে গেলে আমি ২ টা কারণে প্রচন্ড বিরক্ত হই, ১. অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় বর্ণনা, ২. একই কথার পুনরাবৃত্তি। এই বইয়ের ক্ষেত্রেও একইরকম অনুভূতি!
এক বসাতে বইটা পড়ে ফেলেছি। কি যে আনন্দ লাগছে! 😭😭 শেষ কবে এক বসাতে বই শেষ করেছি মনেও পড়েনা।
যাই হোক। আসি গল্পে। শুরুটা সুন্দরভাবেই হয়েছিল৷ আগ্রহ বাড়ছিল ধীরে ধীরে। কিন্তু মাঝখান থেকে কি হলো কিছুই বুঝলাম না। বইটা সম্পূর্ণ ভৌতিক, মিস্টরি, থ্রিলার কোনোটাই হতে পারেনি আমার মতে। লেখার ভঙ্গি ভাল লেগেছে। কিন্তু গল্পের আগা মাথা কিছুই বোঝার মত না৷ কোন জনরা লেখক প্রকাশ করতে চেয়েছেন তাও বুঝিনি। 🤦🏽♀️ লেখার ধরন আর প্রথম দিকের অংশের জন্য ২ স্টার দিয়েছি। 😐
সারমর্ম : জহির আর জেসির পরিচয় ফেসবুকে, বন্ধু আশিকের মামাতো বোন। হঠাৎ ই তাদের বিয়ের কথা ঠিক হয়ে যায়। এর মধ্যে জহির কক্সবাজার যায় অফিসের কাজে, সেখানে আচানক আশিকের ফোন আসে, জেসি অসুস্থ, হাসপাতালে, এক্ষুনি ঢাকা না গেলে বিপদ। সেই উৎকণ্ঠা শুনে রাত বিরাতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় একটা গাড়ি পেয়ে নিজেই চালায় ঢাকায় রওনা দেয় জহির। কিন্তু পথে এমন বিপদের সম্মুখীন হবে যা পাল্টে দিবে জহির-জেসির জীবন।
পাঠ-প্রতিক্রিয়া: আমি সবসময় এমন বই পড়তে আগ্রহী যেখানে থ্রিলার আর প্যারানরমাল জনরা একত্রিত করা হয়। প্যারানরমাল থ্রিলার এই বইটি নিয়ে অনেক আশা থাকলেও একটু হতাশ হয়েছি। ১১০ পৃষ্ঠার এক-বসায় পড়া এই বই আমাকে ঠিক সেই রোমাঞ্চ দেয়নি যা আমি আশা করছিলাম। প্লট বিকাশের ভাল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, ক্লাইম্যাক্সটি তাড়াহুড়ো এবং অসম্পূর্ণ মনে হয়েছে।
ভাল লেগেছে। উপন্যাসটির যে মূহূর্তে মনে হচ্ছিল অবশেষে সব হয়ত ঠিক হতে চলেছে, সেই সময়েই গল্পের সবচেয়ে বড় টুইস্ট এসে মস্তিষ্ক দুমড়ে মচড়ে দিল। প্রথম প্যারানরমাল উপন্যাস হিসাবে লেখক সাদাত হোসাইনকে বেশ ভাল নম্বর দিতেই হচ্ছে।
রহস্যময়, অন্য ধাঁচের একটি বই। তবে রহস্য উন্মোচনের পার্টটুকু খুব সাধারণ লেগেছে আমার কাছে। এন্ডিং এ অদ্ভুতুড়ে অনুভূতি হয়। অল্প সময়ে একটা উপন্যাস শেষ করার এবং অতিপ্রাকৃতিক কিছু আস্বাদনের ইচ্ছে থাকলে পড়ার সাজেশন রইলো।
মনে হয় আমার পড়া প্রথম পিউর থ্রিলার আর প্যারানরমাল বই, এই ঘরনার বই আমার পড়ার কখনো মন চায়নি। বইমেলার এক ভাইয়ের সাজেশনে কিনা। সাদাত হোসাইনের লেখার উন্নতি এ বইয়ে চোখে পড়বার মত হয়েছে। বইকে রেটিং না দিয়ে আমার অনুভূতিকে রেটিং দেয়া শুরু করেছি, বেশি meaningful লাগে রেটিং করাটা।