Humayun Azad (Bangla: হুমায়ূন আজাদ) was a Bangladeshi author and scholar. He earned BA degree in Bengali language and literature from University of Dhaka. He obtained his PhD in linguistics from the University of Edinburgh in 1976. He later served as a faculty member of the department of Bengali language and literature at the University of Dhaka. His early career produced works on Bengali linguistics, notably syntax. He was regarded as a leading linguist of the Bangla language.
Towards the end of 1980s, he started to write newspaper column focusing on contemporary socio-political issues. Through his writings of 1990s, he established himself as a freethinker and appeared to be an agnostic. In his works, he openly criticized religious extremism, as well as Islam. In 1992 Professor Azad published the first comprehensive feminist book in Bangla titled Naari (Woman), largely akin to The Second Sex by Simone de Beauvoir in contents and ideas.
The literary career of Humayun Azad started with poetry. However, his poems did not show any notable poetic fervour. On the other hand his literary essays, particularly those based on original research, carried significant value.
He earned a formidable reputation as a newspaper columnist towards the end of 1980s. His articles were merciless attacks on social and political injustice, hypocrisy and corruption. He was uncowed in protesting military rule. He started to write novels in 1990s. His novel Chappanno Hazar Borgomile is a powerful novel written against military dictatorship. Azad's writings indicate his distaste for corrupt politicians, abusive military rulers and fundamentalist Islam. Nevertheless, his prose shows a well-knit and compact style of his own. His formation of a sentence, choice of words and syntax are very characteristic of him. Although he often fell victim to the temptation of using fiction as a vehicle of conspicuous political and philosophical message, he distinguished himself with his unique style and diction.
On August 11, 2004, Professor Azad was found dead in his apartment in Munich, Germany, where he had arrived a week earlier to conduct research on the nineteenth century German romantic poet Heinrich Heine. He was buried in Rarhikhal, his village home in Bangladesh.
In 2012, the Government of Bangladesh honored him with Ekushey Padak posthumously. Besides this, he was honored with Bangla Academy Award in 1986.
বইটা আধাআধি পড়ে মনে হয়েছিল পাঁচ তারা দিবো, শেষ করে দিলাম তিন তারা, এখন আবার বদলে দিচ্ছি ৪ তারা। বইয়ের মাঝামাঝি কিছু কথা খুবই ভালো লাগছিল, "অনিশ্চয়তা মানুষকে শুদ্ধু করে", "ছ'মাস হল কিছু লিখিনি, কিন্তু ছ-মাসে মুরগির ৫০০ জোড়া রানি ভেজেছি" - এগুলো পড়ে ট্যাবটা রেখে চিন্তায় হারিয়ে গিয়েছিলাম কিছুক্ষনের জন্য। কিভাবে হুমায়ুন আজাদ নারীর চোখ দিয়ে স্পষ্টভাবে দেখতে পেরেছেন তা ভেবে পুলকিত হচ্ছিলাম। এক তারা এখন বাড়িয়ে দিচ্ছি কারণ বইটাতে রয়েছে চিন্তা উদ্রেকের উপকরণের ছড়াছড়ি। হুমায়ুন আজাদের বইয়ের স্বভাবসুলভ অশ্লীলতার ভেতর থেকে এই উপকরণগুলো খুঁজতে বইটা কেউ পড়বে কিনা সেটা সম্পূর্ণ পাঠকের ব্যাপার।
ডক্টর শিরিন, একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফিল্ড ট্রিপে কমলগঞ্জে গিয়ে পরিচয় হয় খালেদ নামক এক ইঞ্জিনিয়ারের সাথে। তার সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাটান দুই রাত। শিরিনের মনে হয়, তার জীবন বদলে গেছে। খালেদের সাথে দুটি রাত কাটানোর পর আর তার স্বামী দেলোয়ারের কাছে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে না, তার মনে হয় ফিরে গেলে তা হবে অনৈতিক, অসততা। এদিকে দেলোয়ার অস্থির হয়ে ওঠে শিরিনের জন্য, শিরিনের সাথে কত রাত সে ঘুমোয় না, কিন্তু শিরিন আসে না। শিরিন বলে, দেলোয়ারের কোন দোষ নেই, তবে আসে না কেন? পুরো উপন্যাসে দেলোয়ার তাই অস্থির। খালেদ চায় শারমিন কে বিয়ে করতে, ঐ দুটি রাতের পর শিরিনের মোট তারও জীবন বদলে গেছে বলে সে মনে করে, নিজের স্ত্রীকে তার আর ভাল লাগে না। শিরিন কে সে বিবাহের প্রস্তাব দেয়, কিন্তু শিরিন? শিরিন তো খালেদ কে দেখেছে কেবল তার নিজের জীবন কে বদলে নেবার একটি উপকরণ হিসেবে, একটি যন্ত্র হিসেবে। এর বেশী কিছু তো নয়। শিরিন সন্তানসম্ভবা হয়, কিন্তু সন্তান কে সে রাখবে না, তার কাছে এটাকে ময়লা বলে মনে হয়। সে চায় না, তার শরীরে কোন ময়লা বেড়ে উঠুক। সে চায়, একা থাকতে, সম্পূর্ণ একা। একটি ফ্ল্যাট কেনে সে, কেনে প্রয়োজনীয় সবকিছু। সে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে নিজেকে। কাউকে তার দরকার নেই। অধ্যাপনার ঐ চাকরি টা, মাস শেষে যে চাকরি টা তাকে মোটা অঙ্কের বেতনের নিশ্চয়তা দেয়, এর বলেই এই সবকিছু করতে পারে সে। বস্তুত, নারী স্বাধীনতার জন্য নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানো যে একটি প্রধান শর্ত, এই উপন্যাস তার এক বিমূর্ত প্রতিচ্ছবি, শিরিন এই ছবির একটি মডেল, আত্মবিশ্বাসী মডেল। হুমায়ুন আজাদের স্বাভাবসুলভ প্রথাবিরোধী লেখনী, চরিত্রের নিজের সাথে নিজের আত্ম-অনুসন্ধানী কথোপকথন আপনাকে দাড় করিয়ে দেবে জীবনের অনেক চমকে যাওয়া সত্যের সামনে, যা প্রতিদিন ঘটছে আশেপাশেই, কিন্তু সাদা চোখে ধরা পড়ে না, কাউকে না কাউকে এসে ধরিয়ে দিতে হয়, ধরা পড়লে, ঐ যে বললাম, চমকে যেতে হয়। সুপাঠ্য এবং অবশ্যপাঠ্য উপন্যাস, আমন্ত্রণ রইল।
নারীবাদের উপর একটি কোর্স পড়ার দরুণ এই অধমের সামান্য কিছু বেসিক নারীবাদীর লেখা পড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা বলে, পুরুষকে প্রধান এবং নারীকে আদার/other করে রাখার অথবা এক পক্ষকে দাবিয়ে রাখার এই আদিম চর্চার বিপক্ষে সচেতনতা/প্রতিবাদ হিসেবে নারীবাদের উৎপত্তি। সূক্ষ্ম ভাবে চিন্তা করলে পুরুষতন্ত্র বা প্যাট্রিয়ার্কি সবসময় পুরুষ হবে, এটা ভ্রান্ত ধারণা। বরং নারীও হয়ে উঠতে পারেন প্যাট্রিয়ার্ক, পুরুষকে অবদমন করে হয়ে উঠতে পারে মুদ্রার অপর পাশ। আজাদের এই উপন্যাসে নারীবাদী যেই সুর উপস্থাপন করার চেষ্টা হয়েছে, সেই চেষ্টায় কিছুটা শংকিত আমি। ডরিস লেসিং এর ছোটগল্প "টু রুম নাইন্টিন" এর সাথে ডক্টর শিরিন এর মিল পাওয়া যায়, আত্মপরিচিতি পুনরায় তৈরি করার জন্য সুসান এবং শিরিন উভয়ে বেছে নেয় একাকী জীবনযাপন। একজন উচ্চশিক্ষায় দীক্ষিত নারী শুধুমাত্র ভ্রান্ত নারীবাদী ধারণার জন্য প্রশ্ন করেন, "পুরুষমানুষ কি সবসময়ই একটু ইতর হন না? ( পৃঃ ২২)" এবং পুনরায় শিরীন পরে যান প্যাট্রিয়ার্কির জালে যেই জাল সম্পূর্ণ একটি লিঙ্গকে কন্সট্রাকটেড আইডিয়াতে বেঁধে ফেলেছে। শিরিন নিজেই মেইড সার্ভেন্টকে "রূপ খোলানোর" জন্য লিপস্টিক কিনে দিচ্ছেন, নিজের সৌন্দর্য নিয়ে চাপা অহংবোধ এ ভুগছেন, আদতে নারীবাদী "মাই চয়েস" নীতির আড়ালে জড়িয়ে গেছেন এক্সট্রা ম্যারিটাল এফেয়ার্সে যেটাও আবেগহীন। আজাদ একজন নারীকে দিয়েছেন পুরুষের জীবন, যদিও তাকে আদর্শ বলা যায়না, এবং এভাবেই একজন মানুষ হয়ে উঠতে পারত শিরিন আদতে হয়ে যান প্যাট্রিয়ার্ক শিরিনে।
হুমায়ুন আজাদের অন্যান্য উপন্যাসের চেয়ে এর ভাষা তুলনামূলক দুর্বল, কম সুন্দর। কাহিনির বিস্তৃতি ঘটাতে পেরেছেন যদিও কিন্তু যৌনতার অপব্যবহার করে মূল টোন-টা নষ্ট করে দিয়েছেন।
শিরিন তার নিজের জীবন বদলে দিয়েছে, ইচ্ছে করেই দিয়েছে, সেখানে তার স্বামী দেলোয়ারের কোন দোষ ছিল না।
পাঠক হিসাবে আমার বার বার শুধু একটা কথা মনে হচ্ছে, আসলেই কি দেলোয়ারের দোষ ছিল না?? আসলেই কি দেলোয়ার ভালবাসার মত একজন মানুষ ছিল?? শিরিন তো ঘটনাটি ভালবাসা থেকে ঘটায় নি, প্রেম থেকেও করে নি না আদিম উত্তেজনা থেকে, সেটা ছিল সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে, এবং খালেদ সে খেলার গুটি ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে খালেদ আমাদের সমাজের পুরুষদের উদাহরণ । তার মানে দেলোয়ারের সাথে আর শিরিন থাকতে চায় না, কোন কারণ ছাড়া যেহুতু আলাদা হওয়া যেত না, তাই সে কাজটি করেছে। দেলোয়ার কি আসলেই শিরিন কে ভালবেসেছে?? নাকি সুন্দরী উচ্চ শিক্ষিতা উচ্চ মর্যাদা সম্পূর্ণ নারীকে তার স্ত্রী হিসাবে পেয়ে সে গর্ব করছে?? স্ত্রী কি শুধু ভোগের?? অধিকারের?? সময় পেরিয়ে গেলে স্ত্রী কি শুধু প্রয়োজন?? স্ত্রীকে কি সন্মান করতে হয় না? পরবর্তীতে দেলোয়ারের ব্যবহারে আমি যথেষ্ট আহত হয়েছি, মানছি তার পুরুষ সত্ত্বাতে আঘাত লেগেছে, তাও সে কি একজন মানুষকে অসম্মান করতে পারে?? আর বিয়ে কি শুধুই টিকিয়ে রাখার বস্তু??
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পড়ে ফেলেন। আঘাত আঘাতে জর্জরিতে হবেন- মনের উপর থার্ড ডিগ্রী সার্জারী চলবে।তবে পুরানো খুঁটি আঁকড়ে ধরে পড়লে, ক্রমাগত বিচার করতে থাকলে পরে বদ হজম হয়ে যেতে পারে।
জঘন্য উপন্যাস। শেষ অবধি পড়েছি সব কিছুুর পেছনে যুক্তি কি ছিল তা দেখতে। মানে আমার পরিবর্তন দরকার সেজন্য অন্য একজনের সাথে অবাধে সেক্স করে সামাজিক প্রথা, নৈতিকতাকে ভেঙিয়ে নিজেকে কলুষিত করতে হবে? উনি যা বোঝাতে চেয়েছিলেন সেটা বোঝানোর জন্য এই পন্থা অবলম্বনের কোন মানে ছিল না। শুরু থেকে শেষ অবধি এক খামখেয়ালি মনের স্বেচ্ছাচারীতার নগ্ন দর্শন চোখে পরেছে।
গতরাতে উপন্যাসটি পড়ে শেষ করেছি৷ লেখক ডঃ শিরিনের চরিত্রকে যেভাবে চিত্রিত করেছেন ,বাস্তবে এমনটি হলে প্রতিটি পরিবারেই অশান্তির অনলে দগ্ধ হবে৷ লেখক কি কখনো তার স্ত্রীকে অপর পুরুষের সাথে রাত কাটাতে দেবেন? এমন স্বাধীনতা কোনো নারীই কামনা করে না৷ শুধু তারাই করতে পারে যারা মানসিক রুগী৷
বইটা নিয়ে এত হাইপ ছিল যে না পড়ে পারিনি। কিন্তু বরাবরের মত যৌক্তিক চিন্তাভাবনার অনেক অভাব তাঁর লেখনীর মাঝে। কোন একটা কারণে তাঁর লেখার মাঝে শারীরিক সম্পর্ক চলে আসে এবং এটা নিয়ে তার কাহিনী এগিয়ে চলে। আচ্ছা নরনারীর মাঝে শারীরিক চাহিদা ভালবাসার একটা অংশ কিন্তু একে এতটা বিকৃত করে দেখানোর কিছু নেই। একজন মানুষের মাঝে অনেক ভাবে পরিবর্তন আসতে। শুধুমাত্র অন্য কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার মধ্য দিয়ে এই পরিবর্তন আসবে এমন কোন কথা নেই। এবং ডঃ শিরিনের মাঝে যে ধরণের মেন্টালিটি তিনি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন বা তাঁর কাম্য নারী চরিত্র যদি বাস্তব ভাবে দেখা যায় তাহলে এটাই বলে চলে তার হুমায়ুন আজাদ জন্মানোর কোন রাস্তা আপাতত আর খোলা নেই। অন্য রাস্তায় বিষয়টা ভাবা দরকার। সমাজবিজ্ঞানীদের চিন্তাভাবনাকে তিনি বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়্র চলেছেন।
উপন্যাসের প্লট / মেসেজ'টা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। হুমায়ুন আজাদ বই'য়ের প্রথম থেকে মাঝ পর্যন্ত বেশ আবেগ দিয়েই লিখেছে পড়ে যা দেখলাম।
কিন্তু শেষের পার্টে ধস্তাধস্তি'র বিবরণ যে ভাবে উপস্থাপন করেছেন তাতে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয় নি আমার। অসন্তুষ্ট পাঠকদের মতো করে "চটি" ট্যাগ না দিলেও হাসি মুখে প্রশংসা করতে পারলাম না।
ভাল লাগে নাই। সত্যিই ভাল লাগে নাই। র্যাডিকাল ফেমিনিজম, অথবা যদি বলি এই বইয়ের ফেমিনিজমের ধারণা, আমি ত্যাগ করসি আগেই। সেইটা আমার বিচক্ষণতা, না দানা বেঁধে ওঠা সুপ্ত মিসোজাইনি তা জানি না। ভাল হইতে পারত বইটা। মোটামুটি সুন্দর একটা বিল্ডআপ দাঁড়া হইতেছিল। শেষমেশ দশপাতা জুইড়া কি যে হইল আমি জানি না।
Mind boggling. He brought out the deep rooted male domination on me. This book in particular is a proof how brilliant as a writer he was! OMG I was sometimes in rage and then in disbelief I found deep inside me there are rotten roots. This book made me to think deeply. This book made me to think for positive change and showed the area of development as a person. One of my favorites of all time.