ছোট্ট অনাথ ছেলেটিকে নিজের কাছে নিয়ে যান ফাদার ফ্রান্সিস। বছর কেটে যায়, আল্পসের কোলে এক নিভৃত চার্চে বড় হয়ে উঠতে থাকে সে। তারপর একদিন আচমকাই পৃথিবীর সামনে এসে দাঁড়ায় সাধারণ চেহারার সেই বাঙালি ছেলেটি। আলো-আঁধারির মধ্যে তার যাতায়াত। ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া—সর্বত্র ঘুরে বেড়ায় সে। ছায়াময় তার গতিবিধি, গোপনীয় তার কার্যক্রম। মাঝে মাঝেই সে আইনের নিয়ম ভাঙে, বেড়াজাল টপকায়। রেমব্রান্টের ছবি চুরি থেকে এডস রোগের ওষুধের ফর্মুলা বা ব্লাড ডায়মন্ড থেকে পুজোর কলকাতায় বোমাতঙ্ক, সমস্ত ভাল খারাপের নিয়মগুলোকে সে দাঁড় করায় প্রশ্নের সামনে। আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র থেকে শুরু করে ইন্টারপোল—সবাই তাকে খোঁজে, তার সাহায্য নেয়। বেশ কিছু অরফানেজ চলে তার উপর নির্ভর করে। সে বিষণ্ণতার চেয়ে শক্তিশালী, একাকিত্বের চেয়ে সাহসী, ঈগলের চেয়ে সজাগ। সে অদম্য, অদম্য সেন। এই বইয়ের ছ’টা গল্প সেই আলো-ছায়ার বিভেদরেখায় দাঁড়ানো ছেলেটির কাহিনিই বলে।
স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর জন্ম ১৯ জুন ১৯৭৬, কলকাতায়। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত। প্রথম ছোটগল্প ‘উনিশ কুড়ি’-র প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত। প্রথম ধারাবাহিক ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত। শৈলজানন্দ স্মৃতি পুরস্কার ২০১৪, এবিপি এবেলা অজেয় সম্মান ২০১৭, বর্ষালিপি সম্মান ২০১৮, এবিপি আনন্দ সেরা বাঙালি (সাহিত্য) ২০১৯, সানডে টাইমস লিটেরারি অ্যাওয়ার্ড ২০২২, সেন্ট জেভিয়ার্স দশভুজা বাঙালি ২০২৩, কবি কৃত্তিবাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩, উৎসব পুরস্কার ২০২৪, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড ২০২৪, আনন্দ পুরস্কার (উপন্যাস: '‘শূন্য পথের মল্লিকা') ২০২৫ ইত্যাদি পুরস্কারে সম্মানিত ।
A collection of new age thrillers involving a protagonist moving in the chiaroscuro of life, compact & pacy stories that respect the modern Bengali readers appreciation of life beyond Kolkata. Recommended.
অদম্য সেন। ছোটবেলায় বাবার মৃত্যুর পরে তাকে নিজের কাছে আশ্রয় দেন ফাদার ফ্রান্সিস। আল্পসের বুকে এক চার্চে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বড় হয়ে ওঠে অতি সাধারণ চেহারার এই বাঙালি ছেলেটি। কিন্তু এই ছেলেটিই বড় হয়ে উঠে করতে থাকে বিভিন্ন রহস্যময় কীর্তিকলাপ। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করে বেড়ানো এক ছায়াময়, রহস্যময় চরিত্র। কখনো আইনের পথে, আবার আইন ভাঙার পথে, কখনো চুরি করা, আবার কখনো বিস্ফোরণ ঘটানোয় উদ্যত হওয়া, সব কাজে তার অবাধ বিচরণ।
কী চায় সে?
টাকা। অনেক টাকা।
সেই টাকা দিয়ে বেঁচে থাকবে চারটে অনাথাশ্রমের নিরীহ শিশুরা। সেই শিশুরা, যারা চুরি বোঝে না, অপরাধ বোঝে না, শুধু বোঝে বেঁচে থাকার লড়াই। তাই অদম্যকে যে কাজেই ডাকা হয়, টাকা পেলে সে সেই কাজ করে দেয়, তা সে কাজটা আইনি হোক বা বেআইনি।
গল্পগুলো পড়তে পড়তে আপনি অনেক চরিত্র দেখতে পাবেন যেমন- নীল, প্রিমো, কিডো, ইত্যাদি আর মনে মনে খুঁজতে থাকবেন অদম্যকে। কিন্তু অদম্য কই? তার খোঁজ পাবেন গল্পের শেষে। কিন্তু তার আগে আপনার মস্তিষ্ক নিয়ে খেলতে খেলতে মনোযোগ সহকারে প্রতিটি লাইন, প্রতিটি শব্দ আপনাকে খেয়াল করে পড়তে হবে। অদম্য তার কাজ হাসিল করবে, ধরা পড়তে পড়তেও ধরা পড়বে না, আর মাঝে মাঝে মনে মনে বাবার বলা সেই লাইনগুলি গেয়ে উঠবে-
সেন অদম্য সেন!!! লেখকের ভাষায় "আমার কোনো নাম নেই শুধু যারা ধ্বংসকে, মৃত্যুকে আলো বলে বিক্রি করতে চায় আমি সেই আলোর প্রতিদ্বন্দ্বী মাত্র" একজন হাইলি স্কীলড এসাসিন, নানাবিধ অন্ধকার জগৎ এর নানা অজানা কাজ এর জন্য কন্ট্রাক্ট করা হয় তাকে। সে কোনো ওষুধের ফর্মুলা চুরি করার জন্য অথবা কোনো মাস্টারপিস ইউনিক ফটো চুরি করার জন্য, তার দাবি শুধু টাকা। কী করে সে এতো টাকা নিয়ে? আসলে তো সে বর্তমান যুগের রবিনহুড। যে টাকা সে কাজ বাবদ পায় তা চলে যায় তার বড়ো হয়ে ওঠা চার্চ এর ফাদার ফ্রান্সিস এর কাছে, যাতে কিছু অনাথ শিশু খেয়ে পরে থাকতে পারে। অসাধারণ একটি চরিত্র আর তার সাথে লেখকের প্রথম থ্রিলার এর প্রচেষ্টা কে অবশ্যই কুর্নিশ জানাতেই হয়।
পটভূমি -
ছোট্ট অনাথ ছেলেটিকে নিজের কাছে নিয়ে যান ফাদার ফ্রান্সিস। বছর কেটে যায়, আল্পসের কোলে এক নিভৃত চার্চ এ বড়ো হয়ে উঠতে থাকে সে। তারপর একদিন আচমকাই পৃথিবীর সামনে এসে দাঁড়ায় সাধারণ চেহারার বাঙালি ছেলেটি। আলো- আঁধারির মধ্যে তার যাতায়াত। ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া - সর্বত্র ঘুড়ে বেড়ায় সে। ছায়াময় তার গতিবিধি, গোপনীয় তার কাজকর্ম। মাঝে মাঝেই সে আইনের নিয়ম ভাঙে, বেড়াজাল টপকায়। রেমব্রান্টের ছবি চুরি থেকে এডস রোগের ওষুধ এর ফর্মুলা বা ব্লাড ডায়মন্ড থেকে পুজোর কলকাতায় বোমাতঙ্ক, সমস্ত ভালো খারাপের নিয়মগুলোকে সে দাঁড় করায় প্রশ্নের সামনে। আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র থেকে শুরু করে ইন্টারপোল- সবাই তাকে খোঁজে, তার সাহায্য নেয়। বেশ কিছু অরফানেজ চলে তার উপর নির্ভর করে। সে বিষন্নতার চেয়ে শক্তিশালী, একাকিত্বের চেয়ে সাহসী, ঈগলের চেয়ে সজাগ। সে অদম্য, অদম্য সেন।
পাঠ প্রতিক্রিয়া - এই বইয়ে আছে ৫ টি গল্প এবং একটি উপন্যাস বিস্ফোরনের একটু আগে কিয়ারোসকিউরো টোপ হীরকখচিত বিস্ফোরনের উৎসবে (উপন্যাস)
গল্প গুলোর ধরণ একটু একরকম লাগতে পারে যেহেতু প্রতিবারই আপনি অদম্য সেন কে খুজবেন আর প্রতিবারই সে চরিত্র গুলোর মধ্যেই কোথাও না কোথাও লুকিয়ে থাকবে, লেখক লেখনীর মাধ্যমে সুন্দর প্লট ও উত্তেজিনা তৈরী করেছেন, কয়েকটা জায়গায় রীতিমতো রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা আছে। গল্প গুলি পড়তে পড়তে অনেক সময় ইথান হান্ট (মিশন ইম্পসিবল) এর কথা মনে পড়বে। একটা বিষয় আছে আপনি গল্প ছেড়ে উঠতে চাইলেও উঠবেন না শেষটা না জানা অব্দি। এস্কেপ থিওরি গুলিও দারুন ভেবেছেন লেখক, ধরা পড়তে পড়তে কিভাবে লজিক্যালি বেঁচে যান নায়ক অবশ্যই তা আলাদা প্রশংসার দাবি রাখে।
লেখক সেফ খেলেছেন প্রথম থ্রিলার রচনার ক্ষেত্রে, পড়তে ভালো লাগবে, আর অদম্য চরিত্র টাই দারুন লাগবে আশা করি.
আগে সেকেন্ড পার্টটা পড়েছিলাম, তখন অদম্য সিরিজের ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম।তবে দ্বিতীয় সিরিজের তুলনায় এই সিরিজের গল্পগুলো ততোটা ভালো লাগেনি। অদম্য সেন - একে নিয়েই প্রতিটা গল্প। অদম্য প্রায় বলতে গেলে বাস্টার্ড সিরিজের বাস্টার্ডের মতো, নানান অপরাধ মূলক কাজের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়। পাঁচটি গল্প ও একটি উপন্যাস নিয়ে এই থ্রিলার সংকলনটি।সেগুলো হল - ১) বিস্ফোরণের একটু আগে ২) কিয়ারোসকিউরো ৩) টোপ ৪) হাতির গল্প ৫) হীরকখচিত ৬) বিস্ফোরণের উৎসবে
" বিস্ফোরণের একটু আগে " গল্পে দেখা যায় প্রোফেসর হৃদয়নাথ সোম দীর্ঘদিন গবেষণা করছেন ক্যান্সারের গ্রোথ কিভাবে বন্ধ করা যায় এর ওপর। কিছু সুবিধাবাদী মানুষ ষড়যন্ত্র করে, প্রোফেসর সমেত তাঁর আবিষ্কারকে ধ্বংস করার।তাদের সেই উদ্দেশ্য কি সফল হয় ? 🔺শেষ করার পরও মনে হয়েছে যেনো শেষ হল না, মনে একটা অতৃপ্তি রয়ে গেলো; লিরিল কে কি বাঁচানো গেলো🤔!!
" কিয়ারোসকিউরো " গল্পে আছে ফেমাস রেমব্রান্টের আঁকা শেষ বহুমূল্য ছবি চুরির কাহিনী। আর অবশ্যই এই অসাধ্য কাজ করবে অদম্য, কড়া সিকিউরিটি থাকার পরও সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে আসল ছবির জায়গায় নকল ছবি পাল্টা পাল্টি করে দেবে। পড়তে পড়তে তো আমার Dhoom 2 সিনেমার কথা মনে পড়ছিল।🤭
" টোপ " হল বন্ধুর হত্যার প্রতিশোধের কাহিনী। বন্ধুর হত্যাকারীকে টোপ দিয়ে সান কার্টেলের তিন মাথাকেও শেষ করে অ্যাডাম ওরফে অদম্য সেন। এক ঢিলে দুই পাখি মারে,এতে এশিয়ার ড্রাগ লিংকটাকে ধ্বংস হয়ে যায়। 🔺ছোটো গল্প। গল্পের বুনোন ভালোই তবে থ্রিলিং কম অনুভব করেছি, আরও ভালো হতে পারতো।
" হাতির গল্প " - এ আছে কনফ্লিক্ট ডায়মন্ড চুরি ও খুনের গল্প। এই গল্পটা তেমন কিছু লাগেনি। 🔺চরিত্রদের নাম গুলো বড্ড অদ্ভুত। গল্পটা ভালো লাগলো না, কে��ন যেন মিয়ানো লেগেছে আমার।
" হীরকখচিত " এটাও হীরে চুরির কাহিনী। তবে একটু অন্যরকম, চোরের ওপর বাটপাড়ি যাকে বলে। অদম্যকে তার মূল ফর্মে দেখলাম এখানে। 🔺গল্পটা বেশ ভালো লেগেছে।
" বিস্ফোরণের উৎসবে " এটি এই বইএর একমাত্র উপন্যাস। কলকাতা শহরের বুকে ঠিক দুর্গা পূজার সময় দুটি প্যান্ডেলে বোম প্ল্যান্ট করে এক দুষ্কৃতি।তার দাবি পূরণ না হলে, কলকাতার উৎসবের জায়গায় শ্মশান বানাতে বেশি দেরি করবে না।শেষপর্যন্ত কি বোম ব্লাস্ট আটকানো সম্ভব হবে ? 🔺প্রথম এরকম কোনো গল্প পড়লে তার চমৎকার লাগবে, কিন্তু কথা হচ্ছে অদম্য ২ এ এই প্লটের গল্প পড়েছি, তাই কিছু নতুনত্বের স্বাদ পেলাম না, তবুও বলবো গল্পগুলোর তুলনায় উপন্যাসটা ভালো লেগেছে। আর আদিল ও অদম্য দুজনেই আমার খুব প্রিয়।
"অদম্য" স্মরণজিত চক্রবর্তী রচিত একটি অনুপ্রেরণামূলক উপন্যাস, যা মানুষের সংকল্প, সাহস এবং স্বপ্নের প্রতি নিবেদনের গল্প। এই বইয়ে লেখক জীবনযুদ্ধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ একটি যুবকের কাহিনী বর্ণনা করেছেন, যিনি অসংখ্য বাধা এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেন। লেখকের ভাষা প্রাঞ্জল এবং হৃদয়গ্রাহী, যা পাঠককে কাহিনীতে ডুবিয়ে রাখে। চরিত্রগুলোর মানসিক সংগ্রাম এবং উত্থান-পতন খুবই জীবন্তভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রধান চরিত্রের সংগ্রাম শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং এটি সমগ্র সমাজের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে।
গল্পের বুনট - তথৈবচ চরিত্র গঠন - তথৈবচ সংলাপ - আরো তথৈবচ( খুন করার সময়, কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে, কেন মারলাম, কী জন্য মারলাম, কীভাবে মারলাম, এই সব এক নাগাড়ে কোন ভিলেন বলে ভাই?) প্রত্যেকটা গল্পের একটাই প্লট পয়েন্ট - ডবল ক্রস। যে যাকে পারছে ডবল ক্রস করছে। মনে হয় যেন আব্বাস মস্তানের সিনেমার গল্প থেকে টুকে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে, অদম্য সেন আমার মোটেই ভালো লাগেনি। এখনো অবধি যত বাংলা থ্রিলার পরেছি, তার মধ্যে একদম তলানিতে থাকবে।
Adamya is kind of superhero combo of James bond and robinhood. Indesdructible. A quick blending of lot of action, stunts, emotions, twists, love. Sort of Ramsey brother story but enjoyable just for fun.
সেন, অদম্য সেন। Yes. আমরাও বলতে পারি, আমাদের এখানেও লেখকরা আছেন জারা espionage spy thriller লিখতে পারেন। এবং বেশ লিখতে পারেন। অদম্য সেন কে protagonist করে উপন্যাস গুলো বেশ উপাদেয়। শুরু করলে শেষ না করে উঠা অসম্ভব। Highly recommended.
THOROUGLY ENTERTAINING!! Especially the last story was very good and enjoyable. short stories could get better but more or less all of these are quite entertaining. I enjoy the read!