Jump to ratings and reviews
Rate this book

তুলনাহীনা

Rate this book
Tale of a charming, free-spirited & intelligent socialite and her romance, on the politically unstable environment of early 1971.

152 pages, Hardcover

First published January 1, 2005

4 people are currently reading
70 people want to read

About the author

Syed Mujtaba Ali

82 books446 followers
Syed Mujtaba Ali (Bengali: সৈয়দ মুজতবা আলী) was a Bengali author, academician, scholar and linguist.

Syed Mujtaba Ali was born in Karimganj district (in present-day Assam, India). In 1919, he was inspired by Rabindranath Tagore and started writing to the poet. In 1921, Mujtaba joined the Indian freedom struggle and left his school in Sylhet. He went to Visva-Bharati University in Santiniketan and graduated in 1926. He was among the first graduates of the university. Later, he moved to Kabul to work in the education department (1927–1929). From 1929 to 1932 he studied at the universities in Berlin, London, Paris and Bonn. He earned Ph.D. degree from University of Bonn with a dissertation on comparative religious studies in Khojas in 1932.
In 1934-1935 he studied at the Al-Azhar University in Cairo. Subsequently, he taught at colleges in Baroda (1936–1944) and Bogra (1949). After a brief stint at Calcutta University (1950), Mujtaba Ali became Secretary of the Indian Council for Cultural Relations and editor of its Arabic journal Thaqafatul Hind. From 1952 to 1956 he worked for All India Radio at New Delhi, Cuttack and Patna. He then joined the faculty of Visva-Bharati University (1956–1964).

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
8 (17%)
4 stars
12 (25%)
3 stars
18 (38%)
2 stars
6 (12%)
1 star
3 (6%)
Displaying 1 - 5 of 5 reviews
Profile Image for Alamgir Baidya.
180 reviews5 followers
October 9, 2016
ভাল লাগেনি মোটেই! বইটা হাতে নেওয়ার দুটি কারণ - এক মুজতবা আলী, দুই মুক্তিযুদ্ধ। লেখক মুক্তিযুদ্ধকে কলকাতার মদ্যবিলাসি একদল উচ্চ-মধ্যবিত্তের প্রেক্ষিত থেকে দেখানোর যে চেষ্টা করেছেন তা শুরু থেকে দুর্বল এবং ক্রমশ হাস্যকর হয়ে উঠেছে। লেখক একমাত্র মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন শিপ্রা চরিত্রটি সৃজনে। শবনম থেকে টুনিমেম প্রতিবারই মুজতবা যে অনাবিল দক্ষতায় নারীচরিত্রগুলিকে এঁকেছেন পাঠকের মানসলোকে তুলনাহীনার শিপ্রা যেন তারই বিস্তার। সেটুকু বাদ দিলে এই উপন্যাস মুজতবা-গুনগ্রাহি পাঠককুলকে কেবল হতাশই করবে।
May 8, 2020
উপন্যাসের তুলনাহীনা একদা প্যারীস নিবাসী কলকাতার সোসাইটি লেডি শিপ্রা রয়। তার প্রেমিক সিলেটের জমিদার কীর্তি চৌধুরি, বন্ধু খান এদের ঘিরেই উপন্যাসটি আবর্তিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়টায় পুব-বাঙলায় সংগঠিত হতে থাকা মুক্তিবাহিনী আর শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়া বাঙাল ভাইদের জন্য চাল-ডাল-ওষুধ আর টাকাপত্র তোলার অক্লান্ত পরিশ্রমে নিয়োজিত কীর্তি, শিপ্রা, খান চরিত্রগুলোর মাধ্যমে তৎকালীন কলকাতাকেন্দ্রিক পশ্চিমবাঙলার উপরতলার মানুষজনের দেশ-কাল-রাজনীতি ইত্যাদি নিয়ে ভাবনার স্কেচ এঁকেছেন লেখক। অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক নানান ভাবনাসহ সময়টাকে ধরতে চেয়েছেন তুলনাহীনা শিপ্রার কীতা অর্থাৎ কীর্তির প্রতি প্রেমকে উপজীব্য করে। স্বভাবজাত ভঙ্গিতেই চিরন্তনি প্রেমকে এঁকেছেন রবি ঠাকুরের কবিতা আর নানান দেশের কবি-সাহিত্যিক-দার্শনিকের ভাবনা ইত্যাদির আশ্রয়ে। এটাই মুজতবা আলী রচিত শেষ উপন্যাস। চরিত্র চিত্রায়ন ডিটেইলড হলেও সময়টা উত্তাল '৭১ বলেই হয়তো গল্পের গতি এগিয়েছে অনেকটা খাপছাড়া ভঙ্গিতে। সর্বোপরি চরিত্র, বিশেষত নারী চরিত্র চিত্রণে আলী সাহেবের মুন্সিয়ানার আরেকটা মাইলফলক তুলনাহীনা।
Profile Image for Yeasmin Alo.
201 reviews386 followers
December 5, 2020
🌟🌟২.৫🌗

স্কুলে যখন ছিলাম তখন কিছু গদ্য দেখে মনে হত এইটা কি বাংলা ভাষা না অন্য কিছু! প্রকৃতপক্ষে বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা কিনা সে নিয়ে সন্দিহান হয়ে পরি কিছু লেখা পড়লে,
এইটা পড়ে তাই মনে পরে গেল আবার! যাই হোক শেখার ও জানার অনেক কিছু বাকি
একটু সরল ভাষার বই লেখা খুব কি কঠিন!
বাংলা, হিন্দি, সংস্কৃত, ইংরেজি, উর্দু সব কিছু মিলে লেখার কি মানে আমি বুঝি না
যেন লেখনী যত বেশী দুর্বোধ্য হবে ততোই যেন জ্ঞানের বর্হিপ্রকাশ ঘটবে
যাই হোক মূল গল্পটাও আমার কাছে আটপৌরে মনে হয়েছে
Profile Image for Kripasindhu  Joy.
542 reviews
November 5, 2022
মুজতবা আলীর আর যত লেখা পড়েছি এখন পর্যন্ত,তার মাঝে সবথেকে কম ভাল লেগেছে এটা।যদিও শবনম ছাড়া উনার আর কোনো উপন্যাস পড়া হয়নি।
Profile Image for Soham.
81 reviews5 followers
December 6, 2021
লেখকের কাছে প্রত্যাশা সাধারণের থেকে খানিক বেশি ছিল বলেই হয়ত বেশি হতাশ হলাম। আঁটুল-বাঁটুল যে কেউ এ লেখা লিখলে তিন তারা দিতে হাত আটকাতো না। অজিত আগরকর কোনোদিন কেঁদেককিয়ে পঞ্চাশ তুললেই হাততালি দিয়েছি আমরা, কিন্তু সচিন তেণ্ডুলকর পঁচানব্বইয়ের ঘরে স্লিপে ক্যাচ তুলে থামলেও হাহুতাশই আসত কেবল। এও তেমনই।

তুলনাহীনার সমস্যা মূলত দুটি।

১. মুজতবার গদ্যের অনণুকরণীয় বৈশিষ্ট্য, কাহিনী বা সংলাপের সূত্র ধরে লেখক চলে যান ডিং মেরে কখনও মোগল আমল কিংবা ইওরোপের সামাজিক ইতিহাসে, সাহিত্যে, কখনও গ্রিক বা রোমান পুরাণে, কখনও বা পুরাণে বা ইসলামিক ধর্মতত্ত্বের প্রসঙ্গে। অজস্র রেফারেন্স, চুটকি গপ্প, দেশাচার লোকাচারের টোটকা কাহিনী। দেশে বিদেশে বা চাচা কাহিনীতে এইসকল রেফারেন্সকেই মনে হত নদীকূলের প্রমোদ উদ্যানে প্রেমিকের কণ্ঠলগ্না প্রেয়সী। এই প্রথম কোনো লেখায় একাধিক জায়গায় মনে হল রেফারেন্স, উপমা ও অন্যান্য তথ্য কাহিনীর গলায় জড়িয়ে গিয়েছে, যেমন করে মাঝনদীতে সাঁতারুর গলায় জড়িয়ে পড়ে আরেক মজ্জমান।
বেদনার্ত হলুম। ওই যে, সচিনের পঁচানব্বই।

২. একেবারেই সমকালীন ঘটনা নিয়ে উপন্যাস। সেই কারণে হয়ত কাহিনী অংশ একটু ছন্নছাড়া। একাত্তরের সংগঠিত গণহত্যাকে "বিধর্মী ভারতের চরদের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ" বলে চালানোর যে একটা উদগ্র আগ্রহ ছিল পাকিস্তানি জুন্টা ও রাজাকার-আলবদর আদি পাকিস্তানপন্থীদের পক্ষ থেকে, আলিসায়েবের মত আদ্যন্ত অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তির কাছে যে সেটা অসহ্য ঠেকবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু সমকালে দাঁড়িয়ে সেটাকে পদে পদে নাকচ করতে গিয়ে খানিক বেশিই হয়ত কথা হয়ে পড়েছে ইয়াহিয়া-ভুট্টো শিয়া না সুন্নি, এথনিক কিজিলবাশ না সিন্ধি নাকি পাঠান, কার পূর্বপুরুষ কবে ধর্মান্তরিত হয়েছেন, বাপমায়ের বিবাহ সিদ্ধ না অসিদ্ধ, অপারেশন সার্চলাইটের আক্রমণ মহরমের মাসে হয়েছিল কি হয়নি এইসকল টেকনিকালিটি নিয়ে। এগুলো তাদের হিপোক্রিসিকে হয়ত আরও প্রকট করে। কিন্তু তৎসত্ত্বেও, গৌণ ডিটেল।
"মুসলমান" ইয়াহিয়া-ভুট্টোর হাতে বাংলাদেশে মুসলমানরাও আক্রান্ত হয়েছেন নির্যাতিত হয়েছেন অসংখ্য, এই তথ্যে জোর দিতে গিয়ে কোথাও যেন এই কথাটা ঢাকা পড়ে গেল যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর উপরেই পৈশাচিক আক্রমণের প্রধান চোটখানা পড়েছিল। আওয়ামিলীগার ও অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধপন্থীদের কোতল করার সময় যে গালিটি বহুবার ব্যবহৃত হয়েছে: "গদ্দার, কাফের, ইণ্ডিয়ার দালাল, হিন্দুদের দালাল।" টিক্কাবাদীরা সজোরে প্রচার করেছিলেন, বাংলাদেশের মুসলমান অর্ধ-হিন্দু। যাতে পাঞ্জাবী পাঠানের হাতে ধরা রাইফেলের বেয়নেট না কাঁপে। কাঁপেওনি।

এ লেখায় ক্রুদ্ধ আবেগ কিঞ্চিৎ বেশি যেন। আবেগী মর্নিংস্টারের পাঁচমণী কোঁৎকায় ইয়াহিয়াবাদীদের প্রোপাগাণ্ডাগুলিকে চ্যাপটা হয়ে যেতে দেখলাম, যদিও হিটলার প্রসঙ্গে যে স্থির ধীর অনন্য যুক্তির ফেন্সিং দেখে অভ্যস্ত সেইটির খানিক অনুপস্থিতি। তবে একাত্তরের পিশাচনৃত্যের পরে একই সময়কালে দাঁড়িয়ে সিলেটের বাঙালের থেকে ওইটুকু সেন্টিমেন্টাল গদ্য প্রত্যাশিত। বইটি, বোধহয়, বাহাত্তর নাগাদ প্রকাশিত। উৎসর্গ, খান সেনাদের হাতে নিহত পরম স্নেহের ভাগ্নে ওয়ালীর উদ্দেশ্যে।
আর হ্যাঁ, বড় তাড়াহুড়ো করে, বড়ই হঠাৎ যেন শেষ হয়ে গেল বইটে। সেটা অবশ্য রচনার ত্রুটির বদলে নেশাতুর পাঠকের দুর্বলতা হিসেবেই ধরতে পছন্দ করব। দেশে বিদেশের শেষে আবদুর রহমান পাগড়ি উড়িয়ে দেওয়ার পরেও মনে হয়েছিল, "যাঃ, এরই মধ্যে বাতি নেভার বেলা এল!"

উপমহাদেশের রাজনীতির ডায়নামিক্স সম্পর্কে লেখকের কিছু পলিটিকাল অনুসিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত হতে পারিনি, কিন্ত�� তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বিষয়ে সংশয়ের অবকাশ নেই। বিশেষ, আলিসায়েব প্রয়াত হয়েছেন ১৯৭৪ সালে, আজকের 'নতুন' বাংলাদেশের জন্মসাল পঁচাত্তরের কালবেলা তিনি দেখে যাননি। ও বাবদে তাঁকে কাঠগড়ায় তোলা যাবে না। বাংলাদেশের ক্রিকেট মাঠে পাকিস্তানকে সমর্থনের যুক্তি প্রতিযুক্তি নিয়ে যে ফিয়াস্কো চলছে তা দেখলে তিনি কী মত রাখতেন তা হলফ নিয়ে বলতে না পারলেও অনুমান করা যায়। আজীবন নাজীশাহীর বিরুদ্ধে কলম শানিয়ে এসে শেষ বয়সে তিনি নরকে হিটলারকে ডিমোশন দিয়েছিলেন কেবলমাত্র ইয়াহিয়ার জন্য। কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে কর্মরত ইহুদি কোলাবরেটরদের সাথে রাজাকার আলবদরদের একটা তুল্যমূল্য বিচার, এই বইতেই আছে।

পাঁচে আড়াই দিতে হল। কলকাতা ডার্বি নিয়ে বিন্দুমাত্রও আবেগ নেই, কিন্তু পছন্দের টিম চূড়ান্ত খারাপ খেলার পরে রেফারি আর লাইন্সম্যানের দোষ ধরার মত যুক্তি ফুরিয়ে ফেলে ঘরে ফিরতে অন্ধ সাপোর্টারের কেমন লাগে, তার খানিক আন্দাজ পেলুম।
Displaying 1 - 5 of 5 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.