What do you think?
Rate this book


93 pages, Hardcover
First published February 1, 1999
এলু মুকুদ্দপুর রেলস্টেশনের চায়ের দোকানে লোকসান দিয়ে দোকানটিই বিক্রি করে দিয়েছে। গেরস্থালি করে এখন। বছরের খোরাক হয় না। মোতালেবের পুরানো ব্যবসা ভাল চলছে না বলে রাজনীতির ব্যবসায় পরখ করায় ব্যস্ত। রফিক কোনোদিনও বড় হবেনা জেনেও ব্যাংকে একটা ছোট চাকরি করে কোনোমতে অস্তিত্ব ঠিকিয়ে রেখেছে। সায়রার নষ্ট হবার যৌবনও আজ হারিয়ে গেছে। গ্রাম ছেড়ে কোথায় গেছে, কে জানে। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে তাজুলের শরীরের ডান অংশ অবশ এখন। এদের কারুরই আর স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন নেই। মৃত্যুর পরোয়ানা আসছে না বলেই এঁরা বেঁচে আছে। এ বাঁচাকে জীবন বলেনা। নিজেদের অর্জিত দেশে পরবাসী হয়ে আছে। অসভ্য দেশে যে এমনই নিয়ম। অথচ এঁরাই ছিল আমাদের মাঠের মুক্তিযুদ্ধের এক একটি স্ফুলিঙ্গ। এরা ইতিহাসে নেই, বর্তমানে নেই আর অদূর ভবিষ্যতে যে থাকবে না, তাও আমরা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছি। এরা কেউ না, কিন্তু এরাই বাংলাদেশ।