সুশীলকুমার পাত্র চন্দনপুর বয়েজের দোর্দন্তপ্রতাপ অংক শিক্ষক। অন্যতম শক্ত শক্ত অংক দিয়ে ছাত্রদের নাস্তানাবুদ করা। সরু গোঁফ ও লম্বা নাকের এই সুশীলবাবু স্যার হঠাৎ হয়ে উঠলেন কোকিলস্যার। কারণ আর কিছুই নয়। ধমকাতে ধমকাতে হঠাৎ তার গলা থেকে কুহু কুহু বেরিয়ে এল চমকে দিয়ে সকলকে। একি হল তাঁর.... কথা বলতে গেলেই এমন উদভুট্টি কোকিলের স্বর এল কেমন করে?
Prachet Gupta(alternative spelling Procheto Gupta or Prachet Gupta or Procheta Gupta; Bengali: প্রচেত গুপ্ত, porocheto gupto) born 14 October 1962) is a Bengali writer and journalist. In 2007, his work Chander Bari has been adapted into a Bengali film by director Tarun Majumdar. In 2011, director Sekhar Das made film on Gupta's story Chor-er bou ("Wife of a thief"), the film was named Necklace. One of the front runners in contemporary Begali literature, few of his stories have been translated into Hindi, Oriya and Marathi language. He is a key writer of the magazine Unish-Kuri, Sananda, Desh.
Early Life: Gupta spent his childhood in Bangur Avenue and studied in Bangur Boys school. He started writing from his childhood. His first story was published in Anandamela when he was only 12 years old. Later his literary works were published in many more magazines. He completed his graduation from Scottish Church College, Kolkata.
Awards: Bangla Academy's Sutapa Roychowdhury Smarak Puraskar (2007) Shailajananda Smarak Samman (2009) Sera Sahityik Puraskar by Akash Bangla(2209) Ashapurna Devi Birth Centinary Literature Award (2009) Gajendra Kumar Mitra O Sumathanath Ghosh Smarak Samman (2010) Barna Parichay Sharad Sahitya Samman(2010) Most Promising Writer Award By Publishers and Bookseller's Guild (Kolkata Book Fair)-2011
প্রথমে একটা অংকের উদাহরণ দি : ১৫০০ মিটার লম্বা একটা খাল কাটার ১৭ দিনের মাথায় দেখা গেল কাজ হয়েছে তিন চতুর্থাংশ। এই কাটা অংশের অর্ধেক জল ভরতে লাগল সাড়ে তিন দিন। এবার সেই কাটা খাল দিয়ে একটা কুমির ঢুকে গেলে তার দৈর্ঘ্য কত হবে? ঘন্টা প্রতি তার গতিবেগই বা কী হবে?
এরকম সব অদ্ভুত অংকের স্রষ্টা সুশীলকুমার পাত্র। যিনি চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের অংক শিক্ষক।তার অন্যতম কাজই এরকম শক্ত শক্ত অদ্ভুত অদ্ভুত অংক দিয়ে ছাত্রদের নাস্তানাবুদ করা। সরু গোঁফ ও লম্বা নাকের এই সুশীলবাবু স্যার হঠাৎ হয়ে উঠলেন কোকিলস্যার।
কীভাবে ঘটলো সেটা নিয়েই এই হাস্যরসাত্মক কিশোর গল্প। এর আগে ছোটবেলার চিরসাথী অদ্ভুতুড়ে সিরিজ পড়ে খুব মজা পেতাম। এটা পড়ে খানিকটা সেরকমই স্বাদ পেয়েছি। লেখকের পড়া এটাই আমার প্রথম গল্প। নামটা পেয়েছি বন্ধু ইশরাতের কাছ থেকে। যাইহোক বেশ উপভোগ করেছি।
খুব মজা পেয়েছি বইটা পড়েছি! কথা হলো কোনো বই যদি আমাকে হাসাতে পারে তাহলে বাকি সব মাফ। তো এই বইটাও ছিল তেমন। খুব হেসেছি, খুব আনন্দ পেয়েছি। কার কেমন লাগবে জানি না, তবে আমি বেশ আনন্দ পেয়েছি বইটা পড়ে....
যদি মন খারাপ থাকে/বিরক্ত লাগে, তবে এই বইটা পড়ে দেখতে পারেন... হয়তো মন ভাল করতে পারবে বইটি ❤
"যম জামাতা ভাগ্নে এই তিন নয় ত্রিভুবনে আপনার"এরকম প্রবাদ বাক্যের মত আমার জন্য "যম জামাতা অঙ্ক এই তিন নয় বালিকা তোমার জন্য"কিংবা মীনা কার্টুন এর দৈত্যের ইচ্ছে পূরণ করার মত আমাকে যদি বলা হয় "তুমি কি সিনেমার নায়িকা হতে চাও" আমি অকপটে তবে বলব, "না আমি অঙ্ক ভুলতে চাই।"
কাঞ্চনগড়ের এমনি এক ভয়াবহ অঙ্কস্যার যিনি সমানুপাতিক অঙ্কের মধ্যে ক্ষেত্রফল এবং ক্ষেত্রফল অঙ্কে কোনানুপাতিক ঢুকান,যার ভয়ে স্কুলে সবার থরথর কেঁপে উঠে তারই গলা দিয়ে বের হওয়া কোকিল ডাক আর তাই নিয়ে ঘটতে থাকা মজার ঘটনা নিয়ে কাহিনী.সময় কাটানোর জন্য মন্দ লাগেনি
আমি ভাবতাম,রাগী মানুষদের শুধু বাচ্চারা-ই অপছন্দ করে। এটা সম্পূর্ণ ভুল একটা ধারণা। আদতে রাগী মানুষকে নিজের আপন জন ও পছন্দ করেন না,মেশেন দায়ে পড়ে। গম্ভীর, রাগী, বদখত একটা মানুষের সাথে হয়ত কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে কাজের কথা বলা যায় কিংবা নিতান্ত প্রয়োজনের বার্তালাপ। এর বেশি কিছু সম্ভব নয় কোন ভাবেই। আমি নিজেও কথা বলতে ভালোবাসি,প্রয়োজনের কথা না,অকারণে বকবক করতে ই ভাল্লাগে। চুপচাপ, অকারণ নিরবতা কেন জানি আমার পছন্দ নয়। সব সময় গুরু গম্ভীর, প্রয়োজনের আলাপ করতে হবে,এমন কথা কোন নথিতে ও লেখা নেই।
আমার ছোট কালে যত স্যারদের কাছে পড়েছি,সবাই মোটামুটি গল্প করত,হাসি ঠাট্টা করত। একেবারে গুরুগম্ভীর স্যার তেমন কাউকেই পাই নি। আমি নিজেও যখন বাচ্চাদের পড়াই, তাদের সাথে খুব মিশে যাই। ফলে এরা যত রকম দুষ্টামি সব আমার সাথেই করে। আমার একটা ছাত্র ছিল,সে প্রতিদিন আমার জন্য ধাঁধা বানিয়ে রাখত,আমি প্রায় দিন উত্তর দিতে পারতাম,মাঝে মধ্যে পারতাম না,এটা নিয়ে কত হাসাহাসি মজার একটা ব্যাপার। এই সুন্দর ব্যাপারগুলোই আসলে স্মৃতির অ্যালবামে অক্ষয় হয়।
কিন্তু কাঞ্চগড় বয়েস স্কুলের অঙ্ক স্যার মোটেই হাসি খুশি,ফুর্তিবাজ ধরনের নন। বরং উল্টো। বাচ্চাদের জব্দ করতে ভালোবাসেন। কঠিন কঠিন অঙ্ক দিয়ে বাচ্চাদের ভীতির মধ্যে রাখেন সারাক্ষণ! শুধু তাই নয় ব্যক্তি জীবনেও এই লোক ভয়াবহ গম্ভীর আর রগচটা। ফলে অঙ্ক স্যার বা সুশীল বাবু বললেই সবাই তটস্থ হয়ে থাকতো।
এই সুশীল বাবু একদিন নিজের করা ভুলের গভীরতা বুঝতে পেরেছিলেন। কাজেই, বাচ্চাদের সাথে তার সম্পর্ক সহজ হয়েছিল। 'আশির ঘরে নম্বর পেলে দু’বার হাততালি, নব্বইয়ের উপর নম্বর পেলে তিনবার টেবিল চাপড়ানো।’ নীচে সই করা ‘কোকিলস্যার’! যে বাচ্চাদের এত অভিনব ভাবে উৎসাহ দিতে পারেন,তার সাথে সহজ হওয়া যায় এবং মন থেকে ভালোবাসা যায়। কিন্তু কেন এই পরিবর্তন? রগচটা সুশীল পাত্র কী এমন অনুভব করলেন,যার জন্য এতটা পরিবর্তন করলেন নিজেকে?
বাচ্চাদের লেখা আমি ভীষণ প্রিয়। পেলেই গিলে ফেলি এমন অবস্থা। সেদিন গুডিতে বইটা দেখে,বড়-ভাইয়ের থেকে নিলাম। এর আগে প্রচেত গুপ্তের লেখা পড়িনি। এটাই প্রথম, ভালো লেগেছে। সারল্য আছে,বাচ্চাদের লেখা এমনই হওয়া উচিত। হেসেছিও প্রচুর। সুখ পাঠ্য।
অতীবগম্ভীর আর বাঁজখাই গলার রাগী শিক্ষক সুশীল বাবু । হঠাৎ করে ঘটনাটা ঘটলো । তিনি দেখলেন যে , উত্তেজিত হয়ে গেলেই তিনি আর বাঁজখাই গলায় কথা বলতে পারছেন না । কন্ঠ দিয়ে কোকিলের মতো মধুর কুহু কুহু ধ্বনি বের হয় । এটা নিয়েই মজার সব কান্ড ঘটতে থাকে । শেষটা ভালো ছিলো 👌
প্রচেত গুপ্তের সাথে পরিচয় সানডে সাসপেন্সের গল্প শোনার মাধ্যমে। সেদিন একটি ছোট গল্প খুঁজতে গিয়ে কিশোর কাহিনি সিরিজের এই বইটির সন্ধান পাই। জীবনে নির্মল আনন্দ লাভ ও মেজাজি স্বভাব পরিহার কতটা জরুরি তাইই এই বইটির মূল বার্তা।
কাঞ্চনগড় বয়েজ স্কুলের অংকের শিক্ষক সুশীল পাত্র দীর্ঘ সাঁইত্রিশ বছর ধরে ছাত্রদের নাকানিচুবানি খাইয়ে যাচ্ছেন। অংকের শিক্ষকরা নাকি মেজাজি হন। তিনিও এই চিরাচরিত নিয়মকে বজায় রেখেছেন। ক্লাসে ছাত্রদের জটিল সব অংক দিয়ে ঘাম ছুটিয়ে দেন। যদি দেখা যায় কোনো অংক ছাত্ররা সমাধান করে ফেলেছে, তখনই নতুন অংক তৈরিতে নেমে পড়েন। যে ছাত্ররা অন্যান্য বিষয়ে আশি বিরাশি পায়, সেখানে অংকে তারা পায় আড়াই বা সাড়ে তিন। সুশীলস্যার চান স্কুলে শুধু অংক বিষয়টা যেন পড়ানো হয় এবং সেই কথা প্রধানশিক্ষককেও জানান। স্কুলে একজনই অংকের শিক্ষক, তাই প্রধানশিক্ষকও খানিকটা সমীহ করে চলেন। সুশীলস্যারের অংকের একটি নমুনা দেখা যাক, '১৫০০ মিটার লম্বা একটি খাল কাটার ১৭ দিনের মাথায় দেখা গেল কাজ হয়েছে তিন চতুর্থাংশ। এই কাটা অংশের অর্ধেক জল ভরতে সময় লাগল সাড়ে তিন দিন। এবার সেই কাটা খাল দিয়ে যদি একটি কুমির ঢুকে পড়ে তা হলে তার দৈর্ঘ্য কত? ঘন্টা প্রতি তার সাঁতারের বেগই বা কী হবে?'
সুশীলস্যার একদিন শিক্ষক মিলনায়তনে বসে খাতা দেখছিলেন। পিওনকে ডাকতে গিয়ে মুখ দিয়ে কোকিলের ডাক 'ক���হু কুহু' বের হয়ে আসে। আশ্চর্যজনক ঘটনা। নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাই বাথরুমে গিয়ে পুনরায় কথা বলতে চেষ্টা করেন এবং কথার শ��ষে আবারও কোকিলের ডাক বের হয়। এ কেমন বিপদে পড়লেন তিনি! দ্রুত বাড়ি চলে যান কারণ স্কুলে জানাজানি হলে পুরো কাঞ্চনগড় জেনে যাবে যে সুশীলস্যার কোকিল হয়ে গিয়েছেন। এখন উপায়? কীভাবে তিনি এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন?
শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের বইয়ের বাইরেও যে একটি সুন্দর জীবন আছে এবং সেই জীবনে আনন্দের দরকার রয়েছে তাকে উপলক্ষ করেই বইটি রচিত। বইটি পড়তে গিয়ে অনেক হাসির খোরাক পাওয়া যাবে। একইসাথে কাঠখোট্টা স্বভাব থেকে বেরিয়ে সকলের সাথে আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেওয়ার ব্যাপারটাও রয়েছে। কিশোরদের জন্য লেখা হলেও বইটি আমার ভালো লেগেছে। হ্যাপি রিডিং।
মানুষের কন্ঠে কোকিলের ডাক। হতেই পারে তবে সেটা যদি অটোমেটিকলি হয়ে যায়? কথা বলার ফাঁকে ফাঁকে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে?তাও আবার স্কুলের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অঙ্ক শিক্ষকের গলায় যে কিনা ছাত্রদের মারাত্মক মারাত্মক কঠিন অঙ্ক দিয়ে ভয়ের মধ্যে রাখত। মজার একটা প্লট ছিল!
বইটা কিনেছিলাম গত বছর পুজোয়, নবমীর দিনে। আজ পড়ব, কাল পড়ব করতে গিয়ে প্রায় একটা বছর গড়িয়ে গেল। পড়া শেষ করে অবশ্য মনে হল, এতদিন ফেলে রাখাটা ঠিক হয়নি। গপ্পোটা দারুণ!
কাঞ্চনগড় বয়েজ স্কুলের বদরাগী অঙ্কের মাস্টার, সুশীল পাত্র। উদ্ভট অঙ্ক থ্রো করে ছাত্রদের নাস্তানাবুদ করাতেই তার মজা। খিটখিটে, অস্থির মানুষটি ব্যক্তিগত জীবনেও অঙ্ক ছাড়া অন্যকিছু বোঝেন না। এহেন অঙ্কপাগলের জীবনে একদিন ঘোর দুর্যোগ ঘনিয়ে আসে। মানুষের স্বাভাবিক কণ্ঠস্বরের পাশাপাশি তার গলা বেরোতে থাকে কোকিলের মতো 'কুহু-কুহু' ডাক। অদ্ভুত রোগ! এই কোকিল-রোগ নিয়ে অঙ্ক মাস্টারের চাপানউতোরকে ঘিরেই গল্প। আনন্দমেলার অন্যান্য কিশোর উপন্যাসের পথে পা না বাড়িয়ে এই কাহিনির শেষটিও ভালোভাবে করা হয়েছে।
তবে গোড়ার দিকে ভাষা কিছুটা আড়ষ্ট মনে হল। এবং এক জায়গায় তিনশো-ষাট ডিগ্রি মাথা ঘোরালে তবে পিছনে মাথা ঘুরবে, এমন কথা লেখা আছে। যেটা কিনা আসলে একশো-আশি ডিগ্রি হওয়ার কথা। এইসব ক্ষুদ্র খামতির জন্যই এক-তারা বাদ। নইলে ব্যাপারটা জম্পেশ। আর অবশ্যই আন্ডাররেটেড। মন ভালো করা গল্পের চাহিদা থাকলে অবশ্যই পড়া উচিত।
সুশীলকুমার পাত্র চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের অংকমাস্টার। ছেলেদের কঠিন অংক দিয়ে নাস্তানাবুদ করে মজা পান তিনি, সাথে আছে তার বদমেজাজ আর ধমক দিয়ে কথা বলার অভ্যাস। একদিন হঠাৎ তার মুখ থেকে কথার মাঝে মাঝে কোকিলের ডাক আসা শুরু করল। তারপর তার কোকিল ডাক সারাতে নানা ডাক্তার দেখানো, বদমেজাজ দূর হয়ে নরম শান্ত হয়ে যাওয়া
গল্পটা ভালোই ছিল। টাইমপাস করার জন্য পড়া যেতে পারে।
My childhood will remain incomplete without this book. I still remember my class three self telling the author that "You can send your book but no book can ever be better than Gosaibaganer Bhoot." Re-reading this following a random whim on a rainy afternoon fills my heart with the unfamiliar hope — not everything that belongs to the past has to be dreadful and scary, sometimes the past is a casket of comfort too.
মজার বই। ছাত্রদের কঠিন কঠিন অঙ্ক দিয়ে নাস্তানাবুদ করে তিনি সুখ পান বাজখাঁই গলার সুশীল পাত্র তথা অঙ্ক স্যার। তার এই কর্কশ কন্ঠে বিরক্ত তার স্ত্রীও। তা একদিন ছেলেদের অঙ্কের খাতা দেখে আর তাতে এক অঙ্কের নম্বর দিতে দিতে হঠাৎ করেই বুঝতে পারেন কথা বলতে গেলেই মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে কোকিলের কুহুতান। বানানো নয়, সুরেলা কণ্ঠই। স্যার চলে যান আইসোলেশনে। ডাক্তার দেখানো শুরু করেন কিন্তু কেউ ধরতে পারে না সমস্যাটা কোথায়। কিন্তু সুশীল পাত্র আবার ঠিক হয়ে ওঠেন। কীভাবে? তাহলে পড়েই দেখুন।
ইশকুলের সবচেয়ে ভয়ংকর স্যারের গলা দিয়ে শোনা যাচ্ছে কোকিলের ডাক। মজার একটা প্লট ছিল। অদ্ভুতুড়ে সিরিজের গল্পগুলোর মত। সহজ সরল একটা গপ্পো। বেশ ভালই। লেখাও ভাল। মধুরেণ সমাপয়েৎ! ভালই লেগেছে আসলে!