Muhammed Zafar Iqbal (Bengali: মুহম্মদ জাফর ইকবাল) is one of the most famous Bangladeshi author of Science-Fiction and Children's Literature ever to grace the Bengali literary community since the country's independence in 1971. He is a professor of Computer Science & Engineering at Shahjalal University of Science and Technology (SUST). Before that, Iqbal worked as a research scientist in Bell Communication Research for six years until 1994.
Birth and Family Background: Iqbal was born on 23 December 1952 in Sylhet. His father, Foyzur Rahman Ahmed, was a police officer. In his childhood, he traveled various part of Bangladesh, because of his father's transferring job. Zafar Iqbal was encouraged by his father for writing at an early life. He wrote his first science fiction work at the age of seven. On 5 May 1971, during the liberation war of Bangladesh, the Pakistan's invading army captured his father and killed him brutally in the bank of a river.
Education: Iqbal passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1968 and HSC exam from Dhaka College in 1970. He earned his BSc in Physics from Dhaka University in 1976. In the same year Iqbal went to University of Washington to obtain his PhD and earned the degree in 1982.
Personal Life: Iqbal married Dr. Yasmeen Haque in 1978. Yasmeen is the Dean of the Life Science Department, Head of the Physics Department, Provost of the Shohid Janoni Jahanara Imam Hall and a researcher at SUST. They have two children - son Nabil and daughter Yeshim. Yeshim translated the book Amar Bondhu Rashed (Rashed, My Friend) written by her father. Iqbal's elder brother, Humayun Ahmed, was the most popular author and film-maker of Bangladesh since its independence. Humayun died after a nine-month struggle against colorectal cancer on the 19 July 2012. His younger brother, Ahsan Habib, is the editor of the satirical magazine, Unmad and one of the most reknowned cartoonist of Bangladesh.
Academic Career: After obtaining PhD degree, Iqbal worked as a post-doctoral researcher at California Institute of Technology (CalTech) from 1983 to 1988. He then joined Bell Communications Research (Bellcore), a separate corporation from the Bell Labs (now Telcordia Technologies), as a Research Scientist. He left the institute in 1994 and joined the faculty of the Department of CSE of SUST.
Literary career: Iqbal started writing stories from a very early age. Iqbal wrote his first short story at the age of seven. While studying in the Dhaka University Iqbal's story Copotronic Bhalobasa was published in a local magazine. But, a number of readers at that time felt that the story was based on a foreign story. To answer this allegation, he later rewrote the story and published the story in collection of stories named Copotronic Sukh Dukkho. Since then he is the most popular writer both in Bengali Science-Fiction and in Juvenile Leterature of the country.
Other Activities and Awards: Zafar Iqbal won the Bangla Academy Award, the highest award in literature in Bangladesh, in 2004. Iqbal also played a leading role in founding Bangladesh Mathematical Olympiad. In 2011 he won Rotary SEED Award for his contribution in field of education.
বন্ধুত্বের এই গল্পগুলো আমার খুব ভালো লাগে। মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা কিশোর উপন্যাস এই প্রথম পড়লাম। প্রথমবারেই তাঁর সরস সাবলীল রচনাশৈলী ভীষণ পছন্দ করে ফেললাম। একটা কথা আছে, উৎকৃষ্ট শিশু-কিশোর সাহিত্য বড়ো হয়ে পড়লে নাকি আরো বেশি ভালো লাগে (উদাহরণ - সুকুমার রায়, লীলা মজুমদার, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আশাপূর্ণা দেবী)। "হাত কাটা রবিন" পড়ে আমি উৎকৃষ্ট কিশোর সাহিত্যের স্বাদ পেলাম।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল খুব পারদর্শিতার সঙ্গে কিশোর মনস্তত্ত্বকে এই উপন্যাসে প্রয়োগ করেছেন। কিশোর বয়সের সবচেয়ে বড়ো দুঃখ হলো, বড়োরা তাদের বুঝতে পারে না। কীভাবে বুঝবে? এই বয়সের জীবন্ত স্বপ্ন এবং বাঁধভাঙা কল্পনার ভান্ডার বড়ো হতে হতে যে ফুরিয়ে যায়!
চাঁদা তুলে ফুটবল কেনার পরে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। সবাই চাঁদার পয়সা ফেরত চাইলো। কিন্তু পয়সা তো নেই। তাই বলটাকে কেটে টুকরো টুকরো করা হলো এবং প্রত্যেকে নিজের ভাগের একটা টুকরো বুঝে নিলো (ঝগড়া যদিও কিছুদিন পরেই মিটে যায়)। এই ঘটনাটির গুরুত্ব বড়োরা কখনও বুঝতে পারবে? তারা তো এই "বোকামি"র কথা শুনে খ্যাক খ্যাক করে হাসবে। আমাদের ভেতরে আস্ত যে কৈশোরকালটা ধীরে ধীরে বিস্মৃতির আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়, এইসব "আজগুবি" উপাখ্যান পড়লে সেই ঢাকনা খুলে ম্যাজিকের মতো কতো কথা মনের মধ্যে ভেসে ওঠে!
শুধু একটা ব্যাপার একটু খারাপ লেগেছে। যেকোনো কাপুরুষতা কিংবা ভীরুতার দৃষ্টান্ত দেওয়ার সময় "তুই কি মেয়ে নাকি? তাহলে যা, স্কার্ট পরে মেয়েদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে যা!"— সংবেদনশীল লেখকের কলমে এই ব্যাপারটা বেশ কয়েকবার দেখতে পেয়ে একটু অবাক হয়েছি। নইলে এই উপন্যাসের কপালে আমার তরফ থেকে পুরোপুরি পাঁচ তারা রেটিং বরাদ্দ ছিল!
কতবার পড়লাম এই বইটা? ২০ বার? ২৫ বার? ৩০ বার? আরো বেশিও হতে পারে। এই বইটা বাদ দিয়ে (এবং মুহাম্মদ জাফর ইকবালের আরো ২-৩টা কিশোর উপন্যাস) বাংলাদেশের কিশোর সাহিত্যের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত 'হাত কাটা রবিন' বাংলাদেশের কিশোর সাহিত্যের ধারাই পাল্টে দিয়েছিল, এবং এরপরে জাফর ইকবালকে অনুসরণ করে অনেক বই লেখা হলেও তাঁর ধারেকাছেও কেউ শিশু-কিশোর মনে ওরকম প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। কবে কেউ পারবেন, সে নিয়েও আমার সন্দেহ আছে। তাঁর লেখাগুলো স্রেফ গল্প নয়, একটা সময়ের প্রতিনিধি, সে বিবেচনায় এগুলোকে আমি ক্লাসিকের পর্যায়ে ফেলবো। বইটা কবে প্রথম পড়েছিলাম ঠিক সেই বছরটা মনে না থাকলেও গল্পটা মনে আছে; পাড়ার এক বড়ভাইয়ের বইয়ের তাকে দেখেছিলাম। সময়টা ১৯৯৫ বা ১৯৯৬; তখনো বাসায় বই কিনে পড়ার চেয়ে লাইব্রেরি বা বইয়ের দোকান থেকে বই ভাড়া নিয়ে পড়ার চল ছিল বেশি। সে ছেলেরও নিজস্ব বই বেশি ছিল না, কিন্তু আমার চেয়ে বেশি ছিল সেটা ঠিক। কারো পকেটেই টাকাপয়সা তেমন থাকতো না, আমাকে আবার টিফিনটাও বাসা থেকে দিয়ে দিত বলে টিফিনের পয়সা বাঁচানোর সুযোগ ছিল না। সেরকম সময়েই একদিন বইটা দেখে নেয়ার জন্য ঝুলোঝুলি শুরু করলাম, কিন্তু একটা বই পড়তে নিলে আরেকটা বই পড়তে দিতে হবে, সেরকমই শর্ত। আমার ভাণ্ডারে অত দামী (হার্ডকাভার, সুন্দর প্রচ্ছদ, ওরকম বই কেনার পয়সা তখন নেই, আমার দৌড় তিন মাসে একটা পেপারব্যাক তিন গোয়েন্দা আর মাঝে মাঝে নন্টে-ফন্টে বা চাচা চৌধরী পর্যন্তই। হ্যাঁ, ওসময় ইনডিয়ান বই বেশ সস্তা ছিল) বই নেই, কাজেই বিনিময়ে রাজি করাতে দু'সপ্তাহ ঘুরতে হয়েছিল সেটাও মনে আছে। সেসময় পাড়ার ছেলেপেলেরা কোন একটা ক্লাব বা দল গড়ে ফেলতো যে কোন কিছুর (ঠিক যেরকম রবিন আর টোপনরা ফুটবল ক্লাব বা ডিটেকটিভ কোম্পানি খুলে ফেলে সেরকমই), নাহলে মানইজ্জত নিয়ে টানাটানি। আমাদের সেরকম একটা ক্রিকেট আর ফুটবলের দল ছিলই, কিন্তু ভাল ছেলেপেলে (পড়ুন, হাবলু টাইপ) নিয়ে দল গড়লে যা হয়, আমরা বেশিরভাগ খেলাতেই পাড়ার ডাকাবুকো ছেলেদের কাছে হেরে যেতাম। ওদিকে লাইব্রেরি করতে গেলেও সমস্যা, কেউই নিজের বই দিতে চায় না। কাজেই ঐ ছেলের উৎসাহে আমরা একটা দাবা ক্লাব খুলে ফেললাম, আর দাবার চালও যে লিখে রাখতে হয় বা বই দেখে সেটা খেলা যায় কিংবা ঘড়ি দিয়ে সময় রেখে দাবা খেলতে হয় (দাবা মানেই আমাদের ধারণা ছিল দু'টো বুড়ো লোক অসীম সময় ধরে ঝিমাবে), সেটা ঐ ক্লাব বানিয়ে বইপত্র পড়েই আমাদের জানা হয়। তবে ক্লাবটা বেশিদিন টেকেনি (ঐ রবিনদের ক্লাবের মতই, বাচ্চাকাচ্চাদের কোন কিছুতেই বেশিদিন উৎসাহ থাকে না), আমরা কেউই ভাল দাবাড়ু ছিলাম না বলে।
তো ক্লাবের সদস্য বলেই অবশেষে বইটা ধার পেলাম, বদলে দিতে হলো দু'টো বই। আর পড়ার পর আবার পড়লাম, তারপর আবার, এবং আবার। যে বই ৩ দিনের মাঝে ফেরত দেয়ার কথা, সেটা নিতান্ত অনিচ্ছায় ফেরত দিলাম মাসখানেক পর। বইটার গল্প আমাদেরই গল্প; মফস্বলের পাড়ার একদল ছেলেপেলে, তাদের দুরন্তপনা, আর বোনাস হিসেবে খানিকটা অ্যাডভেঞ্চার। কিন্তু কি জীবন্ত বর্ণনা, মনে হয় সব আমাদের নিয়েই ঘটছে। বইটা আর কখনোই কেনা হয়নি, কিন্তু যেখানেই পেয়েছি একবার বা একাধিকবার পড়ে ফেলেছি। যতবারই মন গুমোট থাকে, আরো একবার করে পড়ে নস্টালজিয়ার বাতাসে মনটাকে ফুরফুরে করে নিই। নস্টালজিয়া বলছি, কারণ এই সেলফোন-ইন্টারনেট-কেবল টিভি-ফেসবুক-মেসেঞ্জার-চ্যাটিংয়ের যুগে খোলা মাঠঘাটের দৌড়াদৌড়ি আর সামান্যতে খুশি হয়ে যাওয়া দুরন্তপনার স্বাদ পাওয়া আর কোনভাবেই সম্ভব নয়। যাদের জন্ম নব্বই দশকের পরে, তারা সে সময় দেখেনি, আর সেটার সাথে নিজেদের নাড়ীর সংযোগ করতে পারবে, সে আশাও করি না। আর তাই এ বই তাদের ভাল লাগবে কিনা সেটাও আমি নিশ্চিত নই। কিন্তু যারা দেখেছে, তাদের কাছে 'হাত কাটা রবিন' নিজেদের অস্তিত্বের একটা অংশ হয়ে আছে, সেটা জোর গলায় বলতে পারি। আমাদের রঙিন শৈশব আর কৈশোরকে চিরন্তন করে তোলার জন্য তাই মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে জানাই গভীর কৃতজ্ঞতা।
ছোট বেলায় ফিরে যাওয়ার একমাত্র উপায় এই ভীষণ প্রিয় বইগুলো হাতে নেওয়া। এখনও মনে পড়ে ছোটবেলায় কত মুগ্ধ বিস্ময়ে এই বইগুলো পড়তাম। লেখকের বিভিন্ন আত্মজৈবনিক রচনা বা সাক্ষাৎকার হতে জানা যায়, এই উপন্যাসটির পান্ডুলিপির ব্যাপ্তি নাকি আগে আরও বড় ছিল এবং পরবর্তিকালে প্রকাশের সুবিধার্থে তিনি সেই পান্ডুলিপির এক-তৃতীয়াংশ কেটে বাদ দিতে বাধ্য হন।
কিন্তু এটা কিন্তু উপন্যাস চলাকালীন একবারের জন্যেও পাঠক উপলব্ধি করতে পারবে না। বাদ দেয়া অংশটুকু ছাড়াই এটি বেশ পরিণতছোটদের জন্য লেখা মুহম্মদ জাফর ইকবাল-এর দারুন একটা বই।
গতবছর বইটা পড়েছিলাম। কিন্তু পড়া শেষে রিভিউ লেখা হইছিল না। হয়ত ভেবেছিলাম পরে লিখব কিন্তু পরে গিয়ে আর মনে ছিল না। এখন প্রায় একবছর পর এসে, আবছা আলোয় যতটুকু মনে পড়ে তাই লেখার চেষ্টা করছি।
আমি ছোট বেলা থেকেই শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে। বন্ধুদের নিয়ে দুষ্টুমি, দল গঠন করে কোন কিছু করা এগুলা আমার করা হয়ে উঠে ন��ই কিন্তু দূর থেকে অন্যদের পরখ করেছি। আমার ক্লাসের একটা ছেলে ছিল, ওর নাম মেহেদী। সাংঘাতিক বেয়াড়া আর কাজকাম সব ছিল ডেয়ারিং। ক্লাসের বে�� কিছু ছেলেপেলেকে নিজের সাঙ্গপাঙ্গ বানিয়ে ফেলে। একসাথে নিয়ম করে ফুটবল খেলা, চেয়ারম্যানের বাসার আম চুরি, জাতীয় দিবসে খেলার আয়োজন, ৩১ ডিসেম্বর বা নববর্ষে পিকনিকের আয়োজন কত কী যে করত। মেহেদীর ক্যারেক্টারিস্টিক অনেকটা রবিনের মতনই কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে আল্লাহর রহমতে মেহেদীর দুই হাতই ঠিকঠাক ছিল।
আমি যখন হাতকাটা রবিন পড়ছিলাম, তখন বারবারই শুধু মনে পড়ছিল ছোটবেলার দিনগুলো। আফসোস লাগছিল, কেন নিজেও সেই দলে কখনো ভিড়তে পারলাম না। আব্বু আম্মুর কড়া শাসনে বড় হতে গিয়ে ছোটবেলার এই দারুণ এডভেঞ্চারাস লাইফটা মিস করে গেলাম যার রিগ্রেট জীবনভরই থেকে যাবে আমার সাথে।
কিশোরদের সাইকোলজির সাথে আপডেট থাকার জন্য হলেও আমাদের মত বা আমাদের থেকে বুড়োদের মাঝে মাঝে কিশোর অ্যাডভেঞ্চার পড়া উচিৎ। আমরা অনেক সময়ই নিজেদের ম্যাচুরিটির জায়গা থেকে কিশোরদের আচরণ জাজ করে ফেলি, সহানুভূতি দেখাই না; ভুলে যাই একদিম আমরাও ওদের মত কল্পনাপ্রবণ ছিলাম, সাহস দেখিয়ে সবাইকে চমকে দিতে চাইতাম, নিজেদের ক্ষমতা-যোগ্যতার প্রমাণ দিতে চাইতাম। এই বইগুলো আমাদের সেই সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়।
হাত কাটা রবিন লেখকের প্রথম কিশোর অ্যাডভেঞ্চার। এই উপন্যাসের ধারাবাহিকতা থেকেই দীপু নাম্বার টু এর সৃষ্টি। দীপু আমি কিশোর বয়সে পড়েছিলাম, আর সিনেমা দেখেছিলাম তারও ক'বছর আগে। তাই দীপুর সাথে বিশেষ আবেগ জড়িয়ে আছে। দীপু নাম্বার টুর মত ভালোলাগা তো আর সম্ভব নয়, তবে ভালো লেগেছে হাত কাটা রবিন।
কাহিনী মূলত টোপনের জবানীতে উঠে এসেছে পুরা ঘটনাটা। আর দশটা পাড়ার মতনই তাদের একটা ছেলেদের দল ছিল। একটা ক্লাব ছিল আর একটা ফুটবল টিম ছিল (যা বলের অভাবে ভেংগে যায়) তাদের। সবই খুব সাধারন ভাবেই হচ্ছিল। কিন্তু সব অলোট পালট হয়ে যায় পাড়ায় একটা নতুন ছেলে আসার পর। রবিন নাম তার। এলাকার নতুন আসা ডাক্তারের ছেলে সে। আর তার একটা হাত কাটা। তার জবানিতে এক্সিডেন্টের পর হাতের আংগুল কেটে টিকটিকির লেজের মতন লাফাচ্ছিল রাস্তায়। তাই হাতটা কেটে ফেলতে হয় তার। এসেই জায়গা করে নেয় সে সবার মনে। ডানপিটে। একটা হাত না থাকার অভাব সে কিছুতেই বুঝতে দেয় না। এসে পুনরায় ফুটবলের ক্লাব শুরু করে সে। এবং নিজে কাপ্টেন হয় তার। দেখতে দেখতে এলাকার সব গুলো ক্লাবকে হারিয়ে সেরা ক্লাব হয় তাদের স্পুটনিক ক্লাব। ভালই চলছিল সব। হঠাত করে এক ভোরে তারা ভয়ংকর এক ডাকাতের দেখা পায়। ঠিক করে পুলিশে ধরায়ে দিবে ডাকাতদলকে। কিন্তু তাদের কথা বিশ্বাস করবে কেন পুলিশ? পিছু নেয় তারা ডাকাত দলের। তারা কি পারবে ডাকাত দলকে ধরতে? কি আছে তাদের ভাগ্যে?
পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ টিপিক্যাল মফস্বল এলাকার পাড়ার কাহিনী এটি। পড়তে গেলে নিজের ছোট বেলার কথায় বার বার ঘুরে ফিরে মনে পড়ে। নিজেও থাকতাম এমন একটি পাড়ায়। ছেলেপেলেদের আমাদেরও এমন একটা দল ছিল। সারাদিন খেলা ধুলা করে বের হতাম আর চলত আড্ডা। পড়ার টাইমে বার বার নস্টালজিক হয়ে যাচ্ছিলাম।
২০২৫ সালের পাঠ প্রতিক্রিয়া! ঢাকা যেতে যেতে পথের মধ্যেই পড়ে শেষ করলাম। এসব বই কখনও পুরোনো হবার নয়। হাত কাটা রবিন যে কতবার পড়েছি, তার কোনো ইয়ত্তা নেই!
২০২১ সালের পাঠ প্রতিক্রিয়া! মন ভালো করার জন্য মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের কিশোর উপন্যাসগুলোর চেয়ে বড় ঔষধ আর কিছু নেই...
প্রচন্ড দাবদাহে প্রাণ অতিষ্ট গরমে যখন তিষ্ঠানো দায় হয়ে যায় শান্তির পরশ হিসেবে আকাশ থেকে কালো মেঘের পর্দা থেকে মুক্তো দানার মত পড়া বৃষ্টির ফোঁটা,কিংবা কুয়াশামাখা শীতের সকালে অরুণদেবের প্রথম কিরণ যখন গায়ে হুটোপুটি খায় অথবা গোধূলি বেলায় সেই কন্যা সুন্দর আলোয় যে আলোয় সমস্ত চরাচর মোহনীয় হয়ে ওঠে ,এই মুহূর্ত গুলোতে যে অনাবিল প্রশান্তি আর আনন্দে ভরে ওঠে যখন মন জাফর ইকবালের এই বইগুলো পড়ার সময় ঠিক একই অনুভূতি হয় আমার,ফেলে আশা শৈশব কৈশোরের স্মৃতি গুলো বুব্দুদের মতো ভেসে ওঠে যা দূর থেকে দেখতে ভালো,কাছে গিয়ে আলতো স্পর্শে হাত বুলিয়ে দেখার সৌভাগ্য যন্ত্রচালিত জীবনে ঠিক হয়ে ওঠে না।
জাফর ইকবালের বইগুলো এই হুটহাট নস্টালজিক করে দিলেও ঐ যে সবসময়ই বলি কাহিনী গুলোর পুনরাবৃত্তি আর একই চরিত্রে বারবার দেখার জন্য সব স্বাদ টুকু ঘেঁটে ঘ হয়ে বিস্বাদ লাগতে শুরু করে এবারেও তাই হয়েছে বৈকি, কয়েকজন কিশোর, একটা গ্ৰাম ও তাদের দুংসাহসিক আপাত দৃষ্টিতে অবাস্তব অসম্ভব অভিযানের সে একই কাহিনী চলে এসেছে রবিন সলিল টিপু টোপন নান্টু হীরা আর মিশুদের গল্পে
আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে রবিনের নাম বলার ভঙ্গীটাতে -ডাকনাম -হাকার -কি? -হাত কাটা রবিন
This was my first book of Dr. Muhammed Zafar Iqbal. Enjoyed it a lot. During reading I laughed so loud! Even if I remember this now, I start to smile. This book is so good. I loved everything. Specially the fit in characterization. Every character was good and did portray their role perfectly. Reading it you can't help but laughing. This is Zafar Iqbal. He himself is a book! There is a fixed pattern of Zafar Iqbal’s every writing. Still I enjoy his every write up.
সেই যখন স্কুলে পড়তাম তখন একুশে টিভিতে নাটকটি ���ত। নাম ছিল ‘হাকারবিন’। ভাবতাম এটা আবার কেমন নাম?! নাটকটি হত দুপুরে আর আমি ছিলাম ডে শিফটে। তাই বলাই বাহুল্য প্রথম থেকে নাটকটি দেখতে পারিনি। কোন এক টার্ম পরীক্ষার পর স্কুল কয়েকদিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। তখন এই নাটকটিকে আবিষ্কার করেছিলাম। ততদিনে টোপন আর রবিনদের নৌকা নিয়ে অভিযান শুরু হয়ে গেছে। কিসের অভিযান অত কিছু জানতাম না। কিন্তু তাও দেখা শুরু করেছিলাম। সত্যি কথা বলতে কি কার্টুন নেটওয়ার্কের পরে শুধু এই একটা চ্যানেলকেই মনে হয় ভালবাসতে পেরেছিলাম। বেশির ভাগ প্রোগ্রামই ভালো লাগতো। দুপুরে খাওয়ার পর এমনিতেই কোন কাজ থাকতো না। তাই টিভি দেখা ছিল যাকে বলে বাধ্যতামূলক; স্কুল যেহেতু তখন ছুটি। একে তো বাচ্চাকাচ্চাদের জিনিস তার উপর একটা ছেলের হাত কাটা। দেখেই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু নাটকের শেষ পর্যন্ত আর দেখতে পারিনি। কেন সেটা ঠিক মনে নেই। স্কুল খুলে যাবার জন্য আর না হয় একুশে টিভি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য – এই দুটোর কোন একটা কারণ হবে হয়তো। উফ! কী যে একটা দুঃখ পেয়েছিলাম এই চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য তা ভাষায় প্রকাশ করার মত কোন ক্ষমতা নেই।
সে যাই হোক। এই কয়েক বছর পর বই মেলা থেকে বইটা কেনা হল। এই আনন্দও ভাষায় প্রকাশ করার মত না। টোপন, রবিন, কাসেম, টিপু, নান্টু, হীরা, মিশু সবার সাথে ভালোই জমে উঠলো অ্যাডভেঞ্চার। আমি যখন একটু বেশি ছোট ছিলাম মানে ক্লাস ওয়ানে পড়তাম তখন আমরা ছিলাম দক্ষিণ বনশ্রীর এক বাসা তে। ঐ এলাকায় তখনও ভালো বসতি গড়ে উঠে নি। আমাদের বিল্ডিং এর কাছেই ছিল এক পুকুর। আর বাসার সামনে ছিল বিশাল মাঠ। এই বই পড়তে গেলে আমি মনের অজান্তে প্রথম থেকেই ঐ বাসাকেই কল্পনা করে এসেছি। আমাদের বিল্ডিং টা টোপনদের বাসা, পাশের বিল্ডিং টা রবিনদের আর ঐ এলাকা ছাড়িয়ে একটা গলিতে পরিচিত এক আপুর বাসা ছিল সেটা টিপুদের বাসা। আর বাদ বাকি চারটা পরিচিত বাসা ছিল নান্টু, হীরা, মিশু আর কাসেমদের বাসা। ও হ্যাঁ, আমাদের একটা শত্রুবান্ধবীর বাসা ছিল, সেটাকে বানানো হয়েছিল কাশেমদের বাসা। তার সাথে আমাদের ছিল একইসাথে দহরম-মহরম আর দা-কুমড়োর সম্বন্ধ। ব্ল্যাক মার্ডার টিমের সাথে কাশেমের সম্পর্কও অনেকটা এমন কিনা।
অনেক দিন পর এই বই পড়তে পড়তে আমি আবিষ্কার করলাম, আমাদের সেই পুরানো বাসার সামনের মাঠে স্পুটনিক বয়েজ ক্লাব আর ঠাকুরপাড়ার সেই ঐতিহাসিক ম্যাচ আর সেই পুকুরে ব্ল্যাক মার্ডার দলের নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানো, সবকিছু আমি চোখ বন্ধ করলে এখনও দেখতে পাই। হয়তো আগের মত স্পষ্ট না, কিছুটা ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। আসলে ওই সময়টা আমার অনেক বেশি প্রিয়। ছোটবেলায় সেই বাসায় কাটানো সময়গুলো, হাকারবিন দেখার দিনগুলো আর প্রথমবার এই বই পড়ার মূহুর্তগুলো। জানি না এমন সব বই আমি আর কখনও পড়তে পারবো কিনা কিংবা পড়তে পারলেও এইভাবে কল্পনা করতে পারবো কিনা। মাঝে মাঝে মনে হয় জীবন এত কঠিন না হলেও পারতো !!
বাচ্চাকালে পড়া সেরা বইগুলোর একটা (কিশোর উপন্যাস সমগ্র এর সব গুলাই ভাল লাগছে :) )। তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি।ক্লাসের পড়া শেষ করে হারিকেনের আলো আঁধারিতে বই গুলো পড়ার অভিজ্ঞতা অন্যরকম,একেবারেই অন্যরকম রবিন এর দুশটুমি,টোপন আর তাদের দল এর কাণ্ড কারখানা এখনও নিয়ে চলে যায় বাচ্চাকালে, বইটা পড়লে একটা কথায় মাথাতে আসে,আহা যদি ফিরে পাইতাম........................
ক্লাস এইটে থাকতে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর বই এর সাথে আমার পরিচয় এর শুরু। হ্যাঁ বেশ দেরি করেই হয়ত পড়া শুরু করেছিলাম বই গুলো। কত যে বই পড়েছি তার হয়ত আর হিসেব রাখা হয়নি। এজন্যই এখন আবার নতুন করে সব শুরু করলাম। বইটা পড়ে শুধু মনে হচ্ছিল ইশ এরকম একটা এডভেঞ্চার যদি আমিও করতে পারতাম।😍 আফসোস। খুব বোরিং ভাবেই আমার কৈশোর টা কেটে গেছে। বাকী জীবনেও হয়ত তাইই অপেক্ষা করছে। 😪
ছোটবেলায় পড়া বই। ছোটদের জন্য লেখা থ্রিলার এই বইয়ের টিভি এডাপ্টেশন ও হয়েছিলো, সেটাও দেখেছিলাম। টিভি এডাপ্টেশন তেমন ভালো হয়নি। কিন্তু বইয়ের হাকা রবিন এ পর্যন্ত লেখ বাংলা কিশোর চরিত্রগুলোর মধ্যে অনেক মনে রাখার মতো।
একদম প্রথমদিকে পড়েছিলাম বইটি। বেশ প্রিয় একটা বই। এই নিয়ে চতুর্থবার পড়া হলো।
কাহিনি-সংক্ষেপ- ছয়-সাত জন বন্ধু। তাদের বিশ্বাস পাশের বাসায় একবার বন্ধু আসলে পরেরবার শত্রু আসবে। শত্রুর পর আবার বন্ধু। ঠিক তেমনই হয়। শত্রুর পর বন্ধু আসে। কিন্তু নতুন বন্ধুর একহাত কনুইয়ের নিচে কাটা। নাম তার হাত কাটা রবিন। তাদের বন্ধুত্ব খুব জলদি হয়। কিন্তু এই বিচ্ছু ছেলে একে একে তাদের পুরোদলেরই লিডার বনে যায়। তারপর একে একে ফুটবল খেলা। বিভিন্ন মজার ঘটনা। কিন্তু একরাতে ধূমকেতু দেখতে গিয়ে তারা এক ডাকাত দলের সন্ধান পায়। এবং ধীরে ধীরে তাদের হাতছাড়া হয়ে আবার সেই ডাকাত দল। একের পর এক বাঁধা তাদের সামনে। তারা কি শেষ পর্যন্ত পারবে ডাকাতদলকে ধরতে? জানতে হলে পড়ে ফেলুন ‘হাতকাটা রবিন’
পাঠ-পতিক্রিয়া- ক্লাস সেভেন প্রথম পড়েছিলাম বইটি। তারপর দ্বিতীয়বার, তারপর তৃতীয়বার। এবং এই নিয়ে চতুর্থবার পড়ে শেষ করলাম বইটি। প্রথম তিনবারের মতোই বেশ উপভোগ্য ছিল বইটি। প্রথম থেকে শেষ অব্দি মজাই মজা। বইটা যে শুধু শিশু কিশোরের, তা কিন্তু নয়। এটা বড়রাও পড়তে পারবেন। বড়রা পড়ে তাদের হারিয়ে ফেলা শৈশব-কৈশোরে আবার সাময়িকভাবে ফিরে যেতে পারবেন। পরিপক্ব হাতের লেখনীও বইটা পড়তে আরেকটু মজা দেবে। মনে রাখার মতো একটা বই চরিত্রায়ন- এই বইয়ের মূল চরিত্র কয়েকটি ছেলে। গল্পকথক টোপন, হাতকাটা রবিন, মিশু, হীরা, টিপু, নান্টু, কাশেম,সলিল। এই কয়েকটি চরিত্র নিয়ে পুরো কাহিনি এগিয়ে যায়। আর আলাদা করে মনে রাখার মতো কোনো চরিত্রই নেই।
হাতকাটা রবিন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল জনরা-কিশোর এডভেঞ্চার রেটিং-৪.৫/৫
যখন নতুন নতুন বই পড়া শুরু করেছিলাম, সেই প্রথম দিক কার বই এটা। তখন বুঝেছিলাম ফ্যান্টাসি কাকে বলে। অদ্যাবধি স্মৃতিতে আঁকড়ে আছে প্রতিটি কৈশোর অ্যাডভেঞ্জার।
মাঝে মধ্যে যখন বুঝে উঠতে পারি না যে কোন বইটা পড়বো তখন মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর কোনো বই হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করি৷ সহজ, সরল, এবং সাবলীল। দ্রুত পড়া শেষ হয়ে যায়। আমার নিজের শৈশব এর সেরকম কোনো ভালো স্মৃতি নেই। অনেক সময় শৈশব এর কথা মনে করতে ইচ্ছেও হয়না। কিন্তু মনে পড়ে যায়, রাগ লাগে, দুঃখ হয়, মন বিষন্ন হয় এবং ভাবি একটা সুন্দর শৈশব ঠিক কেমন হয়? শৈশব এর এই যে আনন্দমাখা দিনগুলো এটা শুধু বই পড়েই জানতে পারি। এবং সেই বইগুলোর লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার। বেশ অনেকদিন পর একটা কিশোর উপন্যাস পড়া হলো৷ বইটাও সুন্দর ছিলো৷ সবার চরিত্র ভালো লেগেছে। আর শেষের এডভেঞ্চার এর থেকেও শুরু থেকে ওদের বন্ধুত্ব যেভাবে দেখানো হয়েছে সেটা বিশেষ ভালো লেগেছে।
কিংবা " বাসায় গিয়ে রীনা, স্বপ্নাদের সাথে বুড়ী-চি খেলগে—যা!" এসব অনেকটাই ছেলেবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়৷ সেই সাথে মনে করিয়ে দেয় ছোট্টবেলায় ইকবাল স্যারের এই কিশোর উপন্যাসগুলো পড়ে রঙিন স্বপ্ন আর কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাবার কথা।
Haath Kata Robin is a simple and amazing book! At first, it reminded me a bit of Adventures of Huckleberry Finn, but the story quickly takes its own unique path. The football game, the private detective agency, and the boat rides all capture the innocence of the young friends. Besides adventure and childlike humour, Sir Muhammad Zafar Iqbal skillfully portrays a strong sense of friendship and belonging. This is a book that can be enjoyed by anyone, regardless of age. The only small issue I had with it was the emphasis on certain games being exclusively for girls; if a boy plays these games, he is ridiculed. However, I believe this was done to create an engaging banter among the friends. Overall, I would rate it a solid 4/5.
জাফর ইকবাল স্যারের সব বইই আমার ভালো লাগে। তবে আমি তপু, রাশা, স্কুলের নাম পথচারী, এক ডজন আধজন, দুষ্টু ছেলের দল ইত্যাদি ইত্যাদি বেশি ভালো লেগেছে।এবার মনে হচ্ছে ওগুলোর সঙ্গে এটাও যোগ করতে হবে!(গল্পের নাম হাত কাটা রবিন হলেও রবিন কে বেশি ভালো লাগেনি)।