Imdadul Haq Milon (Bangla: ইমদাদুল হক মিলন) is a Bangladeshi novelist and editor of the daily Kaler Kantho. Milon graduated from Jagannath College. He went to Germany and after returning, wrote one of his premier works, Poradhinota. Milon authored books on classic stories, historical writings, romantic stories and other genres. He also works as a TV personality in a talk show called Ki Kotha Tahar Sone. He was honored with Bangla Academy Award in 1992.
এটা দারুন ছিলো। মানুষের আবেগ, বেদনা, ভালোবাসার একটা পরিপূর্ণ মিশেল ছিলো বইটাতে। সত্যি কথা বলতে গল্পটা পড়ে কখন যে নিজেই আবেগপ্রবণ হয়ে পরেছিলাম বুঝতে পারিনি। বইটার সারাংশ নিম্নরুপঃ
ফুলপুর হাইস্কুলের ইংরেজির টিচার মতিউর রহমান সাহেবের ক্লাস সিক্সে পড়া মেয়ে কুসুম আগুনে পুড়ে মারা যায় সাত বছর আগে। মেয়ের শােকে মতিউর রহমান যান পাগল হয়ে। এখন সবাই তাকে বলে পাগলা মাস্টার। রবিনের মেজোফুফুর খামারবাড়ি ফুলপুরে। খামারবাড়ির ভিতরেই ছােট্ট একটি বাড়িতে থাকে হায়দার আলীর পরিবার। হায়দার আলীর বড় মেয়েটির নামও কুসুম। সাত বছর আগে মারা যাওয়া পাগলা মাস্টারের মেয়ে কুসুমের বয়সী সে। কিন্তু এই কুসুম এক রহস্যময়ী কিশােরী। সে ঘর থেকে বেরােয় না, তার মুখ কেউ দেখতে পায় না। সবাই মনে করে এই কুসুমের সঙ্গে জ্বিন আছে । অন্যদিকে পাগলা মাস্টার প্রায়ই এসে বসে থাকেন হায়দার আলীর বাড়ির সামনে। তাঁর একমাত্র আকাঙখা কুসুমের মুখটা তিনি একবার মাত্র দেখবেন। কিন্তু কুসুম কিছুতেই তাঁর সামনে আসে না। মেজো ফুফুর সঙ্গে খামারবাড়িতে এসে এসব ঘটনা জানতে পারে রবিন। এক বিকেলে ফণা। তােলা বিষাক্ত সাপের ছােবল থেকে তাকে বাঁচায় কালাে ওড়নায় মুখ ঢাকা কুসুমের বয়সী এক কিশােরী। পরদিন সেই মেয়েই নিজের ছবি আঁকাতে আসে রবিনের কাছে। ওড়নায় মুখ ঢাকা, শুধু চোখ দুটো দেখা যায়। ওটুকু দেখেই কুসুমের ছবি আঁকে রবিন। দেখা যায় রবিনের আঁকা ছবিটি হচ্ছে পাগলা মাস্টারের সাত বছর আগে আগুনে পুড়ে মরে যাওয়া মেয়ে কুসুমের ছবি। সব মিলিয়ে ‘কে’ এক রহস্যে ভরা উপন্যাস। শিশু কিশাের পাঠকদের সঙ্গে বড়রাও সমান মজা পাবেন এই উপন্যাস পড়ে।
This entire review has been hidden because of spoilers.