Gajendra Kumar Mitra was born on 11 November 1908. He was a versatile writer. He wrote many novels, short stories, plays, essays and poems. Mitra also translated a few English novels into Bengali, such as Dickens's A Tale of Two Cities. He used to write with his left hand. His genuine love and concern for Bengali literature inspired him to co-found the famous Mitra and Ghosh Publishers. Mitra was childless. He died on 16 October 1994 in Calcutta (now Kolkata).
Mr Mitra along with his friend Sumathanath Ghosh established Mitra & Ghosh Publishers on 9 March 1934. Novels: Kanta Prem Pānchajanya Rai Jāgo Rai Jāgo Kolkatar Kāchei (Translated as A Stone's Throw from Kolkata) Paush Phāguner Pālā Upakanthe Bahnibanyā Rātrir Tapashyā Pashaner Khuda
This grand masterpiece is beyond rating. Its a mythological fiction. Based on Mahabharata and focused on the all powerful Lord Krishna. At times its over described, but it pointed at issues that's not beyond controversy. Author tried to explain many actions with his wit and vision.
Such mysterious character Lord Krishna! Even he can't define himself!
I enjoyed it thoroughly and was really sad by the end. Because all roads leads to destruction, yet no one did anything to stop it! If you all knew its a lost war then why fight it? Ain't no reason is enough to justify an impossible struggle between relatives. I guess life is so clueless its unnecessary to try define it.
বেশ অনেকদিন পরে বোধহয় কোন বইকে পাঁচ তারা দিলাম। না দিয়ে আমার উপায় ছিল না, মহাভারত পড়েছি সেই কোন কালে। খুঁটিনাটি অনেক কিছুই ভুলে গেছি। কিছুদিন আগে মহাভারত নিয়ে আরেকটি বই পড়েছিলাম, ততোটা তৃপ্তি পাই নি, কিছুটা একচোখা বলেই মনে হয়েছিল। এই বইয়ে আরও ভিন্ন এক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে এই মহাকাব্যকে বিচার করা হয়েছে। মহাভারতের কেন্দ্রীয় চরিত্র নিঃসন্দেহে কৃষ্ণ। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তিনি সরাসরি অস্ত্র হাতে নামেন নি বললে ভুল বলা হবে না, কিন্তু যুদ্ধের গতি প্রকৃতি, ফলাফল নির্ধারণ করে দিয়েছেন তিনিই। শুধু কি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ? তার আগের অনেকগুলো বছর কুরু পান্ডবদের ভেতরের দন্দ্বের সময়টাতে তার ভূমিকাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অর্জুনের সখা, পান্ডবদের বন্ধু। তবু নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাদের কি কাজে লাগান নি? কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধেই তো একের পর এক অন্যায় যুদ্ধ, হত্যা (সে সময়ের নীতির বিচারে) তিনি করেয়িছেন পান্ডবদের দিয়ে। জরাসন্ধবধ করিয়েছেন অন্যায়ভাবে, কর্ণকে তার জন্মপরিচয় দিয়ে দূর্বল করে দিয়েছেন, কিন্তু সে সত্যটা পান্ডবদের বলেন নি। বললে হয়তো এ যুদ্ধই হতো না, বা এতো ক্ষয়ক্ষতিরও দরকার পড়তো না।
পান্ডবদের চরিত্র বিচার করলে যুধিষ্ঠিরকে বোকাসোকা নির্বোধ এক মানুষ বলেই মনে হয়, যার ধর্মরাজ নামকরণই বাতুলতা, ভীম বীর তবে সে হিংস্র, বর্বর। অর্জুন ভালো যোদ্ধা, তবে তার সমমানের বা তারচেয়ে ভালো যোদ্ধাদের সাথে তার ভালোভাবে লড়াই ই বা হলো কোথায়। ভাগ্যের সহায়তা সে সবসময়ই পেয়ে এসেছে, নকুল আর সহদেব এর চরিত্রে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছুও নেই। দুর্যোধন অন্যায় করেছে অনেক, তবু তার মধ্যেও একটি ভালো গুণ অবশ্যই ছিল, সে সত্যিকারের বীর যোদ্ধা। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চরিত্র না হয়েও নায়ক যদি কাউকে বলতে হয় সে কর্ণ। ভাগ্যের কাছে সে বারবার হেরে গেছে, তবু সত্যিকারের মানুষ, সত্যিকারের বীর তো কর্ণই। কৃষ্ণ না থাকলে অর্জুন কি আদৌ কর্ণকে হারাতে পারতো? আর দ্রৌপদী। দ্রৌপদীই কি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের আসল কারণ। পঞ্চপান্ডব তাকে পেয়েছিল ঠিকই, তবু সঠিক মর্যাদা দিতে পারে নি। কর্ণ এমনকি স্বয়ং কৃষ্ণও দূর্বল ছিলেন দ্রৌপদীর প্রতি। মহাভারতে রাধা নেই, কৃষ্ণের গোপন দূর্বলতা কি দ্রৌপদী ই?
সে সময়ের নীতিবোধ একালের সাথে মেলে না। কুন্তীর মুখের একটি কথায় দ্রৌপদীকে ৫ ভাইয়ের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়াটা একালে কে মানবে? এক নিষাদ পরিবারের মা আর পাঁচ ছেলেকে নিজেদের প্রয়োজনে পুড়িয়ে মারাটা? কামুক পিতার জন্য ভীস্মের অসাধারণ আত্মত্যাগ? এমন আরও অনেক উদাহরণ খুঁজলে পাওয়া যাবে। তবে এর মধ্যেও মাঝে মাঝে মনে হয়েছে সমাজে মেয়েদের মর্যাদা বোধহয় এখন থেকে বেশি ছিল। কুন্তী, কর্ণকে জন্মকালেই নদীর জলে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন সত্য, তবু তার পক্ষেও পরবর্তীতে সন্তানকে আপন পরিচয়ে বড় করার সুযোগ ছিল, দ্রৌপদীর সয়ংম্বর সভাও আরেকটি উদাহরণ। নিজের পছন্দমতো পাত্র বেছে নেয়াটা সেকালে সম্ভব ছিল মেয়েদের পক্ষে।
কৃষ্ণকে অনেকে ভাবতো দেবতা, কেউ কেউ ভাবতো নিষ্ঠুর, খল। ঈশ্বর বলে সত্যিই যদি কেউ থাকেন (আমি এর উত্তর জানি না) আর যদি সত্যিই মানুষ হিসেবে জন্ম নিতে পারতেন কেমন হতেন তিনি? মানুষের ভালো, মন্দ দুই ই তো তার মধ্যে থাকতো। সে দিক দিয়ে আমি বলবো মহাভারতের কাহিনীকার সফল, বিশুদ্ধ চরিত্র হিসেবে কৃষ্ণকে না দেখিয়েও তার উপর ঈশ্বরত্ব আরোপ করাটা আমার কাছে তাই দৃষ্টিকটু মনে হয় নি, বরং মনে হয়েছে এমনই তো হবার কথা, এমনই তো হবার ছিল। কৃষ্ণ হয়তো চেয়েছিলেন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ দিয়ে শেষ হোক সব অন্যায় যুদ্ধের, তা হয় নি, হবেও না বোধহয় মানবসভ্যতা শেষ হওয়া পর্যন্তই। ঈশ্বরই শেষ পর্যন্ত বোধহয় হেরে গেলেন নিজের সৃষ্টির কাছেই।
কেষ্ট ঠাকুর কিভাবে বিশাল গুটিবাজি করে কুরু-পাণ্ডব-যাদব সক্কলের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়ে তাদের ঝাড়ে-বংশে উৎখাত করে দিলেন তারই রোমহষর্ক বিবরণ। পড়লে বোঝা যায়, পুরাকালেও রাজনীতির মধ্যে পলিটিক্স ঢুকে গেছিল, খামোখা ব্রিটিশরে দোষ দিয়ে লাভ নেই। অন আ সিরিয়াস নোট, মহাভারতকে এতজন এতরকম দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে দেখেছেন যে, সেগুলোকে একসাথে করলেও বেশ কয়েকটা মহাভারত হয়ে যাবে। যেগুলো পড়েছি, তার মাঝে গজেন বাবুর এই ভার্শনটা আমার বেশ পছন্দ। নিয়তিবাদিতা নাকি কৃষ্ণের রাজনীতি, সে নিয়ে বেশ খানিকটা দোলাচলে রাখেন লেখক। মহাভারত নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে, তাদের অবশ্যই পড়া দরকার। এর সাথে লেখকের তৎকালীন ভারতের অবস্থা বিষয়ে উদ্বেগটাও বেশ ফুটে ওঠে, এবং সে কারণেই উপমহাদেশের বর্তমান রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থার ক্ষেত্রেও বেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে গল্পটা, কারণ ভারতবর্ষের অবস্থা গত ৬০-৭০ বছরে বিশেষ বদলেছে সেরকম মনে হয় না।
মানুষকে বাদ দিয়ে কি ইতিহাস বলে কিছু হয়? প্রত্নতাত্ত্বিক বলবেন, নিরবধি কালের এই বিপুল বিস্তারে মানবের অস্তিত্ব স্রেফ ক্ষণকালের। তার বাইরেই রয়ে গেছে প্রায় সবটুকু সময় আর সেই সময়ে ঘটে যাওয়া নানা কিছু। ইতিহাস কি সেগুলো বাদ দিলে দাঁড়ায়? সেগুলো প্রাগিতিহাস। ইতিহাস আসলে মানুষের কথা বলে। আর মানুষ? সে নিজের শক্তি আর দুর্বলতাকে নিয়তি বনাম পুরুষকারের দ্বন্দ্বে যতবার দীর্ণ হতে দেখে, ততবার ঈশ্বরের কথা ভাবে। তার কাছে ঈশ্বর মানে আসলে এমন কেউ, যিনি মানুষ হয়েও তার সীমারেখা ছাপিয়ে গেছেন বারবার। যেমন কৃষ্ণ! ভাগবত বা অন্যান্য পুরাণে আমরা বিষ্ণুর অবতার হিসেবে যাঁর সন্ধান পাই, দ্বাপরের মহানায়ক সেই দেবতার সঙ্গে মহাভারতের কৃষ্ণের কিন্তু প্রভেদ আছে। সবচেয়ে বড়ো পার্থক্য এখানেই যে মহাভারতের কৃষ্ণ একজন কূটনীতিজ্ঞ, তুখোড় রাজনীতিবিদ মানুষ। এই বই, এই উপন্যাস সেই মানুষটির ব্যক্তিগত তথা সামূহিক জয় ও পরাজয়ের খতিয়ান। তবে শুধু খতিয়ান দিয়ে কি আর বই কালের করাল বিরোধিতা অতিক্রম করতে পারে? এই বই নরনারীর যাবতীয় অনুভূতি আর রিপু, তাদের মহত্ব আর দুর্বলতার অনন্য চিত্রণের জন্যই ক্লাসিক হয়ে উঠেছে। এও স্বীকার্য যে কৃষ্ণকে এতটা সহানুভূতির সঙ্গে, সরাসরি 'নায়ক' হিসেবে পরিবেশনের লক্ষ্য নিয়েও আর কোনো উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে রচিত হয়নি। হয়তো সেজন্যই, বিশেষত ইরাবতী কার্ভে'র 'যুগান্ত' এবং এস.এল ভৈরপ্পা'র পর্বের প্রভাব সুদূরপ্রসারী হওয়ায় বাঙালি মনন মহাভারতকে অবিনির্মাণ করেছেন অন্যভাবে। সেই মননের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি হিসেবে সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের 'প্রথম প্রবাহ', এমনকি সুচেতনা সেন কুমারের 'সৌবল ���কুনি' আজকের পাঠকের মনের আরও কাছাকাছি পৌঁছোবে। তবে পাঞ্চজন্য থেকে যাবে চিরকালীন এক নস্ট্যালজিয়া হয়ে।
মহাভারতের সবচেয়ে রহস্যময় চরিত্র শ্রীকৃষ্ণকে মূল ফোকাসে রেখে লেখা কাহিনী। যে কোন ভার্শন মহাভারত পড়লে মনে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক, কৃষ্ণ কেন বিভিন্ন সময় কপটতার আশ্রয় নিয়েছেন বা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া যায় এই উপন্যাসে।
যেহেতু মহাভারতের সব চরিত্রের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি আমার বিশেষ পক্ষপাতিত্ব আছে, সেহেতু পক্ষপাতিত্ব রেখেই বলবো, এ পর্যন্ত পড়া মহাভারত বিষয়ক বইগুলোর মধ্যে এটা এখন পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ।
মহাভারতের কাহিনী বরাবরই খুব আকর্ষণ করে, সে যতোই তাতে কূটনীতি, রাজনীতি, ষড়যন্ত্র থাকুক না কেন। তাই বছরের শুরুতেই এই বই দিয়েই পড়া শুরু করেছিলাম। ১০ দিন লেগে গেল শেষ করতে। নানান কারণে একটানা পড়তে পারিনি। তবে ১০ দিন ধরে ধীরে ধীরে পড়লেও নিতান্তই সুখপাঠ্য হয়েছে। হ্যাঁ ভাষা কয়েক যায়গায় একটু কঠিন লেগেছে ঠিকই তবে বুঝে নিয়ে পড়তে অসুবিধা হয়নি। এই বই অবশ্যই উপভোগ্য।
মহাভারত এক বিশাল মহাকাব্য, যার একটি অংশ নিয়ে এই উপন্যাস রচিত হয়েছে। এখানে কাহিনী দ্রুপদ কন্যা দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভা থেকে শুরু হয়ে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হয়ে শ্রীকৃষ্ণের অন্তিমক্ষণে গিয়ে শেষ হয়েছে। বইয়ের নাম 'পঞ্চজন্য' অর্থাৎ পঞ্চজন অর্থাৎ পঞ্চ পাণ্ডবদের নিয়ে এই কাহিনী হলেও এই কাহিনীতে যে চরিত্র মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি হলেন বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ। তাঁর থেকে বড়ো রাজনীতিবিদ আর কেই বা ছিল। লেখক তাঁকে দেবতারূপে না দেখালেও তাঁর ইচ্ছানুসারেই যে সমস্ত কিছু হচ্ছে তা স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে। তিনি না চাইলে কি এই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হতো? হয়তো না। তিনি চাইলে এই বিধ্বংসী যুদ্ধ আটকাতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেন নি। ধর্ম স্থাপনের জন্য সমস্ত অন্যায় পাপের বিনাশের জন্য এই যুদ্ধ ছিল একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু সত্যিই কি পাপের বিনাশ হয়েছিল পুরোপুরি? হয়তো না, আর সেই উপলব্ধিই তিনি করেছেন অন্তিমক্ষণে।
এই বইয়ের যে অংশ দুটি সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে তারমধ্যে একটি হলো কর্ণের সাথে কৃষ্ণের কথোপকথন। কর্ণ সম্পর্কে জানলেও এতো বিস্তারিতভাবে জানা ছিল না। কারণ অন্যান্য চরিত্রদের নিয়ে আগেও টুকটাক পড়া হয়েছে, সে সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের 'প্রথম প্রবাহ' বা 'দৈবাদিষ্ট' হোক, বা শাহযাদ ফিরদাউসের 'ব্যাস' হোক বা বাণী বসুর মহাভারত নির্ভর কিছু চরিত্রদের নিয়ে বই হোক। কিন্তু কর্ণ নিয়ে আগে পড়ার সৌভাগ্য হয়নি। তাই এই বই পড়ে কর্ণ সম্বন্ধে কিছু ভুল ধারণা ছিল তা ভাঙলো। প্রকৃত বীর তো আমার মতে সেই-ই। ভাগ্য চিরকাল তাঁর সাথে পরিহাসই করেছে। অবশ্য শুধু কর্ণ নয়, দ্রৌপদী, গান্ধারী, বিদুর, একলব্য, পিতামহ ভীষ্ম এঁরা, এছাড়া আরও অনেকের সাথেই ভাগ্য পরিহাস করেছে। আর সত্যি বলতে সমগ্র মহাভারত জুড়েই তো রয়েছে শুধু ভাগ্য বিতাড়িতদের হাহাকার।
দ্বিতীয় ভালোলাগার অংশটি হলো কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের অংশটি। এতো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যুদ্ধের বর্ণনা আমি আগে কোথাও পড়িনি এবং আমার জানাও ছিল না। তবে যুদ্ধের এই বিধ্বংসীতা, তার ভয়াবহ পরিণতি বরাবরই খুব বেদনাদায়ক।
যাইহোক এর বেশি আমার আর কিছু বলার নেই। তবে পড়ার পর এটা উপলব্ধি করলাম কেন এই বইটিকে ক্লাসিক সাহিত্যের উচ্চস্থানে রাখা হয়। কূটনীতি, রাজনীতি, ষড়যন্ত্র, মহামানবত্ম, বীরত্ব, প্রতিবাদ, প্রতিশোধ সবকিছুর সংমিশ্রণে এটি একটি অসামান্য বই।
জানি এই বই অনেকেরই পড়া, তবুও যারা এখনও পড়েননি অবশ্যই একবার পড়ে দেখুন। আশা করি ভালো লাগবে। পাঠে থাকুন।
মহাভারত বা মহাভারতভিত্তিক উপন্যাস বরাবরই প্রিয় আমার। যতোবার পড়ি ততোবারই মহাভারতের প্রতিটি ঘটনা ও চরিত্র যেন নতুন কোনো আঙ্গিক নিয়ে অপেক্ষা করে, নতুনভাবে ভাবতে শেখায়। পাঞ্চজন্য উপন্যাসে শ্রীকৃষ্ণ সহ মহাভারতের বাকী চরিত্র ও ঘটনাগুলোকে যেন এক অভূতপূর্ব দৃষ্টিতে উপলব্ধি করলাম। উপন্যাসের শুরু দ্রুপদ রাজকন্যা দ্রৌপদীর স্বয়ম্বরের প্রাক্কালে আর শেষ শ্রীকৃষ্ণের ইহলোক ত্যাগের সময়। এই দুই সময়ের মধ্যবর্তী সময়ের মহাভারতের ঘটনাসমূহ লেখক বর্ণনা করেছেন স্বদক্ষতায় কোনোরকম অলৌকিক বা দৈবিক প্রভাব না দেখিয়ে। শ্রীকৃষ্ণই এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। বাকীদের মতোই একজন রক্তমাংসের মানুষ। মানুষ হয়েও তিনি কিন্তু বাকিদের থেকে আলাদা। তিনি বিচক্ষণ, ভবিষ্যতদ্রষ্টা এবং ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন। সমগ্র ভারতবর্ষ যখন লোভী, পাপী, ঈর্ষাকাতর, পরশ্রীকাতর ক্ষত্রিয় নৃপতিদের অধর্মে নিমজ্জিত তখন এই ব্যক্তি নিজের কৌশল ও বুদ্ধিতে পুণরায় ধর্মসংস্থাপনার কর্মযজ্ঞে হাত দিয়েছেন এবং তাতে তার নিজের বংশ ধ্বংস হবে সেটা অনুমান করেও। এরকম ভালো উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সত্যিই বিরল। পঠনকালে সুলিখিত এই গ্রন্থের প্রতিটি চরিত্র ও ঘটনা পাঠকের মানসপটে জীবন্ত হয়ে ওঠে। এই বৃহৎ উপন্যাসের মূল্যায়ন করা আমার মতো সাধারণ পাঠকের ক্ষমতার বাইরে। ভবিষ্যতে আবারও পড়ার ইচ্ছে রইলো।
সেই ছেলেবেলায় উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা ছেলেদের মহাভারত পড়েছি আর এই পড়লাম গজেন্দ্রকুমার মিত্রের লেখা কৃষ্ণের দৃষ্টিতে বা কৃষ্ণের দিক দিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গীতে লেখা এই মহাভারত। অসাধারণ
গজেন্দ্রকুমার মিত্রের লেখা পাঞ্চজন্য শুধু একটি উপন্যাস নয়, এটি এক পরিপূর্ণ বোধের যাত্রা—একটি প্রজ্ঞাবান চরিত্রের বিশ্লেষণ এবং ইতিহাস ও ধর্মের আবরণে ঢাকা বাস্তবতার নতুন পাঠ। অনেকেই মহাভারতের কাহিনিকে ঈশ্বরের কাহিনি হিসেবে দেখেন, যেখানে কৃষ্ণ হলেন অবতার, সর্বজ্ঞ, অলৌকিক শক্তিধর। কিন্তু পাঞ্চজন্য সেই প্রচলিত ধারণাকে ভেঙে দিয়ে কৃষ্ণকে দেখায় একজন রক্ত-মাংসের মানুষ হিসেবে—দূরদর্শী, কৌশলী, রাজনৈতিক পরিকল্পনাকারী এবং সর্বোপরি, এক অসামান্য মানবতাবাদী নেতা হিসেবে।
এই দৃষ্টিভঙ্গিই এই বইয়ের হৃদয়। এটি দেবতার নয়, মানুষের গল্প।
একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ
অনেক দিন পরে এমন একটি বাংলা বই পড়লাম যা পড়া শেষ হতেই পাঠক হিসেবে পাঁচ তারা না দিয়ে উপায় ছিল না। মহাভারত পড়েছি অনেক আগে, সেই কৈশোরেই। তখন থেকেই জানি কৃষ্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র ধরেননি। কিন্তু সত্যিকারে যুদ্ধের নিয়ন্ত্রক, প্রতিটি কৌশলের নেপথ্যের মস্তিষ্ক তিনি। গজেন্দ্র মিত্র এই দিকটি অসাধারণ দক্ষতায় তুলে ধরেছেন। কৃষ্ণ এখানে অর্জুনের সখা নন, পাণ্ডবদের বন্ধু নন, একমাত্র মানুষ যিনি পুরো ভারতবর্ষের রাজনীতি এবং ধ্বংসের প্রক্রিয়া বোঝেন এবং সচেতনভাবে পরিচালনা করেন।
এই বই পড়ে মনে পড়ল আরও একটি কথা—যখন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের শ্রীকৃষ্ণের জীবনের শেষ কটা দিন পড়ে অনেকে বলেছিলেন, "পাঞ্চজন্য অনেক ভালো"। আজ বুঝতে পারি, তুলনাটা অমূলক। সঞ্জীববাবুর বই ভক্তের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা, আর পাঞ্চজন্য সম্পূর্ণ মানবিক দর্শনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।
কৃষ্ণ: ঈশ্বর নন, দূরদর্শী মানুষ
গজেন্দ্র মিত্র কৃষ্ণকে দেবতার আসন থেকে নামিয়ে এনেছেন একজন ভাবুক, প্রজ্ঞাবান মানুষ হিসেবে। তিনি মিথ্যার আশ্রয় নেন, কৌশলের আশ্রয় নেন, রাজনীতি খেলেন, হিংসা ও সংঘাতের আয়োজন করেন—সবই বৃহত্তর কল্যাণের কথা মাথায় রেখে। তিনি জানেন, সত্যের উপর দাঁড়িয়ে কখনো কখনো মিথ্যাও ধর্মসঙ্গত হতে পারে। উপন্যাসে বলা আছে:
"...বিবাহকালে, পরিহাসচ্ছলে , রতিসম্প্রয়োগে ,প্রাণ - সংশয়ে ,সর্বস্ব যেখানে বিনষ্ট হতে বসেছে , স্ত্রীলোকের কাছে এবং পরের উপকারের জন্য মিথ্যা বলায় দোষ নেই।"
এই যুক্তিই তিনি ব্যবহার করেন যুধিষ্ঠিরের কাছে, যা পাঠককে বাধ্য করে ভাবতে—নৈতিকতা কি চিরকাল একইরকম থাকে? নাকি প্রেক্ষিত অনুসারে তার মানে বদলায়?
ঘটনাপ্রবাহ ও নাটকীয়তা
উপন্যাসের শুরু দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর থেকে এবং শেষ হয় যদুবংশের ধ্বংস ও কৃষ্ণের মৃত্যু দিয়ে। কাহিনির প্রতিটি পর্ব এমনভাবে গাঁথা যে মনে হয় এক একজন চরিত্র বাস্তব হয়ে উঠছে। কীভাবে এক নিষাদ রমণী ও তার পাঁচ পুত্রকে পাণ্ডবদের মিথ্যা মৃত্যুর আবরণ দিতে ব্যবহার করা হয়, কীভাবে কীলক নামের চরিত্র কৃষ্ণের একরকম ব্যক্তিগত গুপ্তচর হয়ে ওঠে—সবই গভীর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে।
চরিত্রসমূহের জটিলতা
কর্ণ, অর্জুন, দ্রৌপদী—প্রত্যেকেই এই কাহিনিতে গভীরভাবে ব্যাখ্যায়িত। কর্ণ যেন চূড়ান্ত ট্র্যাজিক নায়ক। তার প্রতি কৃষ্ণের দৃষ্টিভঙ্গি সহানুভূতির, কিন্তু তবুও তিনি কর্ণকে ভাঙেন। পাঠক বুঝতে পারেন, কৃষ্ণ মানুষের মতোই দ্বিধাগ্রস্ত, সংবেদনশীল। দ্রৌপদীর প্রতি তার দুর্বলতা, পত্রলেখার মাধ্যমে নিজেকে দোষারোপ করা, এই সবই মানুষ কৃষ্ণকে আরও মানবিক করে তোলে।
উল্লেখযোগ্য এক উদ্ধৃতি:
“রূঢ় ভাষী পত্র রচনায় পাঞ্চালীর নিজের প্রতি মোহ কাটিয়ে দিতে চেয়েছেন এমন ভাবে যে, মনে হতে বাধ্য, আচ্ছা! হতেও তো পারে, এমন হতেও তো পারে।”
ব্যর্থতা ও আত্মসমালোচনা
সবচেয়ে প্রভাবিত করে শেষ অধ্যায়টি, যেখানে কৃষ্ণ নিজেই উপলব্ধি করেন, তিনি সফল হননি। ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য যে স্বপ্ন তিনি লালন করেছিলেন, তা কুরুক্ষেত্রের রক্তে ডুবে গিয়েছে। বিজয় হয়নি, বরং এক অপূরণীয় ক্ষয় এসেছে মানবসমাজে। এই আত্মবিশ্লেষণ আমাদের শেখায়, ঈশ্বরও যদি মানুষ হন, তাহলে তারও ভুল হতে পারে।
এটি নিছক কৃষ্ণের নয়, আমাদের প্রত্যেকের আত্মসমালোচনার সুযোগ।
ভাষা, গঠন ও উপস্থাপনা
গজেন্দ্র মিত্রর ভাষা অত্যন্ত মার্জিত, প্রাঞ্জল এবং সুপরিকল্পিত। পাঞ্চজন্য কেবল মহাকাব্যের পুনর্ব্যাখ্যা নয়, এটি একটি দার্শনিক উপন্যাস, যা পাঠককে প্রশ্ন করতে শেখায়। কেন সত্য সবসময় শ্রেয় নয়? কেন ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যায় প্রয়োজনীয় হতে পারে? কেন ঈশ্বরতুল্য এক ব্যক্তিও মানুষ হয়ে পড়েন?
এক ব্যক্তিগত স্মৃতি
এই উপন্যাসের সঙ্গে আমার একটি আত্মিক সংযোগ রয়েছে। ক্লাস নাইনে বাংলা বিষয়ে ভালো নম্বর পেয়ে স্কুল থেকে উপহার হিসেবে বইটি পেয়েছিলাম। তখন পড়া হয়নি, হয়তো সেই বয়সে এই বইয়ের গভীরতা ধরার মতো পরিণতি আসেনি। আজ বহু বছর পরে, সেই বইয়ের পাতা খুলতেই স্কুলের সরস্বতী পুজোর গন্ধ, হাফ প্যান্ট পরা দিনগুলোর মেঘলা বিকেল, এবং স্যারেরা—যাঁরা আমাদের বই পড়তে শিখিয়েছেন, ভাবতে শিখিয়েছেন—সব ফিরে এল।
গজেন্দ্র মিত্রের মতো সাহিত্যিকদের প্রজ্ঞা এবং দৃষ্টিভঙ্গি আজও বাংলা সাহিত্যের জন্য এক ঐশ্বর্য। কিন্তু প্রশ্ন থাকে—আজকের প্রজন্ম কি আর কখনো এমন বই পড়বে, পড়ার সুযোগ পাবে? এ দায় আমাদেরই। বাংলা ভাষাকে, সাহিত্যের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার দায়।
উপসংহার
পাঞ্চজন্য শুধু কৃষ্ণের কাহিনি নয়, এটি মানুষের কাহিনি। যুদ্ধ, ন্যায়, কৌশল, প্রেম, আত্মবিসর্জন এবং সব শেষে আত্মসমালোচনার অনন্য দৃষ্টান্ত। গজেন্দ্র মিত্র তাঁর কলমে কেবল কাহিনি বলেননি, তিনি আমাদের চিন্তা করতে বাধ্য করেছেন। এটি সেই বই, যা পড়ে প্রশ্ন জাগে—তাহলে সত্যই কি ঈশ্বর হেরে গিয়েছিলেন নিজের সৃষ্টির কাছে?
যদি কখনো কৃষ্ণ সত্যিই মানুষ হয়ে জন্ম নিতেন, তবে তিনি হতেন ঠিক এমনই।
মহাভারতের এই অংশটি দ্রৌপদীর স্বয়ম্ভরসভা থেকে আরম্ভ হয়ে শেষ হয় কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে কৌরবদের অবসান ঘটিয়ে। আমি সেই গল্প বলবো না, কমবেশি সবাই জানে।
মহাভারত এক সুবিশাল কাহিনী, তার চেয়েও বিশাল তার পরিধি, যা দেশ, কাল, সময় মানে না। সব ক্ষেত্রে, সবকালে মহাভারতের সমানভাবে বাস্তববাদীতার পরিচয় রাখে। মূল লেখা থেকে অনেকে অনেক ভাবে তার ভাষান্তর, ভাবান্তর করেছে। সম্পূর্ণ মহাভারত আমি পড়িনি। সারাংশ জানি। বিভিন্ন অংশ, বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে লেখা বই পড়েছি। এই প্রতিক্রিয়া শুধু মাত্র এই বইটির ওপর।
প্রথম থেকেই দেখে আসছি কৃষ্ণর কার্যকারিতা আর অধ্যবসায়। যার শুরু পাণ্ডবদেরকে নিজের আত্মীয় হিসেবে সমাজে প্রকাশ করা। এরপর সবক্ষেত্রে নিজের প্রয়োজনীয় মতামত দেওয়া। নীতিগত সুপরামর্শ তো রয়েছে, প্রয়োজনে নীতিবিরুদ্ধ কাজকেও তার বাগ্মিতায় প্রয়োজনীয়, হিতকরী হিসেবে পরিবেশন করা।
জনসমাজে কৃষ্ণর আবির্ভাব নিজের মামা কংস-হত্যা থেকে। নিজের পিত-মাতা-শরিকি কুলের যথেচ্ছচারিতা তিনি আর সহ্য করতে পারছিলেন না। এদিকে ক্ষত্রিয় সমাজের অত্যাচার অনাচার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সত্য আর ত্রেতা যুগের অবসান ঘটায় ধর্ম আর সত্য, এই দুই দ্বাপর যুগে নিম্নগামী। অর্থাৎ সমূলে এর উচ্ছেদ দরকার। কৃষ্ণ বুঝেছিলেন এই বিশাল ভারতবর্ষের ছোট-বড়ো অগণিত রাজাদের এক এক করে বিনাশ অসম্ভব। তাদের এক জায়গায় এক ক্ষেত্রে আনতে হবে, অর্থাৎ কুরুক্ষেত্র। আদতে কৌরব-পাণ্ডবদের বহুল চর্চিত এই যুদ্ধের হয়তো প্রয়োজন ছিল না, যেটা প্রয়োজন ছিল তা ক্ষত্রিয় সমূলে বিনাশ বা তাদের বাহুবল, মনোবল নষ্ট করে দেওয়া। যুদ্ধ-পরবর্তী অবস্থা সেই কাজ করে দিয়েছে। দ্বাপর যুগে কৃষ্ণ ছিলেন যিনি কূটনৈতিকভাবে কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে ক্ষত্রিয়দের তথা অন্যায়, অবিচার, লালসার অবসান ঘটিয়েছিলেন।
কিন্তু এর মধ্যেই কোথাও যেন ঈর্ষান্বিত স্বার্থ রয়েছে কৃষ্ণর, কৃষ্ণাকে পাওয়ার। দ্রৌপদী তার যোগ্য অর্ধাঙ্গিনী হতে পারতো। তাকে না পাওয়ার জন্যই হয়তো কৃষ্ণের এতো বিশাল আড়ম্বর। আসলে ভগবান হলেও এক মানব-দেহ ধারণ করলে যে মানবিক দোষ-গুন স্বভাবতই চলে আসে। যুগ যুগ ধরে বহু যুদ্ধের তো মূল কারণ তাই।
লেখা সম্বন্ধে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। যে পড়েননি তাকে অবশ্যই পড়তে বলবো। অসাধারণ অভিজ্ঞতা। যতগুলো প্রাপ্তবয়স্ক মহাভারতের অংশবিশেষ লেখা পড়েছি, তার মধ্যে পাঞ্চজন্য সেরা।
গজেন্দ্রকুমার মিত্রের "পাঞ্চজন্য " মূলত লেখকের মানসে শ্রীকৃষ্ণ এর চরিত্র বিশ্লেষণ- আরও নিখুঁতভাবে বললে মানব শ্রীকৃষ্ণের মনন উদঘাটন।
শ্রীকৃষ্ণ আমার কাছে খুবই কৌতুহলোদ্দীপক চরিত্র বরাবর। তার কিছু মিটল এই বহুল প্রশংসিত বইটা পড়ে।
উপন্যাসটা শুরু হয় দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভা দিয়ে যে সভায় বাসুদেব পরিচিত হন পাণ্ডবদের সাথে আর তাদের নিজের উদ্দেশ্য সিদ্ধির ক্রীড়ানকে পরিণত করেন। কি সেই উদ্দেশ্য?
আপাতভাবে বিচার করলে দ্যুতসভায় পাঞ্চালির লাঞ্চনার প্রতিশোধ নিতেই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু আসলেই কি তাই? বরং দ্যুতসভায় যে এমন কিছু হবে বা এমন কিছুই হোক সেটাই চেয়েছিলেন বাসুদেব। সম্পূর্ণ যুদ্ধটাই গোবিন্দ তার মেধা আর বুদ্ধি দিয়ে পরিচালনা করেছেন - বাকি সবাই ছিল তার পাশার ঘুটি। কিন্তু কেন? কি তার উদ্দেশ্য? সেই উদ্দেশ্য কি পূর্নতা পেয়েছিল? তার জন্য পড়তে হবে বইটা।
কপট পাশাখেলায় বরাবর দুর্যোধনদেরই দোষারোপ করা হয়। কিন্তু লেখকের কাছে আশা ছিল লেখক ধর্মরাজসহ ভীষ্ম, দ্রোণদের অধর্ম কে বিশ্লেষণ করবেন কিন্তু সেদিকটা একটু খামতি রয়ে গেল আমার কাছে। আর মহাভারতের আরেক খলনায়ক শকুনির অভাব বোধ করেছি পুরোটা সময় জুড়েই। বাসুদেব যদি শার্লক হোমস হন, শকুনি তবে প্রফেসর মরিয়ার্টি, বাসুদেব যদি ফেলুদা হোন শকুনি মগনলাল মেঘরাজ। পুরো উপন্যাসে কৃষ্ণ প্রতিপক্ষ ছাড়াই বিনা বাধায় যুদ্ধ করে গেলেন।
সবশেষে বইটা পড়ে ভাল লাগলো। পড়ে ফেলতে পারেন বিশেষ করে হিন্দু পুরাণ নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে।
আমাদের প্রায় সকলেরই বই পড়ে ,বাড়িতে গল্প শুনে ও টেলিভিশনের মাধ্যমে মহাভারত সম্পর্কে কম বেশী একটা বেসিক ধারণা আছে।এছাড়া মহাভারতের বিভিন্ন চরিত্র,ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে ও ভবিষ্যতেও হবে। এই মহাকাব্যের বিস্তার এতোটাই প্রসারিত যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লেখকের লেখা আলাদা আলাদা দৃষ্টিকোণ থেকে মহাভারতের ব্যাখ্যা অথবা বর্ননা যাই বলা হোক না কেন সেই সব লেখা পড়তে বেশ ভালোই লাগে।মহাভারত কে কেন্দ্র করে লেখা এই উপন্যাস পাঞ্চজন্য। বইটি সংগ্ৰহ করেছিলাম বহুদিন আগেই। সম্প্রতি উপন্যাসটি পড়লাম। এখানে বাসুদেব কৃষ্ণ কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে রয়েছেন। তবে উপন্যাসে শ্রদ্ধেয় লেখক শ্রীকৃষ্ণকে দেবতা হিসেবে নন একজন মানব রূপে উপস্থাপন করেছেন। যদিও কিছু কিছু জায়গায় তাঁর অবতার রূপের প্রকাশ পেয়েছে তবু এই উপন্যাসে বাসুদেব কিভাবে রাজনৈতিক কূটনৈতিক কৌশলী পদক্ষেপের মাধ্যমে ধর্ম প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয়েছিলেন সেই সমস্ত দিকগুলি বেশী প্রাধান্য পেয়েছে। সরল বিশ্লেষণধর্মী লেখা পড়তে বেশ ভালো লাগলো। ভাষা ও শব্দচয়ন অপূর্ব ।লেখক নিজস্ব আঙ্গিকে মহাভারতের বিভিন্ন ঘটনার বাস্তবসম্মত বর্ননা করেছেন সেগুলিও সুখপাঠ্য ও যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। বিশেষ করে কৃষ্ণ ও দ্রৌপদী,কৃষ্ণ ও কর্ণ ,এবং কৃষ্ণ ও অর্জুনের মধ্যে কথোপকথন গুলি মনোগ্রাহী ও চিন্তা উদ্দীপক হয়েছে। শুধু কৌরব পান্ডব দ্বন্দ্ব নয়,এই আলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে দেশের শাষক ,শাসনব্যবস্থা, সাধারণ মানুষ প্রজাদের কথা বারবার উঠে এসেছে যেটা আমার ব্যক্তিগতভাবে বেশ ভালো লেগেছে।
আমার কাছে উপন্যাসের সবথেকে সেরা অংশ উপসংহার। এই অধ্যায়ে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার এবং ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য নেওয়া প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপের আত্ম উপলব্ধি করেছেন। হ্যাঁ এটাও সত্যি যে মহাভারতের বিভিন্ন চরিত্র ও তাদের সম্পর্কের এতো জটিলতা আছে এই সমস্ত কিছুর বর্ননা বিশ্লেষণ কোনো একটা উপন্যাস অথবা প্রবন্ধ থেকে পাওয়া যায়না তবু এই উপন্যাসের মাধ্যমে মহাভারতের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ ও বিশেষ করে বাসুদেব কৃষ্ণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। মহাভারত কে মূল বিষয় করে লেখা খুব বেশী কিছু পড়িনি তবু একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে এইটুকু বলতে পারি যে যারা মহাভারত পড়তে ভালোবাসেন তারা অবশ্যই এই উপন্যাস পড়বেন। নিঃসন্দেহে ভালো লাগবে ।
'কৃষ্ণ' সম্পর্কে এতো বিবৃত ধারণা পাওয়া এই উপন্যাসের জন্যই সম্ভব হয়েছে। মহাভারত এর কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সর্বতো কুশলী বলতে গেলে এই একজন মানুষই। যে ব্যক্তির কার্যক্রম অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণেই সামনে চলে আসে সব সত্য। ভারতীয় টিভি সিরিয়াল আগে দেখা থাকলে এই কল্পনা বেশি প্রসারিত হয়। অর্জুন ও কৃষ্ণের বন্ধুত্ব এবং বাৎসল্য চোখে পড়ার মতো। মাৎসর্য নামে এক হিংসাত্মক শব্দের যোজনা হয়েছে সম্পূর্ণ বই জুড়ে। পাঞ্চালীর বস্র হরণ এবং ইন্দ্রপ্রস্থ হারানোর কাহিনী বিবৃত হয়েছে মর্মন্তুদভাবে। এক সময় ধর্ম অধর্মের কুটচালে চাল দিতে দিতে আসে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ও তার পরিণাম। এবং পরিশেষে ধর্মের ধ্বজা সর্ব উচ্চ্যে স্থান পায়। এককথায় চমৎকার বই , সময় ও আগ্রহের সম্মিলন ঘটাতে পারলে এর সবটুকু আস্বাদন করা অসম্ভব কিছু নয়। সুখপাঠ্য তো বটেই।
Panchajanya is nothing but the brief of Mahabharata. The book is dealing with main characters, Kauravs & Pandavas and their internal fights turnes into intra fights of Bharata and ends in the Kurukshetra. The main person behind all the incident is Basudev Krishna. At the end, he realises and analysises his all karma and laments for his works.At the end,he is waiting for his death in a deep forest. This book was my last reading in 2020. I really enjoyed the book as it is dealing with mythology. The author creates his best to draw the brief of Mahabharata. The language is little bit tough but is abled to read.
কি পড়িলাম জন্ম জন্মান্তরেও ভুলিব না! এ উপন্যাসের কর্তা তথা নায়ক একজনই - তিনি কৃষ্ণ - মহাভারতের প্রেক্ষাপটে প্রধান কূটনৈতিক এবং রহস্যময় ব্যক্তিত্ব। কি চেয়ে ছিলেন তিনি? - ক্ষাত্রশক্তির পতনে গণতান্ত্রিক রাজপাটের অভ্যুদয়? তাই আপন সৃষ্টিকূলকেও স্থায়ীত্ব দিলেন না? সমগ্র যদুবংশ ধ্বংস করে দিলেন! তিনি ঈশ্বর নন , আমাদের মতই রক্তমাংসের মানুষ , ভুল ত্রুটি তাঁরও আছে। জীবন সায়াহ্নে গান্ধারীর অভিশাপ মাথা পেতে নিয়েছিলেন। এ কটি কথায় "পাঞ্চজন্য "কে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। এই উপন্যাস নিজেই নিজের পরিচয়। গজেন্দ্রকুমার মিত্রের অবিস্মরণীয় গবেষণাধর্মী সৃষ্টি।
এই বছরের ২৫ নম্বর বই গজেন্দ্রকুমার মিত্রের লেখা বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী উপন্যাস "পাঞ্চজন্য" বইটি বহুলপঠিত এবং সর্বজনবিদিত, এই সকল বইয়ের আলোচনা করা একটা বিশাল চাপের ব্যাপার তাই কি লিখবো আর কি লিখবো না সেই ভাবতে ভাবতেই প্রায় দুটো সপ্তাহ কেটে গেলো, প্রতিদিন কিছু কিছু করে বইটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা লিখে রাখি। আসলে বইটি পুরোনো হিসেবে সংগ্রহ করেছিলাম অনেকদিন আগেই, কঠিন ভাষার ভয়ে পড়া হয়ে উঠছিল না, একবার পড়া শুরু কর0 ভুল ভেঙ্গেছে কঠিন ভাষার, দ্বিতীয়ত বইটি আনপুটডাউনেবল। মহাভারত এর মত মহাকাব্য কে বহুজন বহু রকম ভাবে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ দিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন, এখনও করা হচ্ছে, তো সেরকমই একটি লেখা হচ্ছে পাঞ্চজন্য উপন্যাস। বইটির মুখবন্ধ তে লেখক বলেছেন তিনি শ্রীকৃষ্ণ কে মানুষ রূপে কল্পনা করে এই বইটি লিখেছেন। ভারতের সেই কঠিন সময় শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবের মূল কারণ খোজার চেষ্টা করেছেন লেখক এই বইয়ের মাধ্যমে।
♦️ পটভূমি -
মহাভারতের মত বিশাল মহাকাব্যের একটি অংশ নিয়ে উপন্যাসটি রচনা ��রা হয়েছে, এখানে কাহিনী দ্রৌপদীর স্বয়ম্ভর সভা থেকে শুরু করে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ হয়ে শ্রীকৃষ্ণের অন্তিমক্ষণে গিয়ে শেষ হয়েছে। মহাভারতের কেন্দ্রীয় চরিত্র নিঃসন্দেহে শ্রীকৃষ্ণ। তিনি হয়ত অস্ত্র হাতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে নামেননি, কিন্তু যুদ্ধের গতি প্রকৃতি, ফলাফল নির্ধারণ করে দিয়েছেন তিনিই।। শুধু মাত্র কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ না, তার আগের সময়কালে কুরু ও পাণ্ডবদের দ্বন্দ্বের সময়টাতে শ্রী কৃষ্ণের ভূমিকা ছিল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। শ্রীকৃষ্ণ এই উপন্যাসে কোনো দেবতা রূপে প্রকাশিত নন বরং প্রকাশিত একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ তথা অসম্ভব দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মহামানব রূপে। ভারতবর্ষে ধর্মস্থাপন ও সাধারণ মানুষকে পরিত্রাণের জন্য শ্রীকৃষ্ণ অন্যায় যুদ্ধ করতেও পিছপা হননি l। জরাসন্ধ বধ করিয়েছেন অন্যায় ভাবে, মহান যোদ্ধা কর্ণকে নিজের মাতৃ পরিচয় জানিয়েছেন, কর্ণের সত্য পরিচয় লুকিয়েছেন পাণ্ডবদের থেকে, পাণ্ডবদের জানালে হয়তো এই যুদ্ধই হতো না তুলেছেন। কিন্তু এইসবই শুধু মাত্র ধর্ম স্থাপনের জন্য। লেখক শ্রীকৃষ্ণকে দেবতা হিসেবে না দেখলেও, তাঁর ইচ্ছাতেই যে সকল কর্ম হচ্ছে তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।।কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের বর্ণনা, মহামতি ভীষ্মের শরশয্যা, মহাগুরু দ্রোণাচার্যের বিলাপ তথা অঙ্গাধিপতি কর্ণের জীবনাবসান প্রভৃতি লেখকের কলমে অনবদ্য ভাবে ফুটে উঠেছে।।
♦️ পাঠ প্রতিক্রিয়া -
বইটির ভাষা নিয়ে প্রথম থেকে একটু ভয় ছিল কিছু কিছু জায়গা ছাড়া সেই সমস্যা হয়নি। বইটি সত্যিই বলতে একবার পড়া শুরু করলে ছেড়ে ওঠা মুশকিল যদিও এই বই এক বসা বা দু বসায় শেষ করার বই না। এই বই পড়া শেষ করলে তবে বোঝা যায় কেনো এই বই বাংলা ক্লাসিক সাহিত্য।। রাজনীতি, প্রেম, লোভ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, কূটনীতি, ষড়যন্ত্র, বীরত্ব, প্রতিবাদ, প্রতিশোধ সবকিছুর সংমিশ্রণে এই বই লিখিত। শ্রীকৃষ্ণ এই উপন্যাসে কোনো দেবতা রূপে প্রকাশিত নন বরং প্রকাশিত একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ তথা অসম্ভব দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মহামানব রূপে। যার একমাত্র কাজ অধর্ম সরিয়ে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার। শ্রীকৃষ্ণ হয়তো চেয়েছিলেন কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ দিয়েই শেষ হবে সব অন্যায়ের যুদ্ধ, তা হয়নি আর হবেও না যতদিন মানবসভ্যতা জীবিত। তাই সত্যিই কি শ্রীকৃষ্ণ হেরে গেলেন নিজের সৃষ্টির কাছে? জানি এই বই অনেকের পড়া, তবুও যারা এখনো পড়েননি তাদের বলবো বাংলা সাহিত্যের এই বই মিস করবেন না। এই বই বাংলা সাহিত্যে অবশ্যই পাঠব্য।।
বাংলা সাহিত্যের একতি রত্ন এই বই। যদিও চরিত্র গুলি একমাত্রিক কিন্তু লেখক যে সময়ে এই বই লিখেছেন তখনকার মাপকাঠিতে এই বই সার্থক। মহাভারতের বহু অলৌকিক ঘটনার সুন্দর ব্যাখা দেওয়া আছে। যেমন বস্ত্রহরণের আগের সন্ধ্যায় দাসি সেজে কৃষ্ণের দ্রৌপদি কে একটি বিশেষ দৈব বস্ত্র প্রদান করে যাওয়া। এছাড়া যতু গৃহে সন্তান সহ মৃত সেই হতভাগ্য রমনীর উন্মাদপ্রায় স্বামীর কাছে গিয়ে কৃষ্ণের ক্ষমা চাওয়ার অংশটিও বেশ আবেগপ্রবণ।
গজেন্দ্রকুমার মিত্রের লেখার সাথে আগে কেন পরিচয় হয়নি তাই ভাবছি। অনেকটা কৌতূহলের বশেই শুরু করেছিলাম 'আমি কান পেতে রই,' আর চুম্বকের মত আটকে গেলাম। সেটি শেষ হতে ধরলাম পাঞ্চজন্য। এত সুলিখিত, অলংকারময় অথচ ধারাল গদ্য অনেকদিন পড়িনি। পাঁচ তারার বেশি দেওয়া গেলে তাই দিতাম।
ছোটবেলা থেকেই জেনে এসেছি মহাভারত মানে পঞ্চপাণ্ডবের কাহিনী। কিন্তু এই উপন্যাস কৃষ্ণকে ঘিরে। সেই নায়ক সেই খলনায়ক। তাঁর জয় পরাজয়, কূটনীতি ও রাজনীতি নিয়ে অসাধারণ একটি আখ্যান!
বইটি পৌরাণিক মহাকাব্য মহাভারতের সারাংশ বা প্রধান ঘটনা প্রবাহকে ঘিরে লেখা। যার মূল ফোকাসে রয়েছেন মথুরা নরপতি শ্রীকৃষ্ণ। এ বই থেকে যেমন পুরাকালের সাথে একালের সাদৃশ্য খুজে পাবেন, তেমনি দেখবেন আগেকার রাজনীতিতেও কিরকম নাটকীয়তার বৈশিষ্ট ছিল, যার সাথে একালের মিল ও বিরল নয়।
মানব মনের সূক্ষ্ম কক্ষপথ বা অনুভূতির পরিচয় আপনি প্রতি পৃষ্ঠাতেই লক্ষ্য করবেন। যে কারণেই এটি পড়তে আপনার কোন আলসেমি বা দীর্ঘসূত্রিতা আসার কথা নয়। এবং পড়তে পড়তে আপনি মাঝে মাঝে নিজেকেই আবিষ্কার করবেন ক্ষণে ক্ষণে। আমরা কিভাবে ভাবি, কেন মানুষ হিসেবে আমরা ভাবি এসবও জানতে পারবেন। এতে যেমন ধর্মপরায়ণ যুধিষ্টির এর ভেতর নিজেকে আবিষ্কার করবেন, তেমনি করবেন দুুর্যোধন এর মধ্যেও।
তবে সব ছাপিয়ে নাটকের নাটকীয়তা এবং শাশ্বত জীবনে মানব মনের গতি প্রকৃতিরই উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বারবার পড়ার মতই একটি বই এটি।
মহাভারত এবং শ্রীকৃষ্ণ প্রসঙ্গে হয়তো এটিই সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস। শ্রীকৃষ্ণের রহস্যময় চরিত্রখানি এত স্পষ্ট ভাবে অন্য আর কোথাও বোঝা যায় নি। এবং গজেন্দ্রকুমার মিত্র ক্লাসিক কায়দায় অত্যন্ত উচ্চশ্রেনীর সাহিত্য বাঙলা ভাষাকে উপহার দিয়েছেন।এবং এটি নিঃসন্দেহে আমার পড়া সর্বকালের সেরা সাহিত্য রচনা।