Jump to ratings and reviews
Rate this book

রূপমঞ্জরী #১

রূপমঞ্জরী ১

Rate this book
Rupmanjari 1 Paperback – 1 January 1990 Bengali Edition by Narayan Sanyal (Author)

491 pages, Hardcover

First published January 1, 1990

14 people are currently reading
213 people want to read

About the author

Narayan Sanyal

153 books202 followers
Narayan Sanyal (bn: নারায়ণ সান্যাল) was a well-known & versatile writer of modern Bengali literature. He received several awards for literature including Rabindra Puraskar for Aporupa Ajanta (Bangla: অপরূপা অজন্তা) in 1969, Bankim Puraskar for Rupmonjori (Bangla: রূপমঞ্জরী) in 2000, and Narasingha Dutta Award. Many of his books were filmed and he won the Best Film Story Writer Award for Shotyokam (Bangla: সত্যকাম) by Bengal Film Journalists.

Sanyal wrote numerous books that dealt with many topics, such as children, science, art and architecture, travels, psychiatry, technology, refugee problems, history, biographical pieces, encyclopedia of animals, social novel and Devadasi-related. He also wrote a series of detective fiction called the Kanta (Thorn) series, the framework of which was borrowed from the Perry Mason series of novels by Erle Stanley Gardner. Some of the stories were inspired from popular Agatha Christie novels like Mousetrap, ABC Murders, etc.

Interestingly, this talented author also preferred writing books on deep shadow of many world famous works. One of the most popular Sci-Fictions Nakshatraloker Debatatma (Bangla: নক্ষত্রলোকের দেবাত্মা) is based on the transformation of human race from primitive creature to civilized intelligent species controlling the whole earth. Then it deals with Jupiter exploration and a super intelligent Computer HAL. The three parted book is a clear shadow of 2001: A Space Odyssey by Arthur C. Clarke. In his book, NS renamed HAL as 'Jantra-Na.' In his mother tongue Bangla, it means 'Not a Machine'.

His most popular work is Biswasghatak (Bangla: বিশ্বাসঘাতক) written about the Manhattan project that developed the first US Atom Bomb. This book is based on the shadow of Brighter than a Thousand Suns: A Personal History of the Atomic Scientists (1970), by Austrian Robert Jungk. Not a shadow, but almost translation in some parts. Few of the illustrations in this book have been taken from few Russian school level books.

Another book Timi Timingil (Bangla: তিমি তিমিঙ্গিল) is on Whales. This stands on an article published in Readers Digest. But while NS accepted this for Timi Timingil, he never mentioned or thanked authors of 2001 or Brighter.

Most of the "Kanta" series stories were copied or heavily inspired from Perry Mason novels. For example, "Ristedar-er Kanta" was copied from The case of the beautiful beggar, "Abhipurbak Ni-Dhatu Au-er Kanta" was inspired from The case of the restless redhead. Some of the stories were inspired from Agatha Christie stories. For example, "Dress Rehearsal-er Kanta" was inspired from Three Act Tragedy. NS acknowledged his inspirations in his first few "Kanta" series books, but forgot to do so for the latter ones.

Thousands of NS fans feel sorry of this as a man of his talent could have developed something even better instead of just 'Copying' and retouching others works while he had indeed produced some excellent works himself.

But it is undoubtedly accepted by all that NS was one of the finest authors in Bengali and he was a class apart from the flock of contemporary Bengali writers those who too dependent on sentiment and emotional overdose in their writings and too dependent on monopolist Bengali media/publication groups in commercial front.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
73 (58%)
4 stars
39 (31%)
3 stars
12 (9%)
2 stars
0 (0%)
1 star
1 (<1%)
Displaying 1 - 11 of 11 reviews
Profile Image for Sohan.
274 reviews75 followers
August 18, 2025
অষ্টাদশ শতকের বাঙলায় নারীজাতির সামাজিক অবস্থা নিয়ে জানার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে উৎসুক ছিলাম। বিশেষত সতীদাহ প্রথা বিষয়ে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হয় যখন লক্ষ্য করি কিছু ভারতীয় ঐতিহাসিক এই প্রথাটিকে বেমালুম অস্বীকার করতে শুরু করেছেন। তারা রীতিমতো প্রচার করতে শুরু করেছেন যে এমন প্রথা ভারতবর্ষে ছিল না। রূপমঞ্জরী বইটি পাঠ্যতালিকায় যুক্ত করেছিলাম কারণ এই ইতিহাস নির্ভর আখ্যানটি মূলত সে সময়ে নারীর সামাজিক অবস্থা তুলে ধরে। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন হটী বিদ্যালঙ্কার যাঁকে এই উপন্যাসে রূপমঞ্জরী নামে উল্লেখ করা হয়েছে। অষ্টাদশ শতকের পুরুষশাসিত কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের অবহেলা ও উপেক্ষাকে জয় করে যে ক’জন বাঙালি নারী নিজের ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভার স্বতন্ত্রতা বজায় রেখেছিলেন তাঁদের মধ্যে হটী বিদ্যালঙ্কার অন্যতম। তিনি বিভিন্ন শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করেছিলেন এবং চতুষ্পাঠীতে শিক্ষা প্রদানের মতো বিপ্লবী কার্যে লিপ্ত ছিলেন। সে সময়ে বাঙলার গ্রামীণ সমাজে শিক্ষা ছিল টোল ও চতুষ্পাঠী নির্ভর। জাতিভেদপ্রথার কারণে এই শিক্ষার অধিকার কেবলমাত্র ব্রাহ্মণ ও বৈদ্য ছাত্রদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। নারীশিক্ষা সে সময়ে কল্পনার অতীত। যেখানে নারীর সামাজিক মর্যাদা ও ব্যক্তি স্বাধীনতাই নেই, সতীদাহ প্রথা, বাল্যবিবাহ ও কৌলীন্য প্রথার মতো রীতিনীতি বহুল প্রচারিত সেখানে নারী শিক্ষা একটি অলীক বিষয়। হটী বিদ্যালঙ্কার তাঁর পিতার কাছ থেকে ন্যায়, ব্যাকরণ ও কাব্য শিক্ষা অর্জন করেন। বৈধব্যপ্রাপ্তির পর আরও বেশি করে বিদ্যার্জন করেন। পিতার মৃত্যুর পর তিনি টোলে অধ্যাপনার মধ্যে দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু ব্রাহ্মণ সমাজ একজন বিধবা নারীর অধ্যাপনা মেনে নিতে পারে না। সামাজিক চাপে টোলে শিক্ষার্থী আসা বন্ধ হলে তীব্র আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হন তিনি। এরপর তিনি চলে যান কাশীতে। সেখানে পুনরায় উচ্চতর পাঠ অর্জনের পাশাপাশি অধ্যাপনা শুরু করেন। নারায়ণ স্যান্নালের উপন্যাস মূলত শুরু হয় এখান থেকেই। প্রথম খণ্ড পাঁচশত পৃষ্ঠায় সমাপ্ত। এই খণ্ডে রুপমঞ্জরীর পিতার আলেখ্যই উল্লেখযোগ্য। হটীর প্রসঙ্গ এসেছে দ্বিতীয় খণ্ডে। ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে, ঐতিহাসিক একটা উপন্যাস হতে পারত তবে এটিকে উপন্যাস বলা যায় না। কাহিনীর চেয়ে সাল তারিখ উল্লেখ করে লেখক জ্ঞানগম্যি জাহির করেছেন বইটির শুরু থেকে শেষ অবধি। চরিত্রগুলোকে নির্বিচারে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার স্থানান্তর করেছেন, একটু বিশ্রামের অবকাশ দেননি। এই ঐতিহাসিক ‘ভ্রমণকাহিনী’ পরের খণ্ডগুলো আর পড়বার আগ্রহ পাচ্ছিনা। তবে লেখককে ধন্যবাদ দিতে চাই, আখ্যানটি রচনার সময় তিনি নিরপেক্ষ থাকবার চেষ্টা করেছেন, পিতৃতান্ত্রিক সমাজের অন্ধকার দিকগুলো খুব সংক্ষেপে হলেও তুলে ধরেছেন। একশতভাগ সফল না হলেও তাঁর প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।
Profile Image for Shreyashi Bhattacharjee Dutta.
81 reviews9 followers
October 27, 2021
১৭৭৪ ইং, ভারতবর্ষ। এই সেই ভারতবর্ষ যার সমাজ ছিল কুসংস্কারে পরিপূর্ণ, সামাজিক নানা বিধিনিষেধে কোণঠাসা সমাজে তখন বহাল তবিয়তে বিরাজ করছে সতীদাহ প্রথা, কুলীন প্রথা ও জাতিভেদ প্রথা। দুর্ভাগা সমাজের একটি শ্রেণী তখন 'জল অচল' আর নারী মানে 'নরকের দ্বার'।

এমন সময়ে পবিত্র কাশীধামে দেখা গেল হটী বিদ্যালঙ্কার নামে এক বিদুষী নারী চতুষ্পাঠীতে প্রকাশ্যে ছাত্রদের বিদ্যাদান করছেন। বিদ্যাদান ছাড়াও তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে পারদর্শিনী। কিন্তু সেসব সেকালের সমাজপতিদের পছন্দ হবে কেন? কাশীর শাসক পুরন্দর ক্ষেত্রী তাঁর জন্য নির্মম নিষ্ঠুর সাজা ঘোষণা করলেন। উৎকণ্ঠায়, রাগে, চোখের জলে শাস্তির দিন গুনতে লাগলেন রূপমঞ্জরী ওরফে হটী বিদ্যালঙ্কার।
---
এবার কাহিনী শুরু হচ্ছে ১৭৪৪ সাল থেকে। কাহিনীর নায়ক রূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে 'একবগগা ঠাকুর' বা 'ধন্বন্তরী'। বর্ধমানের সোঞাই গ্রামের মেধাবী পন্ডিত ও কবিরাজ রূপেন্দ্রনাথ যুবাবয়স থেকেই কিছু একটা খুঁজে বেড়ান।

তখনো রাজা রামমোহন রায় বা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম হয়নি। এরই মধ্যে শ্রীচৈতন্যদেব আচন্ডালকে কোল দিয়ে গেছেন, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নানা স্থানে টোল খুলে বিদ্যাচর্চা করছেন, জন্ম নিয়েছেন জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননের মত মহা পন্ডিত, সাহিত্যে চিরস্মরণীয় অবদান রাখছেন ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর। কিন্তু নারীদের স্বামীর চিতায় পুড়িয়ে 'সতী' করা, তাঁদের বিদ্যায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, গৌরিদান করে মেয়েদের আট বছরের মধ্যে বিয়ে দেওয়া, এবং কুলিন প্রথা অনুসারে একজন কুলীন পুরুষের পঞ্চাশ ষাটটি বিবাহের প্রথা রোধ করার কথা কেউ ভাবতে পারেননি।
রূপেন্দ্রনাথ খোঁজেন সেই মহাপুরুষকে যিনি সমাজের এসব কুপ্রথা রদ করতে এগিয়ে আসবেন।

ক্রমেই উপন্যাসটি হটী বিদ্যালঙ্কারের জীবনের গল্প থেকে সরে গিয়ে তাঁর পিতা রূপেন্দ্রনাথের ও তাঁর পারিপার্শ্বিক সমাজের গল্প বলতে বলতে এগিয়ে চলে।
---
মনে প্রশ্ন জাগতে পারে- কে এই রূপমঞ্জরী? কেই বা রূপেন্দ্রনাথ?
উত্তরটি দিয়েছেন স্বয়ং লেখক। অষ্টাদশ শতকের বঙ্গদেশের দুই বিদুষী নারী ছিলেন হটু বিদ্যালঙ্কার ও হটী বিদ্যালঙ্কার। হটু বিদ্যালঙ্কারের পোশাকি নাম রূপমঞ্জরী। এই দুই বিদুষী নারীর সংমিশ্রনে লেখক তৈরী করেন তাঁর উপন্যাসের নায়িকা এবং তাঁর ভাষায় তাঁর 'কন্যা' রূপমঞ্জরী।
রূপমঞ্জরীর পিতা রূপেন্দ্রনাথের জীবনের কথাগুলো হয়ত ইতিহাসের পাতায় লেখা নেই, কিন্তু লেখক রূপেন্দ্রনাথের জীবনের মাধ্যমে তাঁর চারপাশের সমাজের যে চিত্র ফুটিয়ে তুলেতে চেয়েছেন, সেই প্রচেষ্টা সার্থক হয়েছে।
---
কোন কোন গল্প থাকে যেগুলোর শেষটা জানা হয় আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আর কিছু গল্প থাকে যেগুলোর শেষটাই সব নয় বরং সেই বই পড়ার অভিজ্ঞতাটা উপভোগ করার জন্যই বইটা পড়তে হয়। এটা সেই দ্বিতীয় ভাগে পড়ে। হটী বিদ্যালঙ্কারের শাস্তি কী হল সে নিয়ে প্রথম খন্ড নীরব। কিন্তু বইটি পড়তে পড়তে যেন অন্য জগতে বিচরণ করছিলাম, আর সেই জগতের প্রধান শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি রূপেন্দ্রনাথ।

এই বইটি নিয়ে যত লিখি তত কম পড়বে। আজ শুধু এইটুকু বলে শেষ করছি যে এটি একটি অবশ্যপাঠ্য উপন্যাস ও আমার পড়া অন্যতম সেরা বই।
Profile Image for Ashkin Ayub.
464 reviews228 followers
June 28, 2017

This one was different. I have come to love Narayan Sanyal like few others over the last year or so. This one, though, was different. Unlike the historical fantasy, if I may use the word, which blurs the border between the real and the supernatural in the recesses of the human mind, this was outright history. Beautiful fantasy.

I loved the book because of the beautiful prose, because of its fantastic characterization--the endearingly quirky intellectual Hoti Viddayalangkar, the archetypal wicked Raja Shaheb Purundar Kkhettry and Ramlagan , the brilliant spy who is in dilemma by his conscious and the quintessential intellectual, Hotu Viddayalangkar. Hoti and Hotu; the two characters in whom are achieved the ultimate goal of the novel of melting away chronological age when adulthood collapses into childish bravery, rendering purity to adventures.

The plot is pretty straightforward, and neatly executed. The author's writing style is eloquent and emphatic and the readers will find it no trouble at all to comprehend with the author's story telling style. The narrative is highly absorbing and holds the power to suck the reader’s right into its flow. Main story was told from the perspectives of the two main protagonists, the dialogues flow deep into the very soul of these two characters, that the readers will find it easy to contemplate with their feelings and thoughts. That only makes the story even more intriguing.

Despite all the brilliance, though, the book is somehow not the best of Sanyal. Perhaps so much of complexity is not what we expect from him irrespective of how well he does it.

Rupmonjuri -1st part, still is a lot closer to five stars, on my scale, than four.

In a nutshell, this is a heart breaking, strong, poignant and highly compelling book that will make the readers turn the pages of this book frantically.


description
Profile Image for Shotabdi.
819 reviews194 followers
March 22, 2024
এটাকে ঠিক উপন্যাস কি বলা যায়? আসলে নন-ফিকশন আর ফিকশনের মিশ্রণ, আর এই অপ্রচলিত জনরাটা নারায়ণ সান্যালের মতো করে কেউ আসলে এক্সপ্লোর করতে পারেননি বলেই আমার ধারণা।
তাঁর লেখা পড়তে পড়তে পাঠক ভুলেই যান আসলে কী পড়ছেন তিনি, ডুবে যান কাহিনীতে।
রূপমঞ্জরী একটি ঐতিহাসিক কাহিনী। অসংখ্য ঐতিহাসিক সত্য চরিত্রের সমাবেশ এখানে৷
রূপমঞ্জরীর কাহিনী যদিও প্রথম পরিচ্ছেদেই ব্যপ্ত। পরবর্তীতে কাহিনী এগিয়ে চলেছে রূপমঞ্জরীর পিতাকে কেন্দ্র করে। আর তারওপরে এসেছেন আরো অনেক অনেক ঐতিহাসিক চরিত্র।
রূপমঞ্জরী কে? কাহিনী অনুসারে নামটি নাকি বিদ্যাসুন্দরের লেখক এর দেয়া।
যিনি রূপমঞ্জরীর পিতা রূপেন্দ্রকে বলেছিলেন পুত্র হলে নাম রাখতে আত্মদীপ আর কন্যা হলে রূপমঞ্জরী।
হটী বিদ্যালঙ্কার ই রূপমঞ্জরী, সেই যুগে নারীশিক্ষার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বারাণসীর কাছে এক আচার্যের কাছে থাকার সময় নারী হয়েও পাঠশালা চালানোর অপরাধে যাঁকে মুখোমুখি হতে হয় কদর্য সব অভিজ্ঞতার। সেই কাহিনী থেকেই জাম্প করে সেটি হটী বিদ্যালঙ্কার এর পূর্বকাহিনীতে। সেখানেই আসে একবগগা পণ্ডিত রূপেন্দ্রের কথা, তাঁর আর মৃন্ময়ীর না-বলা ভালোবাসার কথা, কুসুমমঞ্জরীর অসহায়তার কথা, রূপেন্দ্র আর কুসুমমঞ্জরীর বিবাহের কথা।
এরই পাশাপাশি এসেছে চৈতন্যদেবের কথা, রাধা বলে এক বাউল নারীর কথা, আউল-বাউলদের ধর্ম এবং দর্শনের কথা৷ এসেছে ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের জীবনকাহিনী, এরই প্রসঙ্গে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ভারতচন্দ্রের জীবনকে উপজীব্য করে লেখা 'অমাবস্যার গান' উপন্যাসের রেফারেন্স।
এরকম আরো নানা বইয়ের রেফারেন্স এসেছে। এসেছেন ব্রিটিশ ঐতিহাসিক চরিত্র৷ সিরাজউদদৌলা থেকে ঘষেটি বেগমের কথাও। রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষের কথা।
নানা কাহিনী আর চরিত্রের সমাবেশে এই প্রথম খণ্ডটিতে রূপমঞ্জরীর কাহিনী পূর্ণতা পায়নি। তাই পরবর্তী দুই খণ্ড পড়ার আগ্রহ রয়ে যায়।
নারায়ণ সান্যালের লেখা সুখপাঠ্য আর এত সব চরিত্রের সমাবেশ তিনি খুব সুন্দর করে মিশিয়েছেন। ঐতিহাসিক বই ভালোবাসেন এমন পাঠকদের জন্য অবশ্যপাঠ্যই বলব সিরিজটিকে।
Profile Image for Dhiman.
177 reviews14 followers
June 29, 2025
নারায়ণ বাবুর বই যত পড়ি তত অবাক হই। বাংলা সাহিত্যে এরকম একজন কথা সাহিত্যিক থাকা সত্যিই আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। লেখনীর কি অমোঘ টান। চুম্বকের মতো ধরে রাখে। এই ঐতিহাসিক উপন্যাসটি আর দশটি ঐতিহাসিক উপন্যাস থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সুনীল বাবুর ঐতিহাসিক যাত্রা যেখান থেকে শুরু হয় তার আগে বাংলার ইতিহাস কি ছিল? কি কি ঐতিহাসিক চরিত্র ছিল? তখনো তো বাংলাকে কেউ না কেউ সমৃদ্ধ করেছে। কিন্তু তাদের কথা বলার এটা কেউ করেনি। করেছে শুধুমাত্র নারায়ণ সান্যাল। এই উপন্যাসের সময়কাল হচ্ছে 'সেই সময়'-র আগের। এই উপন্যাস এর যে সকল প্রবাদ প্রতীম যে সকল চরিত্রগুলো আছে তাদের বিস্তারিত জীবনী খুবই দুর্লভ। এই লেখক এটি নিজের দায়িত্ব মনে করেছেন তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। এবং সেটিই করেছেন। প্রচুর ঐতিহাসিক চরিত্ররা রয়েছে এখানে। এই উপন্যাসের আরেকটি অভিনবত্ব হচ্ছে এর গল্প বলার ধরন। প্রথম বোধহয় কোন একটা ঐতিহাসিক উপন্যাস করলাম যেখানে লেখক ফোর্থ ওয়াল ব্রেক করে আমাদের সাথে কথা বলছে। সমহিমায় স্বীকার করে নিচ্ছে কোন অংশটুকু কথা সাহিত্যের আশ্রয় নিয়ে তিনি লিখেছেন, কোন অংশটুকু সংগৃহীত, কোন অংশটুকু লোকমুখে প্রচারিত। ফিকশন, নন ফিকশন, গবেষণালব্ধ ঐতিহাসিক জ্ঞান সবকিছুর সংমিশ্রণ বইটি। বইটির একটি মাত্র খারাপ দিক সেটি হচ্ছে বইয়ের একটা বৃহৎ অংশ জুড়ে পাঠ্য বইয়ের মত সরাসরি ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে মূল গল্প থেকে বেরিয়ে। সেই জিনিসটা পড়ার গতি কে কিছুটা হলেও ব্যাহত করে। তাই একতারা কম।
Profile Image for Jheelam Nodie.
314 reviews12 followers
February 15, 2021
হটী বিদ্যালঙ্কার, দ্রবময়ী আর হটু বিদ্যালঙ্কার মধ্যযুগের অন্ধকার সময়ের এই তিন বিদুষী নারী বিষয়ে আমার আগ্রহ অনেকদিনের, তাই এদের সম্পর্কে তেমন বিস্তারিত ইতিহাস বই না হলেও একটা উপন্যাস পড়তে পারলে ক্ষতি কি? সেই সুত্রেই এই উপন্যাসত্রয়ী পড়তে শুরু করা। তবে রূপমঞ্জরি এই তিন বিদুষীর সমন্নিত এক কল্পিত চরিত্র।
প্রথম বইটা শুরু হয় এক বিপদের মুখে দাড়িয়ে থাকা হটি বিদ্যালঙ্কারের আত্মস্মৃতিচারণের মাধ্যমে। সত্যি বলতে প্রথম খন্ড্র শুরুতে এক দৃঢ নারী চরিত্র হিসেবে রূপমঞ্জরির দেখা পেলেও প্রথম খন্ড আসলে তার পিতা রূপেন্দ্রনাথের কাহিনী, যার কারণে রূপমঞ্জরি হয়ে উঠেছে হটী বিদ্যালঙ্কার। আরো অনেকের মতই তাই প্রেমে পড়ে যাই এই একবগগা খ্যাত রূপেন্দ্রনাথের। তাই প্রথম খন্ড আসলে রূপমঞ্জরির কাহিনী নয়, বরং তাকে যে গড়ে তুলেছেন তার কাহিনী। এখানে লেখক সুন্দরভাবে ততকালীন সমাজকে তুলে ধরেছেন, আর রয়েছে কিছু দর্শনীয় স্থানের বর্ননা, আর সেখানে লেখক মূল কাহিনি থেক সরে এসে অহেতুক বিভিন্ন জায়গার বর্ননা দিয়েছেন, যা আলাদাভাবে জানার জন্য অনেক ভাল হলেও মূল কাহিনী হতে সরে আসায় বিরক্তির কারণ হয়েছে। তাই আমি বাধ্য হয়েছি এই সব পৃষ্ঠা বাদ দিয়ে মূল কাহিনীতে ফিরে যেতে। আর কিছু যায়গায় লেখক ফোর্থ ওয়াল বা বর্ননাকারীর ভূমিকা থেকে সরে এসে সরাসরি পাঠককে উপদেশ দিয়েছেন, যেটা আমার ভাল লাগেনি। যাই হোক এসব বাদে বাকিটা ৫/৫ পাবার মতন লেগেছে।
29 reviews7 followers
January 2, 2023
এই উপাখ্যান ১৭ শতকের শেষের দিকের সমাজব্যবস্থা নিয়ে লেখা। এই উপমহাদেশে নারী শিক্ষার কথা আসলেই আমাদের মাথায় সর্বপ্রথম বেগম রোকেয়ার কথা আসে। কিন্তু তারও এক শতাব্দী আগে ছিলেন আরোও দুজন নারী। যারা তৎকালীন কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদের কবলের বাইরে গিয়ে নিজেরা শিক্ষিত হয়েছিলেন, শিক্ষা দান করার ব্রত নিয়েছিলেন। সে যুগে স্ত্রী শিক্ষাকে বৈধব্যের কারণ হিসেবে দেখা হতো। সেই গল্প নিয়েই লেখক রচনা করেছেন এই আখ্যান। রূপমঞ্জুরী এই গল্পের নায়িকা। কিন্তু গল্প চলে যায় আরো পেছনে, পেছন থেকে পেছনে। রূপমঞ্জুরীর গল্প থামিয়ে লেখক পাঠকদের নিয়ে যান রূপমঞ্জুরীর রূপমঞ্জুরী হয়ে উঠার পেছনে তার সবচেয়ে বড় অবদান তার পিতা রূপেন্দ্রনাথ দত্তের গল্পে। রূপেন্দ্রনাথ এমন এক উজ্জ্বল চরিত্র এই গল্পে। তাকে ভালো না বেসে থাকা যায় না। এই উপখ্যানে অনেক হিন্দু সমাজের অজানা কুসংস্কার জানতে পেরেছি। স্ত্রী শিক্ষা এবং স্ত্রী চিকিৎসা নিয়ে লোকজনের কুসংস্কারের অন্ত ছিল না। 


কিন্তু এই বইয়ের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। উপন্যাস হিসেবে অনেকটা ধীর গতির হয়েছে। লেখক নিজে গল্পের মাঝে ঢুকে হঠাৎ গল্প বলা শুরু করলে গল্পের খেই হারিয়ে যায়। লেখক সমসাময়িক ইতিহাস বলেছেন গল্পের পাশাপাশি। কিন্তু যারা ওই সময়ের ইতিহাস নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা করেছেন তাদের কাছেও ব্যপারটা অনেক একঘেয়ে লাগবে। 

তারপরেও বলবো গল্পটা সেরা ছিল। 
Profile Image for Yeasmin Nargis.
183 reviews1 follower
May 2, 2025
রূপমঞ্জরী ১
বঙ্কিম পুরস্কারপ্রাপ্ত উপন্যাস ২০০০
লেখক: নারায়ণ সান্যাল
প্রকাশকাল: ১৯৯০
ধরন: ঐতিহাসিক উপন্যাস

১৮ শতকের কুপ্রথা, কুসংস্কার ও নারী নিপীড়নের চাদরে মোড়া ভারতবর্ষের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে নারায়ণ সান্যাল নির্মাণ করেছেন এক বলিষ্ঠ, হৃদয়বিদারক অথচ আশাব্যঞ্জক উপাখ্যান রূপমঞ্জরী ১। নারায়ণ সান্যালের "রূপমঞ্জরী ১" উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের এক অসামান্য সংযোজন, যেখানে ইতিহাসের শক্ত কাঠামোর মধ্যে কল্পনার প্রাণসঞ্চার করা হয়েছে। এটি ইতিহাসভিত্তিক কাহিনীর চেয়ে অনেক বেশি এককথায় বললে, এটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে গাঁথা ন্যারেটিভ কোলাজ। এখানে বাস্তব চরিত্রের সঙ্গে কল্পনার মিশ্রণ এমনভাবে হয়েছে, পাঠক এক সময় ভুলে যান কী বাস্তব আর কী সাহিত্যসৃষ্ট,উপন্যাসে অষ্টাদশ শতকের বাংলার সমাজ, সংস্কৃতি ও সংঘাতগুলিকে অবিশ্বাস্য রকমের প্রাঞ্জলভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
উপন্যাস শুরু হয় কাশীর চতুষ্পাঠীতে বিদ্যাদানরত এক বিদুষী নারী হটী বিদ্যালঙ্কারকে কেন্দ্র করে, যিনি বাস্তবে ছিলেন অষ্টাদশ শতকের এক নারী পণ্ডিতা। নারায়ণ সান্যাল সেই চরিত্রের সাথে মিশিয়েছেন হটু বিদ্যালঙ্কার নামে আরও এক বিদুষী নারীর ঐতিহাসিক ছায়া। এই দুই চরিত্রের সংমিশ্রণে সৃষ্টি করেছেন উপন্যাসের নায়িকা রূপমঞ্জরী যিনি শুধু একজন চরিত্রই নন, বরং একটি সময়ের প্রতীক, প্রতিরোধের প্রতীক।
উপন্যাসের কেন্দ্রে যদিও রূপমঞ্জরীর নাম, আসলে এই খণ্ডটি প্রধানত তাঁর পিতা রূপেন্দ্রনাথ দত্তের কাহিনী। একবগগা খ্যাত এই পণ্ডিত ব্যক্তি একজন নিঃসঙ্গ, অন্তর্মুখী এবং তীক্ষ্ণবুদ্ধিসম্পন্ন ব্রাহ্মণ, যিনি সমাজের প্রচলিত রীতিনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে ছিলেন। তাঁর এবং মৃন্ময়ীর না বলা প্রেম, কুসুমমঞ্জরীর সঙ্গে বিবাহ, আর তাঁর জীবনসংগ্রাম সব মিলিয়ে চরিত্রটি অত্যন্ত মানবিক ও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে। এই চরিত্রটি অনেকাংশে দর্শনের একটি জীবন্ত ব্যাখ্যা। হেগেল বলেছিলেন—
“The history of the world is none other than the progress of the consciousness of freedom.”

এই উপন্যাসে শুধু রূপেন্দ্রনাথ বা রূপমঞ্জরীই নন, লেখক আমাদের নিয়ে যান এক বিশাল ঐতিহাসিক যাত্রায়। চৈতন্যদেব, রামপ্রসাদ সেন,ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর, রাধা নামে এক বাউল নারী, সিরাজউদ্দৌলা, ঘষেটি বেগম, রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষ সহ অসংখ্য ঐতিহাসিক চরিত্র এতে উপস্থিত হয়েছেন। এসেছে আউল-বাউলদের ধর্মচর্চা, ব্রাহ্মণদের কুসংস্কার, নারীশিক্ষার প্রতি সমাজের অবজ্ঞা, এমনকি নারী চিকিৎসা নিয়েও ভয়াবহ সংস্কারের চিত্র। লেখক ১৭৭৪ সালের কাশী থেকে বর্ধমান পর্যন্ত বিস্তৃত এক সময়পর্বকে ধারণ করেছেন তার এই সৃষ্টিকর্মে।
বাংলা সাহিত্যের প্রেক্ষাপটে এই উপন্যাসের অবস্থান খুবই বিশেষ। বঙ্কিমচন্দ্রের "আনন্দমঠ" যেখানে জাতীয় জাগরণের কথা বলে, "রূপমঞ্জরী" সেখানে নারী জাগরণের কথা বলে।নারী জাগরণের দূত হিসেবে আমরা বেগম রোকেয়াকে জানলেও মূলত এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল আরো অনেক আগেই। কালীপ্রসন্ন সিংহের "সতী" যেমন সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, তেমনি এই উপন্যাসও সমাজের কুপ্রথাগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার। নারায়ণ সান্যালের বিশেষত্ব হলো তিনি ইতিহাসের ফাঁকে ফাঁকে কল্পনার ফুল পুঁতেছেন, যা পাঠককে মুগ্ধ করে।

নারায়ণ সান্যালের ভাষা ও বর্ণনাশৈলী স্বভাবতই মনোগ্রাহী। তিনি দর্শন, সমাজ ও ইতিহাসকে গল্পে পুঁতে দিয়েছেন চমৎকারভাবে। তবে, কিছু পাঠকের মতে, লেখক মাঝে মাঝে মূল কাহিনী থেকে বিচ্যুত হয়ে অনেক স্থান বা ঐতিহাসিক ঘটনার বিশদ বর্ণনায় ঢুকে পড়েন, যা গল্পের গতি মন্থর করে। আবার কোনো কোনো জায়গায় তিনি "ফোর্থ ওয়াল" ভেঙে সরাসরি পাঠকের সঙ্গে কথা বলেন বা উপদেশ দেন, যা কারো কারো কাছে উপভোগ্য হলেও অনেক পাঠকের কাছে তা বিরক্তির উদ্রেক করে। উপন্যাসের গতি তুলনামূলক ধীর, বিশেষ করে যারা একটানা কাহিনিনির্ভর উপন্যাস পড়তে অভ্যস্ত, তাদের কাছে কিছু অংশ একঘেয়ে বা থেমে যাওয়ার মতো মনে হতে পারে। তবে এর পেছনে লেখকের অভিপ্রায় ছিল পাঠক যেন শুধু গল্পে নয়, ভাবনাতেও ডুবে যান।

খণ্ড ১ শেষে আমরা বুঝতে পারি, রূপেন্দ্রনাথের জীবনদর্শন ও নৈতিক অবস্থানই রূপমঞ্জরীর আত্মিক গঠনের ভিত্তি। কাহিনী শেষ হয় এই বোধ নিয়ে যে নারী শিক্ষা ও সমাজ বদলের যে আন্দোলন রূপমঞ্জরী হাতে নেবেন, তার ভিত্তিপ্রস্তর গেঁথে গেছেন তাঁর পিতা।রূপেন্দ্রনাথের জীবন ও চিন্তাধারায় প্রভাব ফেলেন কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও ঘটনা, তাঁর গুরুরা, বন্ধু বিবেকানন্দ, বৈষ্ণব ভাবাদর্শ এবং নিজের প্রগতিশীল বৌদ্ধিক মনন। এই ধ্যানী পুরুষকে ঘিরেই আবর্তিত হয় উপন্যাসের বড় অংশ। পাঠক দেখতে পান, কীভাবে তাঁর চিন্তাভাবনার ভিতরে থেকে জন্ম নেয় এক বিদুষী কন্যা রূপমঞ্জরী। অর্থাৎ, উপন্যাসের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো রূপমঞ্জরী হয়ে ওঠার পিছনে যিনি মুখ্য, সেই পিতা রূপেন্দ্রনাথকে তুলে ধরা।

যারা ঐতিহাসিক উপন্যাস, সমাজমনস্ক সাহিত্য এবং প্রগতিশীল চিন্তা-ভাবনায় আগ্রহী, তাদের জন্য এই উপন্যাসত্রয়ী অবশ্যপাঠ্য। পরবর্তী দুই খণ্ডের প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে প্রথম খণ্ড পাঠকদের একটি চমৎকার সূচনা দেয়।



33 reviews1 follower
May 30, 2023
রাঢ় বাংলার মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত সময়কালের একটি স্থলপুরাণ বিশেষ। মূল চরিত্র সমেত কাহিনীটি প্রথমে কেন্দ্রে থাকলেও ক্রমশ সরে যায় দূরে। তার বদলে বিভিন্ন জনপদ ও তাদের ঐতিহাসিক ঘটনাবলী আলাদা আলাদা স্বয়ংসম্পূর্ণ ও অবিস্মরণীয় কাহিনীর মণিমুক্তো ছড়িয়ে যেতে থাকে। একবিংশ শতাব্দীর ভারতের শিক্ষিত সমাজ যে আত্মবিস্মৃতির মড়কে জর্জরিত, বাঙালির নিজস্ব চৌহদ্দির মধ্যে তার কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার এক মহৌষধ এই ব‌ই।
Profile Image for Indrani .
84 reviews
June 1, 2024
তিনটি খণ্ড আছে রুপমঞ্জরীর, এটি প্রথম খণ্ড। রুপমঞ্জরীর গল্প সেই যুগের গল্প যখন বাংলার সমাজ বিভিন্ন কুসংস্কারে আচ্ছন্ন, যখন সমাজ সতীদাহ থেকে শুরু করে বহুবিবাহ, গৌরীদানের মতো একাধিক ব্যাধিতে জর্জরিত। তখন ও কিন্তু রামমোহন রায়ের জন্ম হয়নি, জন্ম হয়নি বিধবা বিবাহ ও নারীশিক্ষার প্রসারে উদ্যোগী বিদ্যাসাগরের। কিন্তু রামমোহন, বিদ্যাসাগর ই কি প্রথম? তাদের মতো স্বপ্ন কি আর তাদের পূর্বে সেই অন্ধকার যুগে কেউ দেখেনি? কেউ কি চায়নি নারীদের শিক্ষার আলোয় আনতে, সমাজের ব্যাধি স্বরুপ ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন কুসংস্কার কে সমূলে উপড়ে ফেলতে, কোন কথাকে মেনে নেওয়ার আগে তাকে বিবেক বুদ্ধি দিয়ে যাচাই করে নিতে? রুপমঞ্জরী তে লেখক সেই সন্ধান ই দিয়েছেন আমাদের, বলেছেন সেই অতীতের গল্প...
Displaying 1 - 11 of 11 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.