What do you think?
Rate this book


80 pages
First published January 1, 1937


ভদ্র মোরা, শান্ত বড়ো,
পোষ-মানা এ প্রাণ
বোতাম-আঁটা জামার নীচে
শান্তিতে শয়ান।
দেখা হলেই মিষ্ট অতি
মুখের ভাব শিষ্ট অতি,
অলস দেহ ক্লিষ্টগতি—
গৃহের প্রতি টান।
তৈল-ঢালা স্নিগ্ধ তনু
নিদ্রারসে ভরা,
মাথায় ছোটো বহরে বড়ো
বাঙালি সন্তান।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
"সাহিত্যের শিল্পরূপ বিচারে বিভূতিভূষণের উপন্যাসে নির্দিষ্ট আঙ্গিক-প্রাধান্য এবং কাহিনী-বিন্যাসে দৃঢ় সংহতি খুঁজে পাওয়া যায় না। এটি তাঁর সাহিত্যের দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও বাস্তবে তা সাফল্যের চাবিকাঠি হয়ে দেখা দিয়েছে। নির্দিষ্ট আঙ্গিক নেই, কিন্তু বিভূতিভূষণের রচনাই এখন হয়ে উঠেছে স্বতন্ত্র আঙ্গিক। জীবন যেহেতু বিচিত্র, জীবনের প্রকাশও তাই বিচিত্র আঙ্গিকের হতে বাধ্য। আর কাহিনী-বিন্যাসের সংহতি না-থাকার বিষয়টাও জীবনের পাঠ থেকে নেওয়া। জীবনের ঘটনা যেমন কোনও নিয়ম মেনে চলে না, বিভূতির বর্ণনাও তাই ইতস্তত, আপাত-শিথিল। কিন্তু বৃহৎ ক্যানভাসে বিচার করলে, তা-ই জীবনের প্রকৃতস্বরূপ। বিভূতিভূষণ এখানে বিশ্বস্ত ও বাস্তবানুগ।"
-তপন বাগচী
বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট
(বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত চাঁদের পাহাড়ের ভূমিকা থেকে)
"শুনেছি শ্রেষ্ঠ ভ্রমণকারীরা নিজেদের দেখা জায়গা তাঁদের লেখার মধ্য দিয়ে অপরকে দেখাতে পারেন । বিভূতিভূষণ আরো এককাটি বাড়া। না-দেখা জায়গাও তিনি অপরের সামনে জীবন্ত ছবির মতো তুলে ধরেছেন।"