Sunil Gangopadhyay (Bengali: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়) was a famous Indian poet and novelist. Born in Faridpur, Bangladesh, Gangopadhyay obtained his Master's degree in Bengali from the University of Calcutta, In 1953 he started a Bengali poetry magazine Krittibas. Later he wrote for many different publications.
Ganguly created the Bengali fictional character Kakababu and wrote a series of novels on this character which became significant in Indian children's literature. He received Sahitya Academy award in 1985 for his novel Those Days (সেই সময়). Gangopadhyay used the pen names Nil Lohit, Sanatan Pathak, and Nil Upadhyay.
Works: Author of well over 200 books, Sunil was a prolific writer who has excelled in different genres but declares poetry to be his "first love". His Nikhilesh and Neera series of poems (some of which have been translated as For You, Neera and Murmur in the Woods) have been extremely popular.
As in poetry, Sunil was known for his unique style in prose. His first novel was Atmaprakash (আত্মপ্রকাশ) and it was also the first writing from a new comer in literature published in the prestigious magazine- Desh (1965).The novel had inspiration from ' On the road' by Jack Kerouac. His historical fiction Sei Somoy (translated into English by Aruna Chakravorty as Those Days) received the Indian Sahitya Academy award in 1985. Shei Somoy continues to be a best seller more than two decade after its first publication. The same is true for Prothom Alo (প্রথম আলো, also translated recently by Aruna Chakravorty as First Light), another best selling historical fiction and Purbo-Paschim (পূর্ব-পশ্চিম, translated as East-West) a raw depiction of the partition and its aftermath seen through the eyes of three generations of Bengalis in West Bengal, Bangladesh and elsewhere. He is also the winner of the Bankim Puraskar (1982), and the Ananda Puraskar (twice, in 1972 and 1989).
Sunil wrote in many other genres including travelogues, children's fiction, short stories, features, and essays. Though he wrote all types of children's fiction, one character created by him that stands out above the rest, was Kakababu, the crippled adventurer, accompanied by his Teenager nephew Santu, and his friend Jojo. Since 1974, Sunil Gangopadhyay wrote over 35 novels of this wildly popular series.
Death: Sunil Gangopadhyay died at 2:05 AM on 23 October 2012 at his South Kolkata residence, following a heart attack. He was suffering from prostate cancer for some time and went to Mumbai for treatment. Gangopadhyay's body was cremated on 25 October at Keoratola crematorium, Kolkata.
Awards & Honours: He was honored with Ananda Award (1972, 1979) and Sahitya Academy Award (1984).
' মানুষ যখন রেগে যায়, তখন তাকে সুন্দর দেখায় না। ' - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
যেদিন থেকে রূপকথা পড়তে গিয়ে আনন্দ খুঁজে পাব না, সেদিন সত্যিকারের বুড়ো হয়ে যাব। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সাহিত্যের যে শাখায় হাত দিয়েছেন সেখানেই পেয়েছেন সাফল্য। আমাদের উপহার দিয়েছেন অসাধারণ কিছু লেখা। হ্যাঁ, জীবিকার তাগিদে তাকে লিখতে হয়েছে অনেক। তাই সব সময় লেখার মান ধরে রাখতে পারেননি। এত লেখার ভিড়ে ছোটোদের জন্য অসামান্য একটি বই 'উদাসী রাজকুমার'। যা তৃপ্তি নিয়ে একবসায় পড়ে ফেলা যায়।
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের কথা। পুরো ভারতবর্ষ তখন বিভিন্ন জনপদ ও মহাজনপদে বিভক্ত। এমনই একটি জনপদ তথা রাজ্যের নাম অহিচ্ছত্রপুর। সেই রাজ্যের রাজার নাম মহাচূড়ামণি। রাজামশাই দৈত্যকার মানুষ। যেমন তার গায়ের জোর, তেমন তার মেজাজ ও খানাপিনা। একবার ঘুমালে মাসখানেকের আগে তাকে জাগানো যায় না। প্রবল বিক্রমে রাজা মহাচূড়ামণি বিভিন্ন রাজ্য জয় করে নেন।
এমন ভালো অথচ খামখেয়ালি রাজার স্ত্রী তলতারানি। তিনি রূপে, গুণে, বুদ্ধিতে ও যোগ্যতায় অতুলনীয়। রাজা ও রাজ্যকে বিভিন্ন বিপদআপদ থেকে তলতারানি তার বুদ্ধিবলে রক্ষা করেন। যা সইতে পারে না পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পাণ্ডা রাজপুরোহিত ছম্ভী ও রাজমন্ত্রী। তাদের মনে শুধু ঈর্ষার আগুন জ্বলতে থাকে।
রাজার দুই পুত্র। ছোটো রাজকুমারের নাম তীক্ষ্ণ ও বড়ো রাজকুমার হলেন দৃঢ়। তারা রাজা ও রানির নয়নমণি। রাজপুরোহিত ছম্ভী রাজাকে ও রানিকে মনে মনে ঘৃণা করে। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় সে রাজকুমারদের ভালোবাসে।
খামখেয়ালি রাজা মহাচূড়ামণির কাণ্ডে অপমানিত হয়ে সেনাপতি চম্পক বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। তলতারানি চম্পককে স্নেহ করেন। তিনি চাননা বাগী চম্পক রাজার হাতে প্রাণ হারাক। তাই গোপনে তলতারানি চম্পককে আত্মসমর্পণের জন্য রাজি করাতে রওনা হন রাজদ্রোহী চম্পকের আস্তানায়। কিন্তু সেখানে মঞ্চস্থ হয় আরেক নাটক। চম্পক বন্দি করে তলতারানিকে। অন্যদিকে, রাজার এক পরম আস্থাভাজন ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি বেইমানি করে তার সাথে। হত্যা করে নিরস্ত্র মহাচূড়ামণিকে। সেই একই ব্যক্তি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয় চম্পককে। তলতারানিকে কালাঘরে কারাবন্দি করে। একই কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে স্থান হয় বড়ো রাজকুমার দৃঢ়ের। অপরদিকে, সে ছোটো রাজকুমার তীক্ষ্ণের অভিভাবক সেজে রাজ্যপরিচালনা করতে থাকে।
এভাবেই কেটে যায় একযুগ কিংবা তার চাইতে বেশি সময়। কারাগার থেকে পালিয়ে যায় বড়ো রাজকুমার দৃঢ়। কিন্তু আঘাতে সে হারিয়ে ফেলে স্মৃতিশক্তি। তীক্ষ্ণের সেই অভিভাবকবেশী রাজা ষোলো বছর বয়সী তীক্ষ্ণকে দিগ্বিজয় করতে পাঠায়। উদ্দেশ্যে দিগ্বিজয় করতে গিয়ে তীক্ষ্ণ যেন প্রাণ হারায়। আর কোনোদিন যেন কেউ দাবি করতে না পারে সিংহাসন।
তীক্ষ্ণ কী পারবে দিগ্বিজয়ী বীর হতে? তলতারানি কী ফিরে পাবেন রাজমাতার মর্যাদা? বড়ো রাজকুমার দৃঢ়ের কী হলো? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে আপনাকে পড়তে হবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অসামান্য কিশোরকাহিনি 'উদাসী রাজকুমার'।
এই বইতে প্রভু শাক্যসিংহ আছেন অল্পসময়ের জন্য। অথচ ঔপন্যাসিক কত প্রভাববিস্তারকারী চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করেছেন গৌতম বুদ্ধকে। সত্যিকারের উদাসী রাজকুমার কে তা ভাবতে বাধ্য হবেন আপনি। সহজ ভাষায় লেখা 'উদাসী রাজকুমার' দারুণ বই। যাকে শিশুসাহিত্যের শাখায় রেখে দেওয়া চলে না। বরং পড়তে পারেন সকল বয়সী পাঠক।
আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়,কার বই সবচে বেশি পড়েছি। তাহলে তিন জন মানুষের নাম আসবে,১) হুমায়ূন ২)সুনীল ৩)শীর্ষেন্দু। এই ত্রয়ীর লেখা এত পড়েছি,যা দেখি সব ই পড়া পড়া লাগে। আসলে তো তা নয়। তাই মাঝে মধ্যে এমন কিছু বই হাতে আসে,যেগুলো দুই লাইন পড়ার পর বুঝতে পারি,এটা আসলেই পড়িনি। তারপর আর ভাবাভাবি নেই,ঐ বইয়ে ডুব দিয়ে দুনিয়া ভুলে যাই।
তেমনি কিছু দিন আগে একটা বইয়ের নাম জানতে পারি। উদাসী রাজকুমার। সুনীলের বই। নাম শুনে ভেবেছি কোন রুপকথা। তাই সংগ্রহ করা থাকলে ও, পড়া শুরু করেছি অনেক পরে। ছোট একটা বই। মাত্র দুইশ পৃষ্ঠা। অনেক দিন ঘোরাঘুরির পর,অবশেষে হাতে নিলাম। এক পৃষ্ঠা, দুই পৃষ্ঠা,ঘোর লেগে গেছে। কখন যে টানা আশি পৃষ্ঠা পড়ে ফেলেছি,বুঝতেই পারিনি। এরপর পড়ার গতি কমিয়ে দিয়েছি। আস্তে আস্তে পড়ছি। ঠিক যেমন ছোট বেলায় প্রিয় চিপসের প্যাকেট হাতে নিয়ে,আস্তে আস্তে খেতাম, শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়ে। এত আস্তে পড়ছি,তাও বই টা ফুরিয়ে যেতে লাগলো। একসময় দুইশ তিন পৃষ্ঠা শ্যাষ। মন টা সত্যি খারাপ হয়ে গেল। প্রিয় জিনিস গুলো কেন এভাবে নেই হয়ে যায়!
উদাসী রাজকুমার। এই বই যখন পড়া উচিত ছিল পড়ি নি। তাও আমি খুশি। এমন একটা বই না পড়ে বেশিদিন থাকতে হয়নি। এত সুন্দর, এত সুন্দর। মাই গুডনেস। সুনীল এমনিতেই আমার প্রিয় লেখক,তাঁর লেখা যে ভালো হবে সেটা আমি জানতাম,কিন্তু এত ভালো। এই বই আমার জীবনে পড়া সেরা তিনটি বইয়ের একটি হয়ে থেকে যাবে। যদি সামর্থ্য থাকতো,সবাইকে অন্তত একবার পড়াতাম বইটা। এমন সুন্দর জিনিস মিস করা উচিত না কারো।
আমার লেখাটা এতটুকু পড়ে,সবাই হতাশ হবে। কারণ এখানে রিভিউ নেই,যা আছে তা হলো আমার উচ্ছ্বাস। হ্যাঁ,উচ্ছ্বাস-ই। সব বইয়ের রিভিউ লেখা যায় না। কিন্তু বই অন্তরে ধারণ করে রাখতে হয়,এটা তেমনি একটা বই।
অনেক দিন পরে একটা বাংলা রূপকথার বই পড়লাম এবং বলতে দ্বিধা নেই বইটা পড়ে পুরোপুরি মুগ্ধ হলাম। সুনীল গঙ্গপোধ্যায়ের লেখনী নিয়ে কিছু বলার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু একজন লেখকের পক্ষে যে সামাজিক উপন্যাস , ডিটেক্টিভ উপন্যাস , রাজনৈতিক উপন্যাসের পাশাপাশি এত সুন্দর রূপকথাও লেখা সম্ভব তা দেখে সত্যিই খুব অবাক হয়েছি। আর বইটা ছোটও নয় বেশ বড়। একটা রূপকথায় যা যা থাকার দরকার সব ছিল। ;) বইটার আরো হাইলাইট হওয়া দরকার্। সবাই পড়ে দেখবেন। :)
আনন্দমেলায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশের সময়েই লেখাটা পড়েছিলাম। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়-এর লেখনী নিয়ে কিছু বলা ধৃষ্টতা। তাঁর লেখা একমাত্র রূপকথা, বা ইতিহাসাশ্রয়ী ফ্যান্টাসি সম্ভবত এটিই, তাই সেদিক দিয়েও লেখাটা এক অন্য রকম অবস্থানে আছে। কিন্তু ... কিন্তু ছোটোদের নয়, আদতে ইয়ং-অ্যাডাল্ট পাঠকদের জন্য লেখা এই হত্যা, বিশ্বাসঘাতকতা, এবং প্রতিশোধের কাহিনি যে ধরনের নির্মোহ কাঠামো আর ঝোড়ো সমাপন দাবি করে, তা পাইনি বলেই লেখাটা শেষ অবধি ততটা ভালো লাগেনি। তবু, শেষদিকের পৈশাচিক কাকাবাবু কাহিনিগুলোর তুলনায় এই লেখা যে অনেক বেশি সুখপাঠ্য, সে নিয়ে সন্দেহ নেই!
বইটি সুলেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিশেষ একটি বই। বিশেষ এই অর্থে কারণ লেখক সামাজিক ও অভিযাত্রী (কাকাবাবু) ধারায় উপন্যাস লিখে জনপ্রিয় হলেও সেভাবে খুব বেশি রূপকথা লেখেননি। আর তার উপরেও লেখকের যতগুলো কিশোর উপন্যাস রয়েছে সেগুলো মধ্যে এই বইটি অন্যতম বৃহত্তর।
গল্প শুরু হয় হালকাচালে, কিভাবে রাজা ঘুমান দিনের পড় দিন, তার খাওয়া দাওয়ার ঠাটবাট, পাদুকা পড়ানোর তোড়জোর, ইত্যাদি ছিল গল্পের প্রাথমিক আয়োজন। আর সেসব দেখেই মনে হয়েছিলো গল্পটি বেশ মজাদার হবে। কিন্তু মধ্যবর্তী অবস্থায় যাবার আগেই গল্প মোড় নেয় ষড়যন্ত্র আর ঘটনার আঙ্গিকে। যেখানে মূল চরিত্রগুলো যে যার মতো ফেঁসে যায় বিপদে, কে কিভাবে আছে তা অন্যজন জানেনা। দিশেহারা রাজা রানীর জন্য ব্যাকুল হয়ে, প্রিয়ভাজনদের বিশ্বাস করে প্রাণ হারিয়ে বসে। আর অপরদিকে রানীও, ধোঁকা খেয়ে যায়, তার বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়েও উদ্ধার পায়না বিপদের হাত থেকে।
এসব পড়ে ভালোই লাগছিল, কিন্তু সমাপ্তির দিকে এসে ধর্মীয় আঙ্গিকের সাথে সামান্য যোগসূত্র লাগাতে গিয়ে যেসব করা হয়েছে তা আমার অত্যাধিক বিরক্ত লেগেছে। এসব না করলেও চলত, হয়তো একই ভাবে সমাপ্তি হতে পারতো, সেসব না করেও। যাই হোক, ওটুকু বাদ দিলে গল্প মন্দ নয়।
গল্পটি বেশ দ্রুতগতির। কিছু সমস্যা ও সমাধান পূর্ব পরিচিত মনে হলেও খারাপ লাগবেনা পড়তে , সেটা অবশ্যই বর্ণনাভঙ্গিতে লেখকের নিজস্বতা রয়েছে বলেই। ঘটনার সমাপ্তিও অযৌক্তিক না, মোটামুটি আদর্শই বলা চলে। ঠিক যেমনটা রূপকথায় হয় আরকি! "আমার কথাটি ফুরলো, নটে গাছটি মুড়লো" টাইম। আমার অবশ্য ভালো লেগেছে। :)
উদাসী রাজকুমার যখন পড়ি তখন রূপকথার বই পড়ার বয়স পার হয়ে গিয়েছিলাম। তারপরও কি যে ভীষণ ভাল লেগেছিল এই বইটা, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থেকে নেয়া এইটুকু ছোট একটা বইয়ে অদ্ভুত আনন্দ খুঁজে পেয়েছিলাম। আব্বুও পড়েছিল আমার সাথেই, পড়ে জিজ্ঞেস করেছিলো কেমন লেগেছে, ভাল বলার পর কেন জানি খুব খুশি হয়েছিল আব্বু। এই বইটা সহজে কিনতে পাওয়া যায় না। বেঙ্গল বই এ যেদিন হুট করে একটা চিপায় খুঁজে পেয়ে গেলাম আমার উচ্ছ্বাস দেখে প্রিয় মানুষ তা কিনে ফেলতে এক মুহূর্তও দেরি করেনি। বান্ধবী মুমুর জন্যও একটা কেনার কথা ছিল আমি পেলে কিন্তু ওই একটাই কপি ছিল তখন বেঙ্গলে। এরপরে অনেক খোঁজ করেও ওর জন্য পাইনি আরেকটা। পছন্দের বইয়ের প্রিয় স্মৃতিটুকুও এই রিভিউতে থাকুক।
গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক একটি উপাখ্যান এই উপন্যাস। রাজপরিবারের সন্তান হয়েও সিংহাসন ত্যাগ করে বৈরাগ্য বেছে নিয়ে আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন কপিলাবস্তুর রাজকুমার। এই উপন্যাসে তাঁর উপস্থিতি খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও শিরোনাম ‘উদাসী রাজকুমার’ দ্বারা মূলত শাক্যমুনিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
এমন রুদ্ধশ্বাস নাটকীয় ঘটনা পরম্পরায় গাঁথা এই উপন্যাস যে, চোখ সরানো যায় না। রাজা, রানী, রাজপুত্র, রাজপুরোহিত, বিদ্রোহ, ষড়যন্ত্র, হত্যা, কারাবাস, প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ, বিচ্ছেদ, পুনর্মিলন- এই সবকিছু একদিকে এই কাহিনীকে করে তুলেছে চিরকালীন এক অপরূপকথা, অন্য দিকে শৌর্যে-সংকল্পে দৃঢ় অথচ বৈরাগ্যে অধীর এক রাজকুমার, ভগবান বুদ্ধের পবিত্র করস্পর্শ ও করুণাঘন বাণী এমনভাবে মিশে গেছে যে, এ উপন্যাসকে মনে হয় নতুন কোনো জাতককাহিনী। দামী হিরের ভিতর থেকে যেমন ঠিকরে বেরোয় নানা রঙের আলো, ‘উদাসী রাজকুমার’ও তেমনি নানান দিক থেকে তুলে ধরে নতুন নতুন মাত্রা।
কিশোর উপন্যাস হলেও সব বয়সী পাঠকের ভালো লাগার মতো মালমশলার আছে কাহিনীতে। কাহিনীর ক্ষেত্রে সবসময় টান টান একটা উত্তেজনা ছিল। আর লেখনীর ক্ষেত্রে চিরাচরিত সুনীলকে খুঁজে পাওয়া যায়।