মোগল শাসনের আগে দুইজন নৃপতিকে বড্ড বিচিত্র লাগে। একজন পাগলা রাজা মুহাম্মদ বিন তুঘলক। অপরজন আলাউদ্দিন খিলজি। এই দু'জনের শাসনকালই বিভিন্ন ঘটন-অঘটনে পূর্ণ। নানা গপ্পো আর গুজবের রসদ জোগাতে এদের জুরি মেলা ভার।
খিলজি বংশের দ্বিতীয় এবং শ্রেষ্ঠ শাসক আলাউদ্দিন খিলজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার জন্মদাতা তিনি এবং তার শাসনকাল। তাই এই আলাউদ্দিন খিলজিকে নিয়ে রচিত উপন্যাসটি নিয়ে আগ্রহ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। কিন্তু আমি যথেষ্ট আশাহত শ্রীপারাবতের এই ঐতিহাসিক উপন্যাসটি নিয়ে।
নিজের চাচা এবং শ্বশুর জালালউদ্দিন খিলজির মাথা কেটে সিংহাসনে বসেন আলি। যিনি আলাউদ্দিন নামধারণ করেন। সেই থেকে আলাউদ্দিন খিলজির রাজত্ব শুরু। একেরপর এক রাজ্য দখল, অপর রাজাদের রানি লুট এবং নিষ্ঠুরতার সাথে সাথে প্রজাবৎসল শাসকও ছিলেন আলাউদ্দিন। খোজা মালিক কাফুরের উত্থান। শেষবয়সে আলাউদ্দিনের শোচনীয় পতন এবং তার রাজবংশের মোটামুটি বিলুপ্তি।
শ্রীপারাবতের প্রধান সমস্যা লেখা নিয়ে। এত বিচিত্র ক্যারেক্টার আলাউদ্দিন খিলজি। তাকে নিয়েও বইয়ের কাহিনি গুছাতে পারেননি ঔপন্যাসিক। সবকিছু যেন তালগোল পাকিয়ে গিয়েছিল। ঔপন্যাসিক একনাগাড়ে লিখে গেছেন। তাতে না আছে রস, না পাবেন বাক্যের কিংবা ভাষার মুন্সিয়ানা। লিখে স্রেফ পৃষ্ঠা ভরিয়েছেন শ্রীপারাবত।
আগামীতে ওনার কোনো লেখা পড়তে গেলে নিশ্চয়ই দ্বিতীয়বার ভাবব।
ফেসবুক গ্রুপ বইপোকাতে এই লেখা আমি দিয়েছিলাম, এখানে আবার দিলাম
সুলতান জালালউদ্দিনের ছোটভাইয়ের ছেলে আলি, বিদ্যার জোর না থাকলেও বুদ্ধি ও বীরত্ব দেখিয়ে সুলতানের মন জয় করে ফেলেছেন, ইতিমধ্যে তার বড় মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে প্রকাশ করেছেন আলির প্রতি তার দুর্বলতা। কিন্তু আল্লাউদ্দিন গোপনে বিয়ে করে ফেলেন মালিক সানজারের ভগিনী মাহরুকে, সুলতাননন্দিনীর কাছে ২য় বিয়ে ধরা পড়ার পর সুকৌশলে সুলতানকে বশে আনে,পরবর্তীতে কারা প্রদেশের শাসনকর্তার দায়িত্ব পান আলী। নারী তো জীবনের সবকিছু নয়, আলীর প্রয়োজন রাজ্য, অগাধ ধনদৌলত আর নামধাম, প্রথমে সুলতানের সম্মতিতে সুলতানতয়নাকে নিয়ে যান বিদিশা অভিযানে, নিয়ে আসেন অটেল রত্ন যা ধনলোভী সুলতানের মন যোগাতে প্রয়োজন ছিলো, পরবর্তীতে চান্দেরী অভিযানের সাথে সুলতানকে গোপন করে যাত্রা করেন দক্ষিণের দেবগিরিতে, ধনজহরতের সাথে নিয়ে আসেন দেবগিরির রাজকন্যা চিত্তলদেবীকে। আলীর সুদূরপ্রসারী চিন্তায় হাতছানি দেয় দিল্লির সিংহাসনের দিকে, কৌশলে হত্যা করেন জালালউদ্দিনকে। নাম ধারণ করেন আল্লাউদ্দিন খিলজী। পরবর্তীতে অভিযান শুরু চালালেন গুজরাটে, রাজা করণ বাঘেলা নিজকন্যাকে নিয়ে পালিয়ে যান কাপুরুষের মত, রানী কমলাদেবীর স্থান হয় হারেমে কিন্তু চিতোরগড়ে্র অসামান্য রমনী পদ্মিনীর পাবার জন্য অভিযান সফল হয় নি, পদ্মিনী আত্মহত্যা করলেন চিতোরগড়ের সকল নারীদের নিয়ে, চিতার আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলো চিতোরগড়। চিতার আগুন দেখে রাজপুতরা দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে লড়াই করেন দিল্লিরাজের সেনাবাহিনীর সাথে কিন্তু বিজয় হয় আল্লাউদ্দিনের। কিন্তু সহযোগী মালিক খোঁজা কাফুর চক্রান্তে কাবু হয় আল্লাউদ্দিন, তিল তিল করে বিষমেশানো খাবার খেয়ে দুর্বল হয়ে দুনিয়া নিয়ে বিদায় নেয় খিলজী বংশের সেরারাজ।
এই আবুল মুজাফফর সুলতান আলাউদ-দুনিয়া-বা-দিন মুহম্মদ শাহ খিলজী লোকটারে আমার অনেক পছন্দ হয়েছে । নিঃসন্দেহে ভদ্রলোক একটা গ্রেট ম্যান ছিলো ।আমি চাই আমার সব পছন্দের মানুষ জাহান্নামে যাক।সুতরাং আল্লাহ পাক তারে জাহান্নাম নসিব করুক।