Jump to ratings and reviews
Rate this book

কবিতা সমগ্র ১

Rate this book
যে-বইগুলি প্রথম খণ্ডে সংকলিত হয়েছে :

একা এবং কয়েকজন
আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি
বন্দী, জেগে আছো
আমার স্বপ্ন
সত্যবদ্ধ অভিমান
জাগরণ হেমবর্ণ

274 pages, Hardcover

First published January 1, 1992

1 person is currently reading
25 people want to read

About the author

Sunil Gangopadhyay

736 books968 followers
Sunil Gangopadhyay (Bengali: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়) was a famous Indian poet and novelist. Born in Faridpur, Bangladesh, Gangopadhyay obtained his Master's degree in Bengali from the University of Calcutta, In 1953 he started a Bengali poetry magazine Krittibas. Later he wrote for many different publications.

Ganguly created the Bengali fictional character Kakababu and wrote a series of novels on this character which became significant in Indian children's literature. He received Sahitya Academy award in 1985 for his novel Those Days (সেই সময়). Gangopadhyay used the pen names Nil Lohit, Sanatan Pathak, and Nil Upadhyay.

Works:
Author of well over 200 books, Sunil was a prolific writer who has excelled in different genres but declares poetry to be his "first love". His Nikhilesh and Neera series of poems (some of which have been translated as For You, Neera and Murmur in the Woods) have been extremely popular.

As in poetry, Sunil was known for his unique style in prose. His first novel was Atmaprakash (আত্মপ্রকাশ) and it was also the first writing from a new comer in literature published in the prestigious magazine- Desh (1965).The novel had inspiration from ' On the road' by Jack Kerouac. His historical fiction Sei Somoy (translated into English by Aruna Chakravorty as Those Days) received the Indian Sahitya Academy award in 1985. Shei Somoy continues to be a best seller more than two decade after its first publication. The same is true for Prothom Alo (প্রথম আলো, also translated recently by Aruna Chakravorty as First Light), another best selling historical fiction and Purbo-Paschim (পূর্ব-পশ্চিম, translated as East-West) a raw depiction of the partition and its aftermath seen through the eyes of three generations of Bengalis in West Bengal, Bangladesh and elsewhere. He is also the winner of the Bankim Puraskar (1982), and the Ananda Puraskar (twice, in 1972 and 1989).

Sunil wrote in many other genres including travelogues, children's fiction, short stories, features, and essays. Though he wrote all types of children's fiction, one character created by him that stands out above the rest, was Kakababu, the crippled adventurer, accompanied by his Teenager nephew Santu, and his friend Jojo. Since 1974, Sunil Gangopadhyay wrote over 35 novels of this wildly popular series.

Death:
Sunil Gangopadhyay died at 2:05 AM on 23 October 2012 at his South Kolkata residence, following a heart attack. He was suffering from prostate cancer for some time and went to Mumbai for treatment. Gangopadhyay's body was cremated on 25 October at Keoratola crematorium, Kolkata.

Awards & Honours:
He was honored with Ananda Award (1972, 1979) and Sahitya Academy Award (1984).

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
4 (14%)
4 stars
16 (57%)
3 stars
6 (21%)
2 stars
2 (7%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 3 of 3 reviews
Profile Image for Arupratan.
235 reviews385 followers
December 8, 2022
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিজের আত্মজীবনীর নাম রেখেছিলেন "অর্ধেক জীবন"। তাঁর জীবনের বাকি অর্ধেকটা খুঁজে পাওয়া যাবে তাঁর লেখা কবিতায়। আমরা যারা সুনীলের কবিতার মুগ্ধ পাঠক, সেই আমাদের জীবনেরও বেশ কিছুটা অংশ কি ছড়িয়ে ছিটিয়ে নেই এইসব কবিতার পঙ্‌ক্তিতে পঙ্‌ক্তিতে? গত প্রায় একমাস ধরে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতাসমগ্রের চারটে খণ্ড পড়ে শেষ করার পরে, বাতাসে ভাসমান একাকী তুলোর বীজের মতো আমার মনে ভাসছে প্রথমবার তাঁর কবিতা আবিষ্কার করার স্মৃতি। মফস্বল শহরের বাংলা ইশকুলের অন্ধকার লাইব্রেরির বৃদ্ধ আলমারি থেকে বের করে আনা কীটদষ্ট বইটার নাম ছিলো "জাগরণ হেমবর্ণ"। সেই বইয়ের একটি কবিতার প্রথম লাইন : "যে লেখে, সে আমি নয়/ কেন যে আমায় দোষী করো!" যে-ছেলেটা বইটা পড়ছিলো সেও তো আমি ছিলাম না! "সে কখনো আমার মতন বসে থাকে/ টেবিলে মুখ গুঁজে?"

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিলো ১৯৫৮ সালের শীতকালে। পৌষমাসে। প্রচ্ছদ এঁকেছিলেন পূর্ণেন্দু পত্রী। বইটির নাম ছিলো "একা এবং কয়েকজন"। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছিলো "আমার প্রিয় কবিদের প্রতি"। সবই ঠিক ছিলো, কিন্তু বইয়ের কবিতাগুলো মোটেও সুবিধের ছিলো না। এই বইটিকে নিয়ে সুনীল পরবর্তীকালে নিজের দ্বিধা প্রকাশ করেছিলেন। পাপস্খালনের মতো আফসোস-স্খালনের জন্যে একই নামের একটি বড়ো আকারের উপন্যাস লিখেছিলেন। কবি হিসেবে সুনীলের প্রকৃত আত্মপ্রকাশ ঘটেছিলো তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থে, প্রথম বই প্রকাশের আট বছর পরে। বাংলা কবিতার জগতে গুটিকয় অবিস্মরণীয় বইয়ের অন্যতম সেই বইটির নাম— "আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি"। ভাবতে অবাক লাগে, এই বইয়ের অধিকাংশ কবিতা তিনি আমেরিকায় বসে লিখেছিলেন।

বইটির ভূমিকায় তিরিশ বছর বয়েসি কবি লিপিবদ্ধ করেছেন কিছু অকপট বাক্য : "অসীম ধৈর্যের সঙ্গে ওষ্ঠাধর সঙ্কুচিত করে পড়তে হয় নিজের পুরোনো কবিতা। যেগুলি পছন্দ হয় না এবং শরীর রি-রি করে, সেগুলি মাটিতে ফেলে দিই। ক্রমে আমার ঘরময় বিবর্ণ কাগজ উড়তে থাকে, ঘরের মেঝেতে ও হাওয়ায় ব্যর্থ কবিতা ছড়িয়ে যায়। ...জানি, যে-কবিতা আমি লিখতে চাই, এখনো তার মর্ম স্পর্শ করতে পারিনি।" পরবর্তী অর্ধশতাব্দব্যাপী, ২০১২ সালে তাঁর জীবনাবসান পর্যন্ত, সুনীলের কবিতায় যেন ক্রমাগত ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়েছে তাঁর সেই অকপট স্বীকারোক্তিরই নানাবিধ সংস্করণ। নানাবিধ উচ্চারণ। কবিতা লিখে তিনি সমাজ বদলাতে চাননি। প্রতিষ্ঠা পেতে চাননি। ঠাট্টা করে একবার লিখেছিলেন বটে, কিন্তু আদৌ কখনও কবিতা লিখে রাজপ্রাসাদ বানাতে কিংবা পন্টিয়াক গাড়ি কিনতে চাননি। নিজের কবিতায় আজীবন শুধু একটাই কথা বলতে চেয়েছেন : তিনি কী রকম ভাবে বেঁচে আছেন।

আধুনিক ভারতবর্ষের ইতিহাসে পঞ্চাশের দশক ছিলো মোহভঙ্গের দশক। পাটভাঙা ধপধপে পোশাক পরিহিত রাজনৈতিক নেতাদের বচনবলিষ্ঠতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা নির্ভেজাল ধাপ্পাবাজিকে প্রথমবারের জন্যে চিনতে পেরেছিলো দেশের মানুষ। তিরিশের দশকের ব্যাপারে বলা হয়, রবীন্দ্রনাথের সর্বগ্রাসী প্রভাব থেকে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে এই দশকে "বাংলা কাব্যের" মুক্তি ঘটেছিলো। তাহলে বলতে হয় পঞ্চাশের দশক ছিলো "বাংলা কবিতার" মুক্তির দশক! এই মুক্তি এতটাই নির্মম, এতটাই "উন্মার্গগামী" যে, রবীন্দ্রপরবর্তী বাংলা কবিতার ব্যান্ডমাস্টার স্বয়ং বুদ্ধদেব বসু স্বীকার করে নিয়েছিলেন : আধুনিক কবিতা তিনি ভালো বুঝতে পারছেন না! বন্ধ করে দিয়েছিলেন নিজের সাধের "কবিতা" পত্রিকা। সেই "দুর্বোধ্য" আধুনিকতাকে ট্যাঁকে গুঁজে বাংলা কবিতার নতুন নৌকা তৈরি হলো যার নাম "কৃত্তিবাস" পত্রিকা। সেই নৌকার অবিসংবাদিত মাঝির নাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।

কবি সুনীল যে ভবিষ্যতে গদ্যকার সুনীল হিসেবে অধিক পরিচিত হবেন সেটা তাঁর কবিতা পড়লে আন্দাজ করা যায়। কবিতার নতুন ভাষাকে স্বীকার করে নিয়েও, প্রয়োগসর্বস্ব আঁতেলগন্ধী নিরীক্ষাপ্রবণতাকে শুরু থেকেই তাচ্ছিল্য করেছিলেন তিনি। "আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি"র ঠিক পরের কবিতার বই "বন্দী, জেগে আছো"তে লিখলেন : "কাঁচের চুড়ি ভাঙার মতন মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করে/ দুটো চারটে নিয়ম কানুন ভেঙে ফেলি.../ ...ইচ্ছে করে লণ্ডভণ্ড করি এবার পৃথিবীটাকে/ মনুমেন্টের পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে বলি/ আমার কিছু ভাল্লাগে না!" এই যে অনুভূতিময় প্রত্যক্ষ প্রকাশভঙ্গিমা, দৃশ্যের পরে দৃশ্যকে সাবলীল বুনে যাওয়া, শব্দ ও বাক্যের সহজিয়া মগ্নতা, এইসমস্ত লক্ষণ তো একজন গদ্যশিল্পীর লক্ষণ। পঞ্চাশের দশকের সবচেয়ে বড় এবং বহুপ্রজ কবির নাম শক্তি চট্টোপাধ্যায়, ঠিক কথা। কিন্তু সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী কবিতাগুলো লিখেছেন সুনীল। কবিতা সবসময়ই মুষ্টিমেয় পাঠকের জন্যে নির্দিষ্ট ছিলো। আজও আছে। কিন্তু কবিতার লাইনও যে হয়ে উঠতে পারে পপুলার কালচারের অংশ, মানুষের মুখে মুখে ঘুরতে পারে কবিতার টুকরো, কবিতার এই ক্যাজুয়াল স্বর সুনীলের নিজস্ব অর্জন। এত বেশি উদ্ধৃতিযোগ্য পঙ্‌ক্তি শক্তি চট্টোপাধ্যায় এবং জীবনানন্দ দাশ ছাড়া অন্য কোনো বাঙালি কবির কাব্যকৃতিতে নেই। এখানে রবীন্দ্রনাথের নাম উল্লেখ করা উচিত হবে না। উনি তো মানুষ নন, "ঠাকুর"! 🙏🏽

তাহলে কি সুনীল "সহজ" কবিতা লিখেছিলেন? সর্বনাশ! সহজ মানেই তো সর্বনাশ! বোধগম্য মানেই তো নির্বিষ অনুল্লেখ্য। (আর দুর্বোধ্য মানেই : "আহা কি খাসা জিনিস মাইরি!") সুনীলের সব কবিতাই যেন একটা বৃহৎ স্বীকারোক্তির খণ্ড খণ্ড অংশ। কিছু বিষয় ঘুরেফিরে আসে তাঁর কবিতায়। যেমন কলকাতা শহরের সঙ্গে তাঁর আকৈশোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সাতকাহন। একটা গোটা কবিতার বইই লিখেছেন তিনি কলকাতাকে নিয়ে ("স্মৃতির শহর")। "কলকাতা, কোথায় পালাবে তুমি? গঙ্গা থেকে সব ক'টা জাহাজের মুখগুলো ফিরিয়ে/ অন্ধকার ময়দানে প্রচণ্ড সার্চলাইট ফেলে/ টুঁটি চেপে ধরবো তোমার!" যেমন পূর্ববঙ্গের শৈশব-স্মৃতিকাতরতা। "নাদের আলি, আমি আর কত বড় হবো?" যেমন তীব্র শরীরী অনুভূতির নির্বিকার প্রকাশ (কিছু কিছু ক্ষেত্রে আক্ষরিক অর্থেই একনিঃশ্বাসে)। "বুকশুধুমুখেরগরমে/ কিছুক্ষণডুবেছিলযোনিরভিতরজিভলবণেরস্বাদছাড়াআর/ কিছুইআনেনিতবু/ অসম্ভব/ ভালোবাসাবাসিহলো/ অসম্ভব!"

যেমন উদাসীন অভিমান। এই অভিমান কখনও বিষম সমাজের প্রতি। "শুয়োরের বাচ্চারাই সভ্যতার নামে জিতে গেল/ ওদের নিজস্ব রাস্তা, ওরাই দৌড়োবে/ ওদেরই মুখোশ নিয়ে দেশে দেশে চলে যায় অবিমিশ্র দূত/ বিমানের সিঁড়ি থেকে পা পিছলে কোনোদিন/ একজনও পড়ে না।" কখনও নারীর প্রতি অভিমান। "কাঙালের মতো আমি এত একা, তোমার কি মায়া হয়নি, শোনোনি আমার দীর্ঘশ্বাস?" ঘটনামলিন দৈনন্দিনতার প্রতি অভিমান। "চোখ খোলা তবু/ চোখ বুজে আছি/ কেউ তা দেখেনি/ প্রতিদিন কাটে/ দিন কেটে যায়/ আশায় আশায়/ আশায় আশায় আশায় আশায়।" ভালোবাসার প্রতি অভিমান। "ভালোবাসা ছিলো/ নাকি ঘৃণা ছিলো?/ এখন ঠিক মনে নেই, ঠিক যেন মনে পড়ে না।" যদিও খুবই বিখ্যাত হয়েছেন নীরা, প্রায় চলচ্চিত্র-অভিনেত্রীদের মতো পরিচিতি তাঁর, কিন্তু তবু একটা কথা বলা যায় : খাঁটি প্রেমের কবিতা সুনীল প্রায় লেখেননি বললেই চলে। যেগুলো পড়ে প্রেমের কবিতা বলে ভ্রম হয়, আসলে সেগুলো নিখুঁত অপ্রেমের কবিতা। অপ্রাপ্তির কবিতা। যন্ত্রণার কবিতা। একগলা অভিমানের শীতল জলে ডুবে থাকা বিষন্নতার কবিতা। একটা কবিতাও কি আছে তাঁর, যেখানে তিনি প্রেমিকার সঙ্গে নিমেষযাপনের সহর্ষ উদযাপন করেছেন? নেই। একটাও নেই!

এভাবেই গত মাসখানেক আমার অন্যতম প্রিয় কবির ধারাবাহিক উন্মোচনের সঙ্গে জড��িয়ে ছিলাম আমি। এর আগে কখনোই তাঁকে এভাবে একটানা পড়িনি। এভাবে চিনিনি তাঁকে। আবার কখনও পড়বো কিনা জানিনা। এখন সবই অবসৃত ইতিহাস হয়ে গেছে। কিছু অনুভবের ধোঁয়া কণ্ঠনালীতে ভরে নিয়ে, নির্বিকার ছাই এখানে ওখানে ঝেড়ে ফেলা হয়েছে এখন। এখন সবই স্বপ্ন হয়ে গেছে।

কারুর আসার কথা ছিল না
কেউ আসেনি
তবু কেন মন খারাপ হয়?

যে-কোনো শব্দ শুনেই
বাইরে উঠে যাই
কেউ নেই—

অদ্ভুত নির্জন হয়ে পৃথিবী
শুয়ে আছে
ঘুম ভাঙার ঠিক আগের মুহূর্তের স্বপ্নে

আমিও যেন সেই স্বপ্নেরই অন্তর্গত!






.
Profile Image for পর্ব.
24 reviews14 followers
August 9, 2023
জাগরণ হেমবর্ণ টাই শুধু ভালো
Profile Image for Zabir Rafy.
312 reviews10 followers
June 26, 2025
কবিতায় আরেকবার চেনা হলো সুনীল বাবুকে।

প্রথমবার চিনলাম কাকাবাবু পড়ে৷ তারপর সেই সময়। এখন কবিতা।

এই বছর কবিতা সাহিত্য এক্সপ্লোর করা হচ্ছে বড়😛 সেই ধারাবাহিকতায় সুনীল বাবুর কবিতা পড়া হলো।
Displaying 1 - 3 of 3 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.