রকিব হাসান বাংলাদেশের একজন গোয়েন্দা কাহিনী লেখক। তিনি সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তিন গোয়েন্দা নামক গোয়েন্দা কাহিনীর স্রষ্টা। তিনি মূলত মূল নামে লেখালেখি করলেও জাফর চৌধুরী ছদ্মনামেও সেবা প্রকাশনীর রোমহর্ষক সিরিজ লিখে থাকেন। থ্রিলার এবং গোয়েন্দা গল্প লেখার পূর্বে তিনি অন্যান্য কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি রহস্যপত্রিকার একজন সহকারী সম্পাদক ছিলেন।রকিব হাসান শুধুমাত্র তিন গোয়েন্দারই ১৬০টি বই লিখেছেন। এছাড়া কমপক্ষে ৩০টি বই অনুবাদ করেছেন। তিনি টারজান সিরিজ এবং পুরো আরব্য রজনী অনুবাদ করেছেন। তাঁর প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ ড্রাকুলা। রকিব হাসান লিখেছেন নাটকও। তিনি "হিমঘরে হানিমুন" নামে একটি নাটক রচনা করেন, যা টিভিতে সম্প্রচারিত হয়।
তিন গোয়েন্দার অ্যাডভেঞ্চারধর্মী বইগুলোর মধ্যে সেরা বই। সিরিজের সেরা বইয়ের তালিকা করলেও অনায়াসে ঠাঁই পেয়ে যাবে। বহু বছর পর রিভাইস দিতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম, এখনও এ-বই পড়তে আগের মতই মজা লাগে। দুর্দান্ত, আর কিছু বলার নেই।
আমি জলদস্যুর দ্বীপ গল্পটা দিয়েই গল্পের বই পড়া শুরু করি। এই বইটা এত্তো এত্তো ভাল্লাগছিলো। এ্যাডভেঞ্চার কাহিনি আমার ছোটবেলাকে রোমাঞ্চিত করেছিলো। কিশোর,মুসা,রবিন মিলে যে এত্তো কিছু করবে যে মূহুর্তে শেষ হয়ে যাবে পড়া। প্রতিটা কাহিনি ইন্টারেস্টিং। এক কথায় সেরা বই(কিশোর বয়সের জন্য) আর কি বলোবো বুঝতে পারছি না!!
"এতদিন মনে মনে দোষ দিয়েছি বাবাকে, কিন্ত আজ বুঝতে পারছি, কিসের নেশায় ঘর ছেড়েছে বাবা। এই খোলা আকাশ, খোলা বাতাস, নীল সাগর... আহা" আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করলো সে।
তর্কাতীতভাবে তিন গোয়েন্দা সিরিজের 'শ্রেষ্ঠ বই'। ট্রু মাস্টারপিস। কিশোর বয়সে প্রথমবার যখন বইটি পড়েছিলাম সেই অনুভূতি কখনো ভুলার নয়! মাই রেটিং ৯.৫/১০।