Satyanweshi also spelled Satyanveshi, is a detective story written by Sharadindu Bandyopadhyay featuring the Bengali detective Byomkesh Bakshi and his friend, assistant, and narrator Ajit Bandyopadhyay.
Sharadindu Bandyopadhyay (Bengali: শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়; 30 March 1899 – 22 September 1970) was a well-known literary figure of Bengal. He was also actively involved with Bengali cinema as well as Bollywood. His most famous creation is the fictional detective Byomkesh Bakshi. He wrote different forms of prose: novels, short stories, plays and screenplays. However, his forte was short stories and novels. He wrote historical fiction like Kaler Mandira, GourMollar (initially named as Mouri Nodir Teere), Tumi Sandhyar Megh, Tungabhadrar Teere (all novels), Chuya-Chandan, Maru O Sangha (later made into a Hindi film named Trishangni) and stories of the unnatural with the recurring character Baroda. Besides, he wrote many songs and poems.
Awards: 'Rabindra Puraskar' in 1967 for the novel 'Tungabhadrar Tirey'. 'Sarat Smriti Purashkar' in 1967 by Calcutta University.
আজ খুব ইচ্ছা হচ্ছিল একটা গোয়েন্দা কাহিনী পড়ার। কোনটা পড়ব ভাবতে গিয়ে প্রথমেই মাথায় আসলো সত্যান্বেষী র কথা। আর তাই ২য় বারের মতো গ্রহন করলাম। আসলে ধুতি পাঞ্জাবি পরেও যে দুধর্ষ গোয়েন্দা হওয়া যায় সেটা শরদিন্দুবাবু প্রমান করে ছেড়েছেন। ব্যোমকেশ বক্সী কিশোরদের জন্য সৃস্ট চরিত্র নয়, বড়দের জন্যই। কিছুটা শার্লক হোমসএর মিল আছে বিশ্লেষণী ক্ষমতার ক্ষেত্রে কিন্তু সেটা একেবারই মানানসই বাঙালি পরিবেশের জন্য। শার্লক দাম্ভিক ছিলেন কিন্তু ব্যোমকেশ ক্ষুরধার বুদ্ধিমান কিন্তু বিনয়ী আর দশজন বাঙালির মতই।
ছুটিতে গেলেই সমগ্র টা এক বার হাত এ নেওয়া হয়। আর প্রত্যেকবারই গল্প নং ১ থেকে শুরু করার দরুণ এই গল্প টা ইতোমধ্যে ৫ এর অধিক বার পড়া হয়ে গেছে। কিন্তু খারাপ লাগে নি একবার ও। তবে এইবার বইয়ের পাতায় প্রতিজ্ঞা করে এসেছি আগামিবার এই গল্প থেকে আর শুরু করছি না।
সেরকম Out of the box কিছু ছিল না, কিন্তু এরকম গোয়েন্দা গল্পে যে জিনিসটা বড্ড জরুরী, পাঠকের অকুণ্ঠ মনোযোগ, সেটা শরদিন্দু বাবু ভালোই ধরে রাখতে জানেন। একটানা পড়ে যেতে কোন সমস্যা হয় না। যাইহোক, একটু দেরিতে হলেও সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সীর সাথে পরিচয় হয়ে গেল। এবার খেলা জমার অপেক্ষা। :)
ছেলের খুব গোয়ান্দা গল্প শোনার শখ হয়েছে। তাই ছোটবেলার পর আবার ব্যোমকেশ পড়া শুরু করলাম। ছেলে বার বার জিজ্ঞেস করে যাচ্ছে, ' বাবা ব্যোমকেশ কেন আসছে না?' 🤓
এখনও মনে আছে। তখন সদ্য সদ্য আদিম রিপু নিয়ে একটি movie বেরিয়েছে, আমার বয়স তখন নেহাতই কম। ডিটেক্টিভ গল্প, বা thriller পড়তে ছোটবেলা থেকেই খুব ভাল লাগে, তাই মামা একদিন বেরিয়ে কিনে এনে দিল ব্যোমকেশ সমগ্র। সত্যি কথা বলতে প্রথম প্রথম সাধু ভাষাতে পড়তে একেবারেই ভাল লাগতো না। ভাগ্যিস জোর করে নিজেকে “পড়তে থাকি, নিশ্চয়ই বুঝতে পারবো , আর তারপর ভাল লাগবে” বলে পড়া শুরু করেছিলাম !
পুরো চারবার পড়েছিলাম পুরো বইটা, তারপর সাধ মিটেছিল। অনেকদিন পর আবার পড়া শুরু করলাম, এখনও একই রকম ভাল লাগে। যদিও বা ভাল মতই জানি যে এর পর কি হতে চলেছে , অপরাধী আসলে কে। আশ্চর্য রকমের সাবলীল ভাষা। আর অদ্ভুত রকমের ঘরোয়া বলার ধরন। অবশ্য এটিকে ঠিক গল্প বলা যায় না, উপন্যাস তো কোনো ক্রমেই না। পাঠকদের কাছে অজিত ও বক্সীবাবুর introduction হিসেবে গণ্য করাই শ্রেয়।
বাংলা সাহিত্যের অনন্যসাধারণ গোয়েন্দা ব্যোমকেশ। থুক্কু, গোয়েন্দা বলা যাবে না। উনি সত্যান্বেষী। যদিও কাজ ওই একই। এই গল্পের মাধ্যমেই যাত্রা শুরু ব্যোমকেশের। আর অজিতের সাথেও ব্যোমকেশের এই গল্পেই পরিচয়। গল্পটা খুব ছোট। যদিও অপরাধ আর অপরাধী অনেক বড়। কলকাতায় কোকেনের ব্যাবসা নিয়েই মূলত গল্পটা গড়ে উঠেছে। এই কোকেনের ব্যাবসায়ীদের পেছনে লেগেই তাদের পুলিসের হাতে তুলে দেয়ার মাধ্যমে গল্প শেষ। পাচতারা দিয়েছি একটা অনন্যসাধারণ যাত্রার শুরু হিসেবে। কারণ যখন পড়েছিলাম তখন খুবই ভাল লেগেছিল।
ব্যোমকেশের সাথে তার সহচরীর সাক্ষাৎ করানো তো বটেই তার উপর একসাথে ডিটেকটিভ ফিলও দেওয়া। পরিচয় পর্ব সহ গল্পটা এতোটা সুন্দর হবে ভাবিনি। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো এটাতে শুধু ব্যোমকেশের সহচরী লেখক অজিত বাবুর সমন্ধেই বলা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মন ভরে গেলো
সবকিছু ভালোই চলছিলো, হঠাৎ খুবই দ্রুত শেষ হয়ে গেলো মাথা পরিষ্কার হতে না হতেই। এজন্যই কেবল পাঁচটি তারা দিতে পারলুম না। :( তবে দেরিতে হলেও "সত্যান্বেষী"-র সাথে পরিচয় সেরে ফেললুম।
থ্রিলিং টা আলাদারকমের ছিল। প্রথমে বুঝতে ই পারি নাই গোয়েন্দা কে আর কি নিয়ে ই কাজ কারবার। পরে যদিও পরিষ্কার হয়েছে! তবে ব্যোমকেশ#১ হিসেবে বেশ আলাদারকম স্বাদ পেলাম বলে মনে হল//
এমন একখানা ক্লাসিকের কি আর আলাদা করে রিভিউ করার দরকার আছে? তবে ওঙ্কারনাথের আঁকায় এবেলা-তে প্রকাশিত স্মার্ট আর ঝকঝকে কমিক স্ট্রিপটা এবার বই হয়ে বেরোলে মন্দ হবে না বলেই মনে হয়|
বৈঠকখানায় বসে চায়ে চুমুক দিতে দিতে যখন "সত্যান্বেষী" ব্যোমকেশ বক্সী কাহিনীর জট খুলতে শুরু করলেন, আমিও তখন আমার চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে হিসেব মিলিয়ে নিলাম। অনেকদিন পর ডিটেকটিভ বই পড়ার উত্তেজনা উপভোগ করছি। চায়ের সাথে ব্যোমকেশ— নতুন রুটিন।
ভারতীয় সাহিত্যে গোয়েন্দা চরিত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী নামগুলোর একটি হলো ব্যোমকেশ বক্সী। তাঁর সৃষ্টিকর্তা হলেন বিখ্যাত লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যোমকেশকে লেখক শুধুমাত্র একজন "গোয়েন্দা" হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেননি, বরং তাঁকে বলেছেন "সত্যান্বেষী", অর্থাৎ একজন সত্যের সন্ধানকারী। এই পরিচয় থেকেই বোঝা যায়, ব্যোমকেশ কেবল অপরাধী ধরার জন্য নয়, বরং সত্য উদ্ঘাটনের জন্য কাজ করেন। প্রথমবারের মত ব্যোমকেশ পড়লাম। ভালোই লেগেছে। সবসময় টিভির পর্দায় দেখেছি আজ বইয়ের পাতায় পড়লাম। অন্যরকম এক অনুভূতি।
বহুবার পড়া গল্পটা আবার পড়তে গিয়ে একটা খটকা লাগলো। ডাক্তার ধরা পড়ার পরে তার কামরা খানাতল্লাশি করে মজুত কোকেন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। অথচ ইতিপূর্বে উল্লেখ আছে অশ্বিনীবাবু খুন হলে মেসের প্রতিটি রুম চিরুনিতল্লাশি করা হয়েছিল। সেই সময় ডাক্তার কী করে কোকেন লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন তার ব্যাখ্যা পেলাম না।
ফেলুদার চাইতে ব্যোমকেশ নাকি বেশি জমে? কয়জনকে বলতে শুনে আজন্ম ফেলুদা-প্রেমী আমি কথাটা মিলিয়ে নিতে চাইলাম। ব্যোমকেশ কে প্রথম পড়া।ফ্যাসিনেটেড না হলেও রোমাঞ্চিত হলাম।
ব্যোমকেশ বক্সীর সঙ্গে পরিচয় বেশ অনেকদিনের হলেও ৮-১০টার বেশি গল্প পড়া হয়ে ওঠেনি, তাই এবার সমগ্রটা কিনে ফেললাম। একদম গোড়া থেকেই শুরু করলাম।
অজিত আর ব্যোমকেশের পরিচয়টা বেশ ভালোভাবেই হয়ে গেল, যদিও আরও ভালো হওয়ার সুযোগ ছিল। তবে শুরু হিসেবে সার্থকতা সবচেয়ে বেশি এই জায়গায় যে, পরের গল্পে টেনে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপার আগ্রহী করে তুলেছে।
ভেবেছিলাম, এ গল্প জুড়ে শুধু পরিচয় পর্ব থাকবে। পরিচয়ের সাথে যে সুন্দর একটা গল্প থাকবে বুঝি নি।
অনুকূলবাবুর মেস বাসায় থাকেন ঘনশ্যামবাবু, অশ্বিনীবাবু আর অজিত। একদিন হুট করে মেসের খোঁজে আসেন অতুল। ঘর খালি না থাকায়, অজিত তার সাথে অতুলকে থাকতে বলেন। ভালোয় ভালোয় সাপ্তাহখানেক কাটার পর, মেসে নানা বিচিত্র ঘটনা ঘটা শুরু করলো। আগে থেকেই এ এলাকায় একের পর এক খুন হতো, কোকেনের ব্যবসা চলে এমন গুঞ্জনও পাওয়া যাচ্ছিলো।এর মাঝেই খুন হলেন অশ্বিনীবাবু। অশ্বিনীবাবুর খুনের রহস্য সমাধান করতে গিয়ে বোমকেশ বক্সী সত্যান্বেষীর পরিচয় এবং কোকেন ব্যবসা ও আগের খুনগুলোর রহস্য উন্মোচন!
পড়ে বেজায় ভাল লাগলো। ক্ষুরধার বুদ্ধির পরিচয়টা অবশ্য খুব বেশি ফুটে ওঠেনি, তবে বেশ একটা অ্যাকশন ড্রিভেন গল্প হলো এই "সত্যান্বেষী"।
ব্যোমকেশ গ্রন্থ ভুবনে মাত্র পা রাখলাম 'ব্যোমকেশ সমগ্র' দিয়ে। আমি আসলে পুরোপুরি নিশ্চিত নয় যে 'সত্যান্বেষী' শুধু একটি গল্প, নাকি একটি পুরো পুস্তক / সংকলন। যাহোক, পড়ে আনন্দ পেয়েছি ইহাই বড় কথা!
#BookReview ছোটবেলায় ব্যোমকেশ বক্সীর সিনেমা টিভিতে দেখেছি, কিন্তু কখনো ব্যোমকেশ বক্সী পড়া হয়নি। টাকা জমিয়ে সংগ্রহ করলাম ব্যোমকেশ বক্সী সমগ্রটা। প্রায় আজ থেকে ৯০ বছর আগে ১৯৩৩ সালে ব্যোমকেশ বক্সীর আত্মপ্রকাশ। গল্পগুলো পড়লে বিশ্বাসই হবে না গল্পগুলো এত্ত পুরনো!
🔰গল্প: সত্যান্বেষী 🔰গল্পসংক্ষেপ: অজিতবাবু, অনুকুল বাবুর বাসায় ভাড়া থাকেন রুমমেট অতুল চন্দ্র মিত্র সহিত। অনুকুল বাবু পেশায় একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। এই বাসায় আরো দুইজন থাকেন, ঘনশ্যাম বাবু এবং অশ্বিনী বাবু। এলাকায় হঠাৎ করেই খুব খুনখারাপি শুরু হইছে, এলাকায় কোকেনের ব্যবসা খুব রমরমা। হঠাৎ অশ্বিনীবাবু র খুন। 🔰বই রিভিউ: পড়ার পর একটাই আক্ষেপ, যদি বইটা আরো আগে পড়তে পারতাম!! খুবই ছোট গল্পগুলো। বোর হবেন না। 🔰Rating: 4.5/5