অরুণা, দিয়া, সুস্মিতা, মৃত্তিকা… এই ফোর মাস্কেটিয়ার্সের সঙ্গে দুজন ফাউ ছিল প্রিয়াংশু আর তমাল। সময়ের চোরাপথে জীবনের জটিল সমীকরণে এরা নিজেদের হারিয়ে ফেলেছিল। পরিণাম ভয়ানক বীভৎস মৃত্যু! আর সেই যমদূতের সংকেত বয়ে আনত একটি বিড়ালের ডাক, ম্যাও। কিন্তু কেন? কেসটা নিজেই হাতে নিল লালবাজারের তরুণ গোয়েন্দা স্বয়ম্ভু সেন। সঙ্গে যোগ্য সহকারী শিবাঙ্গী বসু। গোয়েন্দাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তাঁরই সামনে খুন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক। এমনকি খুনের ভিডিয়োও পাঠিয়ে জানিয়ে দিচ্ছে ঠিক কীভাবে খুন করা হয়েছে। কিন্তু বিড়ালের ডাকের সঙ্গে এই নরহত্যার সম্পর্ক কী? এই কেসের সমাধান করতে না পারলে স্বয়ম্ভুকে বেছে নিতে হবে স্বেচ্ছাসাজা, যাবজ্জীবন অথবা ফাঁসি। স্বয়ম্ভু কীভাবে রহস্যের ঝুলি থেকে আসল বিড়ালটাকে খুঁজে বের করবে? কীভাবেই বা বন্ধ হবে শহরজুড়ে রক্তের হোলিখেলা?
একদা অভিন্নহৃদয় চার বান্ধবী আর তাদের ঈষৎ বর্ধিত পরিবার— যার কোণে-কোণে আছে সমৃদ্ধি, সাফল্য, স্বস্তি, আর... রক্তের দাগ? নিশ্চয় আছে তেমন কিছু। নইলে সিরিয়াল কিলারের কী দায় পড়েছে যে বেড়ালের ডাক শুনিয়ে ভয় পাইয়ে বেছে-বেছে এদেরই নৃশংসভাবে নিকেশ করবে? কিন্তু সেটা নিয়ে তো কেউই মুখ খুলছে না। আর, বেড়ালই বা কেন? পুলিশ অফিসার স্বয়ম্ভু সেন এবং তাঁর সহকর্মী শিবাঙ্গী বসুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে লাগল খুনি(রা?)। অথচ যথাসম্ভব চেষ্টা করেও শুধু বিভ্রান্তই হতে হল তাঁদের। আর এইভাবেই একরাতে... এ এক বহুস্তরীয়, গভীরভাবে মনস্তাত্ত্বিক হত্যারহস্য তথা পোলিস প্রোসিডিওরাল। এই লেখা পড়তে গিয়ে মানবমনের নিতান্ত লৌকিক অন্ধকারের মুখোমুখি হয়ে শিউরে উঠতে হয়। হয়তো কোথাও গিয়ে হত্যাকারীদের জন্যও সহানুভূতি জাগে পাঠকের মনে; আবার তা মিলিয়ে যায় তাদেরই নৃশংসতা দেখে। একটা সময় মনে হতে থাকে, এমন নিপুণ ছক কষে মাঠে নামা অপরাধী(রা?) কি পুলিশের নিয়মবদ্ধ তদন্তে ধরা দেবে আদৌ? আর এখানেই লেখক বাজিমাত করেছেন তিনটি কারণে। প্রথমত, সংলাপে, ঘাত-প্রতিঘাতে, ক্ষেত্রবিশেষে একেবারে নিষ্করুণ বিবরণে তিনি বৃষ্টিভেজা রাতের শহর, উত্তরবঙ্গের জঙ্গল, নিভৃত শয্যা, দুঃস্বপ্ন, মনের গলিঘুঁজি— সবই ফুটিয়ে তুলেছেন নিপুণভাবে। কিন্তু তারই মাধ্যমে এমন একটি গাঢ়, ঘন অন্ধকারাচ্ছন্ন উপন্যাসেও লেখক ভারি সুন্দরভাবে মিশিয়ে দিয়েছেন বিষাদের নীল, প্রেমের সবুজ, ক্রোধের লাল, আর আশার আসমানি রঙ। এমনকি স্থানবিশেষে রসবোধের সূক্ষ্ম প্রকাশেও তিনি কুণ্ঠিত হননি, যেমনটি জীবনে ঘটে থাকে। দ্বিতীয়ত, পুলিশি অনুসন্ধানের নানা টেকনিক্যাল দিক যথাসম্ভব সঠিকভাবে পরিবেশন করেছেন তিনি। অপরাধীকে চিহ্নিত করা তথা সম্ভাব্য ভিক্টিমকে রক্ষায় প্রাথমিক ব্যর্থতার কারণটিও তিনি দেখিয়েছেন বাস্তবানুগ ভঙ্গিতে। তৃতীয়ত, স্বয়ম্ভু আর শিবাঙ্গীর মতো দুটি ভালোবেসে ফেলার মতো চরিত্রকে সৃষ্টি করে লেখক বুঝিয়ে দিয়েছেন, আগামী দিনেও আমরা এই জুটিকে আবার পেতে চলেছি। বাংলায় রহস্যভেদী নেহাত কম নেই। কিন্তু এই দু'জনের মধ্যে এমন একটা সতেজ অথচ উত্তর কলকাতার নিজস্ব গন্ধ আছে, যা খুব বেশি করেই মনে ধরে গেল। চমৎকার প্রচ্ছদ, ছিমছাম অলংকরণ, শুদ্ধ মুদ্রণ— এগুলো উপন্যাসটিকে যথাযথ আকারে পাঠকের সামনে পেশ করেছে বলে প্রকাশকের কাছে কৃতজ্ঞ রইলাম। তবে আমার আভূমি সেলাম আদায় করে নিলেন লেখক। ইদানীং অন্ধকারের গল্প অনেকেই লিখছেন; কিন্তু এমন একটি ঘনকৃষ্ণ বিষয়কে তিনি যেভাবে পরিবেশন করলেন, তা সর্বার্থে তারিফ করার মতো। আপাতত স্বয়ম্ভু সেনের প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় রইলাম।
অনবদ্য, Proper পেজ টার্নার, লেখককে কুর্নিশ এত সুন্দর একটা উপন্যাস উপহার দেওয়ার জন্য। এই উপন্যাস এর বিষয়বস্তুর গহীন অন্ধকার পড়তে গিয়ে চরম অস্বস্তির সম্মুখীন হয়েছি যা আগে কোনও রহস্যোপন্যাস পড়তে গিয়ে হয়নি। . Haunting past, murder mystery, suspenseful twist সব মিলিয়ে এক জমজমাট রহস্য উপন্যাস।
অনেকদিন পর একটি বই পড়লাম যেটি র পাতা সংখ্যা 300 এর উপরে কিন্তু শেষ করলাম মাত্র 5 দিন এ। পড়াতে পড়াতে ফাঁকা সময় পেলেই পড়েছি ,মাঝ রাতে উঠে পড়েছি ,ঘুমানোর আগে যখন ই ইচ্ছে হয়েছে আরকি পড়েছি , অন্যের বই বলে এমন করেছি তা নয় বই টায় সত্যি টানটান উত্তেজনা ছিল। নতুন লেখক দের বই পড়তে একটু ভয় পাই কিন্তু যে এই বই পড়েছে তার ভরসা তেই শুরু করি এবং সত্যি খুব ই উপভোগ করলাম । গল্পের কোথাও এমন নেই যে আপনি বুঝতে পারবেন না বা লেখক লাফ দিয়ে এগিয়েছেন । ধীরে সুস্থে গুছিয়ে লিখেছেন।
কিন্তু শেষ র দিকে আমার একটু মনে হয়েছিল যে strech করা হচ্ছে গল্প আর একজায়গায় মনে হলো খুব filmy কায়দায় এক ঘটনা দেখানো হয় যেটা মানতে একটু problem আমার হয়। কিন্তু এইটুকু মেনে নেওয়াই যায় ।
যাই হোক অবশ্যই পড়ুন এক নতুন গোয়েন্দা কে পাচ্ছি ভেবেই বেশ ভালো লাগছে।
P.S গল্পের 15 পাতার পর আমি আর যে এই বই আমায় পড়তে বলে আমরা দুজনেই একটু ধরেই ফেলেছিলাম বলতে পারেন যে কে খুনি কিন্ত সবার এই ঘটনা কিন্তু ঘটেনি হয়তো আপনার সাথেও ঘটতে পারে আমাদের মত আবার নাও হতে পারে তাই বলছি এই journey টা miss করবেন না নির্দ্বিধায় পড়তে শুরু করুন
বেশ ভালো একটা থ্রিলার, তবে আমার মনে হয়েছে এই গল্পে নাটকীয়তা অনেক বেশি। কিছু কিছু ঘটনাক্রম মনে হয়েছে বস্তবিকতার একটু বাইরে। তার ওপর প্রধান গোয়েন্দা আর তার সহকারীর মধ্যে একটা হালকা প্রেমের সম্পর্ক , এসব ছেড়ে দেখলে whodoneit গল্প বেশ ভালই এগিয়েছে। পুরো উপন্যাস ধরে পড়ার আগ্রহ বজায় রাখতে পারা গেছে।শেষে ভালো একটা চমক ও আছে। তবে এই উপন্যাসে অপরাধীদের প্রতিশোধ স্পৃহা অস্বাভাবিক বেশি বলে আমার মনে হয়েছে। বইয়ের পরিবেশন বেশ ভালো। নতুন বাংলা লেখকদের মধ্যে এই উপন্যাসটি সুযোগ পেলে পড়ে নেওয়া উচিৎ।
On a cobweb afternoon In a room full of emptiness By a freeway I confess I was lost in the pages Of a book full of death.. ---> chris cornell
হিংসা প্রতিহিংসা অপরাধ প্রতিশোধ শাস্তি ন্যায়বিচার আর সব শেষে "ক্ষমা" তিনশত ঊনিশ পাতা জুড়ে লেখক "অভিষেক চট্টোপাধ্যায়" এক অকল্পনীয় বীভৎস কাহিনী পাঠকদের উপহার দিয়েছেন ,আর সেই সূত্রেই পরিচয় করিয়েছেন তার সৃষ্টিত গোয়েন্দা চরিত্র "স্বয়ম্ভু সেন" ও তার সহকারী শিবাঙ্গীর সাথে।।
Chris Cornell এর লেখা লাইন গুলোর সূত্র ধরেই বলতে হয় , মাকড়সার জালের মতই জটিল এই কাহিনীর ব্যাপ্তি যার শুরু থেকে শেষ ঠিক কতটা বিভৎস ও কতটা সুনিপুণ নাটকীয়তায় ভরা তা ভাষায় প্রকাশ করা প্রায় অসম্ভব।।
✨ শহরে হঠাৎ একের পর এক খুন , শুধু খুন নয় হে, এ যেন সিরিয়াল কিলিং, ঘটনা সূত্রে খুন হতে হয় ,কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অফিসার স্বয়ম্ভু সেনের পরিবারের একটি সদস্য ও সম্পর্কে তার বোনকেও। খুনের ধরন এতটাই অদ্ভুত যে ভাই হিসেবে এটি তার কাছেও একটি চ্যালেঞ্জ তার সাথে পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক চাপ ও আছে বৈকি।
✨ ভালো লেগেছে যেই বিষয় গুলি -
১) খুব গুছিয়ে ভেবে ধাপে ধাপে কাহিনী এগিয়েছেন লেখক , পাঠক হিসেবে কেউ যদি পড়তে পড়তে দুই তিন দিন রেখে দিয়ে আবার পড়া শুরু করে এ কাহিনী আপনকে আবার চমকে দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত ।
২) বেশির ভাগ রহস্য কাহিনীতে , মূল ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে সত্য উদঘাটনের পালা চলতে থাকে , এই কাহিনীর ক্ষেত্রে প্রায় চোর পুলিশ খেলার মত যেখানে অপরাধী প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আইন প্রণয়নকারী দের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একটার পর একটা অপরাধ করে গিয়েছে।
৩) অপরাধের যে বর্ণনা দিয়েছেন লেখক বলতে বাধ্য হচ্ছি, বই পড়ার আনন্দর থেকে দুশ্চিন্তা হয় বেশি নিজের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে।। খারাপ ঘটনার বর্ণনা এত ডিটেইলিং এ খুব কম বই��ে তুলে ধরা হয় ।।
৪) দীর্ঘ কাহিনী হিসেবে খুব একটা গতিময় নয় , সিয়িয়াস থ্রিলার পাঠকদের জন্য এই বই।।
৫) লেখক ইমোশনাল জাগলিং বিষয় টিকে মাথায় রেখে , অতিরিক্ত সাব সিগনিফিকেন্ট কিছু সামান্য ঘটনাবলীর উল্লেখ করে , পাঠক দের একটু জিরিয়ে নেওয়ার জায়গা দিয়েছেন , এতে করে অপেক্ষা যত বেড়েছে ঠিক সেভাবেই কৌতুহল ও ধরে রেখেছেন ।
৬) একটি মূল রহস্য কাহিনীর মধ্যে প্রায় ডজন খানেক ডাইমেনশন , প্রচুর প্লট টুইস্ট , ইনভেস্টিগেশন সংক্রান্ত নানান 'ইনফরমেটিভ পটহোল' জুড়েছেন যে সব প্রশ্নের উত্তর পেতে প্রায় কাহিনীর শেষ পাতা পর্যন্ত পাঠকদের ধরে রাখবেই।।
৭) সব থেকে ভালো লেগেছে , কাহিনীর মেইন প্লট । হলপ করে বলতে পারি , পাঠকরা পার্সোনালি নিয়ে নেবে কিছু বিষয়কে।। বাধ্য করবে নিজের ব্যক্তিগত ধ্যান ধারনাকে সামনে এনে বিচার করতে , যা করা হচ্ছে আদতে সেটাই হওয়ায় উচিত কিনা ?
৮) কাহিনীর শেষ টিও অসাধারন , যেহুতু প্রচুর ' খটকা ' লেখক পুরো কাহিনী জুড়ে ছড়িয়েছেন সেই হিসেবে যবনিকা পতন ও বেশ দীর্ঘ ও ওয়েল কনস্ট্রাকটেড তাড়াহুড়ো করে মিলিয়ে দেন নি।।
সত্যি বলতে লেখককে সাধুবাদ দিই , এত ভালো একটা লেখা সময় নিয়ে গুছিয়ে পাঠকের উপহার দেওয়ার জন্যে ।। প্রত্যেক চরিত্রকে যেভাবে তুলে ধরেছেন , সত্যি বলতেই হয় বেড়াল হোক কিংবা মৃত দেহ সবাই জীবন্ত ।।
এটি একটি মার্ডার থ্রিলার উপন্যাস। উপন্যাসের শুরু চার বন্ধু অরুণা, মৃত্তিকা, সুস্মিতা এবং দিয়া কে নিয়ে। অরুনা বিয়ে করে তমালকে বাড়ির অমতে পালিয়ে গিয়ে। কিন্তু বিয়ের চার বছর যেতে না যেতেই তাদের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়; তমাল অন্য এক নারীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এই চরম অশান্তির মধ্যে যেদিন অরুণা তমালের বাড়ি ছাড়ে তার পরদিনই অরুণার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায় পার্ক সার্কাসের রেললাইনের ধারে। এই ঘটনার ঠিক সাত দিন আগে থেকে অরুণার কাছে মধ্যরাতে একটি ফোনকল আসতো যার অপর প্রান্তে বিড়ালের কান্নার আওয়াজ শোনা যেত। একটি বিড়ালের কান্না কি পারে কারো মৃত্যু ডেকে আনতে?
এই রহস্যের সমাধানে নামে লালবাজারের ডিটেকটিভ স্বয়ম্ভু সেন সাথে তার সহকারী শিবাঙ্গী বসু। সম্পর্কে অরুণা আবার স্বয়ম্ভু সেনের মাসতুতো বোন। সময়ের সাথে দেখা যায় এটি একটি সাধারণ খুন নয় বরং সিরিয়াল কিলিং। কলকাতা শহরে আরও এরকম কয়েকটি নৃশংস খুন হয় এবং খুনি পুলিশকে সেই খুন সম্পর্কে আগে থেকে জানিয়েও দেয়। আশ্চর্যের বিষয় খুন হওয়া প্রতিটি ব্যক্তি অরুনার মতোই একটি ফোনকল পায় যার অপর প্রান্তে শোনা যায় বিড়ালের করুণ কান্না এবং প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে অরুণার পরিচিত। এই সিরিয়াল কিলার খুন হওয়া ব্যক্তির শরীরের কিছু অংশ পুলিশকে পাঠিয়ে চ্যালেঞ্জ করে তাকে ধরে দেখানোর।
স্বয়ম্ভু সেনের ইনভেস্টিগেশনে উঠে আসে অতীতের বেপরোয়া অনিয়ন্ত্রিত কিছু কলেজ স্টুডেন্টদের কীর্তিকলাপ। তাদের অতীতের করা পাপ আজও তাদের পিছু ছাড়েনি। অতীতের পাপের শাস্তি তাদের জীবন দিয়ে দিতে হচ্ছে। ডিটেকটিভ স্বয়ম্ভু সেন কি পারবে অতীত এবং বর্তমানকে এক সূত্রে গেঁথে এই মার্ডার রহস্যের সমাধান করতে?
"ম্যাও" একটি টানটান রহস্য উপন্যাস যেটি মাঝপথে ছেড়ে ওঠা যায় না সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত। তবে এক্ষেত্রে একটি কথা না বললেই নয় এবং তা হলো ম্যাও যেহেতু একটি রিভেঞ্জ মার্ডার থ্রিলার তাই এই নৃশংস হত্যাকান্ডের পিছনে যে কারণ রয়েছে তার মূল পান্ডাকে খুনির উচিত ছিল সবার আগে অ্যাটাক করা কিন্তু তা করা হয়নি। লেখক এখানে শহরের ছাত্র-ছাত্রী এবং গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যে আচরণগত পার্থক্য, তাদের জীবনবোধের পার্থক্য রয়েছে তা সুন্দরভাবে ব্যক্ত করেছেন।
সবশেষে বলি ম্যাও উপন্যাসটি আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং ডিটেকটিভ স্বয়ম্ভু সেনের দ্বিতীয় রহস্যকাহিনী ❝কথাকলি কোথায়?❞ উপন্যাসটি পড়ার ইচ্ছা রইলো।
কলকাতা, যেখানে ইতিহাস ও আধুনিকতার আশ্চর্য মেলবন্ধন ঘটে, সেখানেই ঘটল এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড। শিয়ালদহ রেললাইনের ধারে একটি রক্তাক্ত দেহ পাওয়া গেল, যার অবস্থা ছিল ভয়াবহ। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, এবং তার পায়ের আঙ্গুলগুলো কেটে নেওয়া হয়েছে। যাই হোক, তদন্তের দায়িত্ব এসে পড়ে লালবাজারের তরুণ গোয়েন্দা স্বয়ম্ভু সেন এবং তার সহকারী শিবাঙ্গী বসুর উপর। তবে কিছু করার আগেই ঘটে যায় আরেকটি হত্যাকাণ্ড। তারা উপলব্ধি করে যে, খুনগুলোর পেছনে ঘৃণা ও প্রতিশোধের এক অদৃশ্য কাহিনী লুকানো রয়েছে। কিন্তু সেটি আসলে কী? প্রতিটি হত্যার আগে আততায়ী কেন ভিকটিমকে বিড়ালের ডাক শোনাচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আপনাদের বইটি পড়তে হবে। আমি সেদিকে না গিয়ে, বরং বইটি আমার কেমন লাগল, সে বিষয়ে কিছু মন্তব্য করি।
বিষয়বস্তু হিসেবে এটি একটি বহুস্তরীয় হত্যারহস্য, যা শুধু সাসপেন্স তৈরি করে না, বরং পাঠককে মানবমনের গহনে প্রবেশ করতে বাধ্য করে। লেখকের প্রতিটি বিবরণ, সংলাপ পাঠককে এক অস্থির অবস্থায় নিয়ে যায়, যেখানে তারা হত্যাকারীদের প্রতি সহানুভূতি অনুভব করে, আবার একই সাথে তাদের নৃশংসতা দেখতে পেয়ে ভীত হয়।
পুলিশি অনুসন্ধানের প্রযুক্তিগত দিকগুলো সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা পাঠকদের বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত করে। একইসাথে অপরাধী চিহ্নিতকরণে ব্যর্থতার কারণও বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
স্বয়ম্ভু এবং শিবাঙ্গীর চরিত্র দুটি এই উপন্যাসের প্রাণকেন্দ্র। তাদের প্রেমের সম্পর্ক কেবল ঘটনার আড়ালে নয়, বরং গল্পের মূল অনুপ্রেরণা হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এছাড়া, উপন্যাসের প্রচ্ছদ, অলংকরণ এবং মুদ্রণও যথাযথ।
শেষে এটুকুই বলব, মানব মন কেবল অন্ধকারে সীমিত নয়; এর মধ্যে রঙের অভিব্যক্তি রয়েছে, যা আমাদের অভ্যন্তরীণ অভিজ্ঞতাকে প্রকাশ করে। লেখক কেবল অপরাধের গল্প বলেননি, বরং মানব চেতনায় ফুটে ওঠা অন্ধকারের একটি চমৎকার চিত্র এঁকেছেন। পারলে অবশ্যই পড়ুন। নমস্কার!
অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের লেখার সাথে এর আগে আমি পরিচিত ছিলামনা। "ম্যাও" বইটির নামটি শুনে বেশ আগ্রহ অনুভব করেছিলাম, তাই কিনে চটপট পড়ে ফেলেছিলাম এই থ্রিলার উপন্যাসটি।
"অরুণা, দিয়া, সুস্মিতা, মৃত্তিকা... এই ফোর মাস্কেটিয়ার্সের সঙ্গে দুজন ফাউ ছিল প্রিয়াংশু আর তমাল। সময়ের চোরাপথে জীবনের জটিল সমীকরণে এরা নিজেদের হারিয়ে ফেলেছিল। পরিণাম ভয়ানক বীভৎস মৃত্যু! আর সেই যমদূতের সংকেত বয়ে আনত একটি বিড়ালের ডাক, ম্যাও!" গল্পের এই ট্রেলারটি পড়েই কিনে ফেলেছিলাম এই উপন্যাসটি। বইটির প্রথম পাতা থেকেই টানটান উত্তেজনা, যার ফলে বইটি শেষ না করে ওঠা খুবই কঠিন হয়�� পড়ে।
গল্পে লালবাজারের তরুণ গোয়েন্দা স্বয়ম্ভু সেন ও তার সহকারী শিবাঙ্গী বসু এই খুনের মামলায় অনুসন্ধান করতে গিয়ে এক ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। খুনি গোয়েন্দার নাকের ডগা দিয়ে খুন করে শুধু পালিয়ে যাচ্ছে তা নয়, পরের খুনের ক্লুও দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি গোয়েন্দার বাড়িতে লাশও ফেলেছে। এইটুকু পড়ে মনে হতে পারে এটা আর পাঁচটা সাধারণ গোয়েন্দা কাহিনী থেকে আলাদা কোথায়? চমকটা ঠিক ওখানেই। এই খুনের নেপথ্যে আবিষ্কৃত হয় এক নয় একাধিক মর্মান্তিক কাহিনী যা মনকে নাড়া দিয়ে যায়। সাথে প্রতিটি খুনের ভয়ঙ্কর বর্ণনা, রহস্যের "জিলাপির প্যাঁচ", মানসিক অনুভূতি লেখক অতি সরল ভাষায় সুন্দরভাবে চিত্রয়ন করেছেন।
এক কথায় বলতে গেলে সব মিলিয়ে এই থ্রিলার বা গোয়েন্দা উপন্যাসকে বেশ উপভোগ করা যায়। গল্পের টুইস্ট, সাসপেন্স পাঠককে হতাশ করবেনা। অপেক্ষায় রইলাম লেখকের কলমে স্বয়ম্ভু সেনের পরবর্তী কাহিনীগুলির।
সত্যিই বইটি শেষ করে একটা ঘোর থেকে যায়। এ গল্প যদিও লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত স্বয়ম্ভু সেন ও তার অ্যাসিস্ট্যান্ট শিবাঙ্গীর, কিন্তু কোথাও যেন case solve এর গল্পকে ছাপিয়ে যায় গল্পের পেছনের গল্প।
লেখক প্রতিটি character কে খুব detail-এ নিপুণভাবে introduce করেছেন। মনে হবে আপনি যেন তাদের চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন। এছাড়াও, ভিন্ন সম্পর্কের টানাপোড়েন, chemistry ফুটে উঠেছে এই গল্পে। গল্পের পরতে পরতে thrilling elements থাকলেও, স্বয়ম্ভু ও শিবাঙ্গীর এক কাঁচা মিঠে আমের মতো সম্পর্ক গল্পে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে। কিন্তু, কোথাও সেটা প্রয়োজনাতিরিক্ত মনে হয়নি। স্বয়ম্ভু সেনকেও একজন ছাপোষা character হিসেবে দেখানো হয়েছে, যাকে আমরা easily relate করতে পারি আমাদের আশেপাশের কোন চরিত্রের সাথে।
BookLook did a great job regarding the proof reading. Rarely, I found any spelling mistakes or typos. "ম্যাও" নামটা আমার personally খুব একটা ভালো লাগেনি initially, তবে গল্পের শেষে গিয়ে নামকরণ ও প্রচ্ছদের তাৎপর্য বা সার্থকতা বোঝা যায়। Hard binding ও page quality খুব ভাল। Font ভাল যা বইটিকে সুখপাঠ্য করে তুলতে complement করেছে।
Negative point বলতে বেশ কিছু ঘটনাবলীর সমাপতন ঘটেছে, যা কাকতালীয়। যার কিছু কিছুর explanation দেওয়া হয়েছে গল্পের পরিশেষে।
Overall, এটি একটি unputdownable book and must read (at least in my opinion).
This is one of those stories that really makes you think about the victim and the killer. This really made me reconsider everything. And I’m glad that it did. I felt like more people deserved to get reprimanded for what they did. Not through murder of course, but just something else.
This was an exceptionally well written story - with everything you could expect from a mystery/thriller book. This was way beyond my expectations and ticked every box for me. And Kept me hooked until the end.
The only downside for me was that it felt a bit too long and complex in the end. It kind of took forever for the knots to be untangled. The plot was complex. And I applaud the author for putting everything together in this way. But I got impatient at the end. Which made me give this a solid 4.
Story was good but not that good , the mystery and the plot was predictable.. and the writing style is not that good either, I didn't like the way the writer unfolded the mystery quite the hyped book, didn't get why, probably because of the title, it's cute
খুনি কে সেটা প্রকাশ পাওয়ার আগেই প্রেডিক্ট করা যায় যদি আপনি অনেক ক্রাইম থ্রিলার পড়েন যেমনটা আমি। কিন্তু তারপরও বইটা বেশ ভাল। খুনের কারনগুলো খুব হার্ড হিটিং। খুনের পদ্ধতিগুলো বীভৎস। কাহিনিতে গতি আছে। ঝরঝরে লেখনি। ভাল একটি ক্রাইম থ্রিলার। তবে সম্পাদনায় গলদ আছে।
বেশ ভালো লাগলো সয়ম্ভু কে 😊। অতীত এর কিছু ঘটনা আর বর্তমানে সেই ঘটনার রেশ ধরে হতে থাকা কিছু খুন, সয়ম্ভু সেন কিভাবে করবে সেই হতে থাকা একের পর এক খুনের কিনারা।। ম্যাও এর সাথেই বা কি সম্পর্ক? জানতে হলে অবশ্যই পড়ে নিতে হবে।
আমার রিসেন্ট ডেইজ এ পড়া সবচেয়ে সেরা বই লাগলো এটা। বইটার ওপর আমার নজর অনেকদিন ধরেই ছিল। একদিন হটাৎ করে মে মাসের তপ্ত গরমে বউ কে উপহার দিলাম। আগে সে পড়ে নিল তারপর আমাকেও বলল পড়ে নিতে তাই চটপট হাতে তুলে নিয়ে শেষ করলাম অভিষেক চট্টোপাধ্যায় এর লেখা ভোলা গোয়েন্দা এর , থুরি সয়ম্ভু সেন এর প্রথম রহস্য উপন্যাস।
প্রথমেই বলেরাখি এটি কোন রিভিউ নয়, এটি একটি পাঠ অনুভূতি মাত্র যা সবার সাথে ভাগ করে নিচ্ছি। আমি বই পড়ি বিনোদন এর জন্য ঠিক যে কারণে সিনেমা, সিরিজ দেখি। বই পড়তে পড়তে সিন গুলো কল্পনা করে নিই। আর আমার এই কল্পনাপ্রবন মনে ইন্ধন জুগিয়েছে লেখকের লেখার ধরন। কিছু সিন এর কথোপকথন এতটাই মারাত্মক ভাবে লেখক বর্ণনা করেছেন যে নিজের ই কেমন একটা পালপিটেশন হচ্ছিল। এককথায় উপন্যাস টি অনবদ্য, পেজ টার্নার, গল্পের রহস্য পাঠক কে শেষ পাতা অব্দি ধরে রাখবে।
এবার আসি গল্পের কথায়, লেখক শুরুতেই বলেছেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়া তে একটি ভিডিও দেখেন এবং সেই ভিডিও কে কেন্দ্র করে একটি গল্প বানিয়ে ফেলেন। ভিডিও টা কি সেটা জানতে হলে এই উপন্যাস শেষ করতে হবে। সিরিয়াল কিলিং নিয়ে উপন্যাস, গল্প, সিনেমা বরাবরই আমার পছন্দের বিষয় আর এই উপন্যাস ও কলকাতা শহরে ঘটে যাওয়া একটার পর একটা খুন নিয়ে। এই খুনের থেকে খুনের ধরন ও নৃশংসতা খুব অভিনব ও ভয়ঙ্কর। আর এই খুনের তদন্তে আবির্ভাব হয় বাংলার আর এক গোয়েন্দা সয়ম্ভু সেন ও তার সহিকারী শিবাঙ্গী বসু এর।
লেখক ভূমিকা তে বলেছেন সয়ম্ভু সেন বাংলা এর শত শত গোয়েন্দা দের মাঝে ভিড় বাড়ালো । কিন্তু আমি বলব এই গোয়েন্দা অনেক গোয়েন্দা কে বলে বলে গোল দেবে এবং নবাগত গোয়েন্দা দের মাঝে ধ্রুবতারা এর মত জ্বলছে। আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে লেখক সয়ম্ভু সেন এর প্রথম উপন্যাস এ তার শারীরিক গঠন এর দিকে নজর না দিয়ে চরিত্র গঠন খুব সাংঘাতিক ভাবে করেছে। যেমন আপনি বলতে পারবেন না সমম্ভু সেন এর চোখের রঙ কেমন কিন্তু তার চোখের চাউনি কেমন বিভিন্ন সিচুয়েশন এ তা অনুভব করতে পারবেন। এটাই তো চাই। যাই হোক আর একটা কথা এই গল্প পড়ে আমার মন খারাপ ও হয়েছে , কারণ টা বলা যাবে না বললে স্পয়লোর হয়ে যাবে। তবে মনখারাপ এর আর একটা কারণ ও আছে - সয়ম্ভু সেন এর আর কোনো উপন্যাস নেই 🥺, অপেক্ষায় থাকব পরবর্তী উপন্যাস এর জন্য। সর্বশেষ লেখককে কুর্নিশ এত সুন্দর একটা উপন্যাস উপহার দেওয়ার জন্য।
সবচেয়ে যে কথা টা না বললেই নয়, বুকলুক পাবলিশিং ও লেখক কে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা কম এরর যুক্ত বই এর জন্য। আজকাল অনেক পাবলিশিং এর বই হাতে নিলে অনেক বানান ও ছাপার ভুল নজর এ পরে। সেক্ষেত্রে বুকলুক অনেক ভালো কাজ করেছে।