বিজ্ঞানের জগতে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর নাম অবিস্মরণীয়। তাঁর লেখা প্রবন্ধ ও ভ্রমণসাহিত্যের উৎকর্ষও কোনো অংশে কম নয়। আচার্য বসুর দেশবিদেশ ভ্রমণের স্মৃতিকথার হৃদয়গ্রাহী একটি সংকলন এই গ্রন্থ। তাঁর সুযোগ্য সহধর্মিণী লেডি অবলা বসুর লেখা ভ্রমণকাহিনিও সংকলিত হয়েছে এখানে। বাংলা ভ্রমণসাহিত্যে বসু দম্পতির স্মরণীয় অবদান স্থায়ী রূপ পেয়েছে দেশবিদেশ ভ্রমণ গ্রন্থে।
Acharya Sir Jagadish Chandra Bose, (Bengali: আচার্য স্যর জগদীশ চন্দ্র বসু )was a Bengali polymath, physicist, biologist, botanist, archaeologist, as well as an early writer of science fiction.He pioneered the investigation of radio and microwave optics, made very significant contributions to plant science, and laid the foundations of experimental science in the Indian subcontinent. IEEE named him one of the fathers of radio science.He is also considered the father of Bengali science fiction. He also invented the crescograph. A crater on the moon has been named in his honor.
Literary Works: Abyakta (Bengali), 1922
Awards: Companion of the Order of the Indian Empire (CIE) (1903) Companion of the Order of the Star of India (CSI) (1911) Knight Bachelor (1917)
সুন্দর প্রচ্ছদ আর মেলায় হটকেকের মতন বিক্রি হওয়া দেখে ভাবলাম বইটা পড়েই দেখি। পাঞ্জেরীর সেলসম্যান তো আরও এক ধাপ সেয়ানা, বইমেলা'২৪ এ পাঞ্জেরীর সেরা বই নাকি এই বইটা।
পড়ে খুব বেশি যুতের কিছু মনে হয় নাই। আধুনিক ভাষায় জগদীশ চন্দ্র বসুর ভ্রমণ বিষয়ক হালকা পাতলা কিছু অভিজ্ঞতার ব্লগ বলা যাইতে পারে এটাকে। শেষের দিকে ছোট্ট করে অবলা বসুর একটা ভ্রমণ অভিজ্ঞতা যোগ করে দেয়া হইছে আরকি। আরও কিছু যোগ করা যেত। ৬২ পৃষ্ঠার বইয়ে শেষের মাত্র তিন পাতা উনার জন্য বরাদ্দ, জিনিসটা বড্ড বেমানান। নাকি অবলা বসু আর কিছু লিখেন ই নাই, সে বিষয়ে আমি সুনিশ্চিত না।
বইটা মোটামুটি। প্রথম দিকের গল্প গুলা পড়তে ভালোই লাগছিলো কিন্তু শেষের গুলা খুব একটা জমে নাই। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ছিল বানান ভুলের সমাহার। লেখক ছবির উল্লেখ করেছে কিন্তু ছবি দেয়া হয় নাই। লেখক কিছু কিছু জায়গায় ঐতিহাসিক কিছু চরম সত্য কথার উল্লেখ করেছেন।
সবশেষে, পাঞ্জেরি পাব্লিকেশন কাজটা ভালো করলো না, কেনার সময় গল্প দিয়েছিল 'আমাদের বেস্ট সেলিং বই'।
জগদীশচন্দ্র বসু ও তাঁর সহধর্মিণী অবলা বসুর লেখা ‘দেশবিদেশ ভ্রমণ’ একটি অসাধারণ ভ্রমণ কাহিনি, যা পাঠকদের এক ভিন্ন জগতে নিয়ে যায়। বইটি ছোট আকারের, কিন্তু এর প্রতিটি পৃষ্ঠায় ভ্রমণের আনন্দ, নতুন অভিজ্ঞতা, এবং মানবিকতার গভীরতার ছোঁয়া পাওয়া যায়। জগদীশচন্দ্র বসু, যিনি বিজ্ঞানী হিসেবে বিশ্ববিখ্যাত, তাঁর ভ্রমণ অভিজ্ঞতাগুলি পাঠকের মনে কৌতূহল জাগিয়ে তোলে।
বইটিতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে লেখকের পরিচয়ের গল্প উঠে এসেছে। কোথাও রয়েছে ভ্রমণের আনন্দময় মুহূর্ত, আবার কোথাও প্রকৃতির সৌন্দর্যের বর্ণনা। এর পাশাপাশি রয়েছে তাঁদের ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ ও জীবনদর্শন, যা বইটিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। লেখার ভাষা সরল ও প্রাণবন্ত, যা সহজেই পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম।
ছোটবেলায় গাছের প্রতি আমার নিষ্ঠুর আচরণ যখন মজা বলে মনে হতো, তখনই হয়তো প্রকৃতির প্রতি অদ্ভুত এক টান অনুভব করতাম। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণার মাধ্যমে যখন জানতে পারি যে গাছের প্রাণ আছে, তখন থেকেই প্রকৃতি ও গাছের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়।
বইটির সবচেয়ে ভালো দিক হলো এর বর্ণনা। সরল, প্রাণবন্ত এবং মজাদার লেখার ধরন বইটি পড়ার অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলেছে। তবে বানানের ক্ষেত্রে সামান্য অসাবধানতা ছিল, যা হয়তো পরবর্তীতে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর কোন লেখা আগে পড়া হয়নি , অনেক বছর আগে লেখা ভ্রমন কাহিনি , পড়তে কিছুতা অদ্ভুত লাগছিল , ভ্রমনের সাথে সাথে প্রতিটি স্থানের ইতিহাস , ঐতিহ্য , সংস্কৃতি ইত্যাদি নিয়েও গুছিয়ে বলেছেন । ভ্রমনের বর্ণনা কিছুটা ইম্পার্সোনাল , কোথায় কোথায় দর্শনিও কি কি দেখলেন , দেখে কেমন লাগলো এগুলো সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন । প্রায় ১০০ বছর আগের লেখা গুলি পড়ে অতিতের অনেক কিছু আগে কেমন ছিল আর এখন কেমন টা ভাবছিলাম , লেখকের ইংল্যান্ড নিয়ে রোমানটিসিম চোখে পড়েছে , ব্রিটিশ দের কালচার এবং ইতিহাস নিয়ে অনেক ফ্যাসিনেটেড ছিলেন বোঝা যায় , মুলত তিন টা দেশের ভ্রমনের স্মৃতি আছে এখানে , ইন্ডিয়া , ইতালি আর ইংল্যান্ড । বইয়ের কোরাইটার হিসেবে অবলা দেবীর নাম থাকলেও বইয়ে তার লেখা মাত্র একটা , একদম শেষে , বাকি শবগুলো লেখা জগদীশ চন্দ্র বসুর । শুরুতে রবীন্দ্রনাথ থাকুরের একটা চিঠি আছে যা তিনি আচার্যের ভ্রমনের জন্য ফান্ড কালেকশনের জন্য এক রাজা কে লিখেছিলেন , সেটাও বেশ ইন্টারেস্টিং । কিন্তু লেখায় ছবির উল্লেখ থাকলেও বইয়ে কোন ছবি যুক্ত করা হয়নি ।
ওভারল খারাপ লাগেনি , ছোট্ট বই , দ্রুত শেষ করে ফেলা সম্ভব ।
শুরুটা হয়েছিল দারুণ কিন্তু মাঝে ও শেষে তেমন জমে নি। ইতিহাস বিষয়য়ে কিছু একপাক্ষিক ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য আছে। এটা মূলত ভ্রমণ ব্লগের মতো লেগেছে। 150 টাকা দিয়ে এই বই কেনার খুব একটা যৌক্তিকতা নেই।