Sukumar Ray (Bangla: সুকুমার রায়) was a Bengali humorous poet, story writer and playwright. As perhaps the most famous Indian practitioner of literary nonsense, he is often compared to Lewis Carroll.
His works such as the collection of poems Aboltabol (Bengali: আবোলতাবোল), novella HaJaBaRaLa (Bengali: হযবরল), short story collection Pagla Dashu (Bengali: পাগলা দাশু) and play Chalachittachanchari (Bengali: চলচিত্তচঞ্চরী) are considered nonsense masterpieces equal in stature to Alice in Wonderland, and are regarded as some of the greatest treasures of Bengali literature. More than 80 years after his death, Ray remains one of the most popular of children's writers in both West Bengal and Bangladesh.
এ বই গুলো (বইগুলো বলতে সুকুমার, উপেন্দ্রকিশোর, লীলা মজুমদারের বই, ছোট গল্পের কথা বলছি) এমন যে, পড়ে দেখি তো বলে হাতে নিয়ে দু-চারটা গল্প পড়লে সেরম মজা লাগবে না। কিম্বা লাগতেও পারে!
কিন্তু ছোটবেলায় স্কুল থেকে ফিরে বেলা বারোটায় গোসল সেরে কিছুমিছু খেয়ে ঢাউস বইটা হতে নিয়ে বিছানায় উঠে যাবার যে স্মৃতি, সাথে বাইরে চনচনে রোদ আর মা রান্নাঘরে মাছ ভাজছে, সেটার ছ্যাঁৎ-ছুঁৎ শব্দ আর এদিকে দাশুর কীর্তি...ঘুমন্ত মাস্টার মশাইয়ের টেবিল তলে মিহিদানার (আজকালের বুন্দিয়া) হাঁড়িতে চীনেপটকা ফুটিয়ে দাশুর ক্ষেপামী কিম্বা যতিনের জুতোর কেচ্ছা পড়তে যেই ভালো লাগা কাজ করতো.... বড় হবার পর ঠিক সেইরকম মজাটা পাওয়া যায় না হয়তো।
এটার কারণ হতে পারে, এখন আমাদের পড়ার লিস্ট অনেক বড়। পড়তে চাই বইগুলোকে পড়া হয়ে গেছে লিস্টে ঢুকাবার জন্য আমরা নিই, পড়ি, হয়তো একটু বুঁদে যাই.... তারপর আরেকটা বই নিই। আগেরটা পড়া শেষে সেটা আর ধরিনা বেশিরভাগ সময়ই। ঝেড়ে মুছে উঠিয়ে রাখি বইয়ের তাকে। আর তা না করেই বা কি করা যাবে! এতো ভালো ভালো সব বই, এইটুকু জীবন.... একবার হলেও তো পড়া চাই!
কিন্তু উপেন্দ্র, সুকুমার বইগুলো এমন যে বারবার পড়লে যেনো মজাটা আরো বাড়ে। ছোটবেলায় যখন আমাদের খুউব অল্প কিছু বই থাকে, এসব বই পড়বার মোক্ষম সময় সেটাই। যদিও এটা আমার চিন্তা, আদতে কোনো বই পড়বার মোক্ষম সময় বলতে কিছু নেই। কিন্তু তার পরেও, যাদের ছোটবেলায় মিস হয়ে গেছে কিছু তো করার নেই.... কিন্তু ছোট ভাই-বোন, ভাই-বোনের ছোট বাচ্চা-কাচ্চা, কিম্বা নিজের বাচ্চা থাকলে তার হাতে তুলে দিতে দেরী করা খুব অনুচিত হবে। ছোটবেলাটা সুন্দর করতে এ বইগুলোর জু়ড়ি নেই!
মনে করুন~~~~(না করলেও চলবে, কারণ এটাই আপনার বাস্তবতা!!!)
আপনি এক কাঠখোট্টা,রসকষহীন,রঙহীন,কল্পনাহীন,আনন্দহীন এক বাস্তব পৃথিবীর বাসিন্দা৷আহার থেকে নিদ্রা-আপনি রীতিমতো নীতিগল্পের খরগোশের মতো ছোটাছুটি করেন,'অবসর'শব্দটি অন্তত আপনার অভিধানে নেই৷জীবনের প্রতি পদক্ষেপে বড্ড হোঁচট খান,দিনশেষে আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবির দিকে তাকালে একরাশ ক্লান্তি-অবসাদ আর হতাশা ছাড়া কিছুই খুঁজে পান না৷আপনি হৃদয় নিংড়ে কাঁদতে চান, কিন্তু চোখে আপনি শত চেষ্টা করেও অশ্রু আনতে পারেন না৷আপনার মস্তিষ্ক যেন একদম ফাঁপা কোন অর্গানের মতো,কিছুই ভাবতে পারেন না৷ আপনি এই যান্ত্রিক একাকীত্বের জগত ছেড়ে পালিয়ে আসতে চান,তাই কখনো কখনো আপনার মনে হয় যে,আপনি আত্মহননের পথে হাঁটবেন............
চলেন! আপনাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাই...... আহা,চটে যাবেন না!আপনাকে গুম করে কোন অন্ধকার,নিকৃষ্ট,গলাপঁচা স্থানে নিয়ে যাবো না৷বরং নিয়ে যাবো এক মজার রূপকথার দুনিয়ায়......
সেই দুনিয়াটা অনেক বেশি সুন্দর,কল্পনার জাদুছোঁয়ায় উজ্জ্বল রঙ্গিন৷কিন্তু বড্ড অদ্ভুতুড়ে আর হাস্যরসে ভরপুর৷ যত রকমের উল্টাপাল্টা,আষাঢ়ে কাণ্ড ঘটে ওখানে৷কিছুক্ষণ পর পর আপনার ভ্রু কুঁচকানো এবং ঘন ঘন অজ্ঞান হওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকবে না। কিন্তু?আপনার মনটা একদম ফুরফুরে হয়ে যাবে!ভুলেই যাবেন যে আপনি একদিন নিজেকে ঘৃণাভরে তিরস্কার করতেন,মেরে ফেলতে চাইতেন........ সেই অনবদ্য,অসাধারণ, অনন্য মায়াময় রূপকথার রাজ্যের স্রষ্টা এবং সম্রাট হলেন একজনই— সুকুমার রায়....
আমি বোধহয় ক্লাস ১ এ পেয়েছিলাম সুকুমার সমগ্র – বেশ একটা বড়োসড়ো চৌকমতো লাল টকটকে বই , তার ওপরে আবার একটা বেশ প্রসন্নচিত্ত বেড়ালের ছবি (যেটা যে হঠাৎকরে আবার রুমাল হয়ে যায়না সেটাই বাঁচোয়া ) . আমি ছোটবেলায় আবার একেবারেই পড়ুয়া ছেলে ছিলাম না – বল পিটিয়ে, রোদ্দুরে ঘুরে, প্রতিবেশীদের কুল জামরুল চুরি করে কি আর বই পড়ার সময় হয় ? আর আমাদের আসানসোলে বল পেটানোর মাঠ বলুন, বা চুরি করার কুল জামরুল গাছ আর মাথা ঝাঁ ঝাঁ করার রোদ্দুর, কোনোটার-ই অভাব ছিল না। …
বছর দুই, ধরে নিন, বইটি পড়েই ছিল। বড়োজোর পাড়ার আবৃত্তি কম্পেটিশনের জন্য বাবুরাম সাপুড়ে বা সৎপাত্র, ঐটুকুই।
তারপর ক্লাস ৩ তে হলো জন্ডিস। তাও আবার গ্রীষ্মকালের মাঝখানে। ধুম জ্বর, শরীর জুড়ে ব্যাথা, আর তার ওপর আসানসোল-ময় লু-বওয়া গরম। আমাদের আসানসোল-এ কলকাতার মতন প্যাচপ্যাচে ছিঁচকে বিচ্ছিরি গরম হয় না – এ হলো বলিষ্ঠ, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, হলকা-দেয়া গরম। চ্যালেঞ্জ-দেয়া গরম – খেলতে নামবি ? নাম, সাহস থাকে তো।
জন্ডিস হয়েছে , খেলার কোনো কথাই নেই। প্রায়-নতুন সুকুমার সমগ্র তুলে নেয়া হলো, আর ব্যাস, বলতে বলতেই কেটে গেলো দুই মাস. বিছানায় পড়েছিলাম খেলোয়াড় হয়ে, বিছানা থেকে উঠতে উঠতে পড়ুয়া হয়ে গেলাম (যদিও বল পেটানো অব্যাহত থাকলো তারপরেও – তবে সেও তো এখনো চলছে) .
আবোল তাবোল, হ য ব র ল, হেশোরাম হুঁশিয়ার, লক্ষণের শক্তিশেল, অবাক জলপান-তো সবারই মনে আছে – আমি বলতে চাই জীবনী, আর জীবজন্তু নিয়ে দুটি অধ্যায় ছিল, সেগুলো নিয়ে। মনে আছে আপনাদের ? ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল, ডেভিড লিভিংস্টোন, কলম্বাস, জোয়ান, গ্যালিলিও? বইতে সুকুমার রায়ের চিত্রিত গ্লাটনের ছবি, ম্যানড্রিল বানরের ছবি । আরো কত কিছু !
কী অসাধারণ, কী অসাধারণ। এরপরেও ইতিহাস ভূগোলের ওপর আগ্রহ থাকবে না? তা সে যতই চেষ্টা করুক সিলেবাসের ঘুমপাড়ানি পুস্তক সমূহ ? নতুন কোনো শহরে যখনই যাই, সেখানকার জাদুঘরখানি দেখতে ভুলি না এখনো। সকালের প্রাতঃভ্রমণের নিত্যসঙ্গী History of India Podcast. আর এখনো সময় পেলেই জঙ্গল ভ্রমণ। গ্লাটন, ম্যানড্রিল বানর দেখার সুযোগ হয়নি এখনও – কিন্তু আশা রাখি, পেয়ে যাবো বাকি দু’আনা।
আমার খুবই প্রিয় একজন লেখক।তার লিখা কবিতা,ছড়া,আঁকিঝুকি সবই আমাকে খুব সুখ দেয়।মন খারাপের সময়গুলাতে প্যারাসিটামল হিসেবে কাজ করে তার কবিতা আর ছড়াগুলা।বাল্যকাল বৃথা বলে গন্য হত যদিনা আমি তার রচনা ছড়া না পরতাম।
তার কবিতা ছড়া আমি কখনো মনে মনে পড়তে পারিনা।মা পাশের রুম থেকে বকা দেয় যত আমার করিতা বলার আওয়াজ বেরে যায় তত।আর আওয়াজের সাথে থাথে আনন্দের হিমেল হাওয়া বইতে থাকে।
সত্যি বলতে,লু হাওয়ার মরুভূমিতে তৃষ্ণার্ত বেদুঈন পানি দেখে যে সুখ আর তৃপ্তি আনুভব করে, আমি তার বইতে ঠিক সেই স্বাদ উপলব্ধি করি।আমার শান্তির খোরাক।।
সবাইকে আমার অনুরোধ থাকবে। বাসায় পরিচিত ছোট বাচ্চা থাকলে তাদের শৈশবটা মধুময় করে তুলতে এই বইটি হাতে তুলে দিন।।
ছোটবেলার সবচেয়ে প্রিয় বই। মন প্রাণ ঢেলে ভালবেসেছি। প্রত্যেকদিন পড়তাম। পড়ার ঠেলায় বইটার মলাটের অবস্থা এখন শোচনীয় হলেও, একবার খুললেই কী যে আনন্দ! এখনও! বাংলা সাহিত্যের অমূল্য রত্নের মধ্যে একটি। ❤️ সুকুমার রায় এবং সত্যজিৎ রায়ের লেখা যখনই দেখি একটা কথাই মনে হয়: আহা কি পড়িলাম, জন্মজন্মান্তরে ভুলিব না।
বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায় (১৮৮৭-১৯২৩) একাধিক গুণের অধিকারী ছিলেন। অল্প বয়স থেকেই মুখে মুখে ছড়া রচনা ও ছবি আঁকার সঙ্গে ফটোগ্রাফি চর্চা করতেন তিনি। শিশুকাল থেকে আমরা তাঁর রচিত ছড়া ও গল্পের সাথে পরিচিত।
গত বেশ কয়েক মাস ধরেই পড়ছিলাম বইটি আর ফিরে যাচ্ছিলাম শৈশবের দিনগুলোতে। পাগলা দাশুর পাগলামিতে হেসেছি। সাথে বোনাস হিসেবে ছিল কিছু পৌরাণিক কাহিনী। বাচ্চারা পড়ে যেটুকু মজা পাবে, সেই মজা এখন হয়তো পাইনি আমি। তবে বইটি পড়া শেষে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট ।
যাদের ছোট বাচ্চা আছে কিংবা যারা বাবা-মা হতে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে বাচ্চাদেরকে গেমস খেলা কিংবা কার্টুন দেখানোর পাশাপাশি সুকুমার রায়ের লেখার সাথে পরিচয় করিয়ে দিন। শিশুকাল থেকে পড়ার অভ্যাস তৈরি হওয়া খুব জরুরি। বড়দেরকেও বইটি পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। ধন্যবাদ :)
শুনেছো কি ব'লে গেল সীতানাথ বন্দ্যো? আকাশের গায়ে নাকি টকটক গন্ধ? টকটক থাকে নাকো হ'লে পরে বৃষ্টি- তখন দেখেছি চেটে একেবারে মিষ্টি।
এই ছন্দে হাসতে হাসতে ছোটবেলা পার করে বড়বেলায় ঢুকে যাচ্ছি, কিন্তু হাসি-তা চলতেই থাকুক।
এ পৃথিবীর কান্না কান্না ভাব জড়ানো যা কিছু আছে- সব দূর হয়ে যাক সুকুমারে। ছন্দে আর অট্টহাস্যে সুখী হয়ে যাক সব মানুষ। পাগলা দাশুরা তাদের খ্যাপামো চালিয়ে যাক, আর হাসতে হাসতে মরুক মানুষ!