রিকার্ডো মুখে আরেকটা বড় রোস্ট বীফের টুকরো ঢুকিয়ে খুব তৃপ্তির সাথে চিবুতে চিবুতে গলা নামিয়ে বলল, "হ্যা। তোমাদের মতো মানুষ। যাদের অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, যারা অসম্ভব সৃজনশীল, যাদের উচ্চাকাঙ্খার কোনো সীমা পরিসীমা নেই। কিন্তু যাদের ভেতর কোনো মানবতা নেই তাদেরকে কেউ থামিয়ে রাখতে। কারণ তাদের ভেতর বিবেক বলে কিছু নেই। তারা বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ ছাড়া যে কোনো ধরণের অন্যায় করতে পারে ! তুমি হচ্ছ সেরকম একজন মানুষ।
লিডিয়া স্থির চোখে রিকার্ডোর দিকে তাকিয়ে রইল, এর আগে কেউ তাকে এতো সোজাসুজি এই কথাগুলো বলেনি। রিকার্ডো হাসার মত ভঙ্গী করে বলল, "তুমি যদি এপ্সিলনের কোর টিমে যোগ দাও তাহলে হয়তো তুমি বেচে যাবে, কারণ আমরা তোমাকে নিরাপত্তা দেব। যদি যোগ না দাও আজ হোক কাল হোক তুমি কোনো একটা ভুল করবে, ধরা পড়বে, তারপর বাকি জীবণটা জেলখানায় কাটিয়ে দেবে। "
Muhammed Zafar Iqbal (Bengali: মুহম্মদ জাফর ইকবাল) is one of the most famous Bangladeshi author of Science-Fiction and Children's Literature ever to grace the Bengali literary community since the country's independence in 1971. He is a professor of Computer Science & Engineering at Shahjalal University of Science and Technology (SUST). Before that, Iqbal worked as a research scientist in Bell Communication Research for six years until 1994.
Birth and Family Background: Iqbal was born on 23 December 1952 in Sylhet. His father, Foyzur Rahman Ahmed, was a police officer. In his childhood, he traveled various part of Bangladesh, because of his father's transferring job. Zafar Iqbal was encouraged by his father for writing at an early life. He wrote his first science fiction work at the age of seven. On 5 May 1971, during the liberation war of Bangladesh, the Pakistan's invading army captured his father and killed him brutally in the bank of a river.
Education: Iqbal passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1968 and HSC exam from Dhaka College in 1970. He earned his BSc in Physics from Dhaka University in 1976. In the same year Iqbal went to University of Washington to obtain his PhD and earned the degree in 1982.
Personal Life: Iqbal married Dr. Yasmeen Haque in 1978. Yasmeen is the Dean of the Life Science Department, Head of the Physics Department, Provost of the Shohid Janoni Jahanara Imam Hall and a researcher at SUST. They have two children - son Nabil and daughter Yeshim. Yeshim translated the book Amar Bondhu Rashed (Rashed, My Friend) written by her father. Iqbal's elder brother, Humayun Ahmed, was the most popular author and film-maker of Bangladesh since its independence. Humayun died after a nine-month struggle against colorectal cancer on the 19 July 2012. His younger brother, Ahsan Habib, is the editor of the satirical magazine, Unmad and one of the most reknowned cartoonist of Bangladesh.
Academic Career: After obtaining PhD degree, Iqbal worked as a post-doctoral researcher at California Institute of Technology (CalTech) from 1983 to 1988. He then joined Bell Communications Research (Bellcore), a separate corporation from the Bell Labs (now Telcordia Technologies), as a Research Scientist. He left the institute in 1994 and joined the faculty of the Department of CSE of SUST.
Literary career: Iqbal started writing stories from a very early age. Iqbal wrote his first short story at the age of seven. While studying in the Dhaka University Iqbal's story Copotronic Bhalobasa was published in a local magazine. But, a number of readers at that time felt that the story was based on a foreign story. To answer this allegation, he later rewrote the story and published the story in collection of stories named Copotronic Sukh Dukkho. Since then he is the most popular writer both in Bengali Science-Fiction and in Juvenile Leterature of the country.
Other Activities and Awards: Zafar Iqbal won the Bangla Academy Award, the highest award in literature in Bangladesh, in 2004. Iqbal also played a leading role in founding Bangladesh Mathematical Olympiad. In 2011 he won Rotary SEED Award for his contribution in field of education.
কথায় আছে 'প্রথমে দর্শনধারী তারপর গুন বিচারী।'সেদিক দিয়ে যে কেউ প্রথমেই হাতে এই বইটা তুলে নিতে বাধ্য এর কভার দেখে। অনেকদিন পর আমি কোন বইয়ের কভার দেখে মুগ্ধ হয়েছি, পড়তে গিয়ে একটু পর পর বই বন্ধ করে কভারে হাত বুলিয়েছি। আমি 'কভার পছন্দ হলো তাই কিনে ফেললাম' টাইপ পাঠক মোটেও না কিন্তু এমনটা আমার সাথে অনেকবার হয়েছে যে বহুদিন ধরে একটা বই খুঁজছি কিন্তু পাচ্ছিনা, অবশেষে একখানে পাবার পরো তার প্রচ্ছদ পছন্দ না হওয়ায় আর কিনিনি।এনিম্যান এর কভারে ব্যবহৃত রঙ গুলো এতো আকর্ষণীয় যে পড়া শেষ হয়ে যাবার পরো হাত থেকে বই নামিয়ে রাখতে ইচ্ছা করেনি। এবার আসি ভিতরের কথায়। শুরুটা যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং ছিল। বেশ নড়েচড়ে বসেছিলাম কিন্তু মাঝখানে গিয়ে মনে হল কাহিনি বেশ চেনা চেনা। তার মানে এই না যে কোন বিদেশী বই বা মুভি থেকে মেরে দেওয়া কিন্তু মনে হচ্ছে খোদ জাফর ইকবাল স্যারের হাত দিয়েই একই প্লটে এইরকম বহু লেখা পড়েছি। বইয়ের নাম থেকেই আন্দাজ করে নেওয়া জায় অ্যানিম্যাল আর ম্যান এর শংকর কিছু একটা নিয়ে পুরো গল্পটা লেখা। বেশি কিছু রিভিউয়ে লেখা জাচ্ছে না কারন স্পয়লার হিসাবে তাহলে সব প্রকাশ হয়ে যাবে। গল্পের ক্লাইম্যাক্সে কি হবে তা খুবই প্রেডিকটেবল এবং শেষটা যথেষ্ট ইমশনালহলেও আমার মনে তেমন দাগ কাটতে পারেনি সম্ভবত এই কারণে যে আমি এর থেকে আরও অনেক বেশি কিছু স্যারের কলম থেকে আশা করেছিলাম এবং আমি জানি সেটা দেবার ক্ষমতা ওনার আছে। তারপরও বলবো কিছু কিছু জিনিস পড়ে মুগ্ধ হতে হয়েছে। মানুষের চরিত্রের এতো কঠিন দিকটা কিভাবে এতো কম কথায় লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন তা তিনিই জানেন। লিডিয়া নামের চরিত্রটির চিন্তাধারা ভাবলে গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়। সে যে আসলে রক্ত মাংসের মানুষ সেটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।একজন মানুষের মাথা থেকে এতো ভয়ঙ্কর রকমের চিন্তা- বুদ্ধি কিভাবে আসে?আমি খুব আশা করে ছিলাম যে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে নিশ্চয়ই সে কোন যন্ত্র মানুব বা এই টাইপের কিছু।আর বইয়ে এনিম্যানের হাসি নিয়ে যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে ভাব্লে মনটা খারাপ হয়ে যায়।মানুষের হাসি সবসময় আনন্দ না, মাঝে মাঝে আতংকও ছড়ায় তা বইটার ক্লাইম্যাক্স এর জায়গাটা পড়লে ভালমতো বোঝা যায়। বইয়ের একটা কথা খুবই পছন্দ হয়েছে,'লিডিয়া ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ভাবলো, কি অর্থহীন একটা কথা- শুভ রাত্রি। একজনের শুভ রাত্রির জন্যে কাউকে না কাউকে কোথাও না কোথাও অশুভ রাত্রি পেতে হয়! ভয়ংকর নিরানন্দ রাত্রি পেতে হয়।' এক্সপেকটেশনের দিক দিয়ে বইটা উতরে যেতে না পারলেও ফেলে দেবার মতোউ নয় একদম।শুধু আমার মতো জাফর ইকবাল স্যারের ডিপ ডার্ক সাই ফাই ভক্ত পাঠকদের অপেক্ষা একটু বাড়ালো এই আর কি।
বইটা কয়েকটা কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। প্রথমেই যেটা বলতে হয়, কনসেপ্ট। কনসেপ্টটা স্বকীয় মনে হয়েছে। এরকম কনসেপ্টের কিছু আগে কোনো বইতে পড়িনি, কোনো মুভিতেও দেখিনি। কাহিনীর বিল্ডআপও খুব ভালো হয়েছে।
একদিকে মানবশিশু ক্লোনিং করে এনিম্যান বানিয়ে সেটা বাজারজাত করার মধ্য দিয়ে যে ঘৃণ্য মানসিকতা দেখানো হয়েছে, বিপরীতেই কিন্তু আবার তিষা, টুইটি, তিষার এনিম্যানের মধ্য দিয়ে মানবিকতা, ভালোবাসার বিষয়টিও দেখানো হয়েছে।
জাফর ইকবাল স্যার কি আগের মত করে লিখতে ভুলে গেছেন? নাকি আমিই বড় হয়ে তাঁর পাঠকের পরিধি থেকে বেড়িয়ে পড়েছি? কিন্তু হাত কাটা রবিন, আমার বন্ধু রাশেদ, অবনীল বইগুলো তো এখনো আমার ভীষণ প্রিয়।
প্রচ্ছদ বেশ নজরকাড়া। কাহিনী বেশ প্রেডিক্টেবল হলেও একটা চমক আমাকে ঠিকই দিতে পেরেছে।
সব মিলিয়ে খুব ভাল না হলেও খুব খারাপও নয়। বড়দের চেয়ে টিনেজারদের বেশি ভাল লাগবে আমার মতে।
আমার মনে হয় ২০১৪ সালে বের হওয়া স্যারের এটাই সেরা বই। প্রচ্ছদটা অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে। এনিম্যান নামটা শুনে আপনি যা কল্পনা করবেন তাই পাবেন বইটাতে। :) যদিও এই বইটাও বেশ ছোট। আউট অফ দা বক্স কিছু নাই। প্লট আর স্টোরিলাইনও প্রেডিক্টেবল। কি হবে তা আগেই বোঝা যাচ্ছিল। তবুও ভাল লেগেছে বইটা। তবে এর থেকে অনেক ভাল সাইন্স ফিকশন আছে স্যারের।
একবসায় শেষ করা যায়। এক্সপেক্টেশনের থেকে ভাল। জাফর স্যারের কাছ থেকে এখন ভাল কোন সাহিত্য এক্সপেক্ট করি না। বইয়ের চিপায় লেখা সায়েন্স ফিকশন, যদিও এইটা মোটেও সায়েন্স ফিকশন না, থ্রিলার থ্রিলার লাগে। আর এইধরনের গল্প স্যার আগেও লিখেছেন, একইধরনের প্লট।
বইয়ের শুরুতে সাইকোপ্যাথ নিয়ে বর্ণনাটা খুবই ভাল ছিল। তাদের কাজকর্মও আসলেই সাইকোপ্যাথির লক্ষণ নির্দেশ করে। কিন্তু মাঝে একটু বেশি বেশি লেগেছে। বইয়ের মাঝামাঝি ঘটনাগুলি মোটামুটি আট দশবার আগের অন্যান্য বইয়ে স্যার ঘটিয়ে ফেলেছেন, নতুন কিছু নাই। শেষ দিকে যেই কারণে বইটা চোখে আটকে যায় তার একটা হল কনক্লুশন (অসাধারণ, কিছুটা সীমাবদ্ধ), আরেকটা হল হঠাত নিজের প্রচলিত ধরনের উল্টাদিকে গিয়ে রোমান্স না টেনে আনা। না টেনে আনা বললে ভুল হবে, রোমান্সকে সচেতনে প্রত্যাখ্যান করা। এইটা কি হাল ফেশানের প্রভাব? রোমান্স-লেস সুয়্যাগ? রোমান্স টেনে আনলে বইটা হয়ত গতানুগতিক নীরস হত, কিন্তু না টেনে তিনি আরেকটা বিপদে ফেলেছেন। কেন রোমান্টিক ভালবাসার থেকে মানবিক ভালবাসাকে কিছুটা উপরে স্থান দেওয়া হল আমি বুঝি নাই। মানে, ভালবাসাকে এইভাবে আলাদা করে র্যাংক না করলে মানবিকতাকে বুঝাতে সমস্যা হত কিনা জানা নাই। এইখানে মানবিকতা নিয়ে যে বিপুল পরিমাণ অপটিমিজম আছে সেইটার ঠেলা সামলাতেই তো বরাবরের মত দাঁত ভেংগে যায়, আলাদা করে তো আর ওটুকু বলার দরকার ছিল না। অথবা বিষয়টা ব্যক্তিগত অবসেশনের কারণেও প্রকট লাগতে পারে।
অপারেশনের আগের দিন হসপিটালের বেডে শুয়ে জাফর স্যারের "এনিম্যান" পড়েছিলাম। বইয়ের শুরুতে "এনিম্যান" আর "তিষা" (বাংলাদেশী মেয়ে) শব্দ দুটো ���বিষ্কার করেছি, তখনই আমি জানি বাকি বইয়ে কি ঘটবে। শুধু আমি নই, আমার ধারণা যারা নিয়মিত জাফর স্যার পড়েন সবাই ধরতে পারবেন বা পেরেছিলেন কি ঘটতে যাচ্ছে। এটা জানার পরও বাকিটা পড়তে একটা অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করেছে। এটা শুধু জাফর স্যারের পক্ষেই সম্ভব। ভালবাসা, ভালোলাগা, ভাল থাকা, ভাল রাখা এবং ভাল হওয়ার জন্য যে মানুষটির এতটা পক্ষপাতিত্ব তাঁর লেখা ভাল না লাগার কোনো কারণ থাকতে পারেনা।
অনেকদিন পরে জাফর ইকবাল স্যারের একটা মনের মতন বই পড়লাম । যদিও কাহিনীর কিছু অংশ " যেমন বড় কর্পোরেশনের আফ্রিকা বা এশিয়ার গরীব মায়েদের গর্ভ ব্যবহার করে নতুন কোন প্রানী সৃষ্টি করা", " ভিলেনদের গল্পের মূল চরিত্রদের ঘরে আটকে রাখা আর সেইখান থেকে তাদের হঠাৎ উদ্ধার পেয়ে গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া" এইসব প্লটের উপর ওনার আরো কিছু বই আছে কিন্তু তারপরেও এই বইটা ইউনিকই ছিল বলা চলে..
আহা! আগে যখন ছোট ছিলাম তখন এতোকিছু বুঝতামও না, তাই এইসব হাবিজাবি ধরতেও পারতাম না। তখন মনের আনন্দে এইসব গিলতে পারতাম । বড় হয়েই যত ভেজাল হয়ে গেল :D
এনিমে লাভার আমি। একটু বেশীই মনে হয় এনিমে দেখি। তাই বই এর নাম আর প্রচ্ছদ দেখে খুশি হয়ে গিয়েছিলাম এনিমে রিলেটেড কোন গল্প পেতে যাচ্ছি বলে। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি। নামে করনের কারন ভিন্ন।
গল্পটা মূলত দুইজন মেয়েকে ঘিরে এগিয়েছে। আমেরিকান মেয়ে লিডিয়া, যার কিনা অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, যার অসম্ভব সৃজনশীলতা, যার উচ্চাকাঙ্খার কোনো সীমা পরিসীমা নেই। কিন্তু তার ভেতর কোনো মানবতা নেই, তাকে কেউ থামিয়ে রাখতে পারে না। কারণ তার ভেতর বিবেক বলে কিছু নেই। সে বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ ছাড়া যে কোনো ধরণের অন্যায় করতে পারে।
অন্য দিকে আরেকজন হল তিষা, বাংগালি মেয়ে। আমেরিকায় বাবা মায়ের সাথে থাকা। খুব শান্ত আর নম্র স্বভাবের মেয়ে।
দুই মেরুর দুই মেয়ে, যাদের দেখা হবার কোন সম্ভাবনাও নেই কিভাবে দেখা হল তাঁদের? কি ঘটবে তাঁদের সাথে?
পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ টিপিকাল জাফর ইকবাল এর কল্পকাহিনী। কাহিনী পড়ে অনেক আগে থেকেই বলে দেওয়া যায় এর পরে কি ঘটবে।
A psychopath woman of a certain powerful organization proposed an idea about creating a kind of pet named এনিম্যান using human babies which later got approved by the head of that organization. A teenage girl named তিষা got one এনিম্যান after losing her beloved dog in an accident. However, she noticed the strange behavior of her pet and how similar it was to a human baby. তিষা and her friend জন discovered the truth behind এনিম্যান. The organization found out about their knowledge. What will happen to them now?
It was an okay read. The cover is eye-catching. But the whole plot could've been better than the same monotonous sci-fi plot of মুহম্মদ জাফর ইকবাল usuals.
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মিশেলে অসাধারণ এক কাহিনী। মানুষের সাথে রোবোটের পার্থক্য যে জায়গায় তা হলো তার বিবেক, আবেগ-অনুভূতি আর তার প্রকাশ। যখন তা বাধাপ্রাপ্ত হয় আর বিকৃত হয় তখন কি হতে পারে তারই মানবিক এক বর্ণনা।❤ । । সব ভালো লাগলেও একটা কুকুর কিভাবে আইসবার্গের নিচে থেকে কাউকে বাঁচাতে পারে আমার কাছে রূপকথা লেগেছে!
প্রবাসে একাকীত্বে হাঁপিয়ে ওঠা কিশোরী তিষার জীবনে এক দন্ড শান্তি নিয়ে এসেছিল টুইটি! কিন্তু তিষাকে বাঁচাতে গিয়ে এক দুর্ঘটনায় যখন টুইটি হারিয়ে যায় তখন ভীষণ ভেঙ্গে পড়ে তিষা। তিষাকে প্রাণশক্তি ফিরিয়ে দিতে তিষার স্কুলের বন্ধুরা তার জন্য হাজির করে নতুন একটা পোষা প্রাণী – এনিম্যান। জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে বৈজ্ঞানিক ল্যাবে তৈরি এই প্রাণী দেখতে কুকুরের মতো হলেও চেহারার মানুষ-মানুষ একটা ভাব, সহজেই নতুন জিনিস আত্মস্থ করার প্রবৃত্তি আর হাসার ক্ষমতা এনিম্যানকে দিয়েছে পোষা প্রাণী হিসেবে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। একইসাথে ক্ষমতা বেড়েছে এই প্রাণীর উদ্ভাবক লিডিয়ার-ও। কিন্তু আস্তে আস্তে তিষা বুঝতে পারে মিশকা মানে তার এনিম্যানের মাঝে আছে বিশাল কিছু একটা গোলমাল। এই গোলমাল নিয়ে নাড়াচাড়া দিলে নড়চড়ে ওঠে লিডিয়া-ও। লিডিয়ায় আছে ক্ষমতার জন্য ভয়ংকর চাহিদা আর তিষার আছে অন্যকে ভালোবাসার পাগলাটে প্রবৃত্তি। লিডিয়াকে সহায়তা দেয়ার জন্য আছে “এপসিলন”। আর তিষাকে আগলে রাখার জন্য আছে স্নেহার্দ্র হৃদয়ের অধিকারী আরেক কিশোর, তিষার সহপাঠী জন। জন কম্পিউটারের জিনিয়াস; জন গাড়ি চালানোয় ভয়ংকর দক্ষ; জন “কানে শোনে না”। ক্ষমতাধর এপসিলন আর পাষণ্ড লিডিয়ার সাথে ক্ষমতা বনাম ভালোবাসার লড়াইয়ে কি জিততে পারবে তিষা-জন? মুহম্মদ জাফর ইকবালের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বৈজ্ঞানিক মারপ্যাঁচ কম – আবেগের কপচপানি বেশি নীতিতে চলে- এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বৈজ্ঞানিক মারপ্যাঁচ কম বলে গল্প খুব সহজেই পড়ে শেষ করার মতো। গল্পের পরিসরও ছোট- ১২৮ পৃষ্ঠার বই এক কাপ চা খেতে খেতে শেষ করে ফেলার মতোন। লেখনীও সাবলীল, যেমনটা সচরাচর লেখকের বইগুলোতে হয়। গল্প আর গল্পের মূল বক্তব্য লেখকের বেশিরভাগ বইয়ের মতোনই হৃদয়গ্রাহী আর সুন্দর। সমস্যা হচ্ছে বইটা মূলত কিশোর উপন্যাস আর আমি বইটা পড়ছি মধ্যবয়স্ক হয়ে যাওয়ার পর।! কাজেই অনেক খুঁটিনাটি বিষয় মাথা ব্যথার কারণ হয়েছে। যেমন, টুইটির পেছনে আরেকটু কম কালি খরচ করা যেতো; তিষার “মসি”-কে এপসিলন আয়ত্তে আনতে পারেনি বিষয়টা বাস্তবসম্মত মনে হয়নি; এপসি���নের হেডকোয়ার্টারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অতীব হাস্যকর – ইত্যাদি ইত্যাদি। কাজেই এই বই পড়ার সময় বেশি যৌক্তিক চিন্তাভাবনা না করে গল্পের আবেগটুকুকে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করার চেষ্টা করলেই বইটা সহজপাচ্য হবে।
📓আমার বড়মানুষি ভাইকে তারই এক পরিচিত ছোট ভাই তাকে "সায়েন্স ফিকশান সমগ্র (ষষ্ঠ খন্ড)" জাফর ইকবাল এই মোটা বইটা উপহার দিয়েছে! উল্লেখ্য যে আমার ভাই জীবনে গল্পের বইয়ের ধারে কাছেও ঘেঁষে নি, তো সেই তাকে 'জাফর ইকবাল স্যারের বই' তাও আবার 'সায়েন্স ফিকশান'! হঠাৎ কেন এই ছেলেমানুষি উপহার মাথায় ঢোকেনি! যা হোক আমার ভাইতো আর বই পড়বেনা তাই আমাকে এনে দিলো। আমি বই দেখে ভাবতে বসলাম- বই দিলো খুব ভালো কথা তবে কেন যে ঐ সায়েন্স ফিকশান ই দিতে গেল! স্যারের কিশোর উপন্যাস সমগ্র হলে তাও একটা কথা ছিলো। বই উল্টে পাল্টে দেখলাম আটটা বইয়ের মাঝে তিনটে পড়া আছে। ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা,সেরিনা,তিতুনি এবং তিতুনি একদম প্রথম দিককার পড়া। শেষের দুটো পছন্দের ছিলো। নতুন একটা পড়বো কিনা ভাবছিলাম। ঠিক করলাম পড়েই ফেলি একটা। দেখিতো আগের মতো মজা পাই কিনা। পড়া শুরু করলাম "এনিম্যান"।
🚀একটা প্রতিষ্ঠান 'এপসিলন'। যারা প্রযুক্তির অপব্যবহার করে পৃথিবীর প্রায় সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তারা তাদেরকেই দায়িত্বে নেয় যাদের রয়েছে অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা,সৃজনশীলতা এবং যাদের ভেতর কোনো মানবতা নেই। বইয়ের শুরুতে সেরকমই একজনকে তাদের প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে বলা হচ্ছে - 'লিডিয়া'। লিডিয়া আপাতদৃষ্টিতে সুন্দরী হলেও ওর ভেতরটা খুবই নিষ্ঠুর আর ভয়ানক। লিডিয়া 'এপসিলন' প্রতিষ্ঠানের জন্য এক বিচিত্র ধরনের পোষা প্রাণী আবিষ্কার করলো। মানবশিশুকে জিনেটিক প্রক্রিয়ায় একটু পশুর মতো করে জন্ম দেওয়া। অর্থ্যাৎ এটা ছিলো হাফ ম্যান হাফ অ্যানিমেল। তাই এর নাম দেয়া হলো 'এনিম্যান'। যার মুখটা থাকবে মানব শিশুর মতো আর বাকি অংশ থাকবে পশুর মতো। এটা বের হবার পরপরই পৃথিবীতে হুলুস্থুল পরে গেলো। এনিম্যান কেনার জন্য সবাই রীতিমতো পাগল হয়ে আছে। তেমনি একটা এনিম্যাল তিশা তার স্কুল থেকে গিফট পেলো৷ তিশাতো এনিম্যান পেয়ে মহা খুশি। তার আবারো একটা সঙ্গী হলো। সে এনিম্যানটার নাম রাখলো 'মিশকা'। তারপর সে অনেক কাহিনী। সবসময় যেমনটা হয় আরকি।
🎤অনেকমাস নাকি বছর জানিনা ঠিক কতো কতোদিন পর জাফর ইকবালের বই পড়ছি। কিশোর সায়েন্স ফিকশান গুলো এখন আগের মতো আর ভালো লাগেনা এটা সত্যি,মনে হয়কি এগুলো বাচ্চাদের জন্য ঠিকাছে তবুও এই বইটা ভালোই লেগেছে। মনে হয় অনেকটাদিন পর পড়লাম বলে।
এই বইয়ের রিভিউতে আরেকজন লিখেছেন এনিম্যান এবং তিশা এই দুই শব্দ দেখে পুরো গল্পের আইডিয়া পাওয়া যায়। এটাই ২ ষ্টার এর কারণ।এই লেখকের প্রায় সব লিখা আমার পড়া। যাই হোক, আমি জানি এই লেখক চাইলে সময় নিয়ে মৌলিক কিছু লিখতে পারেন। প্রকাশক অথবা ব্যক্তিগত, যেই কারণেই এভাবে লিখা হোক,এই একই ধরণের লিখা বার বার পড়তে ভালো লাগে না।
জিনিষটা অনেকটা সোশ্যাল মিডিয়া এর "রিপোস্ট " এর মতো। কেউ একই জিনিস ৫/১০ বার দেখেছেন,যেটা অন্যরা একবারও দেখেনি। অনেক ভক্ত বারবার দেখলেও বিরক্ত হন না।
I have read almost all of his writings. I believe this writer is capable of original writing...so, I don't know if it is due to personal reason,or due to publisher demand,there are a lot of re-hashed ideas from this writer.Anyway,like social media re-posts, a lot of people don't mind it..but some do.
এ্যানিমেন বইটি সাইন্স ফিকশন কিন্তু এই বইটির মানবিক দিকও আছে।এখানে লিডিয়া নামক মেয়ে উইলিয়াম ম্যাকেঞ্জির অধিনে.. জেনেটিক কোডিং করে এমন প্রাণি সৃষ্টি করে যেটা আদতে মানুষ কিন্তু চার পায়ে হাটে,চোখ বড় বড়,সারা শরীর লোম দিয়ে ঢাকা।এরা সকল অনুভূতির প্রকাশ করবে হাসির মাধ্যমে।এদের জন্ম হিবে মাতৃগর্ভেই।অন্যদিকে তিশা ও তার বন্ধু মিলে শেষ পর্যন্ত প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে এবং এ্যানিম্যান তৈরি বন্ধ করবে।আর বাকি এ্যানিম্যানদের মানব শিশুর সম্মান দেওয়া হবে।
এটি একটি কিশোর পাঠ্য উপন্যাস। এখানে চরিত্রগুলির মধ্যে কোনও ধূসর রঙের আভাস নেই, সেগুলি শুধু সাদা বা কালো। এছাড়া এখানে কোনও বৈজ্ঞানিক বিষয় আলোচনা করা হয়নি, শুধু কিছু আভাস আছে বর্তমানের কিছু সমস্যার। তবে গল্প হিসাবে এটি সুখপাঠ্য একবার পরেই নেওয়া যায়।
If this book was worded slightly differently and targeted towards an older audience, it'd be considered a damn good metaphor for today's society with all its technological advances devoiding people of emotions and humanity, and all the corruption and stuff. But the writer went for a cheesy, forgettable SciFi instead.
প্রশংসা করে যে ভাল কিছু বলা যাবে এই বইটা ঠিক তা বলে মনে হয় নি। এই বই টা হুবহু আরেকটা ভালোর জয় মন্দের পরাজয় ধরনের বই। প্রথম পাতা পড়ার পর শেষ পাতায় কি হবে তাই যদি বুঝে ফেলা যায় তাহলে আর বই পড়ার পূর্ণাঙ্গ মজা টা থাকে না। তারপরেও সময় কাটানোর জন্য পড়া কারণ অতি প্রিয় একজন লেখকের বই। লেখার ভাষা ছিল সহজ সাবলীল, এক বসায় শেষ করা। একটা আফসোস আজীবন থেকে যাবে এখন মনে হচ্ছে টা হল বইয়ের মূল্য। প্রকাশকরা লাভের জন্য বইয়ের এত অস্বাভাবিক মূল্য রাখে তাতে মনে হয় না আমাদের জাতি ভবিষ্যতে কখনো বইপরুয়া জাতি বলে পরিচিত হতে পারবে।
আসলে কল্পকাহিনির একটা বয়স থাকে। এইটা খুব বাচ্চাদের জন্য লেখা। স্যার চাইছিলেন পলিটিকাল ও বিজ্ঞান মিলাতে। খুব একটা পারেন নি। হয়ত চরিত্র গুলোর মাঝখানে সমন্বয় করতে পারেন নি। আমার কাছে খুব ভালো লাগে নি। উনার কল্পকাহিনী গুলোর মধ্য থেকে যে ভাবনার বিকাশ টা বুঝা যেতো আগে এখন পড়লে মনে হয় লিখে গেলেন, লিখলেন। এইতো হইলো। বাজারী কল্পকাহিনী।
predictable plot...no twist...expected more from him. Best line from the book is কি অর্থহীন একটা কথা- শুভ রাত্রি। একজনের শুভ রাত্রির জন্যে কাউকে না কাউকে কোথাও না কোথাও অশুভ রাত্রি পেতে হয়! ভয়ংকর নিরানন্দ রাত্রি পেতে হয়।'