Jump to ratings and reviews
Rate this book

Feluda #5

গ্যাংটকে গণ্ডগোল

Rate this book
Feluda and Topshe are on vacation in picturesque Gangtok when they stumble upon the mysterious murder of a business executive. There are many suspects—the dead man's business partner Sasadhar Bose, the long-haired foreigner Helmut, the mysterious Dr Vaidya, perhaps even the timid Mr Sarkar. Feluda unravels the knotty case with his usual aplomb and tracks the criminal down in a far-flung monastery.

96 pages, Hardcover

First published January 1, 1970

31 people are currently reading
439 people want to read

About the author

Satyajit Ray

672 books1,515 followers
Satyajit Ray (Bengali: সত্যজিৎ রায়) was an Indian filmmaker and author of Bengali fiction and regarded as one of the greatest auteurs of world cinema. Ray was born in the city of Calcutta into a Bengali family prominent in the world of arts and literature. Starting his career as a commercial artist, Ray was drawn into independent filmmaking after meeting French filmmaker Jean Renoir and watching Vittorio De Sica's Italian neorealist 1948 film, Bicycle Thieves.

Ray directed 36 films, including feature films, documentaries and shorts. He was also a fiction writer, publisher, illustrator, calligrapher, graphic designer and film critic. He authored several short stories and novels, primarily aimed at children and adolescents.

Ray's first film, Pather Panchali (1955), won eleven international prizes, including Best Human Documentary at the Cannes Film Festival. This film, Aparajito (1956) and Apur Sansar (1959) form The Apu Trilogy. Ray did the scripting, casting, scoring, and editing, and designed his own credit titles and publicity material. Ray received many major awards in his career, including 32 Indian National Film Awards, a number of awards at international film festivals and award ceremonies, and an Academy Award in 1992. The Government of India honoured him with the Bharat Ratna in 1992.

Early Life and Background:
Ray's grandfather, Upendrakishore Ray Chowdhury was a writer, illustrator, philosopher, publisher, amateur astronomer and a leader of the Brahmo Samaj, a religious and social movement in nineteenth century Bengal. Sukumar Ray, Upendrakishore's son and father of Satyajit, was a pioneering Bengali author and poet of nonsense rhyme and children's literature, an illustrator and a critic. Ray was born to Sukumar and Suprabha Ray in Calcutta.

Ray completed his B.A. (Hons.) in Economics at Presidency College of the University of Calcutta, though his interest was always in Fine Arts. In 1940, he went to study in Santiniketan where Ray came to appreciate Oriental Art. In 1949, Ray married Bijoya Das and the couple had a son, Sandip ray, who is now a famous film director.

Literary Works:
Ray created two of the most famous fictional characters ever in Bengali children's literature—Feluda, a sleuth in Holmesian tradition, and Professor Shonku, a genius scientist. Ray also wrote many short stories mostly centered on Macabre, Thriller and Paranormal which were published as collections of 12 stories. Ray wrote an autobiography about his childhood years, Jakhan Choto Chilam (1982). He also wrote essays on film, published as the collections: Our Films, Their Films (1976), Bishoy Chalachchitra (1976), and Ekei Bole Shooting (1979).

Awards, Honors and Recognitions:
Ray received many awards, including 32 National Film Awards by the Government of India. At the Moscow Film Festival in 1979, he was awarded for the contribution to cinema. At the Berlin Film Festival, he was one of only three to win the Silver Bear for Best Director more than once and holds the record for the most Golden Bear nominations, with seven. At the Venice Film Festival, he won a Golden Lion for Aparajito(1956), and awarded the Golden Lion Honorary Award in 1982. In 1992 he was posthumously awarded the Akira Kurosawa Award for Lifetime Achievement in Directing at the San Francisco International Film Festival.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
748 (48%)
4 stars
593 (38%)
3 stars
167 (10%)
2 stars
15 (<1%)
1 star
6 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 98 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
November 13, 2020
“বাগডোগরা বলতে অনেকেই মনে করবে, আমরা হয়তো দার্জিলিং কিম্বা কালিম্পং যাচ্ছি। আসলে তা নয়। আমরা যাচ্ছি সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে। এর আগে গ্রীষ্মের ছুটিতে দুবার দার্জিলিং গেছি; এবারও প্রথমে দার্জিলিং-এর কথাই হয়েছিল, কিন্তু শেষ মূহূর্তে ফেলুদা গ্যাংটকের নাম করল। বাবার হঠাৎ ব্যাঙ্গালোরে একটা কাজ পড়ে গেল বলে উনি আর এলেন না। বললেন, ‘তুই পরীক্ষা দিয়ে বসে আছিস, ফেলুরও ছুটি পাওনা হয়েছে – দিন পনেরোর জন্য ঘুরে আয়। কলকাতায় বসে ভ্যাপসা গরমে পচার কোনও মানে হয়না।’”

অতঃপর ফেলুদার সবচেয়ে রোমাঞ্চকর গল্পগুলির মধ্যে একটি – গ্যাংটকে গণ্ডগোল। গল্পের শুরুর ছুঁতোটুকু ভ্রমণ হলেও আসল উপলক্ষ্যটা যে রহস্য উদঘাটন, তা তো পাঠকদের জানাই আছে। তবে এর বেশি বললে গল্পের মজাটা নষ্ট হয়ে যাবে, তাই পাঠকদের জন্য গল্প থেকে কটি সূত্র তুলে দিলাম – তিব্বত, পাথর, যমন্তক, বৌদ্ধমঠ, শেলভাঙ্কার, ছদ্মবেশ আর জোঁক – ব্যাস, বাকিটুকু না হয় বইতেই হোক।
Profile Image for Shotabdi.
818 reviews194 followers
July 26, 2024
যতবার আমার বিষণ্ণ লাগে, অস্থির লাগে, আমি ততবার ফিরে যাই হয় ফেলুদা নয় তিন গোয়েন্দার কাছে। এই বইগুলো শ খানেক বার পড়া থাকা সত্ত্বেও একই আগ্রহে পড়ি। পুরো সময়টা অন্য জগতে হারিয়ে যাই। বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পাই, প্রতিবার।
Profile Image for Tiyas.
449 reviews125 followers
June 10, 2022
এবছরে বড় বেশি ফেলুদা পড়ে নিচ্ছি। অনিশ্চয় সময়গুলোতে ফেলু মিত্তিরের গা-ঘেঁষে বসে থাকার ইচ্ছেটা চাগিয়ে ওঠে। কি আর করি। এ গপ্পোটা জটায়ুর আবির্ভাবের আগে লেখা। তবুও গল্পে মজার অন্ত নেই। তোপসে তখনও ছোটোখাটো। মাঝে মধ্যেই ফেলুদার কাছে ঝাড়টার খায়। অনেকদিন পরে পড়লাম বলে, গল্পের গতিপ্রকৃতি ও মেইন অপরাধীর পরিচয় ভুলে মেরেছিলাম। এবারে পড়ে তাই আরো ভালো লাগলো। আমার নিজের স্বশরীরে গ্যাংটক গমন দুবার; ফেলুদার সাথে মাঝে মধ্যে এই আরো কয়েকবার। ওই এক জোক বাবাজির থেকে সামলে শুমলে থাকলে, এ সত্যিই এক দারুণ জায়গা!
Profile Image for Tamoghna Biswas.
361 reviews148 followers
August 11, 2022
**3.5 stars**

The second tale (after Badshahi Angti) that manages to capture what comes to our mind first when we hear the term ‘Feluda’. Quite simplistic yet sometimes gets a bit over-the-top, especially with the way the crime was conjectured to have been committed. But still works pretty well, though if I’m being honest, there’s one particular sub-plot that felt totally unneeded.
Profile Image for Shakil Mahmud.
90 reviews40 followers
July 2, 2021
১১ বছর পরে আরেক দফা পড়লাম। এই বয়সে এসে পড়েও খারাপ লাগলো না একটুও। বরং সবসময়ের মতোই মোহনীয় লাগলো- বিভিন্ন জায়গার সুন্দর প্রাকৃতিক বর্ণনা, ফেলুদার বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা, দুয়েকটা কমিক ক্যারেক্টার আর শেষে বরাবরের মতোই ট্যুইস্ট!
The Feluda series never gets old to me. 💙
Profile Image for Farhana Sufi.
495 reviews
December 28, 2018
২০ বছর পরে ছোটবেলায় পড়া বই পড়তে গেলে যেটা হয় ডিটেইল ভুলে গেলেও কাহিনি মনে থাকে, কে খুনী ভুলে গেলেও কে ছদ্মবেশী তা মনে থাকে - সে এক আজব ব্যাপার!

"আমাদের কিউরেটর নিজে তিব্বত গেছেন, দলাইলামার সঙ্গে বসে মড়ার মাথার খুলিতে চা খেয়েছেন" - টিবেটান ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তার এই কথাটুকু মাথায় ঘোঁট বাধিয়ে দেয়া ছাড়া এটা বেশ মারাত্মক রহস্য ফেলুদার। ঘোঁট পাকলো কেন বলি - বৌদ্ধধর্মের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ স্পিরিচুয়াল লিডার দালাই লামা ওরফে 'কুন্দুন' এর সম্পর্কে পড়াশোনা থেকে ধারণা হয়েছিলো তার যত্নআত্তি, অতিথি আপ্যায়নে সোনা-দামী ধাতুর পাত্র ইত্যাদি বেশি ব্যবহৃত হবে, মড়াটড়া, জীব হত্যার মতো জিনিস উপমহাদেশীয় তান্ত্রিক উপাসনার বিষয়াদি জড়িত হচ্ছে কেমন করে তা বুঝিনি, যদিও আমিও জানি তিব্বতী সংস্কৃতিতে দেবদেবী, তান্ত্রিক আচার জড়িত।

অন্যান্য আলাপে জানা গেল - ভারতীয় তন্ত্র আর তিব্বতের নিজস্ব এনিমালিস্টিক বন ধর্মমত দিয়ে তিবেতান 'হীনযান' বুদ্ধিজম অনেক প্রভাবিত। বাংলার অতীশ দীপঙ্কর-এর রিফর্মেশন ভূটান, নেপাল, হিমালয়ের দক্ষিণে প্রভাব রাখলেও উত্তরে তিব্বত টু মঙ্গোলিয়া নাকি এখনো তান্ত্রিক উপাসনা, প্রাচীণ রিচুয়ালিস্টিক বিষয়ে প্রভাবিত। - (তন্ময় কৈরী'দার সাথে আলাপ থেকে)

তবুও দালাই লামা মড়ার মাথার খুলিতে চা অফার করতেন কিনা তিব্বতে একাডেমিকদেরকে আপ্যায়নে এটা দালাই লামাকে জিজ্ঞেস করে না জানা পর্যন্ত আমার সন্দেহ থেকে যাবে। 🤔

এনিওয়ে মূল বই থেকে দূরে সরে যাচ্ছি, কিন্তু ভালো বইয়ের বৈশিষ্ট্যই এই যে তা নতুন ইনফরমেশন জানতে, খুঁজে বের করতে আগ্রহ জানায়, আরও নতুন বিষয়ে পড়তে ইচ্ছা করে একটা বই পড়ে। সত্যজিৎ তো ঘুরতে বেরুবার, শেখার, জানার ছোটবেলার মূল সম্পাদক, কাজেই বড় হয়ে রিভিশন দিতে গিয়ে নতুন বিষয় চোখে পড়ে নতুন জিনিসে আগ্রহ জন্মানো অবাক নয়।

গ্যাংটকে গণ্ডগোল লেখা সেইইইই ১৯৬৯ এর দিকে। আজকে প্রায় ৫০ বছর পরে পড়তে গিয়ে প্রথম শেখা লাগলো সিকিমের ইতিহাস, তার আলাদা রাষ্ট্র থাকা, তার ভারতের সাথে যুক্ত হওয়া। তারপরে ধরা যাক রাস্তা আর পাহাড়ের বর্ণনা। তারপরে হিপি ইউরোপিয়ান ফটোগ্রাফার, ক্যামেরার বর্ণনা। বইটা আসলেই আগে লেখা তা অন্য ফেলুদা পড়ে যতটা না স্পষ্ট হয়, গ্যাংটকে গণ্ডগোলের শুরু থেকেই বোঝা যায়। বেশ ব্যাপার! কিন্তু কথা হলো আমার এবার সিকিমও যেতে হবে! 😁
Profile Image for Nadia Jasmine.
213 reviews18 followers
May 2, 2022
অনেক বছর পর পড়ার কারনে পুরোটাই ভুলে বসে ছিলাম! পড়ে একদম নতুন বই পড়ার স্বাদ পেলাম। নিশিকান্তবাবুর চরিত্রটির সাথে লালমোহনবাবুর বেশ মিল পেলাম। তখনো, বইয়ে জটায়ূ আসেন নি বলে ধরে নিচ্ছি যে সত্যজিৎ রায় ভাবছিলেন সেটা আর এর পরের সোনার কেল্লায়ই কিন্তু থ্রি মাস্কেটিয়ার্স চলে এসেছিল। এরপর তো আর জটায়ূ ছাড়া কিছু কখনো ঘটে নি, অন্তত তোপসের কলমে নয়।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা মহারাজাকে… তিনি না থাকলে আমার জীবনে ডিটেকটিভ উপন্যাসের চরিত্র আসতে আরো দেরি হতো। তিনি থাকায় ক্লাস ফোর থেকেই ফিকশনাল এই চরিত্র জীবনের সাথে মিশে গেছে।

আর বইয়ের শুরুতেই ফেলুদা যে একসাথে কয়েকটা বই পড়তেন, সেটা এখন পড়ে খুবই ‘ভ্যালিডেটেড’ হবার অনুভূতি পাচ্ছি। যারা যারা একসাথে এতো কিছু পড়লে কোন কিছুই ঠিকঠাক মাথায় বসে না মার্কা কথা শুনেছেন, তারা বলতে পারেন যে, তারা আসলে ফেলুদার মতো হতে চাচ্ছেন। তাহলে হয়তো এরপরে এরকম কথা একটু কম শুনতে হবে!
Profile Image for Zinia Rahman.
57 reviews7 followers
July 22, 2021
বাদশাহী আংটির থেকেও গ্যাংটকে গন্ডগোল আমার বেশি সুন্দর মনে হয়।
Profile Image for Rifat.
501 reviews329 followers
January 3, 2021
এবারের কাহিনী সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে। যেহেতু দার্জিলিং ঘোরা হয়েছে তাই ফেলুদা আর তোপসে প্লেনে করে রওনা হলো গ্যাংটকের দিকে। প্লেন থেকে নেমে ওরা একটা দুর্ঘটনার সংবাদ পায়। ওদের সহযাত্রী শশধর বাবুর বিজনেস পার্টনার শিবকুমার শেলভানকার মারা গেছেন। গাড়ি করে যাচ্ছিলেন কোথাও আর সেই সময় পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে এসে এক্কেবারে গাড়িতে লাগে আর গাড়ি খাদে পড়ে যায়। শশধর বাবু মি. শেলভানকারের সাথেই দেখা করার জন্য গ্যাংটকে এসেছিলেন। ফেলুদা এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে। জানতে পারে নিহত শেলভানকার তার গৃহত্যাগী ছেলের খোঁজ করছিলেন। একটা সময় হঠাৎ করে ফেলুদার মনে খটকা লাগে। তাহলে কি এটা নিছকই কোনো দুর্ঘটনা ছিল না! নাকি পরিকল্পিত হত্যা??

বোকাসোকা নিশিকান্ত চরিত্রটিকে ভালো লেগেছে :) কেসকাহিনীর পাশাপাশি সত্যজিৎ রায় সিকিম ও তার আশেপাশের জায়গা ও সংস্কৃতির দারুণ বর্ণনা করেছেন। মনে হচ্ছিল আমি নিজেই সেখানে বসে বসে সব দেখছি 😊
Profile Image for পটের দুধের কমরেড.
209 reviews25 followers
March 9, 2025
স্প্ল্যানডিড। বছর বারো বাদে আরেকবার ঝলসে নিলাম, ফেলু মিত্তিরের পুরনো এক কেস — স্বাদে, ঘ্রাণে যা পোড়াবাড়ির চমচমের মতোই অনন্য। ফেলুদার দৌলতে কেবল তোপসে-ই নয়, পাঠক হয়ে কত জায়গাই না দেখলাম অদৃশ্য চোখে। আর ভ্রমণের নেশাটা প্রবলরূপে প্রজ্জ্বলিত হয়েছে বারবার। এই গল্পে, নিশিকান্ত সরকার-কে রহস্য-প্লট পাকানো লালমোহনবাবু, ওরফে জটায়ুর প্রোটোটাইপ বলা যায়। কথাবার্তা, আচার-আচরণ এবং অঙ্কনে দু’জনে যথেষ্ঠ মিল লক্ষণীয়। [ বইটা মাঝে একটু সানডে সাসপেন্সে শুনব ভাবলাম, তাই যতটুকু পড়া শেষ বাদবাকি টেনে দিতেই প্রথম শব্দ শুনলাম জটায়ুর সিগনেচার ‘সাসপিশাস’ — ভাবলাম ‘মির্চি বাংলা’ মূল গল্পে রংচং লাগিয়ে জটায়ুকে হাজির করলো নাকি? খানিক পরে বুঝলাম ওইটা নিশিকান্তবাবু ]। ভদ্রলোকের কল্যাণে রহস্য জটের মাঝে কিছুটা জটায়ুর ফ্লেভার স্বস্তি দিয়েছে।
Profile Image for Towhid Zaman.
103 reviews19 followers
October 30, 2023
সিকিম!  যেহেতু এই জায়গায় ঘুরে এসছি, তাই পুরো ব্যাপারটা মনে হইলো চোখের সামনে ভাসছে. রায় স্যার খুব সুন্দরভাবে সিকিমের সৌন্দর্যের বর্ননা দিছেন.

দার্জিলিং ঘুরে ফেলুদা আর তোপসে গ্যাংটকের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছেন, পথিমধ্যে পরিচয় শশধর বাবুর সাথে.

গ্যাংটকে পৌছায়ে জানা গেলো, শশাধর বাবুর বিজনেস পার্টনার শিবকুমার শেলভানকার মারা গেছেন. মরার কারন পাহাড় থেকে হঠাত করে পাথর পড়েছে গাড়ির উপর.

পরবর্তী জানা গেলো শেলভানকার তার নিখোজ ছেলের সন্ধানে এখানে এসেছিলেন. ফেলুদা পুরো ব্যাপারটা নিয়ে এগোতে থাকেন. 

এইখানে দারুন একটা চরিত্র আছে, নিশিকান্ত!

৪/৫
রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
Profile Image for Imtiaj Ahmed.
49 reviews1 follower
July 12, 2024
চমৎকার গল্প! ঘটনা পুরো সিকিম জুড়ে ঘটেছে এবং ভ্রমণ কাহিনীর স্বাদ দিয়েছে। জয়তু সত্যজিৎ✊🏻
সিমটাম, নামচি, নয়াবাজার, গেজিং, লেচাং, লাচেন, পেমিয়াংচি, রুমটেক জায়গাগুলো মাথায় ঢুকে গেছে। গুগল ম্যাপেও ঢুকে দেখেছি... জোশঃ 🤍
Profile Image for Debashish Paul.
46 reviews13 followers
January 7, 2021
ফেলুদা সিরিজের বইগুলোর সবচেয়ে ভাল লেগেছে যেটা সেটা হল এগুলো যে এক কিশোরের জবানিতে পাচ্ছি সেটা বুঝা যাচ্ছে। লেখক কিশোরের জবানিতে দুর্বোধ্য শব্দ তুলে দেননি। একদম জলের মত সহজ সরলভাবে লেখা। একটু বিপদের শঙ্কা দেখলেই "বুক ঢিপ ঢিপ করে" বা ফেলুদার একদম সাধারণ কোন অনুমান দেখে চমকে যাওয়া, এগুলো আসলে কোন কিশোরকেই মানায়। এরপর যেটা ভাল লেগেছে সেটা হল সত্যজিৎ ফেলুদাকে দিয়ে বলিয়ে নিয়েছেন যে, গোয়েন্দাগিরি নিয়ে যত দরকারি কথা সব শার্লক বলে গেছেন। এখন শুধু সেগুলো মেনে চললেই হবে। মানে এইধরনের গোয়েন্দাগিরি যে তার আবিস্কার নয় সেটা লেখক আগেভাগেই বলে দিয়েছেন।

আমি কৈশোরে তেমন বই পড়িনি বলে অনেক কিছুই পড়া হয়নি আর বড় হয়ে বড়দের বই পড়ে অভ্যাস হয়ে গেলে কৈশোরের বইগুলো অনেক সময়ই ভাল লাগেনা। এবছরের শুরুতে কোন বই পড়ব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এক বন্ধুর কাছে সেটা বলার পর সে ফেলুদার কথা উল্লেখ করলো, ফেলুদা নিয়ে তার উচ্ছাস প্রকাশ করলো, "কলকাতায় ফেলুদা" যে সে বহুবার মুগ্ধতা নিয়ে পড়েছে তা বললো, সাথে এও বলে দিল যে আমার হয়তোবা ভাল লাগবেনা তেমন, কারণ আমি বড় হয়ে গেছি।

সে পুরোপুরি ভুল ছিলনা, প্রথম কয়েকটা গল্প একদম সাদামাটা। তবে পড়তে বেশ ভাল লাগছিল। এই গল্পটাও তেমনই মনে হচ্ছিল কিন্তু শেষের দিকে বেশ কয়েকবার চমকে দেয়া ছাড়াও এ গল্পটা এর আগের গল্পগুলোর চেয়ে অনেক ভাল। লেখা আগেরগুলোর চেয়ে ভাল হচ্ছে, গোয়েন্দাগিরিও ভালভাবে দেখানো হয়েছে। সাড়ে চার দিতাম যদি সে ব্যবস্থা থাকত কিন্তু গল্পটা অনেক ভাল লেগেছে তাই অর্ধেক কমিয়ে চার দেয়ার ইচ্ছে হয়নি বলে পাঁচই দিচ্ছি।
Profile Image for Ravenes Elie Carter.
49 reviews
December 17, 2025
4⭐

a great way to spend the afternoon, is by listening to a sunday suspense...

And i did exactly that. Thanks to that one person's suggestion , that i listened to it. It was a really good one❤️
Profile Image for Hamima Afroz Lopa.
30 reviews121 followers
September 21, 2020
গ্যাংটক! আমার কাছে ফেলুদার গল্প শুধুমাত্র রহস্য আর গোয়েন্দা কাহিনীর জন্য যে প্রিয় তা নয়। বিভিন্ন জায়গার বর্ণনার জন্য মূলত এটা এত ভালো লাগে। আমার তো মনে হয় যাদের গোয়েন্দা কাহিনীর প্রতি কোন ইন্টারেস্ট নেই তাদেরও এই কারণে ফেলুদার গল্পগুলো পড়ে দেখা উচিত।

সে যাক গে। ফেলুদার এই গল্পের কাহিনী গড়ে উঠেছে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে। ফেলুদা আর তোপসে দুজনই তিব্বত নিয়ে কিছু বই পড়ায় সেবারের গরমের ছুটিতে গ্যাংটকে যাওয়া মনস্থির করেছে। পাহাড়ী এলাকায় ঘুরতে গিয়ে রহস্যে ঘেরা একটি ঘটনার সম্মুখীন হয় তারা। তোপসের মত অনেক পাঠক সেই ঘটনার কোন কূল কিনারা করতে না পারলেও সবশেষে ফেলুদা যথারীতি সফলভাবে কেসের ইতি টানে।
Profile Image for Fatema-tuz    Shammi.
126 reviews21 followers
March 15, 2021
অপরাধী যত সতর্কতা অবলম্বন ই করুক না কেনো কিছু ভুল থেকে ই যায়। এটা আবার প্রমাণ হলো...
Profile Image for Sagor Reza.
157 reviews
July 6, 2023
ফেলুদার প্রথম গল্প যেটাতে মার্ডার আছে। ওহ, না দুঃখিত। দ্বিতীয়, তবে বাদশাহী আংটির খুনটা ঠিক ইচ্ছাকৃত ছিল না। আর সেটা যে খুন তাও বোঝা যায় একেবারে শেষদিকে গিয়ে। তাই, সেটার কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম। যাই হোক, এবার ফেলুদা ঘুড়তে যাচ্ছেন গ্যাংটোকে, সিকিমের রাজধানি। ফেলুদা আর তোপসে ঘুড়তে যাবে আর কোন রহস্য তাদের পিছু নেবে না, এটা কি হয়। প্লেনে তাদের সাথে পরিচয় শশধরবাবুর সাথে।ব্যাবসার উদ্দেশ্যে পার্টনারের সাথে দেখা করতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে শুনতে পান, তার পার্টনা�� শিবকুমার শেলভাংকার পাহাড় থেকে পাথর পড়ে মারা গেছেন।আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, খুব সাধারন একটা এক্সিডেন্ট। কিন্তু এখানে ক্রমশ যুক্ত হয় আরো বেশ কিছু রহস্য। যেমন শিবকুমার শেলভাংকারের ঘরপালানো ছেলে, একটা কিম্ভুত টাইবেটান মূর্তি, তিব্বতীয় ভাষায় দেওয়া চিরকুট, যাতে আবার লেখা ‘মৃত্যু’।

এই গল্পের রহস্য বেশ জমজমাটা। ফেলুদাকেও বেশ মাথা খাটাতে হয়েছে রহস্যের সমাধান করার জন্য। বেশ কয়েকটা রহস্য একসাথে ঘণীভূত হয়েছিল গল্পটাতে। এছাড়া বেশ ভালো রকমের এডভেঞ্চার ছিল গল্পটাতে। আর কোন জায়গার বর্ণণা দিতে রায় সাহেবের জুড়ি মেলা ভার, এ গল্পও তার ব্যতিক্রম নয়। সিকিমের প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং টাইবেটান দের বর্ননা পড়ে বিস্মিত হয়েছি বেশ। ফেলুদা সিরিজের এপর্যন্ত পড়া সেরা গল্প।
Profile Image for Imran Shorif Shuvo.
86 reviews30 followers
July 6, 2023
অন্নেক দূর অবধি হাঁটতে গেছিলাম কাল, প্রায় দশ কিলো হাঁটা সম্পন্ন *করলুম!
হাঁটতে হাঁটতে শুনে ফেললাম পুরোটা। ক্রেডিট টু সানডে সাসপেন্স, রেডিও মির্চি। প্রোডাকশন কোয়ালিটি, পুরোই টপ নচ!
Profile Image for Jannatul Maowa.
9 reviews6 followers
August 20, 2024
ফেলুদার গল্পে যেমন আছে রহস্য তেমনি আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের নান্দনিক বর্ণনা। এবার রহস্য জমেছে বেশ। শেষে চমক খেলাম বটে। তবে এর পাশাপাশি নজর কেড়েছে গ্যাংটকের সৌন্দর্য্যও। গল্পটা পড়ার সময় নিজেকে বারবার কল্পনা করছিলাম গ্যাংটকে। কখনও উঁচু খাড়া পাহাড়ের মাঝে, কখনও ক্রাইম স্পটে, কখনও মনেসট্রিতে তিব্বতিদের সাথে আবার কখনও বা স্নোভিউ হোটেলে ফেলুদা আর তপেসের সাথে। বইটা শেষ করার পর ইচ্ছে হলো একবার সেই সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে যাওয়ার, কল্পনার সেই গ্যাংটককে বাস্তবে রূপ দেওয়ার।

কাহিনী কিন্তু বেশ চমৎকার! ফেলুদাপ্রেমী কিংবা মিস্ট্রি লাভার হলে এই বই অবশ্যই রিকমান্ডেড।
Profile Image for Samsudduha Rifath.
425 reviews23 followers
November 18, 2024
ফেলু মিত্তিরের ভ্রমণের সাথে গোয়েন্দাগিরি বড়ই সুস্বাদু হয়। এই গল্পখানাও তেমনই স্বাদ দিয়েছে।
115 reviews6 followers
November 20, 2025
Meh mid. Seen worse and seen better.

This book was comparatively easy to get into, and finish. I felt the plot was a bit all pver the place, but maybe it was my lack of concentration that led to this conclusion.

Feluda mostly fascinates me, Tapesh on the other hand, does. He. Even. Exist?

This plot would've been better for a movie, than a book, as it had some action scenes and well not very "action"-y in the book.

I might watch this, had this been a movie, but I doubt I'm going dabble with Feluda after this
Profile Image for Tahani .
104 reviews1 follower
February 25, 2025
°৩.৭৫⭐°
ফেলুদার প্রত্যেকটা কাহিনী অন্যরকম সুন্দর হয়। এই গল্পটি আমার বেশ ভালো লেগেছে। তবে,মাঝে মাঝে একটু বোরিং লেগেছে তবে ফেলুদার কোনো কাহিনী কখনো আমার খারাপ লাগে নাহ :) অসাধারুন পরিবেশ এর বর্ণনা এই বইটিতে রয়েছে সিকিমের।

Profile Image for শালেকুল পলাশ.
274 reviews34 followers
August 28, 2018
ছুটিতে ফেলুদা আর তাপশ বেড়াতে এসেছে গ্যাংটকে। ফেলুদা আর তাপস বেড়াতে বের হয়েছে আর রহস্য তাদের পিছু নিয়ে পৌছাবে না তা কি হয়? প্লেনেই পরিচয় হয় শশধর বাবুর সাথে। যে কিনা তার বিজনেস পার্টনারের সাথে দেখা করতে যাচ্ছে। কিন্তু বিমান থেকে নেমে দুঃসংবাদ শুনতে হয়। শশধর বাবুর পার্টনার শিবকুমার শেলভাংকার পাথর ধসে মারা যায় রাস্তায়। সবাই ব্যাপারটা মেনে নিলেও ফেলুদা সব কিছু বিবেচনা করে বুঝতে পারলেন যে এটা খুন। তদন্তে নেমে পড়লেন আটঘাট বেধে। কিন্তু তদন্তে নেমেই বুঝতে পারলেন যতটা সহজ মনে হচ্ছিল ততটা সহজ নয়। সন্দেহ জনক চরিত্র অনেক
Profile Image for Omar Iqbal.
53 reviews5 followers
January 15, 2020
ভাল লাগলো না গল্পটা , রহস্য জমাট বাধার আগেই শেষ হয়ে গেলো। তবে ফেলুদা সিরিজের গল্পগুলা পছন্দ না হলেও ভারতের বিভিন্ন স্থান আর কালচারের বর্ণনা সবসময়ই সুখপাঠ্য।
Profile Image for Avishek Bhattacharjee.
370 reviews79 followers
July 25, 2020
এটা ভাল গল্প। রহস্য আছে। ফেলুদাকে বেশ মাথাও খাটাতে হয়েছে। আর সাথে আছে গ্যাংটকের নয়নাভিরাম দৃশ্যের বর্ণনার পাশাপাশি আডভেঞ্চার। নিশিকান্তবাবুর আদলেই পরে মনে হয় জটায়ুকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে।
Profile Image for Fårzâñã Täzrē.
274 reviews19 followers
March 18, 2025
বাগডোগরা বলতে অনেকেই মনে করবে, আমরা হয়তো দার্জিলিং কিম্বা কালিম্পং যাচ্ছি। আসলে তা নয়। আমরা যাচ্ছি সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে। এর আগে গ্রীষ্মের ছুটিতে দু’বার দার্জিলিং গেছি; এবারও প্রথমে দার্জিলিং-এর কথাই হয়েছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে ফেলুদা গ্যাংটকের নাম করল। বাবার হঠাৎ ব্যাঙ্গালোরে একটা কাজ পড়ে গেল বলে উনি আর এলেন না। বললেন, ‘তুই পরীক্ষা দিয়ে বসে আছিস, ফেলুরও ছুটি পাওনা হয়েছে—দিন পনেরোর জন্য ঘুরে আয়। কলকাতায় বসে ভ্যাপসা গরমে পচার কোনও মানে হয় না।’

গরমের ছুটিতে তোপসে যদি ফেলুদার সাথে গ্যাংটকে যেতে পারে তবে আমিও বা কেন বরিশালে বসে গরমে সেদ্ধ হবো! আমিও ঠিক চললাম ওদের সাথে। তো প্লেনে বসে তোপসে লক্ষ্য করছিল একজনকে। লোকটা বেশ পেটুক গোছের বোধহয়। এক ঘন্টায় দুই কাপ চা, এক গাদা বিস্কুট সাবার করলো। তোপসেরা এয়ারপোর্টে নামার পর খাবারের রেস্টুরেন্টে ঢুকতে সেখানে তাদের সাথে রহস্যময় ব্যবসায়ী শশধর বোসের আলাপ ঘটলো।সেই প্লেনের পেটুক যাত্রীই ইনি। ফেলুদারা গ্যাংটক যাবার পথেই দেখতে পেল এক জায়গায় ঘটে গেছে দুর্ঘটনা। পুলিশ আছে এবং সাথে কিছু স্থানীয় লোকজন। পরে জানা গেল শশধর বোসের ব্যবসার সঙ্গী শিবকুমার শেলভাংকার খুন হয়েছেন। এবং ইনি ছিলেন শশধর বাবুর ব্যবসায়িক পার্টনার। স্বাভাবিকভাবেই শশধর বাবু‌ ভেঙে পড়েছেন বেশ।

হোটেলে ফেলুদাদের সাথে এক বাঙালি নিশিকান্ত সরকারের সাথে পরিচয় ঘটে। তিনি কথায় কথায় বললেন তিনি শিবকুমার শেলভাংকার কে চিনতেন। একটি প্রাচীন মূর্তি তিনি শেলভাংকার কে বিক্রি করেছেন। ভদ্রলোক এই মৃত্যু নিয়ে খুব দুঃখ প্রকাশ করলেন। একজন জার্মান ফটোগ্রাফার হেলমুট উংগারের পরিচয় হয়। সে হিপি। সেও চিনতো শেলভাংকার কে। এবং ওই হোটেলে ছিলেন আরেকজন ড. বৈদ্য। তিনি অনেক কিছু জানেন, প্ল্যানচেটেও নাকি দক্ষতা আছে। জানিয়ে দেন শেলভাংকার এর নাকি সামনে বিপদ ��তেও পারে। হেলমুট উংগার আরো বলেন যে মৃত্যুর সময় শেলভাংকার এর সাথে মূর্তিটা পাওয়া যায়নি। যেটা তিনি সবসময় পকেটে নিয়েই ঘুরতেন নাকি।

নিছক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পনা করে হত্যা? মূর্তির লোভে কেউ কী খুন করেছে শেলভাংকার কে নাকি পাহাড়ের উপর থেকে নেমে আসা অতর্কিত পাথর কেড়েছে প্রান? ফেলুদা সহজে রহস্য ভেদ করে কী ক্ষান্ত হয়? নাহ চলছে গভীরে তদন্ত। শেষটায় পাহাড়ে উন্মোচন হবে কোন রহস্যের?

🍬পাঠ প্রতিক্রিয়া 🍬

সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা নিয়ে আসলে নতুন কিছু বলার অবকাশ নেই। ফেলুদা সবসময়ই পছন্দের।
সত্যজিৎ রায়ের লেখনীর মধ্যে এইবার যেটা খুঁজে পেলাম উনি ডিটেইলিং এ খুব নজর দিতেন। "গ্যাংটকে গন্ডগোল" এ মনে হচ্ছিল আসলে তিনি যেন নিখুঁত বর্ণনায় পুরো জায়গাটা দেখিয়ে দিলেন। পড়তে বেশ মজা পাচ্ছিলাম। কী সুন্দর বর্ণনা দেয়া হয়েছে বিভিন্ন জায়গার যে চোখের সামনে ভেসে উঠলো যেন গোটা গ্যাংটক। আসলেই সুন্দর জায়গা। এবং সত্যজিৎ বর্ণনা টেনেছেন একদম গল্পের শেষ অবধি।

হুট করেই পড়ে ফেলা যায় এক বসায়। এই গল্পে অবশ্য জটায়ুর সঙ্গে দেখা হয়নি। এই গল্পেও একটা অংশে প্ল্যানচেট পর্ব ছিলো। আমি কিন্তু মজা পেয়েছি বেশ।


ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি সবসময় উপভোগ করি এখানেও দারুন হয়েছে। তবে এবারও খুনী কে ধরতে পারলাম না। শেষমেষ সত্যজিৎ দিলেন বড়সড় টুইস্ট। এবং ভালো লেগেছে ব্যাখাও। এখানে শুরুতে যেটা অনুধাবন করা হয় পরবর্তীতে গিয়ে ঘটনা আসলেই ঘুরে যায়। তবে এখানে একটাই আফসোস মোক্ষম ধাঁচের একটা অপরাধী পেলাম না। খুনের উদ্যেশ্যও পানসে খানিকটা।

🍬বইয়ের নামঃ "গ্যাংটকে গন্ডগোল"
🍬লেখকঃ সত্যজিৎ রায়
🍬ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৮/৫
Profile Image for Anjum Haz.
285 reviews69 followers
October 29, 2020
সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক। বার দুয়েক দার্জিলিং ঘোরা হয়ে গেছে বলে, এবার গ্রীষ্মের ছুটিতে ফেলুদা ও তোপসে গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে রওনা করলো।

অপূর্ব সুন্দর পাহাড় রয়েছে এই সিকিমে। যেগুলোকে বলা হয় "ইয়াং মাউন্টেইন"— অর্থাৎ এখনো তার বৃদ্ধি হচ্ছে। তাই ল্যান্ডস্লাইড বা ভূমিধস এখানে অহরহই ঘটে থাকে। ওই যে বলে সাংঘাতিক সুন্দর, আসলেও তাই। গ্যাংটকে পৌঁছে ফেলুদারা শুনলো, কিছুদিন আগেই নাকি একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। পাহাড় থেকে গড়িয়ে আসা একটা পাথরের ধাক্কায় যাত্রীসমেত জিপ গাড়ি রাস্তার খাদে পড়ে যায়। পাথর পড়লো, জিপটাও সেই মুহূর্তে ওখানে অবস্থান করছিল। Once in a million chances! নাকি, কোনো গন্ডগোল?

বেশ ইন্টারেস্টিং কিছু চরিত্রর দেখা মিলল গ্যাংটকে।‌ শশধর বোস, বোকা বোকা নিশিকান্তবাবু, হিপি হেলমুট উঙ্গার‌ আর ভবিষ্যৎ বলতে পারা ডক্টর বৈদ্য। সত্যজিৎ রায়ের বেশিরভাগ গল্পে গণক জাতীয় একটা চরিত্র থাকবেই।

তিব্বতের বেশ কাছে অবস্থান করায় সিকিমে তিব্বতি মানুষ ও সংস্কৃতির দেখা পাওয়া যায়। তাদের নিজস্ব পোশাক, গান-বাজনা, নাচ, উৎসব— সবকিছুই ভারী ইন্টারেস্টিং। বই পড়তে পড়তে সেসব অভিজ্ঞতা নেওয়ার বেশ আগ্রহ হচ্ছিল। পেমিয়াংচি, নামচি, লাচেং, লাচুং— বিচিত্র নাম শুনেই সেসব ঘুরে দেখার লোভ জাগে। আর ঘোরা হলে দারুন এই বইটার কথা মনে পড়বে নিশ্চয়ই। সাথে যদি আবার গন্ডগোলও লাগে!
Profile Image for Jishan Bin Jamal.
36 reviews10 followers
November 11, 2025
এত ভালো আলিবাই ক্রিয়েট করেও পার পাওয়া গেল না, আসলে শশধর বাবু যদি ডক্টর বৈদ্য এর ছদ্মবেশ না ধরত এত রহস্য না করত তাহলেও একটা চান্স ছিল বাঁচার, কিন্তু একটা গোয়েন্দা উপন্যাসে অপরাধী নিজেকে সাধু প্রমাণ আর সাসপেক্ট লিস্ট থেকে নাম কাটানোর জন্য যা করার দরকার ছিলো সবই করেছেন একদম ক্লিয়ার ব্যাকগ্রান্ড যাকে সন্দেহের কোনো পথ নেই। তাই তার উপরই শেষমেষ সন্দেহ শুরু করে ফেলুদা। খুবই ভালো গল্প।
Displaying 1 - 30 of 98 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.