Jump to ratings and reviews
Rate this book

Feluda #10

রয়েল বেঙ্গল রহস্য

Rate this book
ENGLISH

88 pages, Hardcover

First published April 1, 1975

21 people are currently reading
527 people want to read

About the author

Satyajit Ray

672 books1,515 followers
Satyajit Ray (Bengali: সত্যজিৎ রায়) was an Indian filmmaker and author of Bengali fiction and regarded as one of the greatest auteurs of world cinema. Ray was born in the city of Calcutta into a Bengali family prominent in the world of arts and literature. Starting his career as a commercial artist, Ray was drawn into independent filmmaking after meeting French filmmaker Jean Renoir and watching Vittorio De Sica's Italian neorealist 1948 film, Bicycle Thieves.

Ray directed 36 films, including feature films, documentaries and shorts. He was also a fiction writer, publisher, illustrator, calligrapher, graphic designer and film critic. He authored several short stories and novels, primarily aimed at children and adolescents.

Ray's first film, Pather Panchali (1955), won eleven international prizes, including Best Human Documentary at the Cannes Film Festival. This film, Aparajito (1956) and Apur Sansar (1959) form The Apu Trilogy. Ray did the scripting, casting, scoring, and editing, and designed his own credit titles and publicity material. Ray received many major awards in his career, including 32 Indian National Film Awards, a number of awards at international film festivals and award ceremonies, and an Academy Award in 1992. The Government of India honoured him with the Bharat Ratna in 1992.

Early Life and Background:
Ray's grandfather, Upendrakishore Ray Chowdhury was a writer, illustrator, philosopher, publisher, amateur astronomer and a leader of the Brahmo Samaj, a religious and social movement in nineteenth century Bengal. Sukumar Ray, Upendrakishore's son and father of Satyajit, was a pioneering Bengali author and poet of nonsense rhyme and children's literature, an illustrator and a critic. Ray was born to Sukumar and Suprabha Ray in Calcutta.

Ray completed his B.A. (Hons.) in Economics at Presidency College of the University of Calcutta, though his interest was always in Fine Arts. In 1940, he went to study in Santiniketan where Ray came to appreciate Oriental Art. In 1949, Ray married Bijoya Das and the couple had a son, Sandip ray, who is now a famous film director.

Literary Works:
Ray created two of the most famous fictional characters ever in Bengali children's literature—Feluda, a sleuth in Holmesian tradition, and Professor Shonku, a genius scientist. Ray also wrote many short stories mostly centered on Macabre, Thriller and Paranormal which were published as collections of 12 stories. Ray wrote an autobiography about his childhood years, Jakhan Choto Chilam (1982). He also wrote essays on film, published as the collections: Our Films, Their Films (1976), Bishoy Chalachchitra (1976), and Ekei Bole Shooting (1979).

Awards, Honors and Recognitions:
Ray received many awards, including 32 National Film Awards by the Government of India. At the Moscow Film Festival in 1979, he was awarded for the contribution to cinema. At the Berlin Film Festival, he was one of only three to win the Silver Bear for Best Director more than once and holds the record for the most Golden Bear nominations, with seven. At the Venice Film Festival, he won a Golden Lion for Aparajito(1956), and awarded the Golden Lion Honorary Award in 1982. In 1992 he was posthumously awarded the Akira Kurosawa Award for Lifetime Achievement in Directing at the San Francisco International Film Festival.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
855 (54%)
4 stars
538 (34%)
3 stars
154 (9%)
2 stars
22 (1%)
1 star
4 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 75 reviews
Profile Image for Rizwan Khalil.
374 reviews599 followers
June 3, 2024
২৪ জুলাই, ২০২১ রিভিউ:

রহস্যময় এক জমিদারবাড়ি, বাড়ির পেছনের শ্বাপদসঙ্কুল ঘন জঙ্গল, শতবছরের হারানো গুপ্তধন, দূর্বোধ্য ধাঁধার সংকেত, মানুষখেকো বাঘের পদচারণা, আর খুন। একটা নিখুঁত শ্বাসরূদ্ধকর মাথাচুলকানো দুর্ধর্ষ রহস্যগল্পের সকল উপাদানই পরিমাণমত উপস্থিত। উপন্যাসটা ছোটবেলায় প্রথম পড়েছিলাম, যেসময় বাকি সব ফেলুদাই পড়া হয়েছিল, আর কেন জানি পড়ার পর ভাল লাগলেও খুব আহামরি গোছের কিছু মনে হয়নি। তাই গত বিশ-বাইশ বছর ধরে রয়েল বেঙ্গল রহস্য কখনোই ফেলুদার প্রিয় এমনকি উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোরও একটা ছিল না আমার কাছে, যদিও গল্পের খুঁটিনাটি প্রায় সব খেয়ে ফেলেছিলাম অনেক বছর আগেই (বাকিগুলোরও কমবেশি একই অবস্থা)। থ্যাঙ্ক গড ফর সেকেন্ডটাইম!

গতমাসে ফেলুদা সমগ্র-১,২ কেনার পর ঠিক করি এতবছর পর আরেকবার রিভাইজ দেয়া প্রয়োজন, এবারে একদম যুতসইভাবে ক্রনলজিক্যালি সিরিয়াল ধরে ধরে সবগুলো গল্প-উপন্যাস। একদিক দিয়ে যেমন অনেকটাই নতুন রহস্যকাহিনি পড়ার অনুভূতি দিচ্ছে (যেহেতু সবই সেই ছোটকালে পড়ে প্রায় বিস্মৃত) আবার ফেলুদাসিরিজ তথা সত্যজিৎ-এর লেখনির বিবর্তনটাও খুব ভাল ভাবে চোখে পড়ছে, বুড়োবয়সের দুনিয়ার বইপড়া পরিণত দৃষ্টিতে সূক্ষ্ম অনেককিছুই নজরে আসছে। প্রতিটা কাহিনি শেষ করার পরেই তাৎক্ষনিক পাঠপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কিছু একটা লিখি লিখি করেও আলসেমি করে আর লেখা হয়ে ওঠে না... কিন্তু 'রয়েল বেঙ্গল রহস্য' শেষ করা মাত্রই মনে হলো এবার কিছু না লিখলেই নয়!

এমনিতেই বইটি আমাকে প্রথম পাঠপরবর্তি সেই উদাসীন অনুভূতিটা আমূল পাল্টে দিয়ে একেবারে চমকে দিয়েছে, তার উপরে জঙ্গল-শিকারকেন্দ্রিক গল্পটিও বেশ ইউনিক, ফেলুদার না হয়ে বুদ্ধদেব গুহর ঋজুদার কাহিনি বলে ভ্রম হতেও পারে। তবে সত্যজিতের নো-ননসেন্স থ্রিলিং ননস্টপ সাসপেন্সফুল লেখনি ও ঘটনাক্রম যে যেকোন ঋজুদাকাহিনির চেয়ে শতগুণে বেশি মারাত্মক সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফেলুদার প্রায় সব রহস্যের সবচেয়ে সুস্বাদু উপাদান অপ্রত্যাশিত খুন ও খুনের নাটকীয় রহস্যভেদ, আর এক্ষেত্রে গতানুগতিকতায় না গিয়ে শেষের ভিন্নধর্মি সমাপ্তি সম্ভবত ছোটবেলায় ঠিক মন ভরাতে পারেনি, খানিকটা আশাহত করেছিল। ফলে এতবছর ধরে সেই অনুভূতিটাই থেকে গিয়েছিল মনে, কিন্তু এখন পরিণতমনষ্কে সত্যজিৎএর কাব্যিক উত্তরটার মর্ম পূর্ণমাত্রায় উপভোগ করতে পেরেছি ('পোয়েটিক জাস্টিস' না হলেও 'পোয়েটিক এন্ডিং'ই বটে!)। সাথে চমৎকার এক ছন্দমেলানো গুঢ় ধাঁধা ও লুকানো গুপ্তধন তো ছিলই, আরো যোগ হয়েছিল গা ছমছমে রোমাঞ্চকর জঙ্গলে মানুষখেকো এক বাঘের আনাগোনার ভীতিকর পরিবেশ এবং পুরনো জমিদারবাড়ির রহস্যময় কিছু চরিত্র। সবমিলিয়ে সত্যজিৎ-এর ক্ষুরধার লেখনিতে এমন বৃষ্টিভেজা অলস সাপ্তাহিক ছুটির বিকেলটা শতভাগে উপভোগ্য করার মতো, আজীবন মনে রাখার মতো একখানা দুর্ধর্ষ রহস্যোপন্যাস!
মুড়ো হয় বুড়ো গাছ
হাত গোন ভাত পাঁচ
দিক পাও ঠিক ঠিক জবাবে।
ফাল্গুন তাল জোড়
দুই মাঝে ভুঁই ফোঁড়
সন্ধানে ধন্দায় নবাবে।
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
November 16, 2020
রয়েল বেঙ্গল রহস্যের শুরুতেই সত্যজিৎ রায় গল্পের ধাঁধাটি তুলে দিয়েছিলেন, আমিও পাঠকদের সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্যে নাহয় তাই করি?
“মুড়ো হয় বুড়ো গাছ
হাত গোন ভাত পাঁচ
দিক পাও ঠিক ঠিক জবাবে।

ফাল্গুন তাল জোড়
তার মাঝে ভুঁই ফোঁড়
সন্ধানে ধন্দায় নবাবে।”

কলকাতায় তখন গ্রীষ্ম, আর ফেলুদারাও বসে, তেমনই এক সময় ডুয়ার্স হতে মহীতোষ সিংহরায় নামের এক জমিদারের কাছ থেকে লালমোহন বাবুর কাছে এক নিমন্ত্রণপত্র আসে। মহীতোষবাবুর সাথে লালমোহন বাবুর পত্রালাপ থাকলেও ফেলুদার সাথে ছিল না, কিন্তু তার চিঠির শেষটুকু ছিল এইরূপ –
“আপনার বন্ধু শ্রীপ্রদোষ মিত্র মহাশয়ের ধুরন্ধর গোয়েন্দা হিসাবে খ্যাতি আছে বলিয়া শুনিয়াছি। আপনি তাহাকে সঙ্গে করিয়া আনিতে পারিলে তিনি হয়তো আমার একটা উপকার করিতে পারেন। কি স্থির করেন পত্রপাঠ জানাইবেন।”

অতঃপর ফেলুরাদের ডুয়ার্সের উদ্দেশ্যে যাত্রা, আর রয়েল বেঙ্গল রহস্যের শুরু। মহীতোষবাবুর জমিদারীতে পৌঁছানোর পর ফেলুদারা জানতে পারেন যে সিংহরায় পরিবারের এক পূর্বপুরুষ এককালে বহু পারিবারিক ধনরত্ন পাগলামীর বশে এক গোপন জায়গায় লুকিয়ে তা খুঁজে বের করার জন্যে একটি ধাঁধা রেখে গিয়েছিলেন। ফেলুদার কাছে অবশেষে তাদের নিমন্ত্রিত হওয়ার মূল কারণটি স্পষ্ট হয়, আর ধাঁধাটির সমাধান করতে তিনি সম্মতও হন। কিন্তু সেই রাতেই বনের মাঝে লোকজনের গোপন আনাগোনা তাঁর চোখে পরে, আর তার পরদিন বনের মধ্যে মহীতোষ বাবুর সহকারী তড়িৎবাবুর বাঘে-খাওয়া লাশ পাওয়া যায়। ফেলুদা দুটো রহস্যই উদঘাটনের সিদ্ধান্ত নেন, কিন্ত তার ফলে সিংহরায় পরিবারের অনেক অপ্রিয় গোপন কথা এক এক করে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। তারপর আর কি ? এসব সুখাদ্য বারবার খেয়েও আশ মেটে না।
Profile Image for Riju Ganguly.
Author 37 books1,862 followers
September 29, 2020
ফেলুদা'র গল্প বলতে আমরা যা-যা বুঝি তার সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন দিয়ে সাজানো এই বইটি। এতে আছে হিউমার, রহস্য, রোমাঞ্চ, ধাঁধা, ইতিহাস, অদ্ভুত কিছু চরিত্র, গুপ্তধন...
আর ক্লাইম্যাক্স!
বইটার অর্ধেক লাইন মুখস্থ হয়ে গেছিল পড়তে-পড়তে।
এখনও যদি এই আনমোল রতনটি না পড়ে থাকেন তাহলে প্লিজ দেরি করবেন না। জানেনই তো, সৎ কার্যে বিলম্ব কাঙ্ক্ষিত নয়।
Profile Image for Nadia Jasmine.
213 reviews18 followers
May 31, 2020
এবছরের ব্যক্তিগত একটি ইচ্ছা ছিল, বারো মাসে বারোটা ফেলুদা পড়ব। এই ইচ্ছা এসেছিল, গতবছর প্রসেনজিৎ সেনগুপ্তের ‘ফেলুদা রহস্য’ পড়ে। আর ইচ্ছা ছিল, সব ফেলুদা শেষ করে আবার ‘ফেলুদা রহস্য’ পড়ব! ইচ্ছায় গুড়ে বালি। কবে যে আবার উল্টেপাল্টে বই কিনব জানি না।

‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’ কততম বারের মতো পড়লাম বলতে পারব না। এখনো সেই টানটান উত্তেজনা নিয়ে পড়ি। কারন, ভুলে বসে আছি ক্লাস থ্রি ফোরে পড়া মেলা কিছু। বাঘ-শিকার, মানুষ খুন, আদিত্যনারায়নের তরবারি, টুকটাক মহাভারতের রেফারেন্স, মহিতোষ বাবু, শশাঙ্ক বাবু, তড়িৎ বাবু, লালমোহনের গাছে চড়া ও সন্দেহভাজনদের ছলচাতুরিতে মোড়া ফেলুদার এই গপ্পে সত্যজিৎ যখন লিখেন “সাতটার সময়ে মেঘ কেটে গিয়ে আকাশে তাঁরা দেখা দিল। মনে হচ্ছিল কুচকুচে কালো আকাশের গায়ে তারাগুলো এই মাত্র পালিশ করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে”, তখন এটি খেয়াল করে বুঝতে পারি যে আগের মতো ফেলুদা পড়ি না। ফেলুদার মধ্যেও মনে মনে এরকম ‘রহস্যের সাথে সম্পর্ক নেই’ বাক্য খুঁজি।

কতো শব্দ সত্যজিৎ এর কল্যাণে শিখেছি! ‘হেঁয়ালি’ তাঁর মধ্যে একটা। এই বইও শুরু হয়েছে হেঁয়ালি দিয়েই। গুপ্তধন খোঁজবার সূত্র সেটা। বেশিরভাগ ফেলুদাতে রহস্যের কূলকিনারা নিয়ে শেষ মিটিঙটা কারো বাসায় বা বৈঠকখানায় হয়। এখানে সেটা একেবারে জঙ্গলে মন্দিরের কাছে ফেলেছেন সত্যজিৎ। আর ইনস্পেক্টর বিশ্বাস ঠিক ফেলুদাতে অতো বিশ্বাস রাখেন নি বাকি উপন্যাসগুলোর পুলিশ চরিত্রগুলোর মতো। প্রিয় সংলাপ ফেলুদার মুখের অনেক কথাই, কিন্তু, এখানে সবচেয়ে ভালো লেগেছে—‘যা খুঁজছিলাম তা পাইনি, আর সেটাই সিগনিফিক্যান্ট’। কিন্তু, লালমোহন গাঙ্গুল��� থাকতে ফেলুদার সংলাপ তাঁকে মাত দিবে তা হতেই পারে না-- “আপনারা বলেছেন বাঘ, আমি দেখছি একটা লেলিহান অগ্নিশিখা, আর তার মধ্যে একটা পৈশাচিক দানব দাঁত খিঁচুচ্ছে, আর সেই সঙ্গে কর্নপটাহ বিদীর্ণ করা এক হুঙ্কার ছেড়ে একটা জেট প্লেন টেক অফ করছে আমারই উপর ল্যান্ড করবে বলে। এতেও যদি সংজ্ঞা না হারাই তো সংজ্ঞা রয়েছে কী করতে?’

লিখতেই লিখতেই আবার পড়তে মন চাইছে।
Profile Image for Zaima Hamid Zoa .
64 reviews60 followers
January 8, 2021
ফেলুদার গোয়েন্দা গল্পগুলোর মধ্যে এই গল্পটা আমার সবচাইতে প্রিয়। এতে শিকার আছে, শিকারি আছে, আর আছে ধাঁধাঁ। এই গল্পটা শুরু-ই হয় একটা ধাঁধা দিয়ে। এবং ফেলুদার কথামতই পুরোটা গল্প জুড়েই এই ধাঁধাঁ রীতিমত মগজে সুড়সুড়ি দিয়ে বেড়িয়েছে।

রয়েল বেঙ্গল রহস্য শুরু হয় যখন ডুয়ার্সের লক্ষণবাড়ির জমিদার মহীতোষ সিংহরায় জটায়ু’কে তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। সাথে ফেলুদা আর তোপসেকেও। আর স্বভাবতই সেখানে যেয়ে শুরু হয় ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি।

ফেলুদার অন্যান্য গল্পের মত এই গল্পটি পড়বার সময় আসে পাশের বর্ণনা একদম ছবির মত চোখের সামনে ভাসতে থাকে। একদম ছোট ছোট জিনিসও যে ফেলু মিত্তিরের চোখ এড়ায় না, তার প্রমাণ আবারো মিলবে এই বইতে।

এই বই নিয়ে বেশি কথা বলবার ধৃষ্টতা দেখানো আমার পক্ষা সম্ভব না। তাই বাকি দায়িত্ব পাঠকের হাতেই ছেড়ে দিলাম।
Profile Image for Shawn.
185 reviews8 followers
December 9, 2025
"মুড়ো হয় বুড়ো গাছ
হাত গোন ভাত পাঁচ
দিক পাও ঠিক ঠিক জবাবে।
দুই মাঝে ভুঁই ফোঁড়
ফাল্গুন তাল জোড়
সন্ধানে ধন্দায় নবাবে।"

ছোটবেলায় প্রথমবার পড়ার পর 'রয়েল বেঙ্গল রহস্য' আমার তেমন ভালো লাগেনি। ফেলুদার অন্যান্য গল্পের তুলনায় একে খুব স্পেশাল মনে হয়নি তখন। তাই প্রায় অনেক বছর ধরে এই গল্পটা আমার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণই ছিল না, যদিও কাহিনীর বেশিরভাগই ভুলে গিয়েছিলাম।

কিন্তু গত মাসে ফেলুদার সব গল্প আবার ক্রমানুযায়ী পড়তে শুরু করেছি। 'রয়েল বেঙ্গল রহস্য' পড়ে এবার একদম অন্যরকম লাগলো। পুরনো জমিদারবাড়ি, পিছনের ভয়ঙ্কর জঙ্গল, হারানো গুপ্তধনের ধাঁধা, আর মানুষখেকো বাঘের উপস্থিতি—সবমিলে গল্পের পরিবেশটা খুব ইউনিক। এতটাই যে, এটা ফেলুদার না হয়ে বুদ্ধদেব গুহর ঋজুদার গল্পও হতে পারতো।

তবে সত্যজিৎ রায়ের নির্মাণকৌশল একেবারে আলাদা। তাঁর লেখায় নন-স্টপ সাসপেন্স ও রোমাঞ্চ থাকে। ছোটবেলায় গল্পের শেষটা হয়তো আমার কাছে সেভাবে ধরা দেয়নি, তাই কিছুটা নিরাশ করেছিল। কিন্তু এবার বয়সের অভিজ্ঞতা নিয়ে পড়তে গিয়ে শেষটার গভীরতা ও কবিতাময়তা পুরোপুরি বুঝতে পারলাম। গুপ্তধনের পাশাপাশি জঙ্গলের গা ছমছমে আবহ, রহস্যময় চরিত্র—সব মিলিয়ে এটা এখন আমার কাছে ফেলুদার সেরা রহস্যগুলোর একটি। এমন একটি বৃষ্টিভেজা ছুটির দিনে পড়ার জন্য নিখুঁত, স্মরণীয় এক উপন্যাস।
Profile Image for Mehedi  Hasan Mahfuz.
171 reviews27 followers
December 1, 2023
ধাঁধা, রহস্য আর রোমাঞ্চ মিলিয়ে একেবারে ষোলোকলা। 💙
Profile Image for শালেকুল পলাশ.
274 reviews34 followers
June 22, 2021
“মুড়ো হয় বুড়ো গাছ
হাত গোন ভাত পাঁচ
দিক পাও ঠিক ঠিক জবাবে।

ফাল্গুন তাল জোড়
তার মাঝে ভুঁই ফোঁড়
সন্ধানে ধন্দায় নবাবে।”

গল্পের শুরুতে যেমন ফেলুদা তোপসেকে এই ধাধা দিয়ে শুরু করতে বলেছিলেন আমিও শুরুতেই এই ধাধা দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না আরকি। কাহিনীর শুরু হয় ডুয়ার্সের জমিদার বাড়ির মহীতোষ সিংহরায় জটায়ুকে তার বাসায় আমন্ত্রন জানানোর মাধ্যমে, এবং সেথায় একই সাথে ফেলুদাকেও আনার আমন্ত্রনের মাধ্যমে। যেহেতু ফেলুদার হাতে তখন কোন কাজ ছিল না তাই ফেলুদাও তার বাহিনী নিয়ে বেড়াতে চললেন জমিদার বাড়িতে। এসেই বুঝতে পারলেন এটা যাস্ট নিখাত বেড়ানোর আমন্ত্রন ছিল না, ভদ্র লোক ফেলুদাকে দিয়ে তার পূর্বপুরুষের লুকিয়ে রাখা ধনসম্পদ উদ্ধার করতে চান। ফেলুদাও না করেননি এতে। বাট ঝামেলা বাধে গভীর রাতে জঙ্গলে মানুষের আনাগোনা আর পর দিনে মহীতোষ বাবুর সেক্রেটারী তড়িতবাবুর লাশ উদ্ধার হওয়ায়। সবায় ধারনা করে মানুষ খেকোয় খুন করেছে তড়িতবাবুকে, কিন্তু মানুষখেকোই যদি নিবে তাহলে এত রাতে জঙ্গলে কি করছিল তড়িতবাবু? কেচো খুড়তে গিয়ে সাপ বের করে আনলেন আমাদের ফেলু মিত্র।

পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ প্রতিবার বাসায় গেলে একটা করে ফেলুদার গল্প পড়া হয়। এটা অনেকটা নিয়মের মতন হয়ে গিয়েছিল। গত একবছরএর মতন সময় পড় বাসায় যাওয়ায় এই গল্প পড়তেও এত দেরী হল আর কি। তবে বলতে হয় সত্যজিৎ রায়ের লেখুনিতে জাদু আছে। পড়তে বসলে নিজ থেকেই একের পর এক পাতা উল্টায়ে যেতে হয়।
Profile Image for Ed Erwin.
1,188 reviews128 followers
October 30, 2019
I know S. Ray as a filmmaker, but he also wrote stories, including some Science Fiction and mysteries. These mystery/detective stories star Mr. Feluda, modeled partly on Sherlock Holmes. I'm not the best audience for this since I don't read many mystery stories, and have never read any Sherlock Holmes. I have read some Agatha Christie, and what I enjoy about her stories is not the mystery itself, but the description of a certain class of British people at a certain time. I can enjoy these stories in the same way as a small introduction to a certain part of Bengali society.

The introduction states that the particular stories in this collection were the hardest to translate because they make use of puns and other wordplay. The stories had to be changed somewhat, with permission from the estate, for them to make sense in English. Example, in one story the similar sounds of "people" and "peepal tree" is important for understanding a riddle. It was probably completely different words in Bengali.
Profile Image for Mubtasim  Fuad.
316 reviews41 followers
July 19, 2025
দারুণ একটা গল্পের শুরু, কিন্তু শেষটায় গিয়ে কেমন জানি নুয়ে পড়ল মনে হল। শুরুর দিকটা এমনকি মাঝামাঝি জায়গাটাও ভালই ইনজয় করছিলাম কিন্তু শেষে গিয়ে কি যে হল, রহস্য সলভ করা, মিস্ট্রি রিভিল সবই পানষাটে লাগল আমার কাছে। তবুও লিজেন্ডারি সত্যজিৎ রায়ের লেখায় যে জাদু আছে তাতে 3★ না দিলেই নয়!
Profile Image for Farhan.
725 reviews12 followers
July 24, 2021
সন্দীপ রায়ের দিকে পুরো শ্রদ্ধা রেখেই বলা যায়, তার আগের তিন পুরুষের প্রতিভার সাথে তিনি পাল্লা দিতে পারেননি। সে রাস্তায় তিনি যান-ও নি, মৌলিক কাজ যা করেছেন সেগুলো খুব মনে রাখার মত কিছু না। সেটা মেনে নিয়েই তিনি যেটা করেছেন, সেটাই তার সবচেয়ে বড় কীর্তি। সত্যজিতের সাহিত্যকর্ম নিয়ে তিনি একের পর এক সিনেমা আর সিরিজ বানিয়ে গেছেন, এবং নতুন প্রজন্ম যে সত্যজিতের সাহিত্যকীর্তিকে বেশিরভাগটাই চিনেছে সন্দীপের ক্যামেরার মাধ্যমে তাতে আমার অন্তত কোন সন্দেহ নেই। সত্যজিৎ কিংবদন্তী হতে পারেন, কিন্তু টিভি-কেবল-ইন্টারনেট-ওয়েব প্লাটফর্মের যুগে সত্যজিতের বই খুঁজে পড়ার মত লোক যে কম, সেটা আমার নিজের অভিজ্ঞতাঐ দেখা। সন্দীপের সিনেমা বা সিরিজ দেখার পরে নতুন প্রজন্মের অনেকেই সত্যজিতের গল্প বা উপন্যাস খুঁজে পড়ে, এটাও আমার নিজের দেখা। একইস���থে, সন্দীপ সত্যজিতের মূল গল্পের প্রতি বিশ্বস্ত থাকেন, কাজেই আমাদের মত আগের প্রজন্মের কাছে সেটা একটা স্বস্তির এবং নস্টালজিয়ার ব্যাপার। নিজের বাবাকে প্রাসঙ্গিক রাখার জন্য তাই সত্যজিতের লেখালেখির ভক্তরা সন্দীপ রায়ের কাছে অবশ্যই কৃতজ্ঞ থাকবে।

'রয়েল বেঙ্গল রহস্য' পুনঃপঠনও হচ্ছে একটা ওয়েব প্লাটফর্মে সন্দীপ রায়ের বানানো একই নামের সিনেমা দেখে। সব্যসাচীর করা সম্ভবত শেষ ফেলু���া সিনেমা এটা; বেশ খানিকটা ভুঁড়ি হয়ে গেলেও ফেলুদা হিসেবে তিনি আগের মতই অনন্য। তোপসে আর লালমোহন অবশ্য জমেনি। কাজেই বইয়ে ফিরতে হলো। উত্তরবঙ্গের এক জমিদারের আমন্ত্রণে জটায়ুর সঙ্গী হিসেবে ফেলুদা আর তোপসের গমন, সেখানে এক গুপ্তধনের ধাঁধা, খুন আর মানুষখেকো, আর কী চাই? ফেলুদা'র ক্ষুরধার মস্তিষ্ক আর ব্যক্তিত্বের সাথে তোপসের সঙ্গত আর সেই সাথে জটায়ুর ফোঁড়ন, সব মিলিয়ে যে কোন ফেলুদা'র মতই সময়টা উড়ে যায়। তবে এটা আমার সবচেয়ে পছন্দের ফেলুদা বইগুলোর মাঝে পড়ে না, সেটাও বলে দিলাম।
Profile Image for Shahariar Ahammed.
93 reviews5 followers
August 15, 2021
ফেলু মিত্তিরের ফ্যান হয়ে গেলাম।
Profile Image for Jihad Islam Niloy .
43 reviews
December 31, 2023
ফেলুদার সেরা ৫ টি গল্পের একটি,নিশ্চিতভাবে।
Profile Image for Rishi Prakash.
382 reviews28 followers
November 21, 2014
I had seen the full set of "Felu Da" books in my school library. And my friends from West Bengal were just crazy about them which I clearly remember :-) I accidentally picked this "english translation" while looking for books online and i must say i got lucky!

I must say an amazing detective fiction at par with Agatha Christie's master detective Hercule Poirot which I have read too. This book is one among the twelve Feluda collection of Ray and definitely a great read. It is a series that would want you to read more and more...and claearly he is our very own "Sherlock Holmes".

So go for it and experience the delight.
Profile Image for Shanita Safwat.
20 reviews16 followers
September 30, 2015
ছোটবেলার প্রিয় চরিত্র ফেলুদা। ফেলুদার গল্পগুলোর মধ্যে রয়েল বেঙগল রহস্য অন্যতম প্রিয়, কেমন আরণ্যক স্বাদ আছে। বিভুতিভূষণের 'আরণ্যক' এম্নিতেই খুব ভালো লাগার। জিম করবেট পড়া হলো না এখনো।

আবার পড়তে বসে রিভিশান দিলাম ২বার। এখনো সেই এডভেঞ্চারাস ফেলুদার মত হতে ইচ্ছে করে। সত্যজিৎ রায়ের লেখনীর জবাব নেই, মুগ্ধ হতে হয় তার জানার ক্ষেত্র দেখেও। গোয়েন্দা গল্পের লেখকেরা অদ্ভুত কৌশলে সাস্পেন্স তৈরি করেন, বিস্মিত হই
Profile Image for Tusher.
31 reviews
January 1, 2008
loved that book....
A great version of indian sherlock holmes.......
a must read book....................................
Profile Image for Anurag.
6 reviews
July 4, 2024
Sometimes you pick books because someone has recommended them to you, other times perhaps you find the plot interesting or if you’re someone like me then you might have found the cover attractive. However, picking this book wasn’t because of any of the above-mentioned reasons. It was simply because Satyajit Ray wrote it. I know very little about Mr Ray apart from the fact that he is an immensely talented filmmaker from West Bengal. I even tried watching one of his films but couldn’t finish it for some reason. Back to the book, I didn’t know that Mr. Ray has written books so I immediately picked it up. And boy, it didn't disappoint. So, Murder mysteries have been my thing from the start of my reading journey regardless this book wasn’t one while at the same time it was. It had the Agatha Christie-sque setting in it, a remote place near the Terai. Makes you turn your pages. The characters are pretty well written. It keeps you hanging on your toes to know what's following, typically what mysteries are meant to do. The climax is what makes a film or book a yay or nay. The ending to this book was something in between those. It’s a short book a novella actually just 100 pages, a two-hour read (provided you are not a procrastinator like me). Was sure of rating it a five till the second last chapter. But a solid 4.5/5 read for me. Enjoyed it thoroughly. Would love to read more of Ray’s works.
Profile Image for Jesan.
141 reviews5 followers
June 9, 2021
“মুড়ো হয় বুড়ো গাছ
হাত গোন ভাত পাঁচ
দিক পাও ঠিক ঠিক জবাবে।

ফাল্গুন তাল জোড়
তার মাঝে ভুঁই ফোঁড়
সন্ধানে ধন্দায় নবাবে।”


ফেলুদা, তার খুড়তুতো ভাই তোপসে এবং লেখক জটায়ুসহ এই ধাঁধা সমাধানের উদ্দেশ্য উত্তরবঙ্গের এক ধনী শিকারী জমিদারের দ্বারা আমন্ত্রিত হন।সে ধাধা সমাধান করলে গুপ্তধনের সন্ধান দেবে বলে ধারণা করা হয়। সমাধান খুজতে খুজতেই কিন্তু পরবর্তীতে জমিদারের ব্যক্তিগত সচিব তড়িৎ বাবুর রহস্যময় মৃত্যু ঘটে,সাথে বাঘের আচড়ের দাগ।তাহলে কি তড়িৎ বাবুকে বাঘেই মারলো??কেন গিয়েছিল সে জংগলে??তাছাড়া অনেকদিন পর বাঘ এলোই বা কিভাবে??ফেলুদা দএই সকল রহস্যই উদঘাটনের সিদ্ধান্ত নেন, কিন্ত তার ফলে সিংহরায় পরিবারের অনেক অপ্রিয় গোপন কথা এক এক করে বেরিয়ে আসতে শুরু করে।শেষের ক্লাইমেক্সটা ছিল চমৎকার.....!!
Profile Image for Israt Sharmin.
276 reviews1 follower
December 17, 2025
ভুটান সীমান্তে ডুয়ার্সের কালবুনি জঙ্গলে এক সকালে একটি মৃতদেহ পাওয়া গেল। তার কাঁধের খানিকটা মাংস কোনও এক হিংস্র জানোয়ারে খেয়ে গেছে। মৃতদেহটি এক খ্যাতনামা শিকারীর। সবাই বলল ম্যান-ঈটারের কাজ। কিন্তু ফেলুদা আবিষ্কার করল মৃতদেহের বুকে একটি গভীর ক্ষতচিহ্ন যা একমাত্র কোনও সুতীক্ষ্ণ ও অতীব ধারালো অস্ত্রের দ্বারাই সম্ভব। তা হলে?

▪️
মুড়ো হয় বুড়ো গাছ
হাত গোন ভাত পাঁচ
দিক পাও ঠিক ঠিক জবাবে।
ফাল্পুন তাল জোড় দুই মাঝে
ভুঁই ফোঁড় সন্ধানে ধন্দায় নবাবে।।

এই ধাঁধাটি দিয়েই উপন্যাসটি শুরু হয়। ধাঁধাটা যে অনেক কঠিন তা গল্পে তোপসের কথাতেই বোঝা গিয়েছে। ফেলুদাকে অবধি প্যাঁচে ফেলে দিয়েছিল এই ধাঁধা। অবশ্য বুঝিয়ে দেবার পর ব্যপারটা আমার কাছেও বেশ সহজ বলেই মনে হয়েছিল। যাই হোক মাথা খাটাতে দোষ কি? দূর্দন্ত একটা সময় কাটলো ফেলুদার সাথে, মাস্টরিড।
1 review4 followers
January 24, 2019
বছরের প্রথম বই।
রহস্য রোমাঞ্চে ভরপুর দারুণ একটি বই।♥
Profile Image for Hiya.
23 reviews
July 14, 2023
I loved every second of this book. The descriptions of every single place were so atmospheric. A character called Devtosh babu in the story is not very mentally sound and hence not treated well even by his own brother but he was described with great respect and nuance by feluda. The story was eerie but occasionally funny too. Can't wait to complete this series!
14 reviews6 followers
March 10, 2019
বছরের প্রথম বই। রহস্য রোমাঞ্চে ভরপুর।♥
Profile Image for Debashish Paul.
46 reviews13 followers
February 24, 2021
ফেলুদার সাথে আমার প্রথম পরিচয় রয়েল বেঙ্গল রহস্যের মাধ্যমে- সম্ভবত '১২ সালে মুভিটা দেখেছিলাম। এবছরের শুরুর আগে আর কিছু দেখিওনি, পড়িওনি। মুভিটা খুব ভাল লেগেছিল মনে আছে কিন্তু কাহিনী অনেকটাই ভুলে গিয়েছিলাম৷ ফেলুদা সমগ্র শুরু করার সময় থেকেই এই গল্পটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম যে কবে শুরু করব! গল্পটাও খুব ভাল লাগল পড়তে। ফেলুদার গল্পগুলোর লেখা এখন পর্যন্ত ভাল হচ্ছে আগেরগুলোর চেয়ে৷ এখানেও তাই। জঙ্গল নিয়ে কখনোই তেমন আকর��ষণ ছিলনা আমার, ওরকম গল্পও পড়েছি কমই। তবে আগেকার জমিদারদের শিকারের গল্প পড়তে সবসময় ভাল লাগে। সম্ভবত মহাভারত পড়ার কারণে এমন হয়েছে। মহাভারতের বেশ কিছু চরিত্রের জঙ্গলে শিকারে গিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারস্যাপার হয়েছে। এখানেও এক জমিদারের শিকারে আগ্রহ অনেক এবং তাকে নিয়েই গল্প। বইটা দারুণ লাগল। বেশ রোমাঞ্চকর, সাথে প্রতিবারের মতই বেশ কিছু জিনিস জানা হয়ে গেল। পড়ার পর আবার মুভিটা দেখে ফেলার ইচ্ছে জাগল।
Profile Image for Krittika Sen.
9 reviews1 follower
May 9, 2021
দারুন গল্পঃ, ফেলুদা never disappoints! নামটা একদম ঠিক, রহস্যই বটে. (বাঘটাকে না মারলেও পারতো but it's okay because of the context of those times).
Profile Image for Yesh Chala.
2 reviews
December 5, 2021
I'm always amazed by how Satyajit ray describes the locations the events are set in. Even though he doesn't use rich vocabulary he can make us feel there.
And the time when the events happened makes me like going back in time and visiting those exact places.

Coming to the actual story, it was a good mystery, I could say a mystery within a mystery. But I could almost predict the what of the book but Ray made me read it completely for the How.
Profile Image for Sourav Das.
42 reviews76 followers
January 27, 2018
বেশ সাসপেন্স ছিল বইটাতে!
এই বই পড়ে জানতে পারলাম ফেলুদার প্রিয় বই বিভূতিভূষণের 'আরণ্যক'! আর রয়েল বেঙ্গল টাইগার দুই পায়ে হাঁটে, মানে সামনের পা যেখানে ফেলে পেছনের পা ও সেইখানেই ফেলে!
Profile Image for Tashin Abdullah .
133 reviews1 follower
May 27, 2025
মুড়ো হয় বুড়ো গাছ
হাত গোন ভাত পাঁচ
দিক পাও ঠিক ঠিক জবাবে।
ফাল্গুন তাল জোড়
দুই মাঝে ভুঁই ফোঁড়
সন্ধানে ধন্দায় নবাবে।

সত্যজিৎ রায়ের লেখালেখির জগতে যারা একবার ঢুকেছেন, তারা জানেন, প্রতিটি গল্পই যেন একেকটা নিখুঁতভাবে আঁকা চিত্রপট। আর তার মধ্যে ‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’ হলো এমন একটি উপন্যাস, যেখানে রহস্য, রোমাঞ্চ, ইতিহাস, প্রকৃতি আর মানবচরিত্রের গভীর মনস্তত্ত্ব সবকিছু মিলেমিশে এক অপূর্ব কম্বিনেশনের সৃষ্টি করেছে।

এই উপন্যাসের সঙ্গে আমার সম্পর্ক শুধুমাত্র পাঠক হিসেবে নয়, বরং এক আবিষ্কারের, এক প্রথম পরিচয়ের। ফেলুদার সঙ্গে আমার যাত্রার শুরু হয়েছিল এই উপন্যাস দিয়েই। ফেলুদার সাথে এই পরিচয় পর্বের কথা আমি আগে একটা লেখায় বলেছিলাম, তাই পুরনো আলাপে আর যাচ্ছিনা। এই গল্পের প্রতি আমার একটা আলাদা টান, এক রকম আত্মীয়তা আছে বলতে গেলে। বহুবার পড়া এই গল্পটা আজ হঠাৎ আবার হাতে তুলে নিয়েছিলাম। এবং তখনই লক্ষ্য করলাম এক আশ্চর্য সমাপতন; গল্পের শুরু যেখানে ২৭ মে, গরমের ছুটি, কলকাতার সকাল। আর আজও ২৭ মে, আমিও গরমের ছুটিতে। বাস্তব আর কল্পনার এ যেন এক মোহময় সেতুবন্ধন। কাকতালীয় হলেও, এই মিল যেন বইটার সাথে একটা টেলিপ্যাথিক সংযোগ গড়ে দিল আজকে।

গল্পে রহস্য আছে, মৃত্যু আছে, আছে প্রাচীন জমিদারবাড়ির ইতিহাস আর গভীর জঙ্গলের রোমাঞ্চ। কিন্তু শুধু এটুকু বললে ‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’-এর গভীরতা পুরো বোঝা যায় না। উপন্যাসটির বিশেষত্ব হলো এর পরিবেশ নির্মাণ এবং ধাপে ধাপে টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি। ডুয়ার্স অঞ্চলের জঙ্গল প্রকৃতির যে নিখুঁত চিত্র সত্যজিৎ রায় এঁকেছেন, তা যেন চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে ওঠে। আর সেই জঙ্গলেই বিচরণ করছে এক মানুষখেকো বাঘ, এক রহস্যজনক ধাঁধা এবং লুকানো গুপ্তধনের ইঙ্গিত।

এই উপন্যাসে সত্যজিৎ রায়ের লেখা ধাঁধাটি উপরে উল্লেখ করা লিমেরিক অন্য মাত্রা বা বলা চলে প্রধানতম আকর্ষণ এনে দেয়। পঞ্চপদী ছন্দে লেখা এই ধাঁধার পেছনে লুকানো সংকেতগুলো শুধু মনের খোরাকই নয়, এটি একাধারে পাঠককে ভাবায়, তাকে অনুসন্ধিৎসু করে তোলে। ফেলুদার ক্ষুরধার মস্তিষ্ক যখন ধাপে ধাপে রহস্যভেদ করে, তখন পাঠকও একভাবে তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। এই জটিলতাই সত্যজিৎ রায়কে অন্যদের থেকে আলাদা করে।
এই উপন্যাসের আরেকটি বিশেষ দিক হলো এর পরিণতি। এই গল্পটি যেকোন সাধারণ রহস্যগল্পের থেকে আলাদা, একটু অন্যরকম। ছোটবেলায় যখন প্রথম পড়েছিলাম, তখন হয়তো এই সমাপ্তি পুরোপুরি বুঝতে পারিনি। কিন্তু বয়স ও অভিজ্ঞতার সাথে সাথে বুঝি, রায় বাবু এখানে যে কাব্যিক সমাপ্তি টেনেছেন, তা শুধু ন্যায়বিচার নয়, বরং মানবিকতারও এক গভীর পাঠ।

সিনেমার কথা বললে, সন্দীপ রায়ের নির্মিত ২০১১ সালের ‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’ চলচ্চিত্রটিও এই উপন্যাসের একটি চমৎকার ভিজ্যুয়াল রূপায়ণ। সব্যসাচী চক্রবর্তীর ফেলুদা চরিত্রে উপস্থিতি বরাবরের মতোই প্রশংসনীয়। এরই সাথে সাহেব ভট্টাচার্যের তোপসে বা বিভুদার জটায়ুর উপস্থাপনা অনেক নিখুঁত লেগেছিলো, বিভুদার করা শেষ জটায়ু ছিলো এটি।

সব মিলিয়ে, ‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’ আমার কাছে শুধু একটা রহস্য উপন্যাস নয়, এটা একটা অনুভব, একটা নস্টালজিয়া, একটা অন্য জগত যেখানে সময় থেমে যায়, কল্পনা আর বাস্তবের সীমারেখা মুছে যায়। সত্যজিৎ রায়ের লেখায় যেমন থ্রিল আছে, তেমনি আছে সৌন্দর্য, ভাষার পরিমিত ব্যঞ্জনা, আর গভীর মানবিক বোধ। এই গল্পটি তাই বারবার পড়লেও প্রতিবার নতুন করে মুগ্ধ করে, আবিষ্কারের আনন্দ দেয়। আর ফেলুদাকে আমার কখোনই ফিকশনাল ক্যারেক্টার বলে মনে হয়নি। সব সময় মনে হয় রক্ত মাংসের মানুষ।

শেষে আবার বলি, ফেলুদা পড়া মানে শুধু রহস্য ভেদ করা নয়, বরং এক জীবন্ত অভিজ্ঞতায় ডুবে যাওয়া। আর ‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’ সেই অভিজ্ঞতার অন্যতম সেরা উদাহরণ।

Profile Image for Shoaib Akther.
34 reviews
January 6, 2025
বুক রিভিউ-১৫

বইয়ের নাম: রয়েল বেঙ্গল রহস্য
সিরিজ: ফেলুদা
লেখক: সত্যজিৎ রায়
প্রকাশনী: আনন্দ পাবলিশার্স

বাংলা সাহিত্যে ফেলুদা চরিত্র সত্যজিৎ রায়ের এক অনন্য সৃষ্টি। সহজ পাঠ্য ও রহস্যে ঘেরা সব গল্প, উপন্যাস রচনা করেছেন সত্যজিৎ রায়। তাই ফেলুদা সিরিজের পাঠক গোষ্টি আজও বিদ্যমান এবং প্রতিটি প্রজন্ম-ই ফেলু মিত্তিরের গোয়ান্দাগিরির ভক্ত। ফেলুদাকে নিয়ে লেখা ৩৫ টি গল্প ও উপন্যাসের মধ্যে আজ কথা হবে রয়েল বেঙ্গল রহস্য নিয়ে।

জমিদার মহীতোষ সিংহ রায়ের আমন্ত্রনে লক্ষণবাড়ী বেড়াতে গেছেন ফেলুদা। যথারীতি সঙ্গে আছেন রহস্য উপন্যাস লেখক লালমোহন গাঙ্গুলি উরফে জটায়, গল্পের লেখক ও ফেলু মিত্তিরের চাচাতো ভাই তোপষে।

রয়েল বেঙ্গল রহস্যের মুখ্য চরিত্র গুলো হলো, জমিদার মহীতোষ সিংহরায়, তার ভাই দেবতোষ সিংহরায়, সেক্রেটারি তড়িৎ সেনগুপ্ত এবং বন্ধু শশাঙ্ক। মূলত একটি ধাঁধা সমাধানে ফেলুদাকে লক্ষণবাড়ীতে আমন্ত্রন জানিয়েছেন মহীতোষ সিংহরায়। ধারণা করা হচ্ছে কোন গুপ্তধনের খোঁজ লুকিয়ে আছে ধাঁধাটির মধ্যে।

লক্ষণবাড়ী পৌঁছানোর একদিন পর মহীতোষ বাবুর সেক্রেটারি তড়িৎ সেনগুপ্ত বাড়ির পাশের জঙ্গলে হঠাৎ খুন হয়ে যান। শুরুতে বাঘের আক্রমনে মৃত্যু বলে ধারনা করা হলেও এটা যে খুন সেটা নিশ্চিত করেন ফেলুদা। এরপর ই শুরু হয় মূল ঘটনা গুলো। একদিকে ধাঁধার সমাধান অন্যদিকে খুনের রহস্য উদঘাটনে কাজ করতে থাকেন ফেলুদা। পরতে পরতে রহস্য আর এর জটিল সমাধানের পথ ধরেই এভাবেই এগুতে থাকে গল্প যা শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় এক চাঞ্চল্যকর সমাপ্তিতে।

থ্রিলার প্রেমি প্রত্যেক পাঠকের জন্য ফেলুদা সিরিজ একটি অনবদ্য রচনা। এই সিরিজের অন্যতম সেরা উপন্যাস রয়েল বেঙ্গল রহস্য। উপন্যাসকে উপজীব্য করে বানানো হয়েছে সিনেমা, রয়েছে বহু অডিও ক্লিপ। তবুও বই পড়ার স্বাদ আলাদা। একাধিকবার পড়ার ক্ষেত্রেও গল্পটি কোন বিরক্তি সৃষ্টি করে না। পাশাপাশি নতুন পাঠক যারা এখন ও ফেলুদা সিরিজের বইগুলো সম্পর্কে অব��ত নন তাদের জন্য ফেলুদাকে জানতে আদর্শ উপন্যাস হচ্ছে এটি। তাই দেরি না করে পড়ে ফেলতে পারেন সত্যজিৎ রায়ের এই কালজয়ী রচনাটি।
Profile Image for Sagor Reza.
157 reviews
July 23, 2023
কী নেই এ গল্পে। রহস্যময় ধাঁধা, গুপ্তধন, খুন, জঙ্গল, মানুষখেকো বাঘ। আর কী চাই। ফেলুদা তোপশে কে বলেছিলেন গল্পটা লেখার শুরুতে একটা ধাঁধা তুলে দিতে, তাতে পাঠক প্রথম থেকেই মাথা খাটাতে শুরু করবে। পাঠ প্রতিক্রিয়ার শুরুতেও আমিও হেয়ালি টা তুলে দিতে চাই পাঠকের উদ্দেশ্যে।

“মুড়ো হয় বুড়ো গাছ
হাত গোন ভাত পাঁচ
দিক পাও ঠিক ঠিক জবাবে।

ফাল্গুন তাল জোড়
তার মাঝে ভুঁই ফোঁড়
সন্ধানে ধন্দায় নবাবে।”

এবারের রহস্যের সন্ধান দেন স্বয়ং লালমোহন গাঙ্গুলী বা জটায়ু। লেখালেখির সুবাদে তার সাথে পরিচয় হয় জমিদার মহীতোষ রায়চৌধুরি'র সাথে। তিনি ইদানীং তার নিজের শিকারের বাস্তব গল্পগুলো লিখে বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। মহীতোষবাবু জটায়ু এবং ফেলুদা কে আমন্ত্রন জানান একটা রহস্য সমাধানের জন্য। জমিদারবাবুর বাড়ির পিছনে ঘন জঙ্গল, একসময় প্রচুর বাঘ থাকলেও এখন তা প্রায় বিলুপ্তপ্রায়, তবে কিছুদিন আগে একজন কাঠুরে এক মানুষখেকোর শিকারে পরিনত হয়, যদিও সেতা সত্যিই বাঘ কীনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবে এর জন্য ফেলুদাকে ডাকেন নি মহীতোষবাবু।

কিছুদিন আগে প্রাচীন কিছু কাগজ বের করতে গিয়ে মহীতোষবাবু একটা কাগজ আবিষ্কার করেন যাতে একটা ধাঁধা লেখা। কাগজটা ছিল তার ঠাকুরদাদার। ফেলুদা প্রথম দেখাতেই বলে দেন এটা একটা গুপ্তধনের সংকেত। হেয়ালি'র অর্থোদ্ধার করতে হবে, সময় মাত্র তিন দিন। কিন্তু এরই মধ্যে খুন হয়ে গেলেন মহীতোষবাবুর সেক্রেটারি।

এপর্যন্ত আমার পড়া ফেলুদার সবচেয়ে জমজমাট গল্প এটা। একই সাথে তিন তিনটা রহস্যের কিনারা করতে হয়েছে ফেলুদা কে। ফেলুদা বরাবরের মতোই অনন্য, অসাধারণ। ফেলুদার সাথে পুলিশের সাধারণত বেশ ভালো সম্পর্ক, এ গল্পে তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। জটায়ু আপনাকে শেখাবেন কী করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরেও কীভাবে গাছ থেকে না পড়ে ঝুলে থাকা যায়। আর ফেলুদা,
তিনি শেখাবেন কী করে বাঘ শিকার করতে হয়!
Displaying 1 - 30 of 75 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.