প্লট ১। দিন প্রতিদিন দিব্যেন্দুকে রুমা পড়তে পারল না। দিব্যেন্দুর সঙ্গে সংসার করা যেন সমুদ্রের মধ্যে তাকে কেউ চুলের মুঠি ধরে জলে মাথা চুবিয়ে দিয়েছে। সে হাঁসফাঁস করছে, অথচ মুক্তির পথ নেই। প্রথম প্রেম প্রত্যুষদার নাম্বার তার কাছে আছে। প্রত্যুষদার ফোন তাকে পেতেই হবে। কিন্তু যতবার সে ফোন করে, বলে ‘ফোন সুইচড অফ’। একদিন সে ফোন বাজল। একজন ধরল। প্রত্যুষদা তো নয়... কে সে?
প্লট ২। অপারেশন ট্রেইটর রাণা প্রফেশনাল কিলার। তাকে ঢাকা পাঠানো হল একজন বিশ্বাসঘাতককে নিকেশ করতে। ঢাকা পৌঁছে রাণা জড়িয়ে পড়তে লাগল একটার পর একটা ঘটনায়। শেষ অবধি রাণা কী করবে? অভীক দত্ত-র দুরন্ত কলমে আন্তর্জাতিক পটভূমিতে দুই প্লট মিলেমিশে রোমহর্ষক স্পাই থ্রিলার বিশ্বাসঘাতকের সন্ধানে।
মানব সমাজে অপরাধ নতুন কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু দিনে দিনে অপরাধের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যেমন ধর্ষণ এবং পারিবারিক নির্যাতন এক ভয়ঙ্কর অবস্থায় পৌঁছে যাচ্ছে। বিশেষ করে নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা ইদানীং মহামারী আকার ধারণ করেছে। এ নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও কঠোর সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে এর কোনো প্রতিকার হবে বলে মনে হচ্ছে না। নারী নির্যাতন মানবতার এক ভয়ংকর নিগ্রহ। সামাজিক অধঃপতনের চূড়ান্ত পর্যায়ে এদেশে এখন অহরহ ঘটছে নারী ও শিশু ধর্ষণ। বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের খবর সব সময় পত্রিকায় বেরুচ্ছে না। অথচ এই অসহায় নির্যাতিত নারী ও শিশুকে সমাজে অসতী বা খারাপ বলে গণ্য করে ধিক্কার দিচ্ছে সমাজপতিরা আর অপরদিকে ধর্ষণকারী বা নির্যাতনকারীরা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে। এমন কি যৌতুক, প্রেম প্রত্যাখ্যান, কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়া, স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়েতে অনুমতি না দেয়ায় নৃশংসভাবে হত্যা করাসহ জীবন ভর নারী বিনা অপরাধে শারীরিক ও মানসিক শাস্তি ভোগ করছে, কিন্তু কেন? চরম দারিদ্র্য আর সামাজিক ও পারিবারিক অত্যাচারের বলি হয়ে একজন মেয়েকে বাধ্য হয়ে বেছে নিতে হয় পতিতাবৃত্তির মতো ঘৃণ্য জীবন অথচ মেয়ে পতিতাকে ঘৃণা করে সবাই কিন্তু পুরুষ পতিতারা (যারা মেয়ে পতিতার কাছে যায়) সমাজে সবার চোখে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই। চোরের মার বড় গলা’র মতো তারাই মেয়ে পতিতাদের গালি দিচ্ছে এবং ফতোয়া দিয়ে উচ্ছেদ করে পুণ্যবান হয়।বাংলাদেশে পরিবারের মধ্যে বিশেষত স্বামীর মাধ্যমে নারী নির্যাতনের যে চিত্র তা বেশ ভয়াবহ।শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ বিভিন্ন ধরণের নির্যাতনের মধ্যেই দিনের পর দিন অনেকেই জীবন পার করলেও এ নিয়ে অভিযোগ বা প্রতিবাদের চিত্র খুব একটা দেখা যায় না।এ নিয়ে সচেতনতাও কম। আবার নিজ পরিবারেও নির্যাতনের মুখে পড়েন অনেকে।এই অনেক মেয়েদের মধ্যে নির্যাতিত রুমাও একজন ,যাকে আমরা দেখতে পাই "বিশ্বাসঘাতকের সন্ধানে বইটিতে। যাই হোক আমি যেই বই নিয়ে কথা বলছি ,লেখক অভীক দত্তের "বিশ্বাসঘাতকের সন্ধানে।" এটি একটি স্পাই থ্রিলার।
▪️প্লটঃ- সাধারণত সব বইয়েই যে কোনো একটি প্লট নিয়ে লিখা হয়ে থাকে কিন্তু মজার বিষয় হলো বিশ্বাসঘাতকের সন্ধানে বইয়ে মূলত প্লট দুইটি এবং প্লট দুটো দুই নামে নামকরণ করা হয়েছে।প্রথম প্লট "দিন প্রতিদিন এবং দ্বিতীয় "অপারেশন ট্রেইটর"। প্রথম গল্পের শুরুতে এক দম্পত্তিকে যতটুকু পড়ছিলাম তাদেরকে বেশ সুখী মনে হচ্ছিলো তবে আস্তে আস্তে যখন গল্পের ভেতরে এগুচ্ছিলাম তখন আর বুঝতে বাকি রইলো না কোনো কিছুই।বুঝে গেলাম লোক দেখানো সুখীভাব আর ভিতরে ভিতরে ঢুকরে মরা এক অসহায় গৃহবধূর গল্প এটা। নিজ পরিবার যখন রুমাকে বোঝা মনে করে তার কথা কোনোটাই বিশ্বাস করেনা, মেয়েটার মাথার উপর একটা ভরসার ছায়াও নেই অপরদিকে পশু স্বামীর নানান ধরনের অত্যাচার ,যে কিনা চিন্তায় বিভোর হয়ে থাকে নিজের বৌ'কে নতুন কোন পদ্ধতিতে অত্যাচার করা যাবে?আর রুমা বেচারি কি যে অসহনীয় দিন পার করছিল।দিনের পর দিন রুমা এটাই ভাবতো দিব্যেন্দুর হাত থেকে সে কিভাবে মুক্তি পাবে?দিব্যেন্দুর কথা নিজ পরিবারকে জানিয়েও রুমা কোনো গতি করতে পারেনি ওল্টো রুমার পরিবার এসব কিছুই বিশ্বাস করেনি।নিজের মুক্তি পাবার আশা যেখানে থেমে গেলো ঠিক তখনই রুমা নতুন এক আশার আলো খুঁজে পেলো।তবে সে আলো কেমন ছিলো? ভালো নাকি খারাপ? নাকি এই আলোই আবার রুমাকে নিয়ে ঠেলে ফেলে দিল ঘন অমাবস্যায়?
▪️প্লট ২(অপারেশন ট্রেইটর): দেশে আই এস এর এজেন্ট ছড়িয়ে পরছে চারদিকে। কোনো চক্র চাচ্ছে বাংলাদেশটাকে পাকিস্তান হিসেবে গড়ে তুলতে। চাইল্ড ট্রাফিকিং দিয়েই শুরু করেছিলো।দেশের বিভিন্ন জায়গায় বোম ব্লাস্টের পরিকল্পনায় মেতে ছিলো তারা।কিছু মানুষ দেশের মানুষ হয়েই দেশের ক্ষতি করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলো আবার কেউ কেউ ইন্ডিয়া থেকে লোক ইনক্লুড করছে এ দেশকে রক্ষা করতে।কিছু মানুষ দেশের বিরুদ্ধে আবার কিছু মানুষ জীবন দিয়েও দেশকে রক্ষা করার একটা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলো নীরবে।দেশের শত্রুদের আটক করার কিংবা বিশ্বাসঘাতকের সন্ধানে নেমে পরেছিলো তারা।কিন্তু একি কান্ড!হুট করে আমরা দেখতে পাই এই প্লটে রুমা এসে উপস্থিত।কিন্তু কিভাবে?
▪️পাঠ- প্রতিক্রিয়াঃ সত্যি কথা বলতে গেলে আমার এই লেখকের বই আগে কখনোই পড়া হয়নি।লেখক অভীক দত্তের লেখার সাথে পরিচয় আমার এই বইয়ের মাধ্যমে এবং এই বই পড়ে শেষ করার পর সিদ্ধান্ত নিলাম লেখকের অন্য বই থাকলে খুঁজে বের করে অবশ্যই পড়বো।আমার থ্রিলার পড়তে বেশ মজা লাগে আর এই বইতো সাসপেন্সে ভরা। প্লট দু'টো হওয়ায় বইয়ে অনেক বেশিই সাসপেন্স রয়েছে যা বইটা টান টান উত্তেজনার মাধ্যমে শেষ করতে পেরেছি। বইয়ের শুরু থেকে শেষ অব্দি পুরোটা সময় আপনার মনোযোগ কেড়ে নিবে এই বই।প্রথম থেকেই কি যে ভয়ংকর ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সে ভরা এই বইটা। দুই প্লট মিলেমিশে দারুণ এক লোমহর্ষক স্পাই থ্রিলার এটি। থ্রিলার কল্পকাহিনীর একটি ধারা যেখানে অপরাধ , হরর এবং গোয়েন্দা কল্পকাহিনী সহ অসংখ্য, প্রায়শই ওভারল্যাপিং, সাবজেনার রয়েছে । থ্রিলারদের বৈশিষ্ট্য এবং সংজ্ঞায়িত করা হয় তারা যে মেজাজগুলি প্রকাশ করে, তাদের শ্রোতাদের সাসপেন্স , উত্তেজনা , বিস্ময় , প্রত্যাশা এবং উদ্বেগের উচ্চতর অনুভূতি দেয়। যা এই বই আমাকে দিয়েছে।একটি থ্রিলার সাধারণত তার শ্রোতাদের "তাদের আসনের প্রান্তে রাখে কারণ প্লটটি একটি ক্লাইম্যাক্সের দিকে তৈরি হয় । গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কভার আপ একটি সাধারণ উপাদান। প্লট টুইস্ট ছিলো দুর্দান্ত এবং লেখকের গল্প বলার ধরণটা ছিলো সাবলীল। পড়তে একদমই কোনো অসুবিধে হয়নি। তবে যে জায়গায় একটু বিরক্তি লেগেছে অসংখ্য চরিত্রের আর্বিভাব আবার কখনো একই চরিত্রের ডাবল নাম মাঝে মাঝে গুলিয়ে ফেলতাম। আর বইয়ের প্রচ্ছদটাও গল্পের মত দারুণ। বই বাধাই ,বইয়ের কাগজের মান বেশ উন্নত।
⛳ কি ভাবছেন বইটা কেমন হবে? বইটা কি কেনা যাবে? কী আছে এই বইতে? আসুন দেখে নিই.......
🍃📖সদ্য পড়ে শেষ করলাম সাহিত্যিক অভীক দত্ত মহাশয়ের লেখা 'বিশ্বাসঘাতকের সন্ধানে' উপন্যাসটি। উপন্যাসের শুরুতেই দেখা যায় এক অত্যাচারিত নারীর। আমরা বাস্তব এ দেখি নারীদের ওপরে অত্যাচার, খুবই খারাপ লাগে। যখন কোন নারীকে অত্যাচারিত হতে দেখি। আসলে এই নারীই তো আমাদের সকলের উর্দ্ধে। আসুন দেখে নিই কি ঘটতে চলেছে এই উপন্যাসে...........
🍃📖বাড়ির মতামতে দিব্যেন্দুকে বিয়ে করে রুমা। বিয়ের পরে প্রথম প্রথম সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল কিন্তু যতো দিন গড়িয়েছে দিব্যেন্দুর আসল রূপ বেড়িয়ে এসেছে। দিব্যেন্দুর সাথে সংসার করতে করতে রুমা যেন হাঁফিয়ে উঠেছে। প্রতিদিনের অত্যাচার সে আর মেনে নিতে পারছেনা। রুমা একদিন তার মাকে বলে দিব্যেন্দুর কথা, রুমার মা বলে মেয়েদের মানিয়ে নিয়েই থাকতে হয় রে মা দেখবি একদিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। সত্যিই কি একদিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে? এই ভাবে চলতে চলতে একদিন রুমার প্রথম প্রেম প্রত্যুষদার কথা মনে পড়লো। প্রত্যুষদার সাথে কোনভাবে যোগাযোগ করতেই হবে। কিন্তু কথায় আছে যখন সময় খারাপ যায় তখন সবদিক থেকেই কোনঠাসা হতে হয়। রুমা প্রত্যুষদাকে যতোবারই ফোন করে,বলে ফোন সুইচড অফ্। হঠাৎ একদিন ফোনে রিং হলো প্রত্যুষদার একজন ফোন ধরলো। প্রত্যুষদা তো নয় ....কে সে ? এক রাতে দিব্যেন্দু দেখে রুমা বাড়িতে নেই। সে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেরে চলে গেছে। কোথায় গেল রুমা ....কার সাথে গেল? দিব্যেন্দুর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে বাড়ি ছেরে বেড়িয়ে গেল। নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো রহস্য? রুমা কি পাবে মুক্তি ?
🍃📖অন্যদিকে পরিচয় হলো এণাক্ষীর সাথে। খুব ভাগ্যবতী এই মহিলা স্বামী অরিত্র খুব ভালোবাসে কখনো চোখের আড়াল করেনা। এণাক্ষী ভীষন জেদী। টিভিসিরিয়ালে অভিনয় করা নিয়ে একদিন অশান্তি শুরু হলো অরিত্র চায়না এণাক্ষী এই ধরনের কাজ করুক। এণাক্ষী অরিত্র কথা না শুনে একদিন রাতে বাড়ি ছাড়লো। কোথায় গেল এণাক্ষী ? অনেক খোঁজাখুঁজি করেও অরিত্র এণাক্ষীকে কোথাও পেল না। অবশেষে থানায় রিপোট করলো...... এণাক্ষীকে কি অরিত্র খুঁজে পাবে শেষ পর্যন্ত?
🍃📖এই উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র প্রফেশনাল কিলার ‘রাণা’। তাকে ঢাকা পাঠানো হল একজন বিশ্বাসঘাতক কে নিকেশ করতে। কে পাঠালেন রাণাকে ঢাকা? ঢাকা পৌঁছে রাণা জড়িয়ে পড়তে লাগল একটার পর একটা ঘটনায়। শেষ অবধি রাণা কি করবে? তাকে কোন উদ্দেশ্য এর জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছিলো? এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে বইয়ের পাতায়। জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে এই উপন্যাস.........
✍🏻⛳ব্যক্তিগত মতামত বইটি দুটি খন্ডে বিভক্ত, 🔞 লেখা। উপন্যাসটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। এখানে একটা কথা বলতেই হয় নানান ধরনের লেখা হয়। কিছু লেখার মধ্যে পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলি সরাসরি দেখা যায় না। সেই সঙ্গে লেখকের চিন্তাধারার মিশেল ঘটে লেখাটিকে একটা আলাদা মাত্রা দেয়। লেখকের চিন্তাধারার মধ্যে দিয়ে ঘটনাবলি যখন পাঠকের চোখের সামনে হেঁটে চলে বেড়ায়, তখনই সেই লেখা পাঠকের মনে রসের সঞ্চার করে। পুরো উপন্যাস জুড়ে লেখক প্রত্যেকটি চরিত্রকে সুনিপুণ হাতে বিশ্লেষণ করেছেন। যেটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। লেখকের লেখনীশৈলী ভীষণ ভালো। বইটি হার্ড কভার, ভালো কাগজ, ঝকঝকে ছাপা ও আকর্ষণীয় প্রচ্ছদ সমৃদ্ধ। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার লেখার দীর্ঘায়ু কামনা করি। ভালো থাকবেন........
প্রকৃত বাস্তব কথা 👇🏻 📍সবার কি আর সে ভাগ্য হয়? কেউ অনেক টাকা রোজগার করে দামি বাড়ি বানিয়েও শান্তিতে থাকতে পারে না। কেউ কম টাকা রোজগার করে ভাড়ার ঝুপড়িতে থেকেও সুখী।
📥🗒️2024 Book Review ~ 53 যদি এই বইটি পূর্বেই কেউ পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের ব্যক্তিগত মতামত জানাবেন। এছাড়াও আমার রিভিউ কেমন লাগছে সেটাও জানাবেন নিচের কমেন্ট বক্সে। যদি কিছু ভুল ত্রুটি হয় সেটাও জানতে ভুলবেননা। 🍀 আবারো দেখা হবে পরের রিভিউতে। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন আর অনেক অনেক বই পড়ুন। 🙂 🙏🏻 !! ধন্যবাদ !! 🙏🏻
🔹অভীক দত্ত এর কলমে এক অনবদ্য স্পাই থ্রিলার। বইটি লাস্ট বইমেলা থেকে কিনেছিলাম । বাজ এর বইগুলির ক্রোনোলজি ওয়াইস যদিও এটি শেষ বই তবুও এটিই আগে পড়লাম, ব্লু ফ্লাওয়ার ও বাজ সিরিজ ১ এর আগে।
🔹পাঠ প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে এই বইটি কেনার একটা মজার গল্প বলি। গত বইমেলা তে পত্রভারতী এর ষ্টল এ ঘুরছি। হটাৎ একজন ক্রেতা এসে বললেন নারায়ণ সান্যাল এর বিশ্বাসঘাতক আছে? স্টলের দাদা ও সেলস প্রিচ দিয়ে দিলেন। বলল ওটা আমাদের এখানে নেই তবে এটা আছে (বিশ্বাসঘাতকের সন্ধানে), দারুণ সেল হচ্ছে। সেই দেখে বইটি হাত এ নিই, ব্লার্ব পড়ে ভালো লাগায় কিনে নিই।
🍂এবার আসি বইটা পড়ে আমার কেমন লাগল সে কথায়। এই সম্পূর্ণ উপন্যাসটি দুটি প্লট এ ভাগ কড়া। দিনপ্রতিদিন ও অপারেশন ট্রেইটর। প্রথম প্লট এ তিনি এই গল্পের একটা পটভূমি তৈরি করেছেন। রুমা ও দিব্যেন্দু এর কাহিনী, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এর কাহিনী। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নিয়ে যা বর্ণনা আছে সেসব পড়লে তড়াক করে নিজের ই মাথা গরম হয়ে যাবে। একদম রিয়ালিস্টিক ভাবে সব কিছু লেখক ফুটিয়ে তুলেছে নিজের কলমের ছোঁয়ায়। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল উঠে গিয়ে দুম করে কেলিয়ে আসি দিব্যেন্দু কে, তবে নিজে কেলাতে না পারলেও লেখক গল্পের মধ্যেই এই সাধ পূরণ করে দিয়েছেন। তবে প্রথম প্লট টা পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিল এই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এর কিছু সিন বা বর্ণনা রিপিট হয়েছে, মানে ওই যাকে ড্র্যাগ করা বলে আর কী। প্লট এষ্টেবলিশ করতে গিয়ে বড্ড বেশি টানাটানি হয়ে গেছে আর কী। আর প্লট ১ টা যখন এন্ড হচ্ছে একটা এক্সাইটমেন্ট তৈরি হয়েও যেন নিভে গেছে মনে হলো।
যাইহোক প্লট ১ শেষ করে প্লট ২ (অপারেশন ট্রেইটর) স্টার্ট করলাম। প্রফেশনাল কিলার রানা কে পাঠানো হয়েছে ঢাকা তে।কিন্তু কেন ? কাকে মারতে রানা কে বাংলাদেশ যেতে হলো। এই প্লট এর ও শুরুতে তেমন কোনো এক্সাইটমেন্ট পাচ্ছিলাম না। আমি ভাবছি আমি কী বই পড়ার মুড এ নেই না বইটা পড়তে ইচ্ছা করছে না। না লেখক অভীক দত্ত নয়, অন্য কাউ কে দিয়ে লেখানো। খুব রাগ ও হচ্ছিল লেখক এর ওপর(বলে রাখি আমি লেখকের লেখার খুব বড় ফ্যান)। শেষ মেশ জোর করেই পাতা ওল্টালাম এবং আস্তে আস্তে উত্তেজনা বাড়তে থাকল। মোটামুটি ৭০% গল্পের পর থেকে আসল স্পাইথ্রিলার এর মজা শুরু। সোজা বাংলাতে অ্যাকশন শুরু যাকে বলে। মার কাটারি সব সিন। যেন মনে হচ্ছে প্রাইম এ বা নেটফ্লিক্স এ কোন ওয়েব সিরিজ দেখছি। রুদ্ধশাস অ্যাকশন এন্ড হোয়াট এ এন্ডিং। এতো ভালভাবে সব জটলা গুলো কী সুন্দর মেলানো হয়েছে। তবে গল্প বুঝতে একটুও বেগ পেতে হবে না খুব সহজ সরল লেখা, পাতার পর পাতা ওল্টানো এর মতো। গল্প টা শেষ করে একটা ঘোর এর মধ্যে ছিলাম। মানে এই বইটা শেষ করে পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তাই মাঝে আর একটা উপন্যাস শেষ করে এটা লিখতে বসলাম। অভীক দত্ত আপনি গুরুদেব 🙏🏻
‼️যারা গল্পটি পড়েননি এর পরে আর পড়বেন না।
#হালকা_স্পয়েলর
🔹বলছিলাম না এই বইটি এর শেষটা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল যেন একটা ওয়েব সিরিজ দেখছি। আর একটা লাইন এ তো পুরো চমকে গেছি - “আদর করে আপনার দেশের লোকেরা আমায় বাজ বলে” । উফ্ফ আলাদাই ভাইব এন্ড স্যাটিসফ্যাক্সন। মনে হচ্ছে SRK ডায়লগ টা বলছে ❤️। আমি তো বইটা পড়ে ক্যারেক্টার কাস্টিং ও করে ফেলেছি মনে মনে 😅 - অমল - SRK রানা - ভিকি কৌশল রুমা - আলিয়া ভাট
This entire review has been hidden because of spoilers.
The story was so convulated that by the time it resolved itself, I just did not care. There was a mystery element in this thriller which was done competently but otherwise it was a bland book.