Jump to ratings and reviews
Rate this book

খনামিহিরের ঢিপি

Rate this book
খনামিহিরের ঢিপি খুব জটিল দূর অতীত, প্রাগৈতিহাসিক অতীত, ও বর্তমান সময়ের বিভিন্ন প্রজন্মের ভাঁজ খুলে খুলে দেখতে চাওয়ার কাহিনী। আদিম অরণ্যের জীবন থেকে উঠে এসেছে মাতঙ্গী, রঙ্কা, মধুরা, নিমেষ, ভগ, অর্যমা। সমসময়ের প্রতিনিধি রঞ্জা, ঈশা, নিশীথ, সুবীর। এদেরকে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে কাহিনী। গল্পের আশ্চর্য নির্মিতী ও মন্থনে উছলে উঠেছে প্রশ্নের পর প্রশ্ন। লিঙ্গ বিভাজন কেন, কবে থেকে, কী রকম? ভয়াবহ এর ইতিহাস, ক্রমবিকাশের ধারা। ভয়াবহ এখনকার স্বরূপ। মেয়েদের জন্য সে-সব নীতি-নিয়ম মূল্যবোধ আলাদা করে তৈরি করে যুগের পর যুগ তাদের ওপর, সমাজের ওপর চাপানো হয়েছে। মগজধোলাই করা হয়েছে। তার চেহারাটা যেমন স্থূল, তেমনই সূক্ষ্ম। একই সমাজে পুরুষের জন্য এক নীতি মেয়েদের জন্য আরেক এবং সে নীতির চাহিদা অতর্কিতে বদলে যায়। যখন যেমন বলছে তেমন করে তৈরি হতে হবে মেয়েদের। এই বলছে সুন্দরী, শান্তস্বভাব বিশিষ্ট ঘরোয়া পাত্রী চাই, সে পাত্রী পেল তো তার চাহিদা বদলে গেল, উপার্জন করো, নানা গুণ অর্জন করো, নইলে মার খাও। এই স্বৈরাচারী পুরুষ-চরিত্র ও পারিবারিক হিংসার চিত্র তুলে ধরেছেন লেখিকা। দেখিয়েছেন সতীদাহের অন্তর্গত ক্রুর বর্বরতা এখনও পরিবারে পরিবারে চালিয়ে যাচ্ছে উচ্চশিক্ষিত পদস্থ মানুষও। সমাধান কোথায়, কোন ভ্রান্তির কারণে মানবজাতি সভ্য হতে পারছে না? উত্তর খুঁজেছেন লেখিকা।

235 pages, Hardcover

First published January 1, 2007

3 people are currently reading
112 people want to read

About the author

Bani Basu

87 books113 followers
Bani Basu is a Bengali Indian author, essayist, critic and poet. She was educated at the well-known Scottish Church College and at the University of Calcutta.

She began her career as a novelist with the publication of Janmabhoomi Matribhoomi. A prolific writer, her novels have been regularly published in Desh, the premier literary journal of Bengal. Her major works include Swet Patharer Thaala (The Marble Salver), Ekushe Paa (twenty One Steps), Maitreya Jataka (published as The Birth of the Maitreya by Stree), Gandharvi, Pancham Purush (The Fifth Man, or Fifth Generation?) and Ashtam Garbha (The Eighth Pregnancy). She was awarded the Tarashankar Award for Antarghaat (Treason), and the Ananda Purashkar for Maitreya Jataka. She is also the recipient of the Sushila Devi Birla Award and the Sahitya Setu Puraskar. She translates extensively into Bangla and writes essays, short stories and poetry.

Bani Basu has been conferred upon Sahitya Academy Award 2010, one of India's highest literary awards, for her contribution to Bengali literature.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
20 (29%)
4 stars
25 (37%)
3 stars
14 (20%)
2 stars
7 (10%)
1 star
1 (1%)
Displaying 1 - 7 of 7 reviews
Profile Image for Harun Ahmed.
1,656 reviews419 followers
September 15, 2022
গল্পের একদিকে আছে এক পরিবারের চার নারী,
চার প্রজন্মের। অন্যদিকে আছে শিকার ও সমতাভিত্তিক আদিম সমাজের এক নারী।আলাদা সময়, আলাদা গল্প, তবু তাদের ভাগ্য কেন যেন একই সূত্রে গাঁথা। গল্পের মূলসূত্র ধরে রেখেছে খনামিহিরের ঢিপি।সেই খনা যাকে স্বামী আর শ্বশুরের চেয়ে বেশি পাণ্ডিত্য দেখানোয় রোষের কবলে পড়তে হয়েছে। কেটে নেওয়া হয়েছে তার জিভ( না তিনি নিজেই প্রতিবাদস্বরূপ কেটে ফেলেছিলেন?) ঢিপিটা স্বামী স্ত্রী মিহির আর খনা দুজনের নামে, দুজনের সমমর্যাদার প্রতীক হিসেবে নির্মিত। অথচ একজনকেই শুধু নিজের যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে হয়, একজনকেই শুধু বারবার প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। প্রশ্নগুলোর ধরন আলাদা, মেজাজ আলাদা কিন্তু লক্ষ্যবস্তু এক ও অভিন্ন - নারী। প্রাচীন যুগের নারী রঙ্কাকে যে ফাঁদ - যে যন্ত্রণায় পড়তে হয়েছে; সেই একই ফাঁদ - একই যন্ত্রণায় কেন পড়তে হচ্ছে রঞ্জা আর ঈশাকে?একবিংশ শতাব্দীতে এসেও? প্রশ্নের উত্তর খুব গভীরভাবে খুঁজতে হবে বৈকি!
Profile Image for হাসান নাহিয়ান নোবেল.
105 reviews169 followers
June 6, 2018
হাতপাঅলা কিছু বই আছে—যেগুলোর পৃষ্ঠা থেকে লম্বা একেকটা হাত বেরিয়ে আসে, এবং গালের মধ্যে চটাস করে চড় কষিয়ে আবার ঢুকে যায়। বাণী বসুর অনধিক আড়াইশো পৃষ্ঠার এই বইয়ের কম করে হলেও দেড়শোখানা হাত—হাতই বা বলি কী করে—থাবা একেকটা—সুতরাং শেষ করার পর মাথা খানিকটা ঝিমঝিমই করছে।

এ বই পর্যালোচনা করার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার হল, বইয়ের লেখক একজন প্রবীণ ভদ্রমহিলা। বিপরীতক্রমে আমি তরুণ এবং ছেলে। অর্থাৎ অন্তত দুটো অর্থে আমার চাইতে ভিন্ন একজন ব্যক্তির লেখা আমি পড়ছি, এবং স্বাভাবিকভাবেই, আমার বিপরীত দুটো দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যগুলো উপলব্ধি করতে পারছি।

উপলব্ধির জায়গাটা এখানে লক্ষ্যণীয়, কারণ আমরা খুব বেশি নারী সাহিত্যিক পাইনি (বিশ্বসাহিত্যই বা ক’টা পেয়েছে!)—সুতরাং একটা সময়ের সাহিত্য যখন সেই সময়ের লিখিত দলিল হিসেবে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে গেছে—সেই দলিলে পুরুষতান্ত্রিকতার প্রভাবটাও খুব ভালোমতই থেকে গেছে। উফ, একটা শেক্‌সপিয়ারে হাত দিয়েই তো আমি আর সেই ভয়াবহ উক্তি ভুলতে পারি না, ম্যাকবেথ তার স্ত্রীকে বলছে, ‘ওয়াও জা-আ-ন, তুমি তো অনেক জোস? দোয়া করি তোমার কেবল ছেলেই হবে, কারণ তোমার কথাবার্তায় যেই সাহস দেখছি, তাতে কোনো মেয়ের জন্ম দেয়া তোমার সাজে না!’

দিনে দিনে আমার এই বিশ্বাসটা জন্মে যাচ্ছে যে, একটা ছেলে হয়তো অনেকভাবেই লেখার চেষ্টা করতে পারবে, গোর্কি সাহেবের মত কথায় কথায় মাকে কাঁদিয়ে একাকার করতে পারবে, আবার আনিস সাহেবের মত প্রবল ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মাকেও দেখাতে পারবে, কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নারীদের অনুভূতিটুকু যত সাবলীলভাবে একজন মেয়ে প্রকাশ করতে পারে—সেটা কোনো ছেলে এতখানি সহজে পারবে না। সমাজ যে শিকল পরিয়ে রাখে—সেটার ঝনঝন শব্দ স্পষ্ট শোনা যায় বাণী বসু, সেলিনা হোসেনদের লেখায়। শব্দটা প্রথমত কানে বাজে, এরপর বুকে। আমরা বিহ্বল হয়ে বলি, কী হল কী হল, এবং কিছু বোঝার আগেই পৃষ্ঠা থেকে প্রমাণ আকৃতির একটা হাত বেরিয়ে আসে, দেয় একটা চড়। আমার মাথাটা—

যাকগে।

বাণী বসুর সত্য প্রকাশের ধরনটা সোজাসুজি। যেন বলছেন, প্রিয় তরুণ, তুমি কী ভাবছো আমি জানি! অমনটা আমিও ভেবেছিলাম, হরমোনের প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একটা বয়সে সবাই ভাবে, কিন্তু দিনশেষে তমুক ব্যাপারটা সত্যি হয়ে যায়।

এই শুনে তরুণেরা চুপ হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কী করতে পারে!

তবে ভাবটুকু ভাষায় প্রকাশের দিক দিয়ে আমি বাণী বসুকে শক্তিশালী বলতে রাজি নই। বইয়ের প্রথম ক’পৃষ্ঠা রীতিমত হিমশিম খেতে হয় কী ঘটছে সেটা বোঝার জন্য। লেখক যে আগ্রহভরে লিখে গেছেন সেটা বোঝা গেছে, কিন্তু পাঠকের কাছে পৌঁছাবার জন্য কেবল মনের খসড়া কথাটা সরাসরি লিখে ফেললেই হয় না—সেটাকে এদিক-ওদিক করে একটু সাজিয়ে নিতে হয়।

যদিও স্বীকার্য, বাণী বসুর ভাবটুকু একবার ধরে ফেলতে পারলে ভাষাটা অন্তর পর্যন্ত সহজেই পৌঁছায়।

এ বইয়ের ক্ষেত্রে খেয়াল করার মত আরেকটা ব্যাপার হল, আনন্দ পাবলিশার্স বইয়ের ফ্ল্যাপে বলছে, লেখক খুঁজে দেখতে চেয়েছেন লিঙ্গ বিভাজন কবে থেকে, কেন, কীভাবে হল। আমার কিন্তু তা মনে হয় না। বিভাজনের পুরো ইতিহাসটা নিশ্চয়ই কেবল বইয়ে লেখা একটা ঘটনার উপর ভিত্তি করেই দাঁড়ায়নি। আমি বিশ্বাস করি, লেখক ছেলে-মেয়ে বিভাজনের কারণ মোটেও খুঁজতে যাননি—তিনি দেখাতে চেয়েছেন এর ফলাফলটুকু—আদিম কাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত। এবং সেটা করতে গিয়েই আদিম প্রেক্ষাপটের একটা গল্প উদাহরণ হিসেবে এনেছেন কেবল।

অবশ্য, কট্টরবাদী হলে এক বাক্যে বলতে পারতাম, বাণী বসু তো স্যাপিয়েন্স পড়েননি, তিনি আর কী জানেন নারী-পুরুষ বিভাজনের!

তবে এখানেও স্যাপিয়েন্সের মতই বায়াজ করার একটা ব্যাপার চলে আসে। কেবল বাণী বসুকেই সময়ের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে নিলে কিন্তু খুব বড় একটা ভুল করা হবে। এই যেমন অঞ্জন শুনলে মনে হয়, প্রতিটা ছেলের ভেতরেই চলছে হাহাকার, কেননা তাদের হিমালয়ে ওঠার সাধ পূর্ণ হয় না এবং ভালোবাসার মেয়েটা পয়সার টানে ববি রায়ের ঘরে চলে যায়—তেমনই বাণী বসু পড়লেও মনে হতে পারে, দেশের সব মেয়েই খুব ভয়ংকর একটা জীবন পার করে চলেছে। কেন এর বিপরীতধর্মী গান কিংবা লেখা তুলনামূলকভাবে কম—তার কারণটাও হয়তো স্বাভাবিক—যে ছেলেটা প্রিয় মানুষকে চিরজীবনের মত পাশে পায়—তার হয়তো গান লেখার আর প্রয়োজন পড়ে না। কেনই বা লিখবে, স্বর্গ তো হাতে পেয়েই গেছে—‘O, Wilderness were Paradise enow!’

সবশেষে সুরভী আন্টির প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। বাইশ বছর বয়সে এসে বইটা পড়া জরুরি ছিলো। আমরা নিৎসে, কাফকা—প্রভূত দশটি-মজার-কোট-সমৃদ্ধ-ব্যক্তির প্রতি মনোযোগী হয়ে যাবার পর আন্টির মনে হয়েছিল, কিছু বই পড়া আমাদের এখনও বাকি রয়ে গেছে। খনামিহিরের ঢিপি পাঠানোর আগে বলেছিলেন, ‘আগে নিজেকে চিনতে চেষ্টা কর, এরপর বিশ্বোদ্ধার করিস!’

কথাটা কতখানি মর্মভেদী ছিলো—সেটা বুঝেছি বইটা শেষ করার পর। খনামিহিরের ঢিপিতে এমন কিছু আছে—যেটা স্যাপিয়েন্স শত খুঁড়লেও পাওয়া যাবে না।
Profile Image for Anik Chowdhury.
175 reviews36 followers
September 12, 2022
দুইটি সময়রেখা নিয়ে তৈরি গল্পগুলো বেশ ভালো লাগে আমার। লেখিকার খনামিহিরের ঢিপি বইটিও তেমনই একটি বই। যদিও গল্পের মূলে নারী এবং নারী শক্তির অগ্রগতি। সেই আদিম কাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের পর্যন্ত। কেন যেন লেখিকা বর্তমান সময়টাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, সে তুলনায় অতীতের সময় রেখায় চলা গল্পটিকে তেমন একটা প্রাধান্য দিতে চাননি। অনেকটা যেন বর্তমানকে অতীতের সাথে মেলানোর একটা সুক্ষ্মভাবে রেখা টেনে এনেছেন। মূল চরিত্র খনা সারা বইতে না থেকেও বিরাজ করছিলো অনেকটা জুড়ে। বর্তমান সময়রেখায় চারটা জেনারেশনের নারীর লড়াইয়ের বিষয়টা নাড়া দিয়ে যায়। পরিবারকে আগলে রাখার মায়েদের যে সহজাত প্রবৃত্তি তা পাঠককে ভাবাবে। তবে মাঝে মাঝে লেখিকার বর্ণনা অতিরঞ্জিত ঠেকছে।

রেটিং ৩.৫/৫
Profile Image for Sujit Arjun.
45 reviews1 follower
August 5, 2025
সেকাল বা একাল ,নারীর যে অপরিসীম কর্তব্য ,দায়িত্ব তার পরিস্ফুরণ সর্বত্র। কিন্তু আমর��� তাকেই অস্বীকার করি ,কখনো বা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি না। যার ভার বহন করতে হয়,জীবনের শেষ পর্যন্ত ।
নারীদের অবজ্ঞা হয়তো করা হয় না,কিন্তু তাদের যে প্রকৃত সম্মাননা ,শ্রদ্ধা, তা কি প্রদান করা হয়!
মাতঙ্গী-হয়ে রঙ্কা সেখান থেকে মধুরা-রঙ্কা যুগলবন্দী, বা এ সময়ের সর্বমঙ্গলা ঠাকরুন-থেকে বেদবতী, রঞ্জাবতী থেকে ঈশা হয়ে শায়রী , একেক জনের সঙ্গে কল্পিত বটবৃক্ষ। খনা-মিহিরের ঢিপি আর জীবন্ত জিহ্বা ,মৃত মানুষের হাতছানি!
সুবীর, নিশীথ অথবা সে সময়ের নিমেষ পুরুষতান্ত্রিকতার এক প্রবল উচ্ছ্বাস ,যেখানে বাদ পড়েনি কোনো নারী ,তারাও বহন করেছে ।

সব মিলিয়ে এই কাহিনী ভাবিয়ে তুলবে সামাজিক ক্ষয় ,ভিতরে জাগিয়ে তুলবে চেতনা।
Profile Image for Khyati.
230 reviews1 follower
December 11, 2022
The novel won Sahitya Akademi Award in 2010 under Bengali language and was later translated in English by Arunava Sinha.

The narrative starts with an exploration around Khauna Mihir's Mound and alternates between a primitive time where women used to lead the community, practised equality and how this right was seized by men to present day life of women of four generations where nothing much has changed. The lives they live is still governed by stereotypical gender laws.

The lives of these women are compared to that of Khauna, a learned women who was forcibly silenced because she turned out to be more informed than her father-in-law and husband.

From primeval India to modern times, women face the same questions, their tongues are still cut off (not literally); however the methodology is different. I have read many books on the subject, i am familiar with the treatment and language so it wasn't a revelation or something i was blown away with.

I knew the women, i knew hows and whys of their decisions and characteristic features; this is the reason i found it an average as i didn't encountered any uniqueness.

But I LOVED THE WRITING. It is so effortless, profound and firm that despite not enjoying it thoroughly, i wish to explore Bani Basu's other works. Her treatment with subject is gripping and this made me continue reading the book.

The translation by Arunava Sinha is impeccable because he kept the essence of regional language intact while simultaneously keeping it universal.

I would recommend it to readers who are familiar with Bani Basu's works and haven't read much on gender inequality.
Profile Image for Soumyabrata Sarkar.
238 reviews40 followers
September 24, 2016
Ancient Times. Humankind was bound to wildlife, and was coming to the age of civilisation by the use of fire, farming and wheel. Women are the one to control and caretake the whole lot. Both the norms and rules of society. Choosing her partner is also own decision. But, slowly the same is being transferred to the hands of the men. Matriarchy is losing humankind to patriatchy. Wheels of time are turning.
This novel is the webbed-hyperlinked stories of those heroines.
A noteworthy indeed. Recommended as a must-read.
Displaying 1 - 7 of 7 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.