Syed Waliullah was born on 15 August 1922 at Sholashahar in Chittagong. After completing his Bachelor’s from Ananda Mohan College in Mymensingh, he enrolled at Calcutta University but did not complete his Master’s. Proficient in both Bangla and English, he worked for the Statesman during 1945-1947. After the Partition, he moved to Dhaka and joined Radio Pakistan as assistant news editor. In 1950 he was posted to Radio Pakistan, Karachi. From 1951 to 1960 he served as press attache at Pakistan missions in New Delhi, Sydney, Jakarta and London. It was in Sydney that Waliullah met Anne-Marie Thibaud, whom he later married and who translated Lal Shalu into French. In 1960 Waliullah moved to Paris where he served as first secretary at the Pakistan Embassy till 1967 when he joined UNESCO. Syed Waliullah did not live to see the liberation of his motherland, passing away in Paris on 10 October 1971.
Syed Waliullah (Bengali: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ) is often considered the pioneer of existential analysis of the characters psyche and root cause analysis of social-psychic conflicts in the literature of Bangladesh. The last two of his three novels, specially Kando Nadi Kando, show his mastery in revealing the inner depths of his characters. Contemporary writer Shahidul Jahir was influenced by him.
Novels: লালসালু(Tree without roots), ১৯৪৮ চাঁদের অমাবস্যা (Dark moon), ১৯৬৪ কাঁদো নদী কাঁদো (Cry, o river), ১৯৬৮ The Ugly Asian, 1959
Play: বহিপীর (১৯৬০) তরঙ্গভঙ্গ (The Breakers), ১৯৬৫ সুড়ঙ্গ (১৯৬৪) উজানে মৃত্যু
Short story collection: নয়নচারা (১৯৫১) দুই তীর ও অনান্য গল্প (Akte Tulse Gaser Khine), ১৯৬৫
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বাংলা সাহিত্যের অত্যন্ত শক্তিমান আর বিরলপ্রজ লেখক। উনার লেখার চরিত্রদের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার বর্ণনা চমকপ্রদ । উনার গদ্য অতি সরলীকৃত নয় আবার খুব একটা জটিল ও নয়। বর্ণনার জালে বেশ একটা ঘোর সৃষ্টি করতে পারে উনার গদ্য।
দুই তীর ও অন্যান্য গল্প' গ্রন্থটি প্রকাশ হয় ১৯৬৫ সালে। বইটির জন্য ওয়ালীউল্লাহ আদমজী পুরষ্কার পান। এটি উনার দ্বিতীয় ও শেষ গল্পগ্রন্থ। ৯ টি অভিনব গল্প সংকলিত হয়েছে এই বইয়ে। যার মধ্যে এক দুটো গল্প প্রথমে ইংরেজি তে প্রকাশিত হয়েছিল, পরে উনি তর্জমা করে সংকলনে স্থান দেন।
দুই তীরের নাম গল্পটি একজন ব্যক্তির মানসিক অন্তর্দ্বন্দ্বের গল্প। বংশানুক্রমিক অহংকারের কাছে জীবনযুদ্ধে জয়ের কৃতিত্ব কেমন ম্লান হয়ে যায়, সেই গল্পই শুনিয়েছেন ওয়ালী।
'একটি তুলসী গাছের কাহিনী' অতি বিখ্যাত গল্পের একটি। তুলসী গাছটি একটি সময় আর অবস্থার বিশেষ প্রতীক।
পাগড়ী' গল্প খান বাহাদুর নামে এক সম্ভ্রান্তের গল্প যিনি বুড়ো বয়সে আবার বিয়ে করতে যান। সেই বিয়ের প্রেক্ষাপটে তার সন্তানদের প্রতিক্রিয়া, নিজের মনের অনুশোচনার প্রতীক হয়ে উঠে একটি পাগড়ি।
কেরায়া' গল্পটির আবহ পরাবাস্তব ধরণের।পুরো গল্পটি একটি ধূসর ত্রস্তময় বর্ণনায় বলা। মৃত্যকে পেরিয়ে জীবনের প্রতি নিঃস্পৃহতায় যাত্রা হচ্ছে কেরায়া গল্প।
নিস্ফল জীবন নিস্ফল যাত্রা ' একটি বিচিত্র গল্প।মৃত্যুর কাছাকাছি থাকা এক লোকের খেয়াল হয়, মৃত্যর আগে বন্ধু শত্রু সবার কাছে চাইবে।সে বেরিয়ে পরে ক্ষমাপ্রার্থনার নিস্ফল যাত্রায়!
গ্রীস্মের ছুটি ' কুসংস্কারের উদ্ভবজনিত গোপন গল্পের আভাস কিংবা প্রেক্ষাপট।
মালেকা ' গল্পের মালেকা গ্রাম ছেড়ে বেচেঁ থাকার নিমিত্তে একটি প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষিকার চাকরী নিয়ে শহরে আসে। প্রায়ই রোগেপড়ার কারনে স্কুলে আসা হয়না।একদিন মালেকার অনুপস্থিতি আর স্কুলের হেডমিস্ট্রেসের জীবনের এক ঘটনার সমান্তরালতায় ওয়ালীউল্লাহ তুলে এনেছেন জীবনের বিশেষ উপলব্ধির এক অংশ
স্তন' গল্পটি সবচেয়ে বিস্ময়কর লেগেছে আমার। এক মা'র মাতৃহীনা আরেক শিশুকে স্তন্যদানের আগের মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার গল্প।
মতিনউদ্দিনের প্রেম' গল্পে নিরীহ মতিনউদ্দিন স্বপ্নে দেখা এক বিচিত্র নারীর প্রেমে পড়ার গল্প। সেই প্রেম জীবনে আনে নিস্তব্ধতা, আবার ছেড়েও যায় হয়তো আরো কিছু রেখে!
বাংলা সাহিত্যে শক্তিমান লেখকের তালিকা করলে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ প্রথম সারিতেই থাকবেন। তার গল্পের চরিত্রদের মনস্তত্ত্ব বেশ জটিল৷ কেউ অহংকার, অনুশোচনা কিংবা আক্ষেপের দ্বন্দে ভুগে কাটিয়ে দেয় বাকি জীবন। আর তাদের গল্পগুলো খানিকটা জটিল ভাষায় প্যাকেজিং করেছেন তিনি।
সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহেরর গল্পগুলো বেশ গভীর। এই বইয়ের নাম গল্পটি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আর একটি তুলসি গাছের আত্মকাহিনী স্থান করে নিয়েছে আমার প্রিয় ছোট গল্পের তালিকায়।
দুই তীর: বইয়ের প্রথম গল্পটাই হলো এক ব্যক্তির মনের মাঝে চলা অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে। উত্তম বংশ পরিচয় থাকলেও আর্থিকভাবে কিছুটা দুর্বল থাকা ভালো নাকি বংশ পরিচয় অতো না থাকলেও অনেক বেশি টাকা পয়সা থাকা ভালো?
একটি তুলসীগাছের কাহিনী: বইয়ের দ্বিতীয় এই গল্পটি তো দেশভাগ নিয়ে লেখা ক্লাসিক একটি গল্প। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ'র অন্য লেখা কেউ না পড়লেও অন্তত এই গল্প আর লালসালুর জন্য ভদ্রলোককে অবশ্যই সবাই চিনবেন।
পাগড়ি: এক ভদ্রলোক হঠাৎ খেয়াল করলেন সারাটাজীবন সম্মান, টাকা আর সংসারের জন্যই করে গেলেন। নিজের সুখ-সুবিধা আর স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে খেয়াল করা হয়নি আর তাই পাঁচ সন্তান আর পাগলিনী স্ত্রীকে নিয়েই দিব্যি বেঁচেবর্তে আছেন ঠিক, কিন্তু ভালো নেই। আর তাই দ্বিতীয় বিয়ের জন্য মনস্থির করেন। প্রথম বিয়ের সময় টগবগে যে যুবক মাথায় পাগড়ি হাঁকিয়ে বীরের বেশে বিয়ে করতে গিয়েছিল, বুড়ো বয়সে সেই একই কাজ (বিয়ে করা) করা নিয়ে মনের মাঝে চলছে দ্বিধা। পাগড়িটা যেন সেই দ্বিধার প্রতীক। অসম্ভব সুন্দর একটা গল্প।
কেরায়া: এই গল্পটা একটু অন্যরকম। আমি সুররিয়েল কিংবা পরাবাস্তবতা এই টাইপ কঠিন কঠিন কথা বুঝি না। তবে গল্পটা মৃত্যুর জন্য অপেক্ষারত এক বৃদ্ধকে নিয়ে। সে নিজ গ্রামে, আত্মীয়পরিজনের কাছে যেয়ে মরতে চায় তাই বাজারের কাছে বেঁধে রাখা একটি কেরায়া নৌকায় উঠে পড়ে। মাঝিরা অপেক্ষা করে মাল নিয়ে নৌকা ছাড়বার আর বুড়ো অপেক্ষা করে মৃত্যুর। মরণের আগে বুড়োর ইলিউশান.. অন্তিম যাত্রা কিছুটা রূপক আকারে তুলে ধরেছেন এই গল্পে।
নিষ্ফল জীবন নিষ্ফল যাত্রা: এই গল্পটা অসম্ভব সুন্দর। জীবনের অর্থ নিয়ে আপনাকে ভাবাবে। এক বৃদ্ধ, যার ধারণা সে আর খুব বেশিদিন বাঁচবে না, একদিন বাসা বেড়িয়ে পড়ে খুব বিচিত্র একটা উদ্দেশ্য নিয়ে। গ্রামের পথ ধরে হাঁটতে থাকে যেখানে যাকে পায় আবার লোকের বাড়ি বাড়ি যেয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। গ্রামের লোক প্রথমে ব্যাপারটায় মজা পেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাকে কিছুটা ভয় পেতে থাকে। ক্ষমাপ্রার্থনারত বৃদ্ধ একটা সময় মুখোমুখি হয় কঠিন সত্যের। জীবনের এই পড়ন্ত বেলায় কীভাবে এর মোকাবেলা করবে বৃদ্ধ?
গ্রীষ্মের ছুটি: কুসংস্কার কীভাবে ছড়ায় সেটার উপর ভিত্তি করে দুর্দান্ত গল্প। পুরো গল্পটা আরেকটা মাত্রাও পেতে পারতো কিন্তু লেখক আবার গল্পটাকে সমাপ্ত করেছেন অন্য একটা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে। ঘটনার শুরু কিশোরী একটা মেয়ে গ্রামে, দাদার বাড়ি, বেড়াতে যেয়ে একটা দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়ে কিছুটা ট্রমাটাইজড হয়ে যায়। আর সে ব্যাপারটার উপর গ্রামের অশিক্ষিত কিংবা অর্ধশিক্ষিত মানুষ আরোপ করে অলৌকিকতাসহ আরও বহুকিছু। কিশোরী মেয়েটা একটা সময় নিজেও দ্বিধায় পড়ে যায়.. আসলে কোনটা? অজ্ঞতা, কুসংস্কার, সুযোগসন্ধানী ধূর্ত মানুষ আর চিরকাল মেয়েদের ভিকটিম হয়ে যাবার চিরন্তন গল্পটাই দারুণভাবে তুলে ধরেছেন লেখক।
মালেকা: মালেকা গ্রামে নিজের সংসার নিয়ে বেশ ভালোই ছিলো কিন্তু নানান ঘটনায় বাধ্য হয় জীবিকার জন্য শহরে চলে আসতে। প্রাইমারি স্কুলের দরিদ্র শিক্ষিকা মালেকা আর তার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়ে আবর্তিত হয় গল্পটি।
স্তন: এই গল্পটাও অসম্ভব সুন্দর। সদ্য সন্তানহারা এক মা দায়িত্ব পায় সদ্য মা-হারা এক শিশুকে দুধ খাওয়ানোর। এই অবস্থায় মা-টির মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব লেখক তুলে ধরেছেন দারুণভাবে।
মতিনউদ্দিনের প্রেম: বইয়ের সর্বশেষ গল্প। বাইরে বিড়াল, ঘরে বাঘ-এ হেন চরিত্রের মতিনউদ্দিনের জীবনে বিশাল একটা ঘটনা ঘটে যায়। স্বপ্নে দেখা এক নারীর প্রেমে পড়ে সে। কে এই নারী? আদৌ বাস্তব নাকি অপার্থিব কিছু? মতিনউদ্দিনের নিস্তরঙ্গ জীবনে নেমে আসে নীরব অস্থিরতা।
একটা বইয়ের প্রায় সবগুলো গল্প এতো সুন্দর হয় ক��ভাবে? রেকমেন্ডেড।
উচ্চমাধ্যমিকে সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ'র লেখনীর সাথে পরিচয়ের পর এই প্রথম তাঁর কোনো বই শেষ করলাম। এটি একটি ছোটগল্পের সংকলন। প্রতিটি গল্পই মোটামুটি ভালো লেগেছে। দুই তীর সহ কয়েকটি গল্প অনেক ভালো লেগেছে। গল্পের মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার মতো সব বর্ণনা।