Manna Dey (Born as Prabodh Chandra Dey) was a playback singer in various Indian language movies, especially in Hindi and Bengali. He was bestowed with the title 'The national singer of India' and various other awards including the Padma Shri,the Padma Bhushan and the Dadasaheb Phalke Award during his life time.
কিন্তু মানুষ তাঁকে মনে রেখেছে। অনন্তের পথে পাড়ি জমাবার পরেও, সংগীতজীবনের সুদীর্ঘ একটি অধ্যায় সফলতায় কাটানোর পরেও তাঁর অনেক পরের প্রজন্ম শুনেছে তাঁর গান, বেড়ে উঠেছে তাঁর সুরের সাথে, গুণগুণ করেছে অলস সময়ে। তাঁর সুগন্ধ সবটাই আজো বাতাসে ছড়িয়ে মিশে আছে। তিনি মান্না দে।
'বাজে গো বীণা,' 'আমি যামিনী, তুমি শশী হে,' 'পাগল তোমার জন্য হে,' 'আও টুইস্ট করে', 'কফি হাউজ', 'যদি কাগজে লিখো নাম', 'অভিমানে চলে যেও না', 'চম্পা চামেলী গোলাপেরই বাগে, 'ও ভাইরে ভাই' আরো কত অসংখ্য প্রিয় গান যে আছে তাঁর। কত বিখ্যাত গান আছে, হয়তো শুনিনি। এসব গান এখনো কারণে অকারণে মনে মনে ভেঁজে চলি, এই বইটি পড়তে পড়তে যেমন জলসাঘরে মনে বারবারই উঁকি দিচ্ছিল।
খুব সুমধুর কোন আত্মজীবনী এটি নয়, কারণ তিনি নিজে লিখেন নি। বলে গেছেন, অন্য একজন অনুলিখন করেছেন। তাই একই কথা অনেক বার চলে আসায় কিছুটা বিরক্ত বোধ করেছি। ভাষা খুবই সাদামাটা। তবে মজলিশী আড্ডার বা সামনাসামনি বসে গল্প শোনার একটা আবেশ পাওয়া যায়।
তাঁর কাকা সংগীতজ্ঞ কৃষ্ণচন্দ্র দে, যিনি ছেলেবেলাতেই অন্ধ হয়ে গেলেও, পরে হয়েছিলেন সুবিখ্যাত শিল্পী, মান্না দের জীবনে তাঁর প্রভাব এবং অবদান ছিল অনেক। জীবনের ব্যক্তিগত বিদ্রোহে সবসময় সঙ্গী ছিলেন তাঁর মা এবং স্ত্রী। অনেক বিখ্যাত মনীষীর জীবনী পড়েছি, কিন্তু বরাবরই দেখেছি, তাঁরা ব্যক্তিগত জীবন বা তাঁদের জীবনে সসহধর্মিণীর প্রভাব সম্পর্কে খুব বেশি শব্দ খরচ করেন না। মান্না দে করেছেন। তাঁর অর্ধাঙ্গিনীর প্রতি তাঁর প্রেম, ভালোবাসা এবং অপরপক্ষ থেকেও একই অনুভূতি এবং সাহচর্যের কথা বারবার ব্যক্ত করেছেন তিনি। এটা খুব ভালো লেগেছে।
ছোটবেলায় কুস্তি লড়লেও পরবর্তীতে পারিবারিক সিদ্ধান্ত ডিঙিয়ে হয়ে উঠেছেন আক্ষরিক অর্থেই এক শিল্পী। সাধনা করেছেন, তালিম নিয়েছেন বড় বড় ওস্তাদদের কাছ থেকে। সংগীত যে প্রকৃত অর্থেই একটি সাধনার বিষয় সেটি এইসব শিল্পীরা প্রমাণ করে গেছেন, আজকাল যেটার অভাব বোধ হয় ভীষণ। তাই হয়তো মান্না দে, কিশোর কুমার, লতা জি বা আশা জি হন একজনই। যুগে যুগে আমরা মনে রাখি তাঁদের৷
সংগীতের জগৎটা তখন কেমন ছিল এবং অন্যান্য শিল্পীদের সাথে সম্পর্কের অভিজ্ঞতা বেশ ভালো লেগেছে, জানা গেছে আরো কয়েকজন বিখ্যাতকে। বাংলা ছবিতে উত্তমকুমারের লিপে বহু জনপ্রিয় গান গেয়েছেন তিনি। অনেক স্ট্রাগল করেই তাঁকে প্রতিষ্ঠিত হতে হয়েছে, প্রথমে মুম্বাইতে, পরে কলকাতায়। সাহিত্যের বিচারে হয়তো এই আত্মকথনটি হয়ে থাকবে গড়পড়তা, কিন্তু ইতিহাস এবং একজন বিশিষ্ট শিল্পীর জীবনকাহিনী জানার ক্ষেত্রে বইটি অবশ্যই সকল ধরনের উৎকর্ষের মাপকাঠি ছুঁয়েছে।
I knew Manna Dey as the singer of the Evergreen Malayalam song 'Maanasa maine varoo' ( http://www.youtube.com/watch?v=hXhK2i... ) which won him the national award for best singer (The song was misspelt in the book :p).Everything about the movie Chemmeen lives in the memory of Keralites,which includes this song too.Later I came to know & like a few of his Hindi hits - Yeh dosti,Zindagi kaisi hai paheli, Aye Meri Zohra Jabin, Ek Chaturnaar ; to name a few. Owing to my soft corner for popular Indian music ,I instantly picked it up ,when I came across his autobiography Memories Come Alive.
I think this would be an absolutely wonderful book for a Bengali or a person who grew up with the songs of yore. But,it wasn't engrossing enough for me when he detailed certain compositions and incidents. May be because it was written with the help of /translated by someone else;I found the tone of the book to be too boastful at times(eg:- It mentions he was awarded the title 'National singer of India' at least 4 times :p). There were a few interesting anecdotes,but most of them were not too striking.It was interesting to know that he almost didn't sing 'Maanasa maine varoo' because of the language barrier & his Malayali wife gave him a 'one week crash course' to get over it.
The book comes with an audio CD containing 10 of his Bollywood songs & the complete list of the songs sung/composed by him;which is a good thing.Overall,liked the book; but it is not going to stay alive in my memory for long :p
WARNING : Unlike the memoirs of most other movie figures,this doesn't offer you much juicy details ,backstabbing or earth shattering confessions.The best you get is his disapproval of Asha Bhosle remixing her songs & Kavitha Krishnamurthy singing 'Tu cheez badi hai mast mast',owing to its lyrics ;).
মান্না দের জবানিতে,তাঁর কৈশোর থেকে শুরু হওয়া সঙ্গীতজীবনের বর্ণনা। অনুলেখনের কারণেই,লেখায় একটা বসে গল্প বলার ধাঁচ আছে।বেশ কিছুদিন ধরে বসে টানা গল্প শুনিয়ে লেখাটা তৈরি হয়েছে,কাজেই ঘরোয়া আড্ডার মত এখানেও সবসময় বর্ণনায় স্থান-কাল-পাত্র একেবারে ক্রমানুসারে আসেনি।কিন্তু তাও,শিল্পী নিজের জীবন নিয়ে বলতে গিয়ে খেই হারাননি মোটেও।বরং বেশ সাবলীলভাবেই পরপর বলে গেছেন সঙ্গীতময় দীর্ঘ জীবনের টুকরো টুকরো গল্প। একজন গুণী সঙ্গীতশিল্পী একটু আত্মপ্রেমী হলেও সেটা মানিয়ে যায়।মান্না দে হয়ত তা ছিলেন না,কিন্তু নিজেকে নিয়ে তাঁর বিশ্বাস আর গর্ব ফুটে উঠেছে তাঁর গল্পে। অর্ধশতাব্দী ধরে সঙ্গীত জগতে নিজের ছাপ রেখে যাওয়া মানুষ গর্বিত হবার অধিকার যথার্থই রাখেন!
বইয়ের শেষে মান্না দের গাওয়া গানের একটি তালিকা রয়েছে,খুবই কাজের একটি জিনিস। ছোটবেলায় আব্বুর সিডি প্লেয়ারে শুনতে শুনতে কানে গেঁথে যাওয়া অনেক গান যে আদতে তাঁর গাওয়া,নতুন করে জানলাম।
A well written book by one of India's famous playback singers. Manna Dey has talked about his early days as a music student and assistant to his uncle ,the legendary singer KC Dey, his initial trials and tribulations in Mumbai and his final triumph in the world of Hindi film and Bengali music. Must read for all fans of Mannada's music.
উপমহাদেশের সংগীতের উজ্জ্বলতম জোতিষ্ক মান্না দে বা প্রবোধ কুমার দে৷ কফি হাউজের সেই আড্ডা টা শোনে নি এমন কোন বাংগালী আদৌ পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না৷ আবার প্রতি টি বন্ধু বান্ধবের আড্ডায় নাম পাল্টে হোক আর না পাল্টে হোক, এ গান গায় নি, এমন গ্রুপ ও পাওয়া দুষ্কর৷ ধ্রূপদী সংগীতের সমস্ত কারুকাজ গলায় ধারণ করে, আবেগের মথিত সুরে চম্পা চামেলীর বাগে পরিবেশন করাটা বোধ হয় একমাত্র তার পক্ষেই সম্ভব ছিল৷ দীপ ছিল, শিখা ছিল, শুধু তুমি ছিলে না বলে আলো না জ্বললেও চিরকাল সুরের মূর্ছনায় সংগীতের আরাধনায় মনের মন্দিরে নিত্য প্রদীপ জ্বেলে গেছেন তিনি৷
শৈশবের চির দুরন্ত স্বভাবের কাটা ঘুড়ির খোজে ছাদ থেকে লাফ দেয়া মায়ের আদরের নাম 'মানা', কৈশোরে এসে পরিণত হয় মল্লযোদ্ধায়৷ কিন্তু যার শিরায় বইছে কাকা কৃষ্ণচন্দ্র দের ঐতিহ্য, সে কি আর দূরে থাকতে পারে ঐ সংগীত সুধা থেকে৷ তাই অবশেষে সব কুস্তি, সব দুরন্তপনা ছেড়ে আশ্রয় নিতেই হয় সুরের কাছেই৷ স্কুল কলেজের প্রবোধ কুমার দে হয়ে উঠেন সবার প্রিয় মান্না দে৷ ভেতরে জ্বলতে থাকা উত্তপ্ত লৌহশলাকা কে পিটিয়ে ধারালো অস্ত্রে পরিণত করে দেন কাকা৷ আর এরপর তো শুধু চির বিজয়ের গল্প৷ কলকাতা থেকে বোম্বে বিজয়ের গল্প৷ আর পদতলে এসে কূর্নিশ করে সকল উপমা,সকল পুরস্কার৷
এ মান্না দের গল্প, এ একই সংগে আমাদের খুব চেনা, খুব ভাললাগা কিছু গানের গল্প৷ যেখানে পুলক বন্দোপাধ্যায়ের মত ক্ষণজন্মা কবির অজস্র সুমধুর গান লেখার পিছনের কাহিনী আমরা জেনে নেই একপলকে৷ কখনো অসাধারণ সুন্দরী কাউকে দেখে মুহুর্তে লিখে ফেলা "ও কেন এত ���ুন্দরী হল? এমনি করে ফিরে তাকাল! দেখে তো আমি মুগ্ধ হবই, আমি তো মানূষ!!৷ চাদ আর মানবীর রূপে একাকার হয়ে গাওয়া, ও চাদ সামলে রেখ জোছনা কে বা চাদ দেখতে গিয়ে আমি তোমায় দেখে ফেলেছি৷ তাল আর লয় নিয়ে খেলতে খেলতে লিখে ফেলা " বেহাগ যদি না হয় রাজি, বসন্ত যদি না আসে/ এই আসরে ইমন তুমি, থাকো বন্ধু আমার পাশে"৷
সব ছাপিয়ে বই টা পড়তে গিয়ে আমার যেটা মনে হল, সেটা হল এটা একটা ভাল মানুষের ছাপোষা জীবনের গল্প৷ কোন টানা পোড়ন নেই, নেই কোন মেকী কথা৷ তাই পড়তে গিয়ে মনে হয় কখনো, একি খানিক টা আত্মশ্লাঘা ও বটে৷ পরক্ষনেই অহংকারের চিন্তা হার মেনে যায় সরল বিনয়ের কাছে৷ তাই সবশেষে মনে হয়,
আমার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে নিশুতি রাত গুমরে কাঁদে মনের ময়ুর মরেছে ঐ ময়ুর মহলেই দেখি মুকুটটা তো পড়ে আছে রাজাই শুধু নেই