Abanindranath Tagore (bn: অবণীন্দ্রনাথ ঠাকুর), was the principal artist of the Bengal school and the first major exponent of swadeshi values in Indian art. He was also a noted writer. He was popularly known as 'Aban Thakur'. Abanindranath Tagore was born in Jorasanko, Calcutta, to Gunendranath Tagore. His grandfather was Girindranath Tagore, the second son of Prince Dwarkanath Tagore. He is a member of the distinguished Tagore family, and a nephew of the poet Rabindranath Tagore. His grandfather and his elder brother Gaganendranath Tagore were also artists.
মধ্যযুগে রাজস্থানের রাজপুতদের ইতিহাস এমন কিছু গৌরবের ছিল না। ভারতীয়রা মোটের উপর যুদ্ধপ্রবণ মানুষ নয়, কিন্তু রাজপুতরা ছিলেন ব্যতিক্রম। যোদ্ধা বলেই হয়তো সাধারণ ছাপোষা ভীরু ভারতীয়দের মনে তারা রেখাপাত করতে পেরেছিলেন। যদিও তাদের প্রতিশোধস্পৃহা, নৃশংসতা, উগ্র জাত্যভিমান—এইসব গুণকে কিছুতেই প্রশংসার যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যায় না।
অবনীন্দ্রনাথের এই বইটিকে ক্যানো যে "কিশোরপাঠ্য" হিসেবে গণ্য করা হয় সেটা ভেবে অবাক লাগে। অবনীন্দ্রনাথের ভাষায় এবং গল্প বলার কায়দায় কিছু সহজিয়া বিশেষত্ব আছে ঠিকই; কিন্তু এইরকম হিংসা, হানাহানি, নরহত্যার গ্র্যাফিক বর্ণনা পড়ে কিশোর-কিশোরীরা কীভাবে উপকৃত হতে পারে তা আমি বুঝিনা। তাছাড়া, রাজস্থানের 'ভিল' কিংবা 'মিনা' জনজাতিদের উপরে অত্যাচারের ঘটনাকে যেরকম "স্বাভাবিক" হিসেবে দেখানো হয়েছে, সেটাও কাঙ্ক্ষিত নয়।
সহিংসতাকে শৌর্য হিসেবে কিংবা প্রতিশোধ নেওয়াকে আত্মমর্যাদা হিসেবে বিবেচনা করা, স্বার্থসিদ্ধির কারণে যেনতেন উপায়ে শত্রুর নিধন (এমনকি নিজের ভাইকেও), প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে 'জংলী' হিসেবে চিহ্নিত করা—নিজের ছেলেমেয়েদের যারা এইসব জরুরি বিষয়ে শিক্ষা দিতে আগ্রহী, তাদের জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য। বুড়োরাও যদি এইসব "বীরত্বব্যঞ্জক উপাখ্যান" উপভোগ করেন, তারাও মিস করবেন না।
Had it as a textbook in class 8, it was, I think. Last 2 chapters were excluded from the syllabus. We were very relieved. Reading for pleasure though, was strangely liberating because every time I was making up all these exam questions in my head and congratulating myself for not having to write those answers in real life. Not sure if that makes sense. :P Abanindranath Tagore, dear man that he was, had beautiful pictures in his head. And man could he make them come alive in words. There were parts that made me despair in the beauty and sadness of the stories of these valiant rajput kings... the book is good for the soul. Do read.
এই বাক্যটি কতোটা সত্যি সেটা আমি বইটা শেষ হওয়ার পর বুঝেছি। এত চমৎকার ভাষায় লেখা, পড়ার সময় মনে হবে যেন প্রতিটি ঘটনা ঘটছে চোখের সামনে। শুধু গল্প নয়, বইয়ের ভিতরের ছবিগুলো ও ছিল অসম্ভব সুন্দর। প্রতিটি ছবি যেন বইয়ের উল্লেখিত ঘটনাগুলো কে চোখের সামনে তুলে ধরছে। অসাধারণ একটা বই।
রাজ কাহিনি, সে কালে রাজ রাজাদের গল্প। আরো স্পষ্ট করে বললে একটি রাজ বংশের বিস্তারের গল্প। যার নাম সূর্য বংশ, যার শুরু হয় গায়েব নামের সূর্য সন্তানকে দিয়ে। সেখানে লেখক আমাদের শুনিয়েছেন শিলাদিত্য,গোহ,বাপ্পাদিত্যের মতো মহা পরাক্রমশালী রাজার গল্প,তেমনি শুনিয়েছেন পদ্মিনী'র মতো রাজরানীর গল্প।
ভাষা তাঁর সোনার কাঠি, কল্পনা রুপোর। সেই সোনার কাঠি আর রুপোর কাঠি ছুঁইয়ে অবনীন্দ্রনাথ ইতিহাসের ঘুমন্ত পাতা থেকে তুলে এনেছেন অসংখ্য চরিত্র। মূলত রাজস্থানের সূর্য বংশীয় রাজপুত রাজা ও রাণীদের কাহিনী এতে স্থান পেয়েছে।এদের মধ্যে রাণী পদ্মিনী, মীরা বাঈ ও রাজা পৃথ্বীরাজের কাহিনী অনবদ্য। রূপকথার আদলে ঐতিহাসিক কাহিনীর বর্ণনা দিয়েছেন।তাঁর লেখনীতে রাজস্থানের মরুপ্রান্তর হয়ে উঠেছে রূপকথার তেপান্তর।
অবনীন্দ্রনাথের লেখার যাদুতে বরাবরই মুগ্ধ হই। রূপকথার গল্পের আদলে পড়ে ফেললাম ঐতিহাসিক গল্প। রাজপুতানাদের রাজকাহিনী। সূর্যবংশীয় রাজাদের যে গল্প শুরু হলো সূর্যপুত্র গায়েবের হাত ধরে একে একে গোহ, বিক্রমাদিত্য হয়ে পৃত্থিরাজের সাথে শেষ। এছাড়াও ছিলো রাণী পদ্মীনির অপরূপ আখ্যান।
সত্যি বলতে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেছি তা না। ভালোই লেগেছে মোটামুটি। এই আরকি।
উনার লেখার সবচেয়ে বড় শক্তি বাক্যের সৌন্দর্য আর শব্দের কোমল ব্যবহার। খুব বেছে বেছে শব্দ ব্যবহার করেছেন। এবং সবগুলোই মনে হয় সুন্দর। বইটার ভেতরে ইলাস্ট্রেশন আছে যা দৃষ্টিনন্দন।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা পড়লে মনে হয় চোখ বুজলেই দৃশ্যটা দেখতে পাবো,এমনিই প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণনা করেন উনি। রাজকাহিনীতে রাজস্থানের রাজপুত রাজাদের গল্প শুনিয়েছেন অবনীন্দ্রনাথ। শত্রুতা,বীরত্ব,বিশ্বাসঘাতকতা, গুপ্তহত্যা সবই তাঁর কলমে উঠে এসেছে সমানভাবে। কেমনভাবে রাজপুত মহিষীরা সতীত্ব রক্ষায় সতীপ্রথা অবলম্বন করতেন তারও কিছুটা কথা আছে। রাজা রাণীর গল্প যাদের প্রিয় সেইসব শিশু কিশোরদের অবশ্যই পাঠ করা উচিত।
Totally communal and racist view, and there's a good chance that if this book is read by young minds, they will be polluted permanently by parochial views. Disgusting!
Suryavamshi: The Sun Kings of Rajasthan by Abanindranath Tagore, translated by Sandipan Deb, is a captivating journey through the rich history and mythology of the Suryavanshi dynasty, the solar dynasty that ruled over Mewar. Tagore's vivid storytelling, combined with Deb's masterful translation, brings to life a world of legendary kings, valiant warriors, and ethereal beauty.
The book delves into the lives of iconic figures like Shiladitya, the divine child of the Sun God, and Bappaditya, the empire-builder. It explores the tumultuous reigns of various kings, their courageous battles, and their unwavering devotion to their kingdom. The tales are woven with threads of love, sacrifice, betrayal, and redemption, highlighting the complexities of human nature.
One of the most striking aspects of the book is its portrayal of strong female characters. From the enigmatic Padmini to the devout Mirabai, these women defy societal norms and leave an indelible mark on history. Their courage, intelligence, and unwavering spirit make them inspiring role models.
The book's language is lyrical and evocative, transporting readers to a bygone era. Deb's translation is seamless, capturing the essence of Tagore's original text while making it accessible to a modern audience. The vivid descriptions of battles, royal courts, and breathtaking landscapes add to the immersive reading experience.
রাজস্থানের রাজপুতদের ব্যাপারে প্রথম জেনেছিলাম সত্যজিত রায়ের সোনা�� কেল্লা পড়ে। এরপর থেকেই অনেক আগ্রহ থাকলেও টুকরো দু'একটা কাহিনী বাদে কখনো সেভাবে পড়া হয়ে ওঠে নি। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাবলীল ভাষায় চোখের সামনে যেন দুপুরের তপ্ত রোদে চিতোরের কেল্লা তার লাল নিশান নিয়ে ঝলসে ওঠে। এত অদ্ভুত অবিশ্বাস্য সব কাহিনী। রাজকুমার চণ্ডের স্বার্থহীনতা কিংবা নন্দলালার জন্যে মীরার আকুতি- মানুষ কতই না বৈচিত্রময়! বইয়ের একমাত্র দৃষ্টিকটু দিক মুসলিম সুলতান কিংবা সেনাবাহিনীর বিষয়ে লেখকের ব্যাঙ্গাত্মক আক্রোশ- হয়ত এটাই প্রমাণ করে যে লেখকেরাও শেষ পর্যন্ত জাতি ধর্মের উর্ধ্বে নন।
শৈশবের বইগুলোর সঙ্গে আমাদের একটা আলাদা টান থাকে—যেমন প্রথম বন্ধুত্ব, যেমন প্রথম ভোরের ঝকঝকে আলো। রাজকাহিনী সেইরকমই এক বই—যেটা পড়ে বড় হয় বাঙালি কিশোরমন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, যত বড় হই, বইটা ঠিক ততটাই আরও গভীর হয়ে ওঠে। এ যেন ইতিহাসের পাতায় লেখা কোনও প্রেমপত্র, যার ভাষা যতবার পড়ি, ততবারই নতুন।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বই লিখেছিলেন ১৯০৯ সালের দিকে, টড-এর Annals and Antiquities of Rajasthan অবলম্বনে। কিন্তু ইতিহাসকে তিনি কেবল তথ্যের খোলসে মুড়ে দেননি—তিনি তাকে রক্তমাংসের মানুষ বানিয়ে তুলেছেন, কল্পনার আঁচড়ে প্রাণ দিয়েছেন। ‘শৌর্য’, ‘বীর্য’, ‘ভক্তি’, ‘প্রেম’, ‘ত্যাগ’, ‘প্রতিশোধ’—সব মিলিয়ে ‘রাজকাহিনী’ হয়ে উঠেছে এক রঙিন অথচ রক্তাক্ত রূপকথা।
গল্পের শুরুতেই আমরা পাই সেই চিরপরিচিত সূর্যবংশের উৎপত্তির কাহিনি। সুভাগা নামে এক ব্রাহ্মণ বিধবা কন্যার ঋষিপুত্রত্ব লাভ, তার গর্ভে গায়েব ও গায়েবী জন্মলাভ, এবং গায়েবের শিলাদিত্য রূপে রাজ্যপ্রতিষ্ঠা—এই উপাখ্যান রূপকথার আদলে সাজানো হলেও, তার মধ্যে একটা অলীক না হয়ে ওঠা মহত্ত্ব আছে। যেন একটা বিস্ময়কর আখ্যান, যাকে অবনীন্দ্রনাথ স্বপ্ন আর সাহসের ক্যানভাসে এঁকেছেন।
এখানে প্রতিটি গল্পই আলাদা, কিন্তু তাতে এক সূত্রে গাঁথা ইতিহাসের ধারা। পদ্মিনী, বাপ্পা, পৃথ্বীরাজ, ক্ষেতিসিংহ, হাম্বির, শিলাদিত্য—এই সব নামগুলি আমরা জানি হয়তো ইতিহাস বই থেকে, বা বলিউডের চটকদার চিত্রনাট্য থেকে। কিন্তু অবনীন্দ্রনাথ তাঁদের ফিরিয়ে আনেন অন্যভাবে—তাঁরা হন সাহসী, সংবেদনশীল, হৃদয়বাহী এবং এক অর্থে পৌরাণিক।
এই বইয়ের বিশেষ গুণ হলো তার ভাষা। বাংলা সাহিত্যে এমন গদ্য বিরল—যেখানে ভাষা একদিকে সুরময়, অন্যদিকে প্রাঞ্জল। তিনি যখন বলেন—“রাজনন্দিনী গালে হাত দিয়ে ভাবতে লাগলেন”—তখন সেটা শুধু একটা বাক্য নয়, একটা ছবি। শব্দে-শব্দে আঁকা এক জলরঙ। যেন রাজপুত চিত্রকলার তুলিতে লেখা উপাখ্যান। এই ভাষা শিশুদের মোহিত করে, বড়দের স্তব্ধ করে।
‘রাজকাহিনী’ অবশ্যই ইতিহাস নয়—এটা ইতিহাসের ছায়ায় রচিত কল্পলোক। তবু এই কল্পনার মধ্যে এমন এক আবেগ, এমন এক আত্মবোধ লুকিয়ে থাকে, যেটা ঠিক সত্যি না হয়েও আমাদের বিশ্বাস করিয়ে দেয়। এই বিশ্বাসটাই তো সাহিত্যের সবচেয়ে শক্তিশালী জাদু।
এখানে প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে একটা দীপ্তি আছে—তারা কেবল রাজারাজড়া নয়, তারা অনুভূতির মানুষ। পদ্মিনীর স্নেহ, বাপ্পার প্রেম, পৃথ্বীরাজের দম্ভ, শত্রুতা, আত্মত্যাগ—সব একসঙ্গে মিশে এক মহাকাব্যের মেজাজ তৈরি করে। সবচেয়ে বড় কথা, অবনীন্দ্রনাথ শুধু বীরত্ব দেখাননি, তিনি প্রেমের গল্পও বলেছেন, দোলনায় দোলা রাজকন্যার গল্প, রাখালের সঙ্গে ঝুলন-পূর্ণিমার প্রেমের উপাখ্যান।
শিল্পী হিসেবে তাঁর বিশাল কৃতিত্ব, এই বইয়ের ভাষায় ছড়িয়ে আছে। তাঁর অলংকরণ, চরিত্রগুলির আভিজাত্য, দৃশ্যায়নের সাবলীলতা—সব মিলিয়ে বইটি একসঙ্গে সাহিত্য, শিল্প এবং ইতিহাসের সংমিশ্রণ। সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রচ্ছদ কিংবা সুজন বেরার অলংকরণ বইয়ের সাম্প্রতিক সংস্করণকে আরও বেশি দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে।
‘রাজকাহিনী’ পড়তে গিয়ে একটা জিনিস খুব মনে হয়—এটা শুধু কিশোরদের বই নয়। এটা সব বয়সের পাঠকের জন্য। কারণ এখানে যেমন ইতিহাসের কাঠামো আছে, তেমনই আছে ভালোবাসা, বিশ্বাসঘাতকতা, নারীর আর্তি ও সম্ভ্রমের অন্বেষা, আছে পুরুষতন্ত্রের ভেতর দাঁড়িয়ে এক রাজকুমারীর নিজস্ব চেতনা।
একসময় যাঁরা ছোটবেলায় রাজকাহিনী পড়তেন, এখনকার প্রজন্মের অনেকেই হয়তো এই বইয়ের নামও শোনেননি। অথচ এই বই সেই জাতীয় সাহিত্য, যেটি কোনও নির্দিষ্ট বয়সে বাঁধা নয়। ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আবহে হিন্দু পুনর্জাগরণ ও জাতীয়তাবাদের প্রেক্ষাপটে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাজপুত রাজাদের বীরত্বগাথার মধ্য দিয়ে পাঠকের মনে আত্মমর্যাদা ও সংগ্রামের বীজ বুনতে চেয়েছিলেন।
সম্প্রতি সন্দীপন দেবের ইংরেজি অনুবাদে ‘Surya Vanshi: The Sun Kings of Rajasthan’ নামে এই বই আন্তর্জাতিক পাঠকের কাছেও পৌঁছেছে। তাঁর মতে, এটা ভারতের কিং আর্থারের গল্প। রুশদির Midnight’s Children যেমন স্বাধীনতা সংগ্রামের আর্থ-রাজনৈতিক খতিয়ান, রাজকাহিনী ঠিক তেমনই জাতীয়তাবাদী কল্প-ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ রচনা।
এই বই শুধুই ‘রাজপুতদের গাথা’ নয়। এই বই এক ধরণের গার্হস্থ্য মহিমা, এক পরিপার্শ্বিক সংস্কৃতির চিহ্ন। যে সংস্কৃতিতে রাজা মানে কেবল সিংহাসনধারী নয়—তিনি এক দায়িত্ব, এক স্বপ্ন, এক আত্মত্যাগের প্রতীক।
যারা এখনও এই বই পড়েননি, তাঁদের জন্য বলি—রাজকাহিনী কেবল ইতিহাসের পুঁথি নয়। এটা এক আত্মার ভূগোল। এক জাদুকরের কলমে লেখা রাজপুতানার রূপকথা। পড়ুন, আবার পড়ে ফেলুন—শিশু না হলেও, আপনার ভিতরের শিশুটির কাছে আপনি কৃতজ্ঞ থাকবেন।
রবীন্দ্রনাথকে চেনেন না এমন বাঙালী নেই,যদি থেকে থাকে তবে সে কোনোভাবেই বাঙালী নয়।সেই হিসেবে অবনী ঠাকুরকে চেনে হাতেগোনা কিছু মানুষ।অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর হচ্ছেন রবীন্দ্রনাথের চাচা।বইটি অবনী ঠাকুরের লেখক সত্ত্বার পরিচায়ক,সাথে সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়ের অসাধারণ প্রচ্ছদ ও অলংকরণ রাজস্থানের রূপকথার রাজ্যে হারিয়ে যেতে বাধ্য করে।রাজস্থানের গল্প বলতে আমরা খালি পদ্মাবতীর কাহিনীকেই জানি,খলজি কিভাবে তার জন্য উন্মাদ হয়ে চিতোর ধ্বসিয়ে দিয়েছিলেন।কিন্তু এর আগে পরে আরো অনেকজনের বীরগাথা আছে।বল্লভীপুরের মন্দিরে একদিন হাজির হলেন এক বিধবা,মন্দিরের সেবাদাসীর ভার তুলে নিলেন।কিন্তু নারীহৃদয় মাতৃত্বের জন্য কেঁদে উঠলো,তাই সূর্যদেবের কাছে সন্তান বর চাইলেন,সূর্যদেব নিরাশ করলেন না,গায়েব-গায়েবী নামে যমজ পুত্র-কন্যার জন্ম হলো।এই গায়েব পরে বল্লভীপুরের রাজাকে আদিত্যশিলা দিয়ে হত্যা করে রাজসিংহাসনে বসলেন,নাম নিলেন "শিলাদিত্য"।শিলাদিত্যের বংশকে বলা হয় সূর্যবংশ।এরপর শিলাদিত্যের ��ত্তরসূরী গোহ,নাগাদিত্য,বাপ্পাদিত্য,ভীমসিংহ(যার স্ত্রী ছিলেন পদ্মাবতী),হাম্বির,ক্ষেতিসিংহ,পৃথ্বিরাজ অনেকেই রাজত্ব করে গেছেন চিতোর,মেবার,কৈলোর,যোধ,মাড়োয়া,উদয়পুর এবং রাজস্থানের অন্যান্য স্থান জুড়ে।সবার কাহিনী জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।
আমি "বইতরণী" গ্রুপেও রিভিউ দিই সেখানেও দেখতে পারেন। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া
সদ্য শেষ করলাম পড়ে অবনীন্দ্রনাথ ঠাক��রের লেখা রাজপুত রাজা-রানীর লোকগাঁথার কাহিনী নির্মিত এই "রাজকাহিনী" বইটি।
এই কাহিনী শুরু হচ্ছে সূর্যবংশের উৎপত্তি দিয়ে। সুভাগা নামে এক ব্রাহ্মণ কন্যা বিয়ের পরই বিধবা হওয়ায় তার দেশের লোক তাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ফলে সে আশ্রয় নেয় এক বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের কাছে। কিন্তু ব্রাহ্মণ গত হওয়ার পর সে দুঃখে ভেঙে পড়ে এবং সূর্যদেবের কাছে প্রার্থনা করায় সে একটি পুত্র ও কন্যা বর পায়। সুভাগার এই বরপ্রাপ্ত কন্যার নাম গায়েবী আর পুত্রের নাম গায়েব, যে পরবর্তীতে শিলাদিত্য নাম ধারণ করে সূর্যবংশের প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ধীরে ধীরে উঠে এসেছে বিভিন্ন রাজপুত রাজা-রানীর কাহিনী। এর সাথেই সমানভাবে উঠে এসেছে তাদের বীরত্ব, প্রেম, শত্রুতা, বিশ্বাসঘাতকতা সর্বোপরি জয়-পরাজয়ের কাহিনী।
ঐতিহাসিক কাহিনী পড়তে সবসময় ভালো লাগে। এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়। যেমন শব্দের প্রয়োগ তেমন বাক্যের গঠন, এক কথায় অসাধারণ। গল্প তো আছেই, সাথে বইয়ের ভেতরের ছবিগুলোও খুব নজরকাড়া।
বইটিতে মোট ৯টি গল্প আছে, যা ছোটো-বড়ো সকলেই সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে। জানি এই বই অনেকেই পড়েছেন, কিন্তু যারা এখনও পড়েননি, অবশ্যই পড়ে ফেলুন এবার। খুব ভালো লাগবে।
📖 Suryavamshi: The Sun Kings of Rajasthan is a historical fiction with India’s soul scribbled across time. Suryavamshi by Abanindranath Tagore, translated by Sandipan Deb, resurrects the forgotten flames of Rajput glory and sacrifice. With blood-soaked tales wrapped in myth and memory, this retelling connects India’s medieval heroism to today’s search for cultural identity. Read in for Rajput heroism, stay for the searing emotion. 🔥 👉 Read the full review at https://www.tusharmangl.com/2025/06/s...
The book contains stories of many Rajput kings who are equally passionate about the pride and responsibility as a Rajput king. However, it also depicts the betrayals in a family that has taken place for centuries in the name of protecting the throne or a promise made out of sheer loyalty. This book is for all ages to read. Abanindranath Tagore has beautifully crafted the stories and the flow of language is easy and simple to read.
ইতিহাস নাকি রূপকথা? রূপকথা নাকি ইতিহাস? বোঝা দায়। বইটি হাতে নিয়েছিলাম রুপকথা ভেবেই। আবিষ্কার করলাম রুপকথার আদলে লেখা ইতিহাস। রাজস্থান এর রাজবংশ নিয়ে জ্ঞান আমার সীমাবদ্ধ ছিল কিছু হিন্দিভাষী ডেইলি সোপ আর চলচ্চিত্রে। এই বইয়ের লেখনীতে কতটুকু ইতিহাস আর কতটুকু কল্পনা তা আর খুজতে যাইনি। কিছু কিছু নাম ছিল পরিচিত, আমার জানাশোনা, আবার কিছু কিছু জায়গায় মনে হয়েছে এসব অলীক কল্পনা ছাড়া অন্যকিছু হতেই পারেনা। যাই হোক, গোহ, বাপ্পাদিত্য, পদ্মিনী, মেবার, চিতোরকে সুন্দর সময় কাটলো।
Beautifully written. Every word is like a paint from brush. Actually based on Todd' s Book. Somebody may feel uncomfortable with some characters. Good.
This entire review has been hidden because of spoilers.
The book traces the lineage of Suryavamshi dynasty based in Rajasthan. The stories, include – generations and generations of kings and their tales of protecting and ruling over their regions and people.
The author (and the translator) have woven the tales of generations with blend of human emotions such as love, ego, sacrifice, courage, anger, jealousy, fear and treachery, very common to any of us. Despite the royal status the kings and queens are depicted as ‘deeply human’ facing trials and tribulations like ordinary people. It is, however, the courage and determination they have in times of adversities that makes them great and worthy of being etched in history.
The narration reminds me of the bedtime tales my granny used to recite. The narration is pretty vivid, and readers can easily imagine the scenes that are being enacted.
These generations of stories celebrate the rich heritage of Rajasthan and also remind us of the timeless power of human strength and resilience.