Satyajit Ray (Bengali: সত্যজিৎ রায়) was an Indian filmmaker and author of Bengali fiction and regarded as one of the greatest auteurs of world cinema. Ray was born in the city of Calcutta into a Bengali family prominent in the world of arts and literature. Starting his career as a commercial artist, Ray was drawn into independent filmmaking after meeting French filmmaker Jean Renoir and watching Vittorio De Sica's Italian neorealist 1948 film, Bicycle Thieves.
Ray directed 36 films, including feature films, documentaries and shorts. He was also a fiction writer, publisher, illustrator, calligrapher, graphic designer and film critic. He authored several short stories and novels, primarily aimed at children and adolescents.
Ray's first film, Pather Panchali (1955), won eleven international prizes, including Best Human Documentary at the Cannes Film Festival. This film, Aparajito (1956) and Apur Sansar (1959) form The Apu Trilogy. Ray did the scripting, casting, scoring, and editing, and designed his own credit titles and publicity material. Ray received many major awards in his career, including 32 Indian National Film Awards, a number of awards at international film festivals and award ceremonies, and an Academy Award in 1992. The Government of India honoured him with the Bharat Ratna in 1992.
Early Life and Background: Ray's grandfather, Upendrakishore Ray Chowdhury was a writer, illustrator, philosopher, publisher, amateur astronomer and a leader of the Brahmo Samaj, a religious and social movement in nineteenth century Bengal. Sukumar Ray, Upendrakishore's son and father of Satyajit, was a pioneering Bengali author and poet of nonsense rhyme and children's literature, an illustrator and a critic. Ray was born to Sukumar and Suprabha Ray in Calcutta.
Ray completed his B.A. (Hons.) in Economics at Presidency College of the University of Calcutta, though his interest was always in Fine Arts. In 1940, he went to study in Santiniketan where Ray came to appreciate Oriental Art. In 1949, Ray married Bijoya Das and the couple had a son, Sandip ray, who is now a famous film director.
Literary Works: Ray created two of the most famous fictional characters ever in Bengali children's literature—Feluda, a sleuth in Holmesian tradition, and Professor Shonku, a genius scientist. Ray also wrote many short stories mostly centered on Macabre, Thriller and Paranormal which were published as collections of 12 stories. Ray wrote an autobiography about his childhood years, Jakhan Choto Chilam (1982). He also wrote essays on film, published as the collections: Our Films, Their Films (1976), Bishoy Chalachchitra (1976), and Ekei Bole Shooting (1979).
Awards, Honors and Recognitions: Ray received many awards, including 32 National Film Awards by the Government of India. At the Moscow Film Festival in 1979, he was awarded for the contribution to cinema. At the Berlin Film Festival, he was one of only three to win the Silver Bear for Best Director more than once and holds the record for the most Golden Bear nominations, with seven. At the Venice Film Festival, he won a Golden Lion for Aparajito(1956), and awarded the Golden Lion Honorary Award in 1982. In 1992 he was posthumously awarded the Akira Kurosawa Award for Lifetime Achievement in Directing at the San Francisco International Film Festival.
ছোট থাকতে মনের মাঝে হঠাৎই চেপে বসা ইচ্ছেগুলোর কথা মনে পড়ে? কত শখই না আমাদের হোত তখন, আর কতবারই না ছোট্ট মনগুলোর মাঝে সেসব চাপা পড়ে যেত – বাবা কি আমাকে বড় হয়ে ঘোড়া চড়তে দেবেন? আমি বাস ড্রাইভার হতে চাইলে মা বকবেন না? তখন থেকেই সামাজিক কাঠামোর অলংঘ্যনীয় রীতিনীতির আবছা প্রভাবে শিশুমন বাঁধা পড়ে যেত। কিন্তু ইচ্ছেগুলো তা মানত কি?
আচ্ছা যদি ঘটনাচক্রে সেই শিশুমনটুকু যদি অন্য কোথাও গিয়ে পড়ত, যেখানে বাবা-মায়ের বকুনির ভয়, স্কুলের হোমটাস্কের চাপ, বাঁধা-বিধি কিছুই নেই? শুধু আছে দিনরাত কোন এক মজার মানুষের সাথে ঘুরে বেড়ানো, চায়ের দোকানে কাজ করা, আর সার্কাসের খেলা শেখা। আর তার সাথে যদি পেছনে লেগে থাকা গুন্ডাদের মোকাবেলা করার বাড়তি উত্তেজনাটুকু যদি যোগ হয়, তাহলে কেমন হোত? সত্যজিৎ রায়ের ফটিকচাঁদ তেমনি একটি ঘটনা নিয়ে অসাধারণ একটি লেখা, যেটির উত্তেজনা, আনন্দ আর আবেগগুলো অনায়াসে আমাদের ছেলেবেলার দিনগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
গল্প ১০১ পড়ছি, তারমধ্যে এই ছোট কিশোর উপন্যাসটা। গল্পের প্লটে অবাক করে দেওয়ার মত কোন উপাদান নেই। কিন্তু গল্পটা মন ভালো করে দেওয়ার মত। দুর্ঘটনাক্রমে হয়ে যাওয়া একটা বন্ধুত্বের গল্প। একজন নিম্নবিত্ত সমাজের তরুণ এবং একজন অভিজাত উচ্চবিত্ত পরিবারের কিশোরের মধ্যে বন্ধুত্ব। সহানুভূতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসা, মায়া- এইসব গুরুত্বপূর্ণ মানবিক উপাদান গল্পটাতে আছে। আর সত্যজিৎ রায় লিখেছেনও এমন যত্ন নিয়ে, পড়েই আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি।
উপন্যাসের একটা জায়গা বিশেষ ভালোলেগেছে: সার্কাসে চোখ বেঁধে জাগলিং খেলা দেখাচ্ছেন একজন শিল্পী। অনেক দর্শক জমেছে। সবাই মুগ্ধ হয়ে দেখছে, প্রশংসা করছে। হঠাৎ জাগলিংয়ে একটা ভুল হয়ে গেল। যারা সব প্রশংসা করছিল, মুহূর্তে তারাই হাসাহাসি আর দুয়োধ্বনি করতে শুরু করলো।
মাথা বলছে চার তারা, মন বলছে পাঁচ। গল্পটা মানবিক, তাই মনের কথাটাই শুনলাম।
ফেলুদার উপন্যাস ছাড়াও রায়বাবুর কাছে আমাদের এমন আরো কিছু স্ট্যান্ড অ্যালোন কিশোর উপন্যাসিকা পাওনা ছিল। গল্প লিখেছেন অজস্র, কিন্তু উপন্যাসের অভাবটা বেদনা হয়ে ইতোমধ্যেই আমার মনের মধ্যে দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
Mirchi Bangla তে শুনেছি। মন ভালো করে দেয়ার মতো একটা গল্প। বন্ধুত্বের গল্প, ভ্রাতৃত্বের গল্প, সর্বোপরি এটা একটা মানবিকতার গল্প। শুনে মনটা ভালো হয়ে গেলো।
Extraordinary story. Although the plot feels old and predictable, to a certain extent, it has got a nice human touch to it that it brings one to tears. Don't get me wrong, this is not some sad soap opera, but a story with a gripping narrative and a definite page-turner. If it was so good in English, I can only try and imagine how much more elegant the prose would have been in its original rendition, Bengali.
ছোটদের জীবনটা অনেক সুন্দর সেখানে হিংসে নেই, চিন্তা নেই, আছে শুধু আনন্দ ।ফটিকচাঁদ, গল্পটা পড়ে ভালো লেগেছে।ফটিকচাঁদ আর হারুণদার জুটি অসাধারণ ছিল। ধনীর ছেলে বাবলু কিডন্যাপ হয় এবং কিডন্যাপাররা তাকে নিয়ে পালানোর সময় গাড়ি এক্সিডেন্টে হয়, সে বেচেঁ যায় কিন্তু সে নিজেকে আবিষ্কার করে অচেনা এক জায়গায় ।তারপরে মেল্লা কাহিনি, বাবলুর কিছু মনে নাই, তার নাম ধাম কিচ্ছু মনে পড়ে না। তার দেখা হয় হারুণদার সাথে বাবুল বানিয়ে বলে তার নাম ফটিক কারণ তার নাম সে ভুলে গেছে। আর তার নতুন জীবন শুরু হয়। ভালোই যাচ্ছিল তারপরে আবার সে তার আসল লাইফে ফেরত যায়!! অনেক ভালো গল্প ছিল,বাচ্চা-কাচ্চাদের উপহার হিসেবে দেওয়ার মত বই।আমি বড় বাচ্চা তারপরেও পড়ে আনন্দ পেয়েছি,ছেলেবেলায় ফিরে গেছিলাম কিছু সময়ের জন্য।
"হাতের আস্তিন দিয়ে চোখ মুছে বাবলু বাড়ির দিকে পা বাড়াল।দুটো কাঠের বল ওর পকেটে।আর,একটা মানুষ যাকে ও খুব ভালো করে চেনে, যাকে ও মনের এক কোনায় পুরে রেখে দেবে। তার নাম শ্রী ফটিকচন্দ্র পাল!"
এভাবেই প্রতি রোববারে, শহিদ মিনারের ধারে এক ফালি ঘাসের উপর, চকরা বকরা আসনে বসে সাতবার বাঁশি বাজায় আর হাঁক দেয় হারুনদা। হারুনদা মানে হারুন অর রশিদ, 'বাগদাদের খলিফা - জাগলিং এর বাদশা!' পিতলের বল, লাট্টু-লেত্তি, রঙ্গিন পালক লাগানো বাঁশের কঞ্চি দিয়ে চোখ ধাঁধানো ভোজবাজির খেলা দেখায়।
হারুনদার সাথে তার চেনা ট্রেনে। যখন চোখ খুলেছিল, জানতো না সে কে? শুধু মাথার নিচে ছিল ঘাস, ঠান্ডা পাথর, উপরে কালো আকাশে জ্বলজ্বলে তারা আর মাথায় অনেক ব্যাথা। বনের ধারে জোনাকি আর তোবড়ানো একটা গাড়িতে দুটো মানুষ মরে পড়ে আছে।
এক বাঙালি ভদ্রলোক তাকে খুঁজে পেলেন। নাম ঠিকানা বলতে পারে না দেখে, তাকে নিতে চেয়েছিলেন পুলিশের কাছে। তাই সে পালালো। ভোঁ বাজিয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ছাড়ছিলো যে গাড়িটা, দৌড়ে উঠে পড়লো তাতে। পা ফসকায়নি, দুটো হাত টেনে তুললো তাকে কামরায়। হারুনদার হাত। বারবার সবাইকে 'নাম জানি না' বলতে ভালো লাগছিলো না, তাই এবার দোকানের বোর্ডে দেখা নামটা বলে দিল নিজের করে 'ফটিকচাঁদ'।
হারুনদা তাকে কিছু মনে করার জন্য চাপ দেয়নি। বলেছে এমনিতেই মনে পড়বে। উপেনবাবুর চায়ের দোকানে কাজ জুটিয়ে দিয়েছে, যদিও পোশাক আর চুলের ছাঁট পরীক্ষা করে বলেছে 'তুমি সাহেববাড়ির ছেলে!' দুটো কাঠের বলও দিয়েছে, রাতে খেল প্র্যাকটিস করে ফটিক।
কিন্তু চায়ের দোকানে মামলেট আর চা খেতে আসা ষন্ডা লোকটা ফটিককে এতো প্রশ্ন করলো কেন? বে-পাড়ার পা বাঁকানো শ্যামলাল ফটিকের পিছু নিয়েছে কেন? হারুনদা কি পারব��� ফটিককে শ্যামলালের হাত থেকে বাঁচাতে? ফটিকের আসল পরিচয় কি?
#মন্তব্যঃ ছোটবেলায় কতরকম অলীক ইচ্ছে থাকে আমাদের, বাড়ি থেকে পালাবো, বাস ড্রাইভার হবো! জঙ্গলে যদি ডাকাত দলের সাথে ভীড়ে যাই? বা চায়ের দোকানের বয় হয়ে কাটিয়ে দিলে কেমন লাগবে?
এক বালক তেমনি ঘটনাচক্রে হারিয়ে গিয়েছে বাড়ি থেকে। মাথায় আঘাত পেয়ে নিজের অতীত ভুলে গেছে সে, জানে না কি তার পরিচয়। শুধু বলের খেলা দেখানো প্রিয় হারুনদা, উনুনের ধোঁয়ায় মোড়ানো বস্তিতে হারুনদার আজব ঘরটা, উপেনদার চায়ের দোকানের হরেকরকম খদ্দের আর শহিদ মিনারে বাঁশি বাজিয়ে খেলা দেখানোই তার কাছে বর্তমান। সেই জীবনে বাড়তি উত্তেজনা নিয়ে আসে ধাওয়া করা গুন্ডার দল। যে উত্তেজনার স্বাদ আমরা পাওয়ার আশা করেছি শিশুবয়সে - তাকেই ফটিকের জীবনের পাতায় নিয়ে এসেছেন সত্যজিৎ রায়।
আকাশে হাজারটা তারা।ঝোপঝাড়ে জোনাকির ঘনঘটা।আরে জ্বলন্ত মশাগুলোর নাম জোনাকি কিভাবে হল।আহ্!মাথাটায় বড্ড ব্যাথা লাগছে.......।হাজারটা চিন্তার সমুদ্র পাড়ি দিয়ে এখন ও ট্রেনে।"কি চাঁদ,নাম কি তোমার"।"ফটিক"।এভাবেই শুরু হয় ফটিকের যাত্রা।অখ্যাত চায়ের দোকানে কাজ করা,বল দিয়ে হাত লোফার খেলার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকা,লাফিয়ে লাফিয়ে হাত তালি দেওয়া,পেছনে থাকা ষন্ডা বদমাশগুলোর কথাও ভুলে যাওয়া, আহা কি জীবন.....কিন্তু এভাবেই কি শেষ নাকি সবে শুরু। সত্যজিৎ রায় বরাবরই আমার প্রিয় লেখক।মাত্র অল্প কয়টা পৃষ্ঠার এই বইটি নিঃসন্দেহে যেকোন বয়সের জন্য উপভোগ্য।আর চিলেকোঠার যান্ত্রিক শহরটাকে দূরে ফেলে শৈশবের সোনালি রূপালি দিনগুলোয় উঁকি মারতে কেই বা না চায়!!!
উপন্যাসটির প্রথমে দেখা যায় একটি ছেলে একটি বিধ্বস্ত গাড়ির পাশে আহত অবস্থায় শুয়ে আছে। ছেলেটি জ্ঞান ফেরার পর বুঝতে পারেনা এখানে সে কি করছে । সে যে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাও বুঝতে পারে । কিন্তু প্রকৃতির অন্যান্য সকল জিনিস তার ঠিকই মনে আছে। কোনটা কি গাছ, কোনটা কোন কিট তা সে ঠিকই মনে রেখেছে । কিন্তু কে তাকে এগুলো শেখালো তা মনে পড়ছে না। সেখানে কিভাবে এলো তাও তো তার মনে পড়ছে না ।ঘটনাক্রমে সে হারুনদার দেখা পায়। হারুনদা সার্কাসে খেলা দেখান। হারুনদা তার পরিচয় জানতে চাইলে সে তা বলতে পারে না। তবে সে বানিয়ে বানিয়ে একটা পোস্টারে দেখা নাম বলে দেয়। বলে তার নাম ফঁটিক। পুরো নাম ফঁটিকচন্দ্র পাল। তবে হারুনদা বুঝে যায় যে সেটি তার সত্যি নাম নয়। তারপরে সে বাকি সব খুলে বলে হারুন দাকে যে তার কিছু মনে পড়ছে না। সে বিধ্বস্ত গাড়ির পাশে পড়েছিল। গাড়িতে দুজন মৃত মানুষকে সে দেখেছে। তারপর সে কিভাবে খড়গপুর গেল এবং হারুনদা তাকে খড়গপুরে ট্রেনে তোলার আগ পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো তার মনে আছে সবগুলো হারুনদাকে খুলে বলল। হারুনদা সবকিছু শুনে তাকে নিয়ে কলকাতায় যায় ।কলকাতায় সে ফটিককে একটি চায়ের দোকানে কাজ দেয় ।সেখানে সে কাজ করতে থাকে ।এদিকে তার বাবা মিস্টার সান্যাল তাকে খোঁজার জন্য পুলিশ মহলে তোলপাড় লাগিয়ে দেয়। কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে থাকেন মিস্টার স্যানাল। একদিন ফটিক যে দোকানে কাজ নিয়েছিল সেই দোকানে ষন্ডামার্কা কিছু লোক আসে এবং ফটিককে দেখে চিনে যায় । তারপর হারুনের সামনেও সেই ষন্ডামার্কা লোক গুলো তাকে অনুসরণ করতে থাকে। হারুন ষন্ডামার্কা লোক গুলোকে চিনে যায়। তারা যে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী । হারুনের আর বুঝতে বাকি থাকেনা যে ফটিক কিডন্যাপ হয়েছিল। তবে ফটিকের কিছু না মনে পড়া পর্যন্ত ফটিকের কোন হিল্লে করা যাচ্ছে না । শেষ পর্যন্ত কি ফটিকের স্মৃতিশক্তি ফিরে এসেছিল ? সেকি পেরেছিল তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে?
একটি ছেলে,বয়স বারো,হুট করে নিজেকে আবিষ্কার করে ঘাসের উপর শায়িত অবস্থায়।কি হয়েছে তার?সে এখানে কেন?তার নাম কি?ছেলেটির কিছুই মনে নেই।ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়িয়ে রাস্তার ধারে সে খুঁজে পায় একটি দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি,গাড়ির ভেতর আবার দুইটা লাশ।আসলে কি হয়েছে ছেলেটির সাথে?
এভাবেই শুরু হয় এক গল্পের।ছেলেটি একসময় নিজের নাম দেয় ফটিকচন্দ্র পাল।শুরু হয় অজানার পথে এক যাত্রার।সে যাত্রায় কেউ বন্ধু কেউবা শত্রু।কিন্তু যে অভিজ্ঞতা ফটিক লাভ করে সেটা অমূল্য।
সত্যজিৎ রায়ের সাহিত্যিক প্রতিভা নিয়ে সংশয় আমাদের কারোরই নেই।ফেলুদা,শঙ্কু যার সৃষ্টি তার লেখনী সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা অবান্তর।'ফটিকচাঁদ' মূলত কিশোর উপন্যাস।একটা রহস্যের গন্ধ সবসময়ই বই জুড়ে পাওয়া যায়।আছে এক জীবনবোধের ঘ্রাণ।সবমিলিয়ে বেশ সুখাদ্য উপন্যাসিকা 'ফটিকচাঁদ'!
কিশোর সাহিত্য হিসাবে খুব একটা ভালো লাগলো না। এই পুরো গল্পটির মধ্যে একটাই লাইন আমার সবথেকে ভালো লেগেছে সেটা হল
Best part of this entire story ফটিক - (হারুনদার কথার উপরেই চিৎকার করে বলল,) বাবা তোমায় টাকা দেয়নি হারুনদা। পাঁচ হাজার টাকা! তুমি নিয়েই চলে যাবে?
হারুন ওর কামরার পা-দানিতে উঠে সামনের দিকে ঝুঁকে হেসে বলল, তোর ছবিটা ওরকম হয়েছে কেন? মনে হচ্ছে খোক্কসের ছা।
হারুনদা জানে! ও কাগজ দেখেছে!
ট্রেনের ভোঁ বেজে উঠল। ও হারুনদার কামরার দরজার দিকে এগিয়ে গেল। হারুন বলল, তোর বাবাকে বলিস, হারুনদা বলেছে ওঁর ছেলেকে ফেরত দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা নিতে আমার আপত্তি ছিল না। কিন্তু ভাইকে বিক্রি করে কেউ টাকা নেয়?
চমৎকার একটা উপন্যাস । চমৎকার এই উপন্যাসকে অবলম্বন করে ১৯৮৩ সালে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। ছবিটি পরিচালনা করেন স্বয়ং সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায়, আর এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই তাঁর চলচ্চিত্র পরিচালনায় অভিষেক ঘটে।
এত্ত সুন্দর গল্পটা! প্রথমদিকে তো টগবগ করছিলাম এই ভেবে এভাবে যদি আমাকেও কিডন্যাপ করে নিয়ে যেতো? আর ওই যে মেমোরি লস হওয়ার ব্যাপারটা...শেষমেশ এভাবে এসে হারুনদার কথা আর চলে যাওয়া। এখনো যেন ডুবে আছি ��ল্পনায়।
‘I’m not the only one. Do you think you can’t be an artist living in a big house and going to school? Its balls I juggle. You can try juggling with words, colours, with tunes! Think of that! You’ll have something worth juggling with and you’ll know what kind of artist you can become. Then you’ll…’
A moving and contemplating sketch of nameless relationship between a boy who lost his memory and a juggler who helps him in the journey outside the safe and sound home. The bonding and thread of humanity penned by the Master reminds me one of most beloved humanitarian tale of Gurudeb.
শুরুতেই বলে নিই অল্প ক'টা পৃষ্ঠার এই বই একটি সুখপাঠ্য। আর সত্যজিৎ রায়ের লেখা পড়তে কোনো ক্লান্তি আসবে না এই উপলব্ধি হয়েছে পড়া শেষে।
--১২ বছর ৩ মাসের স্মৃতি হুড়মুড় করে মনে পড়ে যাওয়ার পর ছোট্ট নিখিলের ভেতরে যে দোটানা তৈরি হয়েছিল সেই সিদ্ধান্তহীনতার আঁচ পাঠক মনে লাগতে বাধ্য। জীবনের ছোট্ট একটু সময়ে শৈশবের রোজকার স্কুল আসা যাওয়া ছেলের এক অন্যরকম জীবনের আস্বাদ গ্রহণ, হারুনদার সাথে হওয়া সখ্যতা সে হারাতে চাচ্ছিল না। কিন্তু এদিকে বাড়ি না গিয়েও বা উপায় কি! উপেনবাবুর দোকানে ১২ টাকার মাইনেতে সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাত আটটার চাকরী, টিনের ছাউনির তলায় শোবার ঘর এসব কিছুর কাছে সান্যাল বাড়ির ছোট ছেলের প্রকান্ড বাড়ির চারিদিকে ছড়ানো সোফা, টেবিল, বইয়ের আলমারি, মূর্তি, ছবি, ফুলদানি সবই রঙহীন লাগছিল।
নিখিলের ওরফে বাবলুর ভেতরের ফটিকচাঁদ তাকে জ্বালাচ্ছিল। উপেনবাবুর দোকানে স্কুলে করার ঝক্কি ছিল না, প্রতিদিন কতরকম লোকের দেখা পাওয়া যেত, হারুনদার জাগলিং দেখে নিজেও শেখার চেষ্টা, কলকাতার রাস্তা জুড়ে হারুনদার সাথে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানো এসব কি হারানো যায়? ঐ শৈশবে কি আর লেখাপড়া করে আর্টিস্ট হতে মন চায়?
গল্পের শেষে এসে হারুনদার "তোর বাবাকে বলিস ওঁর ছেলেকে ফেরত দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা নিতে আমার আপত্তি ছিল না। কিন্তু ভাইকে বিক্রি করে কেউ টাকা নেয়?" কথাটায় এ ক'দিনের সম্পর্কের গভীরতা কোথায় পৌঁছেছে টের পাওয়া যায়।
"হাতের আস্তিন দিয়ে চোখ মুছে বাবলু বাড়ির দিকে পা বাড়াল। দুটো কাঠের বল ওর পকেটে আর একটা মানুষ যাকে ও খুব ভাল করে চেনে। যাকে দিয়ে ওর অনেক কাজ হবে। তাকে ও মনের এক কোণায় পুরে রেখে দিবে। তার নাম শ্রীফটিকচন্দ্র পাল।" - এই কথাগুলোর চেয়ে সুন্দরভাবে গল্পটা শেষ করা যেত না!
"গ্রেট ডায়মন্ড সার্কাস" এর কলকাতা শো এর খোঁজ অবশ্যই নিখিল রাখবে। নয়তো হারুনদার সাথে ফটিকের আবার দেখা হবে কি করে!
হয়তো অনেক আলাদা কিছু না তবে কিছু গল্প থাকে না যেসব পড়লেই মন ভালো হয়ে যায় ঠিক তেমন একটা গল্প । বড়লোক এক বাড়ির ছেলের কিডন্যাপ থেকে শুরু করে ,মেমোরি লস,চায়ের দোকানে কাজ করে বেঁচে থাকা,বাবলু থেকে ফটিকচন্দ পাল হওয়া।সব মিলিয়ে বেশ ভালো লেগেছে বইটা ।
Not the best of ray, on the onset it appears to be an adventure visual novel which grabs attention early on but later looses any excitement as plot becomes bare in the middle.
A simple story, beautifully told. The genius of Ray shines bright throughout the book, especially towards the end. This is one of those stories which leaves a mark forever.