লাল রঙের একটা নতুন স্কুটারে চেপে ঝড়ের বেগে বাবলুদের বাগানে হঠাৎই হাজির হল একটি মেয়ে। ডোরা। ডোরা একটি বিশেষ কাজে পাণ্ডব গোয়েন্দাদের সাহায্য চায়। কিন্তু পুরো বৃত্তান্তটা তাদের খুলে বলার সময় পেল না ডোরা। তার আগেই সে নিখোঁজ হয়ে গেল। একেবারে স্কুটারসমেত নিখোঁজ। পরদিন আসব বলে বাবলুদের বাড়ি থেকে বেরুল ডোরা, আর তার আসা হল না; বাড়ি ফেরাও হয়নি। কোথায় নিখোঁজ হল ডোরা! কীভাবে! কী বলতে এসেছিল সে! ফুলের মতো সুন্দর এক কিশোরী। যেটুকু সময় বাবলুর কাছে ছিল, তাই থেকেই বাবলু কিছুটা অবশ্য আঁচ করেছে। ডোরার দুটি উদ্দেশ্য। এক, তার বাবা-মায়ের হত্যাকারীকে খুঁজে বার করে বদলা নেওয়া। দুই, একটি গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছে সে। এই দুটো কাজেই বাবলুদের সহায়তা চায় ডোরা। পাণ্ডব গোয়েন্দাদের এই অভিযানের কাহিনী ক্রমশই নানা ঘাতপ্রতিঘাতে উত্তেজনাময়, চমকপ্রদ ঘটনাপরম্পরায় শ্বাসরুদ্ধকর।
Sasthipada Chattopadhyay (born 9 March 1941) was an Indian novelist and short story writer predominantly in the Bengali language. He was a well-known figure, famous for his juvenile detective stories, namely, the 'Pandob Goenda' series, as well as his contribution to children's fiction in general.
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়-এর জন্ম ২৫ ফাল্গুন ১৩৪৭। ইংরাজি ১৯৪১। মধ্য হাওড়া খুরুট ষষ্ঠীতলায়।
কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্য সাধনার শুরু। ১৯৬১ সাল থেকে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় আলোচনীর সঙ্গে লেখালেখি সূত্রে যুক্ত থাকলেও ১৯৮১ সালে প্রকাশিত ছোটদের জন্য লেখা ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’ই লেখককে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র জনপ্রিয়তার পর থেকে বিরামহীনভাবে লিখে চলেছেন একটির পর একটি বই। মূলত অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, তাই দেশে দেশে ঘুরে যে-সব দুর্লভ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তাঁর প্রতিটি লেখার ক্ষেত্রে।
আমরা যা চাই তা পাই না আর আমরা যা পাই তা চাই না। পাণ্ডব গোয়েন্দা ১৩-এর রিভিউতে বলেছিলাম আর পড়ব না এই সিরিজ আপাতত। কিন্তু লাইব্রেরীয়ান শুনবেন কেন? তিনি গোছা ধরে এই সিরিজের বই আমার জন্য বার করে রেখে আমাকে উদ্ধার করেছেন। অতএব এখন এই সিরিজেরই বই নিতে হবে।
আগের খন্ডের রিভিউ থেকে নিম্নোক্ত অংশটি কপি পেস্ট করলাম - কাহিনি এবার গতানুগতিক একটা একইধরনের টেমপ্লেটে সাজানো হচ্ছে। একটা কেউ "তোমরা ওকে হারাতে পারবে না", বীভৎসরকমের ভয়ানক গোছের ফিল্মি কেতার নামধারী ভিলেন। নিজের শহরে একহাত পাঙ্গা। তারপর ট্রেনে করে ভিলেনের আসল আড্ডায় রওনা। সেখানে পাহাড়,জঙ্গলে অভিযান। প্রতি অভিযানে একটা দুটো এক্সট্রা বন্ধু/বান্ধবী চরিত্র যে কিনা সেই কেসের সঙ্গে জড়িত এবং পরে অবধারিত বায়না ধরে যে সেও পাণ্ডব গোয়েন্দাদের অভিযানে সঙ্গ দেবে। পাণ্ডব গোয়েন্দাদের এক বা একাধিকজনের অপহরণ। রেস্কিউ মিশন এবং ফাইনাল শো-ডাউন। এই গতেই চলছে প্রায় প্রতিটা কাহিনি।
হ্যাঁ! এবারেও তাই। ২৫৬ পাতার রিসাইকেল প্রজেক্ট। সরি টু সে ষষ্ঠীবাবু পাণ্ডব গোয়েন্দার ব্র্যান্ডটাকে এস্টাব্লিশ করে স্রেফ ছেলেখেলা করেছেন থোড়বড়িখাড়া লিখে লিখে। এত একই ধরনের লিখতে ওঁর বিবেকে আটকাল না একবারও!!! আর আনন্দমেলা যে গোয়েন্দা গল্পের নামে ভ্রমণপিডিয়া প্রকাশ করে যেত তা যে কীভাবে কাল্ট ক্লাসিক হয়ে গেছে খোদায় মালুম।
আর লেখক সম্ভবত বাংলা ভাষাকে নিয়ে ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভুগতেন। তাই আগের খন্ডে হিন্দিকে রাষ্ট্রীয় ভাষা, এই খন্ডে ইংরাজীকে রাজভাষা বলে অভিহিত করেছেন। আর মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পাটনা এসব নিয়ে এত ভালোবাসা কেন? বারবার সেই এক। ধুর ধুর। এরপর লাইব্রেরীয়ান গছিয়ে দিলেও নেব না, হয় মেম্বারশিপ বাতিল নয় অন্য বই। পাণ্ডব গোয়েন্দা ইজ নো মোর ফর মি!