কীথেকে কী হয়ে গেল। গৌতম নামের একটি ছেলে তার মামার সঙ্গে লখনৌ বেড়াতে গিয়ে রহস্যময় কারণে আর ফিরে এল না। গৌতমের দুই বন্ধু তাই পাণ্ডব গোয়েন্দাদের কাছে এল সাহায্যের প্রত্যাশায়। অথচ রহস্য এমনই যে ওর বাড়ির লোকেরা এই ব্যাপারে একেবারেই চুপচাপ। কিন্তু কেন? তবুও গৌতমের মায়ের অনুরোধে পাণ্ডব গোয়েন্দারা তদন্তে নেমেই বুঝতে পারে ওর মামা একটি বর্ন্-ক্রিমিন্যাল। গৌতম উধাও হয়েছে তাঁরই ষড়যন্ত্রে। পাণ্ডব গোয়েন্দারা জানিয়ে দেয় এ-কাজের দায়িত্ব তারা নেবে না। মুখে ‘না’ বললেও ভেতরে ভেতরে চেষ্টা কিন্তু চালিয়েই যায়। ভ্রমণের মেজাজ নিয়ে লখনৌ বেড়াতে গিয়ে জড়িয়ে পড়ে আর এক রহস্যের জালে। সেই জাল ছিঁড়তে গিয়েই উদ্ধার হয় গৌতম। কাহিনীর কি এখানেই শেষ? না। এখানকার অন্ধকার জগতের এক গডফাদারের সঙ্গে তুলকালাম বেঁধে যায় ওদের। কাহিনীর পটভূমি দুরন্ত অভিযানে সুদূর বিস্তৃত হয়। টনকপুর মাণ্ডি থেকে ধুলিগাডের অরণ্য। সারদাগঞ্জ থেকে নৈনিতালের ভীষণদর্শন আয়ারপাটা। দারুণ রোমাঞ্চ ও টান টান উত্তেজনায় ভরপুর পাণ্ডব গোয়েন্দাদের এই অভিযানটি।
Sasthipada Chattopadhyay (born 9 March 1941) was an Indian novelist and short story writer predominantly in the Bengali language. He was a well-known figure, famous for his juvenile detective stories, namely, the 'Pandob Goenda' series, as well as his contribution to children's fiction in general.
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়-এর জন্ম ২৫ ফাল্গুন ১৩৪৭। ইংরাজি ১৯৪১। মধ্য হাওড়া খুরুট ষষ্ঠীতলায়।
কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্য সাধনার শুরু। ১৯৬১ সাল থেকে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় আলোচনীর সঙ্গে লেখালেখি সূত্রে যুক্ত থাকলেও ১৯৮১ সালে প্রকাশিত ছোটদের জন্য লেখা ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’ই লেখককে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র জনপ্রিয়তার পর থেকে বিরামহীনভাবে লিখে চলেছেন একটির পর একটি বই। মূলত অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, তাই দেশে দেশে ঘুরে যে-সব দুর্লভ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তাঁর প্রতিটি লেখার ক্ষেত্রে।