মাদারির খেলা দেখিয়ে দিন কাটত গরিব ভানুদাসের। একটা ছাগল, একটা কুকুর আর একটা বানর—এই নিয়েই সে থাকত তার একেবারে একলার সংসারে। চারাবাগানের বস্তিতে। ভানুদাসের বউ আর ছেলেমেয়ে থাকে মধ্যপ্রদেশে, বস্তার জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে। মাস গেলে ভানুদাস টাকা পাঠায় তার সংসারে। সেই টাকায় তাদের চলে। দুঃখী, তবু বড়ই দয়ালু ছিল ভানুদাস মানুষটা। ছোট্ট ছেলেপুলেদের সে বিশেষ স্নেহের চোখে দেখত। আদর করে তাদের ডেকে এনে খাওয়াত নিজের বস্তির বাড়িটাতে। এহেন নিরীহ ভানুদাসকেই ছেলেধরা বদনাম দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলল কিছু মাস্তান। কেন মারল তারা? কী লাভ হল তাদের? এটা কি তাৎক্ষণিক কোনও ঘটনা, নাকি এর পিছনে রয়েছে বড় কোনও চক্রান্তকারী? পাণ্ডবগোয়েন্দাবাহিনীর এই ত্রয়োদশ অভিযানের কাহিনী যেমন উত্তেজনা-ভরপুর, তেমনই দুঃসাহসিক। চারাবাগানের বস্তি থেকে মধ্যপ্রদেশের বস্তার পর্যন্ত ছড়ানো এবারের এই রোমাঞ্চকর অভিযান।
Sasthipada Chattopadhyay (born 9 March 1941) was an Indian novelist and short story writer predominantly in the Bengali language. He was a well-known figure, famous for his juvenile detective stories, namely, the 'Pandob Goenda' series, as well as his contribution to children's fiction in general.
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়-এর জন্ম ২৫ ফাল্গুন ১৩৪৭। ইংরাজি ১৯৪১। মধ্য হাওড়া খুরুট ষষ্ঠীতলায়।
কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্য সাধনার শুরু। ১৯৬১ সাল থেকে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় আলোচনীর সঙ্গে লেখালেখি সূত্রে যুক্ত থাকলেও ১৯৮১ সালে প্রকাশিত ছোটদের জন্য লেখা ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’ই লেখককে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র জনপ্রিয়তার পর থেকে বিরামহীনভাবে লিখে চলেছেন একটির পর একটি বই। মূলত অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, তাই দেশে দেশে ঘুরে যে-সব দুর্লভ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তাঁর প্রতিটি লেখার ক্ষেত্রে।
এবার পাণ্ডব গোয়েন্দা সিরিজে স্যাচুরেশন এসে পড়ছে। লাইব্রেরী থেকে নিয়ে প্রায় বিনামূল্যে পড়তে পারায় পরপর পড়ে গেলাম গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে। কিন্তু আর না। আবার অনেকটা সময় পর এই সিরিজে ফিরব।
কাহিনি এবার গতানুগতিক একটা একইধরনের টেমপ্লেটে সাজানো হচ্ছে। একটা কেউ "তোমরা ওকে হারাতে পারবে না", বীভৎসরকমের ভয়ানক গোছের ফিল্মি কেতার নামধারী ভিলেন। নিজের শহরে একহাত পাঙ্গা। তারপর ট্রেনে করে ভিলেনের আসল আড্ডায় রওনা। সেখানে পাহাড়,জঙ্গলে অভিযান। প্রতি অভিযানে একটা দুটো এক্সট্রা বন্ধু/বান্ধবী চরিত্র যে কিনা সেই কেসের সঙ্গে জড়িত এবং পরে অবধারিত বায়না ধরে যে সেও পাণ্ডব গোয়েন্দাদের অভিযানে সঙ্গ দেবে। পাণ্ডব গোয়েন্দাদের এক বা একাধিকজনের অপহরণ। রেস্কিউ মিশন এবং ফাইনাল শো-ডাউন। এই গতেই চলছে প্রায় প্রতিটা কাহিনি।
আরেকটা বিষয় উল্লেখ্য যে হিন্দিকে রাষ্ট্রীয় ভাষা বলে চালিয়ে সেইসময়ে লেখক রেহাই পেয়ে গেলেও এই ক্যান্সেল কালচারে এরকম লেখা হলে ফেসবুকের খাপ-পঞ্চায়েতের যুগে বহু প্যারাগ্রাফ নেমে যেত এতক্ষণে। আর নিজের বইয়ের কাহিনিতে নিজেরই বইয়ের রেফারেন্স দেওয়া একেবারেই বোকা-বোকা লাগল।
চারটি তারা কেবল শেষ অংশটি বেশ থ্রিলিং গতে লেখা তারই জন্য দিলুম। নাহলে ২ আর ৩-এর মাঝামাঝি।